ঈশ্বরের পরীক্ষাগুলি গ্রহণ করো, শয়তানের প্রলোভনগুলি অতিক্রম করো, এবং ঈশ্বরকে তোমার সমগ্র সত্তা অর্জন করতে দাও

ঈশ্বরের স্থায়ী বিধান এবং মানুষের সমর্থনের কাজ করার সময়, তিনি মানুষের কাছে তাঁর ইচ্ছা এবং প্রয়োজনীয়তাগুলির সম্পূর্ণতার বিষয়ে বলেন এবং তাঁর কাজ, স্বভাব এবং তাঁর যা আছে এবং তিনি যা, তা মানুষের কাছে দেখান। উদ্দেশ্য হল মানুষকে মর্যাদা দিয়ে সজ্জিত করা, এবং মানুষকে ঈশ্বরের অনুসরণ করার সময় তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সত্য অর্জন করানো—সেই সব সত্য যা শয়তানের সঙ্গে লড়াই করার জন্য মানুষকে ঈশ্বরের প্রদত্ত অস্ত্র। এইভাবে সজ্জিত হয়ে, মানুষকে ঈশ্বরের পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য ঈশ্বরের অনেক উপায় এবং পন্থা রয়েছে, কিন্তু সেগুলির প্রতিটির জন্য ঈশ্বরের শত্রু শয়তানের “সহযোগিতা” প্রয়োজন। এর অর্থ হল, শয়তানের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মানুষকে অস্ত্র দেওয়ার পরে, ঈশ্বর মানুষকে শয়তানের হাতে তুলে দেন এবং শয়তানকে মানুষের উচ্চতা “পরীক্ষা” করার অনুমতি দেন। মানুষ যদি শয়তানের যুদ্ধের সৈন্যবিন্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, যদি সে শয়তানের ঘেরাটোপ থেকে বাঁচতে পারে এবং তারপরেও বেঁচে থাকতে পারে, তাহলে মানুষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। কিন্তু মানুষ যদি শয়তানের যুদ্ধের সৈন্যবিন্যাস ত্যাগ করতে ব্যর্থ হয় এবং শয়তানের বশ্যতা স্বীকার করে, তাহলে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে না। ঈশ্বর মানুষের যে বিশেষ দিকেরই পরীক্ষা করুন না কেন, তাঁর পরীক্ষার মানদণ্ডগুলি হল, শয়তানের দ্বারা আক্রান্ত হলে মানুষ তার সাক্ষ্যে অটল থাকে কি না, এবং শয়তানের ফাঁদে পড়ে সে ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করেছে কি না আর শয়তানের কাছে আত্মসমর্পণ এবং পরাজয় স্বীকার করেছে কি না। বলা যেতে পারে যে, মানুষকে রক্ষা করা যাবে কি না তা নির্ভর করে সে শয়তানকে অতিক্রম ও পরাস্ত করতে পারবে কি না তার উপর, এবং সে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবে কি না তা নির্ভর করে এর উপর যে সে নিজে সেই অস্ত্রগুলো উত্তোলন করতে সক্ষম কিনা, যেগুলো শয়তানের দাসত্ব কাটিয়ে ওঠার জন্য ঈশ্বর তাকে দিয়েছিলেন, যাতে শয়তান সম্পূর্ণরূপে আশা ত্যাগ করে এবং তাকে একা ছেড়ে দেয়। শয়তান যদি আশা ত্যাগ করে এবং কাউকে পরিত্যাগ করে, এর অর্থ হল শয়তান আর কখনও এই ব্যক্তিকে ঈশ্বরের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে না, আর কখনও সেই ব্যক্তিকে দোষারোপ এবং তার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না, আবার কখনও তাদের উপর যথেচ্ছাপূর্বক অত্যাচার বা আক্রমণ করবে না; শুধুমাত্র এই ধরনের কেউ একজনই প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বর দ্বারা অর্জিত হবে। এই হল সেই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ঈশ্বর মানুষকে অর্জন করেন।

—বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, ঈশ্বরের কর্ম, ঈশ্বরের স্বভাব এবং স্বয়ং ঈশ্বর ২

পূর্ববর্তী: ঈশ্বরের ইয়োবকে শয়তানের হাতে তুলে দেওয়া এবং ঈশ্বরের কাজের লক্ষ্যের মধ্যে সম্পর্ক

পরবর্তী: ইয়োবের সাক্ষ্যের দ্বারা পরবর্তী প্রজন্মকে দেওয়া সতর্কবাণী ও আলোকপ্রাপ্তি

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বর হবাকে সৃষ্টি করলেন

আদিপুস্তক ২:১৮-২০ তারপর প্রভু পরমেশ্বর বললেন, মানুষের একা থাকা ভাল নয়, আমি তাকে তার যোগ্য এক সঙ্গিনী দেব। প্রভু পরমেশ্বর মৃত্তিকা থেকে...

ষষ্ঠ দিবসে, সৃষ্টিকর্তা কথা বলেন, এবং তাঁর মনের মধ্যে থাকা প্রতিটি জীব একাদিক্রমে আবির্ভূত হয়

ইন্দ্রিয়াতীতভাবে, সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টিকার্য পাঁচ দিন ধরে অব্যাহত ছিল, ঠিক তার পরপরই সৃষ্টিকর্তা তাঁর সকল বস্তু সৃষ্টির ষষ্ঠ দিবসকে...

প্রথম দিবসে, ঈশ্বরের কর্তৃত্বের বদান্যতায় মানবজাতির দিন এবং রাতের সূচনা হয় এবং অবিচল থাকে

প্রথম অনুচ্ছেদটির প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাকঃ: “ঈশ্বর বললেন, দীপ্তি হোক! দীপ্তির হল আবির্ভাব। ঈশ্বর দেখলেন, চমৎকার এই দীপ্তি। অন্ধকার থেকে...

আদমের প্রতি ঈশ্বরের আদেশ

আদিপুস্তক ২:১৫-১৭ প্রভু পরমেশ্বর মানুষকে এদন উদ্যানে কৃষিকর্ম ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত করলেন। প্রভু পরমেশ্বর মানুষকে নির্দেশ দিলেন,...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন