অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতার নারী কেন?

17-04-2023

অন্তিম সময়ে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অবতার কাজ করার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন এবং বহু সত্য প্রকাশ করেছেন। ইন্টারনেটে এ কথা দেওয়ার ফলে সারা বিশ্ব কেঁপে উঠেছে, কারণ আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ তা অনুসন্ধান করছে এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আবির্ভাব প্রত্যক্ষ করছে। এ কথা স্পষ্ট যে ঈশ্বরের অবতাররূপে আগমন এবং সত্য প্রকাশ করা প্রদর্শন করে তাঁর বাক্যের এবং ঈশ্বরের অসীম ক্ষমতা। যেহেতু এগুলি প্রকৃত পথের অনুসন্ধান করে, তাই অনেকেই বুঝেছে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রকাশিত বাক্য কর্তৃত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী, সেইগুলিই সত্য এবং সেগুলি এসেছে ঈশ্বরের থেকে, এবং তারা নিশ্চিত এবং তাদের আর কোনো সন্দেহ নেই। তবুও যখন তারা শোনে অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, একজন নারী, তখন অনেকেই নারাজ হয়ে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে। তারা মনে করে প্রভু যীশু যখন আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি ছিলেন পুরুষ, পবিত্র আত্মাও সেই সময়ে এই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে প্রভু যীশু হলেন “প্রিয় পুত্র” এবং বাইবেলেও এই তথ্য আছে, সুতরাং প্রভু প্রত্যাবর্তিত হলে তিনি ইহুদি প্রভু যীশুর প্রতিমূর্তির পুরুষই হবেন। কোনোভাবেই তিনি নারী হতে পারেন না। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যত সত্যই প্রকাশ করুন না কেন এবং তাঁর কাজ যতই বিপুল হোক না কেন, তারা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে, অনুসন্ধান এবং তদন্ত তো পরের কথা। কারণ হল, “সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যদি পুরুষ হতেন তাহলে বিশ্বাস করতাম, কিন্তু তিনি যদি নারী হন, আপনি যাই বলুন না কেন, আমি কখনোই বিশ্বাস করবো না, কারণ প্রভু যীশু ছিলেন পুরুষ।” এই কারণে, এরা প্রত্যাবর্তিত প্রভুকে স্বাগত জানানোর সুযোগ হারায় ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়, খুবই দুঃখের কথা। তাহলে, এই সব ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের বক্তব্য ও মতামত কি সঠিক? তাদের চিন্তা কি বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ? ঈশ্বর-বাক্যে তাদের ধারণার কি সমর্থন আছে? একেবারেই না। কারণ হল প্রভু যীশু কখনোই নির্দিষ্টভাবে বলেন নি যে প্রত্যাবর্তনের সময় তিনি পুরুষ বা নারী হবেন, এবং পবিত্র আত্মা সাক্ষ্য দেন নি যে মনুষ্যপুত্র যখন ফিরে আসবেন তখন তিনি পুরুষ না নারী হবেন। বাইবেল এই ভবিষ্যদ্বাণীও করে না যে অন্তিম সময়ে ঈশ্বর যখন ফিরে আসবেন তখন তিনি পুরুষ না নারী হবেন। এ প্রমাণই যথেষ্ট যে মানুষের বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গির বাইবেলে কোনো ভিত্তি নেই এবং এগুলি মানুষের নিছক ধারণা ও কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেক মানুষ প্রশ্ন করে, “অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের অবতার পুরুষের বদলে নারী কেন?” এখানে, আমি এই প্রশ্নের জবাবে আমার ব্যক্তিগত কিছু উপলব্ধি ভাগ করে নেব।

বাইবেলে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী আছে যে ঈশ্বর অন্তিম সময়ে মনুষ্যপুত্র-রূপে দেহধারণ করবেন, কিন্তু অন্তিম সময়ে প্রভু যখন ফিরে আসবেন তখন তিনি পুরুষ না নারী হবেন তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, “মানবপুত্রের আগমন হবে”, “মানবপুত্র আসবেন”, এবং “মানবপুত্র তাঁর সেই দিনে”। আজ, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এসেছেন, অনেক সত্য প্রকাশ করেছেন এবং অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ করছেন, এবং এইভাবেই পূর্ণ হচ্ছে ভবিষ্যদ্বাণী, তবুও মানুষ অবাক হয় যখন তারা আবিষ্কার করে যে অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট হলেন এক নারী। আমাদের ধারণার সাথে এটি একেবারেই মেলে না। যেহেতু এটি ঈশ্বরের আবির্ভাব এবং কাজ, এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক যে এটি সম্পর্কে মানুষের ধারণা রয়েছে। প্রভু যীশু যখন এসেছিলেন তখন মানুষের আরও বড় ভ্রান্তি হয়েছিল। তাই, কোনো কিছু সম্পর্কে মানুষের ধারণা যত বেশি, সেটি তত রহস্যময়। সেই রহস্যগুলি যদি ঈশ্বর প্রকাশ না করেন, তা হলে আমরা কখনই তা বুঝতে পারব না। সুতরাং, দেখা যাক সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কী বলেছেন, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “যদি ঈশ্বর শুধুমাত্র একজন পুরুষ হিসাবে দেহধারণ করতেন, তাহলে মানুষ তাঁকে পুরুষ হিসাবে, পুরুষদের ঈশ্বর হিসাবে, সংজ্ঞায়িত করত, আর কখনোই তাঁকে নারীদের ঈশ্বর হিসাবে বিশ্বাস করত না। পুরুষদের তাহলে ধারণা হত যে ঈশ্বর পুরুষের মতো একই লিঙ্গের, ঈশ্বর পুরুষদের প্রধান—কিন্তু নারীদের কী হত? এটা অন্যায়; এটা কি পক্ষপাতমূলক আচরণ নয়? যদি এমন হতো, তাহলে ঈশ্বর যাদের উদ্ধার করেছেন, তারা সকলেই তাঁর মতো পুরুষই হত, এবং কোনো একজন নারীকেও উদ্ধার করা হত না। মানবজাতিকে সৃষ্টির সময়, ঈশ্বর আদমকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং তিনি হবাকে সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি শুধু আদমকে সৃষ্টি করেন নি, বরং তাঁর প্রতিমূর্তিরূপে পুরুষ ও নারী উভয়কেই তিনি তৈরি করেছিলেন। ঈশ্বর শুধু পুরুষদের ঈশ্বর নন—তিনি নারীদেরও ঈশ্বর(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের কাজের দর্শন (৩))। “ঈশ্বরের সম্পাদিত কাজের প্রতিটি পর্যায়েরই নিজস্ব ব্যবহারিক তাৎপর্য রয়েছে। অনেককাল আগে, যীশু যখন এসেছিলেন, তখন তিনি পুরুষ রূপে এসেছিলেন, আর এইবার যখন ঈশ্বর আসেন, তখন তাঁর রূপ নারী। এর থেকে তুমি দেখতে পাবে যে পুরুষ ও নারী, ঈশ্বরের এই উভয় সৃষ্টিই তাঁর কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, এবং তাঁর কাছে কোনো লিঙ্গ ভেদ নেই। যখন তাঁর আত্মা আসেন, তিনি ইচ্ছামতো যে কোনো দেহ ধারণ করতে পারেন, এবং সেই দেহ তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে; যতক্ষণ এটি তাঁর অবতাররূপ দেহ, ততক্ষণ তা পুরুষ হোক বা নারী, সে ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, দু’টি অবতার অবতাররূপের তাৎপর্য সম্পূর্ণ করে)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের এই বাক্যগুলিতে আমরা দেখি, ঈশ্বরের অবতার নারী বা পুরুষ যাই হোক না কেন, সেটি তাৎপর্যপূর্ণ। তার মধ্যে সত্যের অনুসন্ধান আছে, এবং তা ঈশ্বরের ইচ্ছা বুঝতে এবং ঈশ্বরের স্বভাব জানতে আমাদের সাহায্য করে। ঈশ্বরের অবতার যদি সবসময়ই পুরুষ হন তাহলে তার ফলাফল কী হতো? মানুষ চিরকালের জন্য ঈশ্বরকে পুরুষ হিসাবে সীমায়িত করত এবং কখনোই নারী হিসাবে নয়, এবং নারীরা বৈষম্যের শিকার হয়ে সমাজের পূর্ণ সদস্য হিসেবে বসবাস করতে অক্ষম হতেন। নারীদের জন্য তা কি সঠিক হতো? ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ এবং পুরুষ ও নারী উভয়কেই সৃষ্টি করেছেন তিনি, তাই তাঁর প্রথম অবতার রূপ পুরুষের এবং অন্তিম সময়েই তিনিই নারী অবতার রূপে আবির্ভূত। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই কারণে সব নারীর উল্লসিত এবং আনন্দিত হওয়া উচিত এবং অন্য কোন ধারণা রাখা উচিত নয়। যদি কোন মহিলা এখনও নারী-অবতাররূপী ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান এবং তাঁর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে, তাহলে সেই মহিলা করুণার পাত্র! প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের অবতার নারী না পুরুষ তাতে কিছুই যায় আসে না। মূল কথা হলো, তিনি সত্য প্রকাশ এবং পরিত্রাণের কাজ করতে পারেন কি না। মানুষের এই ধারণা থাকা উচিত নয় যে একমাত্র পুরুষ অবতারই ঈশ্বরের কাজ করতে পারেন, এবং তিনি নারী হলে ঈশ্বরের কাজ করতে পারবেন না। এটি পিছিয়ে পড়া চিন্তা এবং অজ্ঞতা। এখন আমরা সবাই দেখি পুরুষরা যা করতে পারে নারীরা তার সবগুলিই পারে। যেমন পুরুষের মতো নারীরাও বিমান চালাতে পারে। পুরুষের মত নারীরাও মহাকাশচারী হতে পারে। পুরুষের মত নারীরাও রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারে। পুরুষরা ব্যবসা চালায় এবং নিজের কেরিয়ার গড়ে, এবং নারীরাও ব্যবসা চালায় এবং নিজের কেরিয়ার গড়ে। এইসব তথ্য প্রমাণ করে যে নারীরা কোন ভাবেই পুরুষের থেকে অক্ষম নয়। তাহলে ঈশ্বরের অবতার কেন শুধুমাত্র পুরুষরাই হবে এবং নারীরা নয় কেন? সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দিকে তাকিয়ে দেখো যে তিনি কত সত্য প্রকাশ করেছেন এবং কত কাজ করেছেন। তিনি নারী হওয়াতে ঈশ্বরের কাজ কি বিঘ্নিত হয়েছে? সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ প্রভু যীশুর আগের থেকে অনেক বড়। প্রভু যীশুর তুলনায় সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অনেক বেশি এবং গভীর সত্য প্রকাশ করেছেন। এসব তথ্য সবাই জানে কিন্তু তা সত্বেও মানুষ কেন সেগুলি স্বীকার করতে পারছে না? বিশ্বে আজ কত নারী নির্যাতিত, বৈষম্য এবং যন্ত্রণার শিকার? পুরুষদের সমান মর্যাদা থাকা দরকার তাদের, এবং তার চেয়েও বেশি দরকার, তাদের পরিত্রাণ এবং স্বাধীনতা। আমাদের নারী সঙ্গীদের কে বাঁচাতে পারে? আজ সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আবির্ভূত হয়েছেন, এবং তিনি এই মন্দ জগত এবং গভীরভাবে কলুষিত মানবজাতির বিচারের জন্য সত্য প্রকাশ করেছেন। বহু নারী প্রত্যক্ষ করেছে অবতার-রূপে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এক নারী, যিনি সত্যের প্রকাশ এবং অন্তিম সময়ে বিচারের কাজ করতে পারেন, এবং নারী হিসাবে তারা গর্বিত। তারা তাদের মাথা উঁচু করে রাখে, তারা স্বাধীনতা এবং মুক্তির অনুভূতি অর্জন করেছে, এবং তারা সবাই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গুণকীর্তন এবং প্রশংসা করে। ঈশ্বর-অবতারের নারীরূপই প্রমাণ করে ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ স্বভাব। একমাত্র ঈশ্বরই মানবজাতিকে প্রকৃত ভালোবাসেন এবং মানুষের সাথে প্রকৃত ন্যায়সঙ্গত আচরণ করেন। ঈশ্বর কত প্রেমার্হ! এখন আর একটি বিষয় বিবেচনা করা যাক। পুরুষ প্রভু যীশু মানুষের পাপ বহন করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মুক্তির কাজ সম্পন্ন করেন। প্রভু যীশু যদি নারী হতেন, তাহলে কি তিনি ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে মুক্তির কাজ সম্পন্ন করতে পারতেন? নিঃসন্দেহে তিনি তা পারতেন। ঈশ্বরের অবতার রূপের অর্থ হল হল ঈশ্বরের আত্মা এক মানব শরীরে স্থাপন করা, সেই শরীর নারী বা পুরুষের যারই হোক না কেন তাতে কিছুই যায় আসে না, তিনি স্বয়ং ঈশ্বর। তিনি সত্য প্রকাশ এবং কাজ করেন, এবং তার সবগুলিই নিয়ন্ত্রণ করেন ঈশ্বরের আত্মা। সুতরাং, ঈশ্বরের অবতার দেহ নারী না পুরুষ কোন শরীরে তাতে কিছুই যায় আসে না, তিনি ঈশ্বরের পরিচয় বহন করতে সক্ষম এবং নিজেই ঈশ্বরের কাজ করেন, এবং শেষ পর্যন্ত সেই কাজ সম্পন্ন হবে এবং ঈশ্বর মহিমান্বিত হবেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ঠিক এ কথাই বলেছেন, “যীশু যখন এসেছিলেন, তখন তিনি যদি নারী হিসাবে আবির্ভূত হতেন, অর্থাৎ যদি পবিত্র আত্মা শিশুপুত্রর পরিবর্তে এক শিশুকন্যাকে ধারণ করতেন, সেক্ষেত্রেও সেই কাজের পর্যায়টি একইভাবেই সম্পন্ন হত। যদি তাই হতো, তাহলে কাজের বর্তমান পর্যায়টি তার পরিবর্তে একজন পুরুষের দ্বারা সম্পন্ন করতে হত, কিন্তু কাজটি একইভাবেই শেষ হত। কাজের প্রতিটি পর্যায়ে সম্পাদিত কাজেরই নিজস্ব তাৎপর্য আছে; কাজের কোনো পর্যায়েরই কখনো পুনরাবৃত্তি করা হয় না, বা অন্য কোনো পর্যায়ের সঙ্গে তা বিরোধও ঘটায় না(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, দু’টি অবতার অবতাররূপের তাৎপর্য সম্পূর্ণ করে)। অর্থাৎ অবতারের দেহরূপ পুরুষ বা নারী কোন শরীরে আবির্ভূত তাতে কিছুই যায় আসে না। যদি তিনি সত্যের প্রকাশ এবং ঈশ্বরের অভীষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে পারেন, সেই সাথে মানবজাতিকে পরিশুদ্ধ এবং উদ্ধার করতে পারেন, তা হলে তিনিই হলেন ঈশ্বরের অবতার। মানুষ যদি মনে করে যে ঈশ্বরের অবতার কেবল পুরুষই হতে পারে নারী নয়, তাহলে তা কি নিছকই মানুষের নিয়ম, ধারণা এবং কল্পনার ফসল নয়? তারা কি মনে করে ঈশ্বর কেবল পুরুষ সৃষ্টি করেছেন এবং নারী নয়? যেহেতু অবতার ঈশ্বর নারী, তাই তিনি যত সত্যই প্রকাশ করুন বা তিনি কত বড় কাজই করুন না কেন, মানুষ তাঁকে স্বীকার বা গ্রহণ করে না। এটা কি নিছক এই কারণে নয় যে মানুষ নারীদের অস্বীকার ও তাদের প্রতি বৈষম্য করে? এটি কি মানবজাতির দুর্নীতিগ্রস্ত স্বভাবগুলির মধ্যে একটি নয়? ঈশ্বর কোন রূপে আবির্ভূত হবেন এবং কীভাবে কাজ করবেন তা বেছে নেওয়ার অধিকার মানুষের নেই। যতক্ষণ তিনি ঈশ্বরের অবতার, এবং যতক্ষণ তিনি সত্য প্রকাশ করেন এবং ঈশ্বরের কাজ করেন, পুরুষ বা মহিলা শরীর যাই হোক না কেন, মানুষের উচিত তা গ্রহণ করা এবং তাঁকে মান্য হওয়া। এটি যুক্তিসঙ্গত এবং বিচক্ষণ কার্যক্রম। ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ, এবং ঈশ্বরের চিন্তা-ভাবনা মানুষের চিন্তার অতীত। কীভাবে মানুষ ঈশ্বরের কর্মপদ্ধতি নাগাল পাওয়ার আশা করতে পারে? প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত, ঈশ্বরের কাজের প্রতিটি পর্যায় মানুষের ধারণাকে অতিক্রম করেছে ও তার সঙ্গে বিসদৃশ হয়েছে। প্রভু যীশু যখন আবির্ভূত হয়ে কাজ করেছিলেন, তার রূপ, জন্ম ও পরিবার ছিল মানুষের ধারণার বাইরে। এই কারণেই ফরিশীরা স্বীকার করে নি যে তিনিই ছিলেন শাস্ত্রের ভবিষ্যদ্বাণীর মশীহ এবং শেষ পর্যন্ত তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করেন, যে ঘৃণ্য পাপের জন্য তারা ঈশ্বরের দ্বারা দণ্ডিত এবং অভিশপ্ত হয়েছিল। এটি রক্তেমূল্যে প্রাপ্ত একটি চিন্তা-উদ্দীপক পাঠ। সুতরাং, ঈশ্বরের আবির্ভাব এবং কাজের সাথে জড়িত সবকিছুই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং এক রহস্য। মানুষ যদি সত্যের সন্ধান না করে, শুধু নিজের ধারণায় অটল থাকায় জোর দেয়, এবং খুব লঘুভাবে বিচার করে ও সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের ঈশ্বরের স্বভাবকে ক্ষুব্ধ করার সম্ভাবনা প্রবল। আপনি যদি ঈশ্বরের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং অপসারিত হন এবং তাঁর পরিত্রাণ হারান, আপনার দুঃখের শেষ থাকবে না।

আজ, এখনও অগণিত মানুষ আছেন যারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আবির্ভাব এবং অন্তিম সময়ের কাজ অস্বীকার করে কারণ তিনি এক নারী, এবং এমন কি, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য সত্য, তা জানা সত্ত্বেও, তাঁকে গ্রহণ করে না। এখানে সমস্যা কী? এই সব মানুষদের ধারণা এত গোঁড়া কেন? সত্য এবং সত্যের প্রকাশকে কেন তারা সবকিছুর উপরে মূল্য দেয় না? মানুষ হিসাবে, মানবজাতির সদস্য হিসাবে, যারা সৃষ্ট প্রাণী, আমাদের উচিত ঈশ্বর এবং তার কাজকে যুক্তির সাথে বিবেচনা করা। যদি আমরা স্পষ্টভাবে জানি যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হলেন ঈশ্বরের অবতার এবং স্পষ্টভাবে জানি যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা প্রকাশিত বাক্যগুলি সত্য, তবুও আমাদের ধারণাকে আমরা এখনও আঁকড়ে ধরে রাখি এবং তাঁকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করি যেহেতু তিনি নারী, তা হলে তা একটি গুরুতর সমস্যা। এটি করার অর্থ হলো ঈশ্বরকে অস্বীকার এবং তাঁর প্রতিরোধ করা। ঈশ্বরের অবতার বা তিনি যে সত্য প্রকাশ করেন তা অস্বীকার করা শুধু ধারণা বা কল্পনার সমস্যার থেকেও বড়। এটি আপনাকে একজন খ্রিস্টবৈরী করে তোলে, ঈশ্বরের শত্রু, এবং অভিশাপের যোগ্য করে তোলে! শাস্ত্রে যেমন বলা হয়েছে: “কারণ অনেক প্রতারকই জগতে প্রবেশ করেছে, যারা যীশু খ্রীষ্টের মানবদেহে আগমনের কথা স্বীকার করে না। এরাই বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী ও খ্রীষ্টবৈরী” (২ যোহন ১:৭)। “যে আত্মা যীশুকে স্বীকার করে না তা ঈশ্বরের নয়। তা হচ্ছে খ্রীষ্টবৈরীর আত্মা, যার আবির্ভাব সম্পর্কে তোমরা শুনেছ। সে ইতিমধ্যেই বিশ্বচরাচরে উপস্থিত হয়েছে” (১ যোহন ৪:৩)। সুতরাং আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে কেউ মনুষ্যপুত্রের প্রত্যাবর্তন প্রত্যাখ্যান করে এবং যে কেউ অবতার-রূপী ঈশ্বরের ফিরে আসা অস্বীকার করে সে একজন খ্রীষ্টবিরোধী। আপনি কি মনে করেন ঈশ্বর যখন ফিরে আসবেন তখন খ্রীষ্টবিরোধীদের রক্ষা করবেন? নিশ্চিতভাবে নয়। সুতরাং, খ্রীষ্টবিরোধীদের শেষ পরিণাম কী? এই খ্রীষ্টবিরোধীরা কী ভুল করে? তারা কেবল একজন ব্যক্তিকে প্রতিরোধ করে না, তারা অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট, স্বয়ং ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করছে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নিন্দা ও বিচারের সারমর্ম কী? এটি পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে নিন্দার পাপ। এই পাপ কখনো ক্ষমা হবে না, এখনও নয়, ভবিষ্যতেও হবে না।

অনেক মানুষ আজ ঈশ্বরে বিশ্বাস করে কিন্তু ঈশ্বরের কাজ সম্পর্কে অবহিত নয়, বা তারা জানে না মনুষ্যপুত্র কে, অবতার কী, বা একমাত্র সত্য ঈশ্বর কে। ঠিক এই কারণে ঈশ্বরের অবতারের বিরোধিতা করা খুব সহজ। তাই আমাদের ধারণা এবং কল্পনা অনুযায়ী ঈশ্বরের কাজ কখনোই সীমায়িত করা উচিত নয়। পরিবর্তে, আমাদের সত্য অনুসন্ধান করা উচিত এবং আমাদের ধারণাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া উচিত। শুধুমাত্র এই ভাবে আমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতে পারি। ঈশ্বরের দুই অবতারের কাজের তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী এবং গভীর। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এই কথা বলেছেন। “ঈশ্বর শুধুমাত্র পবিত্র আত্মা, আত্মা, সাতগুণ তীব্রতর আত্মা বা সর্বব্যাপী আত্মা নয়, বরং একজন মানুষও বটে—একজন সাধারণ মানুষ, একজন ব্যতিক্রমী সাধারণ মানুষ। তিনি শুধু পুরুষই নন, বরং একজন নারীও বটে। তাঁরা শুধুমাত্র মানুষের কাছে জন্ম নেওয়ার কারণেই একে অন্যের অনুরূপ এবং তাঁদের পার্থক্যের বিষয় হল একজন পবিত্র আত্মা দ্বারা প্রসূত আর অপরজন মানুষের কাছে জন্মগ্রহণ করলেও সরাসরি আত্মা থেকে আনিত। তাঁরা এই কারণে অনুরূপ যে উভয়েই হলেন পিতা ঈশ্বরের কাজ সম্পন্নকারী, ঈশ্বরের দেহরূপী অবতার। এবং তাঁদের পার্থক্য হল একজন মুক্তির কার্য সমাধা করেছিলেন আর অপরজন জয়ের কাজ করেন। তাঁরা উভয়েই পিতা ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করেন, কিন্তু একজন হলেন প্রেমময় উদারতা ও করুণায় পরিপূর্ণ মুক্তিদাতা আর অপরজন হলেন ক্রোধ ও বিচারে পূর্ণ ন্যায়পরায়ণতার ঈশ্বর। একজন হলেন মুক্তির কার্যের সূচনাকারী সর্বোচ্চ অধিনায়ক, অন্যজন হলেন জয়ের কাজ সম্পন্নকারী ন্যায়পরায়ণ ঈশ্বর। একজন হলেন শুরু, অপরজন শেষ। একজন পাপবর্জিত দেহরূপ, অপরজন হলেন সেই দেহরূপ যিনি মুক্তি সম্পন্ন করেন, কাজ চালিয়ে যান এবং কখনও পাপাচারী হন না। উভয়ই একই আত্মা, কিন্তু তাঁরা ভিন্ন দেহরূপে বাস করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে রয়েছে কয়েক হাজার বছরের ব্যবধান। তবুও, তাঁদের সমস্ত কাজ পারস্পরিকভাবে একে অন্যের পরিপূরক, কখনোই পরস্পরবিরোধী নয় এবং সেগুলি একই সঙ্গে উচ্চারিত হতে পারে। দুজনেই মানুষ, তবে একজন ছিল একটি শিশু বালক এবং অপরজন ছিল একজন শিশু বালিকা(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের বিষয়ে তোমার উপলব্ধি কী?)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য থেকে আমরা বুঝি, যে ঈশ্বর যখন অবতার রূপে মানবজাতিকে উদ্ধারের কাজ করেন, তখন ঈশ্বর পুরুষ বা নারী যাই হোন না কেন, কোন পরিবারে তাঁর জন্ম অথবা তার আকৃতি কেমন তাতে কিছুই যায় আসে না। এগুলির কোনটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো যে তিনি ঈশ্বরের কাজ করতে সক্ষম, ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করেন, এবং ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করেন। দুই হাজার বছর আগে, প্রভু যীশু যিহুদীয়ার একটি অতি সাধারণ পরিবারে গবাদিপশুর এক ভোজনপাত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ সম্পর্কে মানুষের ধারণা আছে। তারা সকলেই প্রভু যীশুকে নাজারেথের এক কাঠমিস্ত্রির পুত্র বলে বিবেচনা করেছিল এবং সে কারণেই তাঁর কাজ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ফলস্বরূপ তারা ঈশ্বরের দ্বারা অভিশপ্ত হয় এবং তাদের পরিত্রাণ হয় না। অন্তিম সময়ে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়েছেন এবং তাঁর আকৃতি এশিয়দের মত। বাহ্যিকভাবে তাঁকে একজন সাধারণ মানুষ বলে মনে হয়, তবুও তিনি এত সত্য প্রকাশ করেছেন, অন্তিম সময়ে বিচারের কাজ করেছেন, জয় করেছেন মানুষকে এবং গড়ে তুলেছেন বিজয়ীদের একটি দল। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এমন শক্তিশালী কাজ করেছেন যা সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে, এবং হাজার হাজার বছর ধরে শয়তানের মানবজাতিকে কলুষিত করার ইতিহাসের অবসান ঘটিয়ে নতুন যুগের সূচনা করেছেন। নারীর অবতারে ঈশ্বরের আবির্ভাব সম্বন্ধে কোনো ধারণার জন্য মানুষ কি আদৌ যোগ্য? আসলে, এই ধরনের লোকেরা খুব দাম্ভিক এবং যুক্তিহীন হয়। আজ, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার সারা বিশ্বে প্রচার করা হয়। ঈশ্বরের কাজের ধাপগুলি বিপুল, শক্তিশালী এবং অপ্রতিরোধ্য, এবং ঈশ্বরের বাক্যে সবকিছুই সম্পন্ন হবে। এটি সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের ধার্মিক স্বভাব, সর্বশক্তিমত্তা, এবং প্রজ্ঞাকে প্রকাশ করে। যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন: “অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের সমস্ত কাজ এই সাধারণ মানুষটির হাতেই সঞ্চালিত হবে। তিনি সমস্তই তোমার হাতে অর্পণ করবেন, তদুপরি, তোমার সাথে সম্পর্কিত সমস্ত কিছুর সিদ্ধান্ত তিনিই নিতে পারেন। তোমরা তাঁকে যেমন ভাবো তেমন কি তিনি হতে পারেন, এতই সামান্য যে তাঁর কথা উল্লেখ করাই মূল্যহীন? তাঁর সত্য কি তোমাদের আস্থা অর্জনের পক্ষে যথেষ্ট নয়? তাঁর সমস্ত কর্মের সাক্ষ্য কি তোমাদের বিশ্বাস অর্জনের পক্ষে যথেষ্ট নয়? নাকি তাঁর দেখানো পথে তোমার চলা ততটা যোগ্য নয়? সবই বলা এবং করার পরেও কী কারণে তোমরা তাঁকে ঘৃণা করো, তাঁকে দূরে ঠেলে দাও, তাঁকে এড়িয়ে যাও? ইনিই সেই মানুষ যিনি সত্য প্রকাশ করেন, ইনিই সেই মানুষ যিনি সত্য সরবরাহ করেন এবং ইনিই তোমাদের অনুসরণীয় পথ প্রদর্শন করেন। তোমরা এখনো এইসকল সত্যের মধ্যে ঈশ্বরের কাজের চিহ্ন খুঁজে পেতে অক্ষম—এমনটা কি হতে পারে? যীশুর কাজ ছাড়া মানব জাতি ক্রুশ অতিক্রম করতে পারত না, কিন্তু বর্তমানের অবতারের আগমন না ঘটলে ক্রুশ অতিক্রমকারীরা নতুন যুগে যাওয়ার জন্য কখনোই ঈশ্বরের অনুমোদন অর্জন করতে পারত না। এই সাধারণ মানুষটির আগমন ছাড়া তোমরা কখনোই ঈশ্বরের সত্যিকারের অবয়ব প্রত্যক্ষ করতে পারতে না, সেই যোগ্যতাও অর্জন করতে পারতে না, কারণ তোমরা সকলে এমন বস্তু যা বহু কাল আগেই ধ্বংস হয়ে যেত। ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতার আবির্ভাব হেতু, ঈশ্বর তোমাদের মার্জনা করেছেন, তোমাদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করেছেন। পরিশেষে, তোমাদের সামনে আমাকে এই কথাগুলি বলতেই হবে: ঈশ্বরের অবতার এই সাধারণ মানুষটি, তোমাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিই সেই মহান কাজ যা মানুষের মধ্যে ঈশ্বর ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, তুমি কি জানতে? ঈশ্বর মানুষের মধ্যে এক মহান কাজ করেছেন)

আজ পর্যন্ত যে তোমাদের অস্তিত্ব বর্তমান রয়েছে, তা এই অবতারের অনুগ্রহেই। তোমরা যে বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়েছ সে কেবল এই দেহরূপে ঈশ্বর বাস করছেন বলেই। এই সাধারণ মানুষটির জন্যই এই সকল সৌভাগ্য অর্জিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, সমস্ত জাতি শেষাবধি এই সামান্য মানুষটিরই ভজনা করবে, জয়জয়কার করবে আর মান্য করবে। কেননা, সত্য, জীবন, এবং তাঁর দেখানো পথই সমগ্র মানবজাতিকে উদ্ধার করেছে, মানুষ আর ঈশ্বরের দ্বন্দ্ব লাঘব করেছে, দুইয়ের দূরত্ব হ্রাস করেছে, মানুষ আর ঈশ্বরের ভাবনার মধ্যে সংযোগ সাধন করেছে। তিনিই ঈশ্বরের জন্য মহত্তর গৌরব অর্জন করেছেন। এইরকম এক সাধারণ মানুষ তোমার আস্থা ও বন্দনার যোগ্য নন? সেই সাধারণ দেহরূপ কি খ্রীষ্ট আখ্যা পাওয়ার অনুপযুক্ত? এইরকম সাধারণ লোক কি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের উদ্ভাস হয়ে উঠতে পারেন না? এরকম একজন মানুষ যিনি মানব জাতিকে বিপর্যয়ের থেকে রক্ষা করেছেন তিনি কি তোমাদের ভালবাসা পাওয়ার অধিকারী নন? তোমরা কি চাও না তাঁকে আঁকড়ে ধরে রাখতে? তোমরা যদি তাঁর মুখনিঃসৃত সত্য প্রত্যাখ্যান করো এবং তোমাদের মধ্যে তাঁর অস্তিত্বকে ঘৃণা কর, তাহলে শেষ পরিণতি কী হবে তোমাদের?(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, তুমি কি জানতে? ঈশ্বর মানুষের মধ্যে এক মহান কাজ করেছেন)

রাজ্যের যুগে, যে পদ্ধতিতে তিনি কাজ করেন তা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে, এবং সমগ্র যুগের কাজ সম্পাদন করার জন্য, ঈশ্বর নতুন যুগের সূচনা করতে বাক্যের ব্যবহার করেন। এই নীতির ভিত্তিতেই ঈশ্বর বাক্যের যুগে কাজ করে থাকেন। তিনি দেহে পরিণত হয়েছিলেন বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কথা বলার জন্য, যাতে মানুষ প্রকৃতপক্ষেই দেখতে পায় ঈশ্বরকে, যে ঈশ্বর দেহরূপে আবির্ভূত বাক্য, এবং তাঁর প্রজ্ঞা ও বিস্ময়করতা প্রত্যক্ষ করতে পারে। মানুষকে জয় করা, তাদের নিখুঁত করে তোলা, এবং অপসারণ করার লক্ষ্য আরও ভালোভাবে অর্জন করার জন্য এই কাজ করা হয়, বাক্যের যুগের কাজ করা জন্য বাক্য ব্যবহারের প্রকৃত অর্থ। এই সকল বাক্যের মাধ্যমেই মানুষ ঈশ্বরের কাজ, ঈশ্বরের স্বভাব, মানুষের জীবনের উপাদান, এবং মানুষের কোথায় প্রবেশ করা উচিত, সে সব বিষয় জানতে পারে। বাক্যের যুগে ঈশ্বর যে কাজ করতে চান তা বাক্যের মাধ্যমেই সামগ্রিকভাবে ফলদায়ী করা হয়। এই সকল বাক্যের মাধ্যমেই মানুষ উন্মোচিত হয়, অপসৃত হয় এবং তাদের বিচার করা হয়। মানুষ ঈশ্বরের বাক্য দেখেছে, শুনেছে এবং এই বাক্যের অস্তিত্ব স্বীকার করেছে। ফলস্বরূপ, তারা বিশ্বাস করতে পেরেছে ঈশ্বরের অস্তিত্বে, তাঁর সর্বশক্তিমানতা ও প্রজ্ঞায়, এবং সেইসাথে মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসায় ও মানুষকে উদ্ধার করার জন্য তাঁর আকাঙ্খায়। ‘বাক্য’ শব্দটি হয়তো সোজা ও সাধারণ, কিন্তু ঈশ্বরের অবতারের মুখনিঃসৃত বাক্য মহাবিশ্বকে কাঁপিয়ে দেয়, মানুষের হৃদয়কে রূপান্তরিত করে, তাদের পূর্বধারণা ও পুরানো স্বভাবে পরিবর্তন আনে, এবং সমগ্র বিশ্ব পূর্বে যেভাবে প্রতীয়মান হত তাতেও পরিবর্তন আনে। যুগে যুগে, শুধুমাত্র বর্তমানের ঈশ্বরই এইভাবে কাজ করেছেন, এবং শুধুমাত্র তিনিই এইভাবে কথা বলেন এবং এইভাবেই মানুষকে উদ্ধার করতে আসেন। এই সময়ের থেকে, মানুষ ঈশ্বরের বাক্যের নির্দেশনায় জীবন অতিবাহিত করে, তাঁর বাক্যের দ্বারাই পরিচালিত এবং প্রতিপালিত হয়। মানুষ ঈশ্বরের বাক্যের জগতে, ঈশ্বরের বাক্যের অভিশাপ ও আশীর্বাদের মধ্যেই বাস করে, এবং এমনকি আরও বেশি মানুষ আছে যাদের তাঁর বাক্যের বিচার ও শাস্তির অধীনে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এইসকল বাক্য এবং এই কাজটি সম্পূর্ণভাবে মানুষের পরিত্রানের স্বার্থে, ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করার স্বার্থে, এবং পুরানো সৃষ্টির আদি অবস্থা পরিবর্তন করার স্বার্থে। ঈশ্বর তাঁর বাক্যের ব্যবহার করেই বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন, সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে তিনি বাক্য ব্যবহার করেই মানুষকে নেতৃত্ব দেন, এবং তিনি বাক্যের ব্যবহার করেই তাদের জয় এবং উদ্ধার করেন। শেষ পর্যন্ত, তিনি বাক্য ব্যবহার করেই সমগ্র পুরাতন বিশ্বের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন, এইভাবেই তাঁর পরিচালনামূলক পরিকল্পনার সমগ্রতাকে সম্পূর্ণতা দান করবেন(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, রাজ্যের যুগই হল বাক্যের যুগ)

একসময় আমি যিহোবা নামে পরিচিত ছিলাম। আমাকে মশীহ নামেও ডাকা হত, এবং মানুষ একসময় স্নেহ ও সম্মানভরে পরিত্রাতা যীশু নামেও আমাকে সম্বোধন করত। যদিও আজ, আমি আর সেই অতীতকালের পরিচিত যিহোবা বা যীশু নই; আমি সেই ঈশ্বর যিনি অন্তিম সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন, সেই ঈশ্বর যিনি যুগের অবসান ঘটাবেন। আমি স্বয়ং ঈশ্বর যিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত থেকে জেগে ওঠেন, সম্পূর্ণ স্বভাব নিয়ে, এবং কর্তৃত্ব, সম্মান, ও মহিমায় পরিপূর্ণ অবস্থায়। মানুষ আমার সঙ্গে কখনো যুক্ত হয় নি, আমাকে কখনো চেনে নি, এবং সর্বদা আমার স্বভাব সম্পর্কে অজ্ঞ হয়েই থেকেছে। বিশ্ব সৃষ্টির কাল থেকে শুরু করে আজ অবধি একজন মানুষও আমাকে দেখে নি। ইনি হলেন সেই ঈশ্বর, যিনি অন্তিম সময়ে মানুষের কাছে আসেন কিন্তু মানুষের মাঝেই প্রচ্ছন্ন থাকেন। তিনি সত্য এবং বাস্তব, জ্বলন্ত সূর্য এবং প্রোজ্জ্বল শিখার মতো শক্তি ও কর্তৃত্বে পরিপূর্ণ হয়ে মানুষের মাঝে বসবাস করেন। এমন একজনও মানুষ বা একটিও বস্তু নেই যাকে আমি আমার বাক্যের দ্বারা বিচার করবো না, এবং জ্বলন্ত আগুনের দ্বারা শুদ্ধ করবো না। অবশেষে সকল জাতি আমার বাক্যের দ্বারা আশীর্বাদ লাভ করবে, এবং আমার বাক্যের জন্যই খণ্ড-বিখণ্ড হবে। এইভাবে অন্তিম সময়ে সকল মানুষ দেখবে যে আমিই সেই ফিরে আসা পরিত্রাতা, এবং আমিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যিনি সমগ্র মানবজাতিকে জয় করেন। এবং সবাই দেখবে যে একসময় আমি ছিলাম মানুষের জন্য পাপস্খালনের বলি, কিন্তু অন্তিম সময়ে আমি হয়ে উঠি সূর্যের লেলিহান শিখা, যা সবকিছু ভস্মীভূত করে, এবং আমিই সেই ন্যায়পরায়ণতার সূর্য, যা সবকিছু প্রকাশিত করে। অন্তিম সময়ে এটিই আমার কার্য। আমি এই নাম এবং এই স্বভাব গ্রহণ করলাম, যাতে সকলে দেখতে পায় যে আমি ধার্মিক ঈশ্বর, এক জ্বলন্ত সূর্য, এক লেলিহান শিখা, এবং যাতে সকলে একমাত্র সত্য ঈশ্বর হিসেবে আমার উপাসনা করে, এবং যাতে তারা আমার প্রকৃত রূপ দেখতে পায়: আমি কেবলমাত্র ইসরায়েলীদের ঈশ্বর নই, এবং আমি শুধুমাত্র মুক্তিদাতা নই; আমি সমগ্র আকাশ, পৃথিবী ও সমুদ্রের সকল জীবের ঈশ্বর(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিত্রাতা ইতিমধ্যেই একটি “সাদা মেঘে” চড়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

মানবজাতিকে রক্ষা এবং ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন করতে কে পারে?

ভাগ্যের উল্লেখমাত্র বেশীরভাগ মানুষ মনে করে যাদের প্রচুর অর্থ, প্রতিষ্ঠা আছে, যারা জীবনে সফল, তারাই সৌভাগ্যবান, এবং মনে করে যারা দরিদ্র,...

প্রভু যীশু মানবজাতিকে মুক্ত করেছিলেন, সুতরাং অন্তিম সময়ে তাঁর প্রত্যাগমন-কালে তিনি কেন বিচারের কাজ করবেন?

২,০০০ বছর আগে, অবতাররূপী প্রভু যীশু মানবজাতির মুক্তির জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন, পাপ উৎসর্গের রূপে এবং তাঁর মুক্তির কাজকে সম্পূর্ণ করেছিলেন।...

এ কথা কি সত্যি যে ঈশ্বরের সব কাজ ও বাক্য বাইবেলে আছে?

পরিত্রাতা সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আবির্ভূত হয়েছেন এবং অন্তিম সময়ে কাজ করছেন এবং তিনি লক্ষ লক্ষ সত্য প্রকাশ করেছেন। তিনি মানবজাতিকে সম্পূর্ণ রূপে...

“উন্নীত হওয়া” মানে আসলে কী?

২,০০০ বছর আগে, প্রভু যীশু ক্রুশবিদ্ধ হয়ে তাঁর মুক্তির কাজ সম্পন্ন করার পর, তিনি প্রত্যাবর্তন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তখন থেকে,...

Leave a Reply

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন