বিশ্বাস: শক্তির উৎস
গত গ্রীষ্মে। আমি অনলাইনে অনুসন্ধান করছিলাম এবং অন্যেরা আমার সঙ্গে অনেক সত্যের সহ ভাগীতা করেছিল, এই বিষয়গুলি নিয়ে কীভাবে ঈশ্বর প্রত্যাবর্তন করেন, কীভাবে ঈশ্বরের কণ্ঠ শোনার প্রয়াস করতে হয় এবং প্রভুকে স্বাগত জানাতে হয়, কীভাবে নকল খ্রীষ্ট থেকে প্রকৃত খ্রীষ্টকে পৃথক করতে হয়, এবং সত্যের অন্যান্য বহু আঙ্গিক। আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বহু বাক্যও পড়েছিলাম। আমি মাসদুয়েক এর অনুসন্ধান করেছিলাম এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই যে প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলাম। আমি শিহরিত হয়েছিলাম এবং তাঁ র অন্তিম সময়ের কাজকে স্বীকার করেছিলাম। আমার আর তর সইছিল না প্রভুর প্রত্যাবর্তনের সুখবরটি আমার পরিবারকে জানাতে যাতে তাদের ঈশ্বরের সম্মুখে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু তাদের সঙ্গে সুসমাচারটি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ আসার আগেই আমার ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার আমায় ফেরার শমন পাঠান।
আমি পরে ফোনে তাদের সঙ্গে সুসমাচারটি ভাগ করে নিই। একবার আমার স্ত্রী এবং আমি কীভাবে প্রভুকে স্বাগত জানানো উচিত সে বিষয়ে কথা বলা শুরু করি, এবং সে আমায় প্রশ্ন করে আমি পূর্বের বজ্রালোকে বিশ্বাস করি কিনা। সে আমাকে বলে যে যাজক বলেছে সেই ব্যক্তিরা পরিবার পরিত্যাগ করেছে, তাই আমার তা ত্যাগ করা উচিত। এ কথা শুনে আমার প্রবল অস্বস্তি ও ক্রোধ হয়। আমি বললাম, “বোকামি কোরো না। কী করে তুমি তার সব কথা বিশ্বাস করতে পারো? তার এ কথা বলার কি কোনো ভিত্তি আছে? আমি চার মাসেরও বেশি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, আমি কি তোমায় ত্যাগ করেছি? আমি কি পরিবারের প্রতি যত্নশীল নই? আমি শুধু জানি যে সিসিপি উন্মাদের মতো বিশ্বাসীদের গ্রেপ্তার করছে ও শাস্তি দিচ্ছে, মানুষকে ঘরছাড়া করছে, এমনকি পরিবার ভেঙে দিচ্ছে। কীভাবে তারা সত্যের বিকৃতি ঘটিয়ে বলতে পারে যে আমরা আমাদের পরিবারকে চাই না? এসব মিথ্যে কথা। তুমি একেবারেই ওদের রটনা আর মিথ্যায় কান দেবে না।” তারপর আমি তাকে বললাম, “একজন যুক্তিসঙ্গত মানুষের প্রভুর আবির্ভাবের বিষয়ে কিছু অনুসন্ধান করা উচিত এবং দেখা উচিত সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য ঈশ্বরের কণ্ঠ কিনা। রোমীয় ১০:১৭-তে বলা আছে, ‘সুসমাচারের বাণী শুনেই বিশ্বাস উৎপন্ন হয়, খ্রীষ্ট বিষয়ক প্রচারই সেই সুসমাচার।’ প্রভু যীশু এ-ও বলেন, ‘আমার নিজের মেষপাল আমার ডাক শোনে, তাদের আমি চিনি এবং তারা আমাকে অনুসরণ করে’ (যোহন ১০:২৭)। ঈশ্বরের মেষপাল তাঁর কণ্ঠ শোনে, তাই আমাদের প্রভুর আবির্ভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনো কিছুই অনুসন্ধান করা উচিত এবং তাঁর কণ্ঠ শোনার জন্য কান পেতে রাখা উচিত। ঈশ্বরের বাক্য হল সত্য—তা শক্তিশালী ও কর্তৃত্বপূর্ণ। সেগুলি কোনো ব্যক্তির থেকে আসা সম্ভব নয়। আমি নির্ণয় করেছি যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু কারণ তাঁর বাক্য সত্য এবং তারা ঈশ্বরের কণ্ঠ।” সে কিছুতেই শুনছিল না। আমি যা করতে পারলাম তা হল কলটি সমাপ্ত করা। কয়েক সপ্তাহ পরে আমি আবার তাকে কল করি কিন্তু সে ফোন বন্ধ করে দেয়। তারপর সান্ধ্য সমাবেশের সময় হতেই সে আমাকে বারবার ফোন করতে থাকে। আমি সমাবেশে শান্তভাবে বসতে পারছিলাম না বা ঈশ্বরের বাক্যের প্রদীপ্তিও পাচ্ছিলাম না। আমি বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত, তাই এই পরিস্থিতিতে দিকনির্দেশ চেয়ে আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম। প্রার্থনার পর আমি ভাবলাম যে যদিও আমি তার মধ্যে তখনো ঈশ্বরের ইচ্ছা বোধ করিনি, আমার বিশ্বাস রাখা উচিত। আমি এর দ্বারা শৃঙ্খলিত হইনি কিন্তু সচেতন থাকতে হয়েছিল। আমি একটু শান্ত বোধ করলাম।
কিন্তু আরেকদিন, আমার স্ত্রী হঠাৎ আমায় ফোন করে বলে, “তুমি পূর্বের বজ্রালোকের ধর্মোপদেশ শুনতে একটা সেলফোন কিনেছ, অথচ আমাদের মেয়ে অসুস্থ এবং আমাদের তার চিকিৎসার জন্য কোনো টাকা থাকবে না। তোমার বিশ্বাসের জন্য তুমি ওর দেখাশোনা করছ না।” আমি জানতাম সে এ কথা বলছে শুধু এই কারণে যে সে চায় না যে আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। অর্থের প্রয়োজন হলে আমরা তা ধার করতে পারতাম, আর বাচ্চাদের অসুস্থ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আমি বিশ্বাসী হই বা না হই ও অসুস্থ হতই। আমিও ওর জন্য সবচেয়ে ভালোটাই চেয়েছি। কী করে সে ভুল বুঝতে পারল? আমাদের সন্তানের অসুস্থতাকে সে আমাকে বিশ্বাস থেকে সরিয়ে আনার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে দেখে আমি খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। আমি কিছু বলার আগেই সে বলে চলল, “তুমি যদি এতে বিশ্বাস করবে বলে জেদ ধরে থাকো, আমরা ভবিষ্যতে এমনকী এক পরিবার হিসেবে নাও থাকতে পারি।” এ কথা শোনা হৃদয় বিদারক। আমি ভাবলাম আমাদের সন্তান ছোটো থাকতেই কি সে আমার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চায়? আমি ভয়ঙ্কর খারাপ বোধ করি এবং আর কিছু না বলে ফোন রেখে দিই। কিন্তু সে যা বলেছিল তা আমাকে ক্রমাগত অস্বস্তি দিতে থাকে এবং আমি ঈশ্বরকে দোষ দেওয়া ছাড়া উপায়ান্তর দেখতে পাইনি। আমি ভাবছিলাম কেন তিনি আমাদের পরিবারের সংহতি ও আমাদের মেয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখলেন না।
কিছুক্ষণের জন্য আমি সমাবেশে ঈশ্বরের সামনে নিজেকে শান্ত করতে পারিনি এবং আমি সহভাগীতার জন্য কোনো প্রদীপ্তি লাভ করিনি। তাই আমি ঈশ্বরের সামনে নতজানু হই এবং বলি, “ঈশ্বর আমার উচ্চতা ক্ষুদ্র। আমার স্ত্রী যখন থেকে ওসব কথা বলেছে, তখন থেকে আমি অত্যন্ত বিষণ্ণ ও দুর্বল বোধ করছি। অনুগ্রহ করে আমার সঙ্গে থাকো ও তোমার ইচ্ছা বুঝতে আমায় দিকনির্দেশ দাও।” সেই সন্ধ্যায় আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের একটি অনুচ্ছেদ পড়ি। “পরীক্ষা চলাকালীন মানুষদের পক্ষে দুর্বল হয়ে পড়া, নিজেদের মধ্যে নেতিবাচকতা থাকা অথবা ঈশ্বরের ইচ্ছার বা তাদের অনুশীলনীয় পথের বিষয়ে স্পষ্টতার অভাব থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু যেকোনো ক্ষেত্রেই, তুমি অবশ্যই ঈশ্বরের কাজে বিশ্বাস রেখো, আর ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান কোরো না, ঠিক যেমনটা ইয়োব করেছিল। যদিও ইয়োব ছিল দুর্বল এবং নিজের জন্মের দিনেই অভিশপ্ত হয়েছিল, তা সত্ত্বেও সে কিন্তু অস্বীকার করে নি যে মানবজীবনে যা কিছু রয়েছে সবই যিহোবার দান এবং যিহোবাই হলেন সেইজন যিনি তাদের সকলকে নিয়ে যাবেন। তাকে যেভাবেই পরীক্ষা করা হয়ে থাক না কেন, সে কিন্তু এই বিশ্বাস বজায় রেখেছিল। তোমার অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে তুমি ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা যে পরিমার্জনার মধ্য দিয়েই যাও না কেন, ঈশ্বর মানবজাতির কাছ থেকে যা চান তার সারসংক্ষেপ হল তাঁর প্রতি তাদের বিশ্বাস এবং ভালোবাসা। এইভাবে কাজ করার মাধ্যমে তিনি মানুষদের মধ্যেকার বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং প্রেরণা নিখুঁত করে তোলেন। ঈশ্বর মানুষদের নিখুঁতকরণের কাজ করেন, এবং তারা তা প্রত্যক্ষ করতে পারে না, অনুভব করতে পারে না; এই ধরনের পরিস্থিতিতে তোমার বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। যখন কিছু খালি চোখে দেখা যায় না তখন মানুষের বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়, এবং যখন তুমি নিজের ধারণাগুলি বর্জন করতে পারো না, তখনই তোমার বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। যখন তোমার ঈশ্বরের কাজ সম্পর্কে স্পষ্টতা থাকে না, তখন তোমাদের প্রয়োজন হল বিশ্বাস রাখা এবং দৃঢ় অবস্থান নেওয়া এবং সাক্ষ্য দেওয়া। ইয়োব যখন এই পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তখন ঈশ্বর তার কাছে দেখা দিয়েছিলেন এবং তার সাথে কথা বলেছিলেন। অর্থাৎ, তোমার ঈশ্বরকে দেখতে সক্ষম হওয়া নিহিত রয়েছে তোমার বিশ্বাসেই, এবং যখন তোমার মধ্যে বিশ্বাস থাকবে, তখন ঈশ্বর তোমাকে নিখুঁত করবেন। বিশ্বাস না থাকলে, তিনি তা করতে পারেন না” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যাদের নিখুঁত করা হবে তাদের অবশ্যই পরিমার্জনা ভোগ করতে হবে)। তাঁর বাক্য থেকে আমি বুঝতে পারি যে তাঁর রাজ্যের পথ সর্বৈব মসৃণ নয়। তাতে সবরকমের কষ্ট এবং পরীক্ষা আছে, এবং এমন অনেক কিছুই ঘটবে যা আমরা চাই না। কিন্তু আমাদের এই সবকিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যাতে প্রকাশ পায় ঈশ্বরের প্রতি আমাদের প্রকৃত বিশ্বাস আছে কিনা ও আমরা তাঁর সাক্ষ্য বহন করতে পারি কিনা। যখন আমার স্ত্রী সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে আমার আস্থার বিরোধিতা করছিল, প্রথমে তার কাছে সাক্ষ্য বহন করার বিশ্বাস আমার ছিল। কিন্তু যখন সে বিবাহ বিচ্ছেদের হুমকি দিতে শুরু করল ও আমাদের সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ল, আমি অভিযোগ করা শুরু করলাম। আমার পরিবারের কল্যাণ সুরক্ষিত না করার ও আমার সন্তানের অসুস্থতার জন্য। আমি দেখলাম আমার প্রকৃত অর্থে ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই। কিছু খারাপ ঘটনা ঘটতেই আমি ঈশ্বরকে দোষারোপ করা শুরু করলাম—তা কী করে সাক্ষ্য হতে পারে? তখন আমি ভাবতে শুরু করলাম: কেন আমার পরিবারে কিছু হওয়ামাত্রই আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস হারাব? কেন আমি তাঁকে দোষ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারলাম না?
আমি ঈশ্বরের বাক্যের একটি অনুচ্ছেদ পড়লাম যা আমাকে বিশ্বাস সম্পর্কে আমার ভ্রান্ত ধারণাকে বুঝতে কিছুটা সাহায্য করল। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “আজ, আমি যে বাক্যগুলি বলি তা তোমরা বিশ্বাস কর না, এবং তোমরা সেগুলির প্রতি মনোযোগ দাও না। যখন এই কাজটি ছড়িয়ে পড়ার দিন আসবে এবং তুমি এর সম্পূর্ণতা চাক্ষুষ করবে, তখন তুমি অনুতাপ করবে এবং সেই সময় তুমি হতবাক হয়ে যাবে। আশীর্বাদ আছে, তবুও তুমি সেগুলি উপভোগ করতে জান না, এবং সত্য আছে, তবুও তুমি তার অন্বেষণ করো না। তুমি কি নিজের প্রতি অবজ্ঞা বয়ে আনছ না? আজ, যদিও ঈশ্বরের কাজের পরবর্তী পর্যায়ের এখনও সূচনা হয়নি, কিন্তু তোমার কাছে যে দাবিগুলি করা হয়েছে এবং তোমাকে যা নিয়ে জীবন যাপন করতে বলা হয়েছে, তা মোটেই অতিরিক্ত কিছু নয়। অনেক কাজ, এবং অনেক সত্য রয়েছে; সেগুলি কি তোমার দ্বারা পরিচিত হওয়ার যোগ্য নয়? ঈশ্বরের শাস্তি এবং বিচার কি তোমার আত্মাকে জাগ্রত করতে অক্ষম? ঈশ্বরের শাস্তি এবং বিচার কি তোমাকে নিজেকে ঘৃণা করাতে অক্ষম? তুমি কি শান্তি ও আনন্দ এবং যৎসামান্য দৈহিক স্বাচ্ছন্দ্য সহকারে শয়তানের প্রভাবের অধীনে বসবাস করে সন্তুষ্ট? তুমি কি সব মানুষের চেয়ে নীচ নও? যারা পরিত্রাণ চাক্ষুষ করেছে অথচ তা অর্জন করার জন্য সাধনা করে না তাদের চেয়ে অধিক মূর্খ আর কেউ নেই; এরা এমন মানুষ যারা দেহসর্বস্বতার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শয়তানকে উপভোগ করে। তুমি আশা কর যে ঈশ্বরের প্রতি তোমার বিশ্বাস কোনো বাধা-বিপত্তি বা যন্ত্রণা বা সামান্যতম কষ্টেরও সম্মুখীন হবে না। তুমি সর্বদাই সেই জিনিসগুলির অন্বেষণ কর যা মূল্যহীন, এবং তুমি জীবনের সাথে কোনো মূল্য সংযোজন কর না, বরং সত্যের সামনে তোমার নিজের অসংযত চিন্তাভাবনাগুলি রেখে দাও। তুমি এতটাই মূল্যহীন! … তুমি যা অন্বেষণ কর সেগুলি হল ঈশ্বরে বিশ্বাস করার পরে শান্তি লাভ করতে সক্ষম হওয়া, অসুস্থতা থেকে তোমার সন্তানাদির মুক্ত থাকা, তোমার স্বামীর একটি ভাল চাকরি হওয়া, তোমার পুত্রের জন্য একটি ভাল স্ত্রী খুঁজে পাওয়া, তোমার কন্যার জন্য একটি উপযুক্ত স্বামী খুঁজে পাওয়া, তোমার বলদ ও ঘোড়াগুলির ভালোভাবে জমি কর্ষণ করতে পারা, তোমার ফসলের জন্য বর্ষব্যাপী ভাল আবহাওয়া। তুমি যা অন্বেষণ কর তা হচ্ছে এইসব। তোমার সাধনা কেবল স্বাচ্ছন্দ্যে বেঁচে থাকার জন্য, যাতে তোমার পরিবারের কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, বাতাস তোমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়, তোমার মুখে যাতে এক কণা বালুও স্পর্শ না করে, তোমার পরিবারের ফসল যাতে প্লাবিত না হয়, যাতে তুমি কোনও বিপর্যয় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হও, যেন ঈশ্বরের আলিঙ্গনে জীবন যাপন করতে পারো, একটি আরামদায়ক আশ্রয়ে বসবাস করতে পারো। তোমার মতো কাপুরুষ, যে সর্বদা দেহসর্বস্বতার পিছনে ছুটছে—তোমার কি হৃদয় আছে, তোমার কি আত্মা আছে? তুমি কি একটি পশু নও? বিনিময়ে কিছু না চেয়ে আমি তোমাকে প্রকৃত পথ দিই, তবুও তুমি তার সাধনা করো না। তুমি কি আদৌ ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের একজন? আমি তোমাকে প্রকৃত মানব জীবন দান করি, তবুও তুমি অন্বেষণ করো না। তুমি কি শূকর বা কুকুরের চেয়ে কোনোভাবেই পৃথক নও? শূকররা মানুষের জীবনকে অনুসন্ধান করে না, তারা পরিশুদ্ধ হওয়ার সাধনা করে না, এবং তারা জীবন কী তা বোঝে না। প্রতিদিন, পেট ভরে খাদ্য গ্রহণ করার পরে, তারা কেবলই নিদ্রা যায়। আমি তোমাকে প্রকৃত পথ দিয়েছি, তবুও তুমি তা অর্জন করনি: তুমি শূন্যহস্ত। তুমি কি এই জীবনযাপন চালিয়ে যেতে চাও, একটি শূকরের জীবন? এমন মানুষের বেঁচে থাকার তাৎপর্য কী? তোমার জীবন নিন্দনীয় এবং তুচ্ছ, তোমার জীবনযাপন আবর্জনা ও লাম্পট্যের মাঝে, এবং তুমি কোন লক্ষ্যের অনুসরণ করো না; তোমার জীবন কি সকলের চেয়ে তুচ্ছ নয়? তোমার কি ঈশ্বরের দিকে মুখ তুলে তাকাবার দুঃসাহস আছে? তুমি যদি এইভাবেই অনুভব করতে থাক, তাহলে কি তুমি কিছু অর্জন করতে পারবে? প্রকৃত পথ তোমাকে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তুমি শেষ পর্যন্ত তা অর্জন করতে পারবে কিনা তা নির্ভর করে তোমার নিজের ব্যক্তিগত সাধনার উপর” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পিটারের অভিজ্ঞতাঃ তার শাস্তি ও বিচারের জ্ঞান)। এইখানে আমি উত্তর খুঁজে পেলাম। বিশ্বাসের ব্যাপারে আমার লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গী ভুল ছিল। তা সত্য অর্জনের জন্য ছিল না, বরং এর উদ্দেশ্য ছিল যাতে আমার পরিবার ভালো ও সুরক্ষিত থাকে, আমাদের জীবন সহজ হয়। আমি শুধু ঈশ্বরের আলিঙ্গনে তাঁর অনুগ্রহ উপভোগ করতে চেয়েছি। যখন তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছি তখন আমার তাঁকে অনুসরণ করার বিশ্বাস ছিল, কিন্তু যখন বাড়িতে সমস্যা দেখা দিল, যখন আমার সন্তান অসুস্থ ছিল, আমি অভিযোগ করছিলাম ও আমার পরিবারকে রক্ষা না করার জন্য ঈশ্বরকে দোষারোপ করছিলাম। আমার প্রকৃত বিশ্বাস ছিল না। এমনকী আমার প্রতি যা হচ্ছিল তাকে আমি অবিচার বলে বোধ করেছি, মনে করেছি আমার বিশ্বাসের জন্য ঈশ্বরের উচিত আমাকে আশীর্বাদ করা, এবং আমার এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার কথা নয়। তারপর আমি বুঝলাম আমার বিশ্বাস সম্পূর্ণতই আশীর্বাদ প্রাপ্তির ওপর নির্ভরশীল এবং এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বিশ্বাস থাকা, ঈশ্বরের উপাসনা করা ঠিক ও স্বাভাবিক। এ শিশুদের পিতা-মাতার প্রতি সন্তানসুলভ আচরণের মতোই—লেনদেনভিত্তিক নয়। কিন্তু আমি সবসময়েই ঈশ্বরের থেকে প্রাপ্তির আশা করছিলাম, তাঁর অনুগ্রহ ও আশীর্বাদের আশা করছিলাম। আমার কোনো যুক্তি ছিল না। ঈশ্বর যে ধরণের ব্যক্তির কথা বলছিলেন, আমি ঠিক তা-ই ছিলাম, দেহসুখের বশ, এবং জীবনে কোনো সঠিক লক্ষ্যবিহীন। কীভাবে আমি তাঁর ইচ্ছার সঙ্গে সংহত হতাম? এই সময় আমি বুঝলাম যে এই কষ্টসাধ্য বিষয়গুলি ঈশ্বরের অনুমতিক্রমে হয়েছে। এ সবের মধ্যে দিয়ে যাওয়া আমার বিশ্বাস সম্পর্কিত ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গীগুলিকেই প্রকাশ্যে এনেছে, আমি সমর্থ হয়েছিলাম চিন্তা করতে ও নিজেকে প্রকৃত অর্থে জানতে, এবং আমার ভ্রান্ত ধারণাগুলি ঠিক করতে, এবংঈশ্বরের প্রতি প্রকৃত আস্থা অর্জন করতে। এ ছিল আমার জন্য ঈশ্বরের পরিত্রাণ। ঈশ্বরের অভিপ্রায়ের বোধ আমাকে তাঁর প্রতি বিশ্বাস দিয়েছিল। আমি আর আমার পরিবারের জন্য শান্তি ও আশীর্বাদের আকাঙ্খা করিনি। আমার যখন সমাবেশে থাকা উচিত তখন থেকেছি। আমি ঈশ্বরের সামনে আমার সংকল্পও রেখেছি যে ভবিষ্যতে যা-ই ঘটুক, আমি সত্যের পথেই চলব।
তারপর আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের আরেকটি অনুচ্ছেদ পড়ি। “‘বিশ্বাস’ এই শব্দটি বলতে কী বোঝায়? বিশ্বাস হল প্রকৃত আস্থা এবং আন্তরিক হৃদয় যা মানুষের থাকা উচিত যখন তারা কিছু দেখতে বা স্পর্শ করতে পারে না, যখন ঈশ্বরের কাজ মানুষের ধারণার সাথে সঙ্গত হয় না, যখন তা মানুষের নাগালের বাইরে থাকে। আমি এই বিশ্বাসের কথাই বলি। মানুষের কষ্ট ও পরিমার্জনার সময়ে বিশ্বাসের প্রয়োজন হয় এবং পরিমার্জনার পরেই বিশ্বাসের আগমন ঘটে; পরিমার্জনা এবং বিশ্বাসকে আলাদা করা যায় না। ঈশ্বর যেভাবেই কাজ করুন না কেন এবং তোমার পরিবেশ যেমনই হোক না কেন, তুমি জীবনের অনুসরণ, সত্যের সন্ধান, ঈশ্বরের কাজের জ্ঞান অন্বেষণ এবং তাঁর কর্ম সম্পর্কে উপলব্ধি করতে সক্ষম হও, এবং তুমি সত্য অনুযায়ী কাজ করতে পারো। সত্যিকারের বিশ্বাস থাকার অর্থই হল তা করা, এবং তেমন করার মাধ্যমেই প্রতীয়মান হয় যে তুমি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস হারাও নি। শুধুমাত্র যদি তুমি পরিমার্জনার মাধ্যমে সত্যের অনুসরণে অটল থাকতে সক্ষম হও, যদি সত্যই ঈশ্বরকে ভালোবাসতে সক্ষম হও এবং তাঁর সম্পর্কে নিঃসন্দেহ থাকো, যদি তুমি তাঁর কাজ নির্বিশেষে এখনও তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য সত্য অনুশীলন করো, এবং যদি তাঁর ইচ্ছার গভীরে অনুসন্ধান করতে পারো এবং তাঁর ইচ্ছার প্রতি সচেতন হও, তাহলেই তুমি ঈশ্বরের প্রতি সত্যিকারের বিশ্বাস রাখতে পারবে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যাদের নিখুঁত করা হবে তাদের অবশ্যই পরিমার্জনা ভোগ করতে হবে)। আমি ঈশ্বরের বাক্য থেকে শিখলাম যে সবকিছু ভালো হোক বা কঠিন হোক, আমরা ঈশ্বরকে সন্দেহ বা দোষারোপ করতে পারি না। আমাদের ঈশ্বরের অভিপ্রায়ের অনুসন্ধান করতো হবে, তাঁর পক্ষে দাঁড়াতে হবে, তাঁর বাক্য অনুযায়ী কাজ করতে হবে, এবং আমাদের যতই কষ্ট হোক, তাঁকে তুষ্ট করতে হবে। একমাত্র এই হল প্রকৃত বিশ্বাস। এই বোধ আমাকে এক অনুশীলনের পথ ও ঈশ্বরকে অনুসরণ করার বিশ্বাস দিয়েছিল।
পরে আমি মাকে ফোন করে স্ত্রীয়ের বিষয়ে জানতে চাই। তিনি বলেন সে আমাদের বাড়ির দেখভাল না করে তার পিতৃগৃহে দিন কাটাচ্ছে, সে যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন মানুষ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন আমাদের যাজক তাকে বলে আমি ভুল ছিলাম, আমার বিশ্বাস প্রভু যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। সে আমার মাকে বলে আমাকে গির্জায় ফেরাতে এবং পূর্বের বজ্রালোক পরিত্যাগ করাতে। আমি এ কথা শুনে অত্যন্ত রেগে যাই। আমি শুধু ভাবছিলাম কেন এই যাজক এত মিথ্যা বলবে। তাদের এই শঠতাপূর্ণ গুজবের কারণেই আমার স্ত্রী সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে আমার বিশ্বাসের বিরোধিতা করছিল। আমি জানতাম আমাকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। তারা যা-ই বলুক, আমি তাদের কথা শুনতে পারি না। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ চিন্তা করার পর আমি আমার মাকে বললাম, “মা, যাজক যা বলছিল তা শুনো না সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এত সত্য প্রকাশ করেছেন, এবং এ ঈশ্বরেরই কণ্ঠ। তিনিই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু। তিনি এবং প্রভু যীশু একই ঈশ্বর, তাই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে আমার বিশ্বাস বিশ্বাসঘাতকতা নয়। এ হল মেষের পদচিহ্নের অনুসরণ এবং প্রভুকে স্বাগত জানানো।” সেই মুহূর্তে সে জবাবে কিছু বলেনি।
তারপর আমি আমার স্ত্রীকে কল করি। আমি অবাক হই এই দেখে যে সে রেগে আছে। সে বলে, “কেন তুমি আমায় কল করছ? আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাদের কথা ভাবো না। এখনি পছন্দ করো। পূর্বের বজ্রালোক না আমাদের পরিবার? তুমি আমার কথা না ভাবলেও চলবে কিন্তু আমাদের সন্তানের কথা তোমাকে ভাবতে হবে, তার বয়স সবে আট মাস।” সে কথা খুবই দুঃখজনক। আমি বুঝতে পারিনি। আমি শুধু সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য সংগ্রহ ও পাঠ করছিলাম। আমি ঠিক পথেই ছিলাম। আমি কখনো বলিনি আমি আমাদের পরিবারকে চাই না বা আমার মেয়ের কথা ভাবি না। কেন সে আমাকে জোর করে এমন এক নির্বাচনের মুখে ফেলল? তারপর আমার মনে হল সে জানত না সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাস করা কী, এবং আমি যাই বলি কিছুই শুনতে রাজি ছিল না। কিন্তু আমার বিশ্বাস পরিত্যাগ করতে বাধ্য করা সোজা কথায় সম্ভব ছিল না। আমি ইতোমধ্যেই নিশ্চিত ছিলাম যে তিনিই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু, তাই আমি জানতাম, সে যাই বলুক, আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অনুসরণ অব্যাহত রাখব। যখন সে দেখল আমি জবাব দিচ্ছি না, সে ফোন রেখে দিল। আমার স্ত্রী যা বলেছিল তা আমার কাছে বিধ্বংসী ছিল, কিন্তু আমি জানতাম যে আমি আগের মতো ঈশ্বরকে দোষ দিয়ে যেতে পারি না। ঈশ্বরের ভরসায় এই পরিস্থিতি অতিক্রম করার জন্য আমায় বিশ্বাস রাখতে হতই। তারপর আমি ঈশ্বরের বাক্যের এক স্তোত্র শুনি “তোমার সত্যের জন্য সব ত্যাগ করা উচিত।” “সত্যের জন্য তোমাকে কষ্ট পেতে হবে, তোমাকে সত্যের প্রতি নিজেকে প্রদান করতে হবে, তোমাকে সত্যের জন্য অপমান সহ্য করতে হবে, এবং আরও বেশি করে সত্যকে অর্জন করতে তোমাকে আরও বেশি কষ্ট সহ্য করতে হবে। এটাই তোমার করা উচিত। একটি শান্তিপূর্ণ পারিবারিক জীবনের স্বার্থে তুমি সত্যকে ছুঁড়ে ফেলে দিও না, এবং ক্ষণিকের আনন্দের জন্য নিজের জীবনের মর্যাদা এবং সততা হারিয়ে ফেলো না। যা কিছু সুন্দর এবং যা কিছু ভাল সে সব তোমার অন্বেষণ করা উচিত, এবং তোমার আরো অর্থবহ জীবনের একটি পথ অন্বেষণ করা উচিত। তুমি যদি এমন কুরুচিপূর্ণ জীবন যাপন কর, এবং কোনো উদ্দেশ্যের অনুসরণ না কর, তাহলে কি তুমি তোমার জীবন নষ্ট করছ না? এমন জীবন থেকে তুমি কী লাভ করতে পার? একটি সত্যের জন্য তোমার যাবতীয় দৈহিক ইচ্ছা ত্যাগ করা উচিত, সামান্য ভোগ-বিলাসের জন্য যাবতীয় সত্যকে ত্যাগ করা উচিত নয়। এই ধরনের মানুষের কোন সততা বা মর্যাদা নেই; তাদের অস্তিত্ব অর্থহীন!” (মেষশাবককে অনুসরণ করুন ও নতুন গীত গান)। ঈশ্বরের বাক্য আমার বিশ্বাসকে জোরদার করে তোলে। আমি জানতাম যে একজন বিশ্বাসী হিসেবে, সত্যের অনুসরণই অর্থপূর্ণভাবে বাঁচার একমাত্র পথ। বাড়ির কোনো সমস্যা বা দেহের আয়াসের কারণে আমি আমার বিশ্বাস হারাতে পারি না। বিশ্বাসের অভাব, ঈশ্বরের উপাসনা না করা অর্থ ও মূল্যহীন এক জীবন হয়ে দাঁড়াবে। আমি পরিবারের পিঢুটানে আটকা পড়তে পারি না। আমার পরিবার ও আমার সন্তানের স্বাস্থ্য সবই ঈশ্বরের হাতে, তাই আমার উচিত তাদের ঈশ্বরের হাতে তুলে দিয়ে তাঁর ব্যবস্থাপনায় সমর্পিত হওয়া। আমার যত ভালোভাবে সম্ভব সত্যের অনুশীলন ও নিজের কর্তব্য করে যাওয়া প্রয়োজন।
আমার পরিচয়পত্র পুনর্নবীকরণের জন্য আমায় বাড়ি যেতে হত। আমার মনে হল এ তাদের সঙ্গে সুসমাচার ভাগ করে নেওয়ার এক উত্তম সুযোগ। আমি সত্যিই উত্তেজিত ছিলাম। কিন্তু আমি চিন্তিতও ছিলাম, কারণ আমার স্ত্রী এবং মা আমার বিশ্বাসের বিরোধী ছিল, এবং সেখানে প্রত্যেকে জানত আমি কী বিশ্বাস করতাম। যদি স্থানীয় যাজকেরা জানত আমি ফিরেছি, তারা নিশ্চিতভাবেই আমায় বাধা দিত। আমার কোনো ধারণা ছিল না ওখানে কী হতে পারত। তাই আমি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করি, বলি, “হে ঈশ্বর! পরিচয়পত্রের জন্য এবার বাড়ি গিয়ে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে সুসমাচার ভাগ করে নিতে চাই, কিন্তু তারা আমাকে অত্যাচার করছে, এবং যাজকেরা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমি শঙ্কিত তারা আমার সহভাগীতা শুনবে না। ঈশ্বর আমি তোমার ওপর ভরসা করতে চাই, এবং আমি আমার পরিবারকে তোমার হাতে দিচ্ছি। অনুগ্রহ করে আমার সঙ্গে থাকো ও আমায় পথের সন্ধান দাও।”
তখন আমি ঈশ্বরের বাক্যের আরেকটি স্তোত্র শুনি: “তুমি যেসব ব্যক্তি, বস্তু, ও জিনিসের সংস্পর্শে আসো, ঈশ্বরের বাক্য যেকোনো সময় তোমার সম্মুখে আবির্ভূত হবে, তাঁর ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ভাবে কাজ করতে তোমাকে পথনির্দেশ দেবে। ঈশ্বরের বাক্যের সমস্ত কর্ম নির্বাহ করো, তাহলে ঈশ্বর তোমাকে প্রতিটি কর্মে নেতৃত্ব দিয়ে সম্মুখে এগিয়ে নিয়ে যাবেন; তুমি কখনো পথভ্রষ্ট হবে না, এবং তুমি নতুন আলোয়, আরো বেশি ও নতুন আলোকপ্রাপ্তির সাথে বাঁচতে সক্ষম হবে। কী করা উচিত সে বিষয়ে চিন্তা করতে তুমি মনুষ্যোচিত পূর্বধারণার বশবর্তী হবে না; তোমার উচিত ঈশ্বরের বাক্যের পথনির্দেশের কাছে সমর্পণ করা, এক পরিচ্ছন্ন হৃদয়ের অধিকারী হওয়া, ঈশ্বরের সম্মুখে শান্ত থাকা, এবং অধিকতর গভীরভাবে চিন্তা করা। তোমার যা কিছু উপলব্ধির বাইরে, তা সমাধানের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ো না; এই বিষয়গুলি ঈশ্বরের সম্মুখে প্রায়শই নিয়ে এসো, এবং তাঁকে এক আন্তরিক হৃদয় উৎসর্গ করো। ঈশ্বরই তোমার সর্বশক্তিমান, তা বিশ্বাস করো। শয়তানের অজুহাত, অভিপ্রায় এবং কৌশল প্রত্যাখ্যান করার সাথে তোমার মধ্যে অবশ্যই ঈশ্বরের জন্য প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধার্ত অন্বেষণ থাকতে হবে। হতাশ হয়ো না। দুর্বল হয়ো না। তোমার সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে অনুসন্ধান করো; সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে অপেক্ষা করো। সক্রিয়ভাবে ঈশ্বরের সাথে সহযোগিতা করো, এবং নিজের আভ্যন্তরীণ প্রতিবন্ধকতা থেকে নিজেকে মুক্ত করো” (মেষশাবককে অনুসরণ করুন ও নতুন গীত গান, ঈশ্বরের বাক্য অনুসরণ করলে তুমি কখনো পথভ্রষ্ট হবে না)। এই স্তোত্র শুনে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে বাড়ি ফেরার এই সফরের মধ্যে ঈশ্বরের ইচ্ছা নিহিত ছিল। শুধু আমার বিশ্বাস দুর্বল ছিল এবং আমি ঈশ্বরের ইচ্ছা বুঝিনি। কিন্তু এই অবস্থা অতিক্রম করতে আমার ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করতেই হত, এবং “ঈশ্বরই তোমার সর্বশক্তিমান, তা বিশ্বাস করো” এই অংশটি আমাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিল। ঈশ্বরের বাক্য আমাকে বিশ্বাস দিয়েছিল। আমি ভাবছিলাম যে আমি প্রতিদিন যে অভিজ্ঞতাই অর্জন করি তা ঈশ্বরের দ্বারা অনুমোদিত। যতক্ষণ আমি প্রকৃত অর্থে ঈশ্বরকে বিশ্বাস ও ভরসা করি, আমার বিশ্বাস তিনি আমাকে তাঁর বাক্যের মাধ্যমে এসবের মোকাবিলা করার দিকনির্দেশ দেবেন।
আমি যখন প্রথম বাড়ি ফিরলাম, আমার স্ত্রী আমাকে নিতান্তই উপেক্ষা করছিল, কিন্তু আমি জানতাম এর একমাত্র কারণ তার ওপর যাজকের প্রভাব। আমার তাকে অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কাজের কথা বলার প্রয়োজন ছিল যাতে সে সত্যিটা জানতে পারে ও যাজকের দ্বারা বিপথে চালিত না হয়। তাই আমি ঈশ্বরের প্রতি প্রার্থনা করলাম, তাঁর দিকনির্দেশ চাইলাম। তারপর আমি ধৈর্যসহকারে কিছু আন্তরিকভাবে উপলব্ধ বাক্য তার সাথে ভাগ করে নিলাম। আমি বললাম, “তোমার এবং আমার মায়ের সত্যি সত্যি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ পর্যালোচনা এবং তাঁর বাক্য পড়া উচিত। তাহলে তোমরা দেখতে পাবে যে এ হল ঈশ্বরের কণ্ঠ, এ হল মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের বাক্য এবং তিনি প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু। তুমি যদি এর অনুসন্ধান না করো এবং ঈশ্বরের নিজের কণ্ঠ না শোনো বরং তার পরিবর্তে যাজকের গুজব ও মিথ্যা শোনো, কীভাবে তুমি প্রভুকে স্বাগত জানাবে? প্রভু যীশু একদা বলেছিলেন, ‘চাও, তাহলে তোমাদের দেওয়া হবে। অন্বেষণ কর, সন্ধান পাবে। আঘাত কর, তোমাদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত হবে’ (মথি ৭:৭)। প্রভু বিশ্বাসী। যতক্ষণ আমরা সৎভাবে অনুসন্ধান করছি, আমরা ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনতে পাব এবং প্রভুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে পারব।” তা চমকপ্রদ ছিল। সে শান্তভাবে শুনল, এবং মোটেই প্রতিরোধ বা তর্কপ্রবণ হল না। এ ঈশ্বরের দিকনির্দেশ ছিল বুঝতে পেরে আমি তাঁকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানালাম, এবং এর থেকে আমি ঈশ্বরের কাজের বিষয়ে বলে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস পেলাম।
পরের দিন আমি তার ও মায়ের কাছে ঈশ্বরের কাজের সাক্ষ্য দিলাম। আমি বললাম, “তোমরা জানো কেন আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ স্বীকার করেছি? কারণ আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়েছি এবং দেখেছি যে এর সবই সত্য, এ হল ঈশ্বরের কণ্ঠ, এবং আমি নিশ্চিত হলাম যে তিনি প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু। অন্তিম সময়ে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর দশলক্ষাধিক বাক্য বলেছেন, যাতে আমাদের কাছে উদ্ঘাটিত হয়েছে তাঁর ৬,০০০ বছরের পরিচালনার পরিকল্পনা এবং বাইবেলের সব রহস্য, এবং কীভাবে মানবজাতি বর্তমান সময় অবধি বিকশিত হল, শয়তান কীভাবে আমাদের কলুষিত করল, কীভাবে ঈশ্বর ধাপে ধাপে মানবতাকে রক্ষা করার কাজ করেন, কীভাবে তিনি আমাদের পরিণতি ও অন্তিম গন্তব্য নির্ধারণ করেন, কী ধরণের মানুষকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করা ও রাজ্যে প্রবেশ করানো যেতে পারে এবং কাকে শাস্তি দেওয়া হবে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমাদের এই সবই বলেছেন। তিনি আমাদের মানুষ কীভাবে শয়তানের দ্বারা কলুষিত হল সেই সত্য বলেছেন, এবং ঈশ্বরকে আমাদের প্রতিরোধের মূল কারণটিও বলেছেন, উপরন্তু, আমাদের পাপের সম্পূর্ণ পরিশোধনের পথও দেখিয়েছেন। প্রতিটি বাক্যই পরম সত্য, শক্তিশালী ও কর্তৃত্বপূর্ণ। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এই সবই প্রকাশ করেছেন আমাদের পরিশোধিত ও রূপান্তরিত করতে, আমাদের সম্পূর্ণরূপে শয়তানের শক্তি থেকে বাঁচাতে।” এই সময় আমি তাদের প্রশ্ন করি, “তোমাদের কী মনে হয়, কে সত্য প্রকাশ ও মানুষকে রক্ষা করতে পারেন? শুধু ঈশ্বরই তা পারেন! সত্য মানুষের অধিকারে নেই। একমাত্র খ্রিস্টই হলেন পথ, সত্য ও জীবন।” তারপর আমি বলে চললাম, “তোমাদের সত্যিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য সম্পূর্ণ পড়া উচিত, তখন তোমরা দেখতে পাবে যে তা হল সত্য, এ হল ঈশ্বরের কণ্ঠ, এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হলেন প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু! যদি কেউ প্রভুর প্রত্যাবর্তনের সাক্ষ্য বহন করে, এবং তুমি তার অনুসন্ধান না করো, বরং যাজকের কথা মতো হাল্কা চালে এর নিন্দা করো, তুমি প্রভুকে স্বাগত জানানোর সুযোগ হারাবে। সে হবে অত্যন্ত লজ্জাজনক।” সে কথা শুনে আমার মা বলল, “হ্যাঁ, তুমি ঠিক বলেছ। ঈশ্বর মানবজাতি সৃষ্টি করেছেন, অতএব আমাদের ঈশ্বর যা বলেন তা শোনা উচিত, অন্যের কথা নয়।” তাকে সে কথা বলতে শুনে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই ও সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। তখন সে আমাকে আরো বলে, “একবার আমি যাজককে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করতে, কিন্তু সে বলে, ‘তোমার পুত্র আমাদের, অর্থাৎ যাজকদের কথা শোনে না। সে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অনুসরণ করতে আমাদের অনুমতি পায়নি, তুমি আমাদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছ, তাই তোমার পরিবারের বিষয়ে আমাদের আর কোনো সাহায্য চেও না, ওসব নিজেরাই সামলাও।’” এ কথা শুনে আমার এত রাগ হল! আমি তাকে বললাম, “যাজকবর্গের সদস্য হিসেবে, তাদের উচিত বিশ্বাসীদের ঈশ্বরের প্রত্যাবর্তনের যে কোনো খবরের অনুসন্ধানের দিকে চালিত করা। তারা শুধু সে কাজ প্রত্যাখ্যান করছে তা-ই নয়, বিশ্বাসীদের হুমকি দিচ্ছে, প্রভুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানানো থেকে তাদের বিরত করছে। তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? তারা কি শুধুই সকলকে নিজেদের মুঠোয় আবদ্ধ রাখতে চাইছে না? প্রভু যীশু ফরি শীদের অভিশাপ দিয়েছিলেন: ‘ভণ্ড শাস্ত্রী ও ফরিশীর দল, ধিক তোমাদের। তোমরা লোকের সামনে স্বর্গরাজ্যের দরজা বন্ধ করে দাও। নিজেরা তো প্রবেশ করই না, যারা চায় তাদেরও ঢুকতে দাও না’ (মথি ২৩:১৩)। যখন প্রভু যীশু আবির্ভূত হয়ে কাজ করেছিলেন, ফরিশীরা উন্মাদের মতো তাঁর বিরোধিতা ও নিন্দা করেছিল ইহুদি জাতিকে আঁটোসাটোভাবে নিজেদের মুঠোয় আবদ্ধ রাখতে, তারা শেষমেশ প্রভু যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে, তারপর ঈশ্বরের দ্বারা অভিশপ্ত ও শাস্তিপ্রাপ্ত হয়। আজকের যাজকরা সে আমলের ফরিশীদের মতোই। তারা শুধু সন্ধান ও পর্যালোচনা করতে অস্বীকারই করে না, বিশ্বাসীদের প্রকৃত পথ থেকে সরিয়ে রাখে। তারা ঈশ্বরের শত্রু হিসেবে কাজ করে! তারাও শেষমেশ অভিশপ্ত ও শাস্তিপ্রাপ্ত হবে।”
তারপর আমি তাদের সাক্ষ্য দিই যে কীভাবে প্রভুকে স্বাগত জানাতে আমাদের ঈশ্বরের কণ্ঠ শোনার প্রয়াস করতে হবে, এবং সেটাই হল জ্ঞানী কুমারী হওয়ার ও ঈশ্বরকে স্বাগত জানানোর একমাত্র পথ। তখন আমি তাদের প্রণোদনা দিলাম, “আমি সত্যিই আশা করি তোমরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুধাবন করবে এবং তাঁর বাক্য পড়বে, যাতে দেখতে পাও তা সত্যিই ঈশ্বরের বাক্য কিনা। যাজকদের দ্বারা তোমাদের বিপথে চালিত ও নিয়ন্ত্রিত হতে দেখতে আমার খুবই খারাপ লাগবে। তোমাদের বোধোদয় হওয়া প্রয়োজন।” আমার মা আমার কথা শুনল, তারপর বলল, “তুমি ঠিক। আমি সবসময় আমাদের যাজকের কথা শুনেছি, আশঙ্কিত হয়েছি তুমি ভুল পথ নিচ্ছ বলে। সেই জন্যই আমি তোমায় সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাস করা থেকে বিরত করতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমি দেখছি যে তোমার সহভাগীতা বাইবেলসম্মত, এবং যাজক যেভাবে দেখায় সবকিছু সে রকম নয়। আমি এটা দেখব।” সে পুরো সময়টাই ওখানে ছিল, মন দিয়ে শুনছিল। তারপর আমি তাদের সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বহু বাক্য পড়ে শোনাই, তারপর ঈশ্বর ও মানুষকে অনুসরণ করার পার্থক্য সম্পর্কে সহভাগীতা করি, কেন ঈশ্বর এখন দেহরূপে তাঁর অন্তিম বিচারের কাজ করছেন, এবং অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কাজের তাৎপর্য। সহভাগীতার কয়েকটি অধিবেশনের পর, তারা উভয়েই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ স্বীকার করল। তাদের উভয়কেই ঈশ্বরের সামনে আসতে দেখা আমার পক্ষে খুবই উত্তেজনাময় ছিল এবং আমি আন্তরিকভাবে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। এ ছিল সম্পূর্ণত ঈশ্বরের ভালোবাসা।
পরে আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলে। সে বলে, “আমি তোমার প্রতি অত্যাচার করেছি, এমনকী তোমাকে বিবাহ বিচ্ছেদের দিকেও ঠেলে দিয়েছি, এর একমাত্র কারণ আমি যাজকের কথা শুনেছিলাম। প্রত্যেকবার আমি যখন গির্জায় গেছি, সে আমাকে বলত তুমি ভুল পথে ছিলে এবং তোমাকে ফেরার প্রণোদনা দিতে বলে। আমি ভেবেছিলাম সে ঠিক, তাই আমি ক্রমাগত তোমার সাথে তর্ক করেছি এবং আমি তোমার কথা আদৌ শুনিনি। কিন্তু সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পাঠের এবং তোমার সহভাগীতা শোনার এই সময়, এ আমার কল্পনা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।” তখন সে বলল, “ঈশ্বরের নতুন কাজের প্রতি আমার আচরণের কথা ভেবে আমার ভয় হয়। আমি ঈশ্বরের বিরূদ্ধে লড়াই করছিলাম, এবং প্রায় আমার প্রভুর আবির্ভাবকে স্বাগত জানানোর সুযোগ হারাতে বসেছিলাম।” তারপর সে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল, এই বলে, “আমার তোমার সঙ্গে ওই আচরণ করা উচিত হয়নি, আমি খুবই দুঃখিত।” যখন আমি আমার স্ত্রীকে এ কথা বলতে শুনলাম, আমি খুবই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। আমি প্রায় কাঁদতে শুরু করি। আমি ঈশ্বরের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ বোধ করি।
জানো, এই সব কিছুর মধ্যে দিয়ে আমি মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য ঈশ্বরের শ্রম অনুভব করতে পারি। তিনি আমাদের এই সব কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেন আমাদের দুর্নীতি ও ত্রুটিগুলি প্রকাশ্যে আনতে, তাঁর প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে ত্রুটিমুক্ত করতে। মাঝে মাঝে আমি দুর্ভোগে পড়ি, দুর্বল বোধ করি, এবং পীড়িত বোধ করি, কিন্তু ঈশ্বর কখনো আমার সঙ্গ ত্যাগ করেন না, এবং সর্বদাই তাঁর বাক্যের দ্বারা আমায় দিশানির্দেশ দেন। তা আমাকে আমার বিশ্বাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণাগুলি দেখতে ও কিছু সত্য শিখতে সাহায্য করে, এবং আমার বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে। এ সবই ঈশ্বরের দিকনির্দেশ! ঈশ্বরকে ধন্যবাদ!
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।