আমাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে—প্রভু যখন ফিরবেন তিনি কি আমাদের সরাসরি তাঁর রাজ্যে নিয়ে যাবেন?

19-06-2022

বিপর্যয় বেড়েই চলেছে এবং বিশ্বাসীরা ত্রাতার আবির্ভাবের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের ঘুমের মধ্যে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আকাশে উত্তোলিত হওয়ার আকাঙ্খায় এবং ক্রমশ তীব্রতর হতে থাকা বিপর্যয়ের কবল থেকে মুক্তির আশায়। কেন তারা নিঃসংশয় হয়ে অপেক্ষা করছে যে প্রভু যীশু অবতীর্ণ হয়ে তাদের উন্নীত করবেন তাঁর সাথে সাক্ষাতের জন্য? তারা বিশ্বাস করে, যেহেতু প্রভু যীশুর প্রতি তাদের আস্থার মাধ্যমে তাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে, তাই প্রভু আর তাদের পাপী মনে করেন না, তাই প্রয়োজনীয় সবই তাদের আছে, এবং প্রভু যখন আসবেন, তাদের সরাসরি রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু যা অনেকের কাছেই দুর্বোধ্য তা হল মহাবিপর্যয় এসে পড়েছে, তাহলে প্রভু এখনও আবির্ভূত হননি কেন? অনেকেই আশ্চর্য হচ্ছে যে প্রভু সত্যিই আসছেন কি না। যদি তা না হয়, তাহলে কি এই অর্থই দাঁড়ায় না যে তাদের যে কোনো সময়ে বিপর্যয়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হতে পারে? বহু যাজক আজকাল বলেন, প্রভু বিপর্যয়ের মাঝে বা শেষে আসবেন, কারণ একে ব্যাখ্যা করার অন্য উপায় তাদের জানা নেই। কিন্তু এ কথা কি ঠিক? ধর্মীয় জগৎ প্রভুকে স্বাগত জানায়নি, কিন্তু তার মানে কি এই যে তিনি আসেননি? আমরা সবাই জানি, প্রভু কথা দিয়েছেন যে ফিলাডেলফিয়া গির্জা বিপর্যয়ের পূর্বেই স্বর্গে উন্নীত হবে এবং তিনি তাদের বিপর্যয়ের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করবেন। প্রভু কি সত্যিই তাঁর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন? মোটেই না। এটা ঠিকই যে যেমন মানুষ ভেবেছিল প্রভু তেমন মেঘে চড়ে বিশ্বাসীদের স্বর্গে নিয়ে যেতে আসেননি। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে “পূর্বের বজ্রালোক” ক্রমাগত সাক্ষ্য দিচ্ছে যে তিনি ইতিমধ্যেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর রূপে প্রত্যাবর্তন করেছেন, বহু সত্য ব্যক্ত করেছেন এবং ঈশ্বরের গৃহ থেকে বিচারকার্য শুরু করেছেন। যারা সত্য ভালোবাসে এমন সব সম্প্রদায়ের মানুষ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যে ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনেছে ও তাঁর অভিমুখী হয়েছে, তাদের ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে আনা হয়েছে, এবং মেষশাবকের বিবাহভোজে উপস্থিত হয়ে তারা প্রতিদিন ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করছে। তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচার ও পরিশোধনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে এবং জোরালো সাক্ষ্য বহন করছে। তারা ঈশ্বরের উপস্থিতিতে, সানন্দে তাঁর প্রশংসা করতে করতে বাঁচে। ধর্মীয় দু্নিয়ার সীমাহীন বিপর্যয়-ভীতির অবস্থার বিপরীতে, এ তাদের সর্বক্ষণের অবস্থা। অনেক বিশ্বাসী মনে করছে, পূর্বের বজ্রালোক যার সাক্ষ্য বহন করে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই কি প্রত্যাবর্তিত প্রভু? প্রভু কি সত্যিই অন্তিম সময়ের বিচারের কাজের একটি পর্যায় সম্পন্ন করছেন? কিন্তু অনেকেরই এখনো এমন সন্দেহ আছে, “প্রভু ইতিপূর্বেই আমার পাপ ক্ষমা করেছেন এবং তিনি আর আমাকে পাপী গণ্য করেন না। যখন তিনি ফিরবেন, তাঁর আমাকে সরাসরি স্বর্গে নিয়ে যাওয়া উচিত। কেন তিনি আমাকে সরাসরি উন্নীত করবেন না, উপরন্তু অন্তিম সময়ের বিচারের কাজের একটি পর্যায় সম্পাদন করবেন?” এই বিষয়টি আজ পর্যালোচনা করা যাক। আমাদের পাপ ক্ষমা করার মানে কি এই যে আমরা রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি?

প্রথমত, দেখা যাক এর কোনো বাইবেলসম্মত ভিত্তি আছে কিনা যে যাদের ক্ষমা করা হয়েছে তারা সরাসরি রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। এর সমর্থনে কি প্রভুর কোনো বাক্য আছে? কখন প্রভু যীশু বলেছেন যে যাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে তারা সরাসরি স্বর্গরাজ্যে যেতে পারে? পবিত্র আত্মাও বলেননি যে তা কাউকে সরাসরি রাজ্যে প্রবেশের অনুমোদন দেয়। যখন এর কোনো বাইবেলসম্মত ভিত্তি নেই বা প্রভুর বাক্যে কোনো প্রমাণ নেই, কেন মানুষ এত দৃঢ় নিশ্চিত যে প্রভু এলেই তাদের পরমানন্দে উন্নীত করা হবে? এর কোনো অর্থ নেই। কে স্বর্গরাজ্যে যেতে পারে তা প্রভু এই বিবৃতিতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন: “যারা আমাকে ‘প্রভু’, ‘প্রভু’, বলে ডাকে তারা সকলেই যে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে তা নয়, কিন্তু যে আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করবে সে-ই শুধু স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে(মথি ৭:২১)। এ থেকে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে ক্ষমা প্রাপ্ত হওয়াই রাজ্যে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট নয়। কেন তা যথেষ্ট নয়? প্রধানত, এর কারণ পাপের জন্য ক্ষমা প্রাপ্ত হওয়ার অর্থ এই নয় যে তুমি পরিশুদ্ধ, যে তুমি ঈশ্বরে সমর্পিত, অথবা তুমি ঈশ্বরের ইচ্ছা নির্বাহ করছ। আমরা সকলে স্পষ্টভাবে দেখেছি যে এমনকি যে বিশ্বাসীদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে তারাও ক্রমাগত মিথ্যা বলে, শঠতা করে, প্রবঞ্চক ও ভণ্ড হয়। তারা উদ্ধত, এবং সামান্য বাইবেলের জ্ঞান হলেই আর কারো কথা শোনে না। তারা ক্ষমতা ও মুনাফার জন্য লড়াই করে তারা যে পাপ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারে না, তাতেই বেঁচে থাকে। এর থেকেই স্পষ্টত বোঝা যায় যে ক্ষমা প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, মানুষ এখনো ক্লেদাক্ত ও দুর্নীতিগ্রস্ত, এবং সর্বদাই পাপ করে চলেছে। তারা যে শুধু সত্যকে স্বীকার করতে ও সত্যের কাছে সমর্পন করতে ব্যর্থ হয়, তাই নয় বরং তারা ঈশ্বরের বিচার ও তাঁকে প্রতিরোধ করে। ফরিশীদের মতোই, তারা প্রভুর নিন্দা করে, তাঁর বিচার ও অবমাননা করে, এবং এমনকি তাঁকে পুনরায় ক্রুশবিদ্ধ করে। এর থেকেই প্রমাণ হয় যে মানবজাতির পাপগুলি ক্ষমা করা হলেও আমরা এখনও গ্লানিময় ও দুর্নীতিগ্রস্ত, এবং আমাদের দূষিত সারসত্ত্বা ঈশ্বরের বিরোধী। ঈশ্বরের বাক্য বলে, “অতএব তোমরা পবিত্র হও, কারণ আমি পবিত্র(লেবীয় পুস্তক ১১:৪৫)। “পবিত্রতা ছাড়া কোন মানুষ প্রভুকে দেখতে পাবে না(হিব্রু ১২:১৪)। সুতরাং যারা পাপে বাস করে তারা রাজ্যের যোগ্য নয়—এ একেবারে সন্দেহাতীত এবং তা সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের ধার্মিক এবং পবিত্র স্বভাবের দ্বারাই নির্ণীত হয়। কোন বিশ্বাসীই বা এই দাবি করার সাহস দেখাবে যে সে পাপমুক্ত, যে সে আর পাপ করে না এবং পবিত্রতা অর্জন করেছে? একজনও না। এমনকি সেই সব মহান, বিখ্যাত আধ্যাত্মিক ব্যক্তিবর্গ যারা অনেক আধ্যাত্মিক গ্রন্হ লিখেছে তারাও সাহস করে বলবে না যে তারা পাপকে দূরীভূত করে পবিত্র হয়েছেন। বস্তুত, সব বিশ্বাসীই একইরকম, দিনে পাপের মধ্যে থাকে ও রাত্রে স্বীকারোক্তি করে, পাপের সঙ্গে তিক্ত সংগ্রামে লিপ্ত। তারা সবাই পাপের ফাঁদে আটকে থাকার তীব্র যন্ত্রণায় পীড়িত। এই তথ্য থেকে কী বোঝা যায়? এর থেকে বোঝা যায় যে যাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে তারা পাপ মুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে যায়নি। সুতরাং আমরা নিশ্চিত হয়েই বলতে পারি তারা স্বর্গরাজ্যের উপযুক্ত নয়। ঠিক যেমন প্রভু যীশু বলেছেন, “তোমাদের আমি সত্যই বলছি, পাপ যে করবে সে-ই পাপের ক্রীতদাস। পরিবারে ক্রীতদাসের স্থান চিরস্থায়ী নয় কিন্তু পুত্রের স্থান চিরকালের(যোহন ৮:৩৪-৩৫)। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে তোমার পাপ ক্ষমা করা হলেই যে রাজ্যে প্রবেশ করা যাবে এর বাইবেলসম্মত কোনো ভিত্তি নেই, এ হল সম্পূর্ণ মানবিক ধারণা।

এই মুহূর্তে, অনেক মানুষের মনে প্রথম প্রশ্ন হল, তা যদি আমাদের স্বর্গরাজ্যে প্রবেশাধিকার না দেয়, তাহলে কী সে অধিকার দেবে? রাজ্যে প্রবেশের পথ কোনটি? প্রভু যীশু বলেছেন, “কিন্তু যে আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করবে সে-ই শুধু স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে।” সন্দেহাতীতভাবে এ-ই হল প্রয়োজন। তাহলে কীভাবে আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন ও রাজ্যে প্রবেশ করব? বস্তুত, প্রভু যীশু বহু পূর্বেই আমাদের সেই পথ দেখিয়েছেন। আরো ভালো করে বুঝতে প্রভু যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীগুলি দেখা যাক। প্রভু যীশু বলেছেন, “আমার এখনও অনেককিছুই তোমাদের বলার আছে, কিন্তু এখন তোমরা সেগুলো বহন করতে পারবে না। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনি তোমাদের সকল সত্যের পথে পরিচালিত করবেন(যোহন ১৬:১২-১৩)। “তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ, সেই সত্যের দ্বারা তুমি তাদের শুচিশুদ্ধ কর(যোহন ১৭:১৭)। “কেউ যদি আমার কথা শোনে, এবং অবিশ্বাস করে, আমি তার বিচার করি না: কারণ আমি এই জগৎকে বিচার করতে আসি নি, এসেছি জগতের উদ্ধার করতে। যে আমার বাক্য গ্রহণ না করে আমাকে প্রত্যাখ্যান করে, তারও বিচারকারী রয়েছে: শেষের দিনে আমার মুখনিঃসৃত সেই বাণীই হবে তার বিচারক(যোহন ১২:৪৭-৪৮)। “পিতা কারও বিচার করেন না, বিচারের ভার সম্পূর্ণরূপে তিনি পুত্রকেই দান করেছেন(যোহন ৫:২২)। প্রভু যীশু বহুবার তাঁর প্রত্যাবর্তনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এবং এই পদগুলি তাঁর প্রত্যাবর্তনের পর তিনি কী কাজ করবেন সে বিষয়ে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, যা হল বিচারকার্যের স্বার্থে বহু সত্য প্রকাশ করা, মানুষকে সকল সত্যে প্রবেশ করার জন্য নেতৃত্ব দেওয়া, মানবজাতিকে পাপ ও শয়তানের শক্তি থেকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করা, এবং পরিশেষে তাঁর রাজ্যে আমাদের নিয়ে যাওয়া যাতে আমরা এক সুন্দর গন্তব্য পাই। এই কারণেই প্রভুর প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর বিচারকার্য আমাদের সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করতে হবে। যতক্ষণ না আমরা সত্য অর্জন করছি, আমরা সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতি থেকে পরিশুদ্ধ হতে পারব না এবং আমাদের পাপী প্রকৃতিরও নিবারণ সম্ভব হবে না। এই হল পাপ দূরীভূত করে পবিত্র হওয়ার, এবং ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশের যোগ্য হওয়ার একমাত্র পথ। আমাদের ভ্রষ্ট স্বভাবের পরিশোধন করতেই হবে আমাদের পাপপূর্ণ প্রকৃতির সম্পূর্ণ সংশোধনের স্বার্থে। শয়তানের শক্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের দুর্নীতিপরায়ণ স্বভাবকে দূরীভূত করতে হবে এবং ঈশ্বরের কাছে সমর্পিত হয়ে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করতে হবে। নাহলে আমাদের রাজ্যে কোনো অধিকার থাকবে না। সুতরাং আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে শুধুমাত্র যারা অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তির মাধ্যমে শুদ্ধ হয়েছে তারাই ঈশ্বরের ইচ্ছা সাধনের যো গ্য হতে পারে। এর থেকেই প্রমাণ হয় যে অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচার ও পরিশোধন স্বীকার করাই রাজ্যে প্রবেশের একমাত্র পথ। এ প্রসঙ্গে ঈশ্বরের কিছু বাক্য পড়ে নেওয়া যাক। “তোমাদের মতো একজন পাপী, যাকে সদ্য মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যাকে ঈশ্বর এখনও পরিবর্তিত অথবা ত্রুটিমুক্ত করেন নি, সে কীভাবে ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারবে? তোমার ক্ষেত্রে, যে কিনা এখনও তার পুরনো সত্তাতেই রয়েছ, একথা সত্যি যে, যীশু তোমাকে উদ্ধার করেছিলেন এবং ঈশ্বরের পরিত্রাণের কারণে তোমাকে পাপী হিসাবে গণ্য করা হয় না, কিন্তু তাই বলে এর থেকে এমন প্রমাণ হয় না যে তুমি পাপী নও, এবং অশুদ্ধ নও। তোমাকে যদি পরিবর্তিত না করা হয়, তাহলে তুমি কীভাবে সাধুচরিত্র হবে? তোমার অন্তরে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে অশুদ্ধতা, স্বার্থপরতা এবং সঙ্কীর্ণতা, তা সত্ত্বেও তুমি যীশুর সঙ্গে অবতীর্ণ হওয়ার ইচ্ছা রাখ—এমন সৌভাগ্য তোমার কীভাবে হবে? ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তুমি একটি ধাপ হারিয়ে ফেলেছ: তোমাকে কেবল মুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু তোমাকে পরিবর্তিত করা হয় নি। তোমাকে যদি ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হয়, তাহলে স্বয়ং ঈশ্বরকেই ব্যক্তিগতভাবে তোমাকে পরিবর্তিত এবং পরিশোধিত করতে হবে; তুমি যদি শুধুমাত্রই মুক্ত হও, তাহলে তুমি পবিত্রতা অর্জনে অক্ষম হবে। এইভাবে তুমি ঈশ্বরের শুভ আশিসের ভাগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হবে, কারণ ঈশ্বরের মানুষকে পরিচালনার কার্যের একটি পর্যায়ক্রম থেকে তুমি বঞ্চিত হয়েছ, যা ছিল তোমায় নিখুঁত করে তোলার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তাই, সদ্য মুক্তি লাভ করা একজন পাপী হিসাবে, তুমি প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বরের উত্তরাধিকার লাভ করতে অক্ষম(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অভিধা ও পরিচয় সংক্রান্ত)। “যদিও যীশু মানুষের মধ্যে অনেক কাজ করেছিলেন, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র সমস্ত মানবজাতির মুক্তি সম্পূর্ণ করেছিলেন এবং মানুষের পাপস্খালনের বলি হয়েছিলেন; তিনি মানুষকে তার সমস্ত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্তি দেননি। শয়তানের প্রভাব থেকে মানুষকে পুরোপুরি মুক্ত করার জন্য শুধু যীশুর পাপস্খালনের বলি হওয়া আর মানুষের পাপ বহন করার প্রয়োজন ছিল তাই নয়, বরং মানবজাতিকে সম্পূর্ণরূপে তার শয়তানোচিত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বরের আরো মহত্তর কর্মের প্রয়োজন ছিল। এবং তাই, এখন যখন মানুষ তার পাপের ক্ষমা পেয়েছে, ঈশ্বর মানুষকে নতুন যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেহরূপে ফিরে এসেছেন এবং শাস্তি ও বিচারের কাজ শুরু করেছেন। এই কাজ মানুষকে এক উচ্চতর জগতে নিয়ে এসেছে। যারা তাঁর রাজত্বের অধীনে আত্মসমর্পণ করে তারা উচ্চতর সত্য উপভোগ করবে এবং বৃহত্তর আশীর্বাদ লাভ করবে। তারা প্রকৃতপক্ষেই আলোতে বাস করবে, এবং তারা সত্য, পথ ও জীবন লাভ করবে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ভূমিকা)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য অত্যন্ত স্পষ্ট। প্রভু যীশু অনুগ্রহের যুগে মুক্তির কাজ করেছেন। তা ছিল শুধুমাত্র মানুষের পাপ ক্ষমা করার জন্য এবং তা পরিত্রানের কাজের মাত্র অর্ধেকটাই সমাপ্ত করতে পেরেছিল। কেবলমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারকার্যই মানবজাতিকে সম্পূর্ণ পরিশুদ্ধ ও রক্ষা করতে পারে। মানুষের সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রকাশ করা সত্যগুলিকে এবং তাঁর বিচার ও শাস্তিকে স্বীকার করা উচিত, তাহলেই তাদের দুর্নীতির পরিশোধনের মাধ্যমে তারা রূপান্তরিত হতে পারে এবং ঈশ্বরের বাধ্য হয়ে ও তাঁর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করে তাঁর রাজ্যের যোগ্য হবে। বলা যায়, তারা স্বর্গরাজ্যে যাওয়ার একটি অনুমতিপত্র পাবে। আমরা বলতে পারি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারকার্য হলো ঈশ্বরের মানুষকে উদ্ধারের কাজে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, এবং এই ধাপ থেকেই কোনো ব্যক্তির রাজ্যে প্রবেশের অধিকার নির্ধারিত হবে। সবচেয়ে জরুরি এই ধাপ থেকে বাদ পড়ে যাওয়া, এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচার, ও পরিশুদ্ধ হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার অর্থ, তার অর্থ তোমার বিশ্বাসের সামগ্রিক ব্যর্থতা। তুমি যত দীর্ঘকালই বিশ্বাস করো না কেন, যতই কঠিন কাজ করো না কেন বা যতই ত্যাগ করে থাকো না কেন, যদি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে তুমি প্রত্যাখ্যান করো তা সবই ব্যর্থ, এবং এ হল মাঝপথে ছেড়ে দেওয়ার শামিল। তুমি রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। এ সারাজীবনের আফশোস হয়ে থেকে যাবে!

তাহলে ঈশ্বর কীভাবে বিচার, শোধন এবং মানবজাতিকে রক্ষার কাজ করেন যাতে আমাদের তাঁর রাজ্যে নিয়ে যাওয়া যায়? সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়া যাক: “অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট মানুষকে শেখানোর জন্য, মানুষের উপাদান প্রকাশ করার জন্য এবং মানুষের কথা ও কাজের বিশ্লেষণ করার জন্য বিভিন্ন সত্য ব্যবহার করেন। এই বাক্যে বিভিন্ন সত্য অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেমন মানুষের কর্তব্য, কীভাবে মানুষের ঈশ্বরকে মান্য করা উচিত, কীভাবে মানুষের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা উচিত, কীভাবে মানুষের স্বাভাবিক মানবতাসম্পন্ন জীবনযাপন করা উচিত, সেইসাথে থাকে ঈশ্বরের প্রজ্ঞা এবং স্বভাব ইত্যাদি বিষয়সমূহ। এই সমস্ত বাক্য মানুষের উপাদান এবং তার ভ্রষ্ট স্বভাবের দিকেই ইঙ্গিত করে। বিশেষ করে, সেই সমস্ত বাক্য, যা অনাবৃত করে মানুষ কীভাবে ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তা আসলে এ সম্পর্কে কথা বলে যে কীভাবে মানুষ শয়তানের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রু শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাঁর বিচারকার্যের সময়, ঈশ্বর কেবলমাত্র কয়েকটি বাক্যের মাধ্যমে মানুষের প্রকৃতি স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন না; তিনি দীর্ঘমেয়াদে তা অনাবৃত করেন, মোকাবিলা করেন এবং তাদের অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন করেন। অনাবৃতকরণ, মোকাবিলা এবং অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তনের এই সমস্ত ভিন্ন পদ্ধতি সাধারণ শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা যায় না, সেই সত্যের দ্বারাই প্রতিস্থাপিত করা যায় যার সম্পর্কে মানুষ একেবারেই অসচেতন। শুধুমাত্র এই ধরনের পদ্ধতিকেই বিচার বলা যেতে পারে; শুধুমাত্র এই ধরনের বিচারের মাধ্যমেই মানুষ ঈশ্বরের প্রতি অনুগত হতে পারে, তাঁর সম্বন্ধে দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত হতে পারে, এবং ঈশ্বর সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, খ্রীষ্ট সত্যের দ্বারাই বিচারের কাজ করেন)। যাদের ঈশ্বরের বিচার এবং শাস্তির অভিজ্ঞতা আছে তারা সকলেই গভীরভাবে বোঝে যে আমাদের দুর্নীতি ও সারসত্য প্রকাশ করার জন্য ঈশ্বরের বাক্য ছাড়া, আমরা কখনোই বুঝব না আমরা কত গভীরভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত, আমাদের দুর্নীতি কত গুরুতর। ঈশ্বরের দ্বারা বিচার, শাস্তি, অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন, মোকাবিলা ও অনুশাসন না হলে আমরা কখনোই আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত স্বভাব দুরীভূত করব না এবং এমনকি নিজেদের প্রকৃতভাবে জানাও কঠিন হবে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে এত বিশ্বাসী সর্বদা পাপাচার ও স্বীকারোক্তি, তারপর স্বীকারোক্তি ও পুনরায় পাপাচার, এর থেকে মুক্ত হতে পারে না, তারা বুঝতে পারে না যে তাদের পাপের শিকড় শয়তানের দ্বারা গভীরভাবে ভ্রষ্ট হওয়ার মধ্যেই নিহিত। তারা এখনও ভুল করে মনে করে যে তারা সরাসরি স্বর্গে যেতে পারে কারণ তাদের ক্ষমা করা হয়েছে। এ নিতান্তই অন্ধত্ব, মূর্খতা এবং আত্মসচেতনতার সার্বিক অভাব। প্রকৃত অনুতাপ শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তির মাধ্যমেই আসতে পারে এবং ঈশ্বরের ভয় ও অশুভের বর্জন শুধুমাত্র ঈশ্বরের ধার্মিক স্বভাবকে জানার মাধ্যমেই আসতে পারে। একমাত্র তখনই আমরা ঈশ্বরের উপাসনা ও তাঁর কাছে সমর্পণ করতে পারব, এবং তাঁর ইচ্ছা সাধনের যোগ্য ব্যক্তি হতে পারব। শুধুমাত্র অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচার ও পরিশোধনের অভিজ্ঞতার পরেই তুমি প্রকৃত অর্থে এটা জানতে পারো।

এবার আমার মনে হয় আমরা পরিষ্কার করে বুঝেছি যে রাজ্যের পথ অত্যন্ত স্পষ্ট ও বাস্তব, তা শুধু ক্ষমা প্রাপ্তি এবং প্রভুর পরমানন্দে উন্নীত করার, এবং তারপর সরাসরি স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা নয়। সেটা বাস্তবসম্মত নয়—এ শুধুই স্বকপোলকল্পিত ধারণা। যদি আমরা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে চাই, তাহলে যা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তা হল সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তিকে স্বীকার করা যাতে আমাদের দুর্নীতি পরিশুদ্ধ হয় ও আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা সাধন করতে পারি। তখন আমরা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি ও আশীর্বাদ অর্জন করার যোগ্য হব এবং স্বর্গে আনীত হব। যদি আমরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারের কাজ প্রত্যাখ্যান করি, আমরা কখনোই সত্য ও জীবন অর্জন করতে পারব না বা আমাদের দুর্নীতি পরিশোধন হবে না। প্রভু এভাবেই আমাদের স্বর্গে নিয়ে যাবেন সেই আকাঙ্খা হচ্ছে মূর্খের সাধ, আর এই মানুষেরা হচ্ছে সেই বুদ্ধিহীন কুমারীর মতো, যারা কাঁদতে কাঁদতে ও দাঁত কিড়মিড় করতে করতে বিপর্যয় কবলিত হবে। আমরা বলতে পারি যে অন্তিম সময়ে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজ স্বীকার করাই হল তাঁর সিংহাসনের সম্মুখে উত্তোলিত হওয়া। আমাদের এখনো তাঁর প্রকাশিত সত্য এবং তাঁর বিচার ও শাস্তি স্বীকার করতে হবে, দুর্নীতি দূর করতে ও পরিশুদ্ধ হতে হবে, যাতে বিপর্যয়ের মুখে শেষপর্যন্ত আমরা ঈশ্বরের দ্বারা রক্ষিত ও সুরক্ষিত হতে পারি, এবং তিনি যে সুন্দর গন্তব্য প্রস্তুত করেছেন সেখানে প্রবেশ করতে পারি। সত্যকে স্বীকার না করে মুখের কথায় সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে স্বীকার করা, তাঁর বিচার ও শাস্তিতে সমর্পণ না করা প্রকৃত বিশ্বাস নয়, এবং সেই ব্যক্তি হয়ে ওঠা নয় যে সত্যকে প্রকৃতই ভালোবাসে। শেষপর্যন্ত তাদের স্বরূপ প্রকাশ পাবে ও তারা অপসারিত হবে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আরেকটি উদ্ধৃতি দিয়ে আমরা শেষ করব। “যারা খ্রীষ্টের বাণীর সত্যের উপর নির্ভর না করে জীবন লাভ করতে চায় তারা পৃথিবীর সবচেয়ে হাস্যকর মানুষ এবং যারা খ্রীষ্ট প্রদত্ত জীবন যাপনের পথের সন্ধান পেতে চায় না তারা অলীক কল্পনার জগতে বিভোর হয়ে আছে। তাই বলছি যে যারা অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টকে গ্রহণ করে না তারা চিরকাল ঈশ্বরের দ্বারা ঘৃণার পাত্র হয়েই থাকে। অন্তিম সময়ে খ্রীষ্টই মানুষের কাছে রাজ্যের প্রবেশপথ, এবং কেউ তাঁকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। খ্রীষ্টের মধ্যস্থতা ছাড়া কেউ ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হয়ে উঠতে পারে না। তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করলে, অবশ্যই তাঁর বাক্য মেনে নেবে এবং তাঁর প্রদর্শিত পথের অনুবর্তী হবে। তুমি সত্য প্রাপ্তি না করে এবং জীবনের বিধান গ্রহণে অক্ষম হয়ে কেবল আশীর্বাদ লাভের কথা ভেবে যেতে পারো না। খ্রীষ্ট অন্তিম সময়ে আসেন, যাতে তাঁর প্রকৃত অনুরাগীদের জীবন প্রদান করতে পারেন। পুরাতন যুগের পরিসমাপ্তি ঘটানো এবং নতুন যুগে প্রবেশের উদ্দেশ্যেই তাঁর কাজ, আর যারা নতুন যুগে প্রবেশ করবে, তাঁর কাজের এই পথ তাদের গ্রহণ করতেই হবে। যদি তুমি তাঁকে মেনে নিতে অস্বীকার করো এবং তার পরিবর্তে তাঁর নিন্দা করো, তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করো অথবা নির্যাতন করো, তাহলে তুমি অনন্তকাল জ্বলতে থাকবে এবং কখনই ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ খ্রীষ্ট স্বয়ং পবিত্র আত্মার প্রতিরূপ, ঈশ্বরের মূর্ত প্রকাশ, এমন একজন যাকে ঈশ্বর পৃথিবীতে তাঁর হয়ে কাজ করার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তাই আমি বলছি যে অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টের কর্মকাণ্ড মেনে নিতে না পারার অর্থ পবিত্র আত্মার নিন্দা করা। যারা পবিত্র আত্মার নিন্দা করে তাদেরকে প্রদত্ত শাস্তির স্বরূপ সকলের কাছে স্বতঃসিদ্ধ(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, শুধুমাত্র অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট মানুষকে অনন্ত জীবনের পথ দেখাতে পারেন)

পূর্ববর্তী: অবতারত্ব কী?

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

রক্ষাকর্তা যখন ফিরে আসবেন, তিনি কি তখনও যীশু নামেই অভিহিত হবেন?

অন্তিম সময়ে, রক্ষাকর্তা সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে এসে গেছেন, তিনি সত্য প্রকাশ করছেন, মানবজাতিকে সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করতে...

অদ্বিতীয় সত্য ঈশ্বর কে?

আজকাল অধিকাংশ মানুষই আস্থাশীল এবং তাদের ঈশ্বরর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিশ্বাস আছে। তারা তাদের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত ঈশ্বরেই বিশ্বাস করে। তাই সময়ের...

প্রভু যীশু মানবজাতিকে মুক্ত করেছিলেন, সুতরাং অন্তিম সময়ে তাঁর প্রত্যাগমন-কালে তিনি কেন বিচারের কাজ করবেন?

২,০০০ বছর আগে, অবতাররূপী প্রভু যীশু মানবজাতির মুক্তির জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন, পাপ উৎসর্গের রূপে এবং তাঁর মুক্তির কাজকে সম্পূর্ণ করেছিলেন।...

পরিত্রাতা কীভাবে মানবজাতিকে রক্ষা করেন, যখন তিনি আসেন?

পরিত্রাতার বিষয়ে কথা বলতে গেলে সমস্ত বিশ্বাসীরাই এটা মানবেন যে অন্তিম সময়ে মানবজাতিকে রক্ষা করতে তাঁর আগমন নিশ্চিত। অনেক নবীই বলে গেছেন যে...

Leave a Reply

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন