পবিত্র ত্রয়ীর ধারণা কি সমর্থনযোগ্য?

17-04-2023

অনুগ্রহের যুগে প্রভু যীশুর অবতাররূপে কাজের পরে, ২,০০০ বছর ধরে খ্রীষ্টধর্মের সকলেই প্রকৃত ঈশ্বর হিসাবে পবিত্র ত্রয়ীকেই মান্যতা দিয়েছেন। পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মার প্রসঙ্গ যেহেতু বাইবেলে উল্লেখিত, তাই মনে করা হয়েছে যে ঈশ্বর নিশ্চিতভাবে এই ত্রয়ী। কিছু বিতর্ক আছে, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কোনও পরিবর্তন ছাড়াই ত্রয়ীর ধারণাকে সমর্থন করেছে। কিছু লোক বলে “ত্রয়ী” এবং অন্যরা বলে “একের মধ্যে তিন,” যা মূলত একই, এবং একই অর্থ বহন করে। আমরা “ত্রয়ী” বা “একের মধ্যে তিন,” যাই বলি না কেন প্রকৃতপক্ষে বলা হল যে ঈশ্বর তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত এবং তিনটি অংশ একত্রিত হলেই ঈশ্বর, এবং কোন অংশ বাদ দিয়ে, অবশিষ্টাংশ প্রকৃত ঈশ্বর নন। শুধুমাত্র যখন তারা একত্রে থাকে তখনই তারা এক প্রকৃত ঈশ্বর হতে পারে। বলতে গেলে এটি একটি হাস্যকর ব্যাপার। আপনি কি সত্যিই বলতে পারেন যে যিহোবা ঈশ্বর একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর নন? নাকি প্রভু যীশুও একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর নন? পবিত্র আত্মাও কী একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর নয়? ত্রয়ীর এই ধারণাটি কি একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বরকে অস্বীকার এবং অপমান করার একটি উপায় নয়? এটা কি সচেতনভাবে একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর কে বিভক্ত করে নিন্দা করা নয়? আমরা উপলব্ধি করছি যে ত্রয়ীর এই ধারণাটি কতটা অযৌক্তিক। তাই ঠিক এভাবেই, ধর্মীয় বিশ্ব একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বরকে ত্রয়ী হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছে, বরাবরের জন্য তাঁকে খন্ডিত করেছে। ঈশ্বরের জন্য এটি খুবই বেদনাদায়ক। ধর্মীয় বিশ্ব অনমনীয়ভাবে এটিকে আঁকড়ে ধরে আছে এবং তা পরিবর্তন করতে সর্বদাই অস্বীকার করেছে। এখন অন্তিম সময়ের সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এসেছেন বিচারকার্য করতে এবং মানবজাতিকে উদ্ধার করতে সমস্ত সত্য প্রকাশ করছেন। তিনি খ্রীষ্টধর্মের সবচেয়ে বড় ভুল—ত্রয়ীকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। এটি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে এবং আমরা পথ, সত্য এবং জীবন হিসাবে আমাদের হৃদয় থেকে খ্রীষ্টের বন্দনা করি, এবং ঈশ্বরের প্রজ্ঞা এবং সর্বশক্তিমানতার প্রশংসা করি। এই মিথ্যাকে ঈশ্বর সরাসরি উন্মোচন না করলে, আমরা কখনই ত্রয়ীর ধারণার মধ্যে অযৌক্তিকতা আবিষ্কার করতে পারতাম না। আসুন ঈশ্বরের কয়েকটি বাক্য পাঠের মাধ্যমে এটি ঘনিষ্ঠভাবে দেখে নেওয়া যাক।

সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “যদি তোমাদের মধ্যে কেউ বলো যে, ত্রয়ী সত্যিই বিদ্যমান, তাহলে এই তিন ব্যক্তির মধ্যে এক ঈশ্বরের বিষয়টা ঠিক কী, সেটা একটু ব্যাখ্যা করো। পবিত্র পিতা কী? পুত্র কী? পবিত্র আত্মাই বা কী? যিহোবাই কি পবিত্র পিতা? যীশুই কি পুত্র? তাহলে পবিত্র আত্মা কী? পিতা কি এক আত্মা নন? পুত্রের সারসত্যও কি আত্মা নয়? যীশুর কাজ কি পবিত্র আত্মার কাজ ছিল না? সেই সময়ে যিহোবার কাজ কি যীশুর মতো আত্মার দ্বারাই সম্পাদিত হয় নি? ঈশ্বরের কতগুলি আত্মা থাকতে পারে? তোমার ব্যাখ্যা অনুসারে, পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা—এই তিনজনই এক সত্তা; তেমনটা হলে তিনটি আত্মা রয়েছেন, কিন্তু এই তিনটি আত্মা থাকার অর্থ হল যে, তিনজন ঈশ্বর রয়েছেন। তার মানে কোনো অদ্বিতীয় সত্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই; তাহলে এই ধরনের ঈশ্বরের মধ্যে কীভাবে এখনও ঈশ্বরের অন্তর্নিহিত সারসত্য রয়েছে? তুমি যদি একমাত্র ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে নাও, তাহলে তাঁর পুত্র কীভাবে থাকতে পারেন, আর তিনি কীভাবেই বা পিতা হতে পারেন? এগুলো কি নিছকই তোমার ধারণা নয়? ঈশ্বর একজনই, তাঁর মধ্যে কেবল একজন ব্যক্তিই অবস্থান করেন এবং ঈশ্বরের আত্মাও একটিই, ঠিক যেমনটা বাইবেলে লিখিত রয়েছে, ‘শুধুমাত্র একটি পবিত্র আত্মা এবং একটিই ঈশ্বর রয়েছেন’। পিতা অথবা পুত্র, যাঁর অস্তিত্বের কথাই তুমি বল না কেন, প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বর অদ্বিতীয়, এবং তোমরা যে পিতা, পুত্র বা পবিত্র আত্মার সারসত্যে বিশ্বাস করো, তা আদতে পবিত্র আত্মারই সারসত্য। অন্যভাবে বললে, ঈশ্বর একটি আত্মা, কিন্তু উপরোক্ত সমস্ত কাজের পাশাপাশি তিনি দেহ ধারণ করতে, এবং মানুষের মাঝে বাস করতেও সক্ষম। তাঁর আত্মা একাধারে সর্বসমন্বিত এবং সর্বব্যাপী। তিনি একই সাথে দেহরূপে, এবং এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে ও তার ঊর্ধ্বেও অবস্থান করতে পারেন। যেহেতু সকল মানুষই বলে যে, ঈশ্বরই অদ্বিতীয় সত্য ঈশ্বর, সেহেতু ঈশ্বর একজনই, তাঁকে কেউই ইচ্ছামত বিভক্ত করতে পারে না! ঈশ্বর অদ্বিতীয় এক আত্মা এবং একজনই ব্যক্তি; এবং সেটাই হল ঈশ্বরের আত্মা। … পিতা, পুত্র, এবং পবিত্র আত্মার এই ধারণা সবচেয়ে অযৌক্তিক! তা ঈশ্বরকে তিনটি পৃথক অংশে বিভক্ত করে, যার প্রতিটিরই আলাদা মর্যাদা ও আত্মা বিদ্যমান; তাহলে তাঁকে কীভাবে একক ঈশ্বর ও একক আত্মা বলে অভিহিত করা যাবে? আমায় বলো, এই আকাশ ও পৃথিবী এবং সমস্ত কিছু পিতা, পুত্র, নাকি পবিত্র আত্মার দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিল? কেউ কেউ বলে যে তাঁরা সকলে একসাথে সৃষ্টি করেছেন। তাহলে মানবজাতিকে কে মুক্তি দিয়েছিলেন? পিতা, পুত্র, নাকি পবিত্র আত্মা? কেউ বলে পুত্রই মানবজাতির উদ্ধার করেছিলেন। তাহলে পুত্রের সারসত্য কী? তিনি কি ঈশ্বরের আত্মারই অবতার-রূপ নন? অবতার একটি সৃষ্ট মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে স্বর্গস্থ ঈশ্বরকে পিতা বলে ডাকেন। তুমি কি জানো না যে, যীশু পবিত্র আত্মার মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন? তাঁর মধ্যেই পবিত্র আত্মা আছে; তুমি যা-ই বলো না কেন, তিনি এখনও স্বর্গস্থ ঈশ্বরের সাথেই একীভূত রয়েছেন, কারণ তিনি ঈশ্বরের আত্মারই অবতার। পুত্রের এই ধারণা নিছকই ভুল। আত্মাই সকল কাজ পরিচালনা করে; কেবলমাত্র স্বয়ং ঈশ্বর, অর্থাৎ ঈশ্বরের আত্মা, তাঁর কাজ সম্পাদন করেন। ঈশ্বরের আত্মা কে? সে কি পবিত্র আত্মা নয়? সে কি যীশুর মধ্যে কাজ করা পবিত্র আত্মা নয়? যদি কাজট পবিত্র আত্মার দ্বারা (অর্থাৎ, ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা) সম্পাদিত না হত, তাহলে তাঁর কাজ কি স্বয়ং ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করতে পারত?(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ত্রয়ী কি বিদ্যমান?)। ঈশ্বরের বাক্য স্পষ্ট এবং তীক্ষ্ণ। ঈশ্বর হলেন একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর এবং ঈশ্বরের আত্মা এক, এই ঈশ্বরের মধ্যে ব্যক্তি একজনই। পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মার তিনটি ব্যক্তি নিশ্চিতভাবেই নেই। ঈশ্বর প্রভু যীশু হিসাবে দেহরূপ ধারণের আগে, পুত্রের কোন উল্লেখ ছিল না। শুধু ঈশ্বরের আত্মার উল্লেখ ছিল, যা হল পবিত্র আত্মা। ঈশ্বর যখন স্বর্গ, পৃথিবী এবং সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছিলেন, তখন সেগুলি তাঁর আত্মার বাক্যর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছিল, তাহলে ঈশ্বরের আত্মাই কি একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর নন? ঈশ্বর যখন বিধানের যুগের কাজ করেছিলেন, তখন তা সরাসরি মানুষের মাধ্যমে হয়েছিল। সেই সময়ে কোন তথাকথিত “পুত্র” ছিল না, কিন্তু ঈশ্বর ছিলেন শুধুমাত্র এক ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা। কেউ কখনও বলেননি যে ঈশ্বর একজন ত্রয়ী, এবং পবিত্র আত্মা কখনও ত্রয়ীর সাক্ষ্য দেননি। তাহলে ঈশ্বরকে ত্রয়ী হিসেবে মানুষ কেন সংজ্ঞায়িত করতে শুরু করেছিল অবতাররূপে তিনি প্রভু যীশু হয়ে আসবার পর? প্রভু যীশু ছিলেন দেহরূপে ঈশ্বরের আত্মা, এবং তাঁর সমস্ত কাজ নিয়ন্ত্রিত এবং সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছিল ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা। প্রভু যীশুর মধ্যে থাকা আত্মা হল যিহোবার আত্মা—এটি হল পবিত্র আত্মা। তাহলে প্রভু যীশুই কি একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর? হ্যাঁ, তিনিই। তাই, এটি এমন নয় যে তিনি দেহরূপ ধারণ করেছিলেন বলেই ঈশ্বর তিন ভাগে বিভক্ত—পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা, কিন্তু লোকেরা ঈশ্বরকে বিভক্ত করার জন্য জোর দিয়েছিল কারণ তারা অবতারের সারমর্ম বোঝে না। এই হল মানুষের ভুল, কারণ মানুষের বোঝার ক্ষমতা সীমিত। ঈশ্বর হলেন একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর। ঈশ্বর এক এবং তাঁর আত্মাও এক। কোনও অবতারের আগে তিনিই ছিলেন একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর, এবং অবতারের পরও তিনি একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর থাকবেন। মানুষ ঈশ্বরকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছে, তিনজন ব্যক্তিতে কারণ তিনি দেহরূপ ধারণ করেছেন, যা মূলত ঈশ্বরকে খণ্ডিত করা এবং একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বরকে অস্বীকার করা। সেটা কি মূর্খতা নয়? এটা কি হতে পারে যে বিশ্ব সৃষ্টির সময় তিনি একমাত্র সত্য ঈশ্বর ছিলেন না? নাকি বিধানের যুগে তিনিই একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর ছিলেন না? কেন একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর ত্রয়ীর ঈশ্বর হয়ে উঠবেন অনুগ্রহের যুগে আবির্ভূত এবং দেহরূপে কাজ করার পরে? এটা কি মানুষের অযৌক্তিকতা এবং প্রলাপের ফলে কোনও ভুল নয়? যদি ত্রয়ীর ধারণা সঠিক হতো, তা হলে ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করার সময় কেন তাঁর তিন সত্তার সাক্ষ্য দেননি? আর বিধানের যুগে কেউ এর সাক্ষ্য দেয়নি কেন? ত্রয়ী সম্পর্কে পবিত্র আত্মার প্রকাশিত বাক্যে কেন কোনও সাক্ষ্য নেই? এভাবেই আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে ঈশ্বরের আত্মা, পবিত্র আত্মা, পিতা এবং পুত্র কেউই সাক্ষ্য দেয় না যে ঈশ্বর এক ত্রয়ী। কলুষিত মানুষ এবং ধর্ম জগৎ পরবর্তী শতাব্দীতে ত্রয়ীর এই অযৌক্তিক তত্ত্বটি তৈরি করেছিল প্রভু যীশুর দেহরূপে কাজের পর। এটি স্পষ্ট যে ত্রয়ীর এই ধারণা কোনভাবেই যুক্তিগ্রাহ্য নয়, এবং এটি মানুষের একটি ধারণা এবং কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। গত ২,০০০ বছর ধরে ধর্মীয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্রান্তি এটি, যা অগণিত মানুষকে বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এই সময়ে, আপনি হয়ত বিস্মিত হচ্ছেন যে পবিত্র আত্মা কেন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে প্রভু যীশু হলেন “প্রিয় পুত্র” এবং কেন প্রভু যীশু স্বর্গে তাঁর প্রার্থনায় ঈশ্বরকে “পিতা” বলেছেন? এর অর্থ কী? সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এই প্রশ্নের জবাবে কী বলেছেন তা দেখে নেওয়া যাক। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “আবার কেউ আছে যারা বলে, ‘ঈশ্বর কি স্পষ্টভাবে বলেন নি যে যীশু তাঁর প্রিয় পুত্র ছিলেন?’ যীশু হলেন ঈশ্বরের প্রিয় পুত্র, যাঁর প্রতি তিনি খুবই সন্তুষ্ট—এমন অবশ্যই ঈশ্বর স্বয়ং বলেছেন। তা ছিল ঈশ্বরের নিজের প্রতি সাক্ষ্যদান, কিন্তু শুধুমাত্র একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে, অর্থাৎ স্বর্গের আত্মার দ্বারা তাঁর স্বীয় অবতারের প্রতি সাক্ষ্যদান। যীশু তাঁর অবতার, তাঁর স্বর্গস্থ পুত্র নন। তুমি কি উপলব্ধি করতে পেরেছ? যীশুর এই বাক্য, ‘আমি পিতার মাঝে এবং আমারই মাঝে পিতা বিরাজিত,’ এটা কি এমন ইঙ্গিত করে না যে তাঁরা অভিন্ন আত্মা? এবং অবতাররূপ ধারণের কারণেই কি তাঁরা স্বর্গ ও পৃথিবীর মধ্যে বিচ্ছিন্ন ছিলেন না? বাস্তবে, তাঁরা এখনও অভিন্ন; যাই হোক না কেন, এ হল শুধুমাত্র স্বয়ং ঈশ্বরের সপক্ষে সাক্ষ্যদান(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ত্রয়ী কি বিদ্যমান?)। “প্রার্থনাকালে যীশু যখন স্বর্গস্থ ঈশ্বরকে পিতা বলে সম্বোধন করতেন, তা শুধুই সৃষ্ট মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে করতেন, তা একমাত্র এই কারণেই যে, তাঁর আত্মা এক সাধারণ ও স্বাভাবিক দেহরূপ ধারণ করেছিলেন, এবং তাঁর বাহ্যিক আবরণ এক সৃষ্ট সত্তার অনুরূপ হওয়ার কারণেই তিনি তা করতেন। তাঁর মধ্যে ঈশ্বরের আত্মা থাকলেও, তাঁর বাহ্যিক চেহারা ছিল একজন স্বাভাবিক মানুষেরই মতো; অন্য ভাবে বললে, তিনি সেই ‘মনুষ্যপুত্র’ হয়েছিলেন, যাঁর সম্বন্ধে সকল মানুষ, এবং স্বয়ং যীশুও, কথা বলেছেন। যেহেতু তাঁকে মনুষ্যপুত্র বলা হয়, সেহেতু তিনি সাধারণ মানুষের সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এক ব্যক্তি (পুরুষ বা মহিলা নির্বিশেষে, মানুষের বাহ্যিক চেহারায়)। অতএব, যেমন তোমরা প্রথমে ঈশ্বরকে পিতা বলে ডেকেছিলে; ঠিক তেমনই যীশু স্বর্গস্থ ঈশ্বরকে পিতা বলে ডেকেছিলেন; তিনি তা একজন সৃষ্ট মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকেই করেছিলেন। … ঈশ্বরকে (অর্থাৎ স্বর্গস্থ আত্মাকে) এমনভাবে সম্বোধন করাই এমন প্রতিপন্ন করে না যে, তিনি স্বর্গস্থ ঈশ্বরের আত্মার পুত্র। তিনি একজন ভিন্ন ব্যক্তি ছিলেন, এমনটা কিন্তু নয়, বরং বলা যায় যে, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন। স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তাদের অস্তিত্বের বিষয়টা একটা ভ্রান্তিমাত্র!(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ত্রয়ী কি বিদ্যমান?)। ঈশ্বরের বাক্য থেকে আমরা দেখি যে পবিত্র আত্মার প্রভু যীশুকে প্রিয় পুত্র বলে সম্বোধন করা ছিল আত্মার দৃষ্টিকোণ থেকে ঈশ্বরের তাঁর অবতারের সাক্ষী থাকা। পবিত্র আত্মা যদি এটি না করতেন, তাহলে প্রভু যীশুর প্রকৃত পরিচয় কেউ জানত না। তাই এই খোলা সাক্ষ্য মানুষকে জানতে অনুমতি দেয় যে প্রভু যীশু ঈশ্বরের অবতার ছিলেন। এবং প্রভু যীশু যখন প্রার্থনা করেছিলেন তখন তিনি স্বর্গের ঈশ্বরকে পিতা বলেছিলেন কারণ দেহরূপে তিনি অতিপ্রাকৃত ছিলেন না, বরঞ্চ স্বাভাবিক মানবতার সাথে বসবাস করতেন এবং একজন সাধারণ ব্যক্তির মতো আচরণ করতেন। সে কারণেই তিনি স্বর্গের ঈশ্বরের আত্মাকে পিতা বলেছেন, এক সৃষ্টসত্তার জায়গায় দাঁড়িয়ে। এইভাবে প্রার্থনা করা খ্রীষ্টের নম্রতা এবং বাধ্যতাকে পুরোপুরি মূর্ত করে তোলে। কিন্তু পিতার কাছে প্রভু যীশুর প্রার্থনার উপর ভিত্তি করে, ধর্মীয় বিশ্ব ঈশ্বরকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে, এই বলে যে যীশু এবং যিহোবার মধ্যে পিতা-পুত্রের সম্পর্ক ছিল। কী বিচিত্র প্রলাপ! প্রভু যীশুর শীষ্য ফিলিপ তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করে, বলে, “প্রভু, পিতাকে আমাদের দর্শন করান, তাহলেই আমরা তৃপ্ত হব” (যোহন ১৪:৮)। তাঁর প্রতিক্রিয়া কী ছিল? প্রভু বলেছিলেন, “ফিলিপ, এতদিন আমি তোমাদের সঙ্গে আছি তবু তোমরা আমায় চিনলে না? আমায় যে দর্শন করেছে সে আমার পিতারও দর্শনলাভ করেছে। তাহলে কি করে তুমি বলছ, পিতাকে আমাদের দর্শন করান? তুমি বিশ্বাস কর না যে আমি পিতার মাঝে এবং আমারই মাঝে পিতা বিরাজিত?(যোহন ১৪:৯-১০)। তিনি আরও বলেন, “আমার পিতা এবং আমি অভিন্ন(যোহন ১০:৩০)। স্পষ্টতই, পিতা ও পুত্র এক ঈশ্বর, এবং মানুষ যেমন ভাবেন তেমন পিতা-পুত্রের সম্পর্ক নয়। পিতা এবং পুত্রের এই ধারণাটি আসার একমাত্র কারণ হল ঈশ্বর অবতাররূপে আবির্ভূত হয়েছেন, এবং এটি শুধুমাত্র তাঁর দেহরূপে কাজ করার সময় প্রযোজ্য। দেহরূপে ঈশ্বরের কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে তিনি তাঁর প্রকৃত রূপে ফিরে যান এবং পিতা ও পুত্রের মত আর কোনও বন্ধন ছিল না।

আসুন ঈশ্বরের বাক্যর অন্য একটি অংশ দেখি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “যীশুর অন্তঃস্থিত আত্মা, স্বর্গস্থ আত্মা এবং যিহোবার আত্মা, সকলই অভিন্ন। তাঁকে বলা হয় পবিত্র আত্মা, ঈশ্বরের আত্মা, সপ্তগুণ তীব্র আত্মা, এবং সর্ব-সমন্বিত আত্মা। ঈশ্বরের আত্মা প্রভূত কার্য সম্পাদন করতে পারেন। তিনি বিশ্বসৃষ্টি করতে এবং পৃথিবীকে প্লাবিত করে বিশ্বকে ধ্বংস করতে সক্ষম; তিনি সকল মানবজাতিকে মুক্ত করতে পারেন, এবং উপরন্তু, তিনি সকল মানবজাতিকে জয় ও ধ্বংস করতে পারেন। এই সমস্ত কাজই স্বয়ং ঈশ্বর দ্বারা সম্পাদিত হয় এবং তাঁর পরিবর্তে ঈশ্বরের কোনো ব্যক্তিত্ব দ্বারা করা সম্ভব নয়। তাঁর আত্মাকে যিহোবা এবং যীশু, সেইসাথে সর্বশক্তিমান নামেও ডাকা যেতে পারে। তিনিই প্রভু, এবং খ্রীষ্ট। তিনি মানবপুত্রও হয়ে উঠতে পারেন। তিনি রয়েছেন স্বর্গে এবং পৃথিবীতেও; তিনি একাধারে মহাবিশ্বের ঊর্ধ্বে এবং জনগণের মাঝে বিরাজমান। তিনি স্বর্গ ও পৃথিবীর একমাত্র মালিক! সৃষ্টির সময় থেকে এখনও পর্যন্ত, এই কাজ স্বয়ং ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। স্বর্গের কাজ হোক বা দেহরূপের কাজ, সবই তাঁর নিজের আত্মা দ্বারা পরিচালিত হয়। সমস্ত প্রাণী, স্বর্গে হোক বা পৃথিবীতে, তাঁর সর্বশক্তিমান করপুটে রয়েছে; এই সমস্তই স্বয়ং ঈশ্বরের কাজ এবং তাঁর পরিবর্তে অন্য কেউ তা করতে পারে না। স্বর্গে, তিনি আত্মা কিন্তু আবার স্বয়ং ঈশ্বরও; মানুষের মধ্যে, তিনি দেহরূপে আসেন কিন্তু আবার স্বয়ং ঈশ্বর হয়েও থাকেন। যদিও তাঁকে শত সহস্র নামে ডাকা যেতে পারে, তবুও তিনি নিজেই, তাঁর আত্মার প্রত্যক্ষ অভিব্যক্তি। ক্রুশারোহণের মাধ্যমে তাঁর সমগ্র মানবজাতিকে মুক্তিদান ছিল তাঁর আত্মার প্রত্যক্ষ কাজ, এবং অন্তিম সময়ে সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভূমির কাছে করা ঘোষণাটিও তা-ই। সর্বাবস্থায়, ঈশ্বরকে কেবল সর্বশক্তিমান এবং অদ্বিতীয় সত্য ঈশ্বর বলা যেতে পারে, যিনি স্বয়ং সর্ব-সমন্বিত ঈশ্বর। স্বতন্ত্র ব্যক্তিরূপের কোনো অস্তিত্ব নেই, পিতা, পুত্র, এবং পবিত্র আত্মার এই ধারণাটির তো আরোই নেই। স্বর্গে এবং পৃথিবীতে একজনই মাত্র ঈশ্বর রয়েছেন!(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ত্রয়ী কি বিদ্যমান?)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য থেকে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ঈশ্বর এক আত্মা, যা পবিত্র আত্মা। তিনি সর্বশক্তিমান; স্বর্গ, পৃথিবী এবং সব কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছুর উপর শাসন করেছেন। তাঁর কাজের জন্য তিনি দেহরূপ ধারণ করতে পারেন এবং একটি কার্যকর উপায়ে মানুষের মধ্যে বসবাস করতে পারেন। তাঁকে বাইরে থেকে একজন সাধারণ মানুষের মতো দেখায়, কিন্তু তাঁর সমস্ত কাজ ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা পরিচালিত হয়। দেহরূপে যখন তাঁর কাজ সম্পূর্ণ হয়, ঈশ্বর তাঁর প্রকৃত রূপ ফিরে পান। ঈশ্বর তাঁর কাজের একটি পর্যায়ে মানবজাতির কাছে যে ভাবে আবির্ভূত হন তাই হল তাঁর দৈহিক রূপ। এবং তাই, ঈশ্বর সরাসরি আত্মা থেকে কাজ করছেন, বা দেহরূপে কাজ করছেন, তাঁকে যিহোবা, যীশু বা সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, যাই বলা হোক না কেন, তিনি একই আত্মা। তিনি স্বয়ং ঈশ্বর, তিনি স্বয়ং-অস্তিত্বশীল এবং চিরস্থায়ী, এবং তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং সমস্ত কিছুর উপর শাসন করেন। আমাদের আলোচনার এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি মনে করি সবার কাছেই স্পষ্ট যে ঈশ্বর একজনই এবং তিনিই একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর। সেখানে সন্দেহের কোনও ছায়া নেই। খ্রীষ্টধর্ম প্রচার করে যে একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর হলেন ত্রয়ী, জোর দেয় ঈশ্বরকে তিন ভাগে বিভক্ত করার, এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে চায় যে কেবলমাত্র তাঁদের তিনজন মিলে একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর গঠিত হয়, এবং পৃথকভাবে, তাঁরা একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর নয়। এটি কি আসলে ঈশ্বরকে অস্বীকার করা নয়? ঈশ্বর সম্পর্কে মানুষের এই বিপুল ভ্রান্ত ধারণা প্রমাণ করে যে তারা কোনওভাবেই বাইবেল বোঝে না বা ঈশ্বরের সারমর্ম জানে না, এবং তারা বাইবেলের আক্ষরিক বিষয়বস্তু অনুধাবনে অবিশ্বাস্যভাবে গোঁড়া, তাদের ধারণা এবং কল্পনার উপর ভিত্তি করে তারা ঈশ্বরকে সীমাবদ্ধ এবং বিভক্ত করতে চায়। এটি আসলে ঈশ্বরের বিরোধিতা এবং নিন্দা করা।

এবং এখন, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট এসেছেন, তাঁর কাজ করার জন্য সত্য প্রকাশ করছেন, ধর্মীয় জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ ভুল—ত্রয়ীকে প্রকাশ করেছেন। এখন আমরা নিশ্চিত যে ঈশ্বরই একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর। তাঁর আত্মা হলেন একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর, পবিত্র আত্মা হলেন একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর, এবং তার অবতাররূপ একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর। তাঁর আত্মা হিসাবে, পবিত্র আত্মা হিসাবে, এবং তাঁর অবতারে, তিনি একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বর এবং তিনি একক ঈশ্বর। তাঁকে খন্ডিত করা যায় না। এই সকল সত্য মানুষ যদি স্বীকার না করে অনমনীয়ভাবে নিজেদের ধারণা এবং কল্পনাকে আঁকড়ে ধরে, ত্রয়ীতে বিশ্বাস করার উপর জোর দেয়, একমাত্র প্রকৃত ঈশ্বরকে তিনজন ঈশ্বর হিসাবে দেখে, তা হবে ঈশ্বরকে তিরস্কার ও তাঁর নিন্দা করার পাপ। ঈশ্বরের আত্মার নিন্দা হল পবিত্র আত্মাকে নিন্দা করা, এবং এর পরিণতি সম্ভবত কেউই বহন করতে পারবে না। বুদ্ধিমানদের সুযোগ রয়েছে বিলম্ব না করে জাগ্রত হওয়ার এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যাওয়ার ভ্রান্তি এড়াতে এই ভুল দৃষ্টিভঙ্গিকে আঁকড়ে ধরে রাখা বন্ধ করার। প্রভু যীশু বলেছেন, “মানুষের সমস্ত পাপ ও ঈশ্বর নিন্দা ক্ষমা করা হবে, কিন্তু পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে নিন্দার ক্ষমা নেই। মানবপুত্রের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বললে সে ক্ষমা লাভ করবে: কিন্তু পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে যদি কেউ কোনো কথা বলে তার ক্ষমা সে কিছুতেই পাবে না—ইহকালেও নয়, পরকালেও নয়(মথি ১২:৩১-৩২)। ধর্মীয় জগৎ এখনও ত্রয়িত্বের এই ভ্রান্ততার উপর অনমনীয়ভাবে জোর দিচ্ছে। কতদিন তারা ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করবে? জেগে ওঠার সময় এসেছে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “এতগুলো বছর ধরে, ঈশ্বর তোমাদের দ্বারা এইভাবে বিভক্ত হয়েছেন, প্রতিটি প্রজন্মেই সেই বিভাজন আরও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম হয়ে চলেছে, তা এতোই বেশিমাত্রায় হয়েছে যে, এক ঈশ্বর সর্বসমক্ষেই তিন ঈশ্বরে বিভক্ত হয়ে গেছেন। এবং তোমরা তাঁকে এতোই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ভাবে বিভাজিত করেছ যে, এখন মানুষের পক্ষে ঈশ্বরকে একক রূপে আবার সংযুক্ত করাটা একেবারেই অসম্ভব! অনেক দেরি হওয়ার আগেই যদি আমি ইঙ্গিত না দিতাম, তবে তোমরা যে কতকাল এমন নির্লজ্জভাবে চালিয়ে যেতে তা বলা কঠিন! এভাবে ঈশ্বরকে ভাগ করতে থাকলে, তিনি এখনও কীভাবে তোমাদের ঈশ্বর হতে পারেন? তোমরা কি এখনও ঈশ্বর চিনতে পারবে?(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ত্রয়ী কি বিদ্যমান?)। “তোমার যুক্তি কি ঈশ্বরের কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করতে পারে? তুমি কি যিহোবার সমস্ত কাজের বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করতে পারো? একজন মানুষ হিসাবে তুমি কি সবকিছু দেখতে পাও, নাকি স্বয়ং ঈশ্বরই অনাদি থেকে অনন্ত পর্যন্ত দেখতে সক্ষম? তুমি কি সুদীর্ঘ অতীতের অনাদিকাল থেকে আগামীর অনন্তকাল অবধি দেখতে পাও, নাকি ঈশ্বরই তা করতে পারেন? তুমি কী বলো? কীভাবে তুমি ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করার যোগ্য? তোমার ব্যাখ্যা কিসের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে? তুমি কি ঈশ্বর? আকাশ ও পৃথিবী এবং সমস্ত কিছু স্বয়ং ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন। এটা তুমি করো নি, তাহলে তুমি কেন ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছ? এখন, তুমি কি ত্রয়ী ঈশ্বরে বিশ্বাস করো? তুমি কি মনে করো না যে, এইভাবে, এটা অতীব দুর্বহ? তিন নয়, বরং এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করাই তোমাদের পক্ষে উত্তম হবে। হালকা হওয়াই উত্তম, কারণ প্রভুর বোঝা হালকা(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ত্রয়ী কি বিদ্যমান?)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

অদ্বিতীয় সত্য ঈশ্বর কে?

আজকাল অধিকাংশ মানুষই আস্থাশীল এবং তাদের ঈশ্বরর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিশ্বাস আছে। তারা তাদের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত ঈশ্বরেই বিশ্বাস করে। তাই সময়ের...

ঈশ্বরের অবতারকে তাঁর অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ সম্পাদন করতে হবে কেন?

আমরা ইতিমধ্যেই কয়েকবার অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচারের কাজ নিয়ে কথা বলেছি। আজ আমরা এই বিষয়টার দিকে দৃষ্টিপাত করতে চাই যে এই বিচারের কাজ কে...

অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচার কার্য মানবজাতিকে কীভাবে শুদ্ধ করে এবং রক্ষা করে?

মানুষ বুঝতে পেরেছে যে পৃথিবীর ওপরে মহা বিপর্যয় নেমে এসেছে আর যারা আশা করছে প্রভু মেঘে চড়ে আসবেন তারা উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছে। তবে বহু বছর...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন