আমি এখন বুঝি বাইবেল আর ঈশ্বরের মধ্যে সম্পর্ক

18-02-2023

সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “বহু বছর ধরে, মানুষের চিরাচরিত বিশ্বাসের উপায় (যেমন খ্রীষ্টধর্ম, বিশ্বের তিনটি প্রধান ধর্মের মধ্যে একটি) হয়ে এসেছে বাইবেল পাঠ; বাইবেল থেকে প্রস্থান প্রভুর প্রতি বিশ্বাস প্রদর্শন নয়, বাইবেল থেকে প্রস্থান হল ধর্মবিচ্যুতি ও ধর্মদ্রোহিতা, এবং যখন মানুষ অন্যান্য বই পড়ে, তখন সেই বইগুলির ভিত্তিও অবশ্যই বাইবেলের ব্যাখ্যা হতে হবে। যার অর্থ হল, তুমি যদি প্রভুতে বিশ্বাস করো, তাহলে তোমাকে অবশ্যই বাইবেল পড়তে হবে, এবং বাইবেলের বাইরে বাইবেলের সাথে জড়িত নয় এমন কোনো বইয়ের উপাসনা করা তোমার উচিত নয়। যদি তা করো, তাহলে তুমি ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছো। যখন থেকে বাইবেল এলো, প্রভুর প্রতি মানুষের বিশ্বাস হয়ে উঠলো বাইবেলের প্রতি বিশ্বাস। মানুষ প্রভুতে বিশ্বাস করে, এটা বলার পরিবর্তে, তারা বাইবেলে বিশ্বাস করে বলাই ভালো; তারা বাইবেল পাঠ শুরু করেছে বলার পরিবর্তে, এটা বলা ভালো যে তারা বাইবেলে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে; এবং তারা প্রভুর কাছে ফিরে এসেছে বলার চেয়ে, বাইবেলের কাছে ফিরে এসেছে বলাই ভালো হবে। এইভাবে, মানুষ বাইবেলকে ঈশ্বরের মতো উপাসনা করে, যেন এটি তাদের জীবনীশক্তি এবং তা হারানো তাদের প্রাণ হারানোর সমান। মানুষ বাইবেলকে ঈশ্বরের মতো উচ্চ আসনে রাখে এবং এমন কিছু মানুষও আছে যারা এটিকে ঈশ্বরের চেয়েও উচ্চ বলে মনে করে। মানুষ যদি পবিত্র আত্মার কাজ ছাড়াই থাকে, যদি তারা ঈশ্বরকে অনুভব করতে না পারে, তবে তারা বেঁচে থাকে ঠিকই—কিন্তু কিন্তু যে মুহূর্তে তারা বাইবেল হারায়, বা বাইবেলের বিখ্যাত অধ্যায় এবং বাণীগুলি হারিয়ে ফেলে, তা যেন তাদের কাছে প্রাণ হারানোর সমান। … বাইবেল মানুষের মনে একটি মূর্তির মতো হয়ে উঠেছে, এটি তাদের মস্তিষ্কে একটি ধাঁধায় পরিণত হয়েছে এবং তারা বিশ্বাস করতে অক্ষম যে ঈশ্বর বাইবেলের বাইরেও কাজ করতে পারেন, তারা বিশ্বাস করতে অক্ষম যে লোকেরা বাইবেলের বাইরে ঈশ্বরকে খুঁজে পেতে পারে, তার থেকেও কম তারা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর চূড়ান্ত কাজের সময় বাইবেলের থেকে বিদায় নিতে পারেন এবং নতুন করে শুরু করতে পারেন। এটা মানুষের কাছে অচিন্তনীয়; তারা এটা বিশ্বাস করতে পারে না, এবং তারা তা কল্পনাও করতে পারে না। বাইবেল ঈশ্বরের নতুন কাজের প্রতি মানুষের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ঈশ্বরের এই নতুন কাজকে প্রশস্ত করার জন্য অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, বাইবেল সম্পর্কিত (১))। ব্যাপারটা এরকম ছিল যে বাইবেল আমাকে আমার বিশ্বাসে প্রভুকে চিনতে সাহায্য করেছিল, এবং যাজক সবসময় বলতেন যে এটাই আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি। আমি ভাবতাম বাইবেলে বিশ্বাস মানে প্রভুর প্রতি বিশ্বাস, এবং এমনকি এটাকে আমি প্রভুরও উপরে রাখতাম। বাইবেলের কিছু মৃত বাণী দিয়ে আমি শুধু নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছিলাম প্রভুর বাণী অনুশীলন বা অনুভব করার চিন্তা না করেই। যতক্ষণ না সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ আমি গ্রহণ করলাম এবং দেখলাম যে তাঁর বাণী কী প্রকাশ করে ততক্ষন আমি ঈশ্বর এবং বাইবেলের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে পারিনি। আমার বিশ্বাসে আমার ভুলগুলির অবশেষে প্রতিকার হয়েছিল।

আমি বাইবেল পড়তাম, গির্জার সমাবেশে যেতাম, এবং অনলাইনে অনেক ধর্মোপদেশ অনুসন্ধান করতাম প্রভুকে ভালভাবে বোঝার জন্য। একবার ইউটিউবে একটা চলচ্চিত্র দেখতে পেলাম যার নাম ছিল, আমার গৃহ কোথায়। সেটা খুবই আন্তরিক এবং মর্মস্পর্শী ছিল। এবং চলচ্চিত্রে পড়া বাণীগুলি বিশেষভাবে উষ্ণ এবং কর্তৃত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছিল। আমি খুব কৌতূহলী ছিলাম সেগুলো কোথা থেকে এসেছে তা জানতে। যখন আমি দেখলাম সেটা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা আমি অনলাইনে গেলাম এই গির্জা, যারা চলচ্চিত্রটি তৈরি করেছিল, তাদের সম্পর্কে আরও জানতে। কিন্তু আমি এটার সম্পর্কে কিছু নেতিবাচক সংবাদ খুঁজে পেলাম এবং বুঝতে পারলাম না সেগুলো সত্যি না মিথ্যে। একটু চিন্তা করার পর, আমার মনে হল যে অন্যরা যা বলছে আমার তা অন্ধভাবে বিশ্বাস করা উচিত নয়। যেমন বলা হয়, “আপনি যা শুনছেন তা বিশ্বাস করবেন না, বরং নিজের চোখেই দেখুন।” আমি জানতাম যে এটি কোন ভাল গির্জা ছিল কিনা তা দেখার জন্য আমার ব্যক্তিগতভাবে এটির দিকে নজর দেওয়া উচিত। দেখার জন্য আরো কিছু চলচ্চিত্র আমি ডাউনলোড করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি আরও দুটি দেখেছি, জাগরণ এবং আকাঙ্ক্ষা। তারা সত্যিই আমাকে আলোড়িত করল। তাদের মধ্যে পড়া বাণীগুলি ছিল কর্তৃত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী, এবং আলোচনাটি ব্যবহারিক ছিল। গির্জাগুলির ধ্বংসের মূল কারণ এবং সংরক্ষিত হওয়া এবং সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত হওয়ার মধ্যে পার্থক্য শিখলাম আমি। এর থেকে জানা গেল যে প্রভু যীশু ইতিমধ্যেই প্রত্যাবর্তন করেছেন এবং অন্তিম সময়ে বিচারকার্য করছেন। যা বাইবেলের এই ভবিষ্যদ্বাণী পূরণ করে: “বিচারের কাল সমাগত, ঈশ্বরের আপনজনদের দিয়েই তা হবে শুরু(১ পিতর ৪:১৭)। আমি খুব আনন্দিত হলাম, এবং বুঝতে পারলাম যে চলচ্চিত্রগুলিতে পড়া সেই বাণীগুলি প্রত্যাবর্তিত প্রভুর উচ্চারণ। তাই সেগুলো এত কর্তৃত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী ছিল! আমি একটি বার্তা পাঠালাম এবং গির্জার ভ্রাতাদের ও ভগিনীদের সাথে যোগাযোগ করলাম এবং দেখলাম তারা সত্যিই আন্তরিক এবং তাদের আলাপআলোচনা প্রদীপ্তিময় ছিল। তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা আমার পক্ষে খুবই মনোগ্রাহী ছিল। আমি তাদের সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করলাম।

এক সন্ধ্যায় আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার চ্যানেল থেকে আরও চলচ্চিত্র ডাউনলোড করতে যাচ্ছিলাম। আমি যখন চলচ্চিত্রগুলি ঘেঁটে দেখছিলাম, তখন আমার বাইবেল থেকে বেরিয়ে আসুন বলে একটা নাম চোখে পড়ল। আমি বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। এটার মানে কী? কেন আমাদের বিশ্বাসে বাইবেল থেকে বেরিয়ে আসা উচিত? বাইবেল ছাড়া মানুষ কীভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে এবং তাঁকে জানতে পারে? আমি ভাবলাম কীভাবে যাজক সবসময় বলতেন আমাদের বিশ্বাস বাইবেলের উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত ছিল, এবং বাইবেল থেকে প্রস্থান ছিল ধর্মদ্রোহিতা। বাইবেল থেকে বিচ্যূতি কি প্রভুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ছিল না? আগামী কয়েকদিন ধরে আমার বিশ্বাস থেকে বিচ্যূত ভয়ে, আমি গির্জার স্তোত্র এবং চলচ্চিত্র দেখা বন্ধ করে দিলাম। কিন্তু আমি ভাবতে বাধ্য হলাম, “সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যদি সত্যিই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু হন এবং আমি তাঁকে গ্রহণ না করি, আমি কি প্রভুকে স্বাগত জানানোর সুযোগ হারিয়ে ফেলব না?” আমি দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম, তাই আমি উপবাস রাখা এবং প্রার্থনা করা শুরু করলাম। আমি প্রভুকে বললাম সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সত্যিই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু কিনা তা জানার জন্য আমাকে আলোকিত এবং আমার পথপ্রদর্শন করতে। আমার উপবাসের প্রথম রাতে, আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে কোন অনুপ্রেরণা পাইনি, তাই আমি ভেবেছিলাম আমি একবার বাইবেলে দেখে নেব। আমি প্রকাশিত বাক্য ১:৮ পড়লাম, “প্রভু পরমেশ্বর বলেন, ‘আমিই আল্‌ফা ও ওমেগা’। তিনি আছেন, ও ছিলেন ও তাঁর আবির্ভাব আসন্ন। তিনিই সর্বশক্তিমান।” আমি প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮-১৭ পড়লাম, “তখন ঈশ্বরের সম্মুখে উপবিষ্ট চব্বিশজন প্রবীণ প্রণিপাত করে ঈশ্বরের আরাধনা করলেনঃ ‘হে প্রভু পরমেশ্বর সর্বশক্তিমান তুমি অতীতে ছিলে এবং এখন বর্তমান আমরা তোমার ধন্যবাদ করি, কারণ তুমি মহান ক্ষমতায় বিভূষিত হয়েগ্রহণ করেছ রাজ্য।’” আমার হঠাৎ মনে হল যে এই স্তবকগুলো আমার জন্য ঈশ্বরের নির্দেশিকা। প্রকাশিত বাক্যে বলে যে অন্তিম সময়ে ঈশ্বরকে “সর্বশক্তিমান” বলা হবে। সেটা কি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নয়? এই আবিষ্কার আমাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে উদ্দীপিত করল। আমি বাইবেল থেকে বেরিয়ে আসুন চলচ্চিত্রটি পুরোটা দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম যাতে আমি বুঝতে পারি পুরো বিষয়টা ঠিক কী নিয়ে।

চলচ্চিত্রে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার একজন সুসমাচার প্রচারক এই আলাপ-আলোচনাটি ভাগ করে নিয়েছেন: “অনেক ধার্মিক লোক বলে যে ঈশ্বর পরিত্রাণের কাজ করার জন্য বাইবেল থেকে সরে যাবেন না, এবং যা কিছু বাইবেলের বাইরে যায় তা ধর্মদ্রোহী। কোনটি প্রথমে এসেছে: বাইবেল, নাকি ঈশ্বরের কাজ? শুরুতে, যিহোবা ঈশ্বর স্বর্গ, পৃথিবী এবং সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি বন্যার মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংস করেছিলেন এবং তিনি আগুন দিয়ে সদোম ও ঘমোরাকে ধ্বংস করেছিলেন। ঈশ্বর যখন এই সমস্ত কাজ করেছিলেন তখন কি পুরাতন নিয়মের অস্তিত্ব ছিল?” আমি ভাবলাম, “এটা কি জিজ্ঞাসা করতে হবে? ঈশ্বর যখন পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, পৃথিবীকে প্লাবিত করেছিলেন এবং সদোম ও ঘমোরাকে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন বাইবেল নিশ্চিতভাবে বিদ্যমান ছিল না।” তিনি বলে গেলেন: “যখন ঈশ্বর এই সমস্ত কাজ করেছিলেন তখন কোনো বাইবেল ছিল না। অর্থাৎ, প্রথমে ঈশ্বরের কাজ এসেছিল এবং পরে তা বাইবেলে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। এবং প্রভু যীশু যখন অনুগ্রহের যুগে কাজ করছিলেন তখনও কোন নতুন নিয়ম ছিল না। তিনি তাঁর কাজ শেষ করার পরে তাঁর শিষ্যরা এটি লিখেছিলেন। স্পষ্টতই, বাইবেল হল ঈশ্বরের কাজের একটি ঐতিহাসিক নথি মাত্র। ঈশ্বর বাইবেল অনুসারে কাজ করেন না এবং তিনি এটির দ্বারা সীমাবদ্ধ নন। তিনি তাঁর পরিচালনামূলক পরিকল্পনা এবং মানবজাতির চাহিদার উপর ভিত্তি করে তাঁর কাজ করেন। এই কারণেই আমরা ঈশ্বরের কাজকে শুধুমাত্র বাইবেলে যা আছে তা ভাবতে পারি না এবং আমরা তাঁর কাজকে সীমাবদ্ধ করতে বাইবেল ব্যবহার করতে পারি না। আমরা সত্যিই বলতে পারি না যে বাইবেলের বাইরে যা কিছু আছে তা ধর্মদ্রোহী। ঈশ্বরের নিজের কাজ করার এবং বাইবেলের সীমার বাইরে তা করার অধিকার রয়েছে।”

এটা শুনে হঠাৎ চোখ খুলে গেল। প্রভু যীশু যখন কাজ করেছিলেন তখন কোনো নতুন নিয়ম ছিল না। তিনি তাঁর কাজ শেষ করার পরেই এটি মানুষের দ্বারা সংকলিত হয়েছিল। বাইবেল সত্যিই ঈশ্বরের অতীত কাজের একটি নথি মাত্র। আমি এটার সম্পর্কে আগে কখনও ভাবিনি কেন?

চলচ্চিত্রে আলাপ-আলোচনা চলল: “যদি আমরা বলি বাইবেলের বাইরে যা কিছু আছে তা ধর্মদ্রোহিতা, আমরা কি ঈশ্বরের অতীতের সমস্ত কাজের নিন্দা করব না? প্রভু যীশু যখন এসে কাজ করেছিলেন, তখন তিনি পুরাতন নিয়মের উপর ভিত্তি করে কাজ করেননি, বরং তিনি তার বাইরে গিয়েছিলেন, যেমন অনুতাপের পথে তাঁর শিক্ষা, অসুস্থদের সুস্থ করা এবং ভূত তাড়ানো, সাবাথ পালন না করা, অন্যকে সত্তর গুণ সাত বার ক্ষমা করা, এবং আরও অনেক কিছু। এর কোনোটাই পুরাতন নিয়মে ছিল না। এমনকি এটি পুরাতন নিয়মের আইনের সরাসরি বিরোধী ছিল। এর মানে কি প্রভু যীশুর কাজ ঈশ্বরের কাজ ছিল না? প্রধান যাজকরা, প্রবীণরা, এবং লিপিকাররা প্রভু যীশুর কাজ এবং বাণীকে ধর্মদ্রোহিতা হিসাবে নিন্দা করেছেন কারণ সেগুলি পুরাতন নিয়মের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। তারা এমন লোকে পরিণত হয়েছিল যারা ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করেছিল। আমরা যদি মানুষের ধারণা অনুযায়ী চলি এবং বলি বাইবেল বহির্ভূত সবই ধর্মদ্রোহিতা, আমরা কি তাহলে প্রভু যীশুর কাজের নিন্দা করব না?”

তারপর তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কিছু বাণী পড়লেন যা এই প্রশ্নের বিষয়ে আলোকপাত করে যে বাইবেলের বাইরে যাওয়া মানে ধর্মদ্রোহিতা করা। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “বাইবেল একটি ঐতিহাসিক বই, এবং যদি তুমি অনুগ্রহের যুগ চলাকালীন পুরাতন নিয়ম ভোজন ও পান করতে—অনুগ্রহের যুগের সময় যদি তুমি সেই অনুশীলন করতে যা পুরাতন নিয়মের সময় প্রয়োজন ছিল—তবে যীশু তোমাকে প্রত্যাখ্যান করতেন এবং তোমার নিন্দা করতেন; যদি তুমি যীশুর কাজে পুরাতন নিয়ম প্রয়োগ করতে, তবে তুমি একজন ফরীশী হিসাবে বিবেচিত হতে। যদি, বর্তমানে, তুমি পুরাতন ও নূতন নিয়ম একত্রিত করে ভোজন ও পান এবং অনুশীলন করো, তাহলে বর্তমানের ঈশ্বর তোমাকে নিন্দা করবেন; তুমি আজকের পবিত্র আত্মার কাজে পিছিয়ে পড়বে! যদি তুমি পুরাতন নিয়ম ও নূতন নিয়ম ভোজন ও পান করো, তাহলে তুমি পবিত্র আত্মার স্রোতের বাইরে চলে যাবে! যীশুর সময়ে, যীশু ইহুদিদের এবং সেই সময়ে তাঁর মধ্যে পবিত্র আত্মার কাজ অনুসারে যারা তাঁকে অনুসরণ করেছিলেন তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি যা করেছিলেন তার ভিত্তি হিসাবে বাইবেলকে নেননি, বরং নিজের কাজ অনুযায়ী কথা বলেছেন; তিনি বাইবেলে কি বলেছে তার প্রতি কোনও মনোযোগ দেননি, বা বাইবেলে তাঁর অনুসারীদের নেতৃত্ব দেওয়ার পথের সন্ধান করেননি। ঠিক তাঁর কাজ শুরুর সময় থেকে, তিনি অনুতাপের পথ প্রচার করেছিলেন—এমন একটি শব্দ যার পুরাতন নিয়মের ভবিষ্যদ্বাণীগুলিতে একেবারেই উল্লেখ ছিল না। তিনি যে কেবল বাইবেল অনুসারে কাজ করেননি তাই নয়, তিনি একটি নতুন পথের নেতৃত্বও দিয়েছেন এবং নতুন কাজ করেছেন। প্রচার করার সময় তিনি কখনোই বাইবেলের উল্লেখ করেননি। অনুশাসনের যুগে, কেউ কখনও অসুস্থদের নিরাময় করা এবং অপদেবতা বহিষ্কারের মতো তাঁর অলৌকিক কাজগুলি করতে সক্ষম হয়নি। সেরকমই, তাঁর কাজ, তাঁর শিক্ষা, এবং তাঁর বাণীর কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাও, বিধানের যুগের যেকোনো মানুষের সাধ্যের বাইরে ছিল। যীশু শুধু তাঁর নতুন ধরণের কাজ করেছিলেন, এবং যদিও অনেক লোক বাইবেল ব্যবহার করে তাঁকে নিন্দা করেছিল—এমনকি তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য পুরাতন নিয়ম ব্যবহার করেছিল—তা সত্ত্বেও তাঁর কাজ পুরাতন নিয়মকে অতিক্রম করে গেছে; তা যদি না হতো, তাহলে মানুষ তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ কেন করেছিল? তা কি এইজন্য নয় যে পুরাতন নিয়মে তাঁর শিক্ষা, তাঁর অসুস্থকে নিরাময় করার ও অপদেবতা বহিষ্কারের ক্ষমতার বিষয়ে কিছুই বলা ছিল না? তাঁর কাজের লক্ষ্য ছিল একটি নতুন পথের নেতৃত্ব দেওয়া, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে বাইবেলের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করা বা ইচ্ছাকৃতভাবে পুরাতন নিয়ম পরিহার করার জন্য ছিল না। তিনি কেবল তাঁর সেবাব্রত সম্পাদন করতে এসেছিলেন, যারা তাঁর জন্য আকুল ছিল এবং তাঁর অন্বেষণ করেছিল, তাদের জন্য নতুন কাজ নিয়ে এসেছিলেন। তিনি পুরাতন নিয়ম ব্যাখ্যা করতে বা এর কাজ সমর্থন করতে আসেননি। বিধানের যুগের উন্নতি অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়া তাঁর কাজের উদ্দেশ্য ছিল না, কারণ তাঁর কাজ এই বিবেচনা করেনি যে তার ভিত্তিতে বাইবেল আছে কিনা; তাঁর যে কাজ করা উচিত ছিল, যীশু শুধু তাই করতেই এসেছিলেন। … সর্বোপরি, কে বড়: ঈশ্বর না বাইবেল? কেন ঈশ্বরকে বাইবেল অনুসারে কাজ করতেই হবে? এ কি হতে পারে যে ঈশ্বরের বাইবেলকে অতিক্রম করার অধিকার নেই? ঈশ্বর কি বাইবেল থেকে সরে গিয়ে অন্য কাজ করতে পারেন না? কেন যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা সাব্বাথ পালন করেননি? তাঁকে যদি সাব্বাথের আলোকে এবং পুরাতন নিয়মের আদেশ অনুসারে অনুশীলন করতে হতো, তাহলে যীশু কেন আগমনের পরে সাব্বাথ পালন করেননি, বরং পা ধুয়েছেন, মাথা ঢেকেছেন, রুটি টুকরো করেছেন, এবং মদিরা পান করেছেন? পুরাতন নিয়মের আদেশগুলির মধ্যে কি এই সব অনুপস্থিত নয়? যীশু যদি পুরাতন নিয়মকে সম্মান করতেন, তবে কেন তিনি এই মতবাদগুলি অগ্রাহ্য করেছেন? তোমার জানা উচিত কোনটি প্রথমে এসেছে, ঈশ্বর নাকি বাইবেল!(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, বাইবেল সম্পর্কিত (১))

চলচ্চিত্রর সুসমাচার প্রচারক এই আলাপ-আলোচনাটি ভাগ করে নিয়েছেন: “বাইবেল ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করে না। এটি তাঁর প্রথম দুটি পর্যায়ের কাজের একটি সত্য নথি মাত্র, অর্থাৎ, বিধানের ও অনুগ্রহের যুগে ঈশ্বরের কাজের একটি সাক্ষ্য। এটি মানবজাতিকে উদ্ধার করার জন্য তাঁর সমস্ত কাজের প্রতিনিধিত্ব করে না। ঈশ্বরের বাণীর বাইবেলের নথিগুলো খুবই সীমিত। এটা ঈশ্বরের জীবন চরিত্রের কিছু টুকরো মাত্র, এবং এতে তাঁর সম্পূর্ণ জীবন চরিত্র দেখা যায় না। ঈশ্বর সর্বদাই নতুন, কখনও পুরাতন নযন। তিনি নতুন কাজ করেন এবং প্রতিটি যুগে নতুন বাণী উচ্চারণ করেন। উদাহরণস্বরূপ, যখন প্রভু যীশু অনুগ্রহের যুগে এসেছিলেন, নতুন কাজ করতে তিনি পুরাতন নিয়মের বাইরে গিয়েছিলেন। ঈশ্বর শাস্ত্র অনুসারে কাজ করেন না বা শাস্ত্রের উল্লেখ করেন না। শাস্ত্রে তাঁর অনুসারীদের নেতৃত্ব দেওয়ার পথ তিনি খোঁজেন না। ঈশ্বরের কাজ সবসময় এগিয়ে যাচ্ছে। ঈশ্বর যখন একটি নতুন যুগ শুরু করেন এবং নতুন কাজ করেন, তিনি মানবজাতির জন্য একটি নতুন পথ নিয়ে আসেন এবং আমাদের আরও সত্য দান করেন যাতে আমরা তাঁর কাছ থেকে আরও বড় পরিত্রাণ পেতে পারি। ঈশ্বর তার পুরানো কাজের উপর ভিত্তি করে মানবজাতিকে নেতৃত্ব দেন না। অর্থাৎ ঈশ্বর বাইবেল অনুসারে কাজ করেন না কারণ তিনি কেবল সাবাথের প্রভু নন, তিনি বাইবেলেরও প্রভু। সব অধিকার আছে তাঁর বাইবেলের বাইরে যাওয়ার, তাঁর পরিকল্পনা এবং মানবজাতির চাহিদা অনুযায়ী নতুন কাজ করার। নতুন যুগে ঈশ্বরের কাজ ও পুরাতন যুগে তাঁর কাজ কখনো এক হতে পারে না। অতএব, বাইবেল থেকে সরে যাওয়া ধর্মদ্রোহিতা, এই বিবৃতি সমর্থনযোগ্য নয়।”

এর থেকে আমি বুঝলাম যে পুরাতন এবং নতুন নিয়ম বিধানের ও অনুগ্রহের যুগে ঈশ্বরের কাজ এবং বাণীকে লিপিবদ্ধ করে, কিন্তু ঈশ্বরের সমস্ত কাজের প্রতিনিধিত্ব করে না। আমি ভেবেছিলাম যে বাইবেল থেকে সরে যাওয়ার অর্থ হল আমি প্রভুতে বিশ্বাস করি না। আমি কি ঈশ্বর এবং বাইবেলকে এক আসনে বসাইনি? প্রভু যীশু যখন কাজ করতে আসেন, তিনি তা পুরাতন নিয়মের উপর ভিত্তি করে করেননি। যদি আমরা বলি যে শাস্ত্রের বাইরে যাওয়া ধর্মদ্রোহিতা, আমরা কি প্রভু যীশুর কাজের নিন্দা করব না? আমি যদি সেই যুগে জন্ম নিতাম যখন প্রভু যীশু কাজ করছিলেন, আমার বর্তমান ধারণা অনুযায়ী আমি তাঁর বিরোধিতা করতাম। যদি আমি ঈশ্বরের কাজ এবং বাণীকে শুধুমাত্র বাইবেলে সীমাবদ্ধ করি, আমি কি ফরিশীদের মত একই ভুল করব না যারা পুরানো শাস্ত্রকে আশ্রয় করে প্রভু যীশুর নিন্দা করেছিল?

চলচ্চিত্রে সুসমাচার প্রচারক ঈশ্বরের বাণীর আরেকটি অংশ পড়লেন: “আমি তোমাকে যা শেখাচ্ছি তা শুধু বাইবেলের নির্যাস ও ভেতরের গল্প। আমি বলছি না যে তুমি বাইবেল পাঠ করো না বা প্রচার করে বেড়াও যে এটি মূল্যহীন, শুধু বলছি বাইবেল সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি লাভ করতে। খুব পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যেও না। বাইবেল মানুষের লেখা একটি ঐতিহাসিক বই হলেও, এটিতে এমন অনেক নীতিও নথিভুক্ত রয়েছে যার সাহায্যে প্রাচীন সন্ত ও নবীরা ঈশ্বরের সেবা করতো, সেইসাথে রয়েছে ঈশ্বরের সেবার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক প্রেরিত বাণীপ্রচারকদের অভিজ্ঞতাসমূহের সমাহার—যেগুলি সত্যিই এই মানুষেরা দেখেছে ও জেনেছে, এবং এই কারণে, এই সময়ে যারা সত্য পথের সন্ধান করছে, প্রাসঙ্গিক হিসাবে বাইবেল তাদের কাজে লাগতে পারে। … এই বইগুলি এখন সেকেলে, সেগুলি বহুকাল পুরোনো, সুতরাং, যতই ভাল হোক না কেন, সেগুলি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়েরই উপযোগী, চিরস্থায়ী নয়। কারণ ঈশ্বরের কাজ সর্বদা এগিয়ে চলেছে, এবং তা কেবল পৌল ও পিতরের সময়ে থেমে থাকতে পারে না, বা সর্বদা অনুগ্রহের যুগেও থেকে যেতে পারে না যে যুগে যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। এবং তাই, এই বইগুলি শুধুমাত্র অনুগ্রহের যুগের জন্যই উপযুক্ত, অন্তিম সময়ের রাজ্যের যুগের জন্য নয়। এগুলি শুধুমাত্র অনুগ্রহের যুগের বিশ্বাসীদেরই কিছু প্রদান করতে পারে, রাজ্যের যুগের সন্তদের নয়, এবং যত ভালোই হোক না কেন, আসলে এগুলি অচল(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, বাইবেল সম্পর্কিত (৪))

এটা শুনে আমি দেখলাম যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বাইবেলের মূল্য অস্বীকার করছেন না। বাইবেল ঈশ্বরের অতীত কাজের একটি সাক্ষ্য মাত্র যেটা আমাদের সেই কাজ বুঝতে সাহায্য করতে পারে যা তিনি ইতিমধ্যেই করেছেন এবং তিনি তখন মানবজাতির কাছে যা চেয়েছেন। কিন্তু ঈশ্বর নতুন কাজ করছেন এবং বাইবেল পুরানো। মানুষের বর্তমানে যা প্রয়োজন এটা তাকে তা সরবরাহ করতে পারে না। আমি যখন প্রথম বাইবেল থেকে বেরিয়ে আসুন নামটি দেখলাম তখন আমি বিরুদ্ধভাবাপন্ন বোধ করেছিলাম। আমি ভাবতাম প্রত্যেকের বিশ্বাসের ভিত হল বাইবেল এবং কীভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস ও তাঁকে সম্মান করতে হয়, সেটাই ছিল তা জানার একমাত্র উপায়। আমি ভাবতাম বাইবেল থেকে প্রস্থান ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রস্থান। এই কারণেই আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ দেখতে চাইনি। আমি ভাবতাম বাইবেলে আমার বিশ্বাসের ভিত্তি করতে হবে এবং বাইবেল ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা দেখায় যে বাইবেল আমার হৃদয়ে ঈশ্বরের স্থান নিয়েছিল। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করতাম না—আমি বাইবেলে বিশ্বাস করতাম। আমি ঈশ্বর এবং বাইবেলকে সমান হিসাবে দেখেছি এবং আমি বাইবেলের মধ্যে ঈশ্বরের কাজকে সীমাবদ্ধ করেছি, এই ভেবে যে সেটার বাইরে যা কিছু সব ধর্মদ্রোহী। আমি কি ঈশ্বরকে সীমাবদ্ধ এবং তাঁর নিন্দা করছিলাম না? আমি হাঁপিয়ে উঠলাম, চিন্তায় ঠাণ্ডা হয়ে গেলাম। আমি ঈশ্বরের কাছে খুব ঋণী বোধ করলাম আমাকে সেই চলচ্চিত্রের প্রতি নির্দেশিত করার জন্য। অন্যথায়, এর পরিণতি কল্পনাতীত হত।

চলচ্চিত্রে সুসমাচার ভাগ করে নেওয়া লোকেরা তারপর বলল: “অনন্ত জীবন বাইবেল থেকে আসে না…।” আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। বাইবেল থেকে অনন্ত জীবন আসে না? এটা কীভাবে সম্ভব হতে পারে? পরবর্তীতে তারা যা বলল আমি সেটা শুনলাম। “এটি মানুষের ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তবে এটি একটি অবিসংবাদিত সত্য। প্রভু যীশু আমাদের অনেক আগে ফরিশীদের তিরস্কার করার সময়েই বলেছিলেন ফরিশী: ‘তোমরা অধ্যবসায় সহকারে শাস্ত্রপাঠ কর, মনে কর তার মধ্যেই পাবে অনন্ত জীবন। কিন্তু সেই শাস্ত্র আমারই সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছে। অথচ জীবন লাভের জন্য তোমরা আমার কাছে আসতে চাও না(যোহন ৫:৩৯-৪০)। প্রভু যীশু স্পষ্টভাবে বলেছেন যে শাস্ত্রে কোনো অনন্ত জীবন নেই। তার কারণ হল শাস্ত্র শুধু ঈশ্বরের সাক্ষ্য দেয়। মানুষ যদি সত্য ও জীবন লাভ করতে চায় তাহলে বাইবেল যথেষ্ট নয়। সত্য এবং জীবন অবশ্যই খ্রীষ্টের কাছ থেকে অর্জন করতে হবে। ফরিশীদের কথা ভাবুন যারা পুরাতন নিয়ম কে আঁকরে ধরেছিল। তারা অনন্ত জীবন অর্জন করেনি, বরং, প্রভু যীশুকে প্রতিরোধ ও নিন্দা করার জন্য তাদের দণ্ডিত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রভু যীশুর অনুগামীরা, যারা শাস্ত্রকে আঁকড়ে ধরেনি, যারা ঈশ্বরের কাজ এবং সমকালীন বাণী গ্রহণ করেছিল, তারাই শেষ পর্যন্ত প্রভু যীশুর দ্বারা মুক্ত হয়েছিল। এবং তাই, অনন্ত জীবন লাভের একমাত্র উপায় হল খ্রীষ্ট এবং ঈশ্বরের পদাঙ্ক অনুসরণ করা। যদি আমরা অন্ধভাবে বাইবেল মেনে চলি আমরা শুধুমাত্র ঈশ্বরের অনুমোদন অর্জন করতেই অক্ষম হব না, বরং বিষয়টা আসলে ঠিক যেমন পৌল বলেছেন, ‘কিন্তু শাস্ত্রের বিচারে সবকিছুই পাপের দ্বারা কবলিত’ (গালাতীয় ৩:২২), এবং আমরা ঈশ্বরের পরিত্রাণ হারাবো। ঈশ্বর প্রত্যেক যুগে নতুন কাজ করেন। যিহোবা ঈশ্বর বিধানের যুগে আইন ও আদেশনামা জারি করেছিলেন যাতে ইজরায়েলীয়রা জানতে পারে কীভাবে ঈশ্বরের উপাসনা করতে হয়, কীভাবে পৃথিবীতে বাস করতে হয়, পাপ কী ছিল, এবং তারা তাদের পাপের জন্য দণ্ডিত হবে. অনুগ্রহের যুগে, প্রভু যীশু পরিত্রাণের কাজ করেছিলেন, এবং ব্যক্তিগতভাবে পাপস্খালনের বলি হয়েছিলেন। সমস্ত লোককে শুধু স্বীকার এবং অনুতাপ করতে হত তাদের পাপ ক্ষমা করার জন্য এবং আইনের অধীনে নিন্দা ও অভিশাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। যাইহোক, প্রভু যীশুর মুক্তি আমাদের পাপ ক্ষমা করতে পারে। আমাদের পাপী প্রকৃতি এখনও গভীরে নিহিত। আমরা ক্রমাগত অহংকারী, প্রতারক এবং মন্দ হওয়ার মত ভ্রষ্টাচারী স্বভাব প্রদর্শন করে চলেছি এবং আমরা পাপ এবং ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করেই চলেছি। এই কারণেই প্রভু যীশু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে তিনি আবার আসবেন বিচারকার্য করতে, মানবজাতিকে পাপ থেকে পরিশুদ্ধ ও সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করতে। অন্তিম সময়ে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বিচারকার্য করছেন ঈশ্বরের গৃহ থেকে শুরু করে, প্রভু যীশুর মুক্তির কাজের উপর ভিত্তি করে। মানবজাতিকে উদ্ধার এবং পরিশুদ্ধ করার জন্য তিনি সমস্ত সত্য ব্যক্ত করেন এবং ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার রহস্য উন্মোচন করেন। তিনি বিচার করেন এবং ভ্রষ্ট মানবজাতির শয়তানোচিত স্বভাব এবং প্রকৃতির প্রকাশ করেন, এবং তাঁর পবিত্র, ধার্মিক স্বভাব প্রদর্শন করেন যা কোনো অপরাধ সহ্য করে না। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা ব্যক্ত বাণী এমন যা বিধানের যুগে বা অনুগ্রহের যুগে ঈশ্বর কখনও বলেননি। এই বাণীগুলির মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদের কাছে অন্তিম সময়ে অনন্ত জীবনের পথ এনে দিচ্ছেন। এটি প্রভু যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী সম্পূর্ণরূপে পূরণ করে: ‘তোমাদের আরও অনেক কথা আমার বলার আছে কিন্তু এখন তোমাদের পক্ষে তা হৃদয়ঙ্গম করা কঠিন। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনিই তখন তোমাদের পূর্ণ সত্যের উপলব্ধি দান করবেন(যোহন ১৬:১২-১৩)।”

তারপর তাঁরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাণীর আরেকটি অংশ পড়লেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট নিয়ে আসেন জীবন, এবং নিয়ে আসেন সত্যের চিরস্থায়ী ও শাশ্বত পথ। এই সত্যের পথেই মানুষ জীবন লাভ করে এবং এটিই একমাত্র পথ যার দ্বারা মানুষ ঈশ্বরকে জানতে পারে এবং ঈশ্বরের দ্বারা অনুমোদিত হয়। অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট যে জীবন যাপনের পথের সন্ধান দিয়েছেন তুমি যদি তার অনুসন্ধান না করো, তবে তুমি কখনই যীশুর অনুমোদন লাভ করতে পারবে না এবং স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের যোগ্য কখনই হয়ে উঠতে পারবে না, কারণ তুমি কেবল ইতিহাসের হাতের পুতুল এবং তার বন্দী। যারা নিয়ম-কানুন, লিখিত মতবাদ এবং ইতিহাসের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, তারা কখনই জীবনকে অর্জন করতে পারে না বা জীবন যাপনের চিরস্থায়ী পথ অর্জন করতে পারে না। কারণ তাদের জীবন সিংহাসন থেকে প্রবাহিত প্রাণসঞ্চারী জলের পরিবর্তে হাজার হাজার বছর ধরে আবদ্ধ অস্বচ্ছ জলের মতো। যাদের জীবনে এই প্রাণসঞ্চারী জলের সরবরাহ থাকে না তারা চিরকালই মৃতদেহের অনুরূপ, শয়তানের খেলার সামগ্রী এবং নরকের সন্তান হয়েই থেকে যাবে। তাহলে তারা কীভাবে ঈশ্বরকে দেখতে পাবে? যদি তুমি শুধুমাত্র অতীতকে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করো, সমস্তকিছুকে নিশ্চল করে রাখার চেষ্টা করো, স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের বিষয়ে নিশ্চেষ্ট থাকো এবং ইতিহাসকে অগ্রাহ্য করো, তাহলে তুমি কি সর্বদা ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচারী নও? ঈশ্বরের কর্মকাণ্ডের পর্যায়গুলি বিশাল এবং শক্তিশালী, ঠিক উথালপাথাল ঢেউ এবং গর্জনকারী বজ্রের মতো—তবুও তুমি নিষ্ক্রিয়ভাবে ধ্বংসের অপেক্ষায় বসে আছো, নিজের অজ্ঞতা আঁকড়ে ধরে আছো এবং নিশ্চেষ্ট রয়েছ। এইভাবে, তুমি মেষশাবকের পদাঙ্ক অনুসরণকারীর মতো কীভাবে বিবেচিত হতে পারো? তুমি কীভাবে সেই ঈশ্বরকে প্রমাণ করবে যাকে তুমি ঈশ্বর বলে আঁকড়ে ধরে থাকো, যিনি সর্বদা নতুন এবং কখনও পুরানো হন না? হলুদ হয়ে যাওয়া জীর্ণ বইয়ের বাক্য কীভাবে তোমাকে নতুন যুগে নিয়ে যেতে পারে? সেগুলি কীভাবে তোমাকে ঈশ্বরের কাজের পদক্ষেপগুলির সন্ধানে পরিচালিত করতে পারে? সেগুলি কীভাবে তোমার স্বর্গের পথ প্রশস্ত করতে পারে? তোমার হাতে ধরা বইগুলি শুধুই অক্ষরের সমাহার, যা কেবল অস্থায়ী শান্তি প্রদান করতে পারে, জীবনদায়ী সত্যের সন্ধান দিতে সক্ষম নয়। তোমার পড়া শাস্ত্রগুলি শুধুমাত্র তোমার জিহ্বাকে সমৃদ্ধ করতে পারে, মানব জীবনের প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে সাহায্যকারী জীবন দর্শনের সন্ধান দিতে তারা অক্ষম, নিখুঁত হওয়ার অভিমুখে চলার পথ হবার যোগ্যতা তো এগুলির আরোই কম। এই অমিলগুলি কি তোমাকে ভাবনার রসদ জোগাতে পারে না? এটা কি তোমাকে অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে না? তুমি কি স্বর্গে যাওয়ার যোগ্য এবং নিজের সামর্থ্যেই ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে সক্ষম? ঈশ্বরের আগমন ব্যতীত তুমি কি ঈশ্বরের সাথে পারিবারিক সুখ উপভোগ করতে স্বর্গে নিজেকে নিয়ে যেতে পারবে? তুমি কি এখনও দিবাস্বপ্ন দেখছো? আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে, তাহলে তুমি দিবাস্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেখো যে এখন কে কাজ করছেন—দেখো কে এখন অন্তিম সময়ে মানুষকে উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো না পারলে তুমি কখনই সত্য উপলব্ধি করতে পারবে না এবং কখনও জীবন লাভ করতে পারবে না(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, শুধুমাত্র অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট মানুষকে অনন্ত জীবনের পথ দেখাতে পারেন)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার প্রচারকরা এই আলাপ-আলোচনাটি ভাগ করে নিয়েছে: “আমরা যদি অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বাণী গ্রহণ না করে আমাদের বিশ্বাসে বাইবেলকে আঁকড়ে থাকি, আমরা কখনোই ঈশ্বরের জীবন্ত জলের সিঞ্চন এবং জীবিকা লাভ করব না। ঈশ্বরের বিচার এবং শুদ্ধিকরণ ছাড়া, আমরা পাপ করার পরে স্বীকার করার দুষ্ট চক্রে বাস করব। পাপের বন্ধন থেকে মুক্ত না হয়ে, কেউ কীভাবে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের উপযুক্ত হতে পারে? শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারকার্য গ্রহণ করেই আমরা ঈশ্বরের বাণী দ্বারা সিঞ্চন এবং পুষ্টি লাভ করব, সত্য বুঝতে পারব, আমাদের ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্ত হব এবং পরিশুদ্ধ হব। তবেই আমরা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের উপযুক্ত হব।”

আমি শুনতে শুনতে আরো আলোকিত এবং উত্তেজিত বোধ করলাম। সত্যের উপর এই আলাপ-আলোচনা খুবই কার্যকরী ছিল। বাইবেলে কোনো অনন্ত জীবন নেই-এটি কেবল ঈশ্বরের সাক্ষ্য। এটা ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করে না, এটা তার পরিত্রাণের কাজকে প্রতিস্থাপন করতে পারে। একমাত্র খ্রীষ্টই পথ, সত্য এবং জীবন। শুধুমাত্র খ্রীষ্টই আমাদের সত্য এবং জীবন দিতে পারেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট, মানবজাতিকে পরিশুদ্ধ ও উদ্ধার করার জন্য সমস্ত সত্য ব্যক্ত করেন কিন্তু আমি কিছুতেই বাইবেল ছেড়ে দিতে পারিনি। কত বোকা ছিলাম আমি! সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি আমার পথপ্রদর্শন করেছেন ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শোনার জন্য এবং বিশ্বাস সম্পর্কে আমার হাস্যকর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ফিরে আসার জন্য। তারপর আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ গ্রহণ করলাম!

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

বিরাট শ্বেত সিংহাসনের বিচার শুরু

বিশ্বাস স্থাপন করার পর, কীভাবে প্রার্থনা করতে হয় এবং বাইবেল পড়তে হয় তা আমি শিখতে শুরু করি এবং প্রাত্যহিক জীবনে প্রভুর বাণী অনুসরণ করার...

আমি ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনেছি

দুই বছর আগে আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ গ্রহণ করেছি। সত্যি বলতে কি, আমি অনেক বেশি অর্জন করেছি দশ বছর ধরে ধর্মীয়...

Leave a Reply

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন