ঈশ্বরের ক্রোধের উদ্রেক ঘটানোর দরুন সদোমকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করা হয়

সদোমের বাসিন্দারা যখন এই দুই সেবককে দেখে, তারা তাদের আগমনের হেতু জিজ্ঞাসা করেনি, এ-ও জিজ্ঞাসা করেনি তারা ঈশ্বরের অভিপ্রায় প্রাচারের উদ্দেশ্যে এসেছিল কিনা। বরং সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে, তারা একটা দাঙ্গাকারী জনতা গঠন করেছিল, এবং কোনো ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষা না করে, বন্য কুকুর বা হিংস্র নেকড়ের মতো তারা এই দুই সেবককে পাকড়াও করার উদ্দেশ্যে ছুটে এসেছিল। এইসবের সংঘটনকালে ঈশ্বর কি বিষয়গুলি অবলোকন করেছিলেন? মানুষের এই জাতীয় আচরণ, এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কে ঈশ্বর তাঁর অন্তরে কী ভাবছিলেন? এই নগরী ধ্বংসের বিষয়ে ঈশ্বর মনস্থির করে করে ফেলেছিলেন; তিনি দ্বিধা বা অপেক্ষা করতেন না, তিনি আর কোনো ধৈর্যও দেখাতেন না। তাঁর দিন সমাগত ছিল, আর তাই তিনি যা করতে চেয়েছিলেন সেই কার্য শুরু করলেন। সুতরাং, আদিপুস্তক ১৯:২৪-২৫ বলে, “অতঃপর যিহোবা সদোম ও ঘমোরার উপর আকাশ থেকে গন্ধক ও অগ্নি বর্ষণ করলেন; উভয় শহর, সমগ্র উপত্যকা ও সকল নগরবাসী তথা ভূমিজাত সমস্তকিছু ধ্বংস করলেন তিনি।” এই দুটি পংক্তি যে পদ্ধতিতে ঈশ্বর এই নগরী ধ্বংস করেন এবং ঈশ্বর যা-কিছু ধ্বংস করেন তার বিবরণ দেয়। বাইবেল প্রথমে স্মরণ করে যে ঈশ্বর নগরীটিকে আগুনে ভস্মীভূত করেন এবং এই আগুনের ব্যাপ্তি সকল মানুষ ও ভূমির উপর উদ্ভূত সবকিছুকে ধ্বংস করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। অর্থাৎ, আকাশ থেকে বর্ষিত এই আগুন শুধুমাত্র নগরীটিকে ধ্বংস করেনি, এর মধ্যস্থ সকল মানুষ ও জীবিত বস্তুকেও ধ্বংস করেছিল, যতক্ষণ না তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়েছিল। নগরীটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভূমিটিকে জীবন্ত বস্তু বিরহিত অবস্থায় পরিত্যক্ত হয়েছিল; সেখানে কোনো জীবন ছিল না, জীবনের চিহ্নমাত্রও ছিল না। নগরীটি জনশূন্য নিষ্ফলা প্রান্তরে পরিণত হয়, মৃত্যুকল্প স্তব্ধতায় পূর্ণ একটি রিক্ত স্থান। এই স্থানে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আর কখনো কোনো মন্দ কর্ম নিষ্পন্ন হবে না, আর কোনো হত্যাকাণ্ড বা রক্তপাত হবে না।

ঈশ্বর কেন এই নগরীকে এরকম আনুপুঙ্খিকভাবে পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন? এখানে তোমরা কী দেখতে পাও? ঈশ্বর কি সত্যিই মানুষ ও প্রকৃতিকে, তাঁর নিজের সৃষ্টিকে, এভাবে ধ্বংস হতে দেখাটা সহ্য করতে পারেন? তুমি যদি যিহোবা ঈশ্বরের রাগকে আকাশ থেকে যে আগুন নিক্ষিপ্ত হয়েছিল তা-র থেকে আলাদা করতে পারো, তাহলে, তাঁর ধ্বংসযজ্ঞের লক্ষ্যবস্তু ও নগরীটিকে যে মাত্রায় নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল তা বিচার করে, তাঁর রোষ কী ভীষণ ছিল তা অনুমান করা কঠিন হবে না। ঈশ্বর যখন একটি নগরীকে ঘৃণার চোখে দেখেন, তখন তিনি তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করেন। ঈশ্বর যখন কোনো নগরীর প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে ওঠেন, মানুষকে তাঁর রাগের বিষয়ে অবহিত করতে বারংবার সাবধানবাণী প্রেরণ করেন। কিন্তু, ঈশ্বর যখন কোনো নগরীর বিলোপ ঘটানোর ও বিনাশ করার সিদ্ধান্ত নেন—অর্থাৎ, যখন তাঁর ক্রোধ ও মহিমা আহত হয়েছে—তিনি আর কোনো শাস্তি বা সতর্কবার্তা প্রেরণ করবেন না। পরিবর্তে, তিনি সরাসরি একে ধ্বংস করবেন। একে তিনি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। এ-ই হল ঈশ্বরের ধার্মিক প্রকৃতি।

—বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর ২

পূর্ববর্তী: অনমনীয় ঈশ্বর-বিরোধিতার ফলে মানুষ ঈশ্বরের ক্রোধের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়

পরবর্তী: তাঁর প্রতি সদোমের বারংবার বৈরিতা ও প্রতিরোধের অন্তে ঈশ্বর এটিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

শয়তানকে দেখে মানবিক, ন্যায়পরায়ণ ও সদ্গুনসম্পন্ন মনে হলেও, শয়তানের সারসত্য নিষ্ঠুর ও অশুভ

মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে শয়তান তার সুনাম নির্মাণ করে, এবং নিজেকে প্রায়শই ন্যায়পরায়ণতার একজন পুরোধা তথা আদর্শ নমুনা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে।...

তৃতীয় দিবসে, ঈশ্বরের বাক্যসমূহ জন্ম দেয় পৃথিবী এবং সমুদ্রের এবং ঈশ্বরের কর্তৃত্ব বিশ্বে প্রাণসঞ্চার করে

এরপর, পাঠ করা যাক আদিপুস্তক ১:৯-১১-এর প্রথম বাক্যটি: “ঈশ্বর বললেন, আকাশের নীচে সমস্ত জলরাশি এক স্থানে সংহত হোক, প্রকাশিত হোক শুষ্ক ভূমি!”...

ষষ্ঠ দিবসে, সৃষ্টিকর্তা কথা বলেন, এবং তাঁর মনের মধ্যে থাকা প্রতিটি জীব একাদিক্রমে আবির্ভূত হয়

ইন্দ্রিয়াতীতভাবে, সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টিকার্য পাঁচ দিন ধরে অব্যাহত ছিল, ঠিক তার পরপরই সৃষ্টিকর্তা তাঁর সকল বস্তু সৃষ্টির ষষ্ঠ দিবসকে...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন