এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বরের দ্বারা কীভাবে কাজের তিনটে পর্যায় সম্পন্ন হয় তা চিনতে পারা
আজ আমাদের সহভাগিতার বিষয়বস্তু হল, “এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বরের দ্বারা কীভাবে কাজের তিনটে পর্যায় সম্পন্ন হয় তা চিনতে পারা”। এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, এবং আমাদের পরিণাম ও গন্তব্যের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। আমরা স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবো কি না তার সাথেও এটা সরাসরি সম্পর্কিত। আমরা যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি অথচ ঈশ্বরের কাজ সম্পর্কে না জানি, তবে তা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। আমরা সহজেই ঈশ্বরের পরিত্রাণ হারাতে পারি, যা চালিত করে নরকবাসের দিকে। কেন একথা বলছি? আমরা জানি, দু’হাজার বছর আগে, প্রভু যীশু মানবজাতিকে মুক্তি দিতে এসেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, “অনুতাপ কর: কারণ স্বর্গরাজ্য সমাগত” (মথি ৪:১৭)। প্রভু যীশু প্রচুর সত্য অভিব্যক্ত করেছিলেন এবং অনেক অলৌকিক নিদর্শন দেখিয়েছিলেন, যা প্রমাণ করে যে প্রভু যীশু ছিলেন মশীহ। কিন্তু ইহুদিদের কাছে, প্রভু যীশুর নাম মশীহ ছিল না, বা তিনি রাজকীয় প্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেননি, অথবা তাদের নেতৃত্ব দিয়ে রোমীয় শাসনের বাইরে নিয়ে যাননি, তাই অবশ্যই তিনি মশীহ ছিলেন না। সুতরাং, যত বেশি সত্যই প্রভু যীশু প্রকাশ করুন বা যত অলৌকিক নিদর্শনই তিনি দেখান, কেউই স্বীকার করেনি যে প্রভু যীশু ঈশ্বর, এবং সকলেই তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করতে ইহুদিধর্মের নেতাদের অনুসরণ করে। তার ফল কী হয়েছিল? প্রায় দু’হাজার বছরের জন্য ইসরায়েল নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। এই বেদনাদায়ক শিক্ষা কীভাবে পাওয়া গেল? জনগণ ঈশ্বরের কাজকে জানার সন্ধান করেনি, তারা নিজেদের পূর্বধারণা ও ভাবনাতেই অটল ছিল, এবং ঈশ্বরের কাজের প্রতিরোধ ও নিন্দা করেছিল। বর্তমানে, প্রভু যীশু ফিরে এসেছেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হিসাবে। সত্যের লক্ষ লক্ষ বাক্য তিনি প্রকাশ করেছেন, এবং এখন অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ করছেন, যাতে মানবজাতিকে সম্পূর্ণভাবে পরিশুদ্ধ ও উদ্ধার করা যায়। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বের ব্যাপারটা কেমন? তারা যখন দেখে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নাম যীশু নয়, বা তিনি মেঘে চড়েও আসেননি, তখন মেনে নিতে অস্বীকার করে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু, এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রতিরোধ ও নিন্দায় উন্মত্তের মতো যাজক ও প্রবীণদের অনুসরণ করে, যা ঈশ্বরকে আবার ক্রুশবিদ্ধ করারই সমান। কেউ কেউ হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারে, “এরকম কেন হয় যে যখনই কাজ করার জন্য ও মানবজাতিকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বর আবির্ভূত হন, তখন যারা তাঁকে বিশ্বাস করে ও তাঁর আবির্ভাবের প্রতীক্ষা করে তারাই সবসময় তাঁর নিন্দা করে ও তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে?” এর কারণ, মানুষ অত্যন্ত গভীরভাবে শয়তানের দ্বারা ভ্রষ্ট, তাই সত্যের প্রতি তাদের রয়েছে বিতৃষ্ণা ও ঘৃণা, এবং তাদের প্রকৃতি হল ঈশ্বরের প্রতিরোধ করা। আর একটা কারণ হচ্ছে, মানুষ ঈশ্বরের কাজকে জানে না, এবং ঈশ্বরের কাজ সম্পর্কে তারা পূর্বধারণা ও ভাবনায় পূর্ণ। আপনারা দেখুন, বিধানের যুগে যখন ঈশ্বর তাঁর কাজ সম্পন্ন করেছিলেন, তখন ইহুদি মতাবলম্বীরা ভেবেছিল ঈশ্বরের কাজ শেষ হয়ে গেছে, এবং তিনি আর কোনো কাজ করবেন না। তারা অপেক্ষায় ছিল সেই মশীহের যিনি তাদের রোমীয় শাসন থেকে উদ্ধার করবেন, অথচ প্রভু যীশুর মুক্তির কাজ তারা স্বীকার করেনি, এবং ফলশ্রুতি হিসাবে তারা প্রভুর পরিত্রাণ হারায়। ঈশ্বর যখন অনুগ্রহের যুগের কাজ শেষ করলেন, তখন সমস্ত সম্প্রদায়ের বিশ্বাসীরা মনে করেছিল, যেহেতু প্রভু যীশু মানবজাতিকে মুক্ত করেছেন, তাই ঈশ্বরের মানবজাতিকে উদ্ধার করার কাজ শেষ হয়েছে, আর নতুন কোনো কাজ করা হবে না, এবং যখন প্রভু ফিরবেন, তিনি আমাদের সরাসরি স্বর্গ-রাজ্যে নিয়ে যাবেন। আজ, যখন বিশাল বিপর্যয় এসেছে, তবু এখনও অনেক মানুষ মেঘে চড়ে প্রভুর আগমনের প্রতীক্ষা করছে, এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারের কাজ গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে, এবং এর ফলে, তারা পরিত্রাতাকে স্বাগত জানাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তারা সবাই মনে করে প্রভু যীশু যখন তাঁর কাজ শেষ করেছেন, তখনই মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য ঈশ্বরের কাজ শেষ হয়েছে, এবং এরপর আর কোনো কাজ করা হবে না। তাহলে এই বিষয়টা একটু চিন্তা করা যাক। ঈশ্বরের মানবজাতিকে উদ্ধারের কাজ কি মানুষ যতটা কল্পনা করে ততটাই সহজসরল? ঈশ্বরের মানবজাতিকে উদ্ধারের কাজের রহস্য অন্তিম সময়ে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর প্রকাশ করেছেন। আমরা সবাই দেখেছি, মানবজাতি শয়তানের দ্বারা ভ্রষ্ট হওয়ার পর, ঈশ্বর আমাদের উদ্ধারের জন্য একটা তিন-পর্যায়ের পরিকল্পনা শুরু করেন। প্রথমে, যিহোবা নাম ধারণ করে তিনি বিধানের যুগের কাজ করেন, তারপর তিনি প্রভু যীশুর অবতাররূপ ধারণ করেন এবং অনুগ্রহের যুগে মুক্তির কাজ করেন, এবং অন্তিম সময়ে, রাজ্যের যুগে বিচারের কাজ করার জন্য ঈশ্বর আবার অবতাররূপ ধারণ করেছেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নামে। কাজের এই তিনটে পর্যায়ই হল মানবজাতিকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বরের সম্পূর্ণ পরিচালনামূলক পরিকল্পনা। যদিও যিহোবা, প্রভু যীশু, এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, এই নামগুলো আলাদা, এবং প্রতি যুগে তাঁরা যে কাজ করেছেন তা-ও পৃথক, কিন্তু এই তিনটে পর্যায় ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, প্রতিটা তার আগেরটার উপর নির্মিত, এবং সেগুলোর চূড়ান্ত ফলাফল হল মানুষকে সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করা ও তাদের এক নতুন যুগে নিয়ে আসা। এটাই প্রমাণ যে তিনি এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর যিনি প্রতি যুগে বিভিন্ন কাজ করেন। তাহলে, কীভাবে আমরা চিনতে পারবো যে কাজের এই তিনটে পর্যায় এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বরের সম্পাদিত? সত্যের এই দিকটা উপলব্ধি করাই হল পরিত্রাণ অর্জন ও রাজ্যে প্রবেশের চাবিকাঠি। এবার, ঈশ্বরের বাক্যের উপর ভিত্তি করে এই বিষয়ে সহভাগিতা করা যাক।
প্রথমে, আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের একটা অনুচ্ছেদ পাঠ করছি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “আমার সমগ্র পরিচালনামূলক পরিকল্পনা, ছয় হাজার বছর ব্যাপী পরিচালনামূলক পরিকল্পনায় রয়েছে তিনটি পর্যায় বা তিনটি যুগ: সূচনাকালের বিধানের যুগ; অনুগ্রহের যুগ (যেটি মুক্তির যুগও বটে); এবং অন্তিম সময়ের রাজ্যের যুগ। এই তিনটি যুগে আমার কাজ প্রতিটি যুগের প্রকৃতি অনুসারে বিষয়বস্তুর দিক থেকে ভিন্ন, তবে প্রতিটি পর্যায়ে এই কাজ মানুষের প্রয়োজনের সাথে সঙ্গত—অথবা আরও পরিষ্কার করে বললে, শয়তানের বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধে শয়তান যেসব কৌশল অবলম্বন করে, সেই অনুসারেই আমি আমার কাজ করে থাকি। আমার কাজের উদ্দেশ্য হল শয়তানকে পরাজিত করা, আমার প্রজ্ঞা ও সর্বশক্তিমানতার প্রকাশ করা, শয়তানের সমস্ত কৌশলের উদ্ঘাটন করা এবং এর মাধ্যমে শয়তানের আধিপত্যের অধীনে বসবাসকারী সমগ্র মানবজাতিকে উদ্ধার করা। এর উদ্দেশ্য আমার প্রজ্ঞা ও সর্বশক্তিমানতার প্রদর্শন, এবং শয়তানের অসহনীয় পাশবিকতার প্রকাশ ঘটানো; তার চেয়েও বেশি করে, এর উদ্দেশ্য, সৃষ্ট প্রাণীদের ভালো-মন্দের ভেদাভেদ শেখানো, তাদের জানানো যে আমিই সমস্তকিছুর শাসক, তাদের স্পষ্ট করে দেখানো যে শয়তানই হলো মানবজাতির শত্রু এবং অধঃপতিত ও মন্দ; এবং পরম নিশ্চয়তার সাথে তাদের বুঝতে শেখানো ভালো-মন্দের, সত্য-মিথ্যার, পবিত্রতা-মালিন্যের পার্থক্য, আর বুঝতে শেখানো কোনটা মহৎ ও কোনটা নীচ। এইভাবে অজ্ঞ মানবজাতি আমার কাছে সাক্ষ্য দিতে সক্ষম হবে যে মানবজাতিকে যে ভ্রষ্ট করে সে আমি নই, একমাত্র আমিই সৃষ্টিকর্তা মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারি, মানুষকে তাদের উপভোগের জিনিস প্রদান করতে পারি; এবং তারা জানতে পারবে যে আমিই সমস্ত কিছুর শাসক, এবং শয়তান নিছক আমার সৃষ্ট সত্তার মধ্যে একজন, যে পরবর্তীকালে আমার বিরুদ্ধাচরণ করেছে। আমার ছয় হাজার বছরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত, এবং এই ফলাফল অর্জনের মতো করে আমি কাজ করি যাতে সকল সৃষ্ট সত্তা আমার সাক্ষ্য দিতে পারে, আমার ইচ্ছা উপলব্ধি করতে পারে এবং জানতে পারে যে আমিই সত্য” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, মুক্তির যুগের কাজের নেপথ্যে থাকা সত্য ঘটনা)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ঈশ্বরের মানবজাতিকে উদ্ধারের কাজ তিনটে পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথমটা হল ৩,০০০ বছরেরও বেশি আগে যিহোবা ঈশ্বরের সম্পাদিত বিধানের যুগের কাজ, দ্বিতীয়টা হচ্ছে দু’হাজার বছর আগে প্রভু যীশুর সম্পাদিত অনুগ্রহের যুগের কাজ, আর তৃতীয় পর্যায়টা হল এখন—অন্তিম সময়ের শেষে রাজ্যের যুগে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সম্পাদিত বিচারের কাজ। যদিও এই তিনটে পর্যায়ের বিষয়বস্তু ভিন্ন, কিন্তু প্রতিটা পর্যায় আগেরটার থেকে অগ্রগতি করে এবং কাজের গভীরতা বৃদ্ধি করে। এই পর্যায়গুলো পরস্পরের সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্তও, এবং এরা পরিশেষে মানবজাতির সম্পূর্ণ পরিত্রাণ অর্জন করে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ অনুগ্রহের যুগকে সমাপ্ত করে ও রাজ্যের যুগের সূচনা ঘটায়, এবং কাজের এই পর্যায় মানবজাতির ভাগ্য নির্ধারণ করে। আমরা যদি ঈশ্বরের কাজকে না বুঝতে পারি, তাহলে ঈশ্বরের দ্বারা উদ্ধার লাভ ও নিখুঁত হয়ে ওঠার শেষ সুযোগ হারানো খুবই সহজ ব্যাপার, যা আজীবনের এক অনুতাপ হয়ে থাকবে।
সুতরাং এই বিষয়টা ব্যাখ্যা করা আরও বেশি জরুরি যে কাজের তিনটে পর্যায় ঠিক কী। ধরা যাক, “মানবজাতির উদ্ধারে ঈশ্বরের প্রথম পদক্ষেপ বিধান জারি করার কাজই কেন ছিল?” কারণ শুরুতে, মানুষ ছিল শিশুর মতো। তারা জানতো না কীভাবে ঈশ্বরের উপাসনা করতে হয়, জানতো না কীভাবে জীবনযাপন করতে হয়, এমনকি প্রাথমিক নৈতিক নিয়মকানুন, যেমন হত্যা বা চুরি যে পাপ, তা-ও উপলব্ধি করতো না। পৃথিবীতে কীভাবে বাঁচতে হয় তা মানুষকে শেখানোর জন্য যিহোবা ঈশ্বর বিধান ও আদেশ জারি করলেন, এবং মানুষকে বললেন হত্যা, চুরি, ব্যভিচার, ইত্যাদি না করতে, যার ফলে মানুষের পাপ সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা হল, তারা জানল কোনটা করা উচিত আর কোনটা নয়, বিধান ও বিশ্রামবার পালন করতে শিখল। যারা বিধান পালন করতো তারা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতো, এবং যারা তা লঙ্ঘন করতো তারা দোষী সাব্যস্ত হতো এবং তাদের অবশ্যই প্রায়শ্চিত্ত হিসাবে পাপস্খালনের বলি উৎসর্গ করতে হতো। মানুষ যখন কিছু নির্দিষ্ট বিধান ও নিয়ম লঙ্ঘন করতো, তখন যিহোবার ক্রোধ ও দণ্ড নেমে আসতো, এবং তাদের প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা হতো বা স্বর্গ থেকে নেমে আসা আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হতো। ইসরায়েলের জনগণ ঈশ্বরের মহিমা ও ক্রোধের স্বাদ পেয়েছিল, সেইসাথে পেয়েছিল তাঁর যত্ন ও করুণাও, এবং তারা নিশ্চিত হয়েছিল যে যিহোবা ঈশ্বরই একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তাই তারা সকলেই যিহোবাকে ভয় পেতো ও তাঁর বিধান মান্য করতো, পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতো আর ঈশ্বরের উপাসনা করতো, এবং তারা ঈশ্বরের উপস্থিতিতে জীবনযাপন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই ছিল বিধানের যুগে ঈশ্বরের কাজের অর্জিত ফলাফল। সুতরাং, বিধানের যুগে ঈশ্বরের কাজ শেষ হওয়ার অর্থ কি এই ছিল যে তাঁর মানবজাতিকে উদ্ধারের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছিল? অবশ্যই না। যদিও বিধানের যুগের মানুষেরা জানতো পাপ কী, কীভাবে উৎসর্গ ও প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়, এবং কীভাবে ঈশ্বরের উপাসনা করতে হয়, কিন্তু শয়তানের দ্বারা ভ্রষ্ট হওয়ার কারণে তারা প্রায়ই বিধান মেনে চলতে ব্যর্থ হতো। বিশেষ করে, বিধানের যুগের শেষের দিকে, মানুষ খুবই ঘন ঘন পাপে লিপ্ত হতো, এবং সেগুলোর প্রায়শ্চিত্ত করার মতো যথেষ্ট পাপস্খালনের বলির উৎসর্গ তাদের ছিল না। ঈশ্বরের কাজ যদি বিধানের যুগেই স্তব্ধ হয়ে যেত, তাহলে মানুষ তাদের সমস্ত পাপের জন্য বিধানের দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হতো ও মৃত্যুদণ্ড লাভ করতো, এবং মানবজাতিই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। তাই, যিহোবা ঈশ্বর নবীদের মাধ্যমে ইসরায়েলিদের জানালেন, মানবজাতিকে মুক্ত করতে তাদের পাপস্খালনের বলি হয়ে মশীহ আসবেন। ভবষ্যদ্বাণীগুলোতে বলা হয়েছে, “আমাদের জন্য একটি শিশুর জন্ম হয়েছে! একটি পুত্র দেওয়া হয়েছে আমাদের! তিনিই হবেন আমাদের রাজা। তাঁকে বলা হবে মহান উপদেষ্টা ‘পরাক্রমশালী ঈশ্বর’, ‘সনাতন পিতা’, ‘শান্তিরাজ’” (যিশাইয় ৯:৬)। “কিন্তু প্রভু পরমেশ্বর আমদের সমস্ত অপরাধের দায় তুলে দিলেন তাঁর উপরে” (যিশাইয় ৫৩:৬)। “অপরের পাপের ক্ষমার জন্য প্রায়শ্চিত্ত বলিরূপে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন যিনি” (যিশাইয় ৫৩:৯)। এর পর, তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ঈশ্বর প্রভু যীশু হিসাবে অবতাররূপে এলেন মানবজাতিকে মুক্ত করার কাজ করতে। মানুষের মাঝে বসবাসকালীন প্রভু যীশু অনেক সত্য প্রকাশ করেছেন, মানুষকে শিখিয়েছেন তাদের পাপ স্বীকার করতে ও অনুতপ্ত হতে, তাদের সমস্ত হৃদয়, আত্মা, ও মন দিয়ে ঈশ্বরকে ভালোবাসতে, প্রতিবেশীকে নিজের মতো করে ভালোবাসতে, আত্মায় ও সত্যে ঈশ্বরের উপাসনা করতে, ইত্যাদি। এইসব সত্য বিধানকে সম্পূর্ণরূপে নিখুঁত করে তুলেছিল এবং মানুষকে অনুশীলনের নতুন পথ দিয়েছিল। এছাড়াও তিনি অসুস্থের নিরাময় করেছেন, অপদেবতাদের বহিষ্কার করেছেন, মানুষের পাপ ক্ষমা করেছেন, আশীর্বাদ ও অনুগ্রহ প্রদান করেছেন, এবং অবশেষে পাপবিহীন এক দেহ হিসাবে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি প্রত্যেকের পাপ গ্রহণ করেছিলেন এবং মানবজাতিকে মুক্ত করেছিলেন। তার পর, মানুষ যখন পাপ করতো, তাদের আর উৎসর্গের বলি দিতে হতো না। যতক্ষণ তারা প্রার্থনা করতো ও পাপ স্বীকার করতো, ততক্ষণ তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হতো এবং তারা ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও অনুগ্রহ উপভোগ করতো। মানুষ ঈশ্বরের করুণাময় ও প্রেমপূর্ণ স্বভাব অনুভব করেছিল, এবং ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটাই ঘনিষ্ঠ ছিল। এটা স্পষ্ট যে প্রভু যীশুর কাজ পুরাতন নিয়মের ভবিষ্যদ্বাণীগুলোকে পুরোপুরি সার্থক করে তুলেছিল। তা মানুষকে বিধানের শৃঙ্খল থেকে উদ্ধার করেছিল, বিধানের যুগকে সমাপ্ত করেছিল, এবং মানবজাতিকে নিয়ে এসেছিল অনুগ্রহের যুগে। এ থেকে প্রমাণ হয়, প্রভু যীশুই ছিলেন পরিত্রাতা, এবং মশীহের আগমন। প্রভু যীশুর প্রকাশিত সত্য ও তাঁর মুক্তির কাজ হল ঈশ্বরের স্বভাব এবং ঈশ্বরের যা আছে ও তিনি যা, তার অভিব্যক্তি, এবং তা ঈশ্বরের অনন্য কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে, যা প্রমাণ করে যে প্রভু যীশু ঈশ্বরের অবতার, এবং প্রভু যীশু ও যিহোবা এক আত্মা ও এক ঈশ্বর। এটা ঠিক যেমন প্রভু যীশু বলেছিলেন, “আমি পিতার মাঝে এবং আমারই মাঝে পিতা বিরাজিত” (যোহন ১৪:১০)। “আমার পিতা এবং আমি অভিন্ন” (যোহন ১০:৩০)। মুক্তির কাজ এবং বিধানের যুগের কাজ হল কাজের দুটো ভিন্ন পর্যায় যা ভিন্ন ভিন্ন যুগে একই ঈশ্বর সম্পন্ন করেছেন। ঠিক যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য বলে: “যীশু যে কাজ করেছিলেন তা যীশুর নামের প্রতিনিধিত্ব করেছিল, এবং তা অনুগ্রহের যুগের প্রতিনিধিত্ব করেছিল; আর যে কাজ যিহোবা করেছিলেন, তা যিহোবার প্রতিনিধিত্ব করেছিল, এবং বিধানের যুগের প্রতিনিধিত্ব করেছিল। তাঁদের কাজ ছিল দুটি ভিন্ন যুগে সম্পাদিত একই আত্মার কাজ। … সুনির্দিষ্টভাবে, যেহেতু যীশু এসে যিহোবার কাজের উপসংহার টেনেছিলেন, যিহোবার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন, এবং তদুপরি, তাঁর নিজের কাজ, একটি নতুন কাজ সম্পাদিত করেছিলেন, তা প্রমাণ করে যে এ ছিল এক নতুন যুগ এবং যীশুই ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। তাঁরা কাজের দুটি স্বতন্ত্র ভিন্ন পর্যায় সম্পাদিত করেছিলেন। একটি পর্যায় মন্দিরের মধ্যে এবং অন্যটি মন্দিরের বাইরে পরিচালিত হয়েছিল। একটি পর্যায় ছিল বিধান অনুসারে মানুষের জীবনের নেতৃত্ব দেওয়া, এবং অন্যটি ছিল পাপস্খালনের বলি উৎসর্গ করা। কাজের এই দুটি পর্যায় ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন; তা পুরানো যুগ থেকে নতুন যুগকে পৃথক করে, এবং একদম সঠিকভাবেই বলা যায় যে তারা দুটি ভিন্ন যুগ। তাঁদের কাজের স্থান ছিল ভিন্ন, এবং তাঁদের কাজের বিষয়বস্তু ছিল ভিন্ন, এবং তাঁদের কাজের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। অর্থাৎ, তাদের দুটি ভিন্ন যুগ হিসাবে ভাগ করা যায়: নতুন ও পুরাতন নিয়ম, যাকে বলে, নতুন ও পুরাতন যুগ। … এই দু’টি কাজকে দু’টি ভিন্ন নামে ডাকা হলেও, একই আত্মা কাজের এই দুটি পর্যায় সম্পন্ন করেছিলেন, আর সেই কাজ নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সম্পাদিত হয়েছিল। যেহেতু তাদের নাম ছিল ভিন্ন, এবং কাজের বিষয়বস্তুও ছিল ভিন্ন, তাই যুগও ছিল ভিন্ন। যখন যিহোবা এসেছিলেন, সেটা ছিল যিহোবার যুগ, এবং যখন যীশুর আগমন হয়েছিল, তখন সেটা ছিল যীশুর যুগ। এবং তাই, প্রতিটি আগমনের সাথে, ঈশ্বরকে একটি নামে ডাকা হয়, তিনি একটি যুগের প্রতিনিধিত্ব করেন, এবং তিনি একটি নতুন পথের সূচনা করেন; এবং প্রতিটি নতুন পথে তিনি একটি নতুন নাম গ্রহণ করেন, যা দর্শায় যে ঈশ্বর চিরনতুন এবং তিনি কখনও পুরনো নন, এবং তাঁর কাজের অগ্রগতি কখনো থেমে থাকে না” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের কাজের দর্শন (৩))। অনুগ্রহের যুগ দু’হাজার বছর স্থায়ী হয়েছিল, এবং প্রায় সব বিশ্বাসীই ভেবেছিল, প্রভু যীশু যখন মানবজাতির মুক্তির জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন তখনই ঈশ্বরের মানবজাতিকে উদ্ধারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, এবং অন্তিম সময়ে যখন প্রভু ফিরে আসবেন, তখন বিশ্বাসীদের তিনি সরাসরি স্বর্গে উন্নীত করবেন। ব্যাপারটা কি সত্যিই তাই? এ কথা সত্যি যে বিশ্বাসীদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে, কিন্তু মানুষের পাপপূর্ণ প্রকৃতির এখনও সমাধান হয়নি। আমরা এখনও আমাদের পাপপূর্ণ প্রকৃতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, আমরা প্রায়ই অনিচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলি ও পাপ করি, খ্যাতি ও লাভের জন্য লড়াই করি, আমরা ঈর্ষাপরায়ণ, অহঙ্কারী, নিজের নৈতিকতা বিষয়ে উদ্ধত, এবং প্রতিবাদী, আমরা সহিষ্ণু হতে অসমর্থ, প্রতিবেশীদের আমরা নিজের মতো করে ভালোবাসতে পারি না, আর প্রভুকে ভালোবাসা ও মান্য করা তো আমাদের পক্ষে আরও কঠিন। দু’হাজার বছর ধরে, সমস্ত বিশ্বাসীরাই এই দিনে পাপ করা ও রাতে পাপ স্বীকার করার চক্রের মধ্যে আটক হয়ে জীবন কাটিয়ে এসেছে, এবং পাপের মধ্যে বাস করার যন্ত্রণা ও কষ্টকে আমরা গভীরভাবে অনুভব করছি। এ এক অখণ্ডনীয় সত্য। এইভাবে পাপের মধ্যে যারা বেঁচে আছে তারা কি উদ্ধার লাভ করেছে? তারা কি স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে? প্রভু যীশু বলেছেন, “তোমাদের আমি সত্যই বলছি, পাপ যে করবে সে-ই পাপের ক্রীতদাস। পরিবারে ক্রীতদাসের স্থান চিরস্থায়ী নয় কিন্তু পুত্রের স্থান চিরকালের” (যোহন ৮:৩৪-৩৫)। “অতএব তোমরা পবিত্র হও, কারণ আমি পবিত্র” (লেবীয় পুস্তক ১১:৪৫)। “পবিত্রতা ছাড়া কোন মানুষ প্রভুকে দেখতে পাবে না” (হিব্রু ১২:১৪)। ঈশ্বর ধার্মিক ও পবিত্র, যে মানুষেরা প্রায়ই পাপ করে ও তাঁকে প্রতিরোধ করে তাদের তিনি কীভাবে তাঁর রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারেন? তাই, প্রভু যীশু যখন মুক্তির কাজ শেষ করলেন, তখন বললেন যে তিনি আবার আসবেন, মানবজাতিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিশুদ্ধ ও উদ্ধার করার জন্য অন্তিম সময়ে বিচারের কাজ করতে, এবং মানুষকে রাজ্যে নিয়ে আসতে। এটা ঠিক যেমন প্রভু যীশু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, “আমার এখনও অনেককিছুই তোমাদের বলার আছে, কিন্তু এখন তোমরা সেগুলো বহন করতে পারবে না। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনি তোমাদের সকল সত্যের পথে পরিচালিত করবেন” (যোহন ১৬:১২-১৩)। “তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ, সেই সত্যের দ্বারা তুমি তাদের শুচিশুদ্ধ কর” (যোহন ১৭:১৭)। “যে আমার বাক্য গ্রহণ না করে আমাকে প্রত্যাখ্যান করে, তারও বিচারকারী রয়েছে: শেষের দিনে আমার মুখনিঃসৃত সেই বাণীই হবে তার বিচারক” (যোহন ১২:৪৮)। অন্তিম সময়ে, প্রভু যীশু তাঁর প্রতিশ্রুতি মতো অবতাররূপে ফিরে এসেছেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হয়ে, মানবজাতিকে পরিশুদ্ধ ও উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সত্য প্রকাশ করতে, এবং ঈশ্বরের গৃহ থেকে শুরু ক’রে বিচারের কাজ করতে, যা সম্পূর্ণভাবে মানুষের পাপপূর্ণ প্রকৃতির সমাধান করবে এবং ঈশ্বরের দ্বারা সম্পূর্ণ উদ্ধার পাওয়ার অনুমতি দেবে। এটা আমাদের দেখায় যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই “সত্যের আত্মা” এবং তিনিই অন্তিম সময়ে আবির্ভূত ও কর্মরত প্রভু যীশু।
বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার করার জন্য সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের কয়েকটা অনুচ্ছেদ দেখে নেওয়া যাক। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “এই অবতার হল ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতার রূপ, যিনি যীশুর কাজের অনুসরণ করেন। অবশ্যই, এই অবতারত্ব স্বাধীনভাবে ঘটে না; এটি আইনের যুগ এবং অনুগ্রহের যুগের পরে কাজের তৃতীয় স্তর। প্রতিবার যখন ঈশ্বর কাজের একটি নতুন পর্যায়ের সূচনা করেন, তখন সর্বদা এক নতুন সূচনা হবে এবং তা সর্বদা এক নতুন যুগকে নিয়ে আসবে। এর সাথে সঙ্গতি রেখে ঈশ্বরের স্বভাব, তাঁর কাজ করার পদ্ধতি, তাঁর কাজের স্থান, এবং তাঁর নামেও একই রকম পরিবর্তন হয়েছে। তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, নতুন যুগে ঈশ্বরের কাজকে মেনে নেওয়া মানুষের পক্ষে কঠিন। কিন্তু মানুষ যেভাবেই তাঁর বিরোধিতা করুক না কেন, ঈশ্বর সর্বদা তাঁর কাজ করছেন এবং সর্বদা সমগ্র মানবজাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যীশু যখন মানুষের জগতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তিনি অনুগ্রহের যুগের সূচনা করেছিলেন এবং আইনের যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন। অন্তিম সময়ে, ঈশ্বর আরও একবার দেহরূপে আবির্ভূত হয়েছেন এবং এই অবতারের মাধ্যমে তিনি অনুগ্রহের যুগের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের যুগের সূচনা করেছেন। যারা ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতারকে গ্রহণ করতে সক্ষম তাদের সকলকে রাজ্যের যুগে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেইসাথে তারা ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরের নির্দেশনা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। যদিও যীশু মানুষের মধ্যে অনেক কাজ করেছিলেন, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র সমস্ত মানবজাতির মুক্তি সম্পূর্ণ করেছিলেন এবং মানুষের পাপস্খালনের বলি হয়েছিলেন; তিনি মানুষকে তার সমস্ত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্তি দেননি। শয়তানের প্রভাব থেকে মানুষকে পুরোপুরি মুক্ত করার জন্য শুধু যীশুর পাপস্খালনের বলি হওয়া আর মানুষের পাপ বহন করার প্রয়োজন ছিল তাই নয়, বরং মানবজাতিকে সম্পূর্ণরূপে তার শয়তানোচিত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বরের আরো মহত্তর কর্মের প্রয়োজন ছিল। এবং তাই, এখন যখন মানুষ তার পাপের ক্ষমা পেয়েছে, ঈশ্বর মানুষকে নতুন যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেহরূপে ফিরে এসেছেন এবং শাস্তি ও বিচারের কাজ শুরু করেছেন। এই কাজ মানুষকে এক উচ্চতর জগতে নিয়ে এসেছে। যারা তাঁর রাজত্বের অধীনে আত্মসমর্পণ করে তারা উচ্চতর সত্য উপভোগ করবে এবং বৃহত্তর আশীর্বাদ লাভ করবে। তারা প্রকৃতপক্ষেই আলোতে বাস করবে, এবং তারা সত্য, পথ ও জীবন লাভ করবে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ভূমিকা)।
“এই বিচার ও শাস্তিদানের কার্যের মাধ্যমে মানুষ নিজের ভিতরের কলুষিত ও ভ্রষ্ট সত্তার সম্বন্ধে জানতে পারবে, এবং সে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত ও শুদ্ধ হতে সক্ষম হবে। একমাত্র এই উপায়েই মানুষ ঈশ্বরের সিংহাসনের সম্মুখে প্রত্যাবর্তনের যোগ্য হয়ে উঠবে। এখনকার দিনে যে সমস্ত কার্য সম্পাদিত হয়, তা সকলই মানুষকে শুদ্ধ ও পরিবর্তিত করার জন্য; বাক্য দ্বারা বিচার ও শাস্তির মাধ্যমে, এবং সেইসাথে পরিমার্জনের দ্বারা, মানুষ যাতে কলুষতা দূর করতে ও পরিশুদ্ধ হতে পারে। এই পর্যায়ের কাজকে পরিত্রাণের কাজ হিসেবে গণ্য না করে বরং শুদ্ধিকরণের কাজ বললে বেশি যথার্থ হবে। আসলে, এই পর্যায়টি হল বিজয়লাভের পর্যায়, এবং সেইসাথে পরিত্রাণের কার্যের দ্বিতীয় পর্যায়” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অবতাররূপের রহস্য (৪))।
“আজকের কাজ অনুগ্রহের যুগের কাজকে এগিয়ে দিয়েছে; অর্থাৎ সমগ্র ছয় হাজার বছরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার অধীনের কাজই সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। যদিও অনুগ্রহের যুগ শেষ হয়েছে, কিন্তু ঈশ্বরের কাজে উন্নতি ঘটেছে। কেন আমি বারবার বলি যে কাজের এই পর্যায় অনুগ্রহের যুগ এবং বিধানের যুগের উপর ভিত্তি করে তৈরি? কারণ, আজকের দিনের কাজ অনুগ্রহের যুগে যুগে সম্পন্ন কাজেরই ধারাবাহিকতা, এবং বিধানের যুগে সম্পন্ন কাজের চাইতে অগ্রগতিপ্রাপ্ত। এই তিনটি পর্যায় দৃঢ়ভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত, শৃঙ্খলের প্রতিটি অংশ পরবর্তি অংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ। কেন আমি একথাও বলি যে, কাজের এই পর্যায়টি যীশুর দ্বারা সম্পন্ন কাজের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে? ধরে নেওয়া যাক, এই পর্যায়টি যীশুর দ্বারা সম্পন্ন কাজের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে নি, তাহলে এই পর্যায়ে অন্য একটি ক্রুশবিদ্ধকরণ ঘটত, এবং পূর্বতন ধাপের পরিত্রাণমূলক কাজগুলি আবার নতুন করে করতে হত। তা হতো অর্থহীন। এবং তাই, কাজটি সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এমন নয়, বরং যুগ সামনের দিকে এগিয়েছে, এবং কাজের মাত্রা আগের চাইতে উচ্চতর করা হয়েছে। এটা বলা যেতে পারে যে কাজের এই পর্যায়টি বিধানের যুগের ভিত্তির উপরে তৈরী, এবং যীশুর কাজের প্রস্তরের উপর নির্মিত। ঈশ্বরের কাজ ধাপে ধাপে নির্মিত, এবং এই ধাপটি কোনো নতুন সূচনা নয়। শুধুমাত্র কাজের এই তিনটি পর্যায়ের সমন্বয়কেই ছয় হাজার বছরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনা বলে গণ্য করা যেতে পারে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, দু’টি অবতার অবতাররূপের তাৎপর্য সম্পূর্ণ করে)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যগুলো খুবই স্পষ্ট। প্রভু যীশুর মুক্তির কাজ শুধু মানুষের পাপ ক্ষমা করেছিল, কিন্তু তা মানুষের পাপপূর্ণ প্রকৃতিকে অপসারিত করেনি, বা মানুষকে পাপ থেকে সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করেনি, তাই ঈশ্বরের মানবজাতিকে উদ্ধারের কাজ সমাপ্ত হয়নি। প্রভু যীশুর মুক্তির কাজ অন্তিম সময়ে বিচারের কাজের পথ প্রস্তুত করেছিল। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সম্পাদিত মানবজাতির বিচার, পরিশোধন, ও উদ্ধারের কাজ হল ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার চূড়ান্ত পর্যায়, এবং এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ও বটে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর প্রভূত সত্য প্রকাশ করেছেন, যা উন্মুক্ত করেছে বাইবেলের সমস্ত রহস্যকে ও সেইসাথে ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার সকল রহস্যকে, যার মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য, কাজের তিন পর্যায়ের অন্তর্নিহিত সত্য, অবতাররূপের রহস্য, ঈশ্বর কীভাবে মানুষকে পরিশুদ্ধ ও উদ্ধারের জন্য বিচারের কাজ করেন, সমস্ত ধরনের মানুষের পরিণাম ও গন্তব্য, কীভাবে পৃথিবীতে খ্রীষ্টের রাজ্য বাস্তবায়িত হবে, ইত্যাদি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এছাড়াও মানুষের পাপ ও ঈশ্বর-প্রতিরোধের মূল কারণের প্রকাশ ও বিচার করেছেন, যে কারণ হল মানুষের শয়তানোচিত প্রকৃতি ও শয়তানসুলভ স্বভাব। তিনি সত্যের সমস্ত দিকও প্রকাশ করেছেন যা মানুষকে তার ঈশ্বর-বিশ্বাসে অবশ্যই অনুশীলন করতে হবে ও তাতে প্রবেশ করতে হবে, যেমন, ঈশ্বর-বিশ্বাসে ধারণ করার মতো প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গি, কীভাবে ঈশ্বরের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক লাভ করা যায়, কীভাবে সৎ মানুষ হওয়া যায়, কীভাবে ঈশ্বরে ভীতি অর্জন ও মন্দের পরিত্যাগ করা যায়, এবং কীভাবে ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য অর্জন করা যায়, ঈশ্বরকে ভালোবাসা যায়, ইত্যাদি। ভ্রষ্টতা পরিত্যাগ করতে এবং ঈশ্বরের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে উদ্ধারলাভ করতে মানুষকে অবশ্যই এই সমস্ত সত্যের বাস্তবতায় প্রবেশ করতে হবে। ঈশ্বরের মনোনীত অনেক ব্যক্তির কাছে, ঈশ্বরের বাক্যের বিচার, শাস্তি, কর্তন, মোকাবিলা, পরীক্ষা, ও পরিমার্জন তাদের ধীরে ধীরে নিজের শয়তানোচিত স্বভাব ও প্রকৃতিকে বুঝতে দিয়েছে, উপলব্ধি করতে দিয়েছে যে ঈশ্বরের স্বভাব হচ্ছে পবিত্র, ধার্মিক, এবং যাকে ক্ষুব্ধ করা যায় না, তাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রতি ভীতি তৈরী করেছে এবং তাদের প্রকৃত অনুতাপ করতে দিয়েছে, তাদের ভ্রষ্ট স্বভাব পরিশুদ্ধ ও পরিবর্তন করতে দিয়েছে, এবং ঈশ্বরের প্রতি তাদের প্রকৃত আনুগত্য অর্জন করতে দিয়েছে। যে নিপীড়ন, প্রতিকূল অবস্থা, পরীক্ষা, বা পরিমার্জনেরই সম্মুখীন হোক, তারা অবিচলভাবে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে অনুসরণ করতে পারে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রসার করতে ও তার সাক্ষ্য দিতে পারে, এবং শয়তানের উপর বিজয়লাভের প্রচুর সুন্দর সাক্ষ্য প্রস্তুত করতে পারে। তাদের অভিজ্ঞতামূলক সাক্ষ্য অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে, এবং সেগুলো সারা প্রথিবীর কাছে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আবির্ভাব ও কাজের সাক্ষ্য বহন করছে। এরাই সেই জয়ী যাদের ঈশ্বর বিশাল বিপর্যয়ের আগে সম্পূর্ণ করে তোলেন, এবং এরাই হল প্রথম ফল, যা প্রকাশিত বাক্যের ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণভাবে সফল করে তোলে, “মেষশাবক যেখানে যান সেখানেই যারা তাঁকে অনুসরণ করে এরাই তারা। মানুষের মধ্যে থেকে ঈশ্বরের প্রতি ও মেষশাবকের প্রতি প্রথম ফল হিসাবে এরাই মুক্তি পেয়েছিল” (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৪)। এবং তা ঠিক সেরকমও যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেন। “এই তিন-পর্যায়ের কাজ যখন সমাধা হবে, তখন এই কাজের সাক্ষ্য বহনের জন্য গড়ে উঠবে এক মানবগোষ্ঠী যারা ঈশ্বরকে জেনেছে। এই গোষ্ঠীর সকলেই ঈশ্বরকে জানবে এবং সত্যকে বাস্তবায়িত করতে পারবে। তারা মানবিকতা এবং বোধের অধিকারী হবে এবং সকলেই ঈশ্বরের পরিত্রাণের কাজের তিনটি পর্যায় জানবে। এই কাজই শেষপর্যন্ত সম্পন্ন হবে, এবং এই ব্যক্তিগণই হল ৬,০০০ বছরের ব্যবস্থাপনার স্ফটিককরণ-স্বরূপ; এবং তা হবে শয়তানের চূড়ান্ত পরাজয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী সাক্ষ্য। ঈশ্বরের কাছে যারা এই সাক্ষ্য বহন করে নিয়ে যেতে পারবে, তারা পাবে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি এবং আশীর্বাদ এবং শেষপর্যন্ত তারাই হবে সেই গোষ্ঠী যারা ঈশ্বরের কর্তৃত্বের অধিকারী হয়ে উঠবে এবং বহন করবে ঈশ্বরের সাক্ষ্য” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরকে জানার পথ হল তাঁর কাজের তিনটি পর্যায় জানা)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর প্রচুর সত্য ব্যক্ত করেছেন এবং এমন বিশাল কাজ সুসম্পন্ন করেছেন, যা ঈশ্বরের অনন্য কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে, এবং এটাই প্রমাণ করে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ও প্রভু যীশু একই আত্মা এবং এক ঈশ্বর। তাহলে, এই মুহূর্তে একটু বিরতি নিয়ে বিবেচনা করা যাক: ঈশ্বর ব্যতীত, কে এত পরিমাণ সত্য প্রকাশ করতে এবং ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার রহস্য প্রকাশ করতে পারে? মানুষের পাপ এবং ঈশ্বর-প্রতিরোধের মূল কারণ কে অনাবৃত করতে পারে? ঈশ্বর ছাড়া আর কে মানুষের ভ্রষ্টতার বিচার করতে পারে এবং মানবজাতিকে পাপ থেকে সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করতে পারে? কে ঈশ্বরের পবিত্র ও ধার্মিক স্বভাবের প্রকাশ করতে পারে যা কোনো অপরাধ সহ্য করে না? ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই ঈশ্বরের বাস্তব অবতার, একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি সমস্তকিছুর আদি এবং অন্ত!
তাহলে এবার কি সবাই পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছে? বিধানের যুগ, অনুগ্রহের যুগ, ও রাজ্যের যুগে সম্পাদিত কাজের তিনটে পর্যায় হল বিভিন্ন যুগে মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য ঈশ্বরের কাজের তিনটে পৃথক পর্যায়। বিধানের কাজ মানুষকে শিখিয়েছে পাপ কী, মুক্তির কাজ তাদের পাপ মুক্ত করেছে, এবং বিচারের কাজ তাদের পাপকে নির্মূল করতে দিচ্ছে। কাজের এই তিনটে পর্যায় অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত, প্রতিটা তার আগেরটার উপরে নির্মিত, এবং পরিশেষে, মানুষ শয়তানের প্রভাব থেকে সম্পূর্ণভাবে উদ্ধারলাভ করে এবং তাদের ঈশ্বরের রাজ্যে নিয়ে আসা হয়। এটাই ঈশ্বরের মানবজাতিকে পরিচালনা ও উদ্ধার করার সমগ্র প্রক্রিয়া। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এটা এক ঈশ্বরের দ্বারাই সম্পাদিত। যদিও ঈশ্বরের নাম ভিন্ন, এবং তাঁর পদ্ধতি ও কাজও ভিন্ন, কিন্তু ঈশ্বরের সারমর্ম, ঈশ্বরের যা আছে ও তিনি যা, এবং ঈশ্বরের স্বভাব অভিন্ন, এবং তা কখনোই পরিবর্তিত হয় না। আমরা যদি বিধানের যুগে যিহোবা ঈশ্বরের কথিত বাক্যগুলোর দিকে দেখি, অনুগ্রহের যুগে প্রভু যীশুর বাক্যের দিকে দেখি, এবং রাজ্যের যুগে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের দিকে দেখি, এই সমস্ত বাক্যই হল সত্য। সেগুলো ঈশ্বরের স্বভাবের এবং ঈশ্বরের যা আছে ও তিনি যা তার অভিব্যক্তি, সেগুলো একই উৎস থেকে আসে, এবং সেগুলো এক ও অদ্বিতীয় আত্মার কণ্ঠ ও বাক্য। এটাই প্রমাণ যে কাজের তিনটে পর্যায় এক ঈশ্বরের সম্পাদিত। ঠিক যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যে বলা আছে। “যিহোবার কাজ থেকে যীশুর কাজ পর্যন্ত, এবং যীশুর কাজ থেকে বর্তমান পর্যায় পর্যন্ত, এই তিনটি পর্যায় এক নিরবচ্ছিন্ন যোগসূত্রে ঈশ্বরের ব্যবস্থাপনার ব্যাপ্তিকে বিধৃত করে, এবং তা সবই এক আত্মার কাজ। পৃথিবীর সৃষ্টির পর থেকে ঈশ্বর সর্বদাই মানুষকে পরিচালনার কাজ করে চলেছেন। তিনিই আদি এবং অন্ত, তিনিই প্রথম এবং অন্তিম, এবং তিনিই সেই একক যে একটি যুগের সূচনা করেন এবং তিনিই সে যে সেই যুগকে সমাপ্ত করেন। বিভিন্ন যুগে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে তিনটি পর্যায়ের কাজ, অভ্রান্তভাবে এক আত্মার কাজ। যারা এই তিনটি পর্যায়কে পৃথক করে, তারা সকলেই ঈশ্বরের বিপক্ষে অবস্থান করে। এবার তোমার এই কথা বোঝা উচিত যে প্রথম পর্যায় থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত কাজ একক ঈশ্বরের কাজ, একক আত্মার কাজ। এই বিষয়ে কোনও দ্বিধা থাকতে পারে না” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের কাজের দর্শন (৩))। “তিনি করুণা এবং প্রেমময় উদারতায় পূর্ণ ঈশ্বর; তিনি মানুষের জন্য পাপস্খালনের বলি এবং মানুষের মেষপালক; কিন্তু আবার তিনিই মানুষের বিচার, শাস্তি এবং অভিশাপ। তিনি পৃথিবীতে দুই হাজার বছর ধরে মানুষকে জীবনযাপন করার নেতৃত্ব দিতে পারেন, এবং তিনি ভ্রষ্ট মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্তিও দিতে পারেন। আজ তিনি সেই মানবজাতিকে জয় করতেও সক্ষম যারা তাঁকে চেনেনা, এবং তাদের নিজের রাজত্বের অধীনে প্রণত করতেও সক্ষম, যাতে সবাই তাঁর কাছে সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করে। শেষে, তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে মানুষের মধ্যে যা কিছু অশুদ্ধ এবং অধর্ম রয়েছে, তাকে ভস্মীভূত করবেন, তাদের দেখানোর জন্য যে তিনি শুধুমাত্র করুণাময় এবং প্রেমময় ঈশ্বর নন, শুধুমাত্র প্রজ্ঞা এবং বিস্ময়ের ঈশ্বর নন, শুধুমাত্র পবিত্র ঈশ্বর নন, তিনি সেই ঈশ্বরও, যিনি মানুষকে বিচার করেন” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, দু’টি অবতার অবতাররূপের তাৎপর্য সম্পূর্ণ করে)।
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।