প্রকৃত খ্রীষ্ট এবং ভন্ড খ্রীষ্টর মধ্যে আমি পার্থক্য করতে পারি
“ঈশ্বরের অবতাররূপকেই খ্রীষ্ট বলা হয়, এবং তাই যে খ্রীষ্ট মানুষকে সত্যের সন্ধান দেন তাঁকেই ঈশ্বর বলা হয়। এটি অতিশয়োক্তি নয়, কারণ তিনিই ঈশ্বরের সারসত্যের অধিকারী এবং তাঁর কাজের মধ্যেই প্রতিফলিত হয় ঈশ্বরের স্বভাব এবং প্রজ্ঞা, যা মানুষের পক্ষে অর্জন করা অসাধ্য। যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্ট বলে দাবি করে, কিন্তু ঈশ্বরের কাজে অপারগ, তারা আসলে প্রতারক। খ্রীষ্ট নিছক পৃথিবীতে ঈশ্বরের প্রকাশ নন, বরং ঈশ্বরের অবতাররূপ, কারণ তিনি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের কর্ম সম্পাদন করেন এবং সম্পূর্ণ করেন। এই অবতাররূপ যেকোনো মানুষ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা অসম্ভব, তিনিই তা করতে পারবেন যিনি যথাযথভাবে পৃথিবীতে ঈশ্বরের কর্ম সম্পাদন করতে পারেন, ঈশ্বরের স্বভাব প্রকাশ করতে পারেন, যথাযথ ভাবে ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন এবং মানুষকে জীবন দান করতে পারেন” (মেষশাবককে অনুসরণ করুন ও নতুন গীত গান, খ্রীষ্টের সারসত্ত্বা হলেন ঈশ্বর)। ঈশ্বরের বাক্যগুলি প্রকাশ করে যে অবতার কী এবং কীভাবে প্রকৃত খ্রীষ্টকে পৃথক করতে হয় ভন্ড খ্রীষ্ট থেকে। যখন আমি প্রভুর অনুসরণ করছিলাম তখন এই সত্যটি বুঝতে পারিনি। যাজক এবং প্রবীণদের কথা আমি শুনতাম। বিভ্রান্ত হওয়ার ভয়ে আমি ভন্ড খ্রীষ্ট্রর বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করেছি। নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গের ভুল এড়াতে আমি ঈশ্বরের কাজ অনুসন্ধানের সাহস করিনি, এবং ঈশ্বরের পরিত্রাণ প্রায় হারাতে চলেছিলাম। এখন আমি বুঝি যে সে যাত্রায় আমি খুব জোর বেঁচে গিয়েছিলাম।
ছোটবেলা থেকেই আমি গির্জায় গিয়ে বাইবেল পড়তাম, এবং বড় হওয়ার পর যুবদলের সাথে যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের যাজক ধর্মতত্ত্বে ডক্টরেট করেছিলেন। তিনি সবসময় বলতেন যাজক হওয়া কঠিন, পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণা প্রয়োজন। আমরা তাঁর মুখাপেক্ষী হয়ে। আমরা বিশ্বাস করতাম যে তিনি পবিত্র আত্মা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং তিনি প্রভুকে খুশি করেছিলেন। তিনি প্রায়ই এই স্তবকগুলির উদ্ধৃতি দিতেন: “কেউ যদি তখন তোমাদের বলে যে খ্রীষ্ট এখানে রয়েছেন কিম্বা ওখানে আছেন সে কথা বিশ্বাস করো না। কারণ অনেক নকল খ্রীষ্ট ও ভুয়ো নবীর আবির্ভাব ঘটবে। তারা এমন সব চমকপ্রদ নিদর্শন ও অলৌকিক কাণ্ড দেখাবে যার ফলে মনোনীতরাও প্রতারিত হতে পারে” (মথি ২৪:২৩-২৪)। তিনি আমাদের বলেছিলেন যে অন্তিম দিনে ভন্ড খ্রীষ্ট্ররা আমাদের প্রতারণা করবে, তাই আমরা সতর্ক ছিলাম। বিশেষ করে যে সব সাধারণ মানুষের বাইবেলের জ্ঞানের অভাব, তিনি আমাদের অন্য সম্প্রদায়ের আচরণ শুনতে, পড়তে বা দেখতে নিষেধ করেছিলেন। পাদরিরা পূর্বের বজ্রালোক সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক কথা বলতেন এবং তা থেকে দূরে থাকতে বলতেন। তিনি বলতেন যে আমাদের প্রতিদিন বাইবেল পড়তে হবে, স্বীকার করতে হবে এবং অনুতপ্ত হতে হবে, এবং যখন তাঁর রাজ্যে নেওয়ার জন্য প্রভু আসবেন সে সময়ে প্রস্তুত থাকতে। সে সময়ে আমি এ কথা বিশ্বাস করি এবং অন্য কোন গির্জায় যেতে সাহস করি নি। যাজক যা বলতেন আমি তাই করতাম। আমি বিশ্বাস করতাম যে এইভাবে আমি নিরাপদে প্রভুর আগমনের জন্য প্রতীক্ষা করছি।
একদিন, গির্জার ভ্রাতা হু আমাকে বললেন যে আমার মা এবং বোন পূর্বের বজ্রালোকে যোগ দিয়েছেন। এ কথা শুনে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আমি ভাবলাম, “যাজক কি আমাদের পূর্বের বজ্রালোক থেকে দূরে থাকতে বলেন না? আমার মা কীভাবে তাদের সাথে যোগ দিতে পারেন?” তখন, ভ্রতা হু আমাকে পূর্বের বজ্রালোক সম্পর্কে কিছু ভয়ানক গুজবের কথা বললেন। আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম। আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম। তারপর, ভ্রাতা হু আমাকে বললেন আমার মাকে জিজ্ঞাসা করে এটি সত্য কিনা তা যেন আমি রেকর্ড করি। এবং সেই রেকর্ডিং যেন তাঁকে পাঠাই।
নিশ্চিত ব্যবস্থা। বাড়িতে ফেরার পর, আমার মা বলেছিলেন যে প্রভু যীশু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হিসাবে ফিরে এসেছেন, এবং তিনি ঈশ্বরের ঘর থেকে শুরু করে বিচারের কাজ করছেন মানুষকে শুদ্ধ এবং পরিবর্তন করতে এবং পাপ থেকে আমাদের বাঁচাতে। তিনি চেয়েছিলেন যে আমি যেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়ি এবং তাঁর কাজের অনুসন্ধান করি। ওনার এই কথা শুনে আমি ভাবতে বাধ্য হয়েছিলাম পূর্বের বজ্রালোক সম্পর্কে ভয়ানক গুজবের কথা। আমি সত্যিই প্রতিরোধী ছিলাম, কিন্তু যেহেতু আমি তাঁর কথা রেকর্ড করছিলাম, তাই নিজেকে সংযত করে তাঁর কথা শুনলাম।
পরের দিন, তিনি আমাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজ অনুসন্ধানের জন্য অনুরোধ করলেন। এ সময় যাজক এ সম্পর্কে যে সব ভয়ঙ্কর কথা বলেছিলেন তা আমার ভাবনা আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। আমি শুনছিলাম না। আমি তাঁকে পরামর্শ দিলাম, “যাজক সর্বদাই আমাদের পূর্বের বজ্রালোকের কথা না শোনার জন্য বলেন। তাদের থেকে দূরে থাকো!” তিনি ধৈর্য ধরে উত্তর দিলেন, “ঈশ্বরের অন্তিম দিনের কাজ সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে কেন আমাদের নিরুৎসাহিত করবেন? প্রভু কি তাই চান? প্রভু যীশু আমাদের বলেছেন: ‘অহংবোধ নেই তাদের তারাই ধন্য, ঐশ্যরাজ্য তাদেরই’ (মথি ৫:৩)। ‘মাঝরাতে সাড়া পড়ে গেল, “বর আসছে, বর আসছে, তাকে বরণ করতে এগিয়ে যাও”’ (মথি ২৫:৬)। ঈশ্বর চান আমরা যেন বিনীতভাবে অনুসন্ধান করি।. পূর্বের বজ্রালোক প্রভুর প্রত্যাবর্তনের সাক্ষ্য দেয়, তাই আমাদের এটির দিকে নজর দেওয়া উচিত। কিন্তু প্রভুকে স্বাগত জানানো থেকে যাজক আমাদের বিরত করছেন। এটি কি প্রভুর শিক্ষার বিরুদ্ধে যায় না? প্রভুর কথা আমাদের শোনা উচিত, অন্ধভাবে যাজকের কথা নয়। প্রভুর সময়ে, বিশ্বস্ত ইহুদিরা তাঁর কথায় কর্ণপাত করে নি, পরন্তু যাজক, শাস্ত্রকার এবং ফরীশীদের মিথ্যা অনুসরণ করেছিল, অবমাননা ও প্রতিরোধ করেছিল ঈশ্বরের। তারা প্রভু যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করেছিল এবং ঈশ্বরের শাস্তি পেয়েছিল। তাদের শিক্ষা থেকে আমাদের শিখতে হবে! প্রকাশিত বাক্যে এটি বলা হয়েছে: ‘শোনার মত কান যার আছে সে শুনুক, পবিত্র আত্মা সকল মণ্ডলীকে কী বলছেন’ (প্রকাশিত বাক্য, অধ্যায় ২, ৩)। এর অর্থ প্রত্যাবর্তনের পর প্রভু তাঁর কথা বলবেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে হলে আমাদের ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর চিনতে হবে। দেখুন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর কিনা, এবং তিনি প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু কি না।” তিনি একটি বই তুলে নিলেন, অন্তিম সময়ে খ্রীষ্টের কথন। তা দেখে খুব বিরক্ত হয়ে আমি আমার ঘরে চলে গেলাম।
আমার মা যা বলেছিলেন তা নিয়ে শান্তভাবে আবার ভাবলাম। ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর চিনতে শেখা এবং নম্র হৃদয়ে তাঁর অনুসন্ধান করা তাঁর শিক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ পূর্বের বজ্রালোক প্রভুর ফিরে আসার সাক্ষ্য দিচ্ছিল, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য না পড়ে অন্ধভাবে যাজককে অনুসরণ খুবই অপরিণত কাজ। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যদি প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু হন এবং আমি তাঁকে স্বীকার না করি, আমি কি প্রভুকে স্বাগত জানানোর সুযোগ হারাব না? তখন আমার মনে পড়ল যাজক আমাদের বলছেন যে ভন্ড খ্রীষ্টরা অন্তিম দিনে আবির্ভূত হবে। এখন বিপথগামী হলে আমার বিশ্বাস বৃথা হবে। বিশৃঙ্খল এবং বিভ্রান্ত ছিলাম আমি।.কার কথা শুনব জানতাম না। তাই, আমি প্রভুর শরণ নিয়ে তাঁর নির্দেশনা চাই।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা থেকে সহকারিতা শোনার পরামর্শ দিয়েছিলেন আমার মা। প্রথমে দ্বিধা করলেও পরে রাজি হই। প্রথমে আমি কোন কিছুই গ্রহণ করছিলাম না, কিন্তু যখন তারা বলে পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বরের ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার রহস্য এবং তার কাজের তিনটি স্তর, আমি দ্রুত আকৃষ্ট হই. এটা এতই অভিনব ছিল। আমি অনেক বাইবেল পাঠ গোষ্ঠী ছিলাম কিন্তু আগে কখনো এ কথা শুনিনি। সমাবেশের পর আমার হৃদয় বদলে গেল। অন্তিম দিনের ঈশ্বরের কাজ অনুসন্ধান করার এবং আমার মায়ের রেকর্ডিং মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আমাদের দ্বিতীয় সমাবেশে, ভ্রাতা ঝাং জ্ঞানী এবং বোকা কুমারীদের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, “জ্ঞানী কুমারীরাই বুদ্ধিমান কারণ তারা ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য আকাঙ্ক্ষা করে এবং তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে চায়। যখন তারা শোনে যে প্রভু এসেছেন, তারা সক্রিয়ভাবে অনুসন্ধান করে। তারা বদ্ধ নয় এবং নিজেদের ধারণাগুলিকে আঁকড়ে ধরে রাখে না। যদি একবার তারা নিশ্চিত হয় যে এটি ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর, তারা তাকে স্বাগত জানায় এবং অনুসরণ করে। এই সব মানুষরা ভন্ড খ্রীষ্টের দ্বারা প্রতারিত হবে না। মূর্খ কুমারীদের বিচক্ষণতা এবং সত্যের প্রতি ভালবাসার অভাব রয়েছে। প্রভুকে স্বাগত জানাতে তারা তাঁর কণ্ঠস্বর শোনার চেষ্টা করে না, কিন্তু উচ্চপদ এবং ক্ষমতার ভজনা করে, যাজক এবং প্রাচীনদের কথা শোনে। প্রভুর ডাক এলে, তারা তাদের কান ঢেকে রাখে এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। তারা অজ্ঞ। কিছু লোক ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর চিনতে পারে কিন্তু তাকে অনুসরণ করার সাহস করে না, এই ভয়ে যে মানুষ এবং তাদের গির্জা তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। যারা সত্যের সন্ধান করে না, তারা কীভাবে প্রভুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাবে?”
এই কথা শুনে আমি জেগে উঠি। উপলব্ধি করি, বেশ কিছুদিন ধরে আমি যাজক এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা শুনেছি, কিন্তু সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজ অনুসন্ধান করি নি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যদি প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু হন এবং আমি তাঁকে স্বীকার না করি, তা হলে আমি কি বোকা কুমারী নই? প্রভু যীশু আমাদের বলেছেন: “চাও, তাহলে তোমাদের দেওয়া হবে। অন্বেষণ কর, সন্ধান পাবে। আঘাত কর, তোমাদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত হবে” (মথি ৭:৭)। আমি প্রভুকে স্বাগত জানাতে উৎসুক ছিলাম। পূর্বের বজ্রালোক সাক্ষ্য দিচ্ছে যে তিনি ফিরে এসেছেন, আ্মার জ্ঞানী কুমারী হওয়া উচিত যে অনুসন্ধান করবে। এটিই ঈশ্বরের ইচ্ছা! তাই, আমি তাদের সাথে আমার বিভ্রান্তি ভাগ করে নিলাম। “প্রভু যীশু বলেছেন, ‘কেউ যদি তখন তোমাদের বলে যে খ্রীষ্ট এখানে রয়েছেন কিম্বা ওখানে আছেন সে কথা বিশ্বাস করো না। কারণ অনেক নকল খ্রীষ্ট ও ভুয়ো নবীর আবির্ভাব ঘটবে। তারা এমন সব চমকপ্রদ নিদর্শন ও অলৌকিক কাণ্ড দেখাবে যার ফলে মনোনীতরাও প্রতারিত হতে পারে’ (মথি ২৪:২৩-২৪)। যাজক এবং প্রবীণরা এই স্তবকগুলি ব্যবহার করেন অন্তিম দিনের ভন্ড খ্রীষ্ট এবং প্রভুর আগমনের বিরুদ্ধ কোন সংবাদ সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করতে। বিভ্রান্ত হওয়ার ভয়ে, প্রভুর আগমন সম্পর্কে আমরা অনুসন্ধান করার সাহস করি না, কিন্তু মনে হয় এটি সঠিক পথ নয়। তাহলে প্রভু যা বলেছেন তা আমরা কীভাবে বুঝব? কীভাবে আমরা ভন্ড খ্রীষ্টর দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে প্রভুকে স্বাগত জানাতে পারি?”
ভ্রাতা ঝ্যাং বল্লেনঃ “বাইবেলের পাঠ আমাদের বলে যে সেখানে ভন্ড খ্রীষ্ট এবং নবীরা থাকবে যারা প্রভুর ফিরে আসার সময় মানুষকে প্রতারিত করবে। যেহেতু পাদ্রীরা ভন্ড খ্রীষ্ট এবং নবীদের থেকে তাদের সতর্ক করার জন্য এই শাস্ত্র ব্যবহার করেন, অধিকাংশ মানুষই এটিকে তাদের বিশ্বাসের এক অপরিহার্য বিষয় হিসেবে দেখে। তারা মনে করে প্রভুর আগমনের খবর মিথ্যা। কিন্তু এটা কি প্রভু যীশুর বাক্যর অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? প্রভু যীশু বলেছেন, ‘কেউ যদি তখন তোমাদের বলে যে খ্রীষ্ট এখানে রয়েছেন কিম্বা ওখানে আছেন সে কথা বিশ্বাস করো না। কারণ অনেক নকল খ্রীষ্ট ও ভুয়ো নবীর আবির্ভাব ঘটবে। তারা এমন সব চমকপ্রদ নিদর্শন ও অলৌকিক কাণ্ড দেখাবে যার ফলে মনোনীতরাও প্রতারিত হতে পারে’ (মথি ২৪:২৩-২৪)। এ থেকে আমরা জানতে পারি, প্রভু যীশু আমাদের সাবধান করেছিলেন অন্তিম দিনে ভন্ড খ্রীষ্ট এবং নবীদের সম্পর্কে। লোকেদের প্রতারিত করার জন্য তারা চমকপ্রদ নিদর্শন ও অলৌকিক কাণ্ড দেখাবে, তাই আমাদের বিচক্ষণ হওয়া উচিত। তিনি কখনও বলেননি যে প্রত্যাবর্তনের সমস্ত খবর মিথ্যা হবে। আমরা ভুলতে পারি না যে প্রভু যীশু বলেছেন যে তিনি প্রত্যাবর্তন করবেন, তাই প্রভুর প্রত্যাবর্তনের কোন সংবাদ মিথ্যা বলে, যাজকরা কি তাঁর প্রত্যাবর্তনকে অস্বীকার করছেন না, প্রভুর বাক্য, চেহারা এবং কাজকে নির্লজ্জভাবে অস্বীকার ও নিন্দা করছেন না? তারা কি মানুষকে বিভ্রান্তএবং প্রভুর বিরোধিতা করছে না? আমরা যদি এই পঙক্তিগুলিকে প্রসঙ্গ বহির্ভূত করে প্রভুর অর্থের ভুল ব্যাখ্যা করি, এমন খবরকে মিথ্যা বলে বিশ্বাস করি, তা কি ঈশ্বরের আবির্ভাব ও কাজের নিন্দা নয়? তাহলে আমরা কীভাবে প্রভুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে পারি?”
তার সহকারিতা শুনে আমার চোখ খুলে গেল। এই পঙক্তিগুলই বলে ভন্ড খ্রীষ্ট মানুষকে প্রতারিত করার জন্য অন্তিম দিনে চমকপ্রদ নিদর্শন ও অলৌকিক কাণ্ড দেখাবে। যাজকরা বাইবেল ভালই জানেন, কেন তারা ভন্ড খ্রীষ্টর সম্পর্কে জানেন না? ভ্রাতা ঝাং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যর অনুচ্ছেদগুলি পড়লেন: “যদি বর্তমানকালে এমন কেউ আবির্ভূত হয় যে সংকেত ও আশ্চর্যজনক বিষয় প্রদর্শন করতে পারে, অপদেবতা বিতাড়নে ও পীড়িতদেরদের নিরাময়ে সক্ষম হয় এবং বিবিধ অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে পারে, আর যদি সেই ব্যক্তি দাবি করে যে সে-ই হল আবির্ভূত যীশু, তাহলে সে হল মন্দ আত্মাদের সৃষ্ট যীশুর অনুকরণকারী এক নকল সত্তা। একথা মনে রেখো! ঈশ্বর একই কাজের পুনরাবৃত্তি করেন না। যীশুর কাজের পর্যায় ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, এবং ঈশ্বর কখনোই সেই কাজের পর্যায়ের আর দায়িত্ব নেবেন না। … অন্তিম সময়ে এসেও, ঈশ্বর যদি এখনও সংকেত ও আশ্চর্যজনক ঘটনা প্রদর্শন করেন, অপদেবতা বিতাড়ন করেন এবং পীড়িতদের নিরাময় করেন—যদি তিনি যীশুর মতো ঠিক একই কাজ করেন—তাহলে ঈশ্বর একই কাজের পুনরাবৃত্তি করবেন এবং তাহলে যীশুর কাজের কোনো তাৎপর্য বা মূল্যই থাকবে না। এইভাবে, ঈশ্বর প্রতিটি যুগে কাজের এক-একটি পর্যায় নির্বাহ করেন। একবার তাঁর কাজের একটি পর্যায় শেষ হয়ে গেলে, শীঘ্রই মন্দ আত্মারা তা অনুকরণ করে, এবং শয়তান ঈশ্বরের পথে হাঁটা শুরু করলে ঈশ্বর তাঁর পদ্ধতি পরিবর্তন করেন। ঈশ্বরের কাজের একটি পর্যায় সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, মন্দ আত্মারা তা অনুকরণ করতে শুরু করে। তোমাদের অবশ্যই এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের বর্তমানের কার্যকে জানা)। “অন্তিম সময়ে যদি যীশুর মতো কোনো ‘ঈশ্বর’ অবতীর্ণ হত, যে আর্তের নিরাময় করত, পিশাচের বহিষ্কার করত, এবং মানুষের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হত, তাহলে সেই ‘ঈশ্বর’ যদিও বাইবেলে বর্ণিত ঈশ্বরের সঙ্গে হুবহু এক হত এবং সহজেই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হত, কিন্তু নির্যাসগতভাবে, সেই দেহ ঈশ্বরের আত্মার পরিহিত দেহরূপ হতো না, বরং অশুভ আত্মার পরিহিত দেহ হতো। কারণ ঈশ্বরের কার্যের নীতিই হল, তিনি একবার যা সম্পন্ন করেছেন, তার আর কখনো পুনরাবৃত্তি করবেন না। আর তাই, ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতার রূপের কার্য প্রথম অবতার রূপের চেয়ে ভিন্ন” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের অধিষ্ঠিত দেহরূপের সারসত্য)।
এটি পড়ার পরে তিনি এই সহকারিতা ভাগ করে নিলেন: “ঈশ্বর সর্বদাই নতুন এবং কখনই পুরাতন নন এবং তিনি তাঁর কাজের পুনরাবৃত্তি করেন না। কাজের প্রতিটি নতুন পর্যায়ে, তিনি মানুষকে অনুশীলনের নতুন পথে নিয়ে যান। উদাহরণস্বরূপ, যখন প্রভু যীশু এসেছিলেন, তিনি পুনরায় আইন ও আদেশ জারি করেন নি, কিন্তু এইগুলির উপর ভিত্তি করেই মুক্তির কাজ করেছেন। অনুতাপ সম্পর্কে তিনি শিক্ষা দিয়েছেন, স্বীকার এবং অনুতাপ, ক্ষমা করা, ভালবাসা এবং আরও অনেক কিছু মানুষকে শিখিয়েছেন। মানুষের পাপ উৎসর্গ রূপে তিনি ক্রুশবিদ্ধ হন। অন্তিম সময়ে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চিহ্ন ও অলৌকিক কাণ্ড দেখান না। তিনি উদ্ধারের কাজের ভিত্তিতে বিচার এবং শুদ্ধির কাজ করেন। তিনি সত্য প্রকাশ করেন, মানুষের ভ্রষ্টাচার ও প্রকৃতি উন্মোচন করেন, এবং তিনি তাদের অন্যায়পরায়ণতার বিচার করেন। তিনি তাদের শুদ্ধ ও পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সত্য দেন, যাতে শয়তানের প্রভাব ও ভ্রষ্টাচার থেকে তারা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা পায় এবং ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হতে পারে। মানবজাতিকে বাঁচানোর জন্য ঈশ্বরের কাজ এভাবেই সম্পূর্ণ হয়। ঈশ্বরের কাজ প্রতিটি পর্যায়ে উন্নততর এবং কখনও পুনরাবৃত্তি হয় না। প্রত্যাবর্তিত প্রভু যদি চমকপ্রদ নিদর্শন ও অলৌকিক কাণ্ড প্রদর্শন এবং অসুস্থদের সুস্থ করেন, তা হলে তা হবে ঈশ্বরের কাজের পুনরাবৃত্তি এবং অর্থহীন। কিছু লোক দাবি করে যে ঈশ্বর কেবল চমকপ্রদ নিদর্শন ও অলৌকিক কাণ্ড প্রদর্শন, এবং অসুস্থদের সুস্থ করতে পারেন। তারা ঈশ্বরকে সীমায়িত করে এবং ভাবে যে তাঁর কাজ আর অগ্রসর হতে পারে না। তাই ঈশ্বরের কাজের কখনও পুনরাবৃত্তি হয় না এবং যে কেউই এ সব কাজ করে সে অবশ্যই একজন ভন্ড খ্রীষ্ট। বেশিরভাগ ভন্ড খ্রীষ্টই মন্দ আত্মা দ্বারা আবিষ্ট। তারা সত্য প্রকাশ করতে পারে না, কোনো নতুন যুগ শুরু করতে পারে না বা পুরানোটির অবসান ঘটাতে পারে না। তারা যা করতে পারে তা হল প্রভু যীশুর অনুকরণ এবং সহজ প্রতারণামূলক অলৌকিক নিদর্শন দেখাতে। কিন্তু প্রভু যীশু যা করেছিলেন, যেমন পুনরুত্থান এবং পাঁচটি রুটি এবং দুটি মাছ দিয়ে ৫,০০০ জনকে খাওয়ানোর মতো ঘটনার অনুকরণ করা যাবে না। শুধুমাত্র ঈশ্বরেরই এই ধরনের ক্ষমতা আছে, ভন্ড খ্রীষ্টর নয়। সত্য প্রকাশ না করে, যে কেউ তুচ্ছ চমকপ্রদ নিদর্শন ও অলৌকিক কাণ্ড প্রদর্শন করে নিজেকে খ্রীষ্ট বলে, সে নিশ্চিতভাবেই প্রকৃত জন নয়। এই নীতির মাধ্যমে আমরা সত্য খ্রীষ্ট থেকে ভন্ড খ্রীষ্টকে সনাক্ত করতে পারি।”
ভ্রাতা ঝাং এর সহকারিতা থেকে আমি শিখেছি: ঈশ্বরের কাজ নতুন, কখনও পুরানো নয় এবং কখনও নিজেকে পুনরাবৃত্তি করে না। ভন্ড খ্রীষ্ট ঈশ্বরের কাজ করতে পারে না। তারা তাঁর পুরানো কাজের অনুকরণএবং মানুষকে প্রতারিত করার জন্য কিছু অলৌকিক নিদর্শন দেখায়। এই নীতি ভন্ড খ্রীষ্টকে সনাক্ত করতে পারে। এটি বিশ্বের সব নকল জিনিসের মতই যা আসল জিনিসের আদলে তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা নকল, ভন্ড খ্রীষ্টের মত। এতে আমি আলোকপ্রাপ্ত হয়েছি্লাম।
ভ্রাতা ঝাং তার সহকারিতা অব্যাহত রেখেছিলেন: “ভন্ড খ্রীষ্টকে সনাক্ত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হল খ্রীষ্টর সারমর্মকে জানা। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।” সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য থেকে তিনি দুটি অধ্যায় পাঠ করল্রনঃ “যিনি ঈশ্বরের অবতার তিনি ঈশ্বরের সারসত্যের অধিকারী হবেন, এবং যিনি ঈশ্বরের অবতার তিনি ঈশ্বরের অভিব্যক্তির অধিকারী হবেন। যেহেতু ঈশ্বর দেহরূপ ধারণ করেছেন, সেহেতু তিনি সেই কাজ নিয়ে আসবেন যা তিনি করতে চান, এবং যেহেতু তিনি দেহরূপ ধারণ করেছেন, তিনি তাঁর স্বরূপ প্রকাশ করবেন এবং সেই সত্যটি মানুষের সামনে নিয়ে আসতে সমর্থ হবেন, তাকে জীবন দান করবেন এবং তার জন্য পথ চিহ্নিত করবেন। যে দেহরূপে ঈশ্বরের সারসত্য নেই তাকে ঈশ্বরের অবতার বলে গণ্য করা হয় না; এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কেউ ঈশ্বরের দেহরূপী অবতার কিনা তা যদি মানুষ অনুসন্ধান করতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই যে স্বভাব তিনি প্রকাশ করেন এবং যে সকল বাক্য তিনি বলেন, তার থেকেই তা জানতে হবে। অর্থাৎ, কেউ ঈশ্বরের দেহরূপী অবতার কিনা, এবং এটিই প্রকৃত পথ কিনা, তা সুনিশ্চিত করতে অবশ্যই তাঁর সারসত্যের ভিত্তিতে বিচার করতে হবে। এবং তাই, কেউ ঈশ্বরের দেহরূপী অবতার কি না, তা নির্ণয় করার মূল বিষয়টি তাঁর বাহ্যিক চেহারার পরিবর্তে তাঁর সারসত্যের (তাঁর কাজ, তাঁর কথা, তাঁর স্বভাব এবং অন্যান্য অনেক বিষয়) উপর নির্ভরশীল। মানুষ যদি শুধু তাঁর বাইরের চেহারাটাই যাচাই করে এবং এর ফলে তাঁর সারসত্যকে উপেক্ষা করে, তাহলে এটাই প্রমাণিত হয় যে সেই মানুষটি অজ্ঞানতিমিরে আচ্ছন্ন এবং অজ্ঞ” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের প্রতি প্রকৃত বিশ্বাসের অর্থ কী)। “ঈশ্বরের অবতাররূপকেই খ্রীষ্ট বলা হয়, এবং তাই যে খ্রীষ্ট মানুষকে সত্যের সন্ধান দেন তাঁকেই ঈশ্বর বলা হয়। এটি অতিশয়োক্তি নয়, কারণ তিনিই ঈশ্বরের সারসত্যের অধিকারী এবং তাঁর কাজের মধ্যেই প্রতিফলিত হয় ঈশ্বরের স্বভাব এবং প্রজ্ঞা, যা মানুষের পক্ষে অর্জন করা অসাধ্য। যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্ট বলে দাবি করে, কিন্তু ঈশ্বরের কাজে অপারগ, তারা আসলে প্রতারক। খ্রীষ্ট নিছক পৃথিবীতে ঈশ্বরের প্রকাশ নন, বরং ঈশ্বরের অবতাররূপ, কারণ তিনি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের কর্ম সম্পাদন করেন এবং সম্পূর্ণ করেন। এই অবতাররূপ যেকোনো মানুষ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা অসম্ভব, তিনিই তা করতে পারবেন যিনি যথাযথভাবে পৃথিবীতে ঈশ্বরের কর্ম সম্পাদন করতে পারেন, ঈশ্বরের স্বভাব প্রকাশ করতে পারেন, যথাযথ ভাবে ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন এবং মানুষকে জীবন দান করতে পারেন। একদিন না একদিন, খ্রীষ্টের ছদ্মরূপ ধারণকারী প্রত্যেকের পতন অনিবার্য, কারণ তারা নিজেদের খ্রীষ্ট বলে দাবি করলেও, তাদের মধ্যে খ্রীষ্টের সারসত্যের ছিটেফোঁটাও নেই। আর তাই আমি বলি খ্রীষ্টের সত্যতা মানুষ সংজ্ঞায়িত করতে পারে না, বরং তার সত্যতা বিচার এবং সংজ্ঞা নির্ধারণ স্বয়ং ঈশ্বরের দ্বারাই করা সম্ভব” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, শুধুমাত্র অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট মানুষকে অনন্ত জীবনের পথ দেখাতে পারেন)।
এটি পড়ার পরে তিনি সহকারিতা করেছিলেন: “খ্রীষ্ট হলেন দেহরূপে ঈশ্বর। তিনি দেহধারী ঈশ্বরের আত্মা, স্বাভাবিক মনুষ্যত্ব এবং সম্পূর্ণ দেবত্বসম্পন্ন। খ্রীষ্ট দেখতে খুব সাধারণ, কিন্তু তাঁর সারমর্ম ঐশ্বরিক, তাই তিনি সত্য এবং ঈশ্বরের ন্যায়পরায়নতা প্রকাশ করেন। তিনি একটি নতুন যুগের সূচনা করেন এবং একটি পুরানোর অবসান ঘটান। তিনি মানবতাকে উদ্ধার ও রক্ষা করতে পারেন। মানুষকে রক্ষা ও পরিচালনের জন্য তিনি সত্য প্রকাশ করেন। তাঁর স্থান নিতে পারে এমন কেউ নেই। প্রভু যীশু ছিলেন খ্রীষ্ট, অবতাররূপী ঈশ্বর। দেহরূপে তিনি সাধারণ মানুষের মত, কিন্তু তিনি অনুগ্রহের যুগ শুরু করেছিলেন এবং সমাপ্ত করেছিলেন আইনের যুগ এবং মানুষকে অনুতাপের পথ দিয়েছেন। তিনি পাপ ক্ষমা করতে পারেন। তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া আমাদের পাপ মোচন করেছে। তিনি চিহ্ন ও অলৌকিক কাণ্ড প্রদর্শন করতে পারেন যেমন একটি ঝড় শান্ত করা, পাঁচটি রুটি এবং দুটি মাছ, এবং মৃত্যু থেকে মানুষকে পুনরুত্থিত করা। তিনি ঈশ্বরের কর্তৃত্ব প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি দূর-দূরান্তে প্রচারও করেছিলেন এবং মানুষের প্রয়োজনের ভিত্তিতে তাদের লালন এবং পালনের জন্য সত্য প্রকাশ করেছেন। প্রভু যীশুর কাজ এবং বাক্য আমাদের দেখিয়েছে: তিনিই পথ, সত্য এবং জীবন। তাঁর কাজ এবং বাক্য সম্পূর্ণরূপে প্রমাণ করে যে তিনি ছিলেন ঈশ্বরের অবতার এবং মানবজাতির মুক্তিদাতা। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অন্তিম দিনে এসেছেন, অনুগ্রহের যুগের সমাপ্তি ঘটিয়ে রাজ্যের যুগ শুরু করেছেন এবং মানুষকে বিচার এবং শুদ্ধ করার কাজ করছেন। তিনি তাঁর ন্যায়পরায়ন স্বভাব প্রকাশ করছেন যা কোন অপরাধ সহ্য করে না। তাঁর বাক্য তাঁর ৬,০০০ বছরের পরিচালনমূলক পরিকল্পনার রহস্য উন্মোচন করে এবংউন্মোচন করে মানুষের পাপ করা এবং ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করার মূল কারণ, তাদের কলুষিত স্বভাব, এবং তাদের শুদ্ধির ও সম্পূর্ণ মুক্তির প্রয়োজনে সমস্ত সত্য বর্ণনা করে। এর মধ্যে রয়েছে কীভাবে ঈশ্বর বিচার করেন এবং মানুষকে শুদ্ধ করেন, কীভাবে তাদের অনুগত হওয়া এবং ঈশ্বরে বিশ্বাস করা উচিত, কে তাঁকে সন্তুষ্ট করে, কাকে তিনি ঘৃণা করেন এবং নিশ্চিহ্ন করে দেন, শুদ্ধি ও পরিপূর্ণতার সাধনা, মানবজাতির পরিণতি এবং আরও অনেক কিছু। ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তির মাধ্যমে, শয়তানকৃত আমাদের ভ্রষ্টাচারের সত্য আমরা দেখেছি এবং ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ন, পবিত্র স্বভাব জেনেছি। ঈশ্বরের সামনে আমরা অনুতপ্ত হয়েছি। আমরা ঈশ্বরের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে শুরু করি এবং আমাদের জীবনের প্রবণতা পরিবর্তন হতে শুরু করে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজ এবং বাক্য প্রমাণ করে যে তিনি দেহরূপে ঈশ্বর, অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট। ভন্ড খ্রীষ্টরা মন্দ আত্মা। তারা সত্য প্রকাশ করতে পারে না, মানবজাতিকে বাঁচানো তো দূরের কথা। তারা নির্জলা মিথ্যা এবং প্রতারণামূলক কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত এবং তাদের ক্ষতি করে। কোন ভন্ড খ্রীষ্টকে অনুসরণ করে কেউ জীবনের রসদ অর্জন বা পবিত্র আত্মার কাজ করতে পারে না। যত দীর্ঘ দিনই তারা বিশ্বাস করুক না কেন, তারা কখনই ঈশ্বর বা সত্য উপলব্ধি করতে পারবে না বা তাদের স্বভাব পরিবর্তন হবে না। ভন্ড খ্রীষ্টকে অনুসরণ করা হল এক দানবের অনুসরণের মতো। যে কেউই ঈশ্বর বা খ্রীষ্টর মত আচরণ করে কিন্তু সত্য প্রকাশ করতে পারে না সে অবশ্যই এক ভন্ড খ্রীষ্ট, এক দানব. ভন্ড খ্রীষ্ট সত্য প্রকাশ করতে পারে না বা ঈশ্বরের কাজ করতে পারে না। তারা যতই বলুক না কেন তারা খ্রীষ্ট, তারা তা নয়। সত্য এবং মিথ্যা সম্পূর্ণ পৃথক দুই পৃথিবী। তাদের ঘোষণায় সে কথা প্রমাণ হয় না। তাঁর সারমর্ম এবং তিনি যে কাজ করেন তার দ্বারা নির্ধারিত হয়। একমাত্র খ্রীষ্টই সত্য, পথ এবং জীবন। খ্রীষ্ট সত্য এবং ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতা প্রকাশ করেন এবং ঈশ্বরের কাজ করেন। এটি তাঁর সারমর্ম দ্বারা নির্ধারিত হয়। ঈশ্বরজাত সব কিছুর উন্নতি হবে। মানুষ যতই ঈশ্বরের কাজের প্রতিরোধ, নিন্দা ও তাকে অস্বীকার করুক না কেন, তা কেউ থামাতে পারবে না। খ্রীষ্টের সারমর্ম কেউ অস্বীকার করতে পারে না। তিনি আজ এবং ভবিষ্যতেও সর্বদাই খ্রীষ্ট থাকবেন। যখন প্রভু যীশু কাজ করেছিলেন, ইহুদি নেতারা এবং রোমান সরকার তাঁর নিন্দা ও বিরোধিতা করেছিল, এবং তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করেছিল। সেই যুগে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন, কিন্তু এখন ২,০০০ বছর পরে তাঁর সুসমাচার ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রতিটি কোণে এবং সমগ্র ধর্মীয় বিশ্ব তাঁকে স্বীকার করে। এখন অন্তিম সময়ে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়ের দ্বারা নিন্দিত হচ্ছেন, কিন্তু সত্য সবসময়েই অচল। কেউ তা অস্বীকার করতে পারবে না! সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য কিছু দিন ধরেই অনলাইনে রয়েছে এবং বিশ্বের কাছে সাক্ষ্য বহন করছে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যে মানুষ ঈশ্বরের কণ্ঠস্বরকে চিনছে, দেখছে যে তিনিই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু এবং তাঁর অভিমুখে যাচ্ছে। ভন্ড খ্রীষ্টদের সত্যের অভাব রয়েছে এবং তারা মানুষকে জয় করতে পারে না। তাদের কথা ও কাজ প্রকাশ করা যাবে না এবং কারোর অনুসন্ধানের জন্য তারা কখনই অনলাইনে যাবে না কারণ তারা তামসিক এবং মন্দ, এবং আলো সহ্য করতে পারে না। তারা তুচ্ছ চমকপ্রদ নিদর্শন ও অলৌকিক কাণ্ড দেখায় এবং নির্জলা মিথ্যা বলে, নিজে আড়ালে থেকে অজ্ঞ ও মূর্খ মানুষকে বিভ্রান্ত করে। কোন ভন্ড খ্রীষ্ট বা মন্দ আত্মার থেকে পাওয়া কিছুই স্থায়ী হতে পারে না। তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে অনতিবিলম্বেই অদৃশ্য হয়ে যাবে।”
এই সহকারিতা আমাকে দেখিয়েছে কীভাবে ভন্ড খ্রীষ্ট এবং সত্য খ্রীষ্টর মধ্যে পার্থক্য করতে হয়। আমি শিহরিত হয়ে ছিলাম। একমাত্র খ্রীষ্টই সত্য, পথ এবং জীবন। একমাত্র তিনিই সত্য প্রকাশ করতে পারেন এবং ঈশ্বরের কাজ করতে পারেন। যে কেউ নিজেকে খ্রীষ্ট বলে দাবি করে কিন্তু সত্য প্রকাশ করতে পারে না বা মানবজাতিকে বাঁচাতে পারে না সে ভন্ড খ্রীষ্ট। এই জানা ছিল বিস্ময়কর! যাজককে আমি অন্ধভাবে ভজনা করেছিলাম এবং তার কথা বিশ্বাস করেছিলাম। বিভ্রান্ত হওয়ার ভয়ে, আমি অন্তিম সময়ের সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজ অনুসন্ধানের সাহস করিনি। আমি ভেবেছিলাম আমার গির্জা এবং আমার যাজককে বিশ্বাস করাই নিরাপদ পথ এবং এ ভাবেই আমি প্রভুর রাজ্যে প্রবেশ করব। পাদরিরা বলেছিলেন যে প্রভুর আগমনের যে কোনও খবরই মিথ্যা এবং সত্য পথের সন্ধান থেকে আমাদের বিরত রেখেছিলেন। আমি এখন বুঝি যে তারা প্রতারক, অন্ধ পথপ্রদর্শক। আমিও বোকা ছিলাম। প্রভুর কণ্ঠস্বর না শুনে আমি বিনা প্রশ্নে তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। নিজের ক্ষতি করে আমি প্রভুকে স্বাগত জানানোর সুযোগ প্রায় হারাতে চলেছিলাম। খুব জোর রেহাই পেয়েছি!
সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য আরও পড়েছি এবং অবতার সম্পর্কে আরও শিখেছি, ঈশ্বরের এবং মানুষের কাজের মধ্যে পার্থক্য, এবং বাইবেলের গূঢ় কাহিনী বিষয়েও আরো শিখেছি। এতে আমি আলোকপ্রাপ্ত হই। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হলেন প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু! আমি তাঁর অন্তিম সময়ের কাজ স্বীকার করেছি।
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।