কেন আমরা শুধুমাত্র ঈশ্বরের কণ্ঠ শোনার মাধ্যমেই প্রভুকে স্বাগত জানাতে পারি?

17-04-2023

এখন সব বিশ্বাসীরাই প্রভু যীশুর মেঘে চড়ে আগমনের জন্য আকুল, কারণ বিপর্যয় ক্রমশই আরো সঙ্কটজনক হয়ে উঠছে এবং সবরকমের ব্যাধির তীব্রতা বাড়ছে, এবং দুর্ভিক্ষ ও যুদ্ধ ঘনিয়ে আসছে। বিশ্বাসীরা মনে করে যে প্রভু যে কোনো মুহূর্তে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন, এবং তারা জানে না ঠিক কখন তিনি হঠাৎ মেঘারূঢ় হয়ে আবির্ভূত হবেন, তাই তারা দিন রাত তাঁর আগমনের অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকে এবং প্রার্থনা করে। যাই হোক, ইতিমধ্যেই বিপর্যয় বর্ষিত হওয়া শুরু হয়ে গেছে, তবু আজ অবধি তারা প্রভুকে মেঘারূঢ় হয়ে আসতে দেখেনি। বহু মানুষ বিভ্রান্ত বোধ করে, ভাবে, “কেন প্রভু এখনো আসেননি? তিনি কি অসত্য বলেন?” নিশ্চয়ই না। প্রভু আস্থাভাজন, এবং প্রভুর বাক্য কখনোই অন্তঃসারশূন্য নয়। যখন কেউ প্রত্যাশা করেনি, প্রভু ইতিমধ্যেই মনুষ্যপুত্রের অবতারূপ ধারণ করেছিলেন এবং গোপনে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, এবং অনেক মানুষ তাঁকে বহু আগেই স্বাগত জানিয়েছিল। বহু বছর আগে থেকে পবিত্র আত্মার পদচিহ্ন অনুসরণ করার পর, তারা আবিষ্কার করেছিল যে মনুষ্যপুত্র বহু সত্য বলছিলেন ও প্রকাশ করছিলেন। তারা যত এই বাক্যগুলি পড়ত, ততই একে পবিত্র আত্মার কণ্ঠ বলে অনুভব করত, ঈশ্বরের কণ্ঠ, এবং শেষ পর্যন্ত আবিষ্কার করেছিল যে এই সত্য প্রকাশকারী মনুষ্যপুত্রই ছিলেন প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু, তিনি ছিলেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অবতার! তারা সকলে ভাবাবিষ্ট হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল, “প্রভু যীশু ফিরে এসেছেন, আমরা অবশেষে প্রভুকে স্বাগত জানিয়েছি!” ঈশ্বরের নির্বাচিত মানুষজন এই সংবাদ ছড়িয়ে দিতে তৎপর হয়েছিল, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যে সত্য প্রকাশ করছেন, আবির্ভূত হয়েছেন ও কাজ করছেন তার সাক্ষ্য বহন করেছিল। সব সম্প্রদায়ের মানুষ, যারা সত্যকে ভালোবাসত ও ঈশ্বরের আগমনের জন্য আকুল ছিল, তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়ে বুঝতে পেরেছে যে এ হল ঈশ্বরের কণ্ঠ, তারা একে একে ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে আসে এবং মেষের বিবাহভোজে যোগ দেয়। এটি প্রভু যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীকে পূরণ করে: “আমার নিজের মেষপাল আমার ডাক শোনে, তাদের আমি চিনি এবং তারা আমাকে অনুসরণ করে(যোহন ১০:২৭)। “দেখ, আমি দুয়ারে দাঁড়িয়ে করাঘাত করছি। যে আমার ডাক শুনে দুয়ার খুলে দেয়, আমি ভেতরে তার কাছে যাব, তার সঙ্গে পানাহার করব, সেও আমার সঙ্গে পানাহার করবে(প্রকাশিত বাক্য ৩:২০)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আবির্ভাব এবং কাজ সম্পূর্ণরূপে প্রভু যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীকে পূরণ করেছিল: “আমি শীঘ্রই আসছি,” “মানবপুত্রের আগমন হবে,” “মানবপুত্র আসবেন,” এবং “মানবপুত্র তাঁর সেই দিনে।” এতেই প্রমাণ হয় যে ঈশ্বর বিশ্বাসী, এবং তাঁর সব বাক্য ও ভবিষ্যদ্বাণী পূরণ হওয়ারই ছিল। ঠিক যেমন প্রভু যীশু বলেছেন, “আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত হবে, কিন্তু আমার বাক্য কখনও লোপ পাবে না(মথি ২৪:৩৫)। এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যেমন বলেছেন, “হয়তো আকাশ এবং পৃথিবীর অবসান ঘটতে পারে, কিন্তু আমি যা বলি তার এক বর্ণ বা একটি রেখারও কখনো অবসান ঘটবে না(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সূচনাকালে খ্রীষ্টের বাক্য, অধ্যায় ৫৩)। আমাদের পরিত্রাতা যীশু ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন, এবং তিনিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর। তিনি বহু সত্য প্রকাশ করেছেন এবং অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ করছেন, বহু আগেই তিনি এক দল জয়ীদের সম্পূর্ণ করেছেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর শয়তানকে পরাজিত করেছেন এবং সম্পূর্ণ মহিমা অর্জন করেছেন এবং তার সাথে সাথেই মহাবিপর্যয় শুরু হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ঈশ্বরের সব কাজই ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কত সত্য প্রকাশ করেছেন, সমগ্র ধর্মীয় পৃথিবী, এবং গোটা পৃথিবীকেই আলোড়িত করেছেন। যাহোক, পরিত্রাতা যীশুর মেঘারূঢ় হয়ে আগমনের অপেক্ষায় বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ এখনো আকাশের দিকে চেয়ে আছে। তারা সকলেই বিপর্যয়গ্রস্ত হয়েছে এবং তবুও তারা জানে না কী ঘটছে, এবং এদের শুধুমাত্র মূর্খ কুমারিই বলা যায়। ধর্মীয় জগতে বহু মূর্খ ও অজ্ঞ মানুষ আছে যারা খ্রীষ্টবিরোধী শক্তির দ্বারা প্রবঞ্চিত ও নিয়ণ্ত্রিত হয়, তারা এখনো সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আবির্ভাব ও কাজের বিচার ও নিন্দা করছে। তারা ভালো করেই জানে তাঁর বাক্যগুলি সত্য, তবু তা স্বীকার করে না। তারা এখনো বাইবেলে বর্ণিত প্রভুর মেঘারূঢ় হয়ে আসার বিষয়টিই আঁকড়ে আছে এবং প্রকৃত পথের তিলমাত্রও অনুসন্ধান করছে না, ঈশ্বরের কণ্ঠ শোনার প্রয়াস তো আরোই করছে না। ফলত, তারা বিপর্যয়গ্রস্ত হয়েছে, অভিযোগ করছে, কাঁদছে এবং দাঁত কিড়মিড় করছে। এটি সত্যিই দুঃখজনক। কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, “প্রভুকে স্বাগত জানাতে কেন ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনতে হবে?” আজ আমি এ বিষয়ে আমার বোধ খানিকটা ভাগ করে নেব।

প্রথমত আমাদের স্পষ্ট হতে হবে, যদি প্রভুর সত্যিই স্বর্গ থেকে মেঘারূঢ় হয়ে প্রত্যাবর্তন করতে হত এবং প্রত্যেকে তা দেখতে পেত, তাহলে আমাদের তাঁর কণ্ঠ শোনার চেষ্টা করতে হত না, দৃষ্টির ওপর আস্থা রাখলেই হত। কিন্তু যেহেতু প্রভু দেহরূপে প্রত্যাবর্তন করেন, মনুষ্যপুত্র হিসেবে, দৃশ্যত তিনি এক সাধারণ মানুষমাত্র যাঁর ঐশী রূপ নেই এবং একেবারেই অতিপ্রাকৃত নন। মানুষ মরণশীল, ঈশ্বরের আত্মাকে প্রত্যক্ষ করতে অক্ষম। আমরা শুধুই মনুষ্যপুত্রের শরীরি রূপ দেখতে পাই, তাই দেহরূপী মনুষ্যপুত্রকে চেনার কোনো উপায় নেই তাঁর কণ্ঠ শোনা ছাড়া। তাঁকে কেবলমাত্র তাঁর বলা কথার মাধ্যমেই চেনা যেতে পারে। সেইজন্যই প্রভু যীশু বলেছিলেন, “আমার নিজের মেষপাল আমার ডাক শোনে, তাদের আমি চিনি এবং তারা আমাকে অনুসরণ করে(যোহন ১০:২৭)। যেমন আমরা সকলেই জানি, ২,০০০ বছর আগে, ঈশ্বর দেহরূপে প্রভু যীশু হিসাবে আবির্ভূত হন মানবজাতিকে মুক্তি দিতে। তিনি সাধারণ মানবতার মধ্যে বাস করতেন এবং সাধারণ মানুষের মতো ভ্রমণ করতেন। কেউ জানত না যে প্রভু যীশুই ঈশ্বরের অবতার তাঁর পরিবারও নয়, এবং, এমনকী প্রভু যীশু স্বয়ং জানতেন না যে তিনিই ছিলেন ঈশ্বরের অবতার। তিনি সর্বত্র স্বর্গ-রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করেন এবং বহু সত্য প্রকাশ করেন। তিনি মানুষকে পাপ স্বীকার করা ও অনুতাপ করা, সহনশীলতা এবং ধৈর্য, অন্যদের ৭ যুক্ত ৭০ বার ক্ষমা করা, ক্রুশ বহন করা এবং তাঁকে অনুসরণ করতে শেখান। তিনি মানুষকে তাদের সমগ্র হৃদয়, আত্মা ও মন দিয়ে ঈশ্বরকে ভালোবাসতে বলেন, এবং অন্যকেও নিজের মতোই ভালোবাসতে বলেন। মানুষকে কে রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে ইত্যাদি জানিয়ে প্রভু যীশু স্বর্গরাজ্যের রহস্যও উন্মোচিত করেছেন। এই সত্যগুলি হল মানুষের উদ্ধারের জন্য ঈশ্বরের প্রকাশিত অনুশোচনার পন্থা, এবং মানুষ তা কখনোই শোনেনি বা দেখেনি। অনেক মানুষ যারা প্রভু যীশুকে অনুসরণ করেছিলেন তারা তা করেন কারণ প্রভু যীশুর বাক্য কত কর্তৃত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী তা তাঁরা শুনেছিলেন, এ এমন কিছু যা কোনো সৃষ্ট সত্তা প্রকাশ করতে পারে না। তারা ঈশ্বরের কণ্ঠ চিনতে পারে এবং প্রভুকে অনুসরণ করে। এ ছিল ঈশ্বরের মেষ যে ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনেছে ও প্রভুকে স্বাগত জানিয়েছে। ইতোমধ্যে, সেই প্রধান যাজক, করণিক ও ইহুদি ধর্মের ফরিশীরা, ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনে প্রভুর বাক্যের কর্তৃত্ব ও শক্তিকে স্বীকৃতি দিলেও শুধুমাত্র প্রভু যীশু সাধারণ ও স্বাভাবিক মনুষ্যপুত্রের সদৃশ ছিলেন বলে, তাঁর কোনো বিখ্যাত পরিবার বা উচ্চ মর্যাদা এবং ক্ষমতা না থাকায়, তাঁর বাক্য শাস্ত্রে না থাকার কারণে, এবং তাঁর নাম মসীহ ছিল না বলে, যা শাস্ত্রের ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে মেলে না, তারা প্রভু যীশুকে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করে, এবং এমনকী তাঁর নিন্দা করে এই বলে যে তিনি ধর্মদ্রোহী কথা বলেছিলেন। অবশেষে তারা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করে এবং এই কারণে ঈশ্বরের দ্বারা শাস্তিপ্রাপ্ত ও অভিশপ্ত হয়। তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রভুকে স্বাগত জানানোর জন্য ঈশ্বরের কণ্ঠের জন্য কান পেতে থাকা কত জরুরি! আমরা যদি ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনতে সচেষ্ট না হয়ে মনুষ্যপুত্রের বাহ্যিক রূপ দেখি, আমরা কখনোই দেখতে পাব না যে তিনিই ঈশ্বর। আমরা আমাদের ধারণা ও কল্পনার ভিত্তিতে প্রভুকে নিন্দা ও প্রত্যাখ্যান করব। অন্তিম সময়ে, ঈশ্বর পুনরায় মনুষ্যপুত্ররূপে দেহ ধারণ করে আবির্ভূত হয়ে কাজ করছেন। আমরা যদি প্রভুকে স্বাগত জানাতে চাই আমাদের ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনতে, এসব ঈশ্বরের বাক্য কিনা শুনতে সচেষ্ট হতে হবে, যদি তা সত্য হয় তবে তা পবিত্র আত্মার থেকে উৎসারিত। আমাদের নিজেদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়াকে এই ভিত্তির উপরেই নির্ভরশীল হতে হবে। শুধুমাত্র তখনই আমরা ঈশ্বরের মূর্ত রূপ খ্রীষ্টকে চিনতে পারব, এবং কেবলমাত্র ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনেই আমরা প্রভুকে স্বাগত জানাতে পারি।

যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “যেহেতু আমরা ঈশ্বরের পদাঙ্ক অনুসন্ধান করছি, সেহেতু আমাদের উচিত ঈশ্বরের ইচ্ছার, তাঁর বাক্যের, তাঁর উচ্চারণের অন্বেষণ করা—কারণ যেখানেই ঈশ্বর-কথিত নতুন বাক্য রয়েছে, সেখানেই ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর রয়েছে, এবং যেখানেই ঈশ্বরের পদাঙ্ক রয়েছে, সেখানেই ঈশ্বরের দ্বারা সংঘটিত কর্মসমূহ বিদ্যমান। যেখানেই ঈশ্বরের অভিব্যক্তিসমূহের প্রকাশ ঘটে, সেখানেই ঈশ্বর আবির্ভূত হন, আর যেখানেই ঈশ্বর আবির্ভূত হন, সেখানেই সত্য, পথ, এবং জীবনের অস্তিত্ব বিদ্যমান হয়। ঈশ্বরের পদাঙ্ক অন্বেষণে, তোমরা এই বাক্যগুলিকে অগ্রাহ্য করেছ ‘ঈশ্বরই সত্য, পথ, এবং জীবন’। এবং তাই, বহু মানুষ, সত্য গ্রহণ করা সত্ত্বেও, বিশ্বাস করে না যে তারা ঈশ্বরের পদাঙ্ক খুঁজে পেয়েছে, এবং তারা ঈশ্বরের আবির্ভাবকে আরোই কম স্বীকার করে। কি বিরাট এই ভুল!(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিশিষ্ট ১: ঈশ্বরের আবির্ভাব এক নতুন যুগের সূচনা করেছে)। “যিনি ঈশ্বরের অবতার তিনি ঈশ্বরের সারসত্যের অধিকারী হবেন, এবং যিনি ঈশ্বরের অবতার তিনি ঈশ্বরের অভিব্যক্তির অধিকারী হবেন। যেহেতু ঈশ্বর দেহরূপ ধারণ করেছেন, সেহেতু তিনি সেই কাজ নিয়ে আসবেন যা তিনি করতে চান, এবং যেহেতু তিনি দেহরূপে এসেছেন, তিনি যা তা তিনি স্বরূপ প্রকাশ করবেন এবং সেই সত্যটি মানুষের সামনে নিয়ে আসতে সমর্থ হবেন, তাকে জীবন দান করবেন এবং তার জন্য পথ চিহ্নিত করবেন। যে দেহরূপে ঈশ্বরের সারসত্য নেই তাকে ঈশ্বরের অবতার বলে গণ্য করা হয় না; এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কেউ ঈশ্বরের দেহরূপী অবতার কিনা তা যদি মানুষ অনুসন্ধান করতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই যে স্বভাব তিনি প্রকাশ করেন এবং যে সকল বাক্য তিনি বলেন, তার থেকেই তা জানতে হবে। অর্থাৎ, কেউ ঈশ্বরের দেহরূপী অবতার কিনা, এবং এটিই প্রকৃত পথ কিনা, তা সুনিশ্চিত করতে অবশ্যই তাঁর সারসত্যের ভিত্তিতে বিচার করতে হবে। এবং তাই, কেউ ঈশ্বরের দেহরূপী অবতার কি না, তা নির্ণয় করার মূল বিষয়টি তাঁর বাহ্যিক চেহারার পরিবর্তে তাঁর সারসত্য (তাঁর কাজ, তাঁর কথন, তাঁর স্বভাব এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ের), উপর নির্ভরশীল। মানুষ যদি শুধু তাঁর বাইরের চেহারাটাই খুঁটিয়ে দেখে, এবং এর ফলে তাঁর সারসত্যকে উপেক্ষা করে, তাহলে এটাই প্রমাণিত হয় যে সেই মানুষটি অজ্ঞানতিমিরে আচ্ছন্ন এবং অজ্ঞ(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ভূমিকা)

এবার ঈশ্বর কার্যসম্পাদন করতে কোনো অধ্যাত্মশরীরে আসেননি, এসেছেন সাধারণ রূপে। সর্বোপরি, এটা শুধু ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতারের চেহারা নয়, এই দেহরূপের মধ্যে দিয়েই ঈশ্বর রক্তমাংসের শরীরে ফিরছেন। অত্যন্ত সাধারণ এক দেহরূপ। তুমি এমন কিছু দেখবে না যাতে তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারো, কিন্তু তুমি তাঁর থেকে এমন অনেক সত্য লাভ করতে পার, যা এতকাল অজানা ছিল। তুচ্ছ এই দেহরূপই ঈশ্বরের সকল সত্যের বাক্যধারণ করে, অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ঈশ্বরের সম্পূর্ণ স্বভাব মানুষের বোঝার মত করে প্রকাশ করে। তোমার কি স্বর্গের ঈশ্বরকে দেখতে খুব ইচ্ছা করে না? তোমার কি স্বর্গের ঈশ্বরকে উপলব্ধি করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নেই? তোমার কি ভীষণ ইচ্ছা নেই মানবজাতির গন্তব্য কোথায় দেখার? এই সমস্ত রহস্যের কথা তিনিই তোমাকে জানাবেন—সেই সকল রহস্য যে বিষয়ে অন্য কোনো মানুষ বলতে পারবে না তোমায়, পাশাপাশি তিনিই তোমায় সেই সকল সত্য জানাবেন যা তোমার বোধাতীত। তিনিই তোমার সেই রাজ্যের প্রবেশ পথ, আর তিনিই হলেন নতুন যুগের পথপ্রদর্শক। এমনই সাধারণ এক দেহরূপ ধারণ করে আছে বহু অতল রহস্য। তাঁর কার্যসমূহ তোমার কাছে হয়ত দুর্জ্ঞেয়, কিন্তু তাঁর কাজের সমস্ত উদ্দেশ্য তোমায় বোঝানোর জন্য যথেষ্ট, যে তিনি শুধুই সাধারণ দেহরূপ নন, যা মানুষ তাঁকে মনে করে। কারণ তিনি ঈশ্বরের ইচ্ছার এবং অন্তিম সময়ের মানবজাতির প্রতি ঈশ্বরের যত্নের পরিচয় বহন করছেন। যদিও তাঁর বাক্য শুনে তোমার মনে হবে না স্বর্গ মর্ত্য কম্পিত হচ্ছে, যদিও তাঁর দু-চোখে তুমি দেখবে না অগ্নিদৃষ্টি, যদিও তাঁর লৌহদণ্ডের শাসন তোমাকে পেতে হবে না, কিন্তু তুমি তাঁর বাক্যে শুনবে ঈশ্বর ক্রোধান্বিত এবং জানবে ঈশ্বর মানবজাতির প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করছেন; দেখতে পাবে ঈশ্বরের ধার্মিক স্বভাব এবং তাঁর প্রজ্ঞা এবং সর্বোপরি অনুধাবন করবে সমগ্র মানবজাতির প্রতি তাঁর উৎকণ্ঠা(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, তুমি কি জানতে? ঈশ্বর মানুষের মধ্যে এক মহান কাজ করেছেন)

সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যগুলি দেখায় কীভাবে ঈশ্বরের আবির্ভাব অন্বেষণ করতে হয় এবং ঈশ্বরের অবতারকে চিনতে হয়। এ কথা সম্পূর্ণ স্পষ্ট: খ্রীষ্ট হলেন পথ, সত্য এবং জীবন; খ্রীষ্টের দেবত্ব প্রধানত প্রকাশ পায় সত্য প্রকাশের মাধ্যমে এবং ঈশ্বরের কণ্ঠে। তাই খ্রীষ্টের চেহারা যতই সাধারণ বা স্বাভাবিক হোক, যতক্ষণ তিনি সত্য প্রকাশ করতে পারেন, ঈশ্বরের স্বভাব এবং তাঁর যা আছে ও তিনি যা তা প্রকাশ করেন, তিনিই ঈশ্বরের মূর্ত রূপ। খ্রীষ্টের মানবতা যতই সাধারণ ও স্বাভাবিক হোক, তিনি যতক্ষণ সত্য প্রকাশ করছেন, এবং ঈশ্বরের কণ্ঠ প্রকাশ করছেন, তিনি দৈবিক সারমর্ম-সম্পন্ন এক ব্যক্তি-তিনি ঈশ্বরের অবতার। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যখন থেকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আবির্ভূত হয়েছেন ও কাজ করা শুরু করেছেন, সবরকম বর্গের বহু সত্যপ্রেমী মানুষ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়েছেন, এবং আবিষ্কার করেছেন যে তাঁর বাক্যগুলি সবই সত্য, এগুলি সবই পবিত্র আত্মা ও ঈশ্বরের কণ্ঠজাত। তারা এভাবেই নিশ্চিত হয়েছে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ঈশ্বরের আবির্ভূত সত্তা। তিনি ঈশ্বরের অবতার, প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু। এ তথ্য ঈশ্বরের নির্বাচিত ব্যক্তিমাত্রেই নিশ্চিত করতে পারেন। অবতাররূপে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মানুষের মাঝে থাকেন, খান, বাস করেন এবং অন্যদের সাথে সংলাপ বিনিময় করেন, সত্য প্রকাশ করেন, ঈশ্বরের নির্বাচিত জনেদের সিঞ্চন ও লালন করেন এবং যে কোনো সময়ে বা স্থানে নেতৃত্ব দেন। আমরা ঈশ্বরের বাক্যের একের পর এক অধ্যায় প্রকাশ হতে দেখেছি, এবং এখন সেগুলি “বাক্য দেহে আবির্ভূত হল”-র মতো ঈশ্বরের বাক্যের বই হিসেবে সংকলিত হয়েছে, যাতে মোট দশলক্ষাধিক বাক্য আছে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ঈশ্বরের ৬,০০০ বছরের পরিচালনামূলক কার্যের সব রহস্য প্রকাশ করেছেন, যেমন ঈশ্বরের মানুষকে পরিচালনা করার উদ্দেশ্য, কীভাবে শয়তান মানুষকে ভ্রষ্ট করেছে, কীভাবে ঈশ্বর তাদের রক্ষা করার জন্য ধাপে ধাপে কাজ করেছেন, অবতার-রহস্য, বাইবেলের ভিতরের কাহিনি, কীভাবে ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ মানুষকে পরিশুদ্ধ ও রক্ষা করে, কীভাবে ঈশ্বর মানুষকে তাদের ধরণ অনুযায়ী ভাগ করেন, ভালোকে পুরস্কৃত ও দুষ্টকে শাস্তি দিয়ে যুগের অন্ত সম্পাদন করেন, কীভাবে পৃথিবীতে খ্রীষ্টের রাজ্য বাস্তবায়িত হয় ইত্যাদি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মানবজাতির ঈশ্বরবিরোধী সত্তা এবং দুর্নীতির সত্যের বিচারও করেন। তিনি মানুষকে তাদের ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্ত হয়ে পরিত্রাণ অর্জনের পথ প্রদর্শন করেন। তিনি মানুষকে এও বলেন যে কীভাবে ঈশ্বরের সঙ্গে এক যথার্থ সম্পর্ক স্থাপন করা যায়, কীভাবে সৎ ব্যক্তি হয়ে ওঠার অনুশীলন করতে হয়, কীভাবে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত হতে হয়, কীভাবে ঈশ্বরে ভীতি এবং মন্দ কর্ম পরিত্যাগ করার মাধ্যমে ঈশ্বরের পথ অনুসরণ করতে হয়, কীভাবে ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসা অর্জন করতে হয় ও আরো অনেক কিছু। এই সব সত্য মানুষের পাপ থেকে মুক্তি এবং তাদের বিশ্বাসে ঈশ্বরের দ্বারা পূর্ণ পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা প্রকাশিত এই সব সত্য প্রভু যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণরূপে পূরণ করে: “আমার এখনও অনেককিছুই তোমাদের বলার আছে, কিন্তু এখন তোমরা সেগুলো বহন করতে পারবে না। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনি তোমাদের সকল সত্যের পথে পরিচালিত করবেন। তিনি নিজে থেকে কিছুই বলবেন না, যা তিনি শুনবেন শুধুমাত্র তা-ই বলবেন এবং সমস্ত ভাবী ঘটনার কথা তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন(যোহন ১৬:১২-১৩)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য আমরা যত পড়ি, আমাদের হৃদয় তত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, এবং সেগুলি আমাদের সম্পূর্ণরূপে জয় করে। ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতা, পবিত্রতা, রাজকীয়তা ও তাঁর বিচারের বাক্যে প্রকাশিত ক্রোধ দেখে এবং ঈশ্বরের অপ্রতিরোধ্য স্বভাব উপলব্ধি করে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য হল সত্য এবং ঈশ্বরের কণ্ঠ, তারা গির্জার প্রতি পবিত্র আত্মার বাক্য। ভেবে দেখো—ঈশ্বর ছাড়া কে-ই বা ঈশ্বরের কাজের রহস্য প্রকাশ করতে পারত? কেই বা পারত ঈশ্বরের স্বভাব এবং তাঁর যা আছে ও তিনি যা তা প্রকাশ করতে? ঈশ্বর ব্যতীত, কে মানবজাতির ভ্রষ্ট সারমর্ম বিচার ও তা অনাবৃত করতে পারত? কে মানবতাকে পাপ থেকে রক্ষা করতে পারত? কোনো সন্দেহ নেই যে শুধুমাত্র ঈশ্বরই সত্য প্রকাশ করতে পারেন, একমাত্র ঈশ্বরই মানবজাতির দুর্নীতির পরিশোধন করতে এবং তাদের পাপ থেকে ও শয়তানের ক্ষমতা থেকে উদ্ধার করতে পারেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে সাধারণ ও স্বাভাবিক এক মনুষ্যপুত্রের মতো দেখতে হতে পারে কিন্তু তাঁর বাক্য ও কাজ থেকে আমরা দেখতে পাই যে তিনি শুধুমাত্র স্বাভাবিক মানবতার অধিকারী নন, এক ঐশ্বরিক সারসত্যেরও অধিকারী। তাঁর মধ্যে ঈশ্বরের আত্মা প্রতিষ্ঠিত এবং তাঁর বাক্য ঈশ্বরের আত্মার প্রত্যক্ষ অভিব্যক্তি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই হলেন পথ, সত্য ও জীবন, তিনি ঈশ্বরের অবতার ও প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু। ঠিক যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেন, “আমাদের কী করা উচিত সে বিষয়ে আমাদের উপদেশ দেওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি ও দৃষ্টিকোণ কাজে লাগিয়ে ঈশ্বর তাঁর কথন চালিয়ে যান, এবং একই সময়ে, তাঁর হৃদয়কে কন্ঠস্বর প্রদান করেন। তাঁর বাক্য জীবনীশক্তি বহন করে, আমাদের কোন পথে চলা উচিত তা দেখায়, এবং সত্য আসলে কী, তা বুঝতে সক্ষম করে। আমরা তাঁর বাক্যের দ্বারা আকৃষ্ট হতে শুরু করি, তাঁর স্বর ও বাচনভঙ্গির উপর মনোনিবেশ করতে শুরু করি, এবং অবচেতন ভাবে আমরা এই অনুল্লেখযোগ্য মানুষটির অন্তরতম অনুভূতির প্রতি আগ্রহী হতে শুরু করি। … তিনি ছাড়া আর কেউ আমাদের সকল ভাবনা জানতে পারে না, অথবা আমাদের প্রকৃতি ও সারসত্যের বিষয়ে এত পরিষ্কার ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা করতে পারে না, বা মানবজাতির বিদ্রোহী মনোভাব এবং ভ্রষ্ট আচরণের বিচার করতে পারে না, অথবা স্বর্গস্থ ঈশ্বরের হয়ে এভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং আমাদের উপর কাজ করতে পারে না। তিনি ছাড়া আর কেউ ঈশ্বরের কর্তৃত্ব, প্রজ্ঞা, ও মর্যাদায় ভূষিত নয়; ঈশ্বরের স্বভাব আর তাঁর যা আছে এবং তিনি যা, তা তাঁর মাধ্যমেই সামগ্রিক ভাবে প্রকাশিত হয়। তিনি ছাড়া আর কেউ আমাদের পথ দেখাতে এবং আলো এনে দিতে পারে না। সৃষ্টির দিন থেকে আজ পর্যন্ত যে রহস্য ঈশ্বর প্রকাশ করেননি, তা তিনি ছাড়া আর কেউ উন্মোচন করতে পারে না। তিনি ছাড়া আর কেউ আমাদের শয়তানের দাসত্ব এবং নিজেদের ভ্রষ্ট স্বভাবের থেকে উদ্ধার করতে পারে না। তিনি ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি ঈশ্বরের অন্তরতম হৃদয়, তাঁর উপদেশাবলী, এবং সমগ্র মানবজাতির উদ্দেশে ঈশ্বরের বিচারের বাক্য ব্যক্ত করেন। তিনি এক নতুন কাল, নতুন যুগের প্রারম্ভ করেছেন, এবং সূচনা করেছেন এক নতুন আকাশ ও পৃথিবী এবং নতুন কাজের, এবং তিনি আমাদের জন্য নিয়ে এসেছেন আশা, তিনি আমাদের অস্পষ্টতাময় জীবনযাপনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন এবং আমাদের পূর্ণ সত্তাকে সম্পূর্ণ সুস্পষ্টভাবে পরিত্রাণের পথ প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম করেছেন। তিনি আমাদের পূর্ণ সত্তাকে জয় করেছেন এবং হৃদয় জিতে নিয়েছেন। সেই মুহূর্ত থেকেই আমাদের মন সচেতন হয়েছে, এবং আমাদের আত্মা যেন পুনরুজ্জীবিত হয়েছে: এই সাধারণ, তুচ্ছ মানুষটি, যিনি আমাদের মাঝেই থাকেন এবং বহুকাল ধরেই আমাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন—ইনিই কি সেই প্রভু যীশু নন, যিনি জাগরণে বা স্বপ্নে সর্বদা আমাদের ভাবনায় থাকেন, এবং যাঁর জন্য আমরা দিনরাত প্রতীক্ষা করি? ইনি তিনিই! ইনি সত্যই তিনি! তিনিই আমাদের ঈশ্বর! তিনিই সত্য, পথ, এবং জীবন!(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিশিষ্ট ৪: ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তির মধ্যে তাঁর উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করা)

এই বিন্দুতে, তোমাদের স্পষ্ট করে বোঝা উচিত যে আমাদের কেন কান পাতা উচিত ঈশ্বরের কণ্ঠের জন্য যাতে আমরা প্রভুকে স্বাগত জানাতে পারি। বস্তুত, ঈশ্বরের কণ্ঠ শোনার প্রয়াস করা শক্ত নয়। ঈশ্বরের মেষপাল ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনতে পাবে—এই হল ঈশ্বরের বিধান। মানুষের শিক্ষার স্তর প্রাসঙ্গিক নয়, তাদের বাইবেলের জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার গভীরতাও প্রাসঙ্গিক নয়। যে কেউ হৃদয় ও আত্মা দিয়ে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়লে ঈশ্বরের সব বাক্যকেই সত্য বলে অনুভব করবে, সেগুলি কর্তৃত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী, এবং তা ঈশ্বরের কণ্ঠ। তারা অনুভব করতে পারবে মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের ভালোবাসা, এবং ঈশ্বরের ধার্মিক, মহিমান্বিত স্বভাব যা কোনো মানবিক অপরাধ সহ্য করে না। এই হল আধ্যাত্মিক অনুভূতি ও স্বজ্ঞার কাজ। এ প্রভু যীশুর বাক্য পড়ার অনুভূতির মতোই, কারণ সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এবং প্রভু যীশুর বাক্য উভয়ই একই আত্মার অভিব্যক্তি। তাদের উৎস এক। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ও প্রভু যীশু একই ঈশ্বর। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের আরো কয়েকটি অংশ পড়া যাক। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে আমি আমার কাজ করছি, এবং প্রাচ্যে অবিরাম বজ্রপাত চলছে, যাতে সব রাষ্ট্র এবং সম্প্রদায় কেঁপে উঠছে। আমারই কন্ঠস্বর মানুষকে আজকের এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে। আমিই সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছি, যাতে সকল মানুষ আমার কন্ঠস্বরের দ্বারা পরাজিত হয়, এই স্রোতে তারা সামিল হয়, এবং আমার কাছে তারা আত্মসমর্পণ করে। কারণ দীর্ঘদিন হল আমি আমার মহিমা সমগ্র বিশ্ব থেকে পুনরুদ্ধার করেছি এবং প্রাচ্যে তাকে নতুন করে প্রকাশ করেছি। আমার মহিমা প্রত্যক্ষ করতে কে না ব্যাকুল হয়? আমার প্রত্যাবর্তনের জন্য কে না অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে? আমার পুনরাবির্ভাবের আকুল আকাঙ্ক্ষা করে না এমন কে আছে? আমার মাধুর্যের জন্য কে না উদগ্রীব? আলোকের সম্মুখে আসতে কে না চায়? কনানের সমৃদ্ধির প্রতি কে না আগ্রহী? মুক্তিদাতার প্রত্যাবর্তনের জন্য কে না অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে? যিনি ক্ষমতায় মহান, তাঁর উপাসনা কে না করে? সমগ্র বিশ্ব জুড়ে আমার কণ্ঠস্বর ছড়িয়ে পড়বে। আমি আমার নির্বাচিত মানুষদের সম্মুখীন হবো এবং তাদের উদ্দেশ্যে আরো কথা বলবো। শক্তিশালী বজ্র যেমন পর্বত আর নদীতে আলোড়ন সৃষ্টি করে, সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড আর মানবজাতির কাছে আমার উচ্চারিত বাক্যও তেমন। তাই আমার বাক্য মানবজাতির কাছে সম্পদ হয়ে উঠেছে, এবং সব মানুষই আমার বাক্য সযত্নে লালন করছে। সেই বজ্রপাতের ঝলকে পূর্ব থেকে পশ্চিম আলোকিত। আমার বাক্য এমনই যে মানুষ তা উপেক্ষা করতে পারে না, আবার একই সাথে তার গভীরতার পরিমাপও করতে পারে না, অথচ তার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পায়। আমার আবির্ভাবে সকল মানুষই আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত, যেন কোনো শিশু সদ্য জন্মলাভ করেছে। আমার কণ্ঠস্বরের সাহায্যে আমি সকল মানবজাতিকে আমার সম্মুখে আনবো। এরপর আমি আনুষ্ঠানিকভাবে মানবজাতির মধ্যে প্রবেশ করব, যাতে তারা আমার উপাসনা করতে আসে। আমার মহিমার বিকিরণে এবং আমার বাক্যের সাহায্যে আমি বাধ্য করবো যাতে সব মানুষ আমার সম্মুখে আসে এবং প্রাচ্যের বজ্রপাত দেখে, এবং সেই সঙ্গে দেখতে পায় যে আমি প্রাচ্যের ‘অলিভ পর্বত’-এ অবতরণ করেছি। তারা দেখতে পাবে যে, আমি ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিন এই পৃথিবীতে আছি এবং তা ইহুদিদের পুত্র হিসাবে নয়, প্রাচ্যের বজ্রপাত হিসাবে। কারণ অনেকদিন হল আমি পুনরুত্থিত হয়েছি, মানবজাতির মধ্য থেকে প্রস্থান করেছি, এবং তারপর মানবজাতির মধ্যে পুনরাবির্ভূত হয়েছি আপন মহিমায়। আমিই সে, যাকে অগণিত যুগ আগে থেকেই উপাসনা করা হচ্ছে, এবং আমিই সেই শিশু যাকে অগণিত যুগ আগে ইসরায়েলীরা পরিত্যাগ করেছিল। আমিই হলাম বর্তমান যুগের সর্বমহিম সর্বশক্তিমান ঈশ্বর! সকলে আমার সিংহাসনের সামনে এসে আমার মহিমময় মুখাবয়ব দেখুক, আমার কন্ঠস্বর শুনুক এবং আমার কীর্তি দেখুক। এই হল আমার সার্বিক ইচ্ছা; এই হল আমার পরিকল্পনার শীর্ষবিন্দু এবং সমাপ্তি, আর আমার ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য: যাতে সব রাষ্ট্র আমার উপাসনা করে, সব মুখেই আমার স্বীকৃতি শোনা যায়, সকল মানুষের বিশ্বাস আমাতেই স্থিত হয় এবং সকলেই আমার অধীনস্থ হয়(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সপ্ত বজ্রের নিনাদ—ভবিষ্যদ্বাণী করছে যে রাজ্যের সুসমাচার মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে)

একসময় আমি যিহোবা নামে পরিচিত ছিলাম। আমাকে মশীহ নামেও ডাকা হত, এবং মানুষ একসময় স্নেহ ও সম্মানভরে পরিত্রাতা যীশু নামেও আমাকে সম্বোধন করত। যদিও আজ, আমি আর সেই অতীতকালের পরিচিত যিহোবা বা যীশু নই; আমি সেই ঈশ্বর যিনি অন্তিম সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন, সেই ঈশ্বর যিনি যুগের অবসান ঘটাবেন। আমি স্বয়ং ঈশ্বর যিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত থেকে জেগে ওঠেন, সম্পূর্ণ স্বভাব নিয়ে, এবং কর্তৃত্ব, সম্মান, ও মহিমায় পরিপূর্ণ অবস্থায়। মানুষ আমার সঙ্গে কখনো যুক্ত হয় নি, আমাকে কখনো চেনে নি, এবং সর্বদা আমার স্বভাব সম্পর্কে অজ্ঞ হয়েই থেকেছে। বিশ্ব সৃষ্টির কাল থেকে শুরু করে আজ অবধি একজন মানুষও আমাকে দেখে নি। ইনি হলেন সেই ঈশ্বর, যিনি অন্তিম সময়ে মানুষের কাছে আসেন কিন্তু মানুষের মাঝেই প্রচ্ছন্ন থাকেন। তিনি সত্য এবং বাস্তব, জ্বলন্ত সূর্য এবং প্রোজ্জ্বল শিখার মতো শক্তি ও কর্তৃত্বে পরিপূর্ণ হয়ে মানুষের মাঝে বসবাস করেন। এমন একজনও মানুষ বা একটিও বস্তু নেই যাকে আমি আমার বাক্যের দ্বারা বিচার করবো না, এবং জ্বলন্ত আগুনের দ্বারা শুদ্ধ করবো না। অবশেষে সকল জাতি আমার বাক্যের দ্বারা আশীর্বাদ লাভ করবে, এবং আমার বাক্যের জন্যই খণ্ড-বিখণ্ড হবে। এইভাবে অন্তিম সময়ে সকল মানুষ দেখবে যে আমিই সেই ফিরে আসা পরিত্রাতা, এবং আমিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যিনি সমগ্র মানবজাতিকে জয় করেন। এবং সবাই দেখবে যে একসময় আমি ছিলাম মানুষের জন্য পাপস্খালনের বলি, কিন্তু অন্তিম সময়ে আমি হয়ে উঠি সূর্যের লেলিহান শিখা, যা সবকিছু ভস্মীভূত করে, এবং আমিই সেই ন্যায়পরায়ণতার সূর্য, যা সবকিছু প্রকাশিত করে। অন্তিম সময়ে এটিই আমার কার্য। আমি এই নাম এবং এই স্বভাব গ্রহণ করলাম, যাতে সকলে দেখতে পায় যে আমি ধার্মিক ঈশ্বর, এক জ্বলন্ত সূর্য, এক লেলিহান শিখা, এবং যাতে সকলে একমাত্র সত্য ঈশ্বর হিসেবে আমার উপাসনা করে, এবং যাতে তারা আমার প্রকৃত রূপ দেখতে পায়: আমি কেবলমাত্র ইসরায়েলীদের ঈশ্বর নই, এবং আমি শুধুমাত্র মুক্তিদাতা নই; আমি সমগ্র আকাশ, পৃথিবী ও সমুদ্রের সকল জীবের ঈশ্বর(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিত্রাতা ইতিমধ্যেই একটি “সাদা মেঘে” চড়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন)

কথা বলার জন্য আমি যখন মহাবিশ্বের দিকে মুখ ফেরাবো, তখন সমগ্র মানবজাতি আমার কণ্ঠস্বর শুনতে পাবে, এবং তারপর মহাবিশ্ব জুড়ে আমার সমস্ত কাজ প্রত্যক্ষ করবে। যারা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, অর্থাৎ যেসব মানুষ তাদের কর্মের দ্বারা আমার বিরোধিতা করে, তারা সকলেই আমার শাস্তির আওতায় পড়বে। মহাকাশের অগণিত নক্ষত্রকে আমি নতুন করে গড়বো, আমার সৌজন্যে সূর্য এবং চন্দ্রের নবীকরণ হবে—আকাশ আর আগের মত থাকবে না এবং পৃথিবীর অগণিত সৃষ্টির নবীকরণ হবে। সবই আমার বাক্যের দ্বারা পূর্ণ হবে। এই বিশ্বের বহু রাষ্ট্রেরই নতুন করে বিভাজন হবে এবং আমার রাজত্বের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে, যাতে বিশ্বের বর্তমান জাতিগুলি চিরকালের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং গড়ে উঠবে এমন একটি রাজ্য, যে আমার উপাসনা করে। পৃথিবীর সমস্ত জাতি ধ্বংস হবে, কোনোটিরই অস্তিত্ব থাকবে না। এই বিশ্বের যেসব মানুষ শয়তানের অধীনে আছে তারা সকলেই নির্মূল হবে, এবং যারা শয়তানের উপাসক তারা সকলেই আমার দ্বারা প্রজ্বলিত অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হবে—অর্থাৎ, আমার স্রোতের অনুগামীরা ছাড়া আর সকলেই ভস্মীভূত হয়ে যাবে। আমি অসংখ্য মানুষকে শাস্তি দেওয়ার সময় ধর্মীয় জগতের যাদের আমার কাজের দ্বারা বিভিন্ন মাত্রায় জয় করা হয়েছে, তারা আমার রাজ্যে ফিরে আসবে, কারণ তারা দেখবে সাদা মেঘে আসীন সেই একক পবিত্র সত্তার আবির্ভাব। নিজস্ব প্রকার অনুযায়ী সমস্ত মানুষ বিভাজিত হবে, এবং তাদের কর্ম অনুযায়ী শাস্তির বিধান পাবে। যারা আমার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল তারা ধ্বংস হবে; যাদের পার্থিব ক্রিয়াকলাপ আমাকে জড়িত করে নি, তারা যেমন ভাবে নিজেদের মুক্ত করেছে সেই কারণে আমার পুত্র এবং আমার লোকেদের শাসনের অধীনে পৃথিবীতে বিদ্যমান থাকবে। অগণিত মানুষ ও অগণিত জাতির সামনে আমি নিজেকে প্রকাশ করব। আমার নিজের কণ্ঠে আমি সারা পৃথিবী ধ্বনিত করে আমার কাজের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করবো, যাতে সমগ্র মানবজাতি তা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে পারে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতি ঈশ্বরের বাক্য, অধ্যায় ২৬)

সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রতিটি বাক্যই শক্তিশালী ও কর্তৃত্বপূর্ণ যা মানুষের হৃদয়কে আন্দোলিত করে। সৃষ্টিকর্তা হিসেবে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সমগ্র মানবজাতির সঙ্গে কথা বলেন। ঈশ্বরের বাক্যের মাধ্যমে স্পষ্টতই প্রতিভাত হয় তাঁর কর্তৃত্ব ও পরিচয়, এবং তাঁর স্বরের মাধ্যমে তাঁর পদমর্যাদা, তাঁর স্বভাব এবং তাঁর যা আছে ও তিনি যা, তা প্রকাশ পায়, এবং এ সবই ঈশ্বরের অনন্য বৈশিষ্ট্য। না কোনো দেবদূত, না সৃষ্ট জীব, না শয়তানের অশুভ আত্মা কেউই কখনও এসব অধিকার বা অর্জন করতে পারে না। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য ঈশ্বরের অনন্য কর্তৃত্বকে সম্পূর্ণত প্রকাশ করে, এবং তারা ঈশ্বরের ধার্মিক ও অপ্রতিরোধ্য স্বভাবকেই প্রকাশ করে। আমরা সবাই দেখলাম যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য ঈশ্বরেরই কণ্ঠ ও অভিব্যক্তি।

আজ “বাক্য দেহে আবির্ভূত হল”-তে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যগুলি এবং ঈশ্বরের বাক্য পাঠের বহু ভিডিও অনলাইনে পাওয়া যায়, এবং সব দেশ ও সম্প্রদায়ের অধিকতর মানুষ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে অনুসন্ধান ও স্বীকার করছে। যাই হোক, ধর্মের ভেতরে এখনো এমন অনেকে আছে যারা বাইবেলের বাক্যকেই আঁকড়ে থাকে, যারা মেঘারূঢ় হয়ে ঈশ্বরের আগমনের ধারণাকেই আঁকড়ে থাকে। তারা দেখছে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এত সত্য প্রকাশ করছেন, তবু তারা ঈশ্বরের কণ্ঠ অন্বেষণ, অনুসন্ধান অথবা শ্রবণ করে না। তারা, এমনকী, ধর্মীয় বিশ্বের খ্রীষ্টবিরোধীদের সঙ্গে মিলে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কুৎসা ও নিন্দা করতে পারে। যেন তাদের হৃদয়কে অন্ধত্ব গ্রাস করেছে—তারা শোনে কিন্তু জানে না, এবং দেখে কিন্তু বোঝে না। এই ধরণের মানুষ ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনতে অক্ষম, যা থেকে বোঝা যায় যে তারা ঈশ্বরের মেষপাল নয়। তারা হল ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজের মাধ্যমে প্রকাশিত আগাছা, মূর্খ কুমারী, যারা এখন ঈশ্বরের দ্বারা পরিত্যক্ত ও অপসৃত হয়েছে এবং বিপর্যয়গ্রস্ত হয়েছে। তারা বাঁচবে না মরবে তা বলা কঠিন। যদি তারা টিকতে পারে, তারা শুধুমাত্র বিপর্যয়ের পরে মেঘারূঢ় হয়ে প্রভু যীশুর আবির্ভাব ও সবার সামনে খোলাখুলিভাবে উপস্থিত হওয়ার অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু ততদিনে, যখন তারা দেখবে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, যাঁকে তারা নিন্দা ও প্রতিরোধ করেছে, তিনিই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু, তারা বিস্ময়বিমূঢ় হয়ে যাবে, কিন্তু আফশোস করার পক্ষে তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে। কাঁদা ও দাঁতে দাঁত ঘষা ছাড়া তাদের আর কিছুই করার থাকবে না। এটা প্রকাশিত বাক্যের এই ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণরূপে সার্থক করে: “দেখ, মেঘবাহনে তিনি আসিতেছেন! প্রতিটি নয়ন তাঁকে দেখবে, দেখবে তারাও যারা তাঁকে বিদ্ধ করেছিল। পৃথিবীর সমস্ত মানবগোষ্ঠী তাঁর জন্য বিলাপ করবে(প্রকাশিত বাক্য ১:৭)

শেষে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের একটি অনুচ্ছেদ পড়া যাক। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “যেখানেই ঈশ্বরের আবির্ভাব ঘটে, সেখানেই সত্য অভিব্যক্ত হয়, আর সেখানে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। যারা সত্যকে মেনে নিতে পারে কেবল তারাই ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনতে পায়, এবং কেবল সেই ধরনের মানুষই ঈশ্বরের আবির্ভাবের সাক্ষী হওয়ার যোগ্য। পূর্বধারণাগুলি ত্যাগ করো! নিজেকে শান্ত করো এবং এই বাক্যগুলি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করো। তোমার যদি সত্য জানার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকে, তাহলে ঈশ্বর তোমাকে আলোকিত করবেন এবং তুমি তাঁর ইচ্ছা ও তাঁর বাক্য উপলব্ধি করতে পারবে। ‘অসম্ভব’ বলে তোমাদের যে মতামতগুলি আছে সেগুলি পরিহার করো! মানুষ কোনো বিষয়কে যত বেশি করে অসম্ভব হিসাবে বিবেচনা করে, ততই বেশি করে সেই সকল বিষয়ের ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এর কারণ, ঈশ্বরের প্রজ্ঞা স্বর্গের চেয়েও সুউচ্চ, ঈশ্বরের ভাবনাগুলি মানুষের ভাবনার চেয়ে উঁচু, এবং ঈশ্বরের কার্য মানুষের ধারণাসমূহ এবং কল্পনাশক্তির সীমানা অতিক্রম করে। কোনো কিছু যতই অসম্ভব বলে মনে হয়, ততই তার মধ্যে সত্য খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে; কোনো কিছু যতই মানুষের ধারণা আর কল্পনার সীমা ছাড়িয়ে যায়, ততই তার মধ্যে ঈশ্বরের ইচ্ছা নিহিত থাকে। এর কারণ হল, তিনি নিজেকে যেখানেই প্রকাশ করুন না কেন, ঈশ্বর তবু ঈশ্বরই থাকেন, এবং তাঁর অবস্থান অথবা তাঁর আবির্ভাবের উপায় অনুসারে তাঁর সারসত্য কখনোই পরিবর্তিত হয় না। … অতএব, এসো, আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসন্ধানের চেষ্টা করি, এবং তাঁর উচ্চারণসমূহের মধ্যে তাঁর আবির্ভাবকে আবিষ্কার করি আর তাঁর পদক্ষেপের সাথে তাল মিলিয়ে চলি! ঈশ্বরই হলেন সত্য, পথ এবং জীবন। তাঁর বাক্য ও তাঁর আবির্ভাব একই সাথে বিদ্যমান হয় এবং তাঁর স্বভাব ও তাঁর পদাঙ্ক সকল সময়ে মানবজাতির কাছে উন্মুক্ত হয়ে রয়েছে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিশিষ্ট ১: ঈশ্বরের আবির্ভাব এক নতুন যুগের সূচনা করেছে)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

অবতারত্ব কী?

আমরা সবাই জানি যে দু’হাজার বছর আগে, মানুষকে মুক্তি দিতে ঈশ্বর মানুষের পৃথিবীতে প্রভু যীশুর অবতার গ্রহণ করেছিলেন এবং প্রচার করেছিলেন,...

“উন্নীত হওয়া” মানে আসলে কী?

২,০০০ বছর আগে, প্রভু যীশু ক্রুশবিদ্ধ হয়ে তাঁর মুক্তির কাজ সম্পন্ন করার পর, তিনি প্রত্যাবর্তন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তখন থেকে,...

এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বরের দ্বারা কীভাবে কাজের তিনটে পর্যায় সম্পন্ন হয় তা চিনতে পারা

আজ আমাদের সহভাগিতার বিষয়বস্তু হল, “এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বরের দ্বারা কীভাবে কাজের তিনটে পর্যায় সম্পন্ন হয় তা চিনতে পারা”। এই বিষয়টা...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন