একটি সংসার ভাঙার নেপথ্যে
আমি এবং আমার স্বামী ২০১২ সালের মে মাসের শেষের দিনগুলিতে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজকে গ্রহণ করেছি। আমরা সবসময়ই একসঙ্গে ঈশ্বরের বাক্য পাঠ...
ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য যারা আকুলভাবে অপেক্ষা করছেন তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই!
আমি নিজের দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে নিতাম না এবং খুবই অবহেলা করতাম। প্রায়ই আলস্যের সঙ্গে কাজ করতাম। সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের ধর্মোপদেশ শুনতে আমন্ত্রণ জানাতাম, কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইতাম না বা প্রচার শুনতে তাদের কেমন লাগছে তা জিজ্ঞাসা করতাম না। আমি মনে করতাম অনেক মানুষকে শুনতে আসতে বলা মানেই আমি ভালোভাবে আমার দায়িত্ব পালন করছি। এটা আমার পক্ষে সহজও ছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলাকে আমার কঠিন মনে হত; এতে সময় তো লাগতোই, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে পরিশ্রমও করতে হতো, তাই আমি তাদের সঙ্গে আলোচনায় জড়াতে চাইতাম না। ভাবতাম যে সুসমাচারকর্মীরা তাদের সঙ্গে কথা বলবে, আর সেটাই যথেষ্ট, আমি তাদের পরিস্থিতি না জানলে কিছু যায় আসে না। একটা সমাবেশে নেতা বললেন, “আমরা যখন মানুষকে ধর্মোপদেশ শুনতে আহ্বান জানাই, তার পরে তাদের সঙ্গে কী ঘটছে তা আমাদের জানা দরকার, তারা সমাবেশে আসছে কি না, যা বলা হয়েছে তা বুঝেছে কি না তা দেখা উচিত এবং তাদের মতামত শোনা উচিত। আমাদের উচিত ভালোবাসার জায়গা থেকে তাদের সাহায্যের জন্য যথাসাধ্য করা, আর সেটা আমাদের দায়িত্বও।” কিন্তু আমি সেই সময়ে এটা বুঝিনি। আমার মনে হয়েছিল এ একটা ঝামেলা, তাই আমি ততটা ত্যাগস্বীকার করিনি বা কষ্ট সহ্য করিনি। আমি সহজতম পথ নিয়েছিলাম, এবং আমি ফল পাচ্ছি কি না সে বিষয়ে চিন্তা করিনি। একবার, নেতা বললেন কিছু লোক বহু শ্রোতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, কিন্তু তাদের মধ্যে খুব কম জনই প্রকৃত অন্বেষণ বা অনুসন্ধান করেছে। আমি জানতাম আমিও তাদের মধ্যে একজন; আমি শুধুই ওপর ওপর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলাম, এবং বাস্তব কোনো ফল পাইনি। পরে নেতা আমার কাজ পরীক্ষা করতে আসেন, এবং বলেন, “এই সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের এখনকার অবস্থা কী?” আমি বিব্রত বোধ করলাম, কী বলব বুঝতে পারলাম না। তাদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই আমার যোগাযোগ ছিল না, এবং কিছু লোক যারা ধর্মোপদেশ শুনতে আসেনি তাদের দিকেও আমি হাত বাড়িয়ে দিইনি। আমি তাদের এমনিই ছেড়ে দিয়েছিলাম।
নেতার সঙ্গে কথা বলার পর আমি ভাবতে শুরু করি। আমি দেখলাম ঈশ্বর বলছেন, “ঈশ্বর মানুষকে যাকিছু করতে বলেন, এবং ঈশ্বরের গৃহের যাবতীয় নানান প্রকারের কাজ—এই সমস্তকিছুই মানুষের করণীয়, এগুলি সবই মানুষের কর্তব্য বলে বিবেচিত হয়। তারা যে কাজই করুক না কেন, এই দায়িত্বটিই তাদের পালন করা উচিত। কর্তব্যসমূহের পরিসর খুব বিস্তৃত, এবং তা নানাবিধ ক্ষেত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট—কিন্তু যে কর্তব্যই তুমি সম্পাদন করো না কেন, সহজ কথায় সেটি তোমার বাধ্যবাধকতা, সেটি এমন এক বিষয় যা তোমার করণীয়। যতক্ষণ তুমি এটি ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করবে, ততক্ষণ ঈশ্বর তোমার প্রশংসা করবেন, এবং তিনি তোমায় একজন প্রকৃত ঈশ্বর-বিশ্বাসী বলে স্বীকৃতি দেবেন। তুমি যে-ই হও না কেন, তুমি যদি সবসময় তোমার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে বা তা থেকে আত্মগোপন করে থাকতে চেষ্টা করো, তাহলে একটা সমস্যা রয়েছে: খুব মৃদুভাবে বলা যায়, তুমি অত্যন্ত অলস, অত্যন্ত শঠ, তুমি কর্মবিমুখ, তুমি অবসর পছন্দ করো এবং শ্রম ঘৃণা করো; আরো গুরুতরভাবে বললে বলতে হয়, তুমি তোমার দায়িত্ব পালনে অনিচ্ছুক, তোমার কোনো অঙ্গীকার নেই, কোনো আনুগত্য নেই। এই গৌণ কাজেও তুমি যদি এমনকি প্রচেষ্টাটুকু প্রয়োগ করতে না পারো, তাহলে তুমি কী করতে পারো? যথাযথভাবে কোন কাজ করতে তুমি সক্ষম? একজন মানুষ যদি সত্যিই সমর্পিতচিত্ত হয়, এবং কর্তব্যের প্রতি তার যদি একটা দায়িত্ববোধ থাকে, তাহলে তাকে যে কাজ করতে বলা হবে, যতক্ষণ ঈশ্বর তা করার দাবি রাখছেন, এবং যতক্ষণ ঈশ্বরের গৃহের জন্য তা করা আবশ্যক, ততক্ষণ নির্বিকল্পভাবে সে তা-ই করবে। যা সে করতে সক্ষম ও যা তার করনীয় এমন যেকোনো কর্মভার গ্রহণ করে তা সম্পন্ন করাটা কি একজন মানুষের দায়িত্ব পালনের অন্যতম নীতি নয়? (হ্যাঁ।)” (বাক্য, খণ্ড ৪, খ্রীষ্টবিরোধীদের উন্মোচন, দশম পরিচ্ছেদ: তারা সত্যকে ঘৃণা করে, প্রকাশ্যে নীতির লঙ্ঘন করে, এবং ইশ্বরের গৃহের আয়োজনকে উপেক্ষা করে (চতুর্থ অংশ))। “তুমি যদি অনুগত ও আন্তরিক হও, তাহলে কোনো কর্ম সম্পাদনের সময় তুমি অমনোযোগী হও না ও দায়সারা ভাবে কাজ করো না, এবং কাজে শিথিল হওয়ার উপায় সন্ধান করো না, বরং কাজটির মধ্যে তোমার সমস্ত মনপ্রাণ নিবেদন করো। অবস্থা ভ্রান্ত হলে নেতিবাচকতার সৃষ্টি হয়, যার ফলে মানুষ তাদের কর্মোদ্যম হারিয়ে ফেলে, আর তাই তারা অমনোযোগী ও যত্নহীন হয়ে পড়ে। তারা অন্তরে সম্যকরূপে অবগত যে, তাদের অবস্থা সঠিক নয়, কিন্তু তবু সত্যান্বেষণের দ্বারা তা সংশোধিত করার চেষ্টা করে না। এহেন মানুষের কোনো সত্যপ্রেম নেই, এবং তাদের কর্তব্য সম্পাদনের ব্যাপারে তারা কেবল যৎসামান্যই আগ্রহী; কোনো প্রচেষ্টা নিতে বা কোনো কষ্টভোগ সহ্য করতে তারা অনিচ্ছুক, এবং তারা সবসময় কাজে ঢিলে দেওয়ার উপায় খুঁজছে। বস্তুত, ঈশ্বর ইতিমধ্যেই এই সবকিছুই দেখেছেন—তাহলে এই লোকগুলির প্রতি তিনি কোনো মনোযোগ দেন না কেন? ঈশ্বর কেবল তাঁর মনোনীত মানুষদের জেগে ওঠার জন্য এবং তারা যথার্থই কী প্রকারের মানুষ তা চিহ্নিত করার জন্য অপেক্ষা করছেন, তারা অনাবৃত হওয়ার পর তাদের বহিষ্কৃত করার জন্য অপেক্ষা করছেন” (বাক্য, খণ্ড ৪, খ্রীষ্টবিরোধীদের উন্মোচন, দশম পরিচ্ছেদ: তারা সত্যকে ঘৃণা করে, প্রকাশ্যে নীতির লঙ্ঘন করে, এবং ইশ্বরের গৃহের আয়োজনকে উপেক্ষা করে (চতুর্থ অংশ))। ঈশ্বরের বাক্যে আমি দেখলাম, যারা নিজেদের কর্তব্যে দায়িত্ববান, তাদের কাজ সমাধা করার জন্য অন্যের নজরদারির প্রয়োজন হয় না; তারা আন্তরিকভাবেই কর্তব্য পালন করে। কিন্তু যারা নিজেদের কর্তব্যকে গুরুত্ব দেয় না, তারা শুধু ভান করে এবং গতানুগতিকভাবে কাজ করে। যদিও লোকের চোখে তারা অনেক কাজ করছে বলে মনেও হয়, তা নেহাতই ওপর ওপর, এবং তার থেকে কোনো প্রকৃত ফললাভ হয় না। তারা প্রবঞ্চক। ঈশ্বরের বাক্য আমার অবস্থার স্বরূপ প্রকাশ করল। সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের ধর্মোপদেশ শোনার আমন্ত্রণ জানিয়ে আমি বেশ খুশি হতাম, কারণ সবাই যখন দেখত আমি কত লোককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তারা মনে করত আমি কত দায়িত্ববান। কিন্তু বাস্তবে, যখন আমার উচিত ছিল পরবর্তীকালে তাদের কেমন চলছে তার খবর নেওয়া, আমি কোনো মূল্য দিতে বা আরো সময় ও শ্রম দিতে চাইনি। আমি শুধুই কাজটা ধর্মোপদেশ কর্মীদের ঘাড়ে ঠেলে দিতে চেয়েছি। সহজ রাস্তা নেওয়াই আমার পছন্দ ছিল। যে পথে কষ্ট অপেক্ষাকৃত কম এবং যা সবচেয়ে আরামদায়ক, সেই পথই আমি বেছে নিয়েছি। পরিস্থিতি কঠিন হলেই আমি অন্য পথে তা এড়িয়ে গেছি। কোনো কিছু কঠিন বা প্রচুর শ্রমসাধ্য মনে হলেই আমি হাল ছেড়ে দিতে চেয়েছি। আমি কি অলস ছিলাম! আমি জানার চেষ্টাই করিনি ধর্মোপদেশ শোনার পর সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের মনে কী প্রশ্ন ছিল, তারা সমাবেশে নিয়মিত আসছে কি না, আর যদি না আসে, তার কারণ কী, ইত্যাদি। আমি আমার কর্তব্যে সত্যিই দায়িত্বজ্ঞানহীন ছিলাম, তবু আমি চাইতাম যে দেখে যেন মনে হয় আমি আমার কাজে দক্ষ। আমি খুবই ধূর্ত ও প্রবঞ্চক ছিলাম, মোটেই বিশ্বাসের যোগ্য ছিলাম না। আমার নিজের আরেকটা পূর্ব অভিজ্ঞতা মনে পড়ল। যখন আমি স্কুলে খারাপ গ্রেড পেতাম, আমাকে আবার সেই ক্লাসটা করতে হত, কিন্তু তখনও আমি মন দিয়ে লেখাপড়া করতাম না। আমি সবসময় কঠিন কাজের থেকে সহজ কাজ বেশি পছন্দ করেছি, এবং আমি অলসও ছিলাম। এটা আমার প্রকৃতির অংশ। এটা বোঝার পর, আমি আমার কাজে আরো মন দিই, কাজের পদ্ধতি বদলাতে থাকি, এবং সেই সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকি। সুসমাচার কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলি ও তাদের সাহায্য চাই। এইসব করতে করতে আমি আরও খানিকটা দক্ষ হয়ে পড়ি।
পরবর্তীকালে, যারা প্রকৃত পথকে স্বীকার করতে প্রস্তুত তাদের আমি সিঞ্চনকারীদের হাতে তুলে দিই, কিন্তু তখনও অনেক লোকই সমাবেশে নিয়মিত আসছিল না। এমন একজন ছিল, যে কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত থাকত যে সমাবেশে আসতে পারত না। তাছাড়া, তার মা-ও সদ্য মারা গিয়েছিল। সে মন খারাপ করে পৃথিবী থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল। আমি জানতাম না কিছু সহজ কথা বলা ছাড়া তার সাথে আর কীভাবে আলাপচারিতা করবো। এবং যখন কিছু মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হতো, আমি তাদের সমস্যা সমাধান করার জন্য উপযুক্ত ঈশ্বরের বাক্য খুঁজে পেতাম না। এটা আমার পক্ষে বেশ শক্ত কাজ ছিল। আমি বরং লোকজনকে ধর্মোপদেশ শোনার আমন্ত্রণ জানাতেই বেশি পছন্দ করতাম, কারণ এ কাজটা ছিল সহজ। আমার তাদের সঙ্গে কথা বলতে ভালোলাগত না। আমি ভয় পেতাম যে তারা এমন প্রশ্ন করবে যার উত্তর আমি দিতে পারব না, তাই আমি তাদের এড়িয়ে যাওয়া বা পরিত্যাগ করাই মনস্থ করি। প্রায় মাসছয়েক পরে, আমি দেখলাম আমি যাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম তাদের মধ্যে মাত্র ছ’জন ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ স্বীকার করেছে, যখন অন্য ব্রাদার-সিস্টাররা অনেককেই ধর্মান্তরিত করেছে। আমার লজ্জা হল, আর বেশ অনুশোচনাও হল। আমি এই ছ’মাস ধরে আমার কাজে অবহেলা করেছি সেই সময়টা যদি ফিরে পেতাম, আমি আর অবহেলা করতাম না। অন্যেরা যে এত মানুষকে ঈশ্বরের গৃহে নিয়ে এসেছে, তা থেকে দেখলাম যে এটা করা সম্ভব।
আমি দেখলাম যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যে বলছে, “সুসমাচার প্রচারের ক্ষেত্রে, তোমাকে তোমার দায়িত্ব পালন করতেই হবে, এবং যাদের কাছে তুমি তা প্রচার করছো তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মেলামেশা করতে হবে। ঈশ্বর মানুষকে যত দূর সম্ভব উদ্ধার করেন, এবং তোমাকে ঈশ্বরের ইচ্ছার বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে, প্রকৃত পথের অন্বেষণ ও বিবেচনা করছে এমন কাউকে কোনোক্রমেই তুমি দায়সারাভাবে উপেক্ষা করবে না। উপরন্তু, সুসমাচার ছড়িয়ে দিতে গেলে তোমার অবশ্যই নীতির ওপর দখল থাকতে হবে। যারা প্রকৃত পথ বিষয়ে বিবেচনা করছে, তোমাকে অবশ্যই তাদের ধর্মীয় পটভূমি, ক্ষমতার পরিমাপ, ও তাদের মানবিকতার গুণমান, এই ধরনের বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ, উপলব্ধি ও আয়ত্ত করতে হবে। তুমি যদি এমন কাউকে পাও যে সত্যের জন্য তৃষ্ণার্ত, ঈশ্বরের বাক্য বুঝতে পারে এবং সত্যকে গ্রহণ করতে পারে, তবে সে-ই হল ঈশ্বর দ্বারা পূর্বনির্ধারিত ব্যক্তি। তোমার সর্বতোভাবে তাদের সাথে সত্য সম্পর্কে সহকারিতা করা এবং তাদের অর্জন করার চেষ্টা করা উচিত—যদি না তারা হীন মানবতাসম্পন্ন এবং কূট চরিত্রের হয়, তৃষ্ণার ভান করে, তর্ক করতে থাকে এবং নিজেদের ধারণাকে আঁকড়ে ধরে থাকে। সেক্ষেত্রে, তোমার উচিত তাদের বর্জন করা, হাল ছেড়ে দেওয়া। প্রকৃত পথ অনুসন্ধানকারী কিছু মানুষ উপলব্ধির ক্ষমতাধারী এবং মহান ক্ষমতাসম্পন্ন, কিন্তু তারা অহংকারী, নিজের নৈতিকতার বিষয়ে উদ্ধত, ধর্মীয় ধারণার কঠিন অনুবর্তী, তাই এর সমাধানে সহায়তা করতে তাদের কাছে প্রেম ও ধৈর্য সহ সত্যের বিষয়ে সহকারিতা করা উচিত। যদি তাদের সাথে তোমার সমস্ত রকম সহকারিতা সত্ত্বেও তারা সত্যকে গ্রহণ না করে, শুধুমাত্র তখনই তোমার হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত, কারণ তোমার পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব এবং করণীয়, তুমি তা করে ফেলেছ। সংক্ষেপে, যারা সত্যকে স্বীকার এবং গ্রহণ করতে পারে তাদের ক্ষেত্রে সহজে হাল ছেড়ো না। যতক্ষণ তারা প্রকৃত পথ বিবেচনা করতে ইচ্ছুক এবং সত্যের অনুসন্ধান করতে সক্ষম, তোমার উচিত তাদের আরও ঈশ্বরের বাক্য পড়ানো এবং তাদের সত্যের সহকারিতা করানোর জন্য যথাসাধ্য করা, তাদের ধারণার ও প্রশ্নগুলির সমাধানে ঈশ্বরের কাজের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য করণীয় সমস্ত কিছু করা উচিত, যাতে তুমি তাদের অর্জন করতে পারো এবং ঈশ্বরের সম্মুখে আনতে পারো। এটাই সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার নীতির সাথে সঙ্গত। তাহলে কীভাবে তাকে অর্জন করা যেতে পারে? তাদের সঙ্গে মেলামেশা করার সূত্রে যদি তুমি নিশ্চিত করো যে এই মানুষটি ভালো ক্ষমতা ও ভালো মানবকতার অধিকারী, তাহলে তোমার দায়িত্ব পালনের জন্য তুমি অবশ্যই তোমার যথাসাধ্য করবে; তুমি অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু মূল্য পরিশোধ করবে, এবং নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি ও উপায় অবলম্বন করবে, এবং যতক্ষণ এগুলি তাদের অর্জন করার লক্ষ্যে প্রযুক্ত হয়, ততক্ষণ কোন পদ্ধতি ও উপায় তুমি প্রয়োগ করছো তাতে কিছু আসে যায় না। মোদ্দা কথা হল, তাদের অর্জন করার লক্ষ্যে, আবশ্যিকভাবে তুমি তোমার দায়িত্ব পালন করবে, এবং ভালোবাসাকে ব্যবহার করবে, এবং তোমার যথাসাধ্য করবে। তোমার দ্বারা উপলব্ধ সকল সত্যের বিষয়ে অবশ্যই তুমি আলাপ-আলোচনা করবে এবং তোমার করণীয় যাবতীয় কিছু করবে। এমনকি এই মানুষটি যদি অর্জিত না-ও হয়, অন্তত বিবেকের দিক থেকে তুমি পরিষ্কার থাকতে পারবে। এ-ই হল তোমার যথাসাধ্যমতো ও করণীয় সবকিছু করা। তুমি যদি সত্যের বিষয়ে স্পষ্টভাবে আলাপ-আলোচনা না করো, এবং মানুষটি যদি তার পূর্বধারণাকে আঁকড়ে ধরে থাকে, এবং তুমি যদি ধৈর্য হারিয়ে অযাচিতভাবে লোকটির বিষয়ে হাল ছেড়ে দাও, তাহলে তুমি তোমার দায়িত্বে অবহেলা করবে, এবং তোমার কাছে তা এক উল্লঙ্ঘন ও এক কলঙ্কচিহ্ন হয়ে দাঁড়াবে। কিছু লোক বলে থাকে, ‘এই কলঙ্কচিহ্ন থাকার অর্থ কি আমি ঈশ্বরের দ্বারা নিন্দিত হয়েছি?’ এই ধরনের বিষয়গুলো নির্ভর করে মানুষ এই কাজগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে ও অভ্যাসগতভাবে করে কিনা তার উপর। অনিয়মিত অধর্মের কারণে ঈশ্বর কোনো মানুষের নিন্দা করেন না; সেক্ষেত্রে তাদের কেবল অনুতাপ করলেই চলে। কিন্তু যখন তারা জেনেশুনে অন্যায় করে এবং অনুতাপ করতে অস্বীকার করে, তখন ঈশ্বর তাদের নিন্দা করেন। প্রকৃত পথের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে অবহিত হওয়া সত্ত্বেও তারা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পাপ কাজ করে তাহলে ঈশ্বর কীভাবে তাদের দণ্ড না দিয়ে পারেন? সত্যের নীতি অনুযায়ী বিচার করলে, এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন, যত্নহীন ও আন্তরিকতাশূন্য আচরণ; অন্ততপক্ষে, তুমি তোমার দায়িত্ব পূরণে ব্যর্থ হয়েছো, এবং ঈশ্বর এভাবেই তোমার ভ্রান্তিগুলির বিচার করেন; তুমি যদি অনুতাপ করতে অস্বীকার করো, তাহলে তুমি নিন্দিত হবে। এবং সেহেতু, এহেন ভ্রান্তিগুলি এড়ানো জন্য, তাদের দায়িত্বগুলি পূর্ণ করার জন্য মানুষের যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত, সক্রিয়ভাবে আলোচনা করা উচিত প্রকৃত পথ সম্বন্ধে যে প্রশ্নসকল মানুষের মনে রয়েছে সেগুলি নিয়ে, এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির বিষয়ে আলোচনা স্থগিত রাখা বা বিলম্বিত করা একেবারেই উচিত নয়” (বাক্য, খণ্ড ৩, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের উপদেশ, সুসমাচারের প্রচার এমন এক কর্তব্য যার প্রতি সকল বিশ্বাসী মর্যাদাবদ্ধ)। ঈশ্বরের বাক্য আমায় সত্যিই ভাবতে বাধ্য করল, আর আমি অত্যন্ত আলোড়িত হয়ে পড়লাম। ঈশ্বর মানুষকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, এবং আশা করেছিলেন তারা তাদের সর্বস্ব এতে নিবেদন করবে, কিন্তু মানুষকে ঈশ্বরের কাছে আনার কর্তব্যে আমি ত্যাগস্বীকার করতে চাইনি। আমি সত্যিই অলস ছিলাম এবং আমার কর্তব্যে অত্যন্ত ঢিলে ছিলাম। আমি ঈশ্বরের কথামতো কাজ করিনি এবং যারা প্রকৃত পথের অনুসন্ধান করে তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে মনোযোগ দিইনি, বা আমার কর্তব্যও পূরণ করিনি। আমি মনে করেছিলাম অনেক লোককে শুনতে আসার জন্য বলাই যথেষ্ট, এবং তার পর যা ঘটবে তা আমার দায়িত্ব নয়। আমার চোখে, সেসব ছিল সিঞ্চনকারীদের দায়িত্ব, এবং তারা সমাবেশে এল কি না তা আমার সমস্যা বা দায়িত্ব নয়। তাই তারা যখন সমাবেশে এল না, তাদের সাহায্য করার জন্য ঈশ্বরের বাক্য খুঁজে বার করতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করিনি। আমি ভেবেছি তাদের সমস্যার সমাধান করা আমার পক্ষে কঠিন, তাই তাদের ওপর হাল ছেড়ে দিতে চেয়েছি। কিন্তু আসলে, যতক্ষণ তারা সুসমাচার প্রচারের নীতির সঙ্গে মানানসই, আমার তাদের প্রতি গভীর মনোযোগ দেওয়া উচিত, তাছাড়া আমিই তাদের শুনতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সাধারণ অবস্থায়, আমার পরবর্তীকালেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু আমি তা করিনি। আমি তাদের সিঞ্চনকারীদের ভরসাতেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমার সত্যিই কোনো দায়িত্ববোধ ছিল না, ঈশ্বরের ইচ্ছার বিষয়ে চিন্তাও ছিল না। যখন আমি আমার সমস্যা বুঝতে পারলাম, আমি আমার মনোভাব পাল্টাতে বদ্ধপরিকর হলাম, কিন্তু আমি জানতাম আমি একা তা করতে পারব না। আমার প্রয়োজন ছিল প্রার্থনা করা ও ঈশ্বরের সহযোগিতা চাওয়া। পরে, আমি যখন সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের সঙ্গে দেখা করতাম, আমি প্রায়ই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতাম যাতে তাদের তাঁর কাছে নিয়ে আসতে, এবং কঠোর পরিশ্রম করতে ও প্রকৃত ত্যাগস্বীকার করতে তিনি আমাকে সাহায্য করেন, আমি যেন আগের মতো কর্তব্যে অবহেলা না করি। আমি নেতাকে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম কীভাবে মানুষকে ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ স্বীকার করানো যায়। তিনি আমাকে কিছু পন্থা বলে দেন, এবং আমি চিন্তা করতে শুরু করি, দেখতে চাই এর মধ্যে কোনটা আমি করছিলাম না। আমি বুঝলাম যে আমি আমার কাজে সত্যের সন্ধান করছিলাম না, এবং আমার ব্রাদার-সিস্টারদের থেকে শিক্ষাও নিচ্ছিলাম না। যখন কিছু মানুষ সমাবেশে আসেনি, আমি তার কারণ জানতে চাইনি, এবং তাদের ব্যাপারে হাল ছেড়ে দিয়েছি। আমার কর্তব্যের প্রতি আমার মনোভাব বড়ই অবহেলাপূর্ণ ছিল।
এতে মনে পড়ে গেল ঈশ্বর তাঁর বাক্যে কী বলেছেন, “তুমি ঈশ্বরের অর্পিত দায়িত্বগুলিকে কীভাবে বিবেচনা করো তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি খুবই গুরুতর একটি বিষয়। ঈশ্বর মানুষের উপর যা অর্পণ করেছেন, তা যদি তুমি সম্পূর্ণ করতে না পারো, তাহলে তুমি তাঁর উপস্থিতিতে বসবাসের উপযুক্ত নও এবং তোমার শাস্তি পাওয়া উচিত। এটা স্বর্গের দ্বারা অভিষিক্ত এবং পৃথিবী দ্বারা স্বীকৃত যে, ঈশ্বর মানুষদের উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন তা তাদের সম্পূর্ণ করা উচিত; এটি তাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব, এবং তাদের জীবনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তুমি ঈশ্বরের অর্পিত দায়িত্বকে গুরুত্ব সহকারে না নাও, তাহলে তুমি তাঁর সাথে শোচনীয়তমভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করছো; এতে তুমি যিহূদার চেয়েও বেশি শোচনীয়, এবং তোমার অভিশপ্ত হওয়া উচিত। ঈশ্বর মানুষের উপর যা অর্পিত করেন তা কীভাবে দেখতে হবে, সে সম্পর্কে তাদের অবশ্যই একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ উপলব্ধি অর্জন করতে হবে, এবং অন্ততপক্ষে বুঝতে হবে যে তিনি মানবজাতির উপর যে দায়িত্বগুলি অর্পণ করেন তা ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া উন্নয়ন এবং বিশেষ অনুগ্রহ; এগুলিই সবচেয়ে মহিমান্বিত জিনিস। অন্য সব কিছু পরিত্যাগ করা যেতে পারে; এমনকি কাউকে যদি নিজের জীবনও উৎসর্গ করতে হয়, তবু তাকে অবশ্যই ঈশ্বরের অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে” (বাক্য, খণ্ড ৩, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের উপদেশ, মানব-প্রকৃতি জানার উপায়)। ঈশ্বরের বাক্য পড়ার পর আমি লজ্জিত বোধ করলাম। ঈশ্বরের সৃষ্টির একজন হিসেবে, আমার ভালোভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করা উচিত। এই আমার লক্ষ্য ও বেঁচে থাকার কারণ। তা যদি আমি না করতে পারি, তাহলে যে কাজের জন্য আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে তা বৃথা হবে এবং আমি ঈশ্বরের সম্মুখে জীবন যাপনের যোগ্য হব না। শেষপর্যন্ত আমি ঈশ্বরের দ্বারা ঘৃণিত ও পরিত্যক্ত হব। রাজ্যের সুসমাচারের প্রচার ঈশ্বরের সবচেয়ে জরুরি ইচ্ছে, এবং আমার নিজের কর্তব্যে সর্বস্ব পণ করা উচিত, অবহেলা করা উচিত নয়। ঈশ্বর যখন নোহকে জাহাজ বানাতে বলেছিলেন, আমি সেই কথা ভাবলাম। যদিও সে কাজ অত্যন্ত কঠিন ছিল, কিন্তু নোহ হাল ছেড়ে দেননি। তিনি ঈশ্বরকে প্রশ্ন করেননি কখন সে জাহাজ সম্পূর্ণ হবে, বা কখন বন্যা আসবে। তিনি শুধুই ঈশ্বরের নির্দেশমতো জাহাজ নির্মাণ করেছিলেন। এটা বোঝার পর, আমি উপলব্ধি করলাম যে আমার উচিত নিজের কর্তব্যের প্রতি মনোভাব পরিবর্তন করা, নোহের উদাহরণ অনুসরণ করা, এবং নিজের কর্তব্য পালনে যথাসাধ্য সচেষ্ট হওয়া। একবার এক সমাবেশের সময়, অন্যেরা তাদের প্রচারের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছিল, এবং কীভাবে ঈশ্বরের বাক্যের সাহায্যে সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের সমস্যার সমাধান করেছে তা বলছিল। আমি তাদের কথা শুনে অত্যন্ত মুগ্ধ হলাম। আলস্য ছেড়ে দায়িত্বশীল হতে চাইলাম। আর আমার কর্তব্যে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে চাইলাম।
আমি মুহুর্মূহু লক্ষ্য করতাম কারা সমাবেশে আসছে না, যারা থাকত না তাদের তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করতাম, এবং ঈশ্বরের বাক্যের বিষয়ে আলোচনা করতাম। যখন আমি প্রত্যেকের প্রতি আন্তরিকভাবে মনোযোগ দিলাম, তাদের বেশিরভাগই নিয়মিত সমাবেশে আসতে থাকল। আমার মনে আছে একজন মহিলা বহুদিন যাবৎ সমাবেশে আসেনি। আমি তাকে একটা টেক্সট পাঠাই, কিন্তু যখন সে কিছু দিন পরেও জবাব দিল না, আমি দুশ্চিন্তায় পড়লাম। আমি এক সিঞ্চনকারী ব্রাদার ডারলির সাথে যোগাযোগ করি, কী হয়েছে তা জানতে। সে বলে, ওই মহিলার কর্মক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছিল, তাই সে তাকে ঈশ্বরের কিছু বাক্য পাঠিয়েছে। আমার শুনে মনে হল এটা যথেষ্ট নয়, তাই আমি ভ্রাতা ডারলিকে বলি তাকে ফোন করে আলোচনা করতে। আমাকে অবাক করে দিয়ে, আলোচনার পর সে সেই দিনই সমাবেশে আসতে রাজি হয়ে যায়, এবং আগে না আসার জন্য ক্ষমা চায়। অনতিবিলম্বেই, সে গির্জার সঙ্গে যুক্ত হয়। আমি খুশিতে উচ্ছ্বল হয়ে উঠি। ঈশ্বরের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ বোধ করি!
আমি দেখলাম ঈশ্বর একথাও বলছেন, “তুমি যদি সত্যিই বিবেক ও বোধশক্তির অধিকারী হও, তাহলে কাজকর্ম সম্পাদনের সময় তুমি তাতে আরেকটু বেশি আন্তরিকতা, এবং সেই সাথে আরেকটু বেশি সহৃদয়তা, দায়িত্ববোধ, এবং বিবেচনাবোধ প্রয়োগ করবে, এবং আরো বেশি প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করতে সক্ষম হবে। যখন তুমি আরো বেশি উদ্যম ঢালতে পারবে, তখন তোমার দ্বারা সম্পাদিত কর্তব্যাদির ফলাফলে উন্নতি সাধিত হবে। তোমার দ্বারা অর্জিত ফলাফল উৎকৃষ্টতর হবে, এবং তা অপরাপর লোকজন ও ঈশ্বর উভয়কেই সন্তুষ্ট করবে” (বাক্য, খণ্ড ৩, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের উপদেশ, দায়িত্ব সম্পাদনের মাধ্যমেই জীবনে প্রবেশ আরম্ভ হয়)। “তোমাদের অবশ্যই ইতিবাচকতার দিক থেকে প্রবেশাধিকার লাভ করতে হবে। যদি শুধু নিষ্ক্রিয়ভাবে অপেক্ষা করো, তাহলে তুমি সেই নেতিবাচকই রয়ে যাচ্ছো। তোমাদের অবশ্যই আমার সঙ্গে সহকারিতায় তৎপর হতে হবে; পরিশ্রমী হও, কখনোই আলস্যপরায়ণ হয়ো না। সর্বদা আমার সাথে সহকারিতা করো, এবং আমার সঙ্গে গভীরতর অন্তরঙ্গতা অর্জন করো। যদি বুঝে উঠতে না পারো, তাৎক্ষণিক ফলের আশায় অধীর হয়ে উঠো না। এমন নয় যে আমি তোমায় বলবোই না; বরং আমি দেখতে চাই যে, আমার উপস্থিতিতে তুমি আমার উপর ভরসা রাখছো কিনা, এবং আমার প্রতি নির্ভরতায় তুমি প্রত্যয়ী কিনা। তোমাকে সর্বদাই আমার নিকটবর্তী থাকতে হবে, এবং আমার করপুটেই সঁপে দিতে হবে সকল বিষয়। বৃথা ফিরে যেয়ো না। যখন অচেতনভাবে তুমি কিছুকাল আমার সন্নিকটে থাকবে, আমার অভিপ্রায়সমূহ তোমার কাছে প্রকাশিত হবে। যদি সেগুলি উপলব্ধি করতে পারো, তাহলে যথার্থরূপেই তুমি আমার সম্মুখীন হবে, এবং প্রকৃতপক্ষেই খুঁজে পাবে আমার মুখাবয়ব। তোমার মধ্যে আরো স্পষ্টতা ও দৃঢ়তা আসবে, এবং তুমি একটা ভরসার খুঁটি পাবে। তখন তোমরা অধিকারী হয়ে উঠবে শক্তি এবং আত্মপ্রত্যয়েরও, পাবে সম্মুখবর্তী হওয়ার একটি পথ। সবকিছুই সহজেই আসবে তোমার কাছে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সূচনাকালে খ্রীষ্টের বাক্য, অধ্যায় ৯)। আগে, আমি আমার দায়িত্বে নিষ্ক্রিয় ছিলাম এবং আমার সাধারণ বুদ্ধিরও অভাব ছিল। আমি অবহেলার সঙ্গে সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের বিষয়ে হাল ছেড়ে দিতাম। ঈশ্বরের বাক্যের দিকনির্দেশ থেকে আমি বুঝলাম যে আমাদের অন্তরে কী আছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন মানুষকে ভালোবেসে তার সাথে আচরণ করি এবং আন্তরিক আলাপচারিতা করি, আমরা ঈশ্বরের দিকনির্দেশ দেখতে পাই। এটা বোঝার পর, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম, চাইলাম যেন তিনি আমাকে আমার দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে সাহায্য করেন, এবং তাঁর বাক্য সচেতনভাবে অনুশীলন করতে সাহায্য করেন। পরে, আমি ওই সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের সঙ্গে কথা বলতে খুবই সক্রিয় হয়ে উঠি। তারা যদি প্রচারের নীতির সঙ্গে মানানসই হয়, তাহলে যতক্ষণ না তারা ঈশ্বরের কাজ স্বীকার করে ততক্ষণ তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে খবরাখবর নিতে থাকি। যখন আমি এটা করলাম, আমি অনুভব করলাম ঈশ্বর আমাকে পদে পদে পথ দেখাচ্ছেন, কীভাবে আমার কর্তব্য করা উচিত তা বুঝতে সাহায্য করছেন, এবং আমি অন্তরে খুবই নিশ্চিন্ত হলাম। ধন্যবাদ ঈশ্বরের প্রতি!
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
আমি এবং আমার স্বামী ২০১২ সালের মে মাসের শেষের দিনগুলিতে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজকে গ্রহণ করেছি। আমরা সবসময়ই একসঙ্গে ঈশ্বরের বাক্য পাঠ...
শীলা আমার অনেকদিনের চেনা, আর আমি ওকে ভালোভাবেই জানি। যখনই আমাদের দেখা হতো, ও সবসময় ওর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে গল্প করতো। ও বলতো যে অন্যদের...
আমি গির্জার জন্য ডিজাইনের কাজ করতাম। সময়ের সাথে সাথে, সবরকম ডিজাইন আর ছবি বানানোয় দক্ষ হয়ে উঠি, দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হই। ভেবেছিলাম:...
ছোট থেকেই আমি সবসময় আমার বাবা-মাকে ঈশ্বরকে অনুসরণ করার আদর্শ হিসেবে দেখেছি। তাদের দেখে মনে হত যে তারা তাদের বিশ্বাসে উদ্দীপ্ত এবং বলিদান...