আমি জীবনের সজীব জল উপভোগ করেছি
প্রভুর প্রতি আমার পরিবারের বিশ্বাস তিন প্রজন্মের। ছোটোবেলায় আমি আমার পরিবারের সাথে গির্জায় যাওয়া শুরু করেছিলাম। আমি যখন বড়ো হলাম, তখন আমি গির্জার সেবা করতাম একজন যাজক ও একজন হিসাবরক্ষক হিসাবে। আমি সবসময় উৎসাহের সাথে প্রভুর সেবা করতাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমি দেখতে পেলাম গির্জাটা ক্রমশ জনশূন্য হয়ে উঠছে এবং যাজক ও প্রবীণরা একই পুরানো বিষয় প্রচার করছিলেন যাতে কোনো নতুন জ্ঞান ছিল না। তারা আমাদের প্রকৃত অসুবিধা ও সমস্যার সমাধান করতে পারছিল না। তারা সবসময় প্রভুর জন্য তাদের নিজস্ব কাজের কথা বলত, তারা কতটা কষ্ট পেয়েছে এবং তারা কী মূল্য দিয়েছে তা দেখাত। এসব শুনতে শুনতে আমি বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এবং প্রতি রবিবার উপাসনার সময় আমি দেখতাম পাদ্রীদের প্রস্তুত লিপির উপর ভিত্তি করে মানুষের জন্য প্রার্থনা করতে এবং সেটা আমার কাছে কপট মনে হত। হৃদয় থেকে প্রভুর সাথে কথা বলা প্রকৃত প্রার্থনা হওয়া উচিত, এমনকি সেটা মাত্র কয়েকটা শব্দও হতে পারে। তার কারণ ঈশ্বর বলেছিলেন, “ঈশ্বর আত্মাস্বরূপ। তাঁর উপাসনা যারা করবে, আত্মায় ও সত্যেই তাদের উপাসনা করতে হবে” (যোহন ৪:২৪)। তাদের শুধু সেই প্রার্থনা পড়া যা আগে থেকে লেখা ছিল, তা প্রকৃত প্রার্থনা ছিল না এবং তারা অবশ্যই প্রভুকে আনন্দ দিতে পারেনি। যখন গির্জার নেতারা যাজক পদগুলো পূরণ করছিলেন, তারা সেসব লোকেদের নির্বাচন করেনি যারা ভালো আচরণের, বিশ্বস্ত, লোভী নয় এবং বাইবেলে শেখানো সংযম অনুশীলন করত (১ তিমোথির ৩:১-১১ দেখুন)। পরিবর্তে, তারা সেসব লোকদের নিয়োগ করেছিল যারা অত্যধিক উৎসাহী ও অর্ঘ্যে বেশি অবদান রাখত। গির্জার নেতাদের আচরণ প্রতিটা মোড়ে প্রভুর শিক্ষার বিপরীত ছিল; তারা সম্পূর্ণভাবে তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত মতবাদ অনুযায়ী ধর্মসভার নেতৃত্ব দিত। আমি এই ধরনের গির্জার মধ্যে প্রভুর থেকে কোনো পথপ্রদর্শন দেখিনি, আমি পবিত্র আত্মার কাজ অনুভব করতে পারিনি, বা আমার জীবনের জন্য কোনো পুষ্টি অর্জন করতে পারিনি। গির্জার অন্যান্য সদস্যরা সকলেই আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল ছিল এবং তাদের বিশ্বাস ক্ষয়ে যাচ্ছিল। পাদ্রীরা গির্জাকে পুনরুজ্জীবিত করার নানা উপায় ভাবার চেষ্টা করেছিল যেমন বিশ্বাসীদের জন্য একদিনের ভ্রমণ এবং গ্রীষ্মকালীন শিবির আয়োজন করা, কিন্তু এটা শুধু একটু ক্ষণস্থায়ী আনন্দ ছিল, তারপর সবাই শীঘ্রই আবার বিষণ্ণ পড়ছিল। গির্জার প্রতি আমি সত্যিই হতাশ ছিলাম এবং মনে হচ্ছিল ওরকম কোনো জায়গায় ঈশ্বরের উপাসনা করে আমি কিছুই অর্জন করতে পারব না। ২০১৩ সালের মে মাসে আমি গির্জা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
তারপর, প্রভুর শিক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আমার জীবনকে সমর্থন করতে পারে এমন একটা গির্জা খুঁজে পাওয়ার প্রয়াসে, আমি দেশ-বিদেশের বিখ্যাত যাজকদের ধর্মোপদেশ শোনার জন্য অনলাইনে খুঁজতে শুরু করি। আমি আমার পুরানো গির্জার একজন প্রচারকের সাথেও যোগাযোগ করেছিলাম ধর্মশাস্ত্র বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর যে তার নিজস্ব গির্জা শুরু করেছিল। আমি অনলাইন ধর্মোপদেশ শুনছিলাম এবং তার সাথে জমায়েত করছিলাম, কিন্তু কারো ধর্মোপদেশ আমার জন্য আনন্দদায়ক বা পুষ্টিকর ছিল না। তিন মাস পর আমি অন্য গির্জার সাথে যোগাযোগ করি। আমার মনে হল যে তাদের শিক্ষাগুলো বাইবেলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল, তাই আমি তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে যোগ দিতে শুরু করি। কিন্তু কিছুদিন পর আমি আবিষ্কার করলাম যে প্রতিটা উপাসনার শুরুতে এবং শেষে, তারা সবসময় অজানা ভাষায় প্রার্থনা করত, এবং তারা বলেছিল যে অজানা ভাষায় কথা বলাই ছিল পবিত্র আত্মার কাজ থাকার এবং উদ্ধার হওয়ার একমাত্র প্রমাণ। কিন্তু আমি মোটেও একমত হইনি, কারণ বাইবেলে বলা হয়েছে, গালাতীয় ৫:২২-২৩ এ, “কিন্তু পবিত্র আত্মা যে ফসল উৎপন্ন করেন তা হল—আনন্দ, শান্তি, সহিষ্ণুতা, সহৃদয়তা, হিতৈষণা, বিশ্বস্ততা, অমায়িকতা ও আত্মসংযম।” ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে আমি যা বুঝতাম তা হল প্রভুর বাক্য বোঝা এবং নিজের জীবনে পবিত্র আত্মার নয়টা ফল ফলানো ছিল বিশুদ্ধ বিশ্বাস এবং পবিত্র আত্মার কাজ থাকার প্রমাণ। এবং উপাসনাগুলোতে, যাজকরা সব সময় পুরানো বিষয় প্রচার করছিলেন যাতে কোনো নতুন জ্ঞান ছিল না। ধর্মসভার অধিকাংশই ধর্মোপদেশের সময় ঘুমে ঢুলত। তারা শুধু আনুষ্ঠানিকতার কারণে যোগ দিত। অধিকাংশ মানুষেরই একটা নেতিবাচক, হতাশ অবস্থা ছিল। প্রভুর উপাসনায় মানুষের যে আনন্দ হওয়া উচিত তা আমি দেখতে পেতাম না। এসব উপাসনা এত উদাসীনভাবে পরিচালিত হতে দেখে আমি ভেবেছিলাম, “মানুষকে কেবল নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে দেখে প্রভু কি আনন্দিত হবেন? উপাসনার সময় প্রভু কি সত্যিই আমাদের সাথে আছেন?” আমি তখন প্রকাশিত বাক্য থেকে এটার কথা ভেবেছিলাম: “লায়দেকিয়া মণ্ডলীর দূতকে লেখ: … তোমার কার্যকলাপ আমি জানি, তুমি শীতল নও, উষ্ণও নও। তুমি শীতল না হয় উষ্ণ হলে ভাল হত। তুমি কবোষ্ণ, না শীতল না উষ্ণ। তাই আমি তোমাকে আমার মুখ থেকে উদবমন করব” (প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪-১৬)। এই গির্জাটা কি লায়দেকিয়া মণ্ডলীর গির্জার মত একই অবস্থায় ছিল না? এই গির্জাটাও আমার আধ্যাত্মিক চাহিদা মেটাতে পারেনি, এবং আমি খালি এবং অসহায় বোধ করা শুরু করেছিলাম। আমি দেখেছিলাম যে আমি যে সমস্ত গির্জাগুলোর মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম তার প্রত্যেকটা একইরকম ছিল। প্রত্যেকেই নিয়মকানুন মেনে চলছিল এবং উপাসনার আনুষ্ঠানিকতা পালন করছিল, কিন্তু আমি পবিত্র আত্মার কাজ বা পথপ্রদর্শন অনুভব করতে পারিনি। আমি সত্যিই বেদনায় ছিলাম। সেই সময় তখন আমার একমাত্র আশা ছিল যে প্রভু শীঘ্রই প্রত্যাবর্তন করবেন, আমাদের পরিচালনা করতে। আমি প্রায়ই প্রভুর কাছে প্রার্থনা করতাম: “হে প্রভু! আপনি কবে প্রত্যাবর্তন করবেন?”
প্রভুর প্রত্যাবর্তনের জন্য আমি আরও উদগ্রীবভাবে আশা করতে এবং একটা গির্জা খুঁজতে লাগলাম যা আমার জীবনের জন্য পুষ্টি প্রদান করতে পারে। আমি ক্রমাগত অনলাইন খুঁজতে শুরু করলাম। যত সুযোগ পেতাম, আমি এই ধরনের শব্দগুলো খুঁজতাম, যেমন “ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর” এবং “ঈশ্বরের পদচিহ্ন” যা ঈশ্বরের উপস্থিতিকে নির্দেশ করে। ২৭শে জানুয়ারী, ২০১৬-র সকালে, আমি অনলাইনে প্রভুর প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে তথ্য খুঁজছিলাম। আমি একটা ভিডিও পেলাম এবং আমি এমন বাক্য শুনলাম যা আমার হৃদয়কে আলোড়িত করেছিল। “আমার রাজত্ব সমগ্র মহাবিশ্বের উপরে গড়ে উঠছে এবং আমার সিংহাসন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে আধিপত্য বিস্তার করছে। দেবদূতদের সহায়তায আমার মহৎ অভীষ্ট শীঘ্রই ফলপ্রসূ হবে। আমার সমস্ত পুত্র এবং লোকেরা অধীর আগ্রহে আমার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা করছে, আমার সঙ্গে তারা পুনরায় মিলিত হতে উৎসুক এবং আর কখনও বিচ্ছিন্ন হতে চায় না। আমার সঙ্গে একত্রে থাকার আনন্দে আমার রাজত্বের অসংখ্য জনতা কি আনন্দ-উৎসবে মেতে না উঠে থাকতে পারে? এই পুনর্মিলন কি কোনও মূল্য না দিয়েই হওয়া সম্ভব? সকল মানুষের দৃষ্টিতে আমি সম্মানিত, প্রতিটি মানুষের কথায় আমি ঘোষিত। উপরন্তু, যখন আমি প্রত্যাবর্তন করব, আমি সমস্ত শত্রু-শক্তিকে জয় করব” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতি ঈশ্বরের বাক্য, অধ্যায় ২৭)। যদিও আমি এর সবকিছু বুঝতে পারিনি, যখন শুনেছিলাম যে “আমার রাজত্ব সমগ্র মহাবিশ্বের উপরে গড়ে উঠছে এবং আমার সিংহাসন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে আধিপত্য বিস্তার করছে।” “উপরন্তু, যখন আমি প্রত্যাবর্তন করব, আমি সমস্ত শত্রু-শক্তিকে জয় করব,” আমার মনে হয়েছিল যে প্রতিটা বাক্যই কর্তৃত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী, এবং এই বাক্যগুলো কোনো মানুষ উচ্চারণ করতে পারে না। আমি অবিলম্বে সোজা হয়ে বসলাম এবং সম্পূর্ণ মগ্ন শুনলাম। তারপর ভিডিওতে আমি এটা শুনলাম: “সময় এসে গেছে! আমার কাজ শুরু হবে! মানবজাতির মধ্যে আমি রাজত্ব করব! আমি ফিরে আসতে চলেছি! এবং আমার যাত্রা শুরু হতে চলেছে। সকলের প্রত্যাশা এটি, এটিই তাদের কামনা। আমার এই আবির্ভাবের দিনটি সমগ্র মানবজাতিকে প্রত্যক্ষ করতে দেবো এবং তারা সকলেই পরমানন্দে আমার আগমনের দিনটিকে স্বাগত জানাবে!” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতি ঈশ্বরের বাক্য, অধ্যায় ২৭)। আমি যত শুনলাম, ততই আমার মনে হল যে এই বাক্যগুলো কত কর্তৃত্বপূর্ণ এবং মর্মস্পর্শী ছিল। আমি ভাবলাম, “এই বাক্যগুলো ঠিক কোথা থেকে এসেছে?” ভিডিওর শেষে আমি এই লেখাটা দেখেছিলাম: “উৎস: বাক্য দেহে আবির্ভূত হল।” আমি অবিলম্বে দুটা খ্রীষ্টান বইয়ের দোকানে ফোন করলাম তাদের কাছে সেই বইটা আছে কিনা দেখতে, কিন্তু দুজনেই বলল যে তাদের কাছে নেই। আমি সত্যিই হতাশ বোধ করছিলাম, কিন্তু তারপর দেখলাম ভিডিওর শেষে একটা যোগাযোগ নম্বর দেওয়া ছিল, আর তাতে আমি সাথে সাথে ফোন করেছিলাম। এক ভগিনী ফোন ধরেছিল, এবং আমাদের কথোপকথনের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছিলাম যে এটা এমন কোনো বই নয় যা টাকা দিয়ে কেনা যায়। আমার মনে হয়েছিল যে আমি যে বাক্যগুলো শুনেছি তা খুবই মূল্যবান, তাই আমি তাকে বললাম যে আমাকে ওই বইটা পড়তেই হবে! তারপর আমরা সাক্ষাৎকারের জন্য একটা সময় ঠিক করলাম।
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬-এ, ভগিনী অ্যাডেলিন এবং ভগিনী বনি আমার বাড়িতে এলেন। আমি কথা বললাম সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গির্জার পরিস্থিতি সম্পর্কে এবং কীভাবে আমি একটা গির্জার সন্ধান করছিলাম যার পবিত্র আত্মার কাজ ছিল এবং আমার জীবনকে পুষ্টি দিতে পারত। তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করল, “সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য সম্পর্কে আপনি কী ভেবেছিলেন?” আমি বললাম, “সেগুলো সত্যিই কর্তৃত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী, এমন যা কোনো মানুষ উচ্চারণ করতে পারে না। সেগুলো ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর বলে মনে হয়।” অ্যাডেলিন জবাব দিয়েছিলেন, “এই বাক্যগুলো ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর। এই বাক্যগুলো প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশুর দ্বারা উচ্চারিত—দেহরূপী সর্বশক্তিমান ঈশ্বর। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের ঘর থেকে বিচারকার্য শুরু করেন, তিনি সেই সমস্ত সত্য প্রকাশ করেন যা মানুষকে পরিশুদ্ধ করে এবং উদ্ধার করে। তিনি প্রকাশ করেন ঈশ্বরের ৬,০০০ বছরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার সমস্ত রহস্য, মানবজাতিকে বাঁচানোর জন্য ঈশ্বরের কাজের তিনটি স্তরের রহস্য, অবতারের রহস্য এবং বাইবেলের আসল গল্প, শয়তান কীভাবে মানবজাতিকে কলুষিত করে, কীভাবে ঈশ্বর মানবজাতিকে রক্ষা করেন, কীভাবে মানুষ পাপ থেকে মুক্ত এবং ঈশ্বরের দ্বারা শুদ্ধ হতে পারে, মানবজাতির পরিণতি কী হবে, কীভাবে মানুষের অনুসন্ধান করা উচিত যাতে তারা উদ্ধার হতে পারে এবং ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে এবং আরও অনেক কিছু। ঈশ্বর আমাদের এই সমস্ত রহস্য এবং সত্য বলেছেন। এটা প্রভু যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ করে: ‘তোমাদের আরও অনেক কথা আমার বলার আছে কিন্তু এখন তোমাদের পক্ষে তা হৃদয়ঙ্গম করা কঠিন। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনিই তখন তোমাদের পূর্ণ সত্যের উপলব্ধি দান করবেন। তিনি নিজে থেকে কিছুই বলবেন না, যা তিনি শুনবেন শুধুমাত্র তা-ই বলবেন এবং সমস্ত ভাবী ঘটনার কথা তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন’ (যোহন ১৬:১২-১৩)। ‘বাক্য দেহে আবির্ভূত হল’ বইতে এই বাক্যগুলো রয়েছে যা অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের দ্বারা ব্যক্ত হয়েছিল। এটা হল ঈশ্বরের দ্বারা আমাদের দেওয়া জীবনের জল, এবং অনন্ত জীবনের পথ। আমাদের শুধুমাত্র মেষশাবকের পদচিহ্ন অনুসরণ করতে হবে এবং ঈশ্বরের দ্বারা ব্যক্ত বাক্যগুলো অর্জন করতে হবে আমাদের জীবনের জন্য পুষ্টি অর্জন করতে। তারপর আমাদের তৃষ্ণার্ত আত্মাদের ভোজন করানো এবং সিঞ্চন করা যেতে পারে।” ওর কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমি ভাবলাম, “প্রভু কি সত্যিই প্রত্যাবর্তন করেছেন? সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কি সেই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু যার জন্য আমি আকাঙ্ক্ষা করছিলাম?” যদিও আমি জানতাম যে প্রভু যীশু প্রত্যাবর্তন করবেন, সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারিনি যে তারা যার সাক্ষ্য দিয়েছিল। কিন্তু তখন আমি সেই ফরিশীদের কথা ভাবলাম যারা সবসময় মশীহের আগমনের জন্য অপেক্ষা করত, কিন্তু প্রভু যীশু যখন কাজ করতে এসেছিলেন, তখন তারা তাঁকে অস্বীকার করেছিল। তারা জিদ করে তাদের নিজস্ব ধারণাকে আঁকড়ে ধরেছিল, উন্মত্ত ভাবে প্রভু যীশুর নিন্দা এবং তাঁকে অপমান করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত তারা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করেছিল। তারা ঈশ্বরের স্বভাবকে ক্ষুদ্ধ করেছিল এবং ঈশ্বরের দ্বারা অভিশপ্ত ও দণ্ডিত হয়েছিল। আমি নিজেকে অনেকবার সতর্ক করেছিলাম ফরিশীদের মত না হতে যখন প্রভু যীশু যখন প্রত্যাবর্তন করবেন। আমি ধর্মগুরু শিমিওন এবং আন্নার কথাও ভেবেছিলাম। আমি সবসময় তাদের খুব শ্রদ্ধা করতাম এবং ঠিক তাদের মতোই প্রভু যীশুকে চিনতে চেয়েছিলাম যখন তিনি প্রত্যাবর্তন করবেন। এখন যেহেতু আমি প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনের খবর শুনেছি, আমি কি এটার অনুসন্ধান ও অন্বেষণ না করে থাকতে পারি? তারপর ভগিনীরা আমাকে বাক্য দেহে আবির্ভূত হল-এর একটা কপি দিল। তারা আমাকে এও বলল যে ওর প্রতিটা শব্দ ঈশ্বরের মুখ থেকে এসেছে এবং আমার সেটা মনোযোগ সহকারে পড়া উচিত।
তারপর আমি শুরু করলাম সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়া, এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার ভ্রাতা এবং ভগিনীদের সাথে অনলাইনে জমায়েত করা। একদিন, আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের এই বাক্যগুলো পড়লাম: “ঈশ্বরের ওপর প্রকৃত বিশ্বাসের অর্থ নিম্নরূপ: সব কিছুর উপর ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব রয়েছে এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে, কেউ তাঁর বাক্য ও তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা লাভ করে, তার ভ্রষ্ট স্বভাবকে শুদ্ধ করে, ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করে এবং ঈশ্বরকে জানতে পারে। শুধুমাত্র এই ধরনের একটি যাত্রাকেই ‘ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস’ বলা যেতে পারে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ভূমিকা)। মনে মনে আমি একটা “আমেন” বললাম, এবং আমার বিশ্বাসে আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাবলাম। আমি প্রভু যীশুর মুক্তির অনুগ্রহে আত্মতুষ্ট ছিলাম, এই ভেবে যে জমায়েত করা, প্রার্থনা করা, বাইবেল পড়া এবং প্রভুর জন্য কাজ করা বিশ্বাস থাকার সমতুল্য। আমি সত্যিই বিশ্বাসের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারিনি। ওই বাক্যগুলো পড়া আমার জন্য সত্যিই জ্ঞানময় ছিল—আমি দেখেছিলাম যে বিশ্বাসের জন্য ঈশ্বরের কাজ এবং বাক্য অনুভব করে আমাদের কলুষিত স্বভাব পরিবর্তন করা প্রয়োজন, যাতে আমরা সত্য অর্জন করতে পারি, এবং ঈশ্বরকে জানতে পারি। এই হল ঈশ্বরে বিশ্বাস। শুধুমাত্র এই কয়েকটা, সংক্ষিপ্ত বাক্য বিশ্বাসের প্রকৃত অর্থ সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করেছিল এবং আমাকে ঈশ্বরে বিশ্বাস করার পথ দেখিয়েছিল। একমাত্র ঈশ্বরই এই ধরনের বাক্য উচ্চারণ করতে পারেন। পরে আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কিছু বাক্য পড়েছিলাম যা মানুষের কলুষতার সত্য ও সারমর্ম প্রকাশ করে। যেমন, তিনি প্রকাশ করেন যে আমরা কাজ করি এবং নিজেদের ব্যয় করি ঈশ্বরকে ভালোবসে এবং তাঁকে সন্তুষ্ট করতে চেয়ে নয়, বরং এর বিনিময়ে ঈশ্বরের রাজ্যের আশীর্বাদ পাওয়ার আশায়, ঈশ্বরের সাথে চুক্তি করে। তিনি আমাদের অহংকার ও দাম্ভিকতা এবং আমাদের ঈশ্বরের প্রতি ভয়ের অভাব প্রকাশ করেন। যে মুহূর্তে তাঁর কাজ আমাদের ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় না, আমরা নির্বিচারে তাঁকে বিচার এবং তাঁর নিন্দা করি। ঠিক যেমন হিব্রু ৪:১২ এ বলে, “ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও সক্রিয়, দুই দিকে ধারালো তরবারির মত তীক্ষ্ণধার। মন, আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা ভেদ করে তা হৃদয়ের চিন্তা ও অভিপ্রায়ের সূক্ষ্ম বিচার করে।” আমার আরও মনে হল যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা প্রকাশিত বাক্যগুলো সত্যই ঈশ্বরের বাণী, কারণ একমাত্র ঈশ্বরই মানুষের হৃদয়ের গভীরতা যাচাই করতে পারেন, আমাদের চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলো পরীক্ষা করতে এবং আমরা কী ভাবছি তা জানতে পারেন, এবং একমাত্র ঈশ্বরই আমাদের কলুষতার সত্যকে এত সঠিকভাবে ব্যবচ্ছেদ করতে পারেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য রহস্য উন্মোচন করে দিয়েছিল এমন অনেক বাইবেলের অংশের যা আমি আগে কখনো বুঝিনি, যেমন “উন্নীত হওয়া”-র প্রকৃত অর্থ কী, জীবনের নদীর জল কী, নতুন জেরুজালেম কী, জ্ঞানী এবং মূর্খ কুমারী কারা, স্ক্রোল এবং তার সাতটা সীলমোহর খোলার অর্থ কী এবং আরও অনেক কিছু। এটা সত্যিই আমার চোখ খুলে দিয়েছিল—আমি পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলাম। বাইবেলের এই রহস্যগুলো কেউ উন্মোচন করতে পারেনি স্বয়ং ঈশ্বর ছাড়া। আমি যত বেশি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়লাম, তত বেশি আধ্যাত্মিকভাবে লালিত অনুভব করলাম। এটা দীর্ঘ খরার পরে একটা মিষ্টি বৃষ্টির মত ছিল, আমার জীবনকে পুষ্ট করছিল এবং জল দিচ্ছিল। আমি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হয়েছিলাম যে এইগুলো পবিত্র আত্মার বাক্য এবং ঈশ্বর মানবজাতির সাথে কথা বলছেন, যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সত্যিই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু। প্রভু যীশু যা বলেছিলেন তার অর্থ আমি অনুভব করেছিলাম, “কিন্তু আমি যে জল দেব তা যে পান করবে সে আর কখন তৃষ্ণার্ত হবে না। আমার দেওয়া জলে তার অন্তর থেকে উৎসারিত হবে অনন্ত জীবনের ধারা” (যোহন ৪:১৪)। দেখা গেল, শুধুমাত্র অন্তিম সময়ের খ্রীষ্টেরই সজীব জলের ঝর্ণা আছে, এবং এখন আমি অবশেষে জীবনের এই বসন্তের উৎস খুঁজে পেয়েছি।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়ে এবং ভ্রাতা ও ভগিনীদের সাথে জমায়েত করে এবং আলাপআলোচনার মাধ্যমে আমি ধর্মীয় জগতের অন্তঃসারশূন্যতার সারমর্ম এবং কারণগুলো বুঝতে পেরেছিলাম। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “পবিত্র আত্মার বর্তমান কর্ম যারা অনুসরণ করে না, তারা ঈশ্বরের বাক্যের কাজে প্রবেশ করে নি, তারা যতই কাজ করুক, বা তাদের ক্লেশ কত বড়ই হোক, বা তারা যতই ছোটাছুটি করে বেড়াক না কেন, তা সকলই ঈশ্বরের কাছে অর্থহীন, এবং তিনি তাদের প্রশংসাও করবেন না। আজ, যারা ঈশ্বরের বর্তমান বাক্য যারা অনুসরণ করে, তারা সকলেই রয়েছে পবিত্র আত্মার স্রোতের মধ্যে; ঈশ্বরের বর্তমান বাক্য যাদের কাছে অচেনা, তারা পবিত্র আত্মার স্রোতের বাইরেই রয়ে গিয়েছে, এবং তারা ঈশ্বরের প্রশংসা পায় না। পবিত্র আত্মার বর্তমান কথন অনুসারে যে সেবা নয়, তা হল দৈহিক ইচ্ছা চরিতার্থকরণের উদ্দেশ্যে সেবা, এবং তা পুরনো পূর্বধারণা অনুসারে সেবা, এবং তা কখনোই ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে না। যদি মানুষ ধর্মীয় পূর্বধারণার মাঝেই বসবাস করে, তবে তারা এমন কিছুই করতে পারে না যা ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, এবং, যদিও তারা ঈশ্বরের সেবা করে, তারা করে তাদের কল্পনা ও পূর্বধারণা অনুযায়ী, এবং ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সেবা করতে তারা সম্পূর্ণ অপারগ” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের নবতম কর্মকে জানো এবং তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করো)। “ঈশ্বরের কার্যের প্রতিটি পর্যায়ে মানুষের থেকে তাঁর সঙ্গতিপূর্ণ চাহিদাও রয়েছে। যারা পবিত্র আত্মার স্রোতের মধ্যে রয়েছে তারা সকলেই পবিত্র আত্মার রীতিনীতি এবং অনুশাসনের অধিকারী, এবং যারা পবিত্র আত্মার স্রোতের মধ্যে নেই তারা শয়তানের আজ্ঞাধীন এবং পবিত্র আত্মার কার্য-রহিত। যারা পবিত্র আত্মার স্রোতের মধ্যে রয়েছে তারাই হল সেই ধরনের মানুষ যারা ঈশ্বরের নতুন কার্য গ্রহণ করে এবং ঈশ্বরের নতুন কাজে সহযোগিতা করে। … যারা নতুন কাজ গ্রহণ করে না তাদের জন্য বিষয়টি এমন নয়: তারা পবিত্র আত্মার স্রোতের বাইরে রয়েছে, এবং পবিত্র আত্মার অনুশাসন ও ভর্ৎসনা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সারাটা সময়, সেই ব্যক্তিগণ মরদেহের মধ্যে বাস করে, তারা তাদের মনের মধ্যে বাস করে, এবং তারা যাকিছু করে তার সকলই তাদের নিজস্ব মস্তিষ্কপ্রসূত বিশ্লেষণ এবং গবেষণার দ্বারা উদ্ভাবিত মতবাদ অনুসারে। পবিত্র আত্মার নতুন কাজের জন্য তা প্রয়োজনীয় নয়, এবং ঈশ্বরের সাথে সহযোগিতা তো এটা আরোই নয়। যারা ঈশ্বরের নতুন কর্ম গ্রহণ করে না, তারা ঈশ্বরের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত, এবং, উপরন্তু, ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও সুরক্ষা থেকেও বঞ্চিত। তাদের অধিকাংশ বাক্য ও কাজ পবিত্র আত্মার কার্যের অতীত চাহিদাগুলিকে ধারণ করে; সেগুলি মতবাদ, সত্য নয়। এই ধরনের মতবাদ ও নিয়ম-নীতিই এটা প্রতিপন্ন করার পক্ষে যথেষ্ট, যে, এই মানুষগুলির সমাবেশ নিছক ধর্ম ছাড়া আর কিছুই নয়; তারা নির্বাচিত ব্যক্তি বা ঈশ্বরের কাজের লক্ষ্যবস্তু নয়। তাদের সকলের সমাবেশকে নিতান্তই এক ধর্মীয় মহাসম্মেলন হিসাবে অভিহিত করা যেতে পারে, এবং তাকে গির্জা বলা চলে না। এ হল এক অপরিবর্তনীয় সত্য” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের কার্য এবং মানুষের অনুশীলন)। এটা পড়ার পর বুঝলাম যেহেতু আমার পুরানো গির্জা এবং আমি যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ে ছিলাম তারা ঈশ্বরের নতুন কাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি, তারা পবিত্র আত্মার কাজ থেকে বাদ পড়েছিল এবং ধর্মীয় স্থানে পরিণত হয়েছিল, এবং তারা আর ঈশ্বরের গির্জা ছিল না। পাদ্রীরা শুধু বাইবেলের জ্ঞান এবং মতবাদের উপর ব্যাখ্যা করত, সবসময় নিজেদের উন্নীত এবং সাক্ষ্য বহন করত, দেখাত তারা কত কষ্ট সহ্য এবং ত্যাগ স্বীকার করেছে। তারা কখনই ঈশ্বরকে মহিমান্বিত বা তাঁর সাক্ষ্য দেয়নি এবং তারা প্রভুর বাক্য অনুশীলন করতে অন্যদের নেতৃত্বে দেয়নি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পক্ষপাতের ভিত্তিতে মানুষকে গির্জার পদ দিয়েছিল, এবং বলেছিল অজানা ভাষায় কথা বলা লোকেরা পবিত্র আত্মায় পূর্ণ ছিল এবং এটা প্রমাণ করে যে তারা ঈশ্বরের দ্বারা উদ্ধার হয়েছিল। তারা এই কথাগুলো বলত তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা, ধারণা এবং কল্পনার ভিত্তিতে। এইভাবে তাদের গির্জা পরিচালনা করে, ধর্মীয় নেতারা প্রভুর শিক্ষা থেকে দূরে সরে গিয়েছিল এবং প্রভুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েছিল। তারা বলেছিল যে তারা বিশ্বাসী ছিল কিন্তু তারা প্রভুর পথ মেনে চলেনি বা তাঁর আদেশ পালন করেনি। তাদের পথ প্রভুর সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। প্রভু কীভাবে এটা অনুমোদন করতে পারতেন? ওই জায়গাগুলোকে আর গির্জা হিসেবে গণ্য করা হতনা। ওইগুলো ছিল কেবলমাত্র সম্প্রদায় বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর স্থান। সেই কারণেই আমি ওখানে আমার বিশ্বাস অনুশীলন করার সময় ঈশ্বরের পথপ্রদর্শন লাভ করতে পারিনি। আমি শুধু আধ্যাত্মিকভাবে তৃষ্ণার্ত এবং পুষ্টিহীন হয়ে পড়েছিলাম।
এর পরে, আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের আরও কয়েকটা অংশ পড়েছিলাম। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “ঈশ্বর যে ঘটনাটি ঘটাবেন তা হলো: তিনি সমগ্র মহাবিশ্বের সমস্ত মানুষকে তাঁর সামনে আসতে ও পৃথিবীতে ঈশ্বরের অর্চনা করতে বাধ্য করবেন, অন্যান্য স্থানে তাঁর কাজ থেমে যাবে, এবং মানুষ বাধ্য হবে প্রকৃত পথ খুঁজতে। বিষয়টি হবে যোষেফের মত; সবাই তাঁর কাছে এসেছিলো খাদ্যের জন্য, এবং তাঁর কাছে নতমস্তক হয়েছিল, কারণ তাঁর কাছে খাদ্যবস্তু ছিলো। দুর্ভিক্ষ এড়ানোর জন্য মানুষ বাধ্য হবে প্রকৃত পথটি খুঁজে নিতে। সমগ্র ধর্মীয় সম্প্রদায় চরম দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হবে, এবং একমাত্র বর্তমান ঈশ্বরই প্রাণবারির প্রস্রবণ, মানুষের উপভোগের জন্য বরাদ্দ সতত প্রবহমান প্রস্রবণের অধিকারী এবং মানুষ তাঁর কাছে আসবে এবং তাঁর ওপর নির্ভর করবে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সহস্রবর্ষীয় রাজত্বের যুগ উপস্থিত)। “আমি আমার মহিমা ইস্রায়েলে প্রদান করেও তা সরিয়ে নিয়েছি, ফলে সমস্ত ইসরায়েলবাসীর পাশাপাশি সমগ্র মানবজাতি প্রাচ্যে স্থানান্তরিত হয়েছে। আমি তাদের সকলকে আলোয় নিয়ে এসেছি, যাতে তারা এর সাথে পুনরায় একাত্ম হতে পারে, মিলিত হতে পারে, যাতে তাদের আর অনুসন্ধানের প্রয়োজন না থাকে। যারা আলোর সন্ধান করছে, তাদের আমি আবার আলো দেখাবো এবং ইসরায়েলে আমার কী মহিমা ছিল তাও দেখাবো। তাদের সামনে আমি প্রদর্শন করবো যে আমি বহু পূর্বেই শুভ্র মেঘে আসীন হয়ে মানবজাতির মধ্যে আবির্ভূত হয়েছি, দেখাবো অগণিত শুভ্র মেঘ এবং ফলের গুচ্ছের সমাহার, তদুপরি, তাদের দেখাবো ইসরায়েলের যিহোবা ঈশ্বরকে। তাদের দেখাবো ইহুদিদের প্রভুকে, যে মশীহের আকাঙ্ক্ষা তারা এতদিন করে আসছে, আর যাকে যুগ যুগ ধরে রাজাদের দ্বারা নির্যাতিত হতে হয়েছে, আমার সেই পরিপূর্ণ উপস্থিতিকে। আমি সমগ্র বিশ্বে আমার কার্য চালিয়ে যাবো এবং এই মহান কার্য অন্তিম সময়ে মানুষের প্রতি আমার মহিমা এবং ক্রিয়াকলাপ প্রকাশ করবে। যারা বহু বছর ধরে আমার প্রতীক্ষা করেছে, যারা শুভ্র মেঘে আসীন হয়ে আমার আবির্ভাবের আকাঙ্ক্ষা করেছে, যে ইসরায়েল আমার পুনরাবির্ভাবের জন্য অপেক্ষা করেছে, যে সমস্ত মানুষ আমাকে নির্যাতন করেছে, তাদের সকলের সামনেই আমি আমার সম্পূর্ণ মহিমময় রূপ প্রদর্শন করবো, যাতে সকলে জানতে পারে যে আমি আমার মহিমা বহুকাল আগেই প্রাচ্যে স্থানান্তরিত করেছি, তা আর যিহুদীয়াতে অবশিষ্ট নেই। কারণ অন্তিম সময় ইতিমধ্যেই চলে এসেছে!” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সপ্ত বজ্রের নিনাদ—ভবিষ্যদ্বাণী করছে যে রাজ্যের সুসমাচার মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে)। ঈশ্বরের বাক্য পড়ে এবং ভ্রাতা ও ভগিনীদের সাথে জমায়েত করে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে প্রভু যীশু অন্তিম সময়ে নতুন কাজ করার জন্য দেহধারণ করে ফিরে এসেছেন। তিনি রাজ্যের যুগ শুরু করেছেন এবং অনুগ্রহের যুগ শেষ করেছেন, এবং পরিবর্তে, পবিত্র আত্মার কাজ ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজে স্থানান্তরিত হয়েছে। ধর্মীয় জগৎ সম্পূর্ণরূপে পবিত্র আত্মার কাজ হারিয়ে ফেলেছে। ধর্মীয় স্থানে আটকে থাকা ওই মানুষগুলো অন্ধকার ও জনশূন্যতায় পতিত হয়েছে। বিধানের যুগের শেষে, প্রভু যীশুর অবতার মন্দিরের বাইরে একটা নতুন, উচ্চতর কাজ করেছিলেন, অনুগ্রহের যুগের সুচনা এবং বিধানের যুগের সমাপ্তি করেছিলেন। ঈশ্বরের কাজ সেই যুগের মুক্তির কাজে স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং তারপর মন্দিরটা জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল। যারা যিহোবা ঈশ্বরের কাজকে আঁকড়ে ধরেছিল এবং প্রভু যীশুর কাজকে গ্রহণ করেনি তারা সবাই অন্ধকারে পড়ে হারিয়ে গিয়েছিল। এটা আমাকে আমোস ৮:১১ সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করেছিল: “প্রভু যিহোবা বললেন, প্রত্যক্ষ করো, সেই দিন আসছে, যেদিন আমি পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ প্রেরণ করবো, রুটির দুর্ভিক্ষ নয়, তৃষ্ণার জলের দুর্ভিক্ষও নয়, বরং যিহোবার বাণী শোনার দুর্ভিক্ষ।” তারপর, আমি অবশেষে বুঝতে পারলাম। আমি বেশ কয়েকটা গির্জায় গিয়েছিলাম এবং অনেক বিখ্যাত যাজকের ধর্মোপদেশ শুনেছিলাম, কিন্তু আমি জীবনের কোনো রসদ খুঁজে পাইনি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য শুনে আমার ক্ষুধার্ত আত্মা পরিতৃপ্ত হয়েছিল। আমি এটা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পেরেছিলাম কারণ ঈশ্বর নতুন কাজ করছেন এবং পবিত্র আত্মার কাজ স্থানান্তরিত হয়েছে। পবিত্র আত্মা এখন শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নামে করা কাজকে সমর্থন করে। মানুষ যত ভালোভাবেই প্রভু যীশুর কাজকে অনুসরণ করুক, এটা আর ঈশ্বরের দ্বারা অনুমোদিত নয়।
আমি একটা জমায়েতে এই জ্ঞান শুনিয়েছিলাম এবং অ্যাডেলিন এই আলাপ-আলোচনা করেছিলেন: “আসলে, ধর্মীয় জগতে দুর্ভিক্ষের পিছনে ঈশ্বরের ইচ্ছা রয়েছে। ধর্মে দুর্ভিক্ষ যারা ঈশ্বরে প্রকৃত বিশ্বাস করে এবং সত্যকে ভালোবাসে তাদের বাধ্য করে, ধর্ম ত্যাগ করে পবিত্র আত্মা গির্জাকে কী বলেন তা অনুসন্ধান করতে, এবং ঈশ্বরের উপস্থিতি এবং কাজের অনুসন্ধান করতে। যারা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শোনে এবং অন্তিম সময়ে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারকার্যকে গ্রহণ করে এবং মেনে চলে তারা জ্ঞানী কুমারী, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে উন্নীত হবে। তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের বিচার, পরিচ্ছন্নতা এবং পরিপূর্ণতা ভোগ করে এবং দেখে শয়তান তাদের কীভাবে কলুষিত করে। তাদের অহংকারী এবং ধূর্ত শয়তানোচিত স্বভাব ধীরে ধীরে পরিষ্কার এবং রূপান্তরিত হয়। তারা ঈশ্বরকে আরও ভালোভাবে জানতে পারে এবং ধীরে ধীরে তাদের জীবনে উন্নতি করে। তারা ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণ এবং অনুগত থাকার সব ধরণের সাক্ষ্য দেয়। তারাই হল বিপর্যয়ের আগে ঈশ্বরের দ্বারা প্রস্তুত জয়ী, এবং তারাই প্রথম ফল। এটা প্রকাশিত বাক্যের ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ করে: ‘এরা তারা যারা নারীদের দ্বারা অপবিত্র ছিল না; কারণ তারা কুমারী। মেষশাবক যেখানে যান সেখানেই যারা তাঁকে অনুসরণ করে এরাই তারা। মানুষের মধ্যে থেকে ঈশ্বরের প্রতি ও মেষশাবকের প্রতি প্রথম ফল হিসাবে এরাই মুক্তি পেয়েছিল’ (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৪)। একবার জয়ীদের এই দলটা ঈশ্বরের দ্বারা প্রস্তুত হলে, ঈশ্বরের ঘর থেকে শুরু হওয়া ঈশ্বরের অবতারের বিচারকার্য শেষ হবে। তারপরে, তিনি বিপর্যয় বর্ষণ করবেন, ভালোকে পুরস্কৃত করবেন এবং দুষ্টদের দণ্ড দেবেন। তখন যারা ঈশ্বরের বিচারকার্যকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল, যারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নিন্দা ও তাঁকে প্রতিরোধ করেছিল তারা বিপর্যয়ের কাছে মৃত্যু বরণ করবে, কাঁদবে এবং দাঁতে দাঁত ঘষবে। শুধুমাত্র ঈশ্বরের দ্বারা যারা পরিশুদ্ধ হয়েছে, তারা ঈশ্বরের সুরক্ষা লাভ করবে এবং বেঁচে থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের রাজ্যে তাদের আনা হবে।”
ভগিনীর আলাপআলোচনার মাধ্যমে, আমি ঈশ্বরের কাজ এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা বুঝতে পেরেছিলাম। আমি অনুভব করেছিলাম ঈশ্বরের স্নেহ কতটা আসল। ঈশ্বর আমাকে পরিত্যাগ করেননি, বরং আমাকে আমার জীবদ্দশায় প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে এই সমস্ত বাক্য সরবরাহ করেছেন এবং আমাকে অনেক সত্য দিয়েছেন, আমার তৃষ্ণার্ত আত্মা পুষ্ট করেছেন আমি যতই ভাবি ততই নিজেকে ধন্য মনে হয়! আমি ঈশ্বরের এই বাক্যগুলোও পড়েছিলাম: “জীবনের গতিপথ কারও নিয়ন্ত্রণে থাকে না, বা এটি সহজে অর্জন করতে পারার মতো বিষয়ও নয়। কারণ জীবন কেবল ঈশ্বর প্রদত্ত, অর্থাৎ, শুধুমাত্র ঈশ্বর নিজেই জীবনের সারসত্যের অধিকারী এবং জীবনের গতিপথ শুধুমাত্র তাঁরই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর তাই একমাত্র ঈশ্বরই হলেন প্রাণের উৎস এবং প্রাণ সঞ্চারী জলের অনন্ত প্রবাহী ধারা” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, শুধুমাত্র অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট মানুষকে অনন্ত জীবনের পথ দেখাতে পারেন)। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সমস্ত কিছুর জীবনের উৎস—তাঁর কথাই সত্য, পথ ও জীবন। তারা আমাদের অবিরাম সিঞ্চন এবং পুষ্ট করে। এবং এখন, আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যের সিঞ্চন এবং পরিচালনা অর্জন করেছি এবং আমি সিংহাসনের জীবনের সজীব জল উপভোগ করি। আমি সত্যিই মেষশাবকের বিবাহের ভোজে যোগদান করছি। আমাকে উদ্ধার করার জন্য আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ!
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।