অন্তিম সময়ের প্রতীক: 2022 সালে দেখা দেবে ফ্লাওয়ার ব্লাড মুন চন্দ্রগ্রহণ
সম্পাদকের নোট: সাম্প্রতিক কয়েক বছরে “রক্তাভ চাঁদ” এর মত মহাজাগতিক ঘটনা বারংবার দেখা গেছে। অতিমারী, ভূমিকম্প এবং দুর্ভিক্ষের মত বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয় আরো বেশি খারাপ রূপ ধারণ করছে। অন্তিম সময়ের বিষয়ে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী ইতিমধ্যেই সত্য হয়েছে, এবং যিহোভার গুরুতর এবং ভয়ানক দিন আগতপ্রায়। আমাদের উপর এখন গুরুতর বিপর্যয় এসে গেছে, তাহলে আমাদের কীভাবে প্রভুর পুনরাবির্ভাবকে স্বাগত জানানো উচিত? এই নিবন্ধে তার উত্তর আছে।
প্রাসঙ্গিক বিশেষজ্ঞদের গণনা অনুযায়ী, 2022 সালের 16 মে, আকাশে রক্তাভ চাঁদের চন্দ্রগ্রহণ বা ফ্লাওয়ার ব্লাড মুন লুনার এক্লিপ্স দেখা যাবে। বাস্তবিক তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরেই ব্লাড মুন, সুপারমুন এবং সুপার ব্লাড মুন-এর মত বিস্ময়কর দৃশ্য ক্রমাগতই দেখা যাচ্ছে, উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, 2011 ও 2013 সালের ব্লাড মুন, 2014 এবং 2015 সালের মধ্যে চারবার দেখা দেওয়া ব্লাড মুন, 2018 সালের সুপার ব্লু ব্লাড মুন, যা 152 বছর আগে শেষ দেখা গিয়েছিল এবং 21 জানুয়ারি 2019-এ দেখা যাওয়া সুপার ব্লাড উলফ মুন যা জ্যোতির্বিদ্যার তিনটি দৃশ্যকে সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত করেছে, একটি সুপারমুন, একটি ব্লাড মুন এবং একটি উলফ মুন, এবং তা জ্যোতির্বিদ্যার এক উজ্জ্বল বিস্ময় হিসাবে সসম্মানে গৃহীত হয়েছে। তাছাড়াও, 2021 সালের 26 মে এক বিরল দৃশ্য দেখা যায়—পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় সুপার ব্লাড মুন দৃশ্যমান হয়।
অনেক ভবিষ্যতবক্তাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে রক্তাভ চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার অর্থ হল অসাধারণ এবং মহান ঘটনা ঘটতে চলেছে। অনেক বাইবেল বিশেষজ্ঞই নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করেন যে রক্তাভ চাঁদ দেখা যাওয়ার অর্থই হল যোয়েল-এর গ্রন্থের ২:২৯-৩১-এ উল্লিখিত ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হওয়া: “সেদিন আমি দাসদাসীদের উপরেও আমার আত্মা বর্ষণ করব। এবং আমি আকাশে নানা অলৌকিক নিদর্শন দেখাব এবং পৃথিবীতে দেখাব ধোঁয়ার কুণ্ডলী, আগুন আর রক্তপাত। যিহোবার মহাভয়ঙ্কর দিনের আবির্ভাবের আগে সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে, চন্দ্র হয়ে যাবে রক্তিম।” এছাড়াও, প্রকাশিত বাক্য ৬:১২-এ বলা হয়েছেঃ “এর পরে আমি দেখলাম, তিনি যখন ষষ্ঠ সীলমোহর খুললেন তখন মহাভূমিকম্প হল। সূর্য কালো কম্বলের মত এবং পূর্ণচন্দ্র রক্তের মত হয়ে গেল।” জোয়েল-এর গ্রন্থের ভবিষ্যদ্বাণীতে যে “মহাভয়ঙ্কর দিন”-এর কথা বলা হয়েছে তা মহা দুর্যোগের কথাই বলে। আমরা সকলেই দেখছি বিগত কয়েক বছরে দুর্যোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, প্লেগ এবং বন্যার মত বিপর্যয় বারংবার দেখা দিচ্ছে, যা দেখা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত আতঙ্কজনক; বিশ্বের পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে পড়েছে এবং তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে, ঘনঘন যুদ্ধের দামামা বেজে উঠছে, হিংসাত্মক ঘটনা এবং সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ ক্রমবর্ধমান; পৃথিবীর পরিবেশের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং চরম আবহাওয়া এবং সব ধরনের জ্যোতির্বিজ্ঞানমূলক বিস্ময় ঘটে চলেছে সর্বদা। বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে অন্তিম দিনের যে সব প্রতীকের কথা বলা হয়েছে তা একের পর এক দেখা দিচ্ছে, এবং গুরুতর বিপর্যয় এসে গেছে। তাহলে, আমাদের কীভাবে প্রভুকে স্বাগত জানানো এবং তাঁর পরিত্রাণ লাভ করা উচিত? প্রভু যীশু বলেছেন, “আমার নিজের মেষপাল আমার ডাক শোনে, তাদের আমি চিনি এবং তারা আমাকে অনুসরণ করে” (যোহন ১০:২৭)। “আমার এখনও অনেককিছুই তোমাদের বলার আছে, কিন্তু এখন তোমরা সেগুলো বহন করতে পারবে না। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনি তোমাদের সকল সত্যের পথে পরিচালিত করবেন” (যোহন ১৬:১২-১৩)। প্রকাশিত বাক্য-এর অধ্যায় ২ এবং ৩-এর বিভিন্ন অংশে এই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। “শোনার মত কান যার আছে সে শুনুক, পবিত্র আত্মা সকল মণ্ডলীকে কী বলছেন।” এইসব ভবিষ্যদ্বাণী থেকে, আমরা দেখতে পাই যে মানুষের পরিশোধন এবং রক্ষা করার জন্য অন্তিম সময়ে ঈশ্বর বাক্য উচ্চারণ করবেন এবং এক নতুন পর্যায়ের কর্ম সম্পাদন করবেন, এবং মানুষকে ঈশ্বরের রাজ্যে নিয়ে আসবেন। কেবলমাত্র ঈশ্বরের কন্ঠস্বর শোনার জন্য উদগ্রীব হওয়া, এবং অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের আবির্ভাব ও কর্মের প্রত্যাশা এবং অণ্বেষণের মাধ্যমেই আমরা প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে পারি, ঈশ্বরের দ্বারা পরিশোধিত এবং রক্ষিত হতে পারি, এবং ঈশ্বরের সঙ্গে এক সুন্দর গন্তব্যে পৌঁছতে পারি। অন্যথায়, আমরা ঈশ্বরের পরিত্রাণ থেকে বঞ্চিত হবো, অন্তিম সময়ের প্রবল বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবো, এবং নির্মূল ও শাস্তিপ্রাপ্ত হবো। এই বিষয়ে ঈশ্বর যা বলেছেন তা হলঃ
একের পর এক সমস্ত রকমের বিপর্যয় ঘটবে; সকল রাষ্ট্র এবং স্থান বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে: মহামারী, দুর্ভিক্ষ, বন্যা, খরা এবং ভূমিকম্প সর্বত্র ঘটে চলেছে। এসব বিপর্যয় শুধু দু-এক জায়গায় ঘটছে না, দু-একদিনের মধ্যে শেষও হবে না; বরং, পরিবর্তে সেগুলি এক বৃহত্তর অঞ্চল জুড়ে প্রসারিত হতে থাকবে এবং ক্রমান্বয়ে গুরুতর হয়ে উঠবে। এই সময়ে, একের পর এক সমস্ত ধরণের কীটপতঙ্গজাত মহামারী দেখা দেবে এবং সর্বত্র স্বজাতিভক্ষণের ঘটনা ঘটবে। এটাই হল সকল দেশ ও জাতির প্রতি আমার বিচার।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সূচনাকালে খ্রীষ্টের বাক্য, অধ্যায় ৬৫
এই বিশাল জগতে, মহাসমুদ্রের পলি জমে মাটি তৈরি হচ্ছে, আর মাটি ভেসে গিয়ে মহাসমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে, বারংবার। সবকিছু যাঁর শাসনে চলে, সেই পরমাত্মা ছাড়া আর কেউ এই মানবজাতিকে নেতৃত্ব দিতে ও দিশা দেখাতে পারে না। এমন সর্বশক্তিমান কেউ নেই যে এই মানবজাতির জন্য কষ্ট করতে বা প্রস্তুতি নিতে পারবে। এই মানবজাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে আলোকিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যেতে পারবে এবং জাগতিক অন্যায় থেকে মুক্ত করতে পারবে, এমন অন্য কেউ থাকার সম্ভাবনা তো আরও কম। ঈশ্বর মানবজাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শোকার্ত হন, তিনি মানব জাতির অধঃপতন নিয়ে দুঃখ পান, আর ব্যথাতুর হন এই দেখে যে, মানব জাতি ধাপে ধাপে এমন ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে, যেখান থেকে আর ফিরে আসার পথ নেই। কেউ কখনও ভেবে দেখে নি যে এই মানবজাতি, যে ঈশ্বরকে কষ্ট দিয়ে, তাঁকে পরিত্যাগ করে, মন্দের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে, সে আসলে কোন দিকে এগিয়ে চলেছে। ঠিক এই কারণেই কেউই ঈশ্বরের আক্রোশকে অনুভব করতে পারে না, ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার পথ খোঁজার, বা তাঁর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে না, আর সবচেয়ে বড় কথা হল, এই কারণেই কেউ ঈশ্বরের কষ্ট ও বেদনা অনুধাবন করার চেষ্টাও করে না। এমনকি ঈশ্বরের বাক্য শোনার পরও, মানুষ তার নিজের পথেই চলতে থাকে, ঈশ্বরকে এড়িয়ে চলতে চায়, ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও যত্ন পরিহার করে, আর তাঁর সত্যের থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজেকে ঈশ্বরের শত্রু শয়তানের কাছে বিক্রি করে দিতে বেশী পছন্দ করে। কেউ কি চিন্তা করেছে—যদি মানুষ তার একগুঁয়েমি বজায় রাখে—তাহলে সেই মানবজাতির প্রতি ঈশ্বর কেমন আচরণ করবেন, যে একবারও পিছনে না তাকিয়ে তাঁকে খারিজ করেছে? কেউ জানে না যে ঈশ্বর বারবার মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেন এবং উপদেশ দেন, কারণ তিনি নিজের হাতে এমন এক বিপর্যয় প্রস্তুত করে রেখেছেন যেমনটা আগে কখনও হয়নি, এমন এক দুর্যোগ যা মানুষের দেহ ও আত্মার পক্ষে অসহনীয় হবে। এই বিপর্যয় কেবল দেহের জন্য নয়, আত্মার জন্যও শাস্তিস্বরূপ। তোমাকে জানতে হবে: ঈশ্বরের পরিকল্পনা ভেঙে গেলে, তাঁর মনে করানোর প্রচেষ্টা ও উপদেশ নিষ্ফল হলে, তাঁর ক্রোধের আগুন কীভাবে জ্বলে উঠবে? সৃষ্ট কোনো জীবের দর্শন বা শ্রবণ অভিজ্ঞতায় যা পূর্বে কখনো অনুভূত হয়নি। আর তাই বলছি, যে এই বিপর্যয় অভূতপূর্ব, এবং এর পুনরাবৃত্তি আর কখনও ঘটবে না। কেননা ঈশ্বরের পরিকল্পনা হল মানবজাতিকে কেবল একবারের জন্য সৃষ্টি করা আর তাদেরকে তিনি কেবল একবারই উদ্ধার করবেন। এটাই প্রথমবার, আর এটাই শেষ। তাই, ঈশ্বর এবার যে কতটা শ্রমসাধ্য অভিপ্রায় এবং ঐকান্তিক প্রত্যাশা সহকারে মানবজাতিকে উদ্ধার করছেন সেটা কেউ হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বর হলেন মানুষের জীবনের উৎস
প্রবল জলোচ্ছ্বাসের মতই ঈশ্বরের কাজ এগিয়ে চলে। তাঁর যাত্রা কেউই থামাতে বা আটকাতে পারে না। যারা তাঁর বাক্য মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং তাঁর অন্বেষণে তৃষ্ণার্ত, একমাত্র তারাই তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে এবং তাঁর প্রতিশ্রুতি পায়। যারা তা করে না তারা অপ্রতিরোধ্য বিপর্যয় এবং উপযুক্ত শাস্তির শিকার হবে।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিশিষ্ট ২: ঈশ্বর সমগ্র মানবজাতির ভাগ্য নির্ধারক
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।