মথি ২৪:২৭: পূর্বের বজ্রালোকের রহস্য অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, পূর্বের বজ্রালোক খোলাখুলিভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে অন্তিম দিনগুলিতে প্রভু যীশু সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অবতার রূপে ফিরে এসেছেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর লক্ষ লক্ষ বাক্য প্রকাশ করেছেন এবং ঈশ্বরের ঘর থেকে শুরু করে বিচারের কাজ সম্পাদন করছেন। পূর্বের বজ্রালোকের উপস্থিতি সমগ্র ধর্মীয় বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে এবং যারা ঈশ্বরের আবির্ভাব প্রত্যাশা করেছিল তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের উচ্চারণ শুনেছে এবং সেগুলিকে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা নিশ্চিত হয়েছে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর রূপে প্রভু যীশুই ফিরে এসেছেন এবং একের পর এক মানুষ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সামনে এসেছেন। পূর্বের বজ্রালোকের আবির্ভাব বাইবেলের এই স্তবকটিকে পূর্ণ করেছে: “কারণ বিদ্যুৎঝলক যেমন পূর্বদিক থেকে উদয় হয়, এবং এমনকি পশ্চিম পর্যন্ত আলোকিত করে, মনুষ্যপুত্রের আগমনেও তেমনই হবে” (মথি ২৪:২৭)। “বিদ্যুৎঝলক” হল সত্য, ঈশ্বরের বাক্য; “পূর্বদিক থেকে উদয় হয়”-এর অর্থ হল যে তা চীন থেকে প্রকাশিত হয়েছে, এবং “এমনকি পশ্চিম পর্যন্ত আলোকিত করে” এর অর্থ হল এটি পশ্চিম দিকেও পৌঁছে গেছে; “মনুষ্যপুত্রের আগমন” বলতে বোঝায় ঈশ্বরের অবতারের আবির্ভূত হওয়া এবং পূর্ব দিকে—চীনে—তাঁর কাজ করা, এবং অবশেষে পশ্চিমে তাঁর কাজকে প্রসারিত করা। এই বাক্যগুলি এখন সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে, যে সব ভাই ও বোনরা চীনা সরকারের মিথ্যা প্রচার এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার যাজক ও প্রবীণদের নিন্দা বিশ্বাস করে তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের শেষ দিনগুলির কাজ অনুসন্ধানের সাহস করে না। তারা ভাবছে, পূর্ব দিকে বিদ্যুৎরেখা যদি সত্যকারের পথ এবং ঈশ্বরের আবির্ভাব ও কাজ হয়, তাহলে চীনা সরকার এবং গির্জার যাজক ও প্রবীণরা কেন এর নিন্দা করবে? পূর্ব দিকে বিদ্যুৎরেখা কি সত্যই প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশুর আবির্ভাব এবং কাজ? আমরা নিম্নলিখিত আলাপ-আলোচনায় এই বিষয়ে আলোকপাত করব।
সত্যের পথ প্রাচীনকাল থেকে নিপীড়নের শিকার হয়েছে
প্রভু যীশু একবার বলেছিলেন, “এ যুগের লোকেরা মন্দ” (লুক ১১:২৯)। “জ্যোতির্ময়ের হয়েছে আবির্ভাব কিন্তু মানুষের কাছে জ্যোতি অপেক্ষা তমসাই হয়েছে প্রিয়তর। কারণ তাদের কর্ম মন্দ। যারা মন্দ কাজ করে জ্যোতি বিদ্বেষী তারা, জ্যোতির সান্নিধ্যে তারা আসে না। তাহলে উদ্ঘাটিত হবে তাদের অপকর্মরাশি” (যোহন ৩:১৯-২০)। একজন শল্য চিকিৎসকের মতো নির্ভুলভাবে প্রভু যীশু এই জগতের দুষ্টতা এবং অন্ধকারকে উন্মোচিত করেন, দেখান যে সমস্ত মানবজাতি শয়তানের অধীনে বাস করে এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বকে সহ্য করতে অক্ষম। অনুগ্রহের যুগে, প্রভু যীশু ব্যক্তিগতভাবে মানবদেহ ধারণ করেছিলেন এবং মানবজাতিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পৃথিবীতে কাজ করতে এসেছিলেন এবং রোমের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশে ইহুদি ধর্মীয় নেতারা তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করে। এটা স্পষ্ট যে মানবজাতি এতটাই কলুষিত এবং দুষ্ট হয়ে উঠেছিল যে তারা প্রকাশ্যে ঈশ্বরকে অস্বীকার করেছিলো এবং প্রতিরোধ করেছিলো। এখন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অন্তিম দিনগুলিতে এসেছেন এবং সমস্ত সত্য প্রকাশ করেছেন যা মানুষকে পূর্ণ পরিত্রাণ পেতে সক্ষম করে, কিন্তু তিনি ধর্মীয় বিশ্ব এবং চীনা সরকারের হাতে উন্মত্ত নিন্দা ও অবমাননার শিকার হয়েছেন এবং এই প্রজন্ম থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এটি প্রভু যীশুর এই বাক্যগুলিকে সঠিকভাবে পূর্ণ করে: “বিদ্যুৎ ঝলকে যেমন আকাশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে, তেমনি করে মনুষ্যপুত্রও তাঁর দিনে উদ্ভাসিত হবেন। কিন্তু প্রথমে তাঁকে দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে এবং এ যুগের লোক তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে” (লুক ১৭:২৪-২৫)। চীনা সরকার একটি নাস্তিক সরকার, এর মূল বক্তব্য হল ঈশ্বরের বিরোধিতা এবং তাই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার নিন্দা করা কোন ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। যাইহোক, আজকের ধর্মীয় জগতের যাজক এবং প্রবীণরা সবাই যারা প্রভুর প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে, তাহলে কেন তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অবয়ব এবং কাজ অনুসন্ধান করে না, বরং উন্মত্তভাবে তাকে প্রতিরোধ এবং নিন্দা করে? এটি সতর্কতার সাথে বিবেচনার প্রয়োজন। র। প্রকৃতপক্ষে, অনেক যাজক এবং প্রবীণ আছে যারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কথা এবং কাজের মধ্যে কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা দেখছে। তবে, যখন তারা দেখে যে বহু মানুষ যারা ঈশ্বরের আবির্ভাবের প্রত্যাশা করছিল, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাণী থেকে চিনতে পারছিল যে প্রকৃতপক্ষে প্রভু যীশুই ফিরে এসেছেন, এবং তারপর একে একে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সামনে আসতে থাকে, তখন ধর্মীয় জগতের এই যাজক এবং প্রবীণরা ভয় পেয়ে যায় যে বিশ্বাসীরা সকলেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে অনুসরণ করবে, এবং তারপরে কেউ আর তাদের অনুসরণ করবে না বা শ্রদ্ধা করবে না। তাদের নিজস্ব অবস্থান এবং জীবিকা বজায় রাখার জন্য, তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অবয়ব এবং কাজকে অনিচ্ছাকৃতভাবে নিন্দা করার সময় “সত্যের পথ রক্ষা এবং জনতাকে রক্ষা করার” ভান করে এবং সত্যপথের অনুসন্ধানকারী বিশ্বাসীদের পথের অন্তরায় হয়ে ওঠে। আমরা এই সত্য থেকে দেখতে পাচ্ছি যে ঈশ্বরের অবতারের রূপ এবং কাজ উভয়কেই ধর্মীয় জগতের দ্বারা এমনভাবে নিন্দা করা হয়েছে যে এটি এতটাই তমসাচ্ছন্ন এবং মন্দ হয়ে উঠেছে যে এটি নিজেকেই ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারে। অতএব, এটিঅনিবার্য যে ঈশ্বর যখন তাঁর কাজ সম্পাদন করার জন্য এই দুষ্ট জগতে আসবেন তখন শয়তানের শক্তি দ্বারা নিন্দিত ও নির্যাতিত হবেন।
সুতরাং যখন আমরা সত্য পথের অনুসন্ধান করি, তখন ধর্মীয় জগতের নেতাদের নিন্দা ও অবজ্ঞার সম্মুখীন হলে আমাদের কী মনোভাব অবলম্বন করা উচিত? আমরা যদি সেই প্রারম্ভিক দিনগুলিতে পিটার, জন এবং অন্যান্য শিষ্যদের কথা ভাবি, তারা ধর্মীয় নেতাদের দ্বারা প্রভু যীশুর নিন্দার অপবাদ অন্ধভাবে বিশ্বাস করে নি, বরং তারা বিনম্রভাবে প্রভুর কণ্ঠ শোনার চেষ্টা করেছিল। যখন তারা প্রভু যীশুর বাক্যকে সত্য বলে, ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর বলে চিনতে পেরেছিল, তখন তারা তাদের ধারণাগুলি পরিত্যাগ করে প্রভুকে অনুসরণে সক্ষম হয়েছিল, অবশেষে প্রভুর পরিত্রাণ লাভ করেছিল। এটা ঠিক যেমন প্রভু যীশু বলেছেন, “চাও, তাহলে তোমাদের দেওয়া হবে। অন্বেষণ কর, সন্ধান পাবে। আঘাত কর, তোমাদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত হবে” (মথি ৭:৭)। যদি আমরা জানতে চাই যে পূর্বের বজ্রালোক সত্য পথ কিনা, তাহলে আমাদের সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজের দিকে দৃষ্টিপাত করা উচিত এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা প্রকাশিত বাণীগুলি পড়ার প্রয়োজন। বিষয়টির সত্যতা জানার এটই একমাত্র উপায়। আমরা যদি যাজক এবং প্রবীণদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাস করি, তাহলে আমরা সম্ভবত যীশুর সময়ের সাধারণ ইহুদিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করব, ফড়ীশীদের অনুগামী হব, প্রভু যীশুকে প্রতিরোধ ও প্রত্যাখ্যান করব, সত্যের পথ অনুসন্ধানের সুযোগ নষ্ট করব এবং ঈশ্বরের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে চিরকাল অক্ষম থাকবো।
আমরা কীভাবে নিশ্চিত হতে পারি পূর্বের বজ্রালোকই সত্যের পথ?
তাহলে কীভাবে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে পূর্বের বজ্রালোকই সত্যের পথ? এসো সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য পড়ি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “প্রকৃত পথ অনুসন্ধানের প্রাথমিকতম নীতিটি কী? তোমায় দেখতে হবে যে, সেই পথে পবিত্র আত্মার কাজ রয়েছে কি না, এই বাক্যগুলি সত্যের প্রকাশ কি না, কার প্রতি সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে, এবং তা তোমায় কী এনে দিতে পারে। প্রকৃত পথ এবং ভ্রান্ত পথের মধ্যে পার্থক্য করার জন্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান প্রয়োজন, যার মধ্যে মৌলিকতম হল পবিত্র আত্মার কাজ সেখানে উপস্থিত রয়েছে কি না তা বলতে পারা। কারণ মানুষের ঈশ্বরবিশ্বাসের সারমর্ম হল ঈশ্বরের আত্মার প্রতি বিশ্বাস, এবং এমনকি তাদের ঈশ্বরের অবতারের প্রতি বিশ্বাসেরও কারণ হল যে, ঈশ্বরের এই মানবদেহ আদতে ঈশ্বরের আত্মারই দেহরূপ, অর্থাৎ, এই ধরনের বিশ্বাসও আত্মার উপরই বিশ্বাস। আত্মা এবং দেহরূপের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, কিন্তু যেহেতু এই দেহরূপ আত্মা থেকেই আগত, এবং বাক্য দেহধারণ করেছে, সেহেতু মানুষ যা বিশ্বাস করে তা আদতে ঈশ্বরের অন্তর্নিহিত সারসত্য। তাই, এই পথ প্রকৃত কিনা তা নির্ধারণ করতে, সর্বোপরি তোমায় দেখতে হবে যে তাতে পবিত্র আত্মার কার্য রয়েছে কিনা, তারপরে তোমাকে অবশ্যই দেখতে হবে যে এই পথে সত্য রয়েছে কিনা। সত্য হল স্বাভাবিক মানবতাবিশিষ্ট জীবনচরিত্র, অর্থাৎ, বলা যেতে পারে যে, ঈশ্বর আদিতে যখন মানবসৃষ্টি করেছিলেন, তখন মানুষের থেকে যা প্রয়োজন ছিল তা, অর্থাৎত, স্বাভাবিক মানবতা (মানুষের চেতনা, অন্তর্দৃষ্টি, প্রজ্ঞা, এবং মানুষ হওয়ার প্রাথমিক জ্ঞান সহ)। অর্থাৎ, তোমায় দেখতে হবে যে, এই পথটি মানুষকে স্বাভাবিক মানবতাসম্পন্ন জীবনের দিকে নির্দেশিত করতে পারবে কি না, কথিত সত্যটি স্বাভাবিক মানবতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কি না, এই সত্য ব্যবহারিক এবং বাস্তবিক কি না, এবং তা সর্বাধিক সময়োপযোগী কি না। যদি সত্য থেকে থাকে, তাহলে তা মানুষকে স্বাভাবিক এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার দিকে নির্দেশিত করতে সক্ষম; অধিকন্তু, মানুষ আরও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, তাদের মানব ইন্দ্রিয় সম্পূর্ণতর হয়ে ওঠে, তাদের পার্থিব জীবন এবং আধ্যাত্মিক জীবন আরও সুশৃঙ্খল হয়ে ওঠে, এবং তাদের আবেগগুলি আরও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এই হল দ্বিতীয় নীতি। আরও একটি নীতি রয়েছে, তা হল, ঈশ্বর সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান ক্রমবর্ধমান কি না, এবং এই ধরনের কাজ এবং সত্যের অভিজ্ঞতা তাদের ঈশ্বরপ্রেমে অনুপ্রাণিত করে তাদেরকে ঈশ্বরের আরও কাছে নিয়ে যেতে পারে কি না। এইভাবেই নির্ধারণ করা যেতে পারে যে পথটি প্রকৃত কিনা” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বর এবং তাঁর কাজকে যারা জানে শুধুমাত্র তারাই ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারে)।
ঈশ্বরের বাক্য খুব স্পষ্টভাবে বলে যে সত্যের পথ এবং মিথ্যার পথের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য তিনটি প্রধান নীতি রয়েছে। প্রথমত, পবিত্র আত্মা কাজ করছে কিনা দেখ। ঈশ্বর হলেন আত্মা, এবং যদিও ঈশ্বর মানবদেহ-ধারণে কাজ করেন, কিন্তু তাঁর সারসত্তা তাঁর আত্মার মতোই থাকে, তাই ঈশ্বরের কাজ অবশ্যই পবিত্র আত্মার কাজের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলবে। দ্বিতীয়ত, পথের সত্যতা আছে কিনা দেখ। আমরা সকলেই জানি যে একমাত্র ঈশ্বরের বাক্যই সত্য; সত্যই আমাদের জীবন হয়ে উঠতে পারে, এটি সেই নীতি যা আমাদের চরিত্র, আমাদের আচরণ এবং আমাদের ঈশ্বর-উপাসনাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এটি আমাদের সঠিক মানবিকতা পুনরুদ্ধার করতে দেয়। তৃতীয়ত, এই পথটি মানুষকে ঈশ্বর সম্বন্ধে ক্রমবর্ধমান জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম করে কিনা দেখ। কারণ ঈশ্বরের কাজ ঈশ্বর নিজেই করেন, কারণ তিনি যা কিছু প্রকাশ করেন তা তাঁর বিদ্যমানতা এবং অস্তিত্ব, এবং কারণ যখনই ঈশ্বর আবির্ভূত হন এবং মানুষকে বাঁচানোর জন্য কাজ করেন, তিনি মানুষকে তাঁর অভিপ্রায় এবং তিনি যা চান তা জানান; আমরা যত বেশি ঈশ্বরের বাক্যপড়ি এবং যত বেশি আমরা তাঁর কাজ অনুভব করি, ঈশ্বরের প্রতি আমাদের বিশ্বাস তত বেশি হয় এবং ঈশ্বর সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি পায় তত বেশি।
প্রভু যীশু যখন তাঁর কাজ করতে এসেছিলেন, উদাহরণস্বরূপ, তিনি মানুষের উপর প্রভূত কৃপা বর্ষণ করেছিলেন, তিনি অসুস্থদের নিরাময় করেছিলেন ও শয়তানদের বিতাড়িত করেছিলেন এবং তিনি মানবতার কাছে অনুশোচনার পথ নিয়ে এসেছিলেন। তিনি মানুষকে স্বীকার করতে এবং অনুতপ্ত হতে, সে নিজেকে যেমন ভালোবাসে তেমনভাবে তার প্রতিবেশীদের ভালোবাসতে, তার ক্রুস বহন করতে, ধৈর্যশীল এবং সহনশীল হতে, অন্যকে সত্তর বার করে সাত বার ক্ষমা করতে, সমস্ত হৃদয় ও মন দিয়ে ঈশ্বরকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন। প্রভু যীশুর কাছ থেকে পাওয়া এই শিক্ষাগুলি এমন বাক্য যা কোন মানুষ উচ্চারণ করতে পারে না। প্রভু যীশু এসে সত্য প্রকাশ করার আগে, যারা আইনের অধীনে বাস করত তারা শুধুমাত্র জানত কীভাবে বেঁচে থাকতে হয়; কীভাবে অন্যদের ভালবাসতে এবং ক্ষমা করতে হয় সেই সত্য তাদের উপলব্ধিতে ছিল না। কিন্তু প্রভুকে অনুসরণ করে এবং তাঁর শিক্ষার অনুশীলন করে, তারা দেখেছিল যে প্রভু যীশুর বাক্যসত্য এবং এটি সেই সময়ের মানুষদের অনুশীলনের পথ দেখাতে পারে। প্রভু যীশুর কাজের মাধ্যমে মানুষ বুঝেছিল যে ঈশ্বরের স্বভাব করুণা ও প্রেমময় দয়ায় পরিপূর্ণ এবং তারাও প্রভুর প্রতি ইচ্ছুক হয়ে ওঠে। সেই সময়ের প্রভু যীশুর কাজ প্রধান যাজক, লেখক এবং ফড়ীশীদেরব দ্বারা ক্রমাগত নিন্দা, অবমাননা এবং নিপীড়নের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, প্রভু যীশুর অনুগামী ক্রমাগতই বর্ধিত হয়ে চলেছিল। শেষ পর্যন্ত, এই ধর্মীয় নেতারা প্রভু যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য রোমের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশ করেছিল, বিশ্বাস করেছিল যে এটি করার মাধ্যমে তারা প্রভু যীশুর কাজকে মুছে ফেলতে পারবে। তবে যারা আন্তরিকভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছিল, তারা তাঁর কাজ এবং কথা থেকে দেখেছিলো যে তাঁর কাজ ঈশ্বর-প্রেরিত, এবং তাই তারা বিশ্বাসে উদ্বেল হৃদয়েতাঁকে অনুসরণ করেছিলোএবং প্রভুর সুসমাচার ছড়িয়ে দিয়েছিলো, রোমের কর্তৃপক্ষ এবং তৎকালীন ধর্মীয় বিশ্ব যেমনভাবেই তাদের নির্যাতন করুক না কেন। প্রভু যীশুর সুসমাচার এখন সারা বিশ্বে সুদূরপ্রসারী এবং বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছেছে এবং কোন শক্তি এটিকে থামাতে পারবে না। আমরা প্রভু যীশুর কথা এবং কাজের ফল থেকে দেখতে পারি যে তাঁর কাজ ঈশ্বর-প্রেরিত এবং এটিই সত্য পথ।
একইভাবে, যদি আমরা নিশ্চিত হতে চাই যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজ সত্য পথ কি না, আমরা পরখ করে নিতে পারি যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজে সত্য প্রকাশিত হয়েছে কিনা, এতে পবিত্র আত্মার কাজ আছে কিনা এবং এটি মানুষকে ঈশ্বর সম্পর্কে আরও বেশি জ্ঞানলাভের অনুমতি দেয় কিনা। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অন্তিমদিনগুলিতে এসেছেন এবং প্রভু যীশুর মুক্তির কাজের উপর ভিত্তি করে তিনি সব সত্য প্রকাশ করেছেন যা মানুষকে শুদ্ধি এবং সম্পূর্ণ পরিত্রাণ পেতে সক্ষম করে; তিনি মানুষের বিচার এবং পরিশুদ্ধির জন্য কাজের বিভিন্ন পর্ব সম্পাদন করেন এবং তিনি পাপ ও স্বীকারোক্তি চক্রের দুর্ভোগের জীবন থেকে আমাদের রক্ষা করেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “বর্তমান অবতারে ঈশ্বরের কাজ হল প্রাথমিকভাবে শাস্তি ও বিচারের মাধ্যমে তাঁর স্বভাব ব্যক্ত করা। এর উপর ভিত্তি করে, তিনি মানুষের কাছে আরও সত্য নিয়ে আসেন এবং অনুশীলনের আরও উপায় নির্দেশ করেন, যার ফলে মানুষকে জয় করার এবং তার নিজের কলুষিত স্বভাব থেকে বাঁচানোর তাঁর উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়। রাজ্যের যুগে ঈশ্বরের কাজের পিছনে এটিই নিহিত আছে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ভূমিকা)। “এই বিচার ও শাস্তিদানের কার্যের মাধ্যমে মানুষ নিজের ভিতরের কলুষিত ও ভ্রষ্ট সত্তার সম্বন্ধে জানতে পারবে, এবং সে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত ও শুদ্ধ হতে সক্ষম হবে। একমাত্র এই উপায়েই মানুষ ঈশ্বরের সিংহাসনের সম্মুখে প্রত্যাবর্তনের যোগ্য হয়ে উঠবে। এখনকার দিনে যে সমস্ত কার্য সম্পাদিত হয়, তা সকলই মানুষকে শুদ্ধ ও পরিবর্তিত করার জন্য; বাক্য দ্বারা বিচার ও শাস্তির মাধ্যমে, এবং সেইসাথে পরিমার্জনের দ্বারা, মানুষ যাতে কলুষতা দূর করতে ও পরিশুদ্ধ হতে পারে। এই পর্যায়ের কাজকে পরিত্রাণের কাজ হিসেবে গণ্য না করে বরং শুদ্ধিকরণের কাজ বললে বেশি যথার্থ হবে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অবতাররূপের রহস্য (৪))। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরএই সকল সত্য সম্পর্কে বলে যেমন, ঈশ্বরের ছয়-হাজার বছরের পরিকল্পনার রহস্য, ঈশ্বরের অবতারের রহস্য, মানবজাতির ভবিষ্যৎ পরিণতি এবং গন্তব্য, ভাবাবেশের অর্থ, সত্য খ্রীষ্টকে কীভাবে ভন্ড-খ্রীষ্ট থেকে পৃথক করা যায়, শয়তানের দ্বারা মানবজাতির অধঃপতনের সত্য, কীভাবে পাপের শিকল খুলে ফেলতে হয় এবং কীভাবে ঈশ্বরকে ভয় করতে হয় এবং মন্দ থেকে দূরে থাকতে হয়। এই সকল সত্য আমাদের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ঈশ্বরের দ্বারা প্রকাশিত, এগুলি অনুগ্রহের যুগের সত্যের চেয়েও উচ্চতর। এগুলি কেবল তাঁর পরিচালনার কাজের রহস্যই আমাদের বলে না, এগুলি প্রকাশ করে আমাদের শয়তানি স্বভাব যেমন অহংকার, বিদ্বেষ, স্বার্থপরতা, প্রতারণা এবং পৈশাচিকতা। ঈশ্বরের বাক্যর বিচার এবং শাস্তির মধ্য দিয়ে, আমরা দেখতে পাই যে ঈশ্বর মানুষের ভ্রষ্টাচারকে কীভাবে ঘৃণা করেন, আমরা ঈশ্বরের ধার্মিক এবং পবিত্র স্বভাব উপলব্ধি করতে পারি যা কোন অপরাধ সহ্য করে না এবং আমাদের মধ্যে একটি ঈশ্বর-ভীত হৃদয় জেগে ওঠে। আমরা তখন আর লঘু পাপের এবং ঈশ্বরকে প্রতিরোধের সাহস করি না, আমরা আমাদের মনুষ্যদেহ ত্যাগ করতে এবং সত্য অনুশীলন করতে ইচ্ছুক হয়ে উঠি এবং ধীরে ধীরে মানবিকতার কিছু আচরণ নিয়ে আমরা বেঁচে থাকতে শুরু করি। আমরা প্রকৃতই উপলব্ধি করতে পারি যে, ঈশ্বরের বিচার এবং শাস্তি ছাড়া, আমরা কখনই শয়তানি স্বভাবগুলি জানতে পারবো না যা আমাদের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত; আমরা কেবল সেই সব ধার্মিকদের মতো হতে পারি, যারা পাপ এবং স্বীকারোক্তির চক্রে চিরকাল আটকে থাকে। এমনকি যদি আমরা শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তবুও আমরা ঈশ্বরের সম্পূর্ণ পরিত্রাণ পেতে পারি না। অন্তিম দিনগুলিতে ঈশ্বরের বিচারের কাজটি উপলব্ধির মাধ্যমে, আমরা দেখতে পাই যে ঈশ্বরের স্বভাব শুধুমাত্র করুণাময় এবং প্রেমময় নয়, বরং আরও বেশি, এটি ন্যায়পরায়ণ এবং মহিমান্বিত এবং কোন অপরাধ সহ্য করেন না। ঈশ্বরের স্বভাব করুণাময় ও প্রেমময় বা ন্যায়পরায়ণ ও মহিমান্বিত যাই হোক না কেন, এতে সর্বদা মানুষের জন্য ঈশ্বরের মহান পরিত্রাণ রয়েছে।
উপরন্তু, যদি এটি ঈশ্বরের কাজ বা সত্য পথ হয়, তবে এটি পবিত্র আত্মার কাজ ধারণ করে এবং পবিত্র আত্মার দ্বারা সমর্থিতহয় এবং কোন শত্রু-শক্তি ঈশ্বরের কাজের পথে বাধা হতে পারে না। ১৯৯১ সালে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আবির্ভাব এবং চীনে কাজ শুরুর পর থেকে, চীনা সরকার এবং ধর্মীয় বিশ্ব সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জাকে প্রতিরোধ ও নিপীড়ন করা বন্ধ করে নি। তথাপি, ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার এই শত্রু শক্তির দ্বারা কোনোভাবেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি, এবং কুড়ি বছরেরও কম সময়ের মধ্যেই এটি সমগ্র চীনের মূল ভূখণ্ডের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যর বই, বাক্য দেহে আবির্ভূত হল, বহুদিন ধরে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে এবং কুড়িটিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, খোলাখুলিভাবে সমস্ত মানবজাতির কাছে প্রচারিত ও প্রমাণিত হচ্ছে। সিনেমা, নাচের অনুষ্ঠান, ছবি এবং হাস্যকৌতুকের মাধ্যমে, এই সবই অন্তিম দিনগুলিতে ঈশ্বরের কাজের সাক্ষ্য দেয়, সেইসাথে সেই ভাই ও বোনদের অভিজ্ঞতামূলক সাক্ষ্য যারা ঈশ্বরের কথার বিচার ও শাস্তির মধ্য দিয়ে গেছে এবং তাদের কলুষিত স্বভাবের শুদ্ধি ও রূপান্তর উপলব্ধি করেছে, সবগুলিই অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক প্রকৃত বিশ্বাসী যারা ঈশ্বরের আবির্ভাব প্রত্যাশা করে তারা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনেছে এবং এই অভিজ্ঞতামূলক সাক্ষ্যগুলি দেখেছে—তাদের জীবনে আলো প্রবেশ করেছে। তারা নিশ্চিত হয়েছে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা প্রকাশিত বাক্যগুলি হল গির্জাগুলিতে পবিত্র আত্মার উচ্চারণ, এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হলেন প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তন, পূর্বের বজ্রালোকই সত্য পথ। একের পর এক তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নামের অধীনে এসেছে। সিএজি গির্জা এখন বিশ্বের অনেক দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রভু যীশুর এই ভবিষ্যদ্বাণীকে পূর্ণ করে: “বিদ্যুতের ঝলক যেমন হঠাৎ পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিক পর্যন্ত সমগ্র আকাশকে আলোকিত করে, ঠিক সেইভাবে মনুষ্যপুত্রের আগমন হবে” (মথি ২৪:২৭)।
ভাই ও বোনেরা, অন্তিমদিনগুলিতে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজের ফলাফল থেকে, আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে পূর্বের বজ্রালোক পবিত্র আত্মার কাজ এবং সত্যের প্রকাশ, এবং ঈশ্বরের কাজ উপলব্ধি করার মাধ্যমে, ঈশ্বর সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি পেতে থাকবে। পূর্বের বজ্রালোকই হল সত্য পথ, প্রভু যীশুর আবির্ভাব এবং কাজ ফিরে এসেছে। আমরা মেষশাবকের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারব কি না এবং ঈশ্বরের দ্বারা আশীর্বাদিত হতে পারব কিনা তা নির্ভর করবে আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দের উপর। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “প্রবল জলোচ্ছ্বাসের মতই ঈশ্বরের কাজ এগিয়ে চলে। তাঁর যাত্রা কেউই থামাতে বা আটকাতে পারে না। যারা তাঁর বাক্য মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং তাঁর অন্বেষণে তৃষ্ণার্ত, একমাত্র তারাই তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে এবং তাঁর প্রতিশ্রুতি পায়। যারা তা করে না তারা অপ্রতিরোধ্য বিপর্যয় এবং উপযুক্ত শাস্তির শিকার হবে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিশিষ্ট ২: ঈশ্বর সমগ্র মানবজাতির ভাগ্য নির্ধারক)। “অন্তিম সময়ে ভণ্ড খ্রীষ্টদের আগমনের কারণে ঈশ্বরের অভিব্যক্ত বাক্যকে অন্ধভাবে নিন্দা করা একেবারেই অনুচিত, এবং শঠতার প্রতি তোমার ভয়ের কারণে পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে ধর্মনিন্দা করাও তোমার অনুচিত। সেটা কি খুবই দুঃখের বিষয় হবে না? যদি অনেক পরীক্ষার পরেও তুমি বিশ্বাস করতে থাকো যে এই বাক্যগুলি সত্য নয়, প্রকৃত পথ নয়, এবং ঈশ্বরের অভিব্যক্তি নয়, তাহলে অবশেষে তোমাকে দণ্ড ভোগ করতে হবে, এবং তুমি আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকবে। তুমি যদি এত সাধারণ এবং স্পষ্টভাবে কথিত সত্য স্বীকার করতে না পারো, তাহলে কি তুমি ঈশ্বরের পরিত্রাণ লাভের অনুপযুক্ত নও? তুমি কি তাহলে এমন কেউ নও যে ঈশ্বরের সিংহাসনের কাছে প্রত্যাবর্তনের পক্ষে যথেষ্ট আশীর্বাদপ্রাপ্ত নয়? ভেবে দেখো! হঠকারী বা আবেগপ্রবণ হয়ো না, এবং ঈশ্বর-বিশ্বাসকে নিছক খেলা হিসেবে দেখো না। তোমার গন্তব্যের স্বার্থে, প্রত্যাশার স্বার্থে, জীবনের স্বার্থে ভাবো, আর নিজেকে ঠকিয়ো না। তুমি কি এই বাক্যগুলিকে স্বীকার করতে পারো?” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যতক্ষণে তুমি যীশুর আধ্যাত্মিক দেহ প্রত্যক্ষ করবে, ততক্ষণে ঈশ্বর স্বর্গ ও পৃথিবীকে নতুন করে তৈরি করে ফেলবেন)।
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।