আমি এইসব অধ্যয়ন করব না

18-02-2023

আমি খ্রীষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। মা-বাবা দুজনেই কৃষক। আমাদের পরিবার সবজি আর ধান চাষ করে জীবিকা অর্জন করে। স্কুলে সবসময় ভালই রেজাল্ট করতাম, তাই মা-বাবা আমার পড়াশোনাকে খুবই সমর্থন করত আর ভবিষ্যতে আমার ভালো কিছু করার দিকে তাকিয়ে থাকত। তারা আশা করেছিল আমি একটা ভাল চাকরি পেয়ে আমার পরিবারের হতদরিদ্র জীবনযাপন পরিবর্তন করব। সেই সময়, যেহেতু আমরা গরিব ছিলাম, তাই আমাকে স্কুলে পড়ানোর জন্য মা-বাবা প্রায়ই টাকা ধার করত, আমার দাদুও নিজের জীবনযাত্রার খরচ থেকে আমার জন্য অর্থ বাঁচাত, আর বোন আমার টিউশনের টাকা জোগাড়ের জন্য পার্ট-টাইম কাজ করত। আমার পুরো পরিবার দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে আমার উপর ভরসা রেখেছিল। মা-বাবাকে প্রতিদিন মাঠে পরিশ্রম করতে দেখতাম, আর ভাবতাম যে এইভাবে বেঁচে থাকা খুব কঠিন, তাই আমি মন দিয়ে পড়াশোনা করে বাকিদের থেকে নিজেকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিলাম, যাতে আমার পরিবার আর এত দরিদ্র না থাকে। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে লাগলাম, আর প্রায়ই পড়াশোনা করতে গিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকতাম। পরে আমার ইচ্ছা পূরণ হল আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। তারপর, আমার একটা নতুন উচ্চাকাঙ্ক্ষা হল, ভাবলাম প্রফেসর হতে পারলে ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে।

স্নাতক হওয়ার পরে পিএইচডি করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কাজ করতে লাগলাম। সেই সময়, আমার মা-বাবা প্রায়ই আমাকে ফোন করত, আর মনে করিয়ে দিত, “ঈশ্বরের কাছে আরও বেশি প্রার্থনা করবে আর নিজের পড়াশোনায় মন দেবে।” আমার বাবাও আমাকে জিজ্ঞাসা করত, “তোমার ক্যাম্পাসে কোনো গির্জা আছে? গির্জায় অবশ্যই যাবে।” কিন্তু আমি শুধু বাড়িতে বাইবেল পড়তে আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে চাইতাম, কারণ আমি আমার প্রায় পুরো সময় জুড়েই বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতাম, তাই আর সমাবেশে যাওয়ার সময় পেতাম না। গবেষণা করতে গিয়ে এমন অনেক শিক্ষাগত বিতর্কসভা হত, যখন অন্যরা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তা আর সার্বভৌমত্বের বিষয়ে বিতর্ক করত, তখন বৈজ্ঞানিক গবেষক হিসেবে, আমি সব সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করে সবকিছুর ব্যাখ্যা করতাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই, আমার মন ঈশ্বরের থেকে আরও দূরে সরে গেল, প্রার্থনা করা আর বাইবেল পড়াও কমিয়ে দিলাম, প্রায়শই ভিতর থেকে ক্লান্ত আর অন্তঃসারশূন্য বোধ করতাম। যদিও আমি মাঝে মাঝে শনি-রবিবারে আরাম করতে সহকর্মীদের সাথে সৈকত, রিসর্ট বা পার্কে যেতাম, আর আশা করতাম যে এভাবে কাজের চাপ হালকা করতে পারব, কিন্তু এসবের পরেও অন্তঃসারশূন্য বোধ করতাম, মনে কোনো সত্যিকারের শান্তি আর আনন্দ ছিল না। ২০২০ সালের নববর্ষে, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে সংকল্প করলাম যে তাঁর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হব। ঈশ্বরকে বললাম তিনি যেন আমাকে পথ দেখান আর আমার জীবন বদলে দেন, কারণ এভাবে অন্তঃসারশূন্য হয়ে থাকাটা সত্যিই ক্লান্তিকর ছিল।

কয়েকদিন পর, ফেসবুকে এক ভগিনীর সাথে আলাপ হল; সে আমাকে একটা অনলাইন সমাবেশে আমন্ত্রণ জানাল। সেই সময়, সে এমন কিছু বলল যা সত্যিই আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। সে বলল যে ঈশ্বরের বাণী পড়া আর ঈশ্বরের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি তার সাথে একমত হলাম। আমি খ্রীষ্টান ছিলাম, কিন্তু আমার সারাটা সময় বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কাটাতাম, কখনই ঈশ্বরের উপাসনা করতে কোনো সমাবেশে যাইনি আর খুব কমই প্রার্থনা করতাম বা বাইবেল পড়তাম। বুঝতে পেরেছিলাম যে ঈশ্বরের সাথে আমার স্বাভাবিক সম্পর্ক নেই, তবে আমি ঈশ্বরের আরো কাছে আসতে চেয়েছিলাম, তাই খুশি মনে অনলাইন সমাবেশে যোগ দিতে রাজি হলাম। ঈশ্বরের বাণী পড়ে, সেইসঙ্গে আমার ভ্রাতা আর ভগিনীদের আলাপচারিতা শুনে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে অন্তিম সময়ে ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হিসেবে তাঁর বাণী প্রকাশ করেছেন, তিনি আমাদের জন্য প্রাচীন মন্ত্রের পুঁথি খুলে দিয়েছেন, আর ঈশ্বর এই সময় মানুষের বিচার করতে আর তাকে পরিশুদ্ধ করতে ফিরে এসেছেন যাতে মানবজাতিকে পাপ থেকে পুরোপুরি বাঁচানো যায়। বেশ কিছু সমাবেশের পর, আমি নিশ্চিত ছিলাম যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই ফিরে আসা প্রভু যীশু। সেই সময় আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম আর অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের কাজকে সানন্দে গ্রহণ করেছিলাম। প্রায় দুই মাস পর, আমি গির্জায় একটা কাজ শুরু করলাম। যত বেশি ঈশ্বরের বাণী পড়তে লাগলাম, ধীরে ধীরে ততই বেশি করে সত্য বুঝতে পারলাম।

একদিন, আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাণীর একটা অনুচ্ছেদ পড়লাম যেটা এখনও আমার ভাল করে মনে আছে। ঈশ্বরের বাণীর এই অনুচ্ছেদ আমার হৃদয় নাড়িয়ে দিয়েছিল। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “জ্ঞান কি এমন কিছু যাকে সকলেই ইতিবাচক বলে মনে করে? অন্ততপক্ষে, মানুষ মনে করে যে ‘জ্ঞান’ শব্দের নিহিত অর্থ নেতিবাচক নয়, বরং ইতিবাচক। তাহলে এখানে আমরা কেন উল্লেখ করছি যে শয়তান মানুষকে ভ্রষ্ট করতে জ্ঞানের ব্যবহার করে? বিবর্তনবা কি জ্ঞানের একটি দিক নয়? নিউটনের বৈজ্ঞানিক সূত্রগুলি কি জ্ঞানের অংশ নয়? পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টানও তো জ্ঞানেরই একটা অংশ, তাই না? (হ্যাঁ।) তাহলে শয়তানের মানবজাতিকে ভ্রষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা জিনিসগুলির মধ্যে জ্ঞানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? এ বিষয়ে তোমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী? জ্ঞানের মধ্যে কি লেশমাত্র সত্যতাও আছে? (না।) তাহলে জ্ঞানের সারসত্য কী? মানুষ যাকিছু জ্ঞান আহরণ করে তা কিসের ভিত্তিতে অর্জিত হয়? তা কি বিবর্তনবাদের উপর ভিত্তি করে? বিশদ অনুসন্ধান ও সারসঙ্কলনের মাধ্যমে মানুষ যে জ্ঞান অর্জন করেছে তা কি নাস্তিকতার উপর প্রতিষ্ঠিত নয়? এই সকল জ্ঞানের কোনটির কি ঈশ্বরের সাথে কোনো সংযোগ আছে? এটি কি ঈশ্বরের উপাসনার সাথে যুক্ত? এটি কি সত্যের সাথে যুক্ত? (না।) তাহলে মানুষকে ভ্রষ্ট করতে শয়তান কীভাবে জ্ঞানের ব্যবহার করে? আমি একটু আগেই বলেছি যে এই জ্ঞানের কোনটিই ঈশ্বরের উপাসনার সাথে বা সত্যের সাথে যুক্ত নয়। কিছু কিছু মানুষ এই বিষয়ে এরকমভাবে: ‘সত্যের সাথে জ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নাও থাকতে পারে, কিন্তু তবুও, এটি মানুষকে ভ্রষ্ট করে না।’ এ বিষয়ে তোমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী? জ্ঞানের মাধ্যমে তোমাকে কি এই শেখানো হয়েছিল যে একজন ব্যক্তির সুখ তার নিজের দুই হাতে গড়ে নিতে হবে? জ্ঞান কি তোমাকে শিখিয়েছে যে মানুষের ভাগ্য তার নিজের আয়ত্তাধীন? (হ্যাঁ।) এ কী ধরনের কথা? (এ হল শয়তানসুলভ কথা।) একেবারে ঠিক! এ হল শয়তানোচিত কথা! আলোচ্য বিষয় হিসাবে জ্ঞান একটি জটিল প্রসঙ্গ। সহজভাবে বলা যায় যে জ্ঞানের ক্ষেত্রটি নিছক জ্ঞান ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি প্রজ্ঞার এমন একটি ক্ষেত্র যা ঈশ্বরের উপাসনা না করার এবং ঈশ্বর যে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন তা উপলব্ধি না করার ভিত্তিতে শেখা হয়। মানুষ যখন এই ধরনের জ্ঞান অধ্যয়ন করে, তখন তারা দেখতে পায় না যে সমস্ত কিছুর উপর ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব রয়েছে; তারা ঈশ্বরকে সব কিছুর ভারপ্রাপ্ত হিসাবে বা সব কিছু পরিচালনা করতে দেখে না। বরং, তারা অবিরাম কেবল জ্ঞানের সেই ক্ষেত্রটির গবেষণা এবং অন্বেষণ করে চলে এবং জ্ঞানের উপর ভিত্তি করেই উত্তর সন্ধান করে। কিন্তু, এটা কি সত্য নয় যে মানুষ যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস না করে এবং তার বদলে শুধুমাত্র গবেষণা নিরত থাকে, তবে তারা কখনই প্রকৃত উত্তর খুঁজে পাবে না? জ্ঞান তোমাকে শুধুমাত্র একটি জীবিকা, চাকুরি, উপার্জন দিতে পারে যাতে তুমি ক্ষুধার্ত না থাকো; কিন্তু এটি তোমাকে কখনই ঈশ্বরের উপাসনা করাবে না এবং তোমাকে কখনও মন্দ থেকে দূরে রাখবে না। মানুষ যত বেশি জ্ঞান অধ্যয়ন করবে, তত বেশি তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে, ঈশ্বরকে তাদের অধ্যয়নের বিষয় করে তুলতে, ঈশ্বরকে প্রলুব্ধ করতে এবং ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করতে চাইবে(বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর ৫)। ঈশ্বরের বাণী যেন আমার হৃদয় বিদ্ধ করেছিল। সব সময়, আমি ভাবতাম যে খ্রীষ্টান পরিবারে আমি জন্ম নিয়েছি। ছোটবেলা থেকেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করতাম, যদিও আমি বিজ্ঞান নিয়ে অধ্যয়ন আর বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতাম, তবে শুধু একটা ভাল চাকরি পেতেই আমার গবেষণাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম, যাতে নিজের জীবন বদলাতে পারি আর ভবিষ্যতে অন্যের থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারি। কখনও ভাবিনি যে আমি ঈশ্বরকে অস্বীকার করছি বা প্রতিরোধ করছি কিনা। ঈশ্বরের বাণী-প্রকাশের মাধ্যমে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার চিন্তাভাবনা ভুল ছিল। বিজ্ঞান আর জ্ঞান সত্য নয়, ইতিবাচকও নয়। নাস্তিকতা, বস্তুবাদ আর বিবর্তনের মত তত্ত্ব, এই সমস্ত জিনিস যা ঈশ্বরকে অস্বীকার করে তার উৎপত্তি শয়তানের থেকে। শয়তান বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহার করে মানুষকে ভ্রষ্ট করে, তাদের মনকে ঈশ্বরের থেকে দূরে সরিয়ে দেয় আর তাদেরকে দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করায়। আমি প্রতিদিন এই বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অধ্যয়ন করতাম, কিন্তু সেটা আমাকে শুধু বিপথেই নিয়ে যেত, ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে, তা থেকে কখনই সত্য লাভ করতে পারতাম না। যখন আমার গবেষণা করেছিলাম, তখন আমার চিন্তাভাবনা পুরোপুরি নাস্তিক হয়ে গিয়েছিল আর নানা রকম তত্ত্ব মনে হত, নিউটনের সূত্র, মাধ্যাকর্ষণ, এইসব বিষয়। কীভাবে বোঝাই বলুন তো? এইসব তত্ত্বই আমার মন বিষিয়ে দিয়েছিল। প্রতিদিন, আমি এইসব নিয়ম আর সূত্র ব্যবহার করে মহাবিশ্বে কী ঘটছে সেসব গণনা আর অধ্যয়ন করতাম। যত বেশি অধ্যয়ন করতাম, ততই মনে হত যে সবকিছু বৈজ্ঞানিক নীতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। নিজের অজান্তেই আমি ঈশ্বরের সৃষ্টি আর সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করতে লাগলাম, আমার মন ঈশ্বরের থেকে আরো দূরে যেতে লাগল। আমি এভাবে অধ্যয়ন করতে থাকলে, এইসব তত্ত্বগুলো আমাকে ক্ষয় করতেই থাকত, আর সবসময় শয়তানের বশবর্তী হয়ে ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করে যেতাম। যখন আমি বুঝলাম বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আমাকে বিষিয়ে তুলছে, তখন আমার মনে হল যে আমার বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছেড়ে দেওয়া উচিত, কিন্তু তা করলে আমার ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। মনের মধ্যে একটা যুদ্ধ চলছিল, আমার গবেষণা চালিয়ে যাওয়া উচিত নাকি ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করা উচিত। ভাবছিলাম আমার দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে কতটা ব্যস্ত ছিলাম। মর্যাদা আর ভাল ভবিষ্যতের সন্ধানে অনেক সময় দিয়েছি, অনেক শক্তিখরচ করেছি, কিন্তু কখনও সত্যিকারের সুখ পাইনি। তার পরিবর্তে অন্তঃসারশূন্যতা আর যন্ত্রণা বোধ করতাম। এই জীবন তো আমি চাইনি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ গ্রহণ করার পর থেকে, আমি ঈশ্বরের বাণী পড়তাম, তাঁর সৃষ্ট সত্তা হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করতাম, আর তখন জীবন আগের থেকে অনেক আলাদা ছিল। আমি যত বেশি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাণীগুলো পড়ি, ততই আমি আধ্যাত্মিক মুক্তি অনুভব করি। ঈশ্বরের সাথে আমার সম্পর্কও আরও নিবিড় হতে থাকে, আর আমি আরও শান্তি, আরো নিরাপদ বোধ করতাম, যেমনটা আমি আগে কখনও অনুভব করিনি। ঈশ্বরের বাণী পাঠ করে, আমি এও বুঝতে পারলাম যে শয়তানই আমাকে এত গভীরভাবে ভ্রষ্ট করেছে, একইসাথে শিখলাম যে সত্য আর জীবনের সাধনাই সবচেয়ে অর্থবহুল। এ বিষয়ে চিন্তা করার পর, আমি মনস্থির করলাম সত্যকে অনুসরণ করবো আর কর্তব্য পালনে বেশি সময় দেব।

এরপর, আমি আমার মা-বাবা আর ভাইবোনদের কাছে সুসমাচার প্রচার করলাম। তাদেরকে বললাম যে প্রভু যীশু অন্তিম সময়ে বিচারের কাজ করতে ফিরে এসেছেন, আর সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমাদের পরিশুদ্ধ করতে আর পাপের বাঁধন থেকে আমাদের রক্ষা করতে অনেক সত্য প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও মা-বাবাকে বললাম, “আমি ঈশ্বরের নতুন কাজ গ্রহণ করেছি, ঈশ্বরের অনেক কথাই বুঝতে পেরেছি, পরিশুদ্ধ হওয়ার আর পরিত্রাণের পথ খুঁজে পেয়েছি, কিন্তু এখনও অনেক বিশ্বাসী আছে যারা প্রভুর ফিরে আসার সুসংবাদ জানে না। আমি তাদের কাছে এই সুসমাচার প্রচার করতে চাই।” বললাম যে আমার দাদু প্রভু যীশুর সুসমাচার প্রচার করতে বিভিন্ন গ্রামে যেত, তাই আমি তার উদাহরণ অনুসরণ করে আরও বেশি লোকের কাছে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরও সময় আর শক্তি দিতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমার মা-বাবা নিশ্চয়ই আমাকে সমর্থন করবে, কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম যে আমার মা কাঁদতে শুরু করল। মায়ের কান্না দেখে আমারও মন খারাপ হয়ে গেল। মা-বাবা আমাকে স্কুলে পাঠানোর জন্য কতই না খরচ করেছে সেটা ভেবে কষ্ট পাচ্ছিলাম। তাদের আশা ছিল যে আমি একটা ভাল চাকরি পাব, ভবিষ্যতে তাদের আর আমার পরিবারের যত্ন নেব। আমার সমস্ত সময় সুসমাচার প্রচার করে কাটালে, মা-বাবা আমার জন্য যত খরচ করেছে সব বৃথা হয়ে যাবে, তাই তারা নিশ্চয়ই খুব কষ্ট পেয়েছিল। এটা বুঝতে পেরে আমিও কাঁদতে লাগলাম। মা-বাবাকে দুঃখ দিতে চাইনি, শুধু আমার কর্তব্য পালন করতে আর সুসমাচার প্রচার করতে চেয়েছিলাম। তাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম যাতে তিনি আমাকে আমার বিশ্বাসে অবিচল থাকার শক্তি দেন। সেই মুহূর্তে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাণীর একটা অনুচ্ছেদের কথা আমার মনে পড়ল, “ঈশ্বর এই জগত সৃষ্টি করেছেন, সেখানে এনেছেন মানুষ নামক এক জীব, যাদের মধ্যে তিনি প্রাণ সঞ্চার করেছেন। তারপর, মানুষ পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজন লাভ করল, যার ফলে সে আর একা রইল না। যখন থেকে মানুষ এই বস্তুজগতের দিকে চোখ মেলেছে, তার নিয়তি ছিল ঈশ্বরের আদেশের অধীনে অস্তিত্ব বজায় রাখা। ঈশ্বর প্রত্যেক জীবিত সত্তার মধ্যে যে প্রাণ সঞ্চার করেন সেটা তাদের ছোট থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত সহযোগিতা করে। এই প্রক্রিয়ায়, কেউ বুঝতে পারেনা যে মানুষ ঈশ্বরের পরিচর্যায় বেড়ে উঠছে; বরং তারা বিশ্বাস করে যে তারা পিতামাতার পরিচর্যাতেই বড় হচ্ছে, আর তাদের বড় হওয়াটা তাদের বেঁচে থাকার সহজাত প্রবৃত্তির কারণে সম্ভব হচ্ছে। এর কারণ হল, মানুষ জানে না যে কার আশীর্বাদে সে জীবন পেয়েছে, তার প্রাণ কোথা থেকে এসেছে, আর এটাতো সে আরোই কম বোঝে যে কীভাবে জীবনের প্রবৃত্তি বিভিন্ন অলৌকিক সৃজন ঘটাতে পারে। সে কেবল এটুকুই জানে যে খাদ্যই তার জীবনধারণের ভিত্তি, তার অস্তিত্বের উৎস তার অধ্যবসায়, আর তার মনে যে সমস্ত বিশ্বাস সঞ্চিত আছে সেই পুঁজির উপরেই তার বেঁচে থাকা নির্ভরশীল। ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও সংস্থানের বিষয়ে মানুষ চূড়ান্তভাবে অচেতন, এবং এভাবেই ঈশ্বর আশীর্বাদস্বরূপ তাকে যে জীবন দিয়েছেন, সেটাকে সে নষ্ট করে ফেলছে…। এই যে মানবজাতিকে ঈশ্বর দিবারাত্র পরিচর্যা করে চলেছেন তার একজন সদস্যও নিজের অন্তর থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা করে না। ঈশ্বর নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কেবল মানুষের জন্য কাজই করে চলেন; তাদের থেকে তাঁর কোনো রকমের প্রত্যাশা নেই। তিনি এটা এই আশায় করেন যে, একদিন মানুষ নিজের ঘুমের ঘোর থেকে জেগে উঠবে আর হঠাৎই অনুভব করবে জীবনের মূল্য ও তার অর্থ, ঈশ্বর তাকে যা কিছু দিয়েছেন তার জন্য তাঁকে কী মূল্য দিতে হয়েছে, আর এটাও বুঝতে পারবে যে ঈশ্বর কী ব্যাকুল আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কখন মানুষ তাঁর দিকে মনোযোগ দেওয়া শুরু করবে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বর হলেন মানুষের জীবনের উৎস)। ঈশ্বরের বাণী আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে, ঈশ্বর আমাকে আমার জীবন দিয়েছেন, আর আমার মা-বাবা, আমি যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি সবার প্রতিই ঈশ্বর কৃপাদৃষ্টি রেখেছেন। আমার মা-বাবা যে আমার জন্য এত কিছু করেছে তাও ঈশ্বরেরই ব্যবস্থা ছিল। আগে সবসময় ভাবতাম যে আমার মা-বাবা আমার জন্য এসব করেছে, বিশ্বাস করতাম যে মা-বাবার ইচ্ছা আর নিজের আদর্শকে পূর্ণ করার জন্যই বাঁচতে হবে, মর্যাদা আর পদমর্যাদা অর্জনের জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে। কিন্তু ঈশ্বরের বাণী পড়ে বুঝলাম যে আমার মা-বাবা আমার জীবন পরিচালনা করছিল না। কোন সময়ে আমি কী করেছি বা আমার জীবনে কোন ভূমিকা পালন করেছি—এসবই ঈশ্বরের ব্যবস্থাপনা ছিল। আমি জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য বদলাতে চেয়েছিলাম, যাতে আমার পরিবার সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারে। সেই সময়, আমি ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তা আর সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে জানতাম না। তবে এখন আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ গ্রহণ করেছি, আর ঈশ্বরের বাণী পড়ে বুঝতে পেরেছি যে মানুষের ভাগ্য ঈশ্বর-নির্ধারিত। ভবিষ্যতে আমার মা-বাবা আর পরিবারের জীবন কেমন হত আর তাদের ভাগ্য ভাল হত কিনা তাও ঈশ্বরের হাতেই ছিল, এসব ঈশ্বরেরই ব্যবস্থা ছিল, আর আমি তো তা বদলাতে পারতাম না। মানুষের ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব মেনে নিয়ে তাঁর সমন্বয়সাধন আর ব্যবস্থা মেনে চলা উচিত। এই কথা বোঝার পর, মা-বাবাকে আমার জন্য কাঁদতে দেখেও অনেকটা শান্ত ছিলাম। সেইসঙ্গে এও বুঝতে পারলাম যে ঈশ্বরের সামনে দাঁড়ানো, সৃষ্ট সত্তা হিসাবে নিজের কর্তব্য পালন করা, সুসমাচার প্রচার করা আর ঈশ্বরের কাছে সাক্ষ্য দেওয়া, এসব করাই জীবনে সবচেয়ে অর্থবহুল আর মূল্যবান। মা-বাবা আমাকে এখনই ঠিকমত না বুঝলেও এত সহজে আমার কর্তব্য ছাড়তাম না। যাই হোক না কেন, আমি সব কিছু ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিয়ে, ঈশ্বরের উপর ভরসা করে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।

তাই আমি মনস্থির করলাম যে ঈশ্বরকে অনুসরণ করব, আন্তরিকভাবে আমার কর্তব্য পালন করব আর আমার অধ্যয়ন ছেড়ে দেব। প্রথমে নিজের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমার শিক্ষককে মেসেজ পাঠালাম। শিক্ষক খুব অবাক হয়ে আমায় জিজ্ঞাসা করল, “এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছ কেন? টাকার সমস্যা?” সে আমাকে এও বলল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ফান্ডিং প্রোগ্রাম আছে, সেটা খুব বিরল সুযোগ, আর সে এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করতে চায়। সে আরও বলল যে তিনি আমার সাথে দেখা করে কথা বলতে চান, কিন্তু আমি মনস্থির করে ফেলেছিলাম, তাই আমি তার সাথে দেখা করতে যাইনি, তাকে আর ফোনও করিনি। শিক্ষক আমাকে আরেকটা চিঠি পাঠাল। আমার সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাইল। শিক্ষকের চিঠির দিকে তাকিয়ে ইতস্তত করলাম, তবে শেষ পর্যন্ত, কোনো উত্তর দিলাম না। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাণীর একটা অনুচ্ছেদের কথা মনে পড়ল, “ঈশ্বর মানুষের মধ্যে যে কাজ করেন, তার প্রতিটি ধাপে, বাহ্যিকভাবে মনে হয় তা হল মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ যেন তা মানুষের ব্যবস্থাপনা এবং মানুষের হস্তক্ষেপেই সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু অন্তরালে, কাজের প্রতিটি ধাপে, এবং যা কিছু ঘটছে সেই প্রতিটি ঘটনাই ঈশ্বরের প্রতি শয়তানের বাজি এবং এ জন্য প্রয়োজন ঈশ্বরের প্রতি নিজ সাক্ষ্যে মানুষের অটল থাকা। উদাহরণ হিসাবে ধরা যায়, ইয়োবের যখন বিচার চলছিলো: নেপথ্যে শয়তান বাজি ধরেছিলো ঈশ্বরের সঙ্গে এবং ইয়োবের যে পরিণতি তা হয়েছিলো মানুষের কাজে এবং হস্তক্ষেপে। ঈশ্বর তোমাদের ভিতরে যে কাজ করেন তার নেপথ্যের প্রতিটি ধাপেই চলে শয়তানের সঙ্গে ঈশ্বরের লড়াই—সব কিছুর অন্তরালেই চলে এই যুদ্ধ। … আধ্যাত্মিক জগতে যখন শয়তান এবং ঈশ্বরের দ্বন্দ্ব চলে, তখন কী ভাবে তুমি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করবে এবং তাঁর প্রতি সাক্ষ্যে অবিচল থাকবে? তোমার জানা উচিত, যা কিছুই ঘটে তার প্রতিটিই এক মহান বিচার এবং প্রতিটি সময়েই ঈশ্বরের প্রয়োজন তোমার সাক্ষ্যের(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরকে ভালোবাসাই প্রকৃত ঈশ্বর-বিশ্বাস)। ঈশ্বরের বাণী পড়ে বুঝতে পারলাম যে এগুলো শয়তানের প্রলোভন ছিল। যখন আমি ঈশ্বরকে অনুসরণ করার আর আমার কর্তব্য পালন করার সিদ্ধান্ত নিলাম, শয়তান জানত যে আমার তখনও টাকা, প্রতিপত্তি আর সৌভাগ্যের পিছনে ছোটার ইচ্ছা ছিল, তাই সে আমার সাথে ছলনা করতে আর যাতে আমার কর্তব্য ছেড়ে দিই সেই চেষ্টা করতে এসব করেছিল। আমি ঈশ্বরের নাম অস্বীকার করার জন্য ইয়োবের স্ত্রীর প্রলোভনের কথা ভাবছিলাম। বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছিল লোকেরা ইয়োবের সাথে কথা বলছে, কিন্তু এর পিছনে আসলে শয়তান ঈশ্বরের বিরুদ্ধে লড়ছিল। তারপর ভাবলাম বাইরে থেকে মনে হচ্ছে আমার শিক্ষক আমাকে নথিভুক্ত রাখার আর আমাকে একটা প্রকল্প দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু এর পেছনে আসলে শয়তানের কৌশল ছিল। ঈশ্বর আমাকে জীবনের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে চাইছিলেন। শয়তান আমাকে যেমন করে হোক ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে প্রলুব্ধ করছিল, কিন্তু নিজেকে প্রতারিত হতে দিইনি। এই পরিবেশ অনুভব করার জন্য আমাকে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করতেই হত। তাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম, “ঈশ্বর! অনুগ্রহ করে আমাকে বিশ্বাস দান করুন আর আমার ভুল আকাঙ্ক্ষা দূর করুন। এই সংকটের সময়ে, আপনাকে নিজের মনের কথা বলতে চাই।” এভাবে প্রার্থনা করার পর মনে মনে খুব সুরক্ষিত বোধ করলাম। দুই দিন পর, আমি শিক্ষককে মেসেজ করলাম যে এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, আর আমি আমার গবেষণা চালিয়ে যেতে পারব না। আমি মেসেজ পাঠানোর পর মনে হল যেন একটা বিরাট বোঝা হালকা হল, খুব স্বস্তি পেলাম। এরপর আর এসব নিয়ে ভাবিনি। শুধু ভাবতাম কীভাবে আমার ভ্রাতা আর ভগিনীদের সাথে সুসমাচার প্রচার করা যায় আর কীভাবে আমার কর্তব্য ভাল করে পালন করা যায়।

কয়েক মাস পর মা-বাবাকে বললাম যে আমার অধ্যয়ন আর চালাব না, আর ঈশ্বরের কাজ শেষ হতে চলেছে, তাই আমাকে তাড়াতাড়ি করতে হবে, সুসমাচার ছড়াতে হবে, যাতে আরও বেশি লোক ঈশ্বরের পরিত্রাণ গ্রহণ করতে পারে। তারা বুঝল না, কিন্তু যখন তারা দেখল যে আমি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখা আর আমার কর্তব্য পালন করার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছি, তখন আর তেমন কিছু বলেনি। আমার কর্তব্য পালনের পথে, ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম যে আমাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে, আমরা আরও বেশি করে সত্য অর্জন করতে পারি, আর সত্যই জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। এই কথা বোঝার পর, নিজের কর্তব্য পালন করতে আরও বেশি ইচ্ছুক হলাম, আমার পরিবার আর ভবিষ্যত নিয়ে আমার উদ্বেগ ধীরে ধীরে আরো কমছিল, আর আমি ঈশ্বরের হাতে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে ঈশ্বরের হাতেই পরিকল্পনা আর পরিচালনার ভার সঁপে দিলাম। এখন শুধু ভাবি কীভাবে অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের সুসমাচার আরও বেশি লোকের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, যাতে যারা শয়তানের বশে আছে, যারা শয়তানের কারসাজিতে বোকা বনছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তারা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনে, ঈশ্বরের কাছে ফিরে এসে অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের পরিত্রাণ লাভ করতে পারে।

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

দায়িত্ববোধই হল ভালোভাবে সুসমাচার প্রচারের চাবিকাঠি

আমি নিজের দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে নিতাম না এবং খুবই অবহেলা করতাম। প্রায়ই আলস্যের সঙ্গে কাজ করতাম। সম্ভাব্য সুসমাচার প্রাপকদের ধর্মোপদেশ...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন