একটি ঘরোয়া যুদ্ধের নেপথ্যে

31-03-2023

২০১০ সালের প্রথম দিকে, আমার স্ত্রী টিভিতে কিছু গুজব এবং নেতিবাচক প্রচার দেখেছিল যা কমিউনিস্ট পার্টির দ্বারা ছড়ান হয়েছিল সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা সম্পর্কে। ও ভীত ছিল যে আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং আমাকে চাপ দিতে শুরু করে। একদিন সে আমাকে খুব রেগে বলল, “দেখো টিভিতে ওরা কী বলছে। কঠোর ব্যবস্থা ও অপসারণের জন্য পূর্বের বজ্রালোক হল একটা প্রধান জাতীয় লক্ষ্য। সারাদেশে বিশ্বাসীদের গ্রেপ্তার করে সাজা দেওয়া হচ্ছে, এবং পুলিশ সাধারণ মানুষকে নিযুক্ত করছে তাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করার এবং ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিশ্বাস ত্যাগ করো! তুমি যদি গ্রেপ্তার হও তাহলে পরিবারের বাকি সদস্যরাও তাতে জড়িয়ে পড়বে।” আমি তাকে বললাম, “কমিউনিস্ট পার্টি চীনে শাসন করে, এবং তারা সবকিছুর চেয়ে বেশি ঈশ্বরকে ঘৃণা করে, তাই তারা বিশেষ করে বিশ্বাসীদের অত্যাচার করে। বিশ্বাসের পথ হল নিপীড়িত হওয়ার পথ। ত্রাণকর্তা হিসেবে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মানবজাতিকে বাঁচাতে এসেছেন। এখন যেহেতু আমি প্রভুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে পেরেছি, আমি অত্যাচারের ভয়ে আমার বিশ্বাস ত্যাগ করতে পারি না।” আমি তার পরামর্শ গ্রহণ করব না দেখে, সে আমাকে আটকানোর জন্য খুব চেষ্টা করেছিল, সমাবেশে যেতে বা আমার দায়িত্ব পালন করতে দিতে চায়নি।

একবার যখন আমি বাইরে যাচ্ছিলাম, সে ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল যাতে আমি যেতে না পারি। আমি কোনওমতে নিজেকে ছাড়িয়ে গলিতে পা রাখলাম, সে তখন চেঁচিয়ে বলেছিল, “তোমার সমাবেশে যাওয়া নিষিদ্ধ!” প্রতিবেশীরা লক্ষ করবে এবং আমাকে ধরিয়ে দেবে এই ভয়ে, আমি দ্রুত ভিতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম। সে হুমকি দিয়ে বলল, “তুমি যদি কোনও সমাবেশে যাওয়ার সাহস কর, আমি জননিরাপত্তা দফতরে তোমার নামে নালিশ করব! আমি জানি তোমার দলের বাকি সবাই কারা। আমি তোমাদের সবার নামে নালিশ করব এবং পুলিশ সবাইকে গ্রেপ্তার করবে, তারপর দেখব তুমি বিশ্বাস বজায় রাখ কিনা!” তার কথাটা শুনে আমি ক্ষেপে গেলাম। আমি তাকে সতর্ক করে বললাম সেটা ঈশ্বরকে ক্ষুদ্ধ করবে এবং সে দণ্ডিত হবে। সে কিছুতেই শুনল না, উল্টে, দিনের পর দিন শুধু ঝগড়া করে গেল আমার সঙ্গে যাতে আমি আমার বিশ্বাস ত্যাগ করি। এটা সত্যিই আমাকে পাগল করে দিয়েছিল। সে আমাকে বাড়িতে ঈশ্বরের বাণী পড়তে দিত না এবং আমি যা করছি তার উপর নজর রাখত।

আমি কিছু দিনের জন্য সমাবেশে যেতে পারিনি, এবং এটা দুঃখজনক এবং যন্ত্রণাদায়ক ছিল। সেই দিনের জন্য আকুল হয়ে ছিলাম যেদিন আমার বউ আমার উপর অত্যাচার বন্ধ করবে যাতে আমি সমাবেশে যোগ দিতে পারি এবং স্বাভাবিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলাম, তাঁকে অনুরোধ করছিলাম যেন তিনি এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটি পথ খুলে দেন। পরে ঈশ্বরের বাণীর একটি স্তোত্র মনে পড়ল।

অবতার ঈশ্বর সমস্ত ধরনের উপহাস, কটু কথা, বিচার ও নিন্দা সহ্য করেন। শয়তান তাঁর পশ্চাদ্ধাবন করে, ধর্মীয় বৃত্তেও তিনি প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধের শিকার হন। তাঁর হৃদয়ে এই ক্ষতে কেউ প্রলেপ দিতে পারে না! তিনি অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে ভ্রষ্ট মানবজাতিকে উদ্ধার করেন; ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের মানুষকে তিনি ভালোবাসেন। এই কাজটিই সবচেয়ে বেদনাদায়ক। মানবজাতির ভয়ঙ্কর প্রতিরোধ, নিন্দা এবং অপবাদ, মিথ্যা অভিযোগ, অত্যাচার এবং তাদের শিকার ও হত্যা, দেহরূপী ঈশ্বরকে এই কার্য সম্পাদন করার সময় অত্যন্ত বিপদের সম্মুখীন করে। তিনি এহেন কষ্ট ভোগ করা সত্ত্বেও কে-ই বা তাঁকে উপলব্ধি করতে পারে, কে-ই বা সান্ত্বনা দিতে পারে?

প্রভু যীশু পৃথিবীতে কাজ করেছিলেন এবং সাড়ে তেত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন। তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ, পুনরুত্থান এবং চল্লিশ দিনের জন্য মানবজাতির কাছে আবির্ভূত হওয়ার পরেই কেবল তিনি স্বস্তি পেয়েছিলেন, যা তাঁর মানবজাতির সাথে বসবাসের বেদনাদায়ক সময়কালের অবসান ঘটায়। তবে, মানবজাতির গন্তব্যের বিষয়ে উদ্বিগ্নতার কারণে, ঈশ্বরের হৃদয় সর্বদা এই একই যন্ত্রণা ভোগ করেছে। এই যন্ত্রণা কেউই উপলব্ধি করতে পারে না, কেউ বহনও করতে পারে না। সূচনাকাল থেকে, দেহরূপী অবতারের সমস্ত কাজে কেবল ভালোবাসাই প্রকাশিত হয়েছে, ভালোবাসাই হল তাঁর কাজের উপাদান; তিনি তাঁর সমস্ত কিছু, তাঁর সব কিছুই মানবজাতির উদ্দেশ্যে প্রদান করেছেন।

—মেষশাবককে অনুসরণ করুন ও নতুন গীত গান, ঈশ্বর ভালোবাসেন ক্ষত-বহনকারী মানুষকে

আমি সত্যিই অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম যখন আমি এই স্তোত্রটি নিয়ে ভাবছিলাম, এবং আমি মানুষের প্রতি ঈশ্বরের ভালবাসা অনুভব করতে পারছিলাম। ঈশ্বর আমাদের উদ্ধার করার জন্য দুই অবতারেরূপেই প্রচুর যন্ত্রণা ও অপমান সহ্য করেছেন! রাজা হেরোদ প্রভু যীশুর জন্মের মুহূর্ত থেকেই তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল, এবং তিনি কাজ শুরু করার পরে ফরীশীদের তাঁকে উপহাস, অপবাদ এবং নিন্দা করা করেছিল। অন্তিম সময়ে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অনুগ্রহের যুগের চেয়ে হাজার গুণ বেশি ঝুঁকি নিচ্ছেন, কাজ করার ও মানবজাতিকে উদ্ধার করার লক্ষ্যে অতিকায় লাল ড্রাগনের ডেরায় দেহধারণ করে। তিনি পার্টির তাড়া করা এবং নিন্দা, ধর্মীয় বিশ্বের প্রত্যাখ্যান এবং অপবাদের মুখোমুখি হন। ঈশ্বর আমাদের উদ্ধার করার জন্য নীরবে সব ধরনের দুর্দশা সহ্য করেন। এখন যেহেতু আমি ঈশ্বরকে অনুসরণ করছি, পরিত্রাণ অনুসন্ধান করছি, সেই কষ্ট সহ্য করার মূল্য আর এমন কীই বা হতে পারে? আমি সবসময় বলেছিলাম আমি ঈশ্বরকে ভালবাসতে চাই, এবং আমি তাঁকে শেষ অবধি কষ্ট ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে অনুসরণ করব, কিন্তু যখন আমি একটি বাস্তব পরিস্থিতিতে পড়লাম তখন আমার বিশ্বাসের অভাব ছিল। আমার সাক্ষ্য কোথায় ছিল? আগে শুধু আক্ষরিক অর্থে মতবাদ বুঝতে পেরেছিলাম এটা দেখে, আমি সত্যিই লজ্জিত বোধ করলাম। আমি নীরবে প্রতিজ্ঞা করলাম যে যতই নিপীড়ন বা বাধার সম্মুখীন হই না কেন, আমি শেষ অবধি ঈশ্বরকে অনুসরণ করব। পরের দিনগুলিতে, আমার স্ত্রী আমাকে বাধা দিতে থাকে, লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত হাল ছেড়ে না দেওয়ায় স্থিরপ্রতিজ্ঞ হয়ে। কিন্তু ঈশ্বরের বাণীর মার্গদর্শনের সুবাদে, আমি আর সীমাবদ্ধ বোধ করিনি।

কিছুদিন পর একদিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরে, আমি বুঝতে পারলাম যে আমার স্ত্রী ঈশ্বরের বাণীর একটা বই এবং স্তোত্রের কিছু সিডি যেগুলো আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম, তা খুঁজে পেয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। রেগে গিয়ে তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি আমার বই আর সিডি নষ্ট করলে কেন? তুমি ঈশ্বরকে ঘৃণা এবং তাঁর বিরোধিতা কর, এমনকি ভ্রাতা ও ভগিনীদের গ্রেপ্তারও করাতে চাও। তুমি দণ্ডিত হবে।” সে ক্রুরভাবে বলল, “আমি দণ্ডিত হলেও তোমাকে আমি বিশ্বাস করতে দেব না!” সে ঝগড়া চালিয়ে যেতে লাগল, কিন্তু আমি শুনব না দেখে বিরক্ত হয়ে বলল, “তুমি যদি বিশ্বাস বজায় রাখ তাহলে আমি বিবাহবিচ্ছেদ চাই!”

সে বিবাহবিচ্ছেদ চায় শুনে আমি মর্মাহত হয়েছিলাম। এতদিনকার বিবাহিত জীবনে, সে সবসময় আমার খুব যত্ন নিত, এবং এতগুলো বছর ধরে আমাদের খুব কমই ঝগড়া হয়েছে। অন্যরা সবাই আমাদের খুব প্রশংসা করত। আমি একটু দ্বিধাগ্রস্ত অনুভব করলাম বিবাহবিচ্ছেদের বাস্তবিক সম্ভাবনায়। তখন আমার মনে পড়ল ঈশ্বরের বাণী: “বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী সঙ্গতিপূর্ণ নয়; বরং তারা একে অপরের বিরোধী(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বর এবং মানুষ একসাথে বিশ্রামে প্রবেশ করবে)। “যে ঈশ্বরকে চিনতে পারে না সেই হল শত্রু; অর্থাৎ, যে ঈশ্বরের অবতারকে চিনতে পারে না—তা সে এই স্রোতের ভিতরেই থাকুক অথবা বাইরে—সে খ্রীষ্টবিরোধী! ঈশ্বরে অবিশ্বাস করা সেই ঈশ্বর-প্রতিরোধকারীগণ ব্যতীত আর কে-ই বা শয়তান, আর কারা-ই বা দানব, আর কারা-ই বা ঈশ্বরের শত্রু?(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বর এবং মানুষ একসাথে বিশ্রামে প্রবেশ করবে)। এটা সত্যি। বিশ্বাসীরা এবং অবিশ্বাসীরা হল দুটি ভিন্ন পথের দুটি ভিন্ন ধরণের মানুষ। আমার বিশ্বাস সত্যের অনুসরণে ঈশ্বরে আত্মসমর্পণ, সৃষ্ট সত্তার দায়িত্ব পালন করা। কমিউনিস্ট পার্টি বিশ্বাসীদের গ্রেপ্তার ও অত্যাচার করছে দেখে, আমার স্ত্রী তাতে গা ভাসিয়ে দিয়ে আমাকে নিপীড়ন করে। এমনকি সে আমার ঈশ্বরের বাণীর বইটা নষ্ট করেছে এবং বিশ্বাসীদের গ্রেপ্তার করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে। তার সারসত্তা ছিল ঈশ্বরকে ঘৃণা করার। যদিও আমরা স্বামী-স্ত্রী ছিলাম, আমরা ভিন্ন পথের ভিন্ন ধরণের মানুষ ছিলাম। সে কমিউনিস্ট পার্টিকে অনুসরণ করতে এবং ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিল—সে ছিল শয়তানের দলে। যেহেতু সে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিল, আমি তার পছন্দকে সম্মান করলে আর তারপর ভবিষ্যতে আর কেউ আমাকে সমাবেশে যোগ দিতে এবং আমার দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত করবে না। আমি তাই দৃঢ়ভাবে বললাম, “তুমি এবং আমি এক পথে নেই। এসো আমরা যে যার নিজ নিজ পথে যাই। আমরা বিবাহবিচ্ছেদ করা উচিত।” আমি এ কথা বলার পর সে আর বিবাহবিচ্ছেদ চাইল না।

আমি ভেবেছিলাম ব্যাপারটার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, কিন্তু সে এবার আমাদের ছেলে ও পুত্রবধূকে জোর করে তার দলে টানল। আমার পুত্রবধূ বলল, “বাবা, নাতির প্রতি কি আপনার কোনও ভালবাসা নেই? লোকে প্রায়শই বলে যে মা-বাবার চেয়ে দাদু-দিদাই সন্তানদের বেশি কাছের মানুষ, এবং আপনিও তাই।” আমি তার সঙ্গে একমত হয়ে বললাম যে এ কথা সত্যি। আমাকে খুশি করা গেছে দেখে সে বলে চলল, “বাবা, আপনি তাকে খুব ভালোবাসেন, আসুন, তাহলে এই বিষয়ে কথা বলা যাক। আমার কাকা জননিরাপত্তা দফতরের একজন অধিকর্তা। তিনি বলেছিলেন, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাসীরা রাজনৈতিক অপরাধী এবং গ্রেপ্তার হলে তাদের সাজা দেওয়া হয়। তাদের সন্তান এবং পরবর্তী প্রজন্মদের জড়ান হয়, তারা সরকারি চাকরি করতে বা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। বাবা, আপনি আপনার বিশ্বাস ছেড়ে দিন। আপনি গ্রেপ্তার হলে আমাদের কর্মজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনাকে তো আমাদের কথা ভাবতে হবে, তাই না? আপনি যদি আমাদের কথা নাও ভাবেন, আপনার নাতির কথা তো আপনাকে ভাবতে হবে। যদি সে মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারে অথবা আপনার বিশ্বাসের কারণে কোনও ভাল চাকরি যদি খুঁজে না পায়, তাহলে সমস্ত দোষ গিয়ে পড়বে আপনার উপর।” তার এ কথা শুনে আমি খুবই বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলাম। তখন আমার ছেলে আমার মুখের দিকে চেয়ে গম্ভীর দৃষ্টিতে বলল, “বাবা, তোমার পা তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে। তুমি যদি তোমার হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেল কী হবে? তুমি যদি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাস করা বন্ধ কর, আমরা তাহলে তোমার যত্ন নেব। কিন্তু তুমি যদি তোমার বিশ্বাস বজায় রাখ, তাহলে তোমার যখন বয়স হবে, তখন হাঁটতে গেলে তোমার পায়ে যন্ত্রণা হলে, আমরা তোমার যত্ন করব না।” তার কাছ থেকে এটা শুনে আমি গভীরভাবে হতাশ হলাম। আমি কখনও কল্পনাও করিনি যে সে আমার বিশ্বাসের কারণে এত নির্মম কিছু বলবে। আমি মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে তাকে বড়ো করেছিলাম, কিন্তু সে বৃদ্ধ বয়সে আমার যত্ন নেওয়াকে হুমকি হিসেবে ব্যবহার করেছিল। কীসের জন্য তবে এসব করেছিলাম! আমার পায়ে বাত এবং অত্যধিক হাড়ের বৃদ্ধি ছিল। রোগটা যখন খুব ভোগাচ্ছিল, তখন আমার পা দু সপ্তাহ ধরে সোজা করে রাখতে হয়েছিল, একটুও মুড়তে পারিনি। এবং পায়ে এত ব্যাথা ছিল যে কিছুই করতে পারিনি। তাছাড়া আমি জানতাম যে আমার বয়স কমবে না, তাই আমার বয়স যত বাড়বে, আমার ব্যথাও তত বাড়বে। আমার কাছে পেনশন বা বেঁচে থাকার জন্য অন্য কিছু ছিল না। আমার ছেলে আমার যত্ন না নিলে, আমার চলবে কী করে? আমি আরও বেশি বিমর্ষ হয়ে গেলাম। সেই সময়ে আমি হঠাৎ বুঝতে পারলাম যে এটা শয়তানের একটা কৌশল। সে ব্যবহার করছিল আমার স্নেহ এবং আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ এবং তার সঙ্গে ভবিষ্যতে আমার চলবে কি করে, সেই প্রশ্ন দিয়ে আমাকে পরীক্ষা, ও প্রলুব্ধ করছে ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য। আমি তখনই ঈশ্বরকে ডাকলাম, “ঈশ্বর! অনুগ্রহ করে আমার হৃদয়ের উপর নজর দাও এবং শয়তানের পরীক্ষায় জয়ী হওয়ার জন্য আমাকে নির্দেশ দাও।” আমি ঈশ্বরের এই বাণীগুলোর কথা ভাবলাম: “মানুষের নিয়তি ঈশ্বরের হাতেই নিয়ন্ত্রিত হয়। তুমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার অযোগ্য: মানুষ নিজের জন্যেই নিজেকে নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত থাকলেও, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষমই থেকে যায়। তুমি যদি নিজের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা জানতে পারতে, যদি তুমি তোমার নিজের ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতে, তাহলে কি তুমি এখনও সৃষ্ট সত্তা হয়েই থাকতে?(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, মানুষের স্বাভাবিক জীবন পুনরুদ্ধার করা এবং তাকে এক বিস্ময়কর গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া)। হ্যাঁ ঠিক। ঈশ্বর সবকিছু শাসন করেন এবং আমাদের ভাগ্য সম্পূর্ণরূপে তাঁর হাতে। আমার নাতি ভবিষ্যতে কেমন করবে এবং কী ধরনের কাজ করবে, আমার ছেলের কর্মজীবন কেমন যাবে এবং বিশ্বাসের ফলে তার কর্মজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, এই সবই ঈশ্বরের দ্বারা নির্ধারিত। তাছাড়া, ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ শেষ হতে চলেছে, এবং মহা বিপর্যয়গুলোর বর্ষণ শুরু হতে চলেছে। তারা যদি ঈশ্বরকে অনুসরণ ও উপাসনা না করে, এমনকি তারা যদি মহাবিদ্যালয়ে যায় বা এবং ভাল চাকরিও পায়, তবুও তারা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে এবং ঈশ্বরের কাজ শেষ হলে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাহলে তাদের ভাল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকবে? সাদা চোখে দেখলে, আমার ছেলে ও তার বউ আমাকে ব্যাহত ও নিপীড়ন করার জন্য এই কথাগুলো বলছিল, কিন্তু এটা আসলে শয়তানের পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা ছিল। শয়তান জানত আমি আমার নাতিকে কতটা ভালবাসি এবং বহু বছর ধরে আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল আমার পায়ের অবস্থা খারাপ হচ্ছে আর আমার যত্ন নেওয়ার কেউ নেই। শয়তান এগুলোর মাধ্যমে আমাকে ভয় দেখাতে চাইছিল যাতে আমি ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করি। শয়তান এত দুরাত্মা! ভবিষ্যতে আমি হাঁটতে পারব কিনা তা ঈশ্বরের হাতে, এবং আমার উচিত ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব ও ব্যবস্থাপনায় নিজেকে সঁপে দেওয়া। এই ভেবে আমি দৃঢ়ভাবে বললাম, “তোমরা তোমাদের জীবন যাপন করো। আমি হাঁটতে পারব কি না, বা আমি বাঁচব নাকি মরব তা নিয়ে আর চিন্তা কোরো না। আমি গ্রেপ্তার হলে তোমরা জড়িত হবে ভেবে যদি ভয় পাও, তাহলে আমরা এখনই আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রতি আমার বিশ্বাসে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ!” আমার স্পষ্ট কথা শুনে, তারা চোখ চাওয়াচাওয়ি করে অসহায়ের মত মাথা নাড়ল, এবং আর কিছু বলল না। শয়তানের পরীক্ষা এবং আক্রমণকে কাটিয়ে ওঠায় সাহায্য করার জন্য আমি হৃদয় থেকে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালাম।

এরপর কয়েক মাস আমার ছেলে ও পুত্রবধূ আমাকে দেখতে আসেনি, এবং ফোনও করেনি। আমার স্ত্রী সবসময় আমার সাথে তর্ক করত, আমাকে ঈশ্বরে বিশ্বাস করা বন্ধ করতে বলত। কয়েক দিন পরে, আমি চিন্তিত হতে শুরু করি। আমার ছেলে কি সত্যিই আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেল? যদি কোনওদিন আমার স্ত্রী এবং আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং আমি যদি হাঁটতে বা নিজের যত্ন না করতে পারি, এবং আমার ছেলে আমার যত্ন নিচ্ছিল না, তখন আমি কী করব? ভবিষ্যতে এই যন্ত্রণা এবং কষ্টের মুখোমুখি হওয়ার চিন্তা আমাকে একরকম অসহায় করে দিয়েছিল। আমি জানতাম আমি আবার শয়তানের কৌশলে পড়েছিলাম এবং, আমি তাই দ্রুত ঈশ্বরকে ডেকেছিলাম, আমার সাক্ষ্যে দৃঢ় থাকার শক্তি চেয়েছিলাম। এর পরে, ঈশ্বরের বাণীর একটি স্তোত্র মনে এল।

তুমি হলে এক সৃষ্ট সত্তা—তোমার অবশ্যই ঈশ্বরের উপাসনাএবং একটি অর্থপূর্ণ জীবনের অন্বেষণ করা উচিত। যেহেতু তুমি একজন মানুষ, তাই তোমার উচিত ঈশ্বরের জন্য নিজেকে ব্যয় করা এবং সমস্ত দুঃখকষ্ট সহ্য করা! আজ তুমি যে সামান্য কষ্টের শিকার হয়েছ তা তোমার সানন্দে এবং নিশ্চিতভাবে গ্রহণ করা এবং ইয়োব ও পিতরের মতো একটি অর্থপূর্ণ জীবনযাপন করা উচিত। তোমরা হলে এমন মানুষ যারা সঠিক পথ অনুসরণ করে, যারা উন্নতি করতে চায়। তোমরা হলে এমন মানুষ যারা অতিকায় লাল ড্রাগনের দেশে উত্থিত হয়েছ, যাদেরকে ঈশ্বর ধার্মিক হিসাবে অভিহিত করেন। এ-ই কি সর্বাধিক অর্থবহ জীবন নয়?

—মেষশাবককে অনুসরণ করুন ও নতুন গীত গান, সবচেয়ে অর্থপূর্ণ জীবন

ঈশ্বরের কথা চিন্তা করায় মনে জোর পেয়েছিলাম। ঈশ্বরে বিশ্বাস করা এবং সৃষ্ট সত্তার দায়িত্ব পালনের চেয়ে ন্যায়পরায়ণ আর কিছু নেই। এটাই জীবনের সঠিক পথ, এবং সত্য লাভের জন্য এবং ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার জন্য যেকোনও প্রকার কষ্টের মূল্য আছে এবং তা ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করে। সেসব মনে পড়লে মনে হয়, আমি কিছুটা নিপীড়িত হলেও, আমি এর থেকে বেশ কিছু জিনিস অর্জন করেছিলাম। আগে, আমি ভাবতাম ঈশ্বরে আমার বিশ্বাস আছে। আমি কমিউনিস্ট পার্টির নিপীড়নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পিছিয়ে যাইনি, এবং আমার স্ত্রী এবং সন্তানের অবরোধ ঈশ্বরকে অনুসরণ করার আমার ইচ্ছে টলাতে পারেনি। আমি ভেবেছিলাম আমি ঈশ্বরের ভক্ত। কিন্তু যখন সত্যিই কিছু ঘটল, আমার ছেলে যখন মাসের পর মাস আমাকে এড়িয়ে গেল, আমি ভীত ছিলাম আমার যত্ন নেওয়ার জন্য কেউ থাকবে না এবং আমি অসুস্থ হলে নিজের যত্ন নিতে পারবনা। আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছিলাম—ঈশ্বরে আমার কোনও বিশ্বাস ছিল না। আমি এর মধ্য দিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত নিজের প্রকৃত মর্যাদা দেখতে পাইনি, এবং তারপর আমি কিছু আত্মজ্ঞান অর্জন করেছি। আমি শয়তানের কৌশল সম্পর্কেও কিছুটা বোধ অর্জন করেছি এবং আমার ঈশ্বর-বিরোধী ও অবিশ্বাসী পরিবারের সারসত্তা দেখতে পেরেছি। এটা ঈশ্বরের পরিত্রাণ ছিল। আমাকে ইয়োবের মত হতে হত, ঈশ্বরকে অনুসরণ করতে, শয়তান আমাকে যতই আক্রমণ করুক বা আমার পরিবার আমাকে যতই নিপীড়িত করুক আমি এই প্রতিজ্ঞা করার পরে, আমার প্রতি আমার ছেলে এবং পুত্রবধূর মনোভাব কিছুটা বদলেছে। কখনও কখনও যখন আমার পুত্রবধূর কাকা বলতেন যে পার্টি বিশ্বাসীদের গ্রেপ্তার করার আরও পরিকল্পনা করছে, অভিযান চালানোর জন্য, সে তখন কথাটা আমাকে বলত যাতে আমি আমার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে সাবধান হই। সে আমাকে ছেড়ে দেয়নি।

কিন্তু যা সত্যিই আমাকে অবাক করেছিল তা হল একদিন, আমার স্ত্রী হঠাৎ একটা জানালা খুলে, ফ্রেমটা ধরে, একটা পা জানালার উপর রেখে আমাকে চিৎকার করে বলল, “আমি তোমাকে তোমার বিশ্বাস ছেড়ে দিতে বলেছিলাম, কিন্তু তুমি শুনবে না। তোমাকে গ্রেপ্তার করলে আমাদের পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি তোমাকে শেষবারের মতো জিজ্ঞেস করছি—তুমি তোমার বিশ্বাস রাখছ কি না? যদি রাখ, আমি ঝাঁপ দেব!” তারপর সে জানালার উপর উঠে দাঁড়াল, লাফ দিতে গেল আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আমাদের আবাস ছিল সপ্তম তলায়। সে ঝাঁপিয়ে পড়লে তার নিশ্চয়ই মৃত্যু হত। আমি তাকে টেনে নামানোর জন্য ছুটে গেলাম, এবং সে আমার দিকে আঙুল তুলে চিৎকার করে বলল, “পিছিয়ে যাও! যদি আর একটু এগোও, আমি এক্ষুনি ঝাঁপ দেব!” তার পা দুটি জানালার ধারে ছিল দেখে আমি আর কাছে যেতে সাহস পেলাম না, আমি হৃদয় দিয়ে ক্রমাগত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে চললাম যাতে তিনি আমাকে পথ দেখান। তারপর আমি বুঝলাম ঝাঁপ দেওয়াটাকে হুমকি হিসেবে ব্যবহার করে আমার স্ত্রী চাইছিল আমি ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করি, কিন্তু আমি আর শয়তানের ফাঁদে পড়িনি। আমি আর বিপন্ন বোধ করলাম না এবং শান্তভাবে বললাম, “তুমি যদি মরতে চাও, তাহলে কেউ তোমাকে আটকাতে পারবে না। কিন্তু আত্মহত্যাটাকে হুমকি হিসেবে ব্যবহার কোরো না—তাতে কাজে হবেনা। তুমি যদি জানালা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করতে চাও, তাহলে সেটা তোমার ইচ্ছে। আমি আমার বিশ্বাসে দৃঢ় এবং কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না!” যখন সে দেখল তার হুমকি কাজ করছে না, তখন সে তার পা সরিয়ে নিয়ে বলল, “আমি অত বোকা নই। আমি মরলে খুব সুবিধে হয়ে যাবে তোমার—কেউ তাহলে তোমার এবং ঈশ্বরের মাঝে দাঁড়াতে পারবে না।” আমি দেখলাম ঈশ্বরের প্রতি তার ঘৃণা কত চরম, সে তার নিজের মৃত্যুকে ব্যবহার করে আমাকে ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে বাধ্য করছিল। সে ছিল দানবের প্রতিরূপ। একই সাথে আমি কমিউনিস্ট পার্টিকে আরও ঘৃণা করতাম। সেটা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য টিভি মাধ্যম ব্যবহার করে সব ধরনের গুজব ও মিথ্যা প্রচার করছিল, খ্রীষ্টানদের উন্মত্তভাবে গ্রেপ্তার করছিল, একজন বিশ্বাসী গ্রেপ্তার হলে পুরো পরিবারকে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছিল, যাতে অবিশ্বাসী পরিবারের সদস্যরা ঈশ্বরের বিরোধিতা করে এবং বিশ্বাসীকেও নিপীড়ন করে। কমিউনিস্ট পার্টি হল সম্পূর্ণভাবে মন্দ। এটি একটি ঈশ্বর-বিরোধী দানব, একটি মন্দ আত্মা! আমি আমার হৃদয় থেকে একে অভিশাপ দিয়েছিলাম ও প্রত্যাখ্যান করেছিলাম এবং ঈশ্বরকে অনুসরণ করার জন্য আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছিলাম।

আমি ভেবেছিলাম সে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা বন্ধ করবে, কিন্তু শীঘ্রই, একদিন সকালে প্রাতরাশের পর, সে আমার অগোচরে লাফিয়ে উঠে, লম্বা একটা ফল কাটার ছুরি তুলে আমার গলার দিকে তাক করল, এবং নিষ্ঠুরভাবে বলল, “তুমি বিশ্বাস বজায় রাখলে আমি তোমার গলা কেটে দেব!” তার মুখে একটা খুনে ভাব আর চোখে একটা প্রচণ্ড তেজ ছিল। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোনও দানব তাকে ভর করেছে। আমি তখন একইসঙ্গে ভয় পেয়েছিলাম এবং রেগে গিয়েছিলাম। ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য আমার স্ত্রী যেকোনও মন্দ কৌশল অবলম্বন করবে। আমি স্ত্রীকে দৃঢ়ভাবে বললাম, “আজ যদি তুমি আমার গলা কেটে দাও, তবুও আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাস বজায় রাখব। আমি তাঁকে ছেড়ে যাব না।” আমাকে এতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেখে সে হতবাক হয়ে গেল। সে হাতে ছুরিটা নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল, একটুও নড়ল না, যেন সে নিথর হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর ছুরিটা টেবিলে রেখে বলল, “আমি আর তোমাকে নিয়ে ভাবব না। তুমি যা খুশি তাতেই বিশ্বাস কর।” সে আমায় বাধা দিতে ব্যর্থ হল দেখে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও প্রশংসা জানালাম। আমার স্ত্রী এবং আমি এর পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম এবং যে যার নিজের পথে চলে গেলাম। সে আমার বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।

এই সবের মধ্যে আমি সত্যিই দেখেছি যে আমার স্ত্রীর আমাকে উন্মত্তভাবে মত নিপীড়ন করা এবং আমার বিশ্বাস বন্ধ করার চেষ্টা করা, এমনকি আত্মহত্যা ও আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া, এবং আমার ছেলে এবং তার স্ত্রী আমাকে ত্যাগ করতে চাওয়া সবই কমিউনিস্ট পার্টির অত্যাচারের ফলে হয়েছিল। গুজব এবং মিথ্যাচার ছাড়া, উন্মত্ত গ্রেপ্তার এবং অত্যাচার ছাড়া, একজন বিশ্বাসীর পুরো পরিবারকে জড়িত করা, আমার পরিবার আমার বিশ্বাসকে এভাবে নিপীড়ন করত না এবং আমার পরিবারে কখনও ভাঙন ধরত না। কমিউনিস্ট পার্টি যে কত মন্দ ও ঈশ্বরবিরোধী একটা দানব যে মানুষকে ধ্বংস করে, তা দেখে আমি সেটাকে অন্তর থেকে ঘৃণা করি! এছাড়াও, আমি আমার স্ত্রীর ঈশ্বরের সাথে বিরোধিতা এবং শত্রুতার দানবিক সারমর্ম দেখলাম। আমি আর তার দ্বারা নিপীড়িত বোধ করিনি। ভবিষ্যতে আমি যে ধরনেরই নিপীড়ন বা কষ্টের সম্মুখীন হই না কেন, আমি শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরকে অনুসরণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ!

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

সত্য পথ গ্রহণে এত বাধা কেন?

২০০৮ সাল থেকে, আমি আর আমার মা প্রভুর উপর বিশ্বাস রাখতে শুরু করি, তারপর, স্থানীয় একটা গির্জায় সমাবেশে যোগ দিতে লাগলাম। পরে, গির্জার ডীকনও...

উদাসীন হওয়ার ফলে যে ক্ষতি হয়

২০২১ সালের অক্টোবরে, আমি নবাগতদের সিঞ্চনের অনুশীলন শুরু করি। এক সপ্তাহের মধ্যেই আমি বুঝতে পারলাম যে আমাকে অনেক কিছু শিখতে হবে। আমাকে...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন