নোহের দিনগুলি আবির্ভূত হয়েছে: এটি কিসের পূর্বলক্ষণ?

09-05-2022

আমরা যখন নোহের সময়ের মানবজাতির কথা বলি, সকলেই জানে যে, খুন, অগ্নিসংযোগ, ডাকাতি ও চুরি এবং উশৃঙ্খলতা তখনকার মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য হয়ে গিয়েছিল। তারা ঈশ্বরকে পরিহার করেছিল এবং ঈশ্বরের কথায় কান দেয়নি, এবং শেষ পর্যন্ত ঈশ্বর তাদের মহাপ্লাবনের মাধ্যমে ধ্বংস করেছিলেন। তারপরে আমরা আজকের বিশ্বের মানুষদের দেখি: তারা অশুভকে শ্রদ্ধা করে, এবং উচ্ছৃঙ্খল এবং নীতিভ্রষ্ট হয়ে ওঠে, এবং প্রতিটি শহরের রাস্তায় এবং অলিগলিতে কারাওকে বার, ফুট ম্যাসাজ পার্লার, সরাইখানা এবং ডান্স ক্লাবের মতো জায়গাগুলি দেখতে পাওয়া যায়; মানুষ পান ভোজন করে আনন্দ করে, পাশবিক আনন্দে লিপ্ত হয়; তারা খ্যাতি, লাভ এবং মর্যাদার জন্য একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে, একে অপরের সাথে ঝগড়া করে, একে অপরের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে, এবং একে অপরকে প্রতারণা করে, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়রাও এর ব্যতিক্রম হয় না। সমগ্র মানবসমাজ এক উথালপাথাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে। মানুষ নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত। বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; জল, বাতাস এবং খাদ্য দূষিত হয়েছে। তাছাড়াও বিশ্বের দেশগুলো অস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরী করছে। সকল মানুষই সত্যকে ঘৃণা করে, তারা অন্যায় কে ভালবাসে এবং পাপের মধ্যে বাস করে; কেউ সত্য অন্বেষণ বা সত্য পথের সন্ধান করতে উদ্যোগী হয় না, এবং তারা প্রকাশ্যে ঈশ্বরকে অস্বীকার করে এবং প্রতিরোধ করে। এমনকি যারা প্রভুকে বিশ্বাস করে তারাও নিজেদের হেয় করে পার্থিব প্রবণতা অনুসরণ করে। তারা পাপে পূর্ণ আনন্দের প্রতি লালায়িত হয়, সর্বদা বৃত্তাকারে পাপ করে এবং তারপর স্বীকারোক্তি করে, এবং যদিও তারা প্রভুর শিক্ষাগুলি ভাল করেই জানে, তারা সেগুলি বাস্তবে প্রয়োগ করে না। এই ধরনের দৃশ্য দুই হাজার বছর আগে প্রভু যীশুর করা ভবিষ্যদ্বাণী মনে করিয়ে দিতে বাধ্য করে: “নোহের সময়ে যা ঘটেছিল মানবপুত্রের সময়ও তাই-ই ঘটবে। নোহ যেদিন জাহাজে উঠলেন, সেদিন বন্যায় সব ধ্বংস হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত তারা পানভোজন, বিবাহ উৎসবে মেতে রইল। … মানবপুত্র যেদিন স্বপ্রকাশ হবেন, সেদিন এই রকমই ঘটবে(লুক ১৭:২৬-৩০)। আজকাল, শেষ যুগের লোকেরা নোহের যুগের লোকদের চেয়েও বেশি নীতিভ্রষ্ট এবং দুষ্ট হয়ে উঠেছে। সুতরাং, এখনই সেই সময় যখন প্রভু আবার আবির্ভূত হবেন। কিন্তু প্রভু কী রূপে দেখা দেবেন? এবং আমরা তাঁকে কিভাবে স্বাগত জানাবো?

শেষ দিনে প্রভু কিভাবে আবির্ভূত হবেন?

বহু মানুষ বাইবেলের এই স্তবকটির কথা বলে: “তখন আকাশের বুকে মনুষ্যপুত্রের আগমনের চিহ্ন প্রকাশ পাবে, আর পৃথিবীর সমস্ত জাতি বক্ষে করাঘাত করে বিলাপ করবে। তারা মনুষ্যপুত্রকে মহাপরাক্রমে মহিমান্বিত হয়ে মেঘবাহনে আসতে দেখবে(মথি ২৪:৩০)। তারা বিশ্বাস করে যে প্রভু যখন ফিরে আসবেন, তখন তিনি প্রকাশ্যে একটি মেঘের উপর চড়ে তা করবেন, এবং তিনি আমাদের সরাসরি স্বর্গ রাজ্যে উত্থিত করবেন এবং সবাই তাঁকে দেখতে পাবে, এবং তাই তারা নিষ্ক্রিয়ভাবে প্রভুর মেঘে করে আসার অপেক্ষা করে। তবে, সত্য এই যে, বাইবেলের যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলি বলে যে প্রভুর ফিরে আসবার আরও একটি উপায় আছে, সেগুলি কে আমরা উপেক্ষা করেছি, যেমন, “দেখ, আমি চোরের মত আসব(প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৫), “অতএব তুমি যদি লক্ষ্য না রাখো, আমি তোমার কাছে আসবো চোর হয়ে….(প্রকাশিত বাক্য ৩:৩), “দেখ, আমি দুয়ারে দাঁড়িয়ে করাঘাত করছি। যে আমার ডাক শুনে দুয়ার খুলে দেয়, আমি ভেতরে তার কাছে যাব, তার সঙ্গে পানাহার করব, সেও আমার সঙ্গে পানাহার করবে(প্রকাশিত বাক্য ৩:২০), “বিদ্যুতের ঝলক যেমন হঠাৎ পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিক পর্যন্ত সমগ্র আকাশকে আলোকিত করে, ঠিক সেইভাবে মনুষ্যপুত্রের আগমন হবে(মথি ২৪:২৭), এবং “কাজেই তোমরা প্রস্তুত হয়ে থাকবে, কারণ মনুষ্যপুত্র এমন সময়ে আসবেন, যে সময়ে তাঁর আগমন প্রত্যাশা করবে না(মথি ২৪:৪৪)। এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি উল্লেখ করেছে যে প্রভু “চোরের মত,” ফিরে আসবেন এবং তিনি “দুয়ারে দাঁড়িয়ে করাঘাত করছি।” এটি প্রমাণ করে যে প্রভু নিঃশব্দে এবং গোপনে আসবেন, এবং এই সম্পর্কে কেউ জানতেও পারবে না। এই স্তবকগুলি আরও উল্লেখ করেছে “মানবপুত্রের আগমন হবে” এবং “মানবপুত্র আসবেন” এবং “মনুষ্যপুত্র” এর যে কোনো উল্লেখ অর্থাৎ ঈশ্বরের অবতার। একমাত্র তিনিই যিনি একজন মানুষের থেকে জন্মগ্রহণ করেন এবং যিনি স্বাভাবিক মানবতার অধিকারী তাঁকেই “মনুষ্যপুত্র” বলা যেতে পারে; যদি প্রভু পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পরে তাঁর আধ্যাত্মিক দেহের রূপ ধরে আসেন, তবে তাঁকে “মনুষ্যপুত্র” বলা যায় না। সুতরাং, এ থেকে দেখা যায় যে শেষ দিনে, প্রভু গোপনে মানুষের মধ্যে কাজ করার জন্য সশরীরে ফিরে আসেন।

এইখানে, কেউ কেউ বিভ্রান্ত বোধ করতে পারে এবং ভাবতে পারে, “বাইবেল ভবিষ্যদ্বাণী করে যে প্রভু মেঘের সাথে আসবেন এবং সকলে তাঁকে দেখতে পাবে, কিন্তু এও বলে যে প্রভু গোপনে সশরীরে আসবেন। এটি কি স্ববিরোধ নয়?” প্রকৃতপক্ষে, ঈশ্বরের কথার মধ্যে কোন স্ববিরোধ নেই। প্রভুর আগমন দুটি উপায়ে ঘটে: একটি উপায় হল তিনি মেঘের সাথে প্রকাশ্যে আসেন, অপরটি হল তিনি চোরের মত গোপনে আসেন। ঈশ্বর যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তা পূর্ণ ও অর্জিত হবে, কিন্তু ঈশ্বর পর্যায়ক্রমে কাজ করেন, এবং তাঁর কাজের একটি পরিকল্পনা আছে। ঈশ্বর প্রথমে, মানুষকে বাঁচানোর জন্য তাঁর কাজ সম্পাদন করতে, অবতার রূপে এবং গোপনে আসেন, এবং তারপর তিনি সকলের সামনে, মেঘে চড়ে, শিষ্ট কে পুরস্কৃত করতে এবং দুষ্ট কে শাস্তি দিতে প্রকাশ্যে আবির্ভূত হন।

শেষ দিনে প্রভু কি কাজ করতে আসেন?

ঈশ্বর কেন প্রথমে গোপনে আসেন? শেষ দিনে তিনি যখন আবির্ভূত হন তখন ঈশ্বর যে কাজটি করেন সেটি এই বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। আসুন বাইবেল থেকে এই স্তবকগুলি পড়ি: “বিচারের কাল সমাগত, ঈশ্বরের আপনজনদের দিয়েই তা হবে শুরু(১ পিতর ৪:১৭)। “যে আমার বাক্য গ্রহণ না করে আমাকে প্রত্যাখ্যান করে, তারও বিচারকারী রয়েছে: শেষের দিনে আমার মুখনিঃসৃত সেই বাণীই হবে তার বিচারক(যোহন ১২:৪৮)। “তিনি উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করলেন, ‘ঈশ্বরকে ভয় করো, তাঁকে মহিমা প্রদান করো, কারণ তাঁর বিচারের লগ্ন সমুপস্থিত: স্বপর্গ, মর্ত্য, সমুদ্র ও জলধির সমস্ত উৎসের স্রষ্টা যিনি তাঁরই আরাধনা কর’(প্রকাশিত বাক্য ১৪:৭)। “যে জয়ী হবে আমি তাকে আমার ঈশ্বরের মন্দিরের স্তম্ভস্বরূপ করব, সে কখনও স্থানচ্যূত হবে না(প্রকাশিত বাক্য ৩:১২)। “আমার এখনও অনেককিছুই তোমাদের বলার আছে, কিন্তু এখন তোমরা সেগুলো বহন করতে পারবে না। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনি তোমাদের সকল সত্যের পথে পরিচালিত করবেন। তিনি নিজে থেকে কিছুই বলবেন না, যা তিনি শুনবেন শুধুমাত্র তা-ই বলবেন এবং সমস্ত ভাবী ঘটনার কথা তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন(যোহন ১৬:১২-১৩)। এবং ঈশ্বরের বাণী বলে, “যদিও যীশু মানুষের মধ্যে অনেক কাজ করেছিলেন, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র সমস্ত মানবজাতির মুক্তি সম্পূর্ণ করেছিলেন এবং মানুষের পাপস্খালনের বলি হয়েছিলেন; তিনি মানুষকে তার সমস্ত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্তি দেননি। শয়তানের প্রভাব থেকে মানুষকে পুরোপুরি মুক্ত করার জন্য শুধু যীশুর পাপস্খালনের বলি হওয়া আর মানুষের পাপ বহন করার প্রয়োজন ছিল তাই নয়, বরং মানবজাতিকে সম্পূর্ণরূপে তার শয়তানোচিত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বরের আরো মহত্তর কর্মের প্রয়োজন ছিল। এবং তাই, এখন যখন মানুষ তার পাপের ক্ষমা পেয়েছে, ঈশ্বর মানুষকে নতুন যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেহরূপে ফিরে এসেছেন এবং শাস্তি ও বিচারের কাজ শুরু করেছেন। এই কাজ মানুষকে এক উচ্চতর জগতে নিয়ে এসেছে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ভূমিকা)

আমরা এই বাণীগুলি থেকে দেখতে পাচ্ছি যে প্রভু যখন শেষ দিনে ফিরে আসবেন, তখন তিনি আরও সত্য প্রকাশ করবেন এবং বিচারের কাজ করবেন। তিনি আমাদের দুর্নীতির বিচার ও উদঘাটন করার জন্য “[তিনি] যে বাণী বলেছেন” সেটি ব্যবহার করবেন, যাতে আমরা নিজেদের নিয়ে ভাবতে পারি, প্রকৃত অনুতাপ করতে পারি এবং পরিবর্তিত হতে পারি, পরিণামে ঈশ্বর দ্বারা শুদ্ধ এবং বিজয়ী হয়ে তাঁর রাজ্যে পদার্পণ করতে পারি। এর কারণ হল, যদিও প্রভু যীশু আমাদের উদ্ধার করেছেন এবং আমাদের পাপ ক্ষমা করেছেন, আমাদের পাপের মূল, অর্থাৎ, আমাদের পাপী প্রকৃতি আমাদের গভীরে থেকে যায় এবং, এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে, আমরা বাধ্য হয়েই প্রায়শই পাপ করে ফেলি। এখানে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল: যখন অন্য কোনো মানুষ এমন কিছু করে যা আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়, তখন আমরা তাদের ঘৃণা করতে পারি এবং এমনকি রাগান্বিতও হতে পারি; সাধারণত, আমরা বলি আমরা ঈশ্বরের প্রতি অনুগত থাকব এবং তাঁকে মান্য করব, কিন্তু যখন আমাদের অপচ্ছন্দের কিছু ঘটে, আমরা ঈশ্বর কে ভুল বুঝি এবং দোষারোপ করি এবং, গুরুতর ক্ষেত্রে, আমরা এমনকি ঈশ্বরকে পরিত্যাগও করি। এ থেকেই বোঝা যায় যে আমরা নিজেদেরকে পাপের শৃঙ্খল এবং সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে পারিনি, যে আমরা এখনও পাপ করে স্বীকারোক্তি করার বৃত্তে বসবাস করছি, এবং বিচারের কাজ সম্পাদন করে আমাদের দুর্নীতিকে চিরতরে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করার জন্য জন্য আমাদের ঈশ্বরের অবতারকে প্রয়োজন। যখন আমরা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনি, ঈশ্বরের সামনে উত্থিত হই এবং ঈশ্বরের বাণীর বিচার ও তিরস্কার পাই, যখন আমাদের নীতিভ্রষ্ট স্বভাব শুদ্ধ হয়, এবং আমরা ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারি, ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারি এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে ঈশ্বরকে ভালবাসতে পারি, তখনই ঈশ্বর আমাদের বিজয়ী তে পরিণত করেন। এরাই সেই 14,4000 বিজয়ী, যাদের কথা প্রকাশিত বাক্যের বইয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, এবং প্রকাশিত বাক্যের অধ্যায় ১৪, স্তবক ৪-এ এটি নিখুঁতভাবে প্রতিফলিত হয়: “যারা নারীসঙ্গের দ্বারা অপবিত্র হয়নি এরাই তারা; কারণ এরা কৌমার্যব্রতী। মেষশাবক যেখানে যান সেখানেই যারা তাঁকে অনুসরণ করে এরাই তারা। মানুষের মধ্যে থেকে ঈশ্বরের প্রতি ও মেষশাবকের প্রতি প্রথম ফল হিসাবে এরাই মুক্তি পেয়েছিল।” যদি প্রভু মহা মহিমা সহকারে একটি মেঘের উপরে প্রথমে ফিরে আসেন, তবে সমস্ত লোক তাঁর উপাসনা করার জন্য তাঁর সামনে প্রণত হবে। তখন মানুষের প্রকৃতির মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি বিদ্রোহ ও প্রতিরোধকে প্রকাশ করা সম্ভব হবে না, এবং মানুষ নিজেকে জানতে পারবে না এবং সত্যিকারের অনুতাপ এবং পরিবর্তন হবে না। উপরন্তু, শেষ দিনে, ঈশ্বরও প্রত্যেক ধরনের ব্যক্তিকে উদঘাটিত করবেন, প্রত্যেককে তাদের ধরণ অনুসারে পৃথক করবেন, এবং ভালো কে পুরস্কৃত করবেন এবং মন্দ কে শাস্তি দেবেন। যদি প্রভু মহা মহিমা সহকারে মেঘে ফিরে আসেন, তবে সকলেই তাঁকে দেখতে পাবে এবং তাঁকে গ্রহণ করতে ও আত্মনিবেদন করতে তাঁর কাছে আভূমি প্রণত হবে। কাউকেই, তারা প্রকৃতই ঈশ্বর বিশ্বাসী না শয়তানের অধীন, তারা সত্যকে ভালবাসে কিনা, তারা ঈশ্বরকে মান্য করে না প্রতিরোধ করে, ঈশ্বর উদঘাটিত করতে পারবেন না। তাহলে, বাইবেলে যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ফসল কাটা এবং ঝাড়াই-বাছাই করা এবং তাদের ধরন অনুযায়ী প্রত্যেককে পৃথক করার কাজ, ভেড়া থেকে ছাগল পৃথক করা, গম থেকে আগাছা পৃথক করা, এবং এরকম আরো কিছু, সম্ভব হত না। যদিও ঈশ্বর জানেন কে ভালো আর কে মন্দ, তবুও যদি মানুষকে উদঘাটন না করা হয়, তাহলে, তারা বিশ্বাস করা তো দূরস্থান কেউ স্বীকার পর্যন্ত করবে না। সুতরাং এটি স্পষ্ট যে ঈশ্বর মানুষকে চিরতরে রক্ষা করার জন্য, বিজয়ীদের তৈরী করার জন্য, এবং প্রত্যেককে তাদের ধরণ অনুসারে পৃথক করার জন্য শেষ দিনে বিচারের কাজ করেন। এটি করার জন্য, তাঁকে প্রথমে সশরীরে এবং গোপনে আসতে হবে। একদল বিজয়ী তৈরী হয়ে গেলে, ঈশ্বরের গোপন কাজের সময় শেষ হয়ে যাবে, এবং কেবল তখনই ঈশ্বর সমস্ত জাতি ও মানুষের কাছে প্রকাশ্যে মেঘের সাথে আসবেন, শিষ্ট কে পুরস্কৃত করতে এবং দুষ্টদের শাস্তি দিতে শুরু করবেন। যারা ঈশ্বরের বিচারের কাজকে গ্রহণ করেছে এবং শুদ্ধ হয়েছে তাদের শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে, এবং যারা ঈশ্বরের অবতারের কাজকে গ্রহণ করেনি, এবং যারা প্রতিরোধ করে, অপবাদ দেয় এবং ঈশ্বরের নিন্দা করে, তারা সকলেই দুষ্ট দাস এবং আগাছা হিসাবে উদঘাটিত হবে। এই ধরনের মানুষেরা সকলেই অনেক কান্নাকাটি এবং দাঁতে দাঁত ঘষে বহু বিপর্যয়ের ঢেউয়ে ভেসে যাবেন। তখনই প্রকাশিত বাক্যের বইয়ের এই ভবিষ্যদ্বাণীটি পূরণ হবে: “দেখ, মেঘবাহনে তিনি আসিতেছেন! প্রতিটি নয়ন তাঁকে দেখবে, দেখবে তারাও যারা তাঁকে বিদ্ধ করেছিল। পৃথিবীর সমস্ত মানবগোষ্ঠী তাঁর জন্য বিলাপ করবে(প্রকাশিত বাক্য ১:৭)

আমরা কিভাবে প্রভুর আবির্ভাব এবং কাজ কে স্বাগত জানাবো?

ঈশ্বরের অবতার যখন গোপনে কাজ করছেন তখন আমরা তাকে কিভাবে স্বাগত জানাবো? প্রকাশিত বাক্য ৩:২০ বলে: “দেখ, আমি দুয়ারে দাঁড়িয়ে করাঘাত করছি। যে আমার ডাক শুনে দুয়ার খুলে দেয়, আমি ভেতরে তার কাছে যাব, তার সঙ্গে পানাহার করব, সেও আমার সঙ্গে পানাহার করবে।” মথি ২৫:৬ বলে: “মাঝরাতে সাড়া পড়ে গেল, ‘দেখো, বর এসেছে, তাকে বরণ করতে এগিয়ে যাও’।” আমরা এই স্তবকগুলি থেকে দেখতে পাচ্ছি যে শেষ দিনে, ঈশ্বর আমাদের দরজায় কড়া নাড়তে তাঁর বাণী ব্যবহার করবেন, এবং তিনি ফিরে এসেছেন এই খবর আমাদের কাছে চিৎকার করে জানানোর জন্য মানুষদের ব্যবহার করবেন। সেইজন্য, যখন কেউ আমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করে, তখন আমাদের উন্মুক্ত হৃদয়ে অনুসন্ধান করা উচিত এবং ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শোনার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। যতক্ষণ আমরা এটিকে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর বলে চিনতে পারি, ততক্ষণ আমাদের অবশ্যই গ্রহণ এবং সমর্পণ করার জন্য কাল বিলম্ব না করে এগিয়ে যেতে হবে এবং শেষ দিনে ঈশ্বরের কাজের সাথে পা মিলিয়ে চলতে হবে। এভাবেই প্রভুর ফিরে আসাকে স্বাগত জানাতে হবে।

আজকাল, একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের চার্চই প্রকাশ্যে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে প্রভু গোপনে সশরীরে ফিরে এসেছেন এবং তিনিই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, শেষ দিনের খ্রীষ্ট। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর লক্ষ লক্ষ বাণী প্রকাশ করেছেন এবং তিনি ঈশ্বরের ঘর থেকে বিচারের কাজ শুরু করেন, যারা তাঁর সামনে আসে তাদের সবাইকে শুদ্ধ ও রক্ষা করেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আবির্ভূত হয়েছেন এবং প্রায় 30 বছর ধরে তাঁর কাজ সম্পাদন করছেন, এবং তিনি ইতিমধ্যেই বিজয়ীদের একটি দল তৈরি করেছেন—ঈশ্বরের বিচারের কাজ এখন শেষের কাছাকাছি এসে গেছে। সারা বিশ্বে একের পর এক বিপর্যয় ঘটছে; নোহের দিন ঘনিয়ে আসছে। আমাদের অবশ্যই জ্ঞানী কুমারী হতে হবে এবং শেষ দিনের সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজ অনুসন্ধান করার জন্য কাল বিলম্ব না করে এগিয়ে যেতে হবে, কারণ এর মাধ্যমে আমরা প্রভুকে স্বাগত জানাতে এবং বিপর্যয় আসার আগে তাঁর নাগাল পাওয়ার সুযোগ পাব। যদি আমরা ঈশ্বরের অবতারের কাজ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা ও অনুসন্ধান করতে অস্বীকার করে, আমরা মেঘের সাথে ঈশ্বরের আগমনের ধারণাকে আঁকড়ে থাকি, তাহলে প্রভু আমাদের পরিত্যাগ এবং নির্মূল করবেন, এবং বিপর্যয়ে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে এবং আমরা শাস্তি পাবো। ঠিক যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন: “অনেকে হয়তো আমি যা বলছি তার পরোয়া না করতে পারে, কিন্তু তাও আমি সকল তথাকথিত সন্ত যারা যীশুকে অনুসরণ করে তাদের বলতে চাই যে, তোমরা যখন তোমাদের নিজেদের চোখে যীশুকে স্বর্গ থেকে সাদা মেঘে চড়ে অবতীর্ণ হতে দেখবে, তা হবে ন্যায়পরায়ণতার সূর্যের জনসমক্ষে আবির্ভাব। হয়তো তোমার জন্য তা দারুণ উত্তেজনার এক মুহূর্ত হবে, তবু তোমার জানা উচিত যে, যে সময়ে তুমি স্বর্গ থেকে যীশুকে অবতীর্ণ হতে দেখবে, সেই একই সময়ে তুমিও শাস্তি ভোগ করার জন্য নরকে নিমজ্জিত হবে। সেই সময়েই ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার সমাপ্তি ঘটবে, এবং সেই সময়েই ঈশ্বর শিষ্টকে পুরস্কৃত করবেন এবং দুষ্টকে দণ্ড দেবেন। মানুষের কোনো প্রতীক দেখতে পাওয়ার আগেই ঈশ্বরের বিচার সম্পন্ন হয়ে যাবে, শুধুমাত্র সত্যের অভিব্যক্তিই থেকে যাবে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যতক্ষণে তুমি যীশুর আধ্যাত্মিক দেহ প্রত্যক্ষ করবে, ততক্ষণে ঈশ্বর স্বর্গ ও পৃথিবীকে নতুন করে তৈরি করে ফেলবেন)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

মহামারী এসেছে: কীভাবে কোন খ্রিস্টান ঈশ্বরের সুরক্ষা পাওয়ার জন্য অনুতাপ করবে?

আজকাল পৃথিবী জুড়ে অভূতপূর্ব বিপর্যয় নেমে আসছে। ভূমিকম্প, অতিমারী, বন্যা, খরা, কীট-পতঙ্গের উপদ্রব ইত্যাদি খুবই ঘন ঘন হচ্ছে, এবং, বিশেষত...

দৈনিক অধ্যয়ন: ঈশ্বরের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সহায়ক 4টি উপায়

লিখেছেন চীনের জিয়াওমো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঈশ্বরের ঘনিষ্ঠতা লাভের দ্বারা, ঈশ্বরের সাথে প্রকৃত ভাব বিনিময় দ্বারাই কেবল ঈশ্বরের সাথে একটি...

প্রভুর অনুমোদন পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করার ৩টি নীতি

রচয়িতা ঝ্যাং লিয়াং খ্রিষ্টান হিসাবে, প্রার্থনা হ’ল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ এবং ঈশ্বরের নিকটবর্তী হওয়ার সবচেয়ে সরাসরি...

মথি ২৪:২৭: পূর্বের বজ্রালোকের রহস্য অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে

লিখেছেন মিংবিয়ান সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, পূর্বের বজ্রালোক খোলাখুলিভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে অন্তিম দিনগুলিতে প্রভু যীশু সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন