বই
-
বাক্য দেহে আবির্ভূত হল, খণ্ড ১ ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য
সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, অন্তিম সময়ের খ্রিষ্ট, যিনি তাঁর কাজ করতে আবির্ভূত হয়েছেন, মানবজাতিকে শুদ্ধ এবং রক্ষা করতে সমস্ত সত্য অভিব্যক্ত করেছেন এবং সেগুলির সমস্তই বাক্য দেহে আবির্ভূত হল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি বাইবেলের লেখা: “প্রথমেই বাক্য ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সংগে ছিলেন এবং বাক্য নিজেই ঈশ্বর ছিলেন” (যোহন 1:1)। কে পরিপূর্ণ করেছে । বাক্য দেহে আবির্ভূত হল সম্পর্কে বলতে গেলে, বিশ্ব সৃষ্টির পর এই প্রথম ঈশ্বর সমস্ত মানবজাতিকে সম্বোধন করেছেন। এই বাক্যগুলি মানবজাতির মধ্যে ঈশ্বরের দ্বারা অভিব্যক্ত প্রথম পাঠ্যাংশ গঠন করে যেখানে তিনি মানুষের সত্য উদ্ঘাটন করেন, তাদের পথ দেখান, তাদের বিচার করেন এবং তাদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেন এবং এগুলিই হল প্রথম বাক্য যেখানে ঈশ্বর মানুষকে তাঁর পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত করেন, তিনি কোথায় থাকেন, তাঁর মনোভাব, তিনি কে ও তাঁর কী আছে, তাঁর চিন্তাধারা এবং মানুষের জন্য তাঁর উদ্বেগ। এটা বলা যেতে পারে যে এগুলি হলো সৃষ্টির পর তৃতীয় স্বর্গ থেকে মানবজাতির প্রতি ঈশ্বরের প্রথম বাক্য এবং প্রথমবার ঈশ্বর তাঁর বাক্যর মাধ্যমে মানুষের কাছে তাঁর আন্তরিক ভাষা উপস্থিত ও প্রকাশ করতে নিজের অন্তর্নিহিত পরিচয় ব্যবহার করেছেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের দ্বারা উচ্চারিত বাক্য দেহে আবির্ভূত হল (সংক্ষেপে বাক্য), বর্তমানে ছয়টি খণ্ডে বিন্যস্ত: খণ্ড এক, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য; খণ্ড দুই, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে; খণ্ড তিন, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের উপদেশ; খণ্ড চার, খ্রীষ্টবিরোধীদের উন্মোচন; খণ্ড পাঁচ, নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের দায়িত্বসমূহ; এবং খণ্ড ছয়, সত্যের অন্বেষণের বিষয়ে। -
বাক্য দেহে আবির্ভূত হল, খণ্ড ২ ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে
ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, অর্থাৎ বাক্য দেহে আবির্ভূত হল-র দ্বিতীয় খণ্ডতে রয়েছে ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য-র পরবর্তীকালীন সময়ে সকল মানুষের উদ্দেশ্যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের উচ্চারণসমূহ। বিবিধ সত্যের বিষয়ে ঈশ্বর বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন, যেমন পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে তাঁর সম্পাদিত কার্য, তাঁর ইচ্ছা ও সেই ঈচ্ছার মাধ্যমে ব্যক্ত মানবজাতির কাছে তাঁর প্রত্যাশাসমূহ, এবং ঈশ্বরের কার্যের মাধ্যমে তাঁর যাকিছু আছে ও তিনি যা সেসবের উচ্ছ্বসিত প্রকাশ, সেইসাথে তাঁর ন্যায়পরায়ণতা, তাঁর কর্তৃত্ব, তাঁর পবিত্রতা, এবং এই সত্য যে তিনিই সমস্তকিছুর জীবনের উৎস। এই বইখানি পাঠ করার পর, প্রকৃত ঈশ্বর-বিশ্বাসী মানুষরা নিশ্চিত হতে সক্ষম হবে যে যিনি এই কার্য সম্পাদন করতে পারেন ও এই স্বভাবগুলির প্রকাশ ঘটাতে পারেন তিনিই সেই অদ্বিতীয় যিনি সমস্তকিছুর উপর সার্বভৌম, এবং সেইসাথে তারা ঈশ্বরের পরিচয়, তাঁর মর্যাদা, ও তাঁর সারসত্যের বিষয়ে সত্যিকারের অবহিত হতে পারবে, এবং এইভাবে নিশ্চিত হতে পারবে যে অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, হলেন স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর। -
ঈশ্বরের ঘর থেকে বিচারের সূচনা হয়
এই বইটিতে যে নির্বাচিত অংশগুলি রয়েছে তা সবই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা অন্তিম সময়ে তাঁর বিচারকার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে অভিব্যক্ত বাক্য, এবং তা মূলত বাক্য দেহে আবির্ভূত হল, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য শীর্ষক গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত। এগুলি হল সেইসকল সত্য যা অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কার্য অন্বেষণ এবং অনুসন্ধানে রত প্রত্যেক ব্যক্তির অর্জন করা আশু প্রয়োজন। এইখানে সঙ্কলিত ঈশ্বরের অভিব্যক্তিগুলি হল পবিত্র আত্মার দ্বারা গির্জাগুলির প্রতি কথিত বাক্য, যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করা রয়েছে প্রকাশিত বাক্যের গ্রন্থে। ঈশ্বরের এই বর্তমান বাক্যগুলি হল তাঁর আবির্ভাব এবং কার্যের সর্বোত্তম সাক্ষ্য, এবং সেইসাথে এগুলি এই বাস্তবিকতারও সর্বোত্তম সাক্ষ্য, যে খ্রীষ্টই হলেন সত্য, পথ ও জীবন। এই বইটির উদ্দেশ্য হল, যারা ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য ব্যাকুল তাদের সকলকে যথাশীঘ্র সম্ভব তাঁর কণ্ঠস্বর শ্রবণ করতে সক্ষম করে তোলা। আমরা আশা করি, যারা প্রভুর আগমনের প্রতীক্ষারত এবং ঈশ্বরের আবির্ভাব ও কার্যের জন্য সোৎসাহে অপেক্ষমাণ, তারা সকলে এই বইটি পাঠ করতে সক্ষম হবে।