প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তন সম্বন্ধে বাইবেলের ৬টি ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়েছে

06-03-2022

জিঞ্জি করেছেন

এখন ইতিমধ্যেই অন্তিম সময়ের সমাপ্তিকাল এবং ঘন ঘন বিভিন্ন দুর্যোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে উল্লিখিত অন্তিম সময়ের কিছু মুখ্য ঘটনার আবির্ভাব হয়েছে। আমরা প্রকাশিত বাক্য ২২:১২-এর এই ভবিষ্যদ্বাণী “দেখ, আমি শীঘ্রই আসছি।”-এর কথা না ভেবে থাকতে পারছি না। প্রভুর এই প্রতিশ্রুতির কারণেই, আমরা আকুল হচ্ছিলাম এবং প্রভুর দ্বিতীয়বার আগমনের অপেক্ষা করছিলাম। তাহলে, প্রভু কি প্রত্যাবর্তন করেছেন? সমস্ত খ্রিষ্টানদের কাছে এই প্রশ্নটি বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এবং আমরা প্রভুকে স্বাগত জানাতে সক্ষম হবো কিনা এবং স্বর্গ রাজ্যে আনন্দ করতে সক্ষম হবো কিনা তার সাথে এটি সরাসরি যুক্ত। প্রকৃতপক্ষে, প্রভু যীশু ইতিমধ্যেই বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে আমাদের উত্তর দিয়েছেন। তাহলে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে অন্তিম সময়ের মুখ্য ঘটনাগুলি কী কী? চলো দেখে নেওয়া যাক।

প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনের ভবিষ্যদ্বাণী (১): ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, প্লেগ এবং যুদ্ধের প্রাদুর্ভাব

মথি ২৪:৬-৮-তে রয়েছে: “তোমরা বহু যুদ্ধের কথা ও যুদ্ধের বিষয়ে নানা গুজব শুনতে পাবে। এতে তোমরা উদ্বিগ্ন হয়ো না। এসব ঘটনা অবশ্যই ঘটবে, কিন্তু তখনও যুগের অবসান বুঝায় না। একে জাতির বিরুদ্ধে অন্য জাতির, এক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্য রাষ্ট্রের অভ্যুত্থান হবে এবং বিভিন্ন স্থানে দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প দেখা দেবে। এ সবই দুর্বিপাকের সূচনা মাত্র।” সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রায়শই যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে, যেমন আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের উৎখাত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ, ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ এবং ইস্রায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে অব্যাহত ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ। প্লেগ, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা এবং ভূমিকম্পও সর্বত্র দেখা গেছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য এই “নোভেল করোনাভাইরাস”, যার প্রাদুর্ভাব 2019 সালে চীনের উহানে এবং তার পর থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। 2019 সালের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়াতেও মারাত্মক দাবানল লেগেছিল, আবার বিশ্বের অপর প্রান্ত পূর্ব আফ্রিকায় পঙ্গপালের ভয়ঙ্কর প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল, এবং অনেক দেশ এখন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন। 2020 সালের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়া বন্যার শিকার হয়েছিল এবং কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড শতাব্দী-বিরল প্রবল তুষারঝড়ের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তুরস্কের এলাজিগ, ক্যারিবীয় অঞ্চলের দক্ষিণ কিউবা এবং অন্যত্র ভূমিকম্পের ঘটনা দেখা গেছে। এই লক্ষণগুলি থেকে দেখা যায় যে বাইবেলের এই ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়েছে।

প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনের ভবিষ্যদ্বাণী (২): নভোস্থিত অসঙ্গতির উপস্থিতি

প্রকাশিত বাক্য ৬:১২-তে রয়েছে, “এর পরে আমি দেখলাম, তিনি যখন ষষ্ঠ সীলমোহর খুললেন তখন মহাভূমিকম্প হল। সূর্য কালো কম্বলের মত এবং পূর্ণচন্দ্র রক্তের মত হয়ে গেল।” যোয়েল ২:৩০-৩১-তে রয়েছে, “এবং আমি আকাশে নানা অলৌকিক নিদর্শন দেখাব এবং পৃথিবীতে দেখাব ধোঁয়ার কুণ্ডলী, আগুন আর রক্তপাত। যিহোবার মহাভয়ঙ্কর দিনের আবির্ভাবের আগে সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে, চন্দ্র হয়ে যাবে রক্তিম।” সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চাঁদের রক্তিম হয়ে যাওয়ার অনেক ঘটনা ঘটেছে। উদাহরণস্বরূপ, 2014 এবং 2015 এই দুই বছরের মধ্যে চারটি “ব্লাড মুন” এর সিরিজ দেখা গেছে, এবং 31জানুয়ারি, 2018-এ একটি “সুপার ব্লু ব্লাড মুন” দেখা গেছে যা প্রতি 150 বছরে একবারই দেখা যায়। তারপরে, 2019-এর জানুয়ারিতে একটি “সুপার ব্লাড উলফ মুন” আবির্ভূত হয়েছিল। সূর্যের কালো হয়ে যাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণীকৃত ঘটনাটিও দেখা গেছে এবং সত্যিই মোট অনেকগুলি সূর্যগ্রহণ হয়েছে, যেমন সিঙ্গাপুরে 26ডিসেম্বর, 2019 এবং একই বছরের 2 জুলাই চিলিতে তা ঘটেছে। বাইবেলের এই ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা এই ঘটনাগুলির মধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে।

প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনের ভবিষ্যদ্বাণী (৩): গির্জাগুলি জনশূন্য এবং বিশ্বাসীদের ভালোবাসা শীতল

মথি ২৪:১২-তে রয়েছে, “অধর্মের আধিক্য ঘটাবে, অধিকাংশ লোকের অন্তর হবে প্রেমহীন।” সমগ্র ধর্মীয় জগতে জনশূন্যতা ছড়িয়ে পড়ছে। যাজক এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রচার ক্লান্তিকর এবং একঘেয়ে হয়ে গেছে, এবং তা বিশ্বাসীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। মর্যাদা প্রাপ্তির সংগ্রামে কিছু যাজক চক্র গঠন করছেন এবং গির্জায় দলাদলি তৈরি করছেন, এমনকি কেউ কেউ ধর্মনিরপেক্ষ পথে বিশ্বাসীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কারখানা স্থাপন করে ব্যবসায় নেমে পড়েছেন; আবার এদিকে বিশ্বাসীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সাধারণ দুর্বলতা এবং বিশ্ব থেকে বিচ্ছেদের বিষয়ে অনিচ্ছা রয়েছে, এবং তারা এটির ক্লান্তিকর বন্ধনে বাস করে। কিছু গির্জা বাইরে থেকে পরিপূর্ণ এবং প্রাণবন্ত দেখায়, কিন্তু অনেকেই গির্জায় আসে গির্জাকে বাণিজ্যের জায়গা হিসাবে ব্যবহার করে শুধুমাত্র নিজেদের যোগাযোগ প্রসারিত করতে এবং পণ্য বিক্রি করতে। বর্তমানের গির্জা এবং অনুশাসনের যুগের অন্তিমকালের উপাসনা-গৃহের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে? এই বিষয়গুলিতে প্রভুর প্রত্যাবর্তন বিষয়ক বাইবেলের এই ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা স্পষ্ট হয়েছে।

প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনের ভবিষ্যদ্বাণী (৪): ভণ্ড খ্রিষ্টদের আবির্ভাব

মথি ২৪:৪-৫-তে রয়েছে, “যীশু বললেন, তোমরা সতর্ক থাকবে কেউ যেন তোমাদের প্রতারিত করতে না পারে। অনেকেই আমার নাম নিয়ে আসবে, আর তোমাদের বলবে, ‘আমিই খ্রীষ্ট’। তারা বহুলোককে প্রতারিত করবে।” প্রভুর ভবিষ্যদ্বাণী থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রভু যখন ফিরে আসবেন, তখন ভণ্ড খ্রিষ্টদের আবির্ভাব হবে এবং তারা লোকেদের প্রতারিত করবে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভণ্ড খ্রিষ্টরা চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মতো দেশে আবির্ভূত হয়েছে এবং লোকেদের প্রতারিত করেছে। এই ভণ্ড খ্রিষ্টদের মধ্যে খ্রিষ্টের সারবত্তা নেই, বা তারা সত্য ঘোষণা করতে পারে না, তবুও তারা নিজেদের খ্রিষ্ট বলে দাবি করে এবং প্রভু যীশুকে অনুকরণ করে কিছু অলৌকিক কাজ করার চেষ্টা করে মানুষকে প্রতারিত করে। সুতরাং, বাইবেলের এই ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনের ভবিষ্যদ্বাণী (৫): ইস্রায়েলের পুন: প্রতিষ্ঠা

মথি ২৪:৩২-৩৩-তে রয়েছে, “ডুমুর গাছ থেকে এই শিক্ষা নাও। ডুমুর গাছের শাখায় যখন কোমল পল্লবের উদ্গম হয় তখন তোমরা বুঝতে পার যে গ্রীষ্মকাল আসতে আর দেরী নেই। অনুরূপ ভাবে যখন তোমরা এ সব দেখতে পাবে তখন জানবে যে অন্তিমকাল আসন্ন, একেবারে দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত।” প্রভুর বিশ্বাসীরা অনেকেই জানে যে ডুমুর গাছের কোমল শাখা এবং পাতা ইস্রায়েলের পুন:প্রতিষ্ঠার নির্দেশ করে। ইস্রায়েলের পুন:প্রতিষ্ঠার সময় প্রভুর দিন সমাগত হবে, এবং 14 মে, 1948 সালে ইস্রায়েল পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্পষ্টতই, প্রভুর প্রত্যাবর্তনের বাইবেলের এই ভবিষ্যদ্বাণী সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হয়েছে।

প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনের ভবিষ্যদ্বাণী (৬): পৃথিবীর শেষ প্রান্তে সুসমাচারের বিস্তার

মথি ২৪:১৪-তে রয়েছে: “সর্বজাতির সমক্ষে সাক্ষ্য স্বরূপ ঐশ রাজ্যের সুসমাচার সমগ্র জগতে প্রচারিত হবে। তখনই হবে কালের অন্ত।” মার্ক ১৬:১৫-এ প্রভু যীশু তাঁর পুনরুত্থানের পরে তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন, “সারা পৃথিবীর কাছে যাও, সর্বমানবের কাছে প্রচার কর সুসমাচার।” যীশুর পুনরুত্থান এবং স্বর্গারোহণের পরে প্রভু যীশুকে প্রত্যক্ষ করার জন্য যারা প্রভু যীশুকে অনুসরণ করে, পবিত্র আত্মা তাদের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছিল। আজ খ্রিষ্টানরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেক গণতান্ত্রিক দেশ খ্রিষ্টধর্মকে তাদের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমনকি চীনেও, যেখানে ক্ষমতাসীন দল নাস্তিক, সেখানেও লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রভু যীশুর সুসমাচার গ্রহণ করেছে, এবং তাই দেখা যায় যে প্রভু যীশুর মাধ্যমে মানবজাতির মুক্তির সুসমাচার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এর দ্বারা প্রভুর প্রত্যাবর্তনের বাইবেলের এই ভবিষ্যদ্বাণী স্পষ্ট রূপে পূর্ণ হয়েছে।

আমরা কীভাবে প্রভুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাবো?

উপরে তালিকাভুক্ত তথ্য থেকে আমরা দেখতে পাই যে প্রভুর ফিরে আসার ছয়টি ভবিষ্যদ্বাণী ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে। প্রভুর আগমনকে স্বাগত জানানোর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এটাই। আমরা প্রভুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে সক্ষম হওয়ার আগে আমাদের কী করতেই হবে? প্রভু যীশু অনেক আগেই আমাদের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

যোহন ১৬:১২-১৩-এ প্রভু যীশু বলেছেন, “আমার এখনও অনেককিছুই তোমাদের বলার আছে, কিন্তু এখন তোমরা সেগুলো বহন করতে পারবে না। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনি তোমাদের সকল সত্যের পথে পরিচালিত করবেন। তিনি নিজে থেকে কিছুই বলবেন না, যা তিনি শুনবেন শুধুমাত্র তা-ই বলবেন এবং সমস্ত ভাবী ঘটনার কথা তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন।” প্রকাশিত বাক্য ৩:২০-তে রয়েছে “দেখ, আমি দুয়ারে দাঁড়িয়ে করাঘাত করছি। যে আমার ডাক শুনে দুয়ার খুলে দেয়, আমি ভেতরে তার কাছে যাব, তার সঙ্গে পানাহার করব, সেও আমার সঙ্গে পানাহার করবে।” প্রকাশিত বাক্যের ২ এবং ৩ নম্বর অধ্যায়েও আরও অনেক ভবিষৎবাণী রয়েছে। “শোনার মত কান যার আছে সে শুনুক, পবিত্র আত্মা সকল মণ্ডলীকে কী বলছেন।” এই স্তবকগুলি থেকেই দেখতে পাচ্ছো, যখন প্রভু যীশু প্রত্যাবর্তন করবেন, তিনি বাক্য জারি করবেন এবং গির্জাগুলির সাথে কথা বলবেন, আমাদের এমন সমস্ত সত্য বলবেন যা আমরা আগে বুঝতে পারিনি। যারা ঈশ্বরের বক্তৃতা শুনে, তাঁর কণ্ঠস্বর চিনতে পেরে তাঁকে গ্রহণ করবে এবং তাঁর কাছে নিজেদের সমর্পণ করবে, তারাই প্রভুকে স্বাগত জানাতে এবং পবিত্র-মেষশাবকের উৎসবে যোগ দিতে সক্ষম হবে; অপর দিকে যারা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বরকে চিনতে পারবে না, তারা অবশ্যই ঈশ্বরের মেষ হবে না এবং তারা ঈশ্বরের দ্বারা উন্মোচিত এবং নির্মূল হবে। এটাতে স্পষ্ট হচ্ছে যে প্রভুর আগমনের অপেক্ষার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমরা যেন গির্জায় পবিত্র আত্মার বাক্য খুঁজে পাই এবং ঈশ্বরের ধ্বনি শুনতে শিখি। যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন: “যেহেতু আমরা ঈশ্বরের পদাঙ্ক অনুসন্ধান করছি, সেহেতু আমাদের উচিত ঈশ্বরের ইচ্ছার, তাঁর বাক্যের, তাঁর উচ্চারণের অন্বেষণ করা—কারণ যেখানেই ঈশ্বর-কথিত নতুন বাক্য রয়েছে, সেখানেই ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর রয়েছে, এবং যেখানেই ঈশ্বরের পদাঙ্ক রয়েছে, সেখানেই ঈশ্বরের দ্বারা সংঘটিত কর্মসমূহ বিদ্যমান। যেখানেই ঈশ্বরের অভিব্যক্তিসমূহের প্রকাশ ঘটে, সেখানেই ঈশ্বর আবির্ভূত হন, আর যেখানেই ঈশ্বর আবির্ভূত হন, সেখানেই সত্য, পথ, এবং জীবনের অস্তিত্ব বিদ্যমান হয়(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিশিষ্ট ১: ঈশ্বরের আবির্ভাব এক নতুন যুগের সূচনা করেছে)

এটা শুনে কেউ কেউ হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারে: “তাহলে আমরা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর খুঁজে পেতে কোথায় যাবো?” মথি ২৫:৬-এ প্রভু যীশু বলেছেন, “মাঝরাতে সাড়া পড়ে গেল, ‘দেখো, বর এসেছে, তাকে বরণ করতে এগিয়ে যাও’।” যেহেতু প্রভু তাঁর উচ্চারণ এবং বক্তৃতা দিয়ে তাঁর মেষদের ডাকেন, তাই অবশ্যই এমন কিছু মানুষ থাকবে, যারা প্রথমে প্রভুর কণ্ঠস্বর শুনবে এবং পবিত্র মেষশাবকের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, এবং তারপর সর্বত্র ডেকে জানাবে, “বর আসছে”, যা প্রভুর প্রত্যাবর্তনের সংবাদ এবং প্রভুর দ্বিতীয় আগমনের কথা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই করা হয়, যাতে সকলে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শোনার সুযোগ পায়। তাই বলা যায় যে আমরা পবিত্র-মেষশাবকের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারি কিনা তা নির্ভর করে আমাদের হৃদয়ে তাঁকে খোঁজার আকাঙ্ক্ষা আছে কিনা এবং আমরা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর চিনতে পারবো কিনা, তার উপর। ঠিক যেমন প্রভু যীশু যখন প্রথম আবির্ভূত হন এবং কাজ শুরু করেন, তখন পিতর, মরিয়ম এবং অন্যান্যরা প্রভু যীশুকে তাঁর কাজ এবং বক্তৃতা থেকে মশীহ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলো, এবং তারা তাঁকে অনুসরণ করেছিলো আর তাঁর সুসমাচারের সাক্ষ্য দিতে শুরু করেছিলো। যারা প্রভু যীশুর কাজ ও কথা শোনে এবং ঈশ্বরের কণ্ঠস্বরকে চিনতে পারে তারা হলো জ্ঞানী সাধ্বী, আবার প্রভু যীশুর কথার কর্তৃত্ব ও শক্তি শোনার পরেও কিছু যাজক, লেখক এবং ফরীশী সত্যকে ভালবাসে না, অনুসন্ধান করে না। পরিবর্তে, তারা একগুঁয়েভাবে তাদের ধারণা এবং কল্পনাকে মেনে চলে, এই ভেবে যে “যাকে মশীহ বলে ডাকা হয় না তিনি ঈশ্বর নন” এবং তারা মশীহ-এর আবির্ভাবের জন্য অপেক্ষা করে। এমনকি তারা প্রভু যীশুর কাজেরও নিন্দা ও অশ্রদ্ধা করেছে এবং শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের পরিত্রাণ লাভের সুযোগ হারিয়েছে। এমন ইহুদি বিশ্বাসীরাও আছে যারা ফরীশীদের অনুসরণ করেছিল এবং প্রভু যীশুর কাজে ও কথায় ঈশ্বরের কণ্ঠ উপলব্ধি করেনি, যারা যাজক, লেখক এবং ফরীশীদের কথায় অন্ধবিশ্বাস করেছিল এবং প্রভুর পরিত্রাণ প্রত্যাখ্যান করেছিল। এই ধরনের লোকেরা প্রভুর দ্বারা পরিত্যক্ত নির্বোধ সাধ্বী হয়েই থেকে যায়। কিছু লোক জিজ্ঞাসা করতে পারে: “তাহলে কীভাবে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর আলাদাভাবে বোঝা যাবে?” তবে আসলে এটা কঠিন নয়। ঈশ্বরের উচ্চারণ এবং বক্তৃতা অবশ্যই মানুষের দ্বারা অকথনীয়। এটিকে বিশেষভাবে কর্তৃত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী হতে হবে। এটি এমন হবে যা স্বর্গরাজ্যের রহস্য উন্মোচন করতে এবং মানুষের দুর্নীতি প্রকাশ করতে সক্ষম, এবং এতে ঈশ্বরের দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে জারি করা প্রশাসনিক আদেশ, অনুজ্ঞা, মানবজাতির প্রতি ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। এই সমস্ত শব্দ সত্য এবং সেগুলি মানুষের জীবন হয়ে উঠতে পারে। হৃদয় এবং আত্মাসমন্বিত যে কেউ ঈশ্বরের বাক্য শুনলে তা অনুভব করবে, এবং তার হৃদয়ে নিশ্চিত হবে যে স্রষ্টা কথা বলছেন এবং আমাদের, অর্থাৎ মানুষের কাছে তাঁর ধ্বনি জারি করছেন। ঈশ্বরের মেষগণ ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনতে পায়। যদি আমরা নিশ্চিত হই যে এই শব্দগুলি ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর, তবে সেগুলি আমাদের ধারণার সাথে যত কম সামঞ্জস্যপূর্ণই হোক না কেন, আমাদের সেগুলিকে গ্রহণ করা এবং মেনে চলা উচিত। শুধুমাত্র এই ভাবেই আমরা প্রভুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে পারি।

আজ পৃথিবীতে শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জাই সাক্ষ্য দেয় যে প্রভু-সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অবতার—ইতিমধ্যেই প্রত্যাবর্তন করেছেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ বাক্য প্রকাশ করেছেন, এবং এই বাক্যগুলি সমস্ত দেশ এবং জীবনের নানা স্তরে থাকা মানুষের পরিদর্শনের জন্য ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়েছে। একে একে, প্রতিটি জাতির মধ্যে সত্যের আকাঙ্ক্ষাকারী অনেক মানুষ, ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শোনার এবং প্রভুকে স্বাগত জানানোর আশায় আসে। বাইবেলে যেমন বলা হয়েছে, “দেখো, বর এসেছে, তাকে বরণ করতে এগিয়ে যাও।” আমরা যদি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা প্রকাশিত আরও বাক্য পড়ি, সেগুলি ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর কিনা তা বোঝার জন্য ভালোভাবে শুনি, তাহলে আমরা প্রভু ফিরে এসেছেন কিনা নির্ধারণ করতে সক্ষম হবো। যেমন প্রভু যীশু যোহন ১০:২৭-এ বলেছেন: “আমার নিজের মেষপাল আমার ডাক শোনে, তাদের আমি চিনি এবং তারা আমাকে অনুসরণ করে।” আমি বিশ্বাস করি যে যতক্ষণ আমাদের মধ্যে বিনীত অনুসন্ধানের হৃদয় থাকে, আমরা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর চিনতে পারি এবং প্রভুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে পারি।

সম্পাদকের নোট: এই প্রবন্ধ পড়ার মাধ্যমে, আমরা এখন প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তন সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণীগুলি যে পূর্ণ হয়েছে, তা উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনকে কীভাবে স্বাগত জানাতে হবে তাও বুঝতে পেরেছি। তাহলে তুমি কি জানতে চাও প্রভু যীশু আমাদের কাছে প্রত্যাবর্তনের সময় কীভাবে আবির্ভূত হবেন? আমরা ঈশ্বরের এই বাক্য-“পরিত্রাতা ইতিমধ্যেই একটি ‘সাদা মেঘে’ চড়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন” সুপারিশ করি, যাতে আমরা সত্যের এই দিকটির খোঁজ এবং অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে পারি। আপনার যদি এই প্রবন্ধ সম্পর্কে অতিরিক্ত কোনো জ্ঞান, প্রদীপ্তি বা অসুবিধা থাকে, তবে অনুগ্রহ করে একটি মন্তব্য করুন, অথবা মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমাদের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করুন।

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

প্রভুর অনুমোদন পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করার ৩টি নীতি

রচয়িতা ঝ্যাং লিয়াং খ্রিষ্টান হিসাবে, প্রার্থনা হ’ল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ এবং ঈশ্বরের নিকটবর্তী হওয়ার সবচেয়ে সরাসরি...

দৈনিক অধ্যয়ন: ঈশ্বরের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সহায়ক 4টি উপায়

লিখেছেন চীনের জিয়াওমো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঈশ্বরের ঘনিষ্ঠতা লাভের দ্বারা, ঈশ্বরের সাথে প্রকৃত ভাব বিনিময় দ্বারাই কেবল ঈশ্বরের সাথে একটি...

নোহের দিনগুলি আবির্ভূত হয়েছে: এটি কিসের পূর্বলক্ষণ?

আমরা যখন নোহের সময়ের মানবজাতির কথা বলি, সকলেই জানে যে, খুন, অগ্নিসংযোগ, ডাকাতি ও চুরি এবং উশৃঙ্খলতা তখনকার মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য হয়ে...

অন্তিম সময়ের প্রতীক: 2022 সালে দেখা দেবে ফ্লাওয়ার ব্লাড মুন চন্দ্রগ্রহণ

সম্পাদকের নোট: সাম্প্রতিক কয়েক বছরে “রক্তাভ চাঁদ” এর মত মহাজাগতিক ঘটনা বারংবার দেখা গেছে। অতিমারী, ভূমিকম্প এবং দুর্ভিক্ষের মত বিভিন্ন...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন