ঈশ্বরের অবতারকে তাঁর অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ সম্পাদন করতে হবে কেন?

25-07-2023

আমরা ইতিমধ্যেই কয়েকবার অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচারের কাজ নিয়ে কথা বলেছি। আজ আমরা এই বিষয়টার দিকে দৃষ্টিপাত করতে চাই যে এই বিচারের কাজ কে নির্বাহ করেন। সকল বিশ্বাসীই জানে যে ঈশ্বর অন্তিম সময়ে মানবজাতির মাঝে তাঁর বিচারের কাজ সম্পাদন করবেন, সৃষ্টিকর্তা মানবজাতির মাঝে আবির্ভূত হবেন এবং ব্যক্তিগতভাবে তাঁর উচ্চারণ ব্যক্ত করবেন। তাহলে, ঈশ্বর কীভাবে এই বিচার সম্পাদন করেন? সে কি তাঁর আত্মা যিনি আকাশে আবির্ভূত হয়ে আমাদের সাথে কথা বলবেন? তা সম্ভব নয়। প্রভু যীশু স্বয়ং আমাদের বলেছেন: “পিতা কারও বিচার করেন না, বিচারের ভার সম্পূর্ণরূপে তিনি পুত্রকেই দান করেছেন(যোহন ৫:২২)। “তাঁকে তিনি বিচারকার্য নির্বাহের দায়িত্বও দিয়েছেন, কারণ তিনি মানবপুত্র(যোহন ৫:২৭)। এ থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বিচারের কাজ সম্পাদন হবে “পুত্রে”-র মাধ্যমে। মনুষ্যপুত্রের যেকোনো উল্লেখ থেকেই আমাদের বোঝা উচিত যে তা ঈশ্বরের অবতারকে নির্দেশ করছে, সুতরাং এর অর্থ হল, তিনি অন্তিম সময়ে দেহরূপে আসবেন বিচারের কাজ করতে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! আপনারা কি জানেন অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ ব্যাপারটা ঠিক কী? তা নির্বাহ করার জন্য ঈশ্বর দেহধারণ করবেন কেন? সহজভাবে বললে, তা হল মানবজাতিকে উদ্ধার করার জন্য পরিত্রাতার আগমন। যখন ঈশ্বর দেহধারণ করে পৃথিবীতে আসেন, তা হল পরিত্রাতার অবতরণ। মানবজাতিকে বরাবরের জন্য পাপ থেকে উদ্ধার করার উদ্দেশ্যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিচারের কাজ সম্পাদন করেন। তাঁর বিচারকে স্বীকার করার মাধ্যমে আপনারা পাপ থেকে মুক্ত হতে পারেন, বিশুদ্ধ হয়ে উঠতে পারেন, এবং উদ্ধারলাভ করতে পারেন। তাহলে বিপর্যয়ের মধ্যে আপনারা সুরক্ষিত থাকবেন এবং পরিশেষে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করবেন। সুতরাং, পরিত্রাতার বিচারকার্য স্বীকার করার সাথে একজন মানুষের পরিণাম ও গন্তব্য জড়িত—তাহলে আপনারা কি বলবেন না যে এটা অত্যন্ত জরুরি? অনেক বিশ্বাসী হয়তো প্রশ্ন করতে পারে, তাঁর অন্তিম সময়ের বিচারকার্য করতে ঈশ্বরকে কেন দেহধারণ করতেই হবে? তারা মনে করে, প্রভু যীশু আত্মার আকারে মেঘে চড়ে আসবেন, ঈশ্বর একটা হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের সবাইকে তুলে উপরে নিয়ে যাবেন, সোজা একেবারে রাজ্যে—ব্যাপারটা বেশ সুন্দর হবে না? এরকম চিন্তা শুধু অতিসরলীকরণই নয়, অবাস্তবও বটে। আপনাদের জানা উচিত যে ঈশ্বরের স্বভাব পবিত্র, ধার্মিক। তিনি কি পাপীদের তাঁর রাজ্যে নিয়ে যাবেন? আমরা সবাই বাইবেলের এই স্তবকটার সাথে পরিচিত, “পবিত্রতা ছাড়া কোন মানুষ প্রভুকে দেখতে পাবে না(হিব্রু ১২:১৪)। প্রত্যেকেই পাপপূর্ণ, এবং ক্রমাগত পাপ করেই চলেছে। ঈশ্বর মানুষকে সরাসরি রাজ্যে নিয়ে যাবেন না—তিনি এইভাবে আমাদের উদ্ধার করেন না। ঈশ্বর পাপীদের ঘৃণা করেন, এবং তারা ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করার যোগ্য নয়। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই। তাহলে অন্তিম সময়ে পরিত্রাতা কীভাবে মানুষকে উদ্ধারের জন্য আসবেন? প্রথমে, তিনি আমাদের ভ্রষ্টতা পরিশুদ্ধ করার জন্য তাঁর বিচারকার্য সম্পাদন করবেন, পাপ এবং শয়তানের শক্তির থেকে আমাদের উদ্ধার করবেন, এবং তার পর আমাদের রাজ্যে নিয়ে যাবেন। আপনাদের পাপপূর্ণতার যদি সমাধান না হয়, তাহলে ঈশ্বর আপনাদের বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করবেন না, রাজ্যে নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা। বিপর্যয় ইতিমধ্যেই আরম্ভ হয়ে গেছে, এবং প্রত্যেকেই অনুভব করছে যেন পৃথিবী শেষ হয়ে আসছে, মৃত্যু নিকটবর্তী হচ্ছে। সকলে অপেক্ষা করছে পরিত্রাতা এসে মানবজাতিকে উদ্ধার করবেন বলে, তাই তাঁকে ও তাঁর অন্তিম সময়ের বিচারকে গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! বিশ্বাসীরা উদ্ধারলাভ করবে কি না এবং স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে কি না তার চাবিকাঠি এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে।

কিন্তু প্রথমে এই বিষয়ে আলোচনা করা যাক যে অন্তিম সময়ের বিচারকার্য কী। ধর্মবিশ্বাসী লোকজন অন্তিম সময়ের বিচারকে খুব সহজ কিছু একটা মনে করে, এবং “বিচার”-এর কোনো উল্লেখমাত্রই তারা মনে করে নিশ্চিতভাবেই তা আত্মার আকারে প্রভু যীশু সম্পাদন করবেন, প্রভু যীশু এসে আমাদের সাথে দেখা করবেন আর আমাদের রাজ্যে নিয়ে যাবেন, তারপর অবিশ্বাসীরা দোষী সাব্যস্ত হবে এবং ধ্বংস হবে। বস্তুত, এ এক বিশাল বড় ভ্রান্তি। কোথায় ভুল হচ্ছে তাদের? প্রতিবারেই যখন ঈশ্বর মানবজাতিকে উদ্ধারের কাজ সম্পাদন করতে আসেন, তা আসলে ভীষণ ব্যবহারিক, ভীষণ বাস্তবসম্মত, এতটুকুও অতিপ্রাকৃতিক নয়। তাছাড়াও, প্রভুর আগমনের বিষয়ে বাইবেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণীগুলোই তারা লক্ষ্য করছে না—বিচারের কাজ করার জন্য মনুষ্যপুত্র হিসাবে ঈশ্বরের দেহধারণ বিষয়ক ভবিষ্যদ্বাণীগুলো। প্রভু যীশু খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন: “বিদ্যুতের ঝলক যেমন হঠাৎ পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিক পর্যন্ত সমগ্র আকাশকে আলোকিত করে, ঠিক সেইভাবে মনুষ্যপুত্রের আগমন হবে(মথি ২৪:২৭)। “পিতা কারও বিচার করেন না, বিচারের ভার সম্পূর্ণরূপে তিনি পুত্রকেই দান করেছেন(যোহন ৫:২২)। “যে আমার বাক্য গ্রহণ না করে আমাকে প্রত্যাখ্যান করে, তারও বিচারকারী রয়েছে: শেষের দিনে আমার মুখনিঃসৃত সেই বাণীই হবে তার বিচারক(যোহন ১২:৪৮)। “আমার এখনও অনেককিছুই তোমাদের বলার আছে, কিন্তু এখন তোমরা সেগুলো বহন করতে পারবে না। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনি তোমাদের সকল সত্যের পথে পরিচালিত করবেন(যোহন ১৬:১২-১৩)। এবং পিতর ৪:১৭-তে রয়েছে: “বিচারের কাল সমাগত, ঈশ্বরের আপনজনদের দিয়েই তা হবে শুরু।” এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো একেবারেই স্পষ্ট নয় কি? প্রভু অন্তিম সময়ে মনুষ্যপুত্র হিসাবে দেহধারণ করবেন, সত্য প্রকাশ করবেন এবং বিচারকার্য করবেন। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই। বিচারের কাজ মোটেই তেমন নয় যেমন মানুষ কল্পনা করে, বিশ্বাসীদের ঈশ্বর সরাসরি স্বর্গে নিয়ে যাবেন, তারপর অবিশ্বাসীদের দোষী সাব্যস্ত ক’রে ধ্বংস করবেন, ব্যাস এটাই। ব্যাপারটা মোটেই এত সহজ নয়। অন্তিম সময়ের বিচার ঈশ্বরের গৃহ থেকে আরম্ভ হয় এবং যারা ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারকে গ্রহণ করেছে তাদের উপরে তা সর্বপ্রথমে নির্বাহ করা হয়। অর্থাৎ, মনুষ্যপুত্র পৃথিবীতে আসেন, মানবজাতিকে পরিশুদ্ধ ও উদ্ধার করার জন্য প্রচুর সত্য প্রকাশ করেন, ঈশ্বরের নির্বাচিত ব্যক্তিদের সকল সত্যে প্রবেশ করতে পথনির্দেশ দেন। অন্তিম সময়ে এটাই পরিত্রাতার কাজ, এবং ঈশ্বর বহুকাল আগেই এই পরিকল্পনা করেছেন। অবিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে, তারা সরাসরি দোষী সাব্যস্ত হবে ও বিপর্যয়ের দ্বারা নির্মূল হবে। এখন, পরিত্রাতা ইতিমধ্যেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অবতার হিসাবে এসেছেন, মানবজাতিকে পরিশুদ্ধ ও উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সত্য প্রকাশ করছেন, ঈশ্বরের গৃহ থেকে শুরু করে বিচারের কাজ করছেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রকাশিত এইসকল সত্য সমগ্র পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দিয়েছে, এবং সকল জাতির প্রচুর মানুষ সেগুলো শুনেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রভুর প্রত্যাবর্তন বিষয়ে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এখনও অনেক মানুষ আছে যারা ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজকে বোঝে না, আর অতিপ্রাকৃতিক কিছু দেখার আশা করতে থাকে: ঈশ্বর আকাশে আবির্ভূত হয়ে কথা বলছেন। এটা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। ঈশ্বর কীভাবে তাঁর বিচার সম্পাদন করেন তা ভালোভাবে বোঝার জন্য সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কী বলেছেন সেদিকে তাকানো যাক।

সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “বিচারের কাজটি ঈশ্বরের নিজস্ব, তাই স্বাভাবিকভাবেই এটি স্বয়ং ঈশ্বরের দ্বারাই সম্পন্ন হওয়া উচিত; তাঁর পরিবর্তে মানুষ তা করতে পারে না। যেহেতু বিচার ব্যবস্থা হল মানবজাতিকে জয়ের জন্য সত্যের ব্যবহার, তাই প্রশ্নাতীত ভাবে ঈশ্বর এখনও মানুষের মধ্যে এই কাজটি সম্পাদন করার জন্য অবতার রূপে উপস্থিত হবেন। অর্থাৎ, অন্তিম সময়ে খ্রীষ্ট এই সত্য বিশ্বজুড়ে মানুষদের শিক্ষা দিতে এবং তাদের কাছে সমস্ত সত্য প্রকাশ করতেই ব্যবহার করবেন। এটিই হল ঈশ্বরের বিচারের কাজ(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, খ্রীষ্ট সত্যের দ্বারাই বিচারের কাজ করেন)

অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট মানুষকে শেখানোর জন্য, মানুষের উপাদান প্রকাশ করার জন্য এবং মানুষের কথা ও কাজের বিশ্লেষণ করার জন্য বিভিন্ন সত্য ব্যবহার করেন। এই বাক্যে বিভিন্ন সত্য অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেমন মানুষের কর্তব্য, কীভাবে মানুষের ঈশ্বরকে মান্য করা উচিত, কীভাবে মানুষের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা উচিত, কীভাবে মানুষের স্বাভাবিক মানবতাসম্পন্ন জীবনযাপন করা উচিত, সেইসাথে থাকে ঈশ্বরের প্রজ্ঞা এবং স্বভাব ইত্যাদি বিষয়সমূহ। এই সমস্ত বাক্য মানুষের উপাদান এবং তার ভ্রষ্ট স্বভাবের দিকেই ইঙ্গিত করে। বিশেষ করে, সেই সমস্ত বাক্য, যা অনাবৃত করে মানুষ কীভাবে ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তা আসলে এ সম্পর্কে কথা বলে যে কীভাবে মানুষ শয়তানের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রু শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাঁর বিচারকার্যের সময়, ঈশ্বর কেবলমাত্র কয়েকটি বাক্যের মাধ্যমে মানুষের প্রকৃতি স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন না; তিনি দীর্ঘমেয়াদে তা অনাবৃত করেন, মোকাবিলা করেন এবং তাদের অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন করেন। অনাবৃতকরণ, মোকাবিলা এবং অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তনের এই সমস্ত ভিন্ন পদ্ধতি সাধারণ শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা যায় না, সেই সত্যের দ্বারাই প্রতিস্থাপিত করা যায় যার সম্পর্কে মানুষ একেবারেই অসচেতন। শুধুমাত্র এই ধরনের পদ্ধতিকেই বিচার বলা যেতে পারে; শুধুমাত্র এই ধরনের বিচারের মাধ্যমেই মানুষ ঈশ্বরের প্রতি অনুগত হতে পারে, তাঁর সম্বন্ধে দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত হতে পারে, এবং ঈশ্বর সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারে। এই বিচারের কাজই প্রতিফলিত করে ঈশ্বরের আসল চেহারা সম্পর্কে মানুষের উপলব্ধি, এবং তার নিজের বিদ্রোহের সত্য। বিচারের কাজ মানুষকে ঈশ্বরের ইচ্ছা, তাঁর কাজের উদ্দেশ্য এবং দুর্বোধ্য রহস্য সম্পর্কে অনেক বেশি করে বোঝার সুযোগ দেয়। এটি মানুষকে নিজের ভ্রষ্ট সারসত্য এবং সেই ভ্রষ্টাচরণের মূল চিনতে ও জানতে শেখায়, এবং সেইসাথে মানুষের কদর্যতা আবিষ্কার করতে শেখায়। এই সমস্ত প্রভাব বিচারের কাজের মাধ্যমে প্রতিভাত হয়, কারণ এই কাজের সারমর্ম হল ঈশ্বরের সত্য, পথ এবং জীবনকে তাঁর অনুগামীদের কাছে উন্মুক্ত করার কাজ। এই কাজ ঈশ্বরের বিচারের কাজ(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, খ্রীষ্ট সত্যের দ্বারাই বিচারের কাজ করেন)

এখন আমাদের বুঝতে পারা উচিত ঈশ্বর কীভাবে তাঁর অন্তিম সময়ের বিচার করেন। তা মূলত সত্য অভিব্যক্ত করার মাধ্যমে, এবং মানবজাতির বিচার, পরিশোধন, ও উদ্ধারের জন্য এই সত্য ব্যবহার ক’রে। অর্থাৎ, অন্তিম সময়ে ঈশ্বর এই বিচারের কাজকে ব্যবহার করেন মানুষের ভ্রষ্টতাকে পরিশুদ্ধ করতে, এক দল মানুষকে উদ্ধার করতে ও নিখুঁত করে তুলতে, এবং ঈশ্বরের সাথে সমভাব এক দল মানুষকে সম্পূর্ণ করতে। এটাই ঈশ্বরের ৬,০০০ বছরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার ফল, এবং এটাই অন্তিম সময়ের বিচারের কাজের মূল বিষয়। এই কারণেই পরিত্রাতা, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, এত অজস্র সত্য প্রকাশ করছেন, মানুষের সমস্ত ভ্রষ্ট স্বভাব অনাবৃত করছেন ও বিচার করছেন, মোকাবিলা, কর্তন, পরীক্ষা, ও পরিমার্জনের মাধ্যমে মানুষকে পরিশুদ্ধ ও পরিবর্তিত করছেন, মানুষের পাপপূর্ণতার মূলের সমাধান করছেন, আমাদের সম্পূর্ণরূপে পাপ আর শয়তানের শক্তি থেকে অব্যাহতি পেতে দিচ্ছেন, এবং ঈশ্বরের প্রতি সমর্পণ ও সম্মানকে বিকশিত হতে দিচ্ছেন। কারো কারো কাছে হয়তো এটা কিছুটা বিভ্রান্তিকর হতে পারে। প্রভু যীশু মানবজাতিকে মুক্তি দিয়েছেন, তাহলে ঈশ্বরের কী প্রয়োজন অন্তিম সময়ে মানবজাতির বিচারের জন্য সত্য প্রকাশ করার? তারা দেখতে পায় না যে মানুষ কত গভীরভাবে শয়তানের দ্বারা ভ্রষ্ট হয়েছে। ঈশ্বর আমাদের ভ্রষ্ট স্বভাবের সমাধান করার মাধ্যমে অন্তিম সময়ে মানুষকে উদ্ধার করেন। এটা কোনো সহজ ব্যাপার নয়। এটা শুধু আমাদের পাপকে চিনতে পারা, প্রভুর কাছে পাপ স্বীকার করা ও অনুতপ্ত হওয়া, এটুকুই নয়। ভ্রষ্ট স্বভাব পাপপূর্ণতার থেকে আলাদা। তা শুধু সেইসব আচরণ নয় যা পাপপূর্ণ, বরং সেগুলো এমনকিছু যা আমাদের মনে, আমাদের আত্মায় বাস করে। সেগুলো এমন স্বভাব যা আমাদের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত, যেমন ঔদ্ধত্য, ধূর্ততা, মন্দত্ব, এবং সত্যের প্রতি বিতৃষ্ণা। এই ভ্রষ্ট স্বভাবগুলো মানুষের হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে আছে এবং সেগুলো খুঁজে পাওয়া আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন। কখনো কখনো প্রকাশ্য কোনো পাপ দেখা যায় না, কেউ হয়তো বেশ শ্রুতিমধুর কথা বলে, কিন্তু তাদের অন্তরে থাকে ধূর্ত ও ঘৃণ্য উদ্দেশ্য, যা অন্যদের প্রতারিত ও বিপথগামী করে। এটা তাদের স্বভাবের একটা সমস্যা। ঈশ্বরের দীর্ঘকালব্যাপী বিচার ও প্রকাশ, ও সেইসাথে মোকাবিলা, কর্তন, ও পরীক্ষা ছাড়া, মানুষ এটা দেখতে পাবে না, পরিবর্তন করতে তো পারবেই না। সারাজীবন ধরে পাপ স্বীকার করার পরেও প্রভুর বিশ্বাসীদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে পাপ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে? একজনও নেই। আর তাই, অন্তিম সময়ের বিচারের সম্মুখীন না হয়ে শুধুমাত্র প্রভুর মুক্তির অভিজ্ঞতালাভ কাউকে শুধুই তার পাপপূর্ণ আচরণকে চিনতে দেয়, কিন্তু তার পাপপূর্ণ প্রকৃতি, তার পাপের মূল—অর্থাৎ, গভীরে প্রোথিত ভ্রষ্ট স্বভাব—মানুষ দেখতে পায় না, তার সমাধান করা তো দূরের কথা। একথা কেউ অস্বীকার করতে পারে না! তাই, শুধুমাত্র ঈশ্বরের ব্যক্তিগতভাবে অবতাররূপ ধারণ ও অন্তিম সময়ের বিচারকার্য সম্পাদন, প্রচুর সত্য অভিব্যক্ত করা, এবং তাঁর দীর্ঘকালব্যাপী প্রকাশ ও বিচারের মাধ্যমেই মানুষ স্পষ্টভাবে তাদের ভ্রষ্টতাকে দেখতে পায় ও নিজের সারমর্মকে জানতে পারে, এবং শুধু এই বিচারের মাধ্যমেই তারা ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতা ও পবিত্রতাকে জানতে পারে, এবং ঈশ্বরের প্রতি সম্মানপূর্ণ হৃদয় লাভ করে। ভ্রষ্টতা পরিহার করা এবং প্রকৃত মানব সদৃশ জীবন যাপন করার এটাই একমাত্র রাস্তা। সুতরাং, শুধুমাত্র ঈশ্বরের অবতাররূপ গ্রহণ এবং অন্তিম সময়ের বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য সত্যের প্রকাশের মাধ্যমেই এই ফল অর্জন করা যেতে পারে। কেউ হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারে: স্বয়ং ঈশ্বরকে এই কাজ করার জন্য দেহরূপ ধারণ করতে হবে কেন? আত্মার রূপে তিনি এই কাজ করতে পারবেন না কেন? ঈশ্বরের বাক্য পাঠের একটা ভিডিও দেখে নেওয়া যাক, যাতে সবাই এ বিষয়টা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে।

সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “ঈশ্বরের দ্বারা মানুষের উদ্ধার সরাসরি আত্মার পদ্ধতি ব্যবহার করে করা হয় না এবং আত্মার পরিচয়কে প্রত্যক্ষভাবে ব্যবহার করে করা হয় না, কারণ মানুষ তাঁর আত্মা দেখতে বা স্পর্শ করতে পারে না, কাছেও যেতে পারে না। তিনি যদি সরাসরি আত্মার পদ্ধতি ব্যবহার করে মানুষকে উদ্ধার করার চেষ্টা করতেন, মানুষ তাঁর পরিত্রাণ লাভ করতে পারতো না। ঈশ্বর যদি বাহ্যিকভাবে সৃষ্ট এক মানবের রূপ ধারণ না করতেন, তাহলে পরিত্রাণ লাভের কোনো উপায় মানুষের কাছে থাকত না। কারণ মানুষের তাঁর কাছে যাওয়ার উপায় নেই, ঠিক যেমন যিহোবার মেঘের কাছে কেউ যেতে পারত না। শুধুমাত্র একজন সৃষ্ট মানুষ হয়ে, অর্থাৎ তিনি যে দেহে আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন সেই দেহে তাঁর বাক্য স্থাপন করে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর অনুগামীদের মধ্যে বাক্য অনুযায়ী কার্য নির্বাহ করতে পারেন। একমাত্র তখনই মানুষ ব্যক্তিগতভাবে তাঁর বাক্য দেখতে এবং শুনতে পারে, এবং অধিকন্তু তাঁর বাক্যের অধিকারে প্রবেশ করতে পারে, এবং এই উপায়ে পুরোপুরি উদ্ধার পেতে পারে। ঈশ্বর যদি দেহ ধারণ না করতেন, তাহলে রক্ত-মাংসের কোনো জীব এত মহৎ পরিত্রাণ লাভ করত না, এবং একজনও উদ্ধার পেত না। ঈশ্বরের আত্মা যদি মানবজাতির মাঝে সরাসরি কার্য নির্বাহ করতেন, তাহলে হয় সমগ্র মানবজাতি ভূপতিত হত, অথবা ঈশ্বরের সংস্পর্শে আসার কোনো উপায় না থাকায়, তারা সম্পূর্ণরূপে শয়তানের বন্দী হয়ে পড়ত(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অবতাররূপের রহস্য (৪))

মানুষের দেহের কলুষকে বিচার করার কাজের জন্য দেহরূপী ঈশ্বরের অপেক্ষা উপযুক্ততর এবং যোগ্যতর আর কেউ নেই। বিচারকার্য যদি প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা নির্বাহ হত, তাহলে সকলে তা সর্বাঙ্গীণ হত না। উপরন্তু, এই ধরনের কাজ মানুষের পক্ষে গ্রহণ করা কঠিন হবে, কারণ আত্মা মানুষের সাথে মুখোমুখি আসতে সক্ষম নন, এবং সেই কারণে, তার প্রভাব তাৎক্ষণিক হবে না, এবং মানুষও ঈশ্বরের অপ্রতিরোধ্য স্বভাবকে স্পষ্টতরভাবে করে দর্শন করতে সক্ষম হবে না। যদি দেহরূপী ঈশ্বর মানবজাতির কলুষের বিচার করেন একমাত্র তবেই শয়তানকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করা যেতে পারে। মানুষের মতোই স্বাভাবিক মানবতার অধিকারী হওয়ার কারণে, দেহে আবির্ভূত ঈশ্বর প্রত্যক্ষভাবে মানুষের অ-ন্যায়পরায়ণতার বিচার করতে পারেন; এই-ই হল তাঁর সহজাত পবিত্রতার, এবং তাঁর অতুলনীয়ত্বের চিহ্ন। একমাত্র ঈশ্বরই মানুষকে বিচার করার যোগ্য, এবং সেই অবস্থানে রয়েছেন, কারণ তিনিই সত্য এবং ন্যায়পরায়ণতার অধিকারী, এবং তাই তিনি মানুষকে বিচার করতে সক্ষম। যারা সত্য ও ন্যায়পরায়ণতা বিহীন তারা অপরের বিচার করার পক্ষে উপযুক্ত নয়। এই কাজ যদি ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা সম্পন্ন হতো, তাহলে তা শয়তানের উপর বিজয়ের অর্থ বহন করত না। আত্মা সহজাতভাবেই নশ্বর সত্তাদের চেয়ে অধিক মহিমান্বিত, এবং ঈশ্বরের আত্মা সহজাতভাবে পবিত্র, এবং দেহের উপর বিজয়ী। যদি আত্মা প্রত্যক্ষভাবে এই কাজ করতেন, তিনি মানুষের সকল আনুগত্যহীনতার বিচার করতে সক্ষম হতেন না এবং মানুষের সকল অ-ন্যায়পরায়ণতার প্রকাশ ঘটাতে পারতেন না। যেহেতু বিচারকার্য ঈশ্বরের বিষয়ে মানুষের পূর্বধারণার মাধ্যমেও নির্বাহ হয়, এবং মানুষের কখনোই আত্মা সম্বন্ধে কোনো পূর্বধারণা ছিল না, সেহেতু আত্মা উত্তরমতররূপে মানুষের অ-ন্যায়পরায়ণতার প্রকাশ ঘটাতে অক্ষম, অ-ন্যায়পরায়ণতার এইরূপ পরিপূর্ণ উন্মোচন তো দূরস্ত। ঈশ্বরের অবতার সেই সকলেরই শত্রু যারা তাঁকে জানে না। তাঁর সম্বন্ধে মানুষের পূর্বধারণা ও বিরোধিতার বিচার করার মাধ্যমে তিনি মানবজাতির সমস্ত আনুগত্যহীনতা উন্মোচন করেন। দেহরূপে তাঁর কাজের প্রভাব আত্মার কাজের চেয়ে অধিকতর স্পষ্ট। এবং তাই, সমগ্র মানবজাতির বিচার আত্মা প্রত্যক্ষভাবে সম্পাদন করেন না, বরং তা হল অবতাররূপে ঈশ্বরের কাজ। দেহরূপধারী ঈশ্বরকে মানুষ দেখতে পায় ও স্পর্শ করতে পারে, এবং দেহরূপধারী ঈশ্বর মানুষকে সম্পূর্ণরূপে জয় করতে পারেন। ঈশ্বরের দেহরূপের সাথে তার সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে মানুষের অগ্রগতি হয় বিরোধিতা থেকে আনুগত্যের দিকে, নিপীড়ন থেকে গ্রহণযোগ্যতার দিকে, পূর্বধারণা থেকে জ্ঞানের দিকে, এবং প্রত্যাখ্যান থেকে ভালোবাসার দিকে—এগুলো ঈশ্বরের দেহরূপে করা কাজের প্রভাব(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অবতাররূপী ঈশ্বরের পরিত্রাণই ভ্রষ্ট মানবজাতির অধিক প্রয়োজন)

আমার মনে হয় এখন আমরা সবাই আর একটু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি যে ঈশ্বরকে কেন ব্যক্তিগতভাবে দেহরূপেই বিচারের কাজ সম্পাদন করতে হবে। এর কারণ হল, দেহরূপ ধারণ করাই ঈশ্বরের একমাত্র রাস্তা মানুষের সাথে বাস্তবিকভাবে যোগাযোগ করার, যেকোনো স্থান ও সময়ে আমাদের সাথে সত্যের বিষয়ে কথা বলা ও সহভাগিতা করার, আমাদের প্রকাশিত ভ্রষ্টতা অনুযায়ী আমাদের অনাবৃত ও বিচার করার, এবং আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সিঞ্চন, মেষপালন, ও সমর্থন করার। একমাত্র এই উপায়েই তিনি স্পষ্টভাবে ঈশ্বরের ইচ্ছা ও প্রয়োজনকে জ্ঞাপন করতে পারেন। ঈশ্বরের পথের বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে শোনা এবং তাঁর প্রকাশিত সত্যকে উপলব্ধি করা কি আমাদের সত্য ও পরিত্রান অর্জনের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী নয়? উপরন্তু, ঈশ্বর যখন একজন সাধারণ, নৈমিত্তিক মানুষ হিসাবে দেহধারণ করেন, তখন আপনারা কি বলবেন যে মানুষের পূর্বধারণা থাকতে পারে, তারা বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন হতে পারে? অবশ্যই পারে। যে মুহূর্তে মানুষ খ্রীষ্টের অত্যন্ত স্বাভাবিক বাহ্যিক রূপ দেখে, তাদের পূর্বধারণা, বিদ্রোহী মনোভাব, ও প্রতিরোধ তৈরী হয়, এবং যদি তারা এ নিয়ে কিছু না-ও বলে বা না-ও প্রদর্শন করে, তবু তারা যত ভালো করেই ভান করুক, ঈশ্বর লক্ষ্য করছেন, ফলে তা লুকোনোর কোনো চেষ্টাই সফল হবে না। মানুষের মধ্যে যা-ই লুকোনো থাক ঈশ্বর তা উন্মুক্ত করেন, তাদের অবস্থার সঠিক বর্ণনা করেন। তাই, একমাত্র দেহরূপধারী ঈশ্বরই মানুষকে সবচেয়ে ভালো করে অনাবৃত করতে পারেন, তাদের বিদ্রোহী মনোভাব ও প্রতিরোধকে উন্মুক্ত করতে পারেন। বিচারকার্যের জন্য এটা সবচেয়ে উপযোগী। ঈশ্বর যদি সরাসরি আত্মার মাধ্যমে বাক্য উচ্চারণ করতেন তাহলে কী হতো? মানুষ তাঁর আত্মাকে দেখতে, স্পর্শ করতে, বা তাঁর আত্মার ঘনিষ্ঠ হতে পারতো না, এবং তাঁর আত্মা কথা বলছেন এই বিষয়টা হতো ভয়াবহ। তাহলে কীভাবে তারা নিজেদের হৃদয়কে ঈশ্বরের কাছে উন্মুক্ত করতো, বা সত্যকে উপলব্ধি করতো? আর আত্মার মুখোমুখি হলে কে-ই বা পূর্বধারণা পোষণ করার সাহস করতো? কার সাহস হতো ভ্রষ্টতা প্রকাশ করার, অথবা বিদ্রোহী বা প্রতিরোধী হওয়ার? কারোরই নয়। প্রত্যেকেই ভয়ে কাঁপতো, বিবর্ণ মুখে সাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত করতো। মানুষের এরকম ভীত অবস্থায় তাদের প্রকৃত অবস্থা কী করে অনাবৃত করা যেত? তাদের পূর্বধারণা বা বিদ্রোহের কিছুই দেখা যেত না, তাহলে বিচার কীভাবে সম্পাদিত হতো? কী প্রমাণ থাকতো তাহলে? এই কারণে ঈশ্বরের আত্মার কাজ মানুষের সবচেয়ে প্রকৃত আচরণকে উদ্ঘাটিত করতে পারতো না, সেগুলোকে অনাবৃত করতে পারতো না, এবং ঈশ্বরের বিচারের কাজ সম্পূর্ণ হতো না। ঈশ্বরের অবতার বিচারকার্য সম্পাদনে তাঁর আত্মার চেয়ে অধিক কার্যকরী। আমরা মানুষের মাঝে বসবাসকারী সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেখতে পারি। আমাদের প্রতিটা নড়াচড়া, প্রতিটা চিন্তাভাবনা, সমস্ত ধরণের ভ্রষ্টতা যা আমরা প্রকাশ করি, তা সবই ঈশ্বর দেখেন এবং সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করেন। যেকোনো সময় ও স্থানেই তিনি আমাদের অনাবৃত ও বিচার করার জন্য সত্য অভিব্যক্ত করতে পারেন, আমাদের ভ্রষ্টতা, ঈশ্বর সম্পর্কে আমাদের পূর্বধারণা ও কল্পনা, এবং সেইসাথে আমাদের অন্তর্নিহিত ঈশ্বর বিরোধিতা ও ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার প্রকৃতিকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পারেন। আমরা যখন ঈশ্বরের বাক্য পাঠ করি, তখন যেন আমরা তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছি। তা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ও লজ্জাজনক, এবং তাঁর বাক্যের মধ্যে আমরা আমাদের ভ্রষ্টতার সত্যকে খুবই নগ্নভাবে দেখতে পারি। আমরা অন্তর থেকে নিজেদের ঘৃণা করি ও অনুতপ্ত হই, এবং ঈশ্বরের সামনে বসবাসের অযোগ্য মনে করি। ঈশ্বরের বিচারের মাধ্যমে আমরা এটাও দেখতে পাই যে তিনি কী অবিশ্বাস্যরকমের ধার্মিক ও পবিত্র, এবং তিনি প্রকৃতই আমাদের হৃদয় ও মন দেখতে পান। আমাদের অন্তরে সমাহিত ভ্রষ্ট চিন্তা ও ধারণা, যেগুলোকে আমরা এমনকি চিনতেও পারিনি, সেগুলো এক এক করে ঈশ্বর অনাবৃত করেন ও তাদের বিচার করেন। কখনো কখনো তীব্র নিন্দা ও অভিশাপের মাধ্যমে, ঈশ্বরের অপ্রতিরোধ্য স্বভাব আমাদের প্রত্যক্ষ করতে দেওয়ার মাধ্যমে, অবশেষে আমরা ঈশ্বর-ভীতিতে উপনীত হই। ঈশ্বরের বিচারের মধ্যে দিয়ে না গেলে, আমাদের মধ্যে একজনও ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতা বা পবিত্রতাকে জানতে পারতো না, এবং কেউই দেখতে পেতো না যে মানুষ যখন তাদের শয়তানোচিত প্রকৃতি নিয়ে জীবনযাপন করে, তখন তারা এমন ধরণের মানুষ হয়ে ওঠে যারা ঈশ্বরের প্রতিরোধ করে, তারা ঈশ্বরের অভিশাপ ও দণ্ডের যোগ্য। ঈশ্বরের বিচার, শাস্তি, ও পরীক্ষার সৌজন্যেই আমরা সত্যিকারের অনুতপ্ত হতে পারি, পরিশেষে ভ্রষ্টতাকে পরিহার করতে পারি, এবং পরিশুদ্ধ ও রূপান্তরিত হতে পারি। এবং আজকের দিন পর্যন্ত খ্রীষ্টকে অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা দেখতে পারি যে ঈশ্বরের অবতার নম্র ও প্রচ্ছন্নরূপে আমাদের মাঝে বাস করছেন, আন্তরিক ও ধৈর্য্যশীলভাবে প্রভূত সত্য প্রকাশ করছেন, সবই শুধু আমাদেরকে, এই ভ্রষ্ট মানবজাতিকে, সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করার স্বার্থে। ঈশ্বরের অবতার যদি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের বিচার ও পরিশুদ্ধ করতে না আসতেন, সমস্ত সত্য আমাদের প্রদান না করতেন, তাহলে আমাদের মতো বিদ্রোহী ও ভ্রষ্ট মানুষ নিশ্চিতভাবে নির্মূল হতো এবং দণ্ডভোগ করতো। তাহলে আমরা কীভাবে উদ্ধারলাভ করতে পারতাম? মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের ভালোবাসা এতই বিশাল, এবং ঈশ্বর এতই মনোরম। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমাদের মাঝে সত্য অভিব্যক্ত করেন, বাস্তবিক উপায়ে মানবজাতিকে পথনির্দেশ দেন, সমর্থন যোগান, ও সঙ্গ দেন। এটাই আমাদের একমাত্র সুযোগ ঈশ্বরের কণ্ঠ শোনার ও তাঁর মুখমণ্ডল প্রত্যক্ষ করার, ঈশ্বরের বিচার ও পরিশোধনের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার, প্রচুর সত্য উপলব্ধি ও অর্জন করার এবং এক প্রকৃত মানব সদৃশ জীবন যাপন করার। ঈশ্বরের অবতারের অন্তিম সময়ের কাজ থেকে যারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় তারা হল আমাদের এই দল যারা খ্রীষ্টকে অনুসরণ করে। ঈশ্বরের কাছ থেকে আমরা যা লাভ করি তা প্রকৃতই অপরিমেয়। ঠিক যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যে বলা আছে, “দেহরূপে তাঁর কাজের সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, যারা তাঁকে অনুসরণ করে তাদের জন্য তিনি সঠিক বাক্য ও উপদেশ, এবং মানবজাতির উদ্দেশ্যে তাঁর সুনির্দিষ্ট ইচ্ছা রেখে যেতে পারেন, যাতে পরবর্তীকালে তাঁর অনুগামীরা নির্ভুলতর ও সুসংবদ্ধতর ভাবে তাঁর দেহরূপের সকল কাজ এবং সমগ্র মানবজাতির জন্য তাঁর ইচ্ছাকে হস্তান্তরিত করতে পারে প্রকৃত পথ গ্রহণকারীদের কাছে। একমাত্র মানুষের মাঝে দেহরূপে ঈশ্বরের কাজই ঈশ্বরের মানুষের সঙ্গে থাকা ও মানুষের সঙ্গে জীবনযাপন করার ঘটনাকে প্রকৃতপক্ষে সিদ্ধ করে। ঈশ্বরের মুখদর্শনের, ঈশ্বরের কাজ প্রত্যক্ষ করার, ও ঈশ্বরের ব্যক্তিগত বাক্য শ্রবণ করার জন্য মানুষের যে বাসনা, তা শুধুমাত্র এই কাজের মাধ্যমেই পূর্ণ হয়। অবতাররূপ ঈশ্বর সেই যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন একমাত্র যখন যিহোবার পৃষ্ঠভাগ মানবজাতির সামনে আবির্ভূত হয়েছিল, এবং তিনি অস্পষ্ট ঈশ্বরের প্রতি মানুষের বিশ্বাসের যে যুগ, তারও অবসান ঘটাবেন। নির্দিষ্টভাবে বললে, ঈশ্বরের অন্তিম অবতাররূপে কৃত কাজ সমগ্র মানবজাতিকে এমন এক যুগে উপনীত করে যা অধিকতর বাস্তববাদী, অধিকতর ব্যবহারিক, এবং অধিকতর সুন্দর। তিনি শুধু বিধান ও মতবাদের যুগেরই অবসান ঘটান না, বরং আরো গুরুত্বপূর্ণভাবে, তিনি মানবজাতির কাছে এমন এক ঈশ্বরকে প্রকাশিত করেন যিনি বাস্তব ও স্বাভাবিক, যিনি ধার্মিক ও পবিত্র, যিনি পরিচালনামূলক পরিকল্পনার কাজকে উদ্ঘাটিত করেন এবং যিনি মানবজাতির রহস্য ও গন্তব্য প্রদর্শন করেন, যিনি মানবজাতির সৃষ্টি করেছেন ও ব্যবস্থাপনার কাজ সমাপ্ত করেন, এবং যিনি হাজার হাজার বছর ধরে প্রচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন। তিনি অস্পষ্টতার যুগের সমাপ্তি ঘটান, তিনি সেই যুগের অবসান ঘটান যখন সমগ্র মানবজাতি ঈশ্বরের মুখাবয়ব দর্শনের আকাঙ্খা প্রকাশ করেছিল কিন্তু সক্ষম হয়নি, তিনি সেই যুগও সমাপ্ত করেন যেখানে সমস্ত মানবজাতি শয়তানের সেবা করেছে, এবং তিনি সমগ্র মানবজাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে এক সম্পূর্ণ নতুন যুগে নিয়ে যান। এ সবই ঈশ্বরের আত্মার পরিবর্তে ঈশ্বরের দেহরূপের কাজের ফলাফল(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অবতাররূপী ঈশ্বরের পরিত্রাণই ভ্রষ্ট মানবজাতির অধিক প্রয়োজন)

সর্বশক্তিমান ঈশ্বর গত তিন দশক ধরে সত্য প্রকাশ করছেন ও তাঁর অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ করছেন। ঈশ্বরের মনোনীত লোকজন তাঁর বাক্যের বিচারের মাধ্যমে তাদের ভ্রষ্ট স্বভাব পরিশুদ্ধ করেছে, এবং ঈশ্বর বিপর্যয়ের পূর্বে জয়ীদের এক দল সম্পূর্ণ করেছেন—তারাই হল প্রথম ফল। এমনকি অতিকায় লাল ড্রাগনের উন্মত্ত নিপীড়নের মধ্যেও তারা খ্রীষ্টের অনুসরণ ও সাক্ষ্য প্রদানে অবিচল রয়েছে। তারা শয়তানকে পরাজিত করেছে এবং ঈশ্বরের জন্য জোরালো সাক্ষ্য বহন করেছে। প্রকাশিত বাক্যের এই ভবিষ্যদ্বাণীকে তা পূর্ণ করে: “এঁরা সেই লাক যাঁরা মহাসঙ্কট উত্তীর্ণ হয়ে এসেছেন। মেষশাবকের শোণিতে নিজেদর বসন ধৌত করে শুভ্র করেছেন(প্রকাশিত বাক্য ৭:১৪)। ঈশ্বরের অবতার যখন সত্য প্রকাশ করছিলেন, তখন প্রত্যেক সম্প্রদায়ের বৃহৎ ও ক্ষুদ্র নেতা ও খ্রীষ্টবিরোধীরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনাবৃত হচ্ছিল। তারা দেখে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর একজন সাধারণ মানুষের মতোই প্রতীয়মান, তিনি আত্মা নন, এবং তাই তারা যথেচ্ছভাবে তাঁকে প্রতিরোধ করে ও তাঁর নিন্দা করে। নিজেদের মর্যাদা ও জীবিকার সুরক্ষার উদ্দেশ্যে, তারা ঈশ্বরের কণ্ঠ শোনা ও প্রকৃত পথের অনুসন্ধান করা থেকে বিশ্বাসীদের বিরত করার জন্য পাগলের মতো আচরণ করে। এই মানুষদের সত্যের প্রতি ঘৃণার প্রকৃত চেহারা অনাবৃত হয়েছে, এবং তাদের দোষী সাব্যস্ত ও অপসারিত করা হয়েছে। ঈশ্বর দেহধারণ না করলে, তারা গির্জাতেই লুকিয়ে থেকে যেত, এখনও বিশ্বাসীদের রক্ত চুষত, ঈশ্বরকে প্রদত্ত উৎসর্গ আত্মসাৎ করতো, এবং অনেক মানুষকে বিপথগামী করতো আর নষ্ট করতো। ঈশ্বর যেহেতু দেহরূপে তাঁর বিচারের কাজ করেন, তাই খ্রীষ্টবিরোধী ও অবিশ্বাসীরা, যারা সত্যকে ভালোবাসে অথবা বাসে না, যারা সত্যকে ঘৃণা অথবা অবজ্ঞা করে, তারা সকলেই অনাবৃত হয়েছে। এবং যারা সত্যকে ভালোবাসে ও উপলব্ধি করে, তারা স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছে শয়তানের কুৎসিত মুখাবয়ব, এবং দেখেছে শয়তান কীভাবে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে ও মানুষকে ভুল পথে চালিত করে। তারা শয়তানকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রত্যাখ্যান ও পরিত্যাগ করেছে, এবং সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের অভিমুখী হয়েছে। ঈশ্বর শেষ পর্যন্ত ভালোকে পুরস্কৃত করেন এবং মন্দকে শাস্তি দেন, সমস্ত মন্দ শক্তি যা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে সেগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে বিশাল বিপর্যয় ব্যবহার করেন, পরিশেষে শয়তানের ক্ষমতা ধারণ ক’রে থাকা এই পুরোনো যুগকে সমাপ্ত করেন, এবং তারপর যারা তাঁর বিচারের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হয়েছে তাদের এক সুন্দর গন্তব্যে নিয়ে আসেন। প্রকাশিত বাক্যের এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলোকে এটা পূর্ণ করে: “যে অন্যায় অধর্ম করে সে এর পরেও অধর্মাচরণ করুক, যে কলুষিত সে কলুষিত থাকুক। যে ধার্মিক সে ধর্মাচরণ করুক। যে পবিত্র সে পবিত্র থাকুক(প্রকাশিত বাক্য ২২:১১)। “দেখ, আমি শীঘ্রই আসছি, প্রত্যেকের কর্মানুযায়ী যে প্রতিফল আমি দেব তা-ও আমি সঙ্গে নিয়ে আসছি(প্রকাশিত বাক্য ২২:১২)

সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আর একটা অনুচ্ছেদ দিয়ে উপসংহার টানা যাক। “ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতারের বিষয়ে অনেকেরই তিক্ত মনোভাব রয়েছে, কারণ মানুষের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন যে ঈশ্বর বিচারের কাজ করতে পুনরায় দেহধারণ করবেন। তবুও, আমি অবশ্যই বলব যে ঈশ্বরের কাজ প্রায়শই মানুষের প্রত্যাশা অতিক্রম করে যায় এবং মানুষের মনের পক্ষে এটি গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ মানুষ পৃথিবীর বুকে সামান্য কীটসম, আর ঈশ্বর হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ, যিনি মহাবিশ্বকে পূর্ণ করেন; মানুষের মন বদ্ধ দূষিত জলাশয়ের মতো যা শুধুমাত্র কীটেরই বংশবৃদ্ধি ঘটায়, পক্ষান্তরে, ঈশ্বরের চিন্তায় পরিচালিত কাজের প্রতিটি স্তর হল ঈশ্বরের প্রজ্ঞার জ্ঞানের বিশুদ্ধরূপ। মানুষ সর্বদা ঈশ্বরের সাথে দ্বন্দ্বের চেষ্টা করে, যার অবশ্যম্ভাবী ফল কারো অবিদিত নয় যে পরিশেষে কে অসফল হবে। আমার পরামর্শ, নিজেকে সোনার চেয়ে মূল্যবান মনে কোরো না। অন্যরা ঈশ্বরের বিচার মেনে নিতে পারলে, তুমি কেন পারবে না? তুমি অন্যদের চেয়ে কতটা উঁচুতে রয়েছ? অন্যরা যদি সত্যের সামনে মাথা নত করতে পারে, তুমিও কেন নয়? ঈশ্বরের কাজের গতি অপ্রতিরোধ্য। শুধুমাত্র তোমার ‘অবদান’-এর সাপেক্ষে তিনি আবার বিচারের পুনরাবৃত্তি করবেন না এবং তুমি এমন একটি ভাল সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার জন্য অনুশোচনায় দগ্ধ হবে। যদি তুমি আমার কথা বিশ্বাস না করো, তাহলে আকাশে সেই বিরাট শ্বেত সিংহাসনের জন্য অপেক্ষা করো যেখানে তোমার বিচারের রায়দান হবে! তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে সমস্ত ইসরায়েলের মানুষেরা যীশুকে প্রত্যাখ্যান এবং অস্বীকার করেছিল, তবুও মানবজাতিকে যীশুর পুনরুদ্ধারের সত্য এখনও মহাবিশ্ব জুড়ে এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত। এটা কি একটা বাস্তব সত্য নয় যা ঈশ্বর অনেক আগেই নির্মাণ করেছেন? যদি তুমি এখনও যীশুর হাত ধরে স্বর্গে যাওয়ার প্রত্যাশা করো, তবে আমি বলবো, তুমি একটি অবাধ্য নিষ্প্রাণ কাষ্ঠ খণ্ড মাত্র। যীশু তোমার মতো ভণ্ড বিশ্বাসী মানুষদের স্বীকৃতি দেন না যারা সত্যের প্রতি অবিশ্বাসী এবং যাদের শুধুমাত্র আশীর্বাদ কাম্য। পক্ষান্তরে, আগুনের কুণ্ডে শত সহ্রস্র বছরের জন্য তোমাকে নিক্ষেপ করার ক্ষেত্রে তিনি করুণা প্রদর্শন করবেন না” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, খ্রীষ্ট সত্যের দ্বারাই বিচারের কাজ করেন)।

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

অবতারত্ব কী?

আমরা সবাই জানি যে দু’হাজার বছর আগে, মানুষকে মুক্তি দিতে ঈশ্বর মানুষের পৃথিবীতে প্রভু যীশুর অবতার গ্রহণ করেছিলেন এবং প্রচার করেছিলেন,...

সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে আস্থা রাখা কি প্রভু যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা?

অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আবির্ভাবের পর ত্রিশ বছর কেটে গেছে এবং ১৯৯১ সালে কাজ ও সত্যের প্রকাশ শুরু করেছিলেন। তিনি প্রকাশ...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন