লোকেদের নিচু চোখে ভর্ৎসনার মাধ্যমে আমার কদর্যতার প্রকাশ

31-03-2023

গত বছর অক্টোবরে, আমি গির্জার সুসমাচারের কাজের তত্ত্বাবধান করছিলাম। গির্জায় এমন কয়েকজন নতুন সদস্য ছিলেন যারা সবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, আর তাই আমি প্রায়ই তাদের সাথে সুসমাচার প্রচার করারনীতির বিষয়ে আলোচনা করতাম আর তাদের সঙ্গে নিয়েই সুসমাচারপ্রচার করতে যেতাম। কিছু সময় পরে, তারা সবাই কাজে কিছুটা অগ্রগতি দেখিয়েছিল বলে আমার খুব ভাল লেগেছিল। তাদেরকে দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাধীনভাবে কাজ করানোর জন্য, তাদের উপর সুসমাচারপ্রচারের কাজ অনুশীলনের ভার দিয়েছিলাম। প্রথমে প্রথম, যখন তারা সমস্যার সম্মুখীন হত, তখন তাদের ভাল করে বুঝিয়ে দিতাম, কিন্তু কিছু সময় পরে, আমি বিরক্ত হতে শুরু করলাম। তাদের তাচ্ছিল্যের চোখে দেখতে লাগলাম: “কেউ আমাকে যখন প্রথমবার শিখিয়ে দিত তখনই আমি সেসব শিখে নিতাম। তোমাদের অনেকদিন ধরে শিখিয়েছি, তাহলে এখনও এত প্রশ্ন কেন? যখন শিখিয়েছিলাম তখন কি মনোযোগ দাওনি? তোমরা অনেকদিন পরেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব নিশ্চয়ই বলবে যে এই কাজে আর আমার কোনো দক্ষতা নেই, আর আমি মানুষকে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারি না। এভাবে চলবে না। তোমাদের কড়া কথা শোনাতেই হবে, উচিত শিক্ষা দিতে হবে।” এসব মনে হওয়া মাত্র আমি মেজাজ দেখিয়ে তাদের বকলাম। একবার, ভগিনী আই আমাকে ফোন করে বলল: “ভ্রাতা, একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে চাইছিলাম, আজ রাতে সমাবেশে আমরা ঈশ্বরের বাণীর কোন বিষয়ে আলোচনা করব?” তখন মনে হল: “এ ব্যাপারে তোমাকেআগেই বলেছি, অথচ এখনও জানো না, এমন হয় কী করে? আমার কথা কি শুনছিলে না?” এই ভেবে, জোরে আক্রমণাত্মক সুরে তাকে বললাম: “তোমাকে শেষ যে ফাইলটা পাঠিয়েছিলাম সেটা পড়া হয়েছে? প্রতিবার আমাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে কেন?” ভগিনী সাড়া দিল না আর আমিও রেগে ফোনটা রেখে দিলাম। কী করেছি সেটা পরে বুঝতে পেরে আমার নিজেকে দোষী মনে হয়েছিল। কিন্তু তারপর ভাবলাম, “আমি তার নিজের ভালোর জন্যই বলেছি। সে সবসময় আমার উপর নির্ভর করে থাকলে উন্নতি করবে কীভাবে? হয়তো এটা তার পক্ষেই ভাল হল।” এই কথা মনে হওয়ার পর থেকে আর দুশ্চিন্তা করিনি।

পরের দিন, যে ভ্রাতার সাথে কাজ করছিলাম সে আমাকে বলল: “ভগিনী আই আমাকে বলল যে গতকাল যখন সে তোমাকে প্রশ্ন করেছিল, তখন তুমি রেগে গিয়েছিলে। সে আরও জানিয়েছে যে তোমার জন্য সে বেশ চাপে ছিল আর ভয়ও পেয়েছিল।” কথাটা শুনে মনে মনে আমি অজুহাত তৈরি করছিলাম কারণ সেটা তখন পুরোপুরি মেনে নিতে পারিনি: “আমার কথাটা হয়তো কিছুটা শক্ত লেগেছে, তবে সে যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করে সেজন্যই ওভাবে বলেছিলাম। কথাটা ওভাবে না বললে, যতবার তার কোনো প্রশ্ন থাকবে ততবারই আমার কাছে আসবে। তাহলে স্বাধীন হবে কীভাবে?” কিন্তু পরে ভাবলাম: “আমি হয়তো একটু অসঙ্গত কথা বলে ফেলেছি। সর্বোপরি, ভগিনী আই সবে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। রাগ করে তাকে বকার বদলে আমার উদার হয়ে তাকে সাহায্য করা উচিত।” তাই আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে বার্তা পাঠালাম: “গতকাল আমার ব্যবহার খারাপ ছিল। তোমার উপর আমার ওভাবে রেগে যাওয়া উচিত হয়নি। আশা করি তুমি বুঝতে পারছ আর অনুগ্রহ করে এটা ব্যক্তিগতভাবে নেবে না। সেই মুহূর্তে আমার মাথা গরম যাওয়ায় তোমাকে মর্মাহত করেছিলাম।” ভগিনী আই ঠিক আছে বলে উত্তর দেন। এরপর আর আমি এ নিয়ে ভাবিনি আর নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড়ও করাইনি।

কিছু সময় পরে, আমি একজন প্রচারক হিসেবে নির্বাচিত হলাম, আরো দায়িত্ব পেলাম। কিছু নেতা-কর্মীরা সবে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিল বলে গির্জার কাজের সাথে পরিচিত ছিলেন না, তাই আমি প্রায়ই কাজের নীতির বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতাম। কাজের বিষয়েও তাদের সাথে কথা বলতাম আর বিশদে তাদের দিকনির্দেশ দিতাম আর সাহায্য করতাম। প্রথমে, যখন তাদের প্রশ্ন থাকত, তখন ধৈর্য ধরে সেসব নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতাম। কিন্তু তারা অনেকবার জিজ্ঞাসা করলে অধৈর্য হয়ে উঠতাম। তাদের বকতাম: “এটা মাথায় ঢুকছে না কেন? যখন আমি প্রথম গির্জায় কাজ শুরু করি, তখন আমার নেতা আমাকে যে দায়িত্বই দিত সেটাই স্পষ্টভাবে মনে রাখতাম, আর তাড়াতাড়ি দক্ষভাবে সেসব করে দিতাম। আমি তোমাদের সবই বলেছি আর বিশদে নির্দেশনাও দিয়েছি, তাহলে জিনিসগুলো ঠিকমত করতে পারছ না কেন?” জবাবে তারা কোনো কথা বলেনি।

পরের দিন, একজন নেতা আমাকে একটা মেসেজ পাঠাল: “আমি এতটাই বোকা যে এই কাজ করতে পারব না। অনুগ্রহ করে আমার জায়গায় কাজ করার জন্য অন্য কাউকে খুঁজে নাও।” আমি বেশ হতবাক হয়েছিলাম: সে নতুন প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে অন্যতম সেরা ছিল। তার এমন মনে হল কেন? তারপর আরেকজন নেতা আমাকে একটা মেসেজ পাঠাল: “কিছু লোক বলছে যে তারা তোমার জন্য চাপ বোধ করছে।” তখন থেকেই নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করাতে লাগলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে অন্যের ভুলত্রুটির ঠিকভাবে মোকাবিলা করছি না। ধৈর্য ধরে তাদের পথ দেখানো আর সাহায্য করার বদলে তাদের বকছিলাম আর তিরস্কার করছিলাম। সেই জন্যই তারা চাপে পড়ে যাচ্ছিল। পরে শুনলাম যে একজন ভগিনী চাপে থাকার ফলে এতটাই নেতিবাচক হয়ে পড়েছিল যেদশ দিনেরও বেশি সময় ধরে তার কাজ করেনি। এটা শুনে আমার খুব খারাপ লাগল। বিশ্বাসই করতে পারিনি না যে তাদের এত গভীরভাবে আঘাত করব। আমার কষ্ট হচ্ছিল, ভাবছিলাম যে কেন আমি রেগে যাচ্ছিলাম আর প্রত্যেকের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছিলাম। তাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম: “প্রিয় ঈশ্বর, আমি ভ্রাতা ও ভগিনীদের উপর রাগ করতে চাই না, কিন্তু তেমন কিছু হলে আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করব? দয়া করে আমাকে পথ দেখান, আমার মার্গদর্শন করুন।”

পরে, আমি ঈশ্বরের বাণীর একটা অনুচ্ছেদ দেখলাম। ঈশ্বর বলেন, “কোনো মানুষ যখন পদমর্যাদা লাভ করে, তখন মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখাটা প্রায়শই তার পক্ষে দুরূহ হয়ে উঠবে, আর তাই সে নিজের অসন্তোষ ও আবেগ নির্গমনের সুযোগ পেলে তা লুফে নেওয়াকে উপভোগ করে; আপাতদৃষ্টিতে কোনো কারণ ছাড়াই প্রায়ই সে রেগে আগুন হয়ে উঠবে, এইভাবে সে তার সামর্থ্যকে দৃষ্টগোচর করে তুলবে এবং অন্যদের অবগত করবে যে পদমর্যাদা ও পরিচিতিতে সে সাধারণ মানুষদের থেকে স্বতন্ত্র। অবশ্য কোনো পদমর্যাদাহীন ভ্রষ্ট লোকেরাও মাঝেমাঝেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে। প্রায়শই তাদের রাগের কারণ হয় তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের হানি। তাদের আপন মর্যাদা ও সম্ভ্রম রক্ষা করতে তারা তাদের আবেগের দ্বার উন্মুক্ত করে দেবে ও তাদের উদ্ধত প্রকৃতিকে প্রকাশ করবে। পাপের অস্তিত্বকে রক্ষা করতে বা তাকে সমর্থন করতে মানুষ রাগে জ্বলে উঠবে ও তার আবেগ অবারিত করে দেবে, এবং এই ক্রিয়াকলাপগুলি মানুষের অসন্তুষ্টি প্রকাশের পদ্ধতি; তারা অশুচিতায় পরিপূর্ণ, অভিসন্ধি ও চক্রান্তে কানায় কানায় পরিপূর্ণ, মানুষের কলুষ ও পাপে ভরভরন্ত, এবং সর্বোপরি, মানুষের বন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও বাসনা তাদের মধ্যে উপচে পড়ছে(বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর ২)। ঈশ্বরের বাণী আমার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরল। বুঝতে পারলাম যে আমার পদমর্যাদা বজায় রাখার জন্য কীভাবে রাগ করছিলাম। সাধারণত, সব সময় আমার কাজের ফল পেতাম বলে লোকেরা ভাবত আমি দক্ষ নেতা। কিন্তু এই ভ্রাতা ও ভগিনীদের প্রশিক্ষণের জন্য নিযুক্ত করার পর, অনেকদিনের পরেও তারা নিজেরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে, উচ্চনেতৃত্ব নিশ্চয়ই বলবে আমি যোগ্য নই। তাই যখন ভ্রাতা ও ভগিনীরা অনেকবার শেখানোর পরেও কাজটা করতে পারত না, তখন আমি খুব নেতিবাচক আর অধৈর্য হয়ে উঠতাম। যখন তারা আমার কাছে প্রশ্ন নিয়ে আসত, তখন সেই সুযোগ নিয়ে তাদের বকে, তিরস্কার করে রাগ মেটাতাম। এমনকি তাদের আমি নিজের সাথে তুলনা করতাম, তাদের তাচ্ছিল্য আর দোষারোপ করতাম। সেই জন্য তারা সবাই চাপে থাকত, এমনকি এতটাই নেতিবাচক হয়ে উঠেছিল যে নিজেদের দায়িত্বও পালন করতে চায়নি। যখন অন্যরা আমার সমস্যা ধরিয়ে দিল, তখন কিন্তু সেটা সমাধান করার জন্য সত্যের অনুসন্ধান করিনি। যদিও ভগিনী আইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম, তবে তার পিছনে আমার অন্তর্নিহিত আর সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল যে আমার মর্যাদা আর ভাবমূর্তি রক্ষা করতে হবে, ভগিনী আইকে দেখাতে হবে যে এভাবে আমার রেগে হওয়াটা একটা বিরল ঘটনা যেটা প্রায়ই হয় না, আর তাকে ভাবতে বাধ্য করতে হবে যে আমি আমার অসৎ ক্ষমাপ্রার্থনার ক্ষেত্রে বেশ ভালই যুক্তি দেখিয়েছি। ঈশ্বরের সেই বাণীর কথা মনে পড়ল: “কিছু মানুষের স্বভাব স্পষ্টতঃই খারাপ, এবং তার সবসময়েই বলে যে তাদের মেজাজ খারাপ হয়ে আছে। এটা কি শুধুই একটা অজুহাত নয়? খারাপ স্বভাব মানে ঠিক সেটাই: খারাপ স্বভাব। কেউ যখন অযৌক্তিক কোনো কাজ করেছে, বা এমন কিছু করেছে যা সকলের ক্ষতি করে, তখন সমস্যাটা তার স্বভাবের ও মানবিকতার মধ্যেই রয়েছে, কিন্তু তারা সবসময়েই বলে যে তারা সাময়িকভাবে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিল বা একটু রেগে গিয়েছিল; তারা কখনোই সমস্যাটার সারমর্ম বুঝতে পারে না। তাহলে কি সত্যিই বলা যায় সে তারা প্রকৃতপক্ষে নিজেদের ব্যবচ্ছেদ করছে ও অনাবৃত করছে?(বাক্য, খণ্ড ৩, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের উপদেশ, সমন্বয়পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ে)। আমি ঠিক তেমনই ছিলাম। আমার ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে চিন্তা করার পর মনে হল সেটা বেশ মর্যাদাপূর্ণ শোনাচ্ছিল, কিন্তু আমি সমস্যার আসল সারমর্মই বুঝতে পারিনি, এমনকি আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টাও করেছিলাম। এত দুমুখো ছিলাম! এটা বুঝতে পেরে নিজেকে সত্যিই দোষী মনে হল। আমি প্রায়ই ভ্রাতা ও ভগিনীদের বলতাম, মানুষকে ভালবেসে, মানুষের সাথে ধৈর্য ধরে কথা বলতে, কিন্তু এগুলো কথার কথা ছিল, আমার বাস্তব আচরণের সাথে মিল ছিল না।

এরপর, আমার চিন্তাভাবনা থামিয়ে নিজের আচরণ নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে লাগলাম: “যখনই কোনো কিছু আমার মনের মত না হয়, তখনই কেন আমি মেজাজ হারাই আর আমার ভ্রষ্ট স্বভাব সামনে চলে আসে? কেন আমি ভ্রাতা ও ভগিনীদের সাথে ভালভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি না?” এরপর, ঈশ্বরের বাণীর একটা অনুচ্ছেদ পেলাম। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “ঔদ্ধত্যই মানুষের ভ্রষ্ট স্বভাবের মূল। মানুষ যত উদ্ধত হয়, তত যুক্তিহীন হয়, আর সে যত যুক্তিহীন হয়, ততই সে হয়ে ঈশ্বরের প্রতি প্রতিরোধপ্রবণ। এই সমস্যা কতটা গুরুতর? উদ্ধত স্বভাবের মানুষ যে কেবল বাকি সবাইকে হেয় ভাবে তাই নয়, বরং আরও খারাপ বিষয় হল, তারা ঈশ্বরের প্রতি দাম্ভিক মনোভাব পোষণ করে এবং তাদের অন্তরে ঈশ্বর সম্পর্কে কোনো ভীতি থাকে না। মানুষ ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে, তাঁকে অনুসরণ করে বলে মনে হলেও, তারা তাঁর সাথে একেবারেই ঈশ্বরের উপযুক্ত আচরণ করে না। তারা সর্বদা মনে করে যে তারাই সত্যের অধিকারী এবং নিজেদের সম্পর্কে উঁচু ধারণা পোষণ করে। এই হল তাদের উদ্ধত স্বভাবের সারসত্য এবং মূল, আর এটা শয়তানের থেকেই আসে। অতএব, এই ঔদ্ধত্যের সমস্যার অবশ্যই সমাধান করতে হবে। একজন অপরজনের থেকে ভালো-এটা ভাবা একটা সাধারণ বিষয়। গুরুতর সমস্যা হল এই যে, কারোর উদ্ধত স্বভাব তাকে ঈশ্বরের কাছে, তাঁর সার্বভৌমত্ব এবং আয়োজনের কাছে সমর্পণের ক্ষেত্রে বাধা দেয়; এই ধরনের ব্যক্তি সর্বদা অপরের উপর ক্ষমতা বিস্তারের জন্য ঈশ্বরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব পোষণ করে। এই ধরণের মানুষ ঈশ্বরকে সামান্যতম সম্মানও করে না, ঈশ্বরকে ভালোবাসা বা তাঁর কাছে সমর্পণ করা তো দূরের কথা। যারা উদ্ধত এবং দাম্ভিক, বিশেষ করে যারা অহংকারে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে, তারা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে নিজেকে সমর্পণ করতে পারে না, এমনকি নিজেদের উন্নত করা বা সাক্ষ্যদানটুকুও করতে পারে না। এই ধরনের লোকেরা ঈশ্বরকে সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ করে এবং তাদের মধ্যে কোনোরকম ঈশ্বরভীতি থাকে না। মানুষ ঈশ্বরকে সম্মান করতে চাইলে, প্রথমেই তাদের উদ্ধত স্বভাবের সমাধান করতে হবে। তুমি তোমার উদ্ধত স্বভাবের যত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সমাধান করবে, ঈশ্বরের প্রতি তোমার সম্মানও তত বেশি থাকবে, এবং কেবল তখনই তুমি তাঁর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে পারবে, সত্য অর্জন করতে পারবে এবং তাঁকে জানতে পারবে। যারা সত্য অর্জন করে, শুধু তারাই প্রকৃতপক্ষে মানুষ(বাক্য, খণ্ড ৩, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের উপদেশ, তৃতীয় অংশ)। ঈশ্বর প্রকাশ করেছেন কীভাবে অহংকারই মানুষের ভ্রষ্ট স্বভাবের মূল। যে যত বেশি অহংকারী, তার ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করার সম্ভাবনা তত বেশি। বুঝতে পারলাম যে আমি ঠিক এমনই ছিলাম। অন্যদের গুরুত্ব দিতাম না, ভাবতাম তারা সবাই আমার থেকে নিকৃষ্ট। আমি সবসময় বিশ্বাস করতাম যে আমার ভাল গুণ আছে, আমার কাজের ক্ষেত্রে প্রতিভাবান ছিলাম আর অন্য সবার চেয়ে ভাল ছিলাম। তাছাড়া, সব সময় আমার নিজের ইতিবাচক দিকের সাথে অন্যের ভুলত্রুটির তুলনা করতাম। আমাকে কোনো কাজ একবার শেখালেই আয়ত্ত করতে পারতাম, কিন্তু তারা এতদিন পরেও শেখেনি। আমি শুধু তাদের বকতাম, সমালোচনা আর তিরস্কার করতাম, একটুও সম্মান দিতাম না। তাদের ইতিবাচক দিক আর যোগ্যতা স্বীকার করতাম না, ভালবেসে তাদের সাহায্য করা তো অনেক দূরের কথা। ভ্রাতা ও ভগিনীরা যখন সমস্যার সম্মুখীন হতেন, তখন আমি ভেবে দেখতাম না যে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের সঙ্গে ঈশ্বরের বাণী নিয়ে আলোচনা করেছিলাম কিনা, অথবা কোনোভাবে আমার চেষ্টায় ঘাটতি থেকে গিয়েছিল কিনা। তার পরিবর্তে শুধু ভাবতাম যে তারা মনে দিয়ে শুনত না, নির্বিচারে তাদের বকতাম আর কথা শোনাতাম। এত বেশি অহংকারী ছিলাম! আমাদের গির্জা ঈশ্বরের সুসমাচারের প্রচার করছিল, কিন্তু আমি বদমেজাজি ছিলাম, লোকেদের বকাঝকা করে চাপে ফেলছিলাম, তাই তারা আমাকে ভয় পেত, মন খুলে থাকতে পারত না, এমনকি এতটাই নেতিবাচক হয়ে উঠেছিল যে তাদের দায়িত্বও পালন করতে চাইত না। আমি কি সুসমাচারের কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলাম না? এইসব ভেবে আমার বেশ লজ্জা হল। আমি অন্যদের জীবনে প্রবেশের জন্য কাজে লাগার মত কিছুই করিনি। তার পরিবর্তে তাদের আঘাত করেছি আর গির্জার কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছি। আমি নিজের অহংকারী স্বভাব অনুযায়ী জীবন যাপন করছিলাম আর যে কোন সময় খারাপ কাজ করতে আর ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করতে পারতাম। যা করেছি সেসব ভেবে সত্যিই নিজেকে হেয় লাগছিল। মনে হচ্ছিল যেন নিজের মুখেই কয়েকটা থাপ্পড় মারি। নীরবে মনে মনে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম: “প্রিয় ঈশ্বর, আমার অহংকারী স্বভাবের জন্য মানুষের সাথে অন্ধ আচরণ করেছি, তাদের আঘাত করেছি, এভাবে গির্জার কাজেও ব্যাঘাত ঘটিয়েছি। প্রিয় ঈশ্বর, আমি অনুতপ্ত হতে আর বদলাতে প্রস্তুত। আমার অহংকারী স্বভাব মেটানোর পথ দেখান আর সাহায্য করুন, এটাই প্রার্থনা।”

তারপর, একদিন, আমি ঈশ্বরের বাণীর একটা স্তোত্র শুনলাম: “তোমার স্বভাব পরিবর্তন করার জন্য ঈশ্বরের বাণীকে পাথেয় কর।” “প্রথমে ঈশ্বরের উপর ভরসা করে নিজের ভেতরের সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে। অধঃপতিত স্বভাবের অবসান ঘটাও এবং তোমার নিজের অবস্থাকে প্রকৃত অর্থে উপলব্ধি করতে সক্ষম হও এবং কীভাবে আচরণ করা উচিত তা জানো; যা উপলব্ধি করতে পারবে না, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাও। একজন ব্যক্তির পক্ষে নিজেকে না জানাটাই অগ্রহণযোগ্য। প্রথমে নিজের অসুস্থতা নিরাময় করো এবং, আমার বাক্যগুলি প্রায়শই ভোজন ও পান করে এবং সেগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে, জীবনযাপন করো এবং আমার বাক্যের ভিত্তিতে কাজ করো; বাড়িতেই থাকো বা অন্য কোথাও, ঈশ্বরকে নিজের মধ্যে শক্তি চালনা করার অনুমতি দেওয়া উচিত। দৈহিকতা এবং প্রাকৃতিকতা পরিত্যাগ করো। সর্বদা ঈশ্বরের বাক্যকে নিজের মধ্যে রাজত্ব করতে দাও। তোমার জীবন পরিবর্তন হচ্ছে না ভেবে চিন্তা করার কোনও দরকার নেই; সময়ের সাথে সাথে, তুমি অনুভব করবে যে তোমার স্বভাব অনেক পরিবর্তন হয়েছে(মেষশাবককে অনুসরণ করুন ও নতুন গীত গান)। ঈশ্বরের বাণীর এই স্তোত্র আমাকে সত্যিই অনুপ্রেরণা দিল। ঈশ্বরের বাণীর মাধ্যমে অনুশীলনের একটা পথ খুঁজে পেলাম। যে কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হই না কেন, আমার প্রথমে ঈশ্বরের ইচ্ছার সন্ধান উচিত, সত্যের সন্ধান করা উচিত, আমার নিজের সমস্যার সমাধান করা উচিত, ঈশ্বরের বাণীর মাধ্যমে আমার অহংকারী স্বভাব বোঝা উচিত, দৈনন্দিন জীবনে ত্যাগ স্বীকার করার দিকে মনোযোগ দেওয়া আর সত্য অনুশীলন করা উচিত। তাহলে আমার অহংকারী স্বভাব ধীরে ধীরে বদলাবে। আমার অহংকারী স্বভাবের কারণে লোকেদের তিরস্কার করতাম, বকতাম আর নিজেকে সবসময় উৎকৃষ্ট ভাবতাম, এটা দেখায় যে আমি নিজেকে সত্যিই বুঝতাম না। সত্যি বলতে কী, আমার কাছে দেখানোর মত কিছু ছিল না। আমার দায়িত্ব বেশ তাড়াতাড়ি শিখে নিতাম, তাছাড়া সৌভাগ্যবশত বেশ কিছু প্রতিভা নিয়ে জন্মেছিলাম, কিন্তু ঈশ্বর আমাকে সেইসব প্রতিভা আর গুণ দিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না। আমার ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। প্রত্যেক ব্যক্তির গুণ আর ক্ষমতা আলাদা। সব ভ্রাতা ও ভগিনীদেরই ইতিবাচক দিক ছিল। ভগিনী আই মানুষের সাথে আলাপচারিতায় ভাল ছিল, ভাল করে বোঝাতে পারত আর ধৈর্যশীল ছিল। আমি সেইসব গুণ দেখাইনি। এটা বুঝতে পেরে আমার লজ্জা হয়েছিল। আমি ঈশ্বরের বাণী অনুশীলন করতে প্রস্তুত ছিলাম। যখন সমস্যার সম্মুখীন হতাম, তখন জেনেবুঝে ত্যাগ স্বীকার করতাম আর সত্য অনুশীলন করতাম।

মনে পড়ছে, একবার, আমাকে যেসব ভগিনীর সাথে কাজ করতে বলা হয়েছিল তাদের একজনকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে তিনি কতদূর এগিয়েছেন আর তিনি বলেছিলেন: “কাজটা এখনও শুরু করিনি। আমরা যখন প্রকল্পের ব্যাপারে আমাদের ধারণা নিয়ে আলোচনা করছিলাম তখন আমার সবকিছু বেশ স্পষ্ট লেগেছিল, কিন্তু যখন কাজটা শুরু করলাম, তখন নিশ্চিত ছিলাম না কীভাবে করব।” যখন কথাটা শুনলাম, তখন মনে হল যেন ভিতরে একরাশ রাগ জমছে। ভাবছিলাম: “এটা আপনার পক্ষে এত কঠিন কেন? যখন আমরা এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছিলাম, তখনই আমি সবকিছু পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেছিলাম। এরই মধ্যে ভুলে গেলে কী করে? আপনিকি কাজে মন দিচ্ছ না? মনে হচ্ছে আপনার সাথে একটা বোঝাপড়া করতে হবে।” ঠিক যখন আমি তাকে বকতে যাচ্ছিলাম, তখনই ঈশ্বরের এই বাণী মনে পড়ল: “মানুষ যদি সচেতনভাবে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারে, সত্যকে বাস্তব অনুশীলনে প্রয়োগ করতে পারে, নিজেদের কামনা-বাসনাকে বর্জন করতে পারে, তাদের নিজস্ব ধারণাকে পরিহার করতে পারে, এবং ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতি অনুগত ও সহানুভূতিশীল হতে পারে—এই সমস্ত কিছু তারা যদি সচেতনভাবে করতে সক্ষম হয়—তাহলে সত্যকে যথাযথভাবে বাস্তবে প্রয়োগ করা বলতে যা বোঝায় এ হল তা-ই(বাক্য, খণ্ড ৩, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের উপদেশ, কেবলমাত্র সত্যের অন্বেষণের মাধ্যমেই স্বভাবের পরিবর্তন অর্জন করা যায়)। ঠিক সময়ে ঈশ্বরের বাণী মনে করিয়ে দিল যে আমাকে ত্যাগ স্বীকার করে ঈশ্বরের বাণী অনুযায়ী অনুশীলন করতে হবে। আমি আমার অহংকারী স্বভাব অনুযায়ী কাজ করে যেতে পারি না। সে কাজটা শুরু করেনি কারণ সম্ভবত তার কিছু সমস্যা ছিল বা সামনের পথ সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা ছিল না। তার আসল পরিস্থিতি কী সেটা বুঝে, আমার সঠিকভাবে তার ভুলত্রুটিগুলো দেখা উচিত। তাই আমি শান্তভাবে, বাস্তব পরিস্থিতির আলোয় কীভাবে তার এগিয়ে যাওয়া উচিত সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলেছিলাম। আমার কথা শেষ হওয়ার পর, সেখুশি হয়ে উত্তর দিল: “আচ্ছা, আমার এইভাবে এটা করা উচিত! শেষকালে এগিয়ে যাওয়ার একটা পথ পেলাম।” ভগিনীর কাছে এই কথা শুনে আমার খুব লজ্জা লাগছিল। আমি সব সময় আমাদের কাজের সময় স্লোগান দিতাম, কিন্তু সবার অসুবিধা আর সমস্যা বোঝার জন্য সময় দিতাম না, তাদের এক-এক করে শেখানো দূরের কথা। যদি আরেকটু বেশি ধৈর্য ধরে, আর সবিস্তারে বোঝাতাম, তাহলে ভ্রাতা ও ভগিনীরা অনেক আগে থেকেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারত।

এরপর, ঈশ্বরের বাণীর আরও একটা অনুচ্ছেদ পেলাম। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “তুমি যদি কেবল মতবাদের বাক্যগুলির পুনরাবৃত্তি করে যাও, এবং মানুষকে বক্তৃতা দাও, আর তাদের সাথে মোকাবিলা করো তাহলে তুমি কি মানুষকে সত্যের উপলব্ধি দান করতে ও সত্যের বাস্তবতার মধ্যে তাদের প্রবেশ করাতে পারবে? যে সত্যের বিষয়ে তুমি আলোচনা করো তা যদি বাস্তব না হয়, যদি তা শুধুই মতবাদের বাক্যাবলী হয়, তাহলে যতই তুমি তাদের সাথে মোকাবিলা করো আর তাদের বক্তৃতা দাও, তা কোনো কাজে আসবে না। তুমি কি মনে করো যে মানুষ তোমাকে ভয় পাচ্ছে, তুমি তাদের যা করতে বলছো তা-ই করছে, এবং আপত্তি করার সাহস দেখাচ্ছে না, এগুলো তাদের সত্যোপলব্ধি করা ও আজ্ঞাকারী হয়ে ওঠার সঙ্গে সমার্থক? এটা একটা গুরুতর ভ্রান্তি; জীবনে প্রবেশ করা এত সহজ কাজ নয়। একজন নতুন কর্মকর্তা যেমন বেশ জোরালো একটা ভাবমূর্তি তৈরী করতে চায়, কিছু নেতাও সেরকম, তারা তাদের সদ্যোলব্ধ কর্তৃত্ব ঈশ্বরের মনোনীত মানুষদের উপর আরোপ করতে চেষ্টা করে যাতে প্রত্যেকে তাদের কাছে সমর্পণ করে, তারা ভাবে যে এতে তাদের কাজ সহজতর হবে। তোমার যদি সত্যের বাস্তবিকতার অভাব থাকে, তাহলে অচিরেই তোমার প্রকৃত আত্মিক উচ্চতা অনাবৃত হয়ে যাবে, তোমার যথার্থ স্বরূপ প্রকাশিত হয়ে যাবে, এবং তোমাকে বহিষ্কার করাও হতে পারে। কিছু প্রশাসনিক কাজে, মোকাবিলা, অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন, এবং অনুশাসন, অল্প পরিমাণে হলে সেটা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু তুমি যদি সত্যের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে অসমর্থ হও, তাহলে অন্তিমে এসে তবুও তুমি সমস্যার সমাধান করতে পারবে না, এবং কাজের ফলাফলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। গির্জার মধ্যে যে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই তুমি যদি লোকজনকে উপদেশ দিতে থাকো ও দোষারোপ করতে থাকো—যদি সবসময় তোমার একমাত্র কাজ হয় শুধু মেজাজ হারানো—তাহলে এ তোমার কলুষিত স্বভাবের বহিঃপ্রকাশ, এবং তুমি তোমার ভ্রষ্ট আচরণের কদর্য রূপকে প্রদর্শিত করেছো। সবসময় তুমি যদি মানুষকে এমন কর্তৃত্বব্যঞ্জকভাবে ভর্ৎসনা করো, তাহলে যত সময় যাবে, মানুষ তোমার কাছ থেকে জীবনের সংস্থান গ্রহণ করতে অসমর্থ হবে, তারা বাস্তব কিছু অর্জন করবে না, পরিবর্তে তারা তোমাকে প্রত্যাখ্যান করবে ও তোমার প্রতি বীতশ্রদ্ধ বোধ করবে(বাক্য, খণ্ড ৩, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের উপদেশ, তৃতীয় অংশ)। ঈশ্বরের বাণীর মাধ্যমে আমি বুঝতে পারলাম যে গির্জার ভ্রাতা ও ভগিনীদের সাথে কাজ করার চাবিকাঠি হচ্ছে সত্য নিয়ে স্পষ্টভাবে আলোচনা করা যাতে নীতির বিষয়ে প্রত্যেকে ভাল করে বুঝতে পারে। তবেই আমরা নিজেদের দায়িত্ব ভালভাবে পালন করতে পারব। যদি আমি সব সময় লোকেদের সঙ্গে বদমেজাজি করি আর তাদের তিরস্কার করি, তাহলে সমস্যার সমাধান করতে পারব না, উপরন্তু লোকেদের সাথে আমার ব্যবধান তৈরি করে তাদের দূরে ঠেলে দেব। পরে যখন আমি অন্যদের সাথে কাজ করেছি বা তাদের কাজের তদারকি করেছি, তখন প্রথমে তাদের আসল সমস্যা বুঝতাম। যদি এমন কিছু থাকত যা তারা বুঝতে পারেনি বা তখনও শেখেনি, তাহলে ধৈর্য ধরে তাদের সাথে নীতি আর সত্যের বিষয়ে আলোচনা করতাম আর তাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতাম। এভাবে চালানোর কিছু সময় পর, ভ্রাতা ও ভগিনীরা স্বাধীনভাবে কিছু কাজ করতে পারত আর আমরা একসাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারতাম। ঈশ্বরের বাণী পড়ে আমার অহংকারী স্বভাব সম্পর্কে কিছুটা বুঝতে পারলাম, মানুষের ভুলত্রুটিকে কীভাবে ঠিকভাবে সামলাতে হয় সেটা শিখলাম আর অন্যদের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারলাম। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ!

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

একটি সংসার ভাঙার নেপথ্যে

আমি এবং আমার স্বামী ২০১২ সালের মে মাসের শেষের দিনগুলিতে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজকে গ্রহণ করেছি। আমরা সবসময়ই একসঙ্গে ঈশ্বরের বাক্য পাঠ...

ঈর্ষার বন্ধন থেকে মুক্তি

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে, আমি তখন সবেমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ গ্রহণ করেছি। অচিরেই আমি একটা দায়িত্ব নিয়ে স্তবগানের মিউজিক...

আরামের জন্য তৃষ্ণা আমাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল

২০১৯ সালে গির্জার ভিডিওর কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আমাকে যখন আমি গির্জার নেত্রীও ছিলাম। সেই সময় আমি নিজের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করার...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন