আন্তরিক অনুশোচনার মাধ্যমে মানুষ ঈশ্বরের করুণা ও সহিষ্ণুতা লাভ করে (পর্ব ১)

নীচে যে বিবরণ দেওয়া হচ্ছে তা হল বাইবেলে বর্ণিত “ঈশ্বর কর্তৃক নীনবী নগরীর পরিত্রাণ”-এর গল্প।

যোনা ১:১-২ অমিত্তয়ের পুত্র যোনার কাছে একদিন যিহোবার আদেশবাক্য পৌঁছে গেল: ওঠো, নীনবী মহানগরীতে যাও; সেখানকার অধিবাসীদের কাছে উচ্চৈস্বরে ঘোষণা করো যে তাদের দুষ্টতার কথা আমার অজানা নয়।

যোনা ৩ আবার দ্বিতীয়বার যোনার কাছে যিহোবার নির্দেশ এল: ওঠো, নীনবী মহানগরীতে যাও। আমি তোমায় যা বলে দেব, তা প্রচার করো সেই নগরীর বাসিন্দাদের কাছে। তাই যোনা উঠলেন, যিহোবার বাক্য অনুসারে নীনবীতে গেলেন। এক বিরাট নগরী এই নীনবী। এর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে তিন দিন লাগত। যোনা নগরের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলতে লাগলেন। একদিনের পথ গিয়ে ঘোষণা করলেন: চল্লিশ দিনের মধ্যে নীনবী ধ্বংস হবে। নীনবীর অধিবাসীরা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করল। অনুতাপে দগ্ধ হয়ে তারা ঠিক করল, ছোট-বড় সকলে পট্টবস্ত্র পরে উপবাস করবে। নীনবীর রাজার কাছে এই সংবাদ পৌঁছালে তিনিও সিংহাসন ছেড়ে উঠে এলেন। রাজবেশ ত্যাগ করে পট্টবস্ত্র পরিধান করে ভস্মস্তূপে গিয়ে বসলেন। সারা নীনবী নগরে তিনি ঘোষণা করলেন, মহারাজ এবং তাঁর অমাত্যবৃন্দের নির্দেশ: মানুষ, পশু, গরু কিম্বা ভেড়ার পাল—কেউ-ই কিছু খাবে না, অন্ন-জল গ্রহণ করবে না। মানুষ, পশু নির্বিশেষে সকলকেই পট্টবস্ত্র পরতে হবে এবং সকলকে একাগ্র হয়ে ঈশ্বরকে ডাকতে হবে। প্রত্যেকে কুপথ পরিহার করুক এবং দুষ্কর্ম থেকে নিবৃত্ত হোক। তাহলে হয়তো ঈশ্বর তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন, প্রশমিত হবে তাঁর ভয়ঙ্কর ক্রোধ, আমাদের আর বিনাশ ঘটবে না। ঈশ্বর তাদের আচরণ দেখলেন। তিনি দেখলেন, তারা কুপথ পরিত্যাগ করেছে। তখন ঈশ্বর তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন, তাদের আর শাস্তি দিলেন না।

যোনা ৪ এই ঘটনায় যোনা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হলেন, তিনি খুবই রেগেও গেলেন। যিহোবার কাছে প্রার্থনা করে তিনি বললেন, হে যিহোবা, দেশে থাকতে-থাকতেই কি আমি বলিনি যে তুমি এমনটি করবে? সেইজন্যই তো আমি যথাশীঘ্র সম্ভব তার্শীশে পলায়ন করলাম: কারণ আমি জানতাম, তুমি হলে এক অনুগ্রহপূর্ণ ঈশ্বর, তুমি ক্ষমাশীল ঈশ্বর, সহজে রুষ্ট হও না, তোমার করুণা অসীম, এবং মন্দের বিষয়ে তুমি অনুশোচনাময়। কাজেই, হে যিহোবা মিনতি করি, আমার প্রাণ নিয়ে নাও; বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো আমার। যিহোবা তাঁকে বললেন, তোমার এত রাগ করা কি ঠিক হচ্ছে? যোনা তখন নগর থেকে বেরিয়ে নগরের পূর্ব দিকে একটা জায়গায় গিয়ে বসলেন। সেখানে তিনি একটা চালা তৈরী করলেন আর নগরের কি দশা হয় তা দেখার জন্য তার নীচে বসে রইলেন। যিহোবা ঈশ্বর তখন একটি লাউগাছকে কাজে লাগালেন। তার ছায়াতে যোনা যেন আরামে থাকেন সেইজন্য তিনি সেটির শাখা তাঁর চালার উপর ছড়িয়ে দিলেন। তাতে যোনা খুব খুশী হলেন। কিন্তু পরের দিন ভোরে ঈশ্বরের ইচ্ছায় লাউগাছটিকে পোকায় কেটে দিল। সেটি শুকিয়ে গেল। সূর্য ওঠার পর ঈশ্বরের নির্দেশে পূর্বদিকের গরম হাওয়া শোঁ-শোঁ করে বইতে লাগল। মাথার উপর সূর্যের প্রখর তাপ যেন আগুন ছড়াতে লাগল। যোনার চেতনা লোপ পাওয়ার উপক্রম হল। তিনি তখন মৃত্যুকামনা করে বললেন, বেঁচে থাকার চেয়ে আমার মরণই শ্রেয়। ঈশ্বর তাঁকে বললেন, লাউগাছটি শুকিয়ে যাওয়ায় তোমার এত রাগ করা কি ঠিক হচ্ছে? যোনা বললেন, হ্যাঁ, রাগ হবারই কথা! এরপর আমি আর কিসের জন্য বাঁচব? আমার মরণই ভালো! যিহোবা বললেন, তুমি এই লাউগাছটির জন্য কোন পরিশ্রম করনি, এর যত্নও করনি। রাতারাতি এটি বেড়ে উঠেছিল এবং পরের দিন শুকিয়ে গেছে। এর জন্য যদি তোমার এত দুঃখ হয় তাহলে ভেবে দেখো, এই মহানগরী নীনবী, যার মধ্যে রয়েছে এক লক্ষ কুড়ি হাজারেরও বেশী মানুষ—যারা নিজেদের দক্ষিণ হস্তের সাথে বাম হাতের তফাৎ ধরতে পারে না, আর আছে অসংখ্য পশু, তাদের জন্য কি আমার মমতা থাকবে না?

নীনবী নগরীর গল্পের সংক্ষিপ্তসার

যদিও “ঈশ্বর কর্তৃক নীনবী নগরীর পরিত্রাণ”-এর গল্পটি দৈর্ঘ্যে সংক্ষিপ্ত, তবু এটি একজন মানুষকে ঈশ্বরের ধার্মিক স্বভাবের আরেকটি দিক এক ঝলক দেখার সুযোগ করে দেয়। এই দিকটি ঠিক কী নিয়ে গঠিত তা উপলব্ধি করতে হলে আমাদের অবশ্যই ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের কাছে ফিরে আসতে হবে এবং ঈশ্বরের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে অন্যতম একটিকে পুনর্নিরীক্ষণ করতে হবে যা তিনি তাঁর কার্যপ্রক্রিয়া চলাকালীন সম্পন্ন করেছিলেন।

প্রথমে এই গল্পের শুরুটা লক্ষ্য করা যাক: “অমিত্তয়ের পুত্র যোনার কাছে একদিন যিহোবার আদেশবাক্য পৌঁছে গেল: ওঠো, নীনবী মহানগরীতে যাও; সেখানকার অধিবাসীদের কাছে উচ্চৈস্বরে ঘোষণা করো যে তাদের দুষ্টতার কথা আমার অজানা নয়” (যোনা ১:১-২)। ধর্মপুস্তক থেকে গৃহিত এই অনুচ্ছেদে আমরা জানতে পারি যে যিহোবা ঈশ্বর যোনাকে নীনবী নগরীতে যেতে আদেশ করেন। কেন তিনি যোনাকে এই নগরীতে যেতে আদেশ করেন? এই বিষয়ে বাইবেলে খুব পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে: এই নগরীর মানুষদের দুষ্টতার কথা যিহোবা ঈশ্বরের কানে এসেছে, আর সেই কারণেই তিনি কী করতে চান তা তাদের কাছে ঘোষণা করার জন্য তিনি যোনাকে প্রেরণ করেন। যদিও যোনা মানুষটি কে ছিল সে বিষয়ে কিছুই লিপিবদ্ধ নেই, কিন্তু তা নিশ্চয়ই ঈশ্বরকে জানার সঙ্গে অসম্পর্কিত, আর তাই তোমাদের যোনা নামক মানুষটিকে বোঝার দরকার নেই। তোমাদের শুধু জানতে হবে ঈশ্বর যোনাকে কী করতে আদেশ করেছিলেন এবং এরকম করার পিছনে ঈশ্বরের হেতু কী ছিল।

যিহোবা ঈশ্বরের সতর্কবার্তা নীনবী নগরীতে পৌঁছায়

এবার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের দিকে যাওয়া যাক, যোনা পুস্তিকার তৃতীয় অধ্যায়: “যোনা নগরের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলতে লাগলেন। একদিনের পথ গিয়ে ঘোষণা করলেন: চল্লিশ দিনের মধ্যে নীনবী ধ্বংস হবে।” নীনবীবাসীদের জানানোর জন্য ঈশ্বর এই কথাগুলি সরাসরি যোনাকে বলেছিলেন, সুতরাং এগুলিই নিশ্চয় সেই বাক্য যা যিহোবা নীনবীবাসীদের উদ্দেশ্যে বলতে চেয়েছিলেন। এই বাক্যগুলি মানুষকে জানায় যে, ঈশ্বর এই নগরীর লোকজনকে ঘৃণা ও অপছন্দ করতে শুরু করেছিলেন কারণ তাদের অসদাচার তাঁর নজরে পড়েছিল, আর তাই তিনি এই নগরীকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নগরী ধ্বংসের আগে ঈশ্বর নীনবীবাসীদের কাছে একটা ঘোষণা করবেন, এবং একই সঙ্গে তাদের দুষ্টতার জন্য অনুশোচনা করার ও নতুন করে শুরু করার একটা সুযোগ দেবেন। এই সুযোগ কেবল চল্লিশ দিন স্থায়ী হবে, তার পরে আর নয়। বাক্যান্তরে, নগরীর অভ্যন্তরস্থ মানুষরা যদি চল্লিশ দিনের মধ্যে অনুতাপ না করতো, তাদের পাপ স্বীকার না করতো এবং যিহোবা ঈশ্বরের সামনে নিজেদের প্রণত না করতো, তাহলে যেভাবে সদোমকে ধ্বংস করেছিলেন সেভাবেই ঈশ্বর এই নগরীকেও ধ্বংস করতেন। এই কথাই যিহোবা ঈশ্বর নীনিবীর মানুষদের বলতে চেয়েছিলেন। স্পষ্টতই, এটা কোনো সহজসরল ঘোষণা ছিল না। এটি শুধু যিহোবা ঈশ্বরের রাগকেই জ্ঞাপন করেনি, নীনবীবাসীদের প্রতি তাঁর মনোভাবকেও জ্ঞাপন করেছিল, এবং একই সঙ্গে এটি এই নগরীর অন্দরে বসবাসকারী মানুষদের প্রতি একটা গুরুতর সতর্কবার্তা হিসাবেও কাজ করেছিল। এই সতর্কবার্তা তাদের জানিয়েছিল যে, তাদের মন্দ আচরণের কারণে তারা যিহোবা ঈশ্বরের ঘৃণার পাত্র হয়ে পড়েছে এবং এই আচরণ অচিরেই তাদের বিলুপ্তির কিনারায় দাঁড় করাবে। নীনবীর প্রতিটি বাসিন্দার জীবন তাই আসন্ন বিপদের সম্মুখীন ছিল।

যিহোবা ঈশ্বরের সাবধানবাণীর প্রতি নীনবী ও সদোম নগরীর প্রতিক্রিয়ার মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য

উৎখাত করা বলতে কী বোঝায়? কথ্য ভাষায়, এর অর্থ আর অস্তিত্ব না থাকা। কিন্তু কীভাবে? একটা গোটা নগরীকে কে উৎখাত করতে পারে? মানুষের পক্ষে নিশ্চয় এরকম একটা কাজ করে ওঠা অসম্ভব। নীনবীর মানুষরা নির্বোধ ছিল না; যেইমাত্র তারা এই ঘোষণা শুনলো, এর গুরুত্ব তারা অনুধাবন করলো। তারা বুঝেছিল যে এই ঘোষণা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, তারা বুঝেছিল যে ঈশ্বর তাঁর কার্য সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন, এবং তারা বুঝেছিল যে তাদের দুষ্টতা যিহোবা ঈশ্বরকে রাগান্বিত করেছে এবং তাঁর রোষকে নিজেদের উপর ডেকে এনেছে, যার ফলে তারা তাদের নগরীর সাথে শীঘ্রই বিনষ্ট হবে। যিহোবা ঈশ্বরের এই সাবধানবাণী শোনার পর নগরীর মানুষরা কেমন আচরণ করলো? নৃপতি থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত নগরবাসীরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল বাইবেলে তার সুনির্দিষ্ট বিশদ বর্ণনা আছে। ধর্মগ্রন্থে নিম্নলিখিত বাক্যগুলি লিপিবদ্ধ আছে: “নীনবীর অধিবাসীরা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করল। অনুতাপে দগ্ধ হয়ে তারা ঠিক করল, ছোট-বড় সকলে পট্টবস্ত্র পরে উপবাস করবে। নীনবীর রাজার কাছে এই সংবাদ পৌঁছালে তিনিও সিংহাসন ছেড়ে উঠে এলেন। রাজবেশ ত্যাগ করে পট্টবস্ত্র পরিধান করে ভস্মস্তূপে গিয়ে বসলেন। সারা নীনবী নগরে তিনি ঘোষণা করলেন, মহারাজ এবং তাঁর অমাত্যবৃন্দের নির্দেশ: মানুষ, পশু, গরু কিম্বা ভেড়ার পাল—কেউ-ই কিছু খাবে না, অন্ন-জল গ্রহণ করবে না। মানুষ, পশু নির্বিশেষে সকলকেই পট্টবস্ত্র পরতে হবে এবং সকলকে একাগ্র হয়ে ঈশ্বরকে ডাকতে হবে। প্রত্যেকে কুপথ পরিহার করুক এবং দুষ্কর্ম থেকে নিবৃত্ত হোক…” (যোনা ৩:৫-৯)

যিহোবা ঈশ্বরের ঘোষণা শোনার পর, নীনবীর লোকেরা সদোমের মানুষদের সম্পূর্ণ বিপরীত মনোভাব প্রদর্শন করেছিল—যেখানে সদোমের লোকেরা প্রকাশ্যে ঈশ্বরের বিরোধিতা করেছিল, পাপাচার থেকে আরো পাপাচারের দিকে অগ্রসর হয়েছিল, সেখানে এই বাক্যগুলি শোনার পর নীনবীবাসীরা বিষয়টিকে অবহেলা করেনি, এবং তারা প্রতিরোধও করেনি। পরিবর্তে তারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেছিল এবং উপবাস ঘোষণা করেছিল। এখানে “বিশ্বাস করেছিল” শব্দবন্ধটির অর্থ কী? শব্দবন্ধটি নিজে আস্থা ও সমর্পণকে ইঙ্গিত করে। এই শব্দবন্ধটি ব্যাখ্যা করতে আমরা যদি নীনবীবাসীদের প্রকৃত আচরণকে ব্যবহার করি, তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে, তারা বিশ্বাস করেছিল ঈশ্বর যেমন বলেছেন তেমন তিনি করতে পারেন ও করবেন, এবং তারা অনুতাপ করতে ইচ্ছুক ছিল। আসন্ন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে নীনবীর মানুষরা কী ভীতি অনুভব করেছিল? তাদের বিশ্বাসই তাদের হৃদয়ে ভীতি বপন করেছিল। তাহলে নীনবীবাসীদের বিশ্বাস ও ভীতিকে প্রতিপন্ন করতে আমরা কী ব্যবহার করতে পারি? বাইবেলে যা বলেছে তা হল: “… অনুতাপে দগ্ধ হয়ে তারা ঠিক করল, ছোট-বড় সকলে পট্টবস্ত্র পরে উপবাস করবে।” অর্থাৎ, নীনবীবাসীরা সত্যিই বিশ্বাস করেছিল, আর এই বিশ্বাস থেকে এসেছিল ভীতি, যেটা তখন তাদের উপবাস করা ও চটের পোশাক পরার দিকে চালিত করেছিল। এইভাবেই তারা প্রদর্শন করেছিল যে তারা অনুতাপ করতে শুরু করছে। সদোমের মানুষদের সঙ্গে প্রতিতুলনায় সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে, নীনবীবাসীরা শুধু যে ঈশ্বরের বিরোধিতা করেনি তা-ই নয়, তারা তাদের আচরণ ও কাজকর্মের মাধ্যমে তাদের অনুতাপ পরিষ্কারভাবে প্রদর্শনও করেছিল। নিঃসন্দেহে, কেবল সাধারণ মানুষ নয়, নীনবীর সকল মানুষই এরকম করেছিল—রাজাও কোনো ব্যতিক্রম ছিল না।

—বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর ২

পূর্ববর্তী: শয়তানকে দেখে মানবিক, ন্যায়পরায়ণ ও সদ্গুনসম্পন্ন মনে হলেও, শয়তানের সারসত্য নিষ্ঠুর ও অশুভ

পরবর্তী: আন্তরিক অনুশোচনার মাধ্যমে মানুষ ঈশ্বরের করুণা ও সহিষ্ণুতা লাভ করে (পর্ব ২)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

তৃতীয় দিবসে, ঈশ্বরের বাক্যসমূহ জন্ম দেয় পৃথিবী এবং সমুদ্রের এবং ঈশ্বরের কর্তৃত্ব বিশ্বে প্রাণসঞ্চার করে

এরপর, পাঠ করা যাক আদিপুস্তক ১:৯-১১-এর প্রথম বাক্যটি: “ঈশ্বর বললেন, আকাশের নীচে সমস্ত জলরাশি এক স্থানে সংহত হোক, প্রকাশিত হোক শুষ্ক ভূমি!”...

প্রথম দিবসে, ঈশ্বরের কর্তৃত্বের বদান্যতায় মানবজাতির দিন এবং রাতের সূচনা হয় এবং অবিচল থাকে

প্রথম অনুচ্ছেদটির প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাকঃ: “ঈশ্বর বললেন, দীপ্তি হোক! দীপ্তির হল আবির্ভাব। ঈশ্বর দেখলেন, চমৎকার এই দীপ্তি। অন্ধকার থেকে...

চতুর্থ দিবসে, ঈশ্বর আবার তাঁর কর্তৃত্ব প্রয়োগ করায় মানবজাতির বিভিন্ন ঋতু, দিন এবং বছরগুলি সৃষ্টি হয়

সৃষ্টিকর্তা তাঁর পরিকল্পনা সম্পাদনের জন্য তাঁর বাক্যসমূহের ব্যবহার করেছিলেন, এবং এইভাবে তিনি তাঁর পরিকল্পনার প্রথম তিন দিবস অতিবাহিত...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন