চতুর্থ দিবসে, ঈশ্বর আবার তাঁর কর্তৃত্ব প্রয়োগ করায় মানবজাতির বিভিন্ন ঋতু, দিন এবং বছরগুলি সৃষ্টি হয়

সৃষ্টিকর্তা তাঁর পরিকল্পনা সম্পাদনের জন্য তাঁর বাক্যসমূহের ব্যবহার করেছিলেন, এবং এইভাবে তিনি তাঁর পরিকল্পনার প্রথম তিন দিবস অতিবাহিত করেছিলেন, ঈশ্বরকে ব্যতিব্যস্ত হতে কিংবা নিজেকে পরিশ্রান্ত করে ফেলতে দেখা যায়নি; পক্ষান্তরে, তিনি তাঁর পরিকল্পনার প্রথম তিন দিন অত্যন্ত চমৎকারভাবে কাটিয়েছিলেন, এবং বিশ্বচরাচরের আমূল রূপান্তরের আরব্ধ মহান কর্ম অর্জন করেছিলেন। তাঁর দৃষ্টির সম্মুখে সম্পূর্ণ নতুন এক বিশ্বের আবির্ভাব ঘটেছিল, এবং, তাঁর চিন্তার মধ্যে নিহিত অপরূপ চিত্রটি অবশেষে, একাদিক্রমে ঈশ্বরের বাক্যসমূহে প্রকাশ পেল। প্রতিটি নতুন বস্তুর আবির্ভাব ছিল এক নবজাতকের জন্মসম, এবং সৃষ্টিকর্তা একসময় তাঁর চিন্তার মধ্যে নিহিত থাকা, অথচ এখন প্রাণপ্রতিষ্ঠ চিত্রটি উপভোগ করেছিলেন। এই সময়ে, তাঁর হৃদয়ে কিঞ্চিৎ পরিতৃপ্তি জাগে বটে, কিন্তু তখন তাঁর পরিকল্পনা সবেমাত্র আরম্ভ হয়েছিল। এক পলকে এক নতুন দিবসের আবির্ভাব ঘটেছিল—এবং কী ছিল সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনার পরবর্তী পৃষ্ঠায়? তিনি কী বলেছিলেন? কীভাবে তিনি তাঁর কর্তৃত্বের প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন? ইতিমধ্যে, এই নতুন পৃথিবীতে নতুন আর কী কী বস্তুর আগমন ঘটেছিল? সৃষ্টিকর্তার পথপ্রদর্শন অনুসরণ করে, আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় ঈশ্বরের সকলকিছু সৃষ্টির চতুর্থ দিবসের উপর, যা ছিল আরও এক নতুন সূচনা। অবশ্যই, সৃষ্টিকর্তার জন্য তা ছিল নিঃসন্দেহে আরও এক চমৎকার দিন, এবং তা ছিল আজকের মানবজাতির জন্যও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি দিবস। অবশ্যই দিনটির মূল্য ছিল অপরিমেয়। কীভাবে এটি চমৎকার ছিল, কীভাবে এটি এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আর কীভাবে এর মূল্য অপরিমেয় ছিল? প্রথমেই শ্রবণ করা যাক সৃষ্টিকর্তা কথিত বাক্যগুলি …

“ঈশ্বর বললেন, রাত্রি থেকে দিনকে পৃথক করার জন্য আকাশ মণ্ডলে সৃষ্ট হোক জ্যোতিষ্করাজি। সেগুলি চিহ্ন, দিন, ঋতু ও বর্ষের সূচনা করবে। পৃথিবীতে আলোক বিতরণের জন্য সেগুলি আকাশে প্রতিষ্ঠিত হোক আলোকবর্তিকারূপে!” (আদিপুস্তক ১:১৪-১৫)। তা ছিল ঈশ্বরের কর্তৃত্বের আরও এক প্রয়োগ যা তাঁর শুষ্ক ভূমি ও তাতে উদ্ভিদরাশি সৃষ্টির পর প্রাণীসমূহ দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ঈশ্বরের কাছে, এহেন একটি কার্য নির্বাহ করা ছিল তাঁর পূর্বে সম্পাদিত কার্যের মতই সহজ, কারণ ঈশ্বর এমনই ক্ষমতার অধিকারী; ঈশ্বর তাঁর বাক্যসমূহের মতই উত্তম, এবং তাঁর বাক্য সাধিত হবে। ঈশ্বর আলোকে আকাশে আবির্ভূত হওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন, এবং এই আলোকরাশি যে শুধু আকাশ আর পৃথিবীর উপরিভাগকে আলোকিত করেছিল তা-ই নয়, সেগুলি ছিল দিবস ও রাত্রির, বিভিন্ন ঋতুর এবং বছরের চিহ্নও। এইভাবে, ঈশ্বর তাঁর বাক্যসমূহ বলার সাথে সাথেই ঈশ্বর যা যা কার্য সম্পাদন করতে চেয়েছিলেন তার প্রতিটিই ঈশ্বরের অর্থ অনুযায়ী এবং ঈশ্বর দ্বারা নিযুক্ত পন্থায় পূর্ণ হয়েছিল।

আকাশের আলোকরাশি হল আকাশের সেই বস্তু যা আলোক বিকিরণ করতে পারে; এগুলি আকাশ, স্থলভূমি ও জলরাশি আলোকিত করতে পারে। এগুলি ঈশ্বর দ্বারা আদিষ্ট ছন্দ ও কম্পনাঙ্ক অনুযায়ী আবর্তিত হয়, এবং স্থলভূমির বিভিন্ন অংশকে সুনির্দিষ্ট সময়াকালে আলোকিত করে, আর এইভাবে আলোর এই আবর্তন চক্রের ফলে ভূভাগের পূর্বে ও পশ্চিমে সৃষ্টি হয় দিন ও রাতের, আর এগুলি যে শুধু দিন ও রাতেরই চিহ্ন তা-ই নয়, বরং এই বিভিন্ন চক্রের মধ্য দিয়ে এগুলি মানবজাতির বিভিন্ন উৎসব ও বিশেষ দিনগুলিকেও চিহ্নিত করে। এগুলি হল ঈশ্বর দ্বারা নিযুক্ত বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ ও শীত—এই চারটি ঋতুর নিখুঁত পরিপূরক ও আনুষঙ্গিক, যেগুলির সঙ্গে একত্রে এই আলোকরাশি সুষমভাবে মানবজাতির চান্দ্রতিথি, সৌরতিথি ও বর্ষের নিয়মিত ও যথাযথ চিহ্ন হিসাবেও কাজ করে। যদিও কৃষিকার্যের উদ্ভবের পরেই মানবজাতি চান্দ্রতিথি, সৌরতিথি ও বর্ষকে উপলব্ধি করতে ও এগুলির সম্মুখীন হতে শুরু করেছিল, কার্যত চান্দ্রতিথি, সৌরতিথি ও বর্ষগুলি, যা আজ মানবজাতি উপলব্ধি করে, সেগুলির উৎপন্ন হওয়া আরম্ভ হয়েছিল বহুপূর্বেই, ঈশ্বরের সমস্তকিছু সৃষ্টির চতুর্থ দিবসেই, এবং মানুষের পরিচিত বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ ও শীত ঋতুর পরিবর্তনশীল চক্রও বহুপূর্বেই, ঈশ্বরের সকলকিছু সৃষ্টির চতুর্থ দিবসেই, আরম্ভ হয়ে গিয়েছিল। ঈশ্বর-সৃষ্ট আলোকরাশি মানুষকে নিয়মিত, যথাযথভাবে ও সুস্পষ্টরূপে দিন ও রাতের মধ্যে পার্থক্য করতে, আর তিথি গণনা করতে, এবং স্পষ্টভাবে চান্দ্রপক্ষ ও বর্ষের হিসাব রাখতে সক্ষম করেছিল। (পূর্ণিমাতিথিটি ছিল এক মাসের সমাপ্তি, এবং এর থেকে মানুষ জানত যে আলোকরাশির প্রদীপ্তি এক নতুন চক্রের পুনরায় আবর্তন ঘটবেবে; শুক্লপক্ষে প্রথমা তিথিটি ছিল এক পক্ষকালের সমাপ্তি, যা মানুষকে জানাতো যে এক নতুনচান্দ্রপক্ষের সূচনা হতে চলেছে, যা থেকে সে কতগুলি তিথি নিয়ে একটি চান্দ্রপক্ষ হয়, কত চান্দ্রপক্ষে এক ঋতু এবং এক বছরে কতগুলি ঋতু হয়, তা অনুমান করতে পারতো, এবং এই সকলই প্রকাশিত হতো অত্যন্ত ধারাবাহিকতা-সহ।) তাই মানুষ খুব সহজেই আলোকরাশির আবর্তন দ্বারা চিহ্নিত চান্দ্রপক্ষ, তিথি ও বর্ষের হিসাব রাখতে পারতো। এই সময়ে থেকে, মানবজাতি এবং সকল বস্তু নিজেদের অজান্তেই রাত্রি ও দিবসের সুশৃঙ্খল পরিবর্তন তথা আলোকরাশির আবর্তনের দ্বারা উৎপন্ন ঋতু-পরিবর্তনের মধ্যে বসবাস করতো। এ-ই ছিল চতুর্থ দিবসে সৃষ্টিকর্তার আলোকরাশি সৃষ্টির তাৎপর্য। অনুরূপভাবে, সৃষ্টিকর্তার এই কার্যের লক্ষ্য ও তাৎপর্য তখনও তাঁর কর্তৃত্ব ও শক্তি থেকে অবিচ্ছেদ্য ছিল। এবং সেহেতু, ঈশ্বর-সৃষ্ট আলোক, এবং মানুষের কাছে সেগুলি খুব শীঘ্রই যে মূল্য বহন করে আনতে চলেছিল, তা ছিল সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব-বলবৎ করার উদ্দেশ্যেই গৃহীত অপরও একটি সুদক্ষ পদক্ষেপ।

এই নতুন পৃথিবীতে, যেখানে তখনও মানবজাতির আবির্ভাব ঘটেনি, সেখানে সৃষ্টিকর্তা শীঘ্রই যে নতুন জীবন সৃষ্টি করতে চলেছিলেন তার জন্য তিনি প্রস্তুত করেছিলেন সন্ধ্যা ও সকাল, গগনমণ্ডল, স্থলভূমি ও জলরাশি, তৃণভূমি, উদ্ভিদরাশি ও বিবিধ বৃক্ষরাজি, এবং আলোকরাশি, ঋতুকাল, দিবস ও বর্ষ। সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব ও শক্তি ব্যক্ত হয়েছিল তাঁর সৃজিত প্রতিটি নতুন বস্তুর মধ্যে, এবং তাঁর বাক্যসমূহ উচ্চারিত হাওয়ামাত্র তা অর্জিত হয়েছিল, ন্যূনতম ব্যত্যয় ছাড়াই, সামান্যতম বিরতি ছাড়াই। এই সকল নতুন বস্তুর আবির্ভাব তথা উৎপন্ন হওয়া ছিল সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব ও শক্তির প্রমাণ: তিনি তাঁর বাক্যসমূহের মতই উত্তম, এবং তাঁর বাক্যসমূহ অর্জিত হবে, আর তাঁর অর্জিত সকলকিছুই চিরস্থায়ী হয়। এই বাস্তব কখনোই বদলায়নি: যেমনটা অতীতে ছিল, তেমনটাই আজও রয়েছে, এবং ঠিক তেমনটাই রয়ে যাবে অনন্তকাল যাবৎ। শাস্ত্রের সেইসব বাক্যের দিকে আরও একবার দৃকপাত করলে, সেগুলি কি তোমাদের কাছে নতুন হিসাবে প্রতিভাত হয়? তোমরা কি নতুন কোনো বিষয়বস্তু চাক্ষুষ করলে, এবং নতুন কোনোকিছু আবিষ্কার করলে? এর কারণ হল সৃষ্টিকর্তার কর্মসমূহ তোমাদের অন্তঃকরণ আলোড়িত করেছে, এবং তাঁর কর্তৃত্ব ও শক্তি সম্পর্কে তোমাদের জ্ঞানের দিশায় পরিচালিতকরেছে, এবং অবারিত করেছে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে তোমাদের উপলব্ধির দুয়ার, এবং তাঁর কর্ম ও কর্তৃত্ব এই বাক্যগুলিতে প্রাণসঞ্চার করেছে। তাই এই সকল বাক্যে মানুষ সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্বের এক বাস্তব, প্রাণবন্ত অভিব্যক্তি চাক্ষুষ করেছে, প্রকৃতপক্ষেই সাক্ষী থেকেছে সৃষ্টিকর্তার আধিপত্যের, এবং চাক্ষুষ করেছে সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব ও শক্তির অসাধারণত্ব।

সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব ও শক্তি একাদিক্রমে অলৌকিল ঘটনাবলী সংঘটন করে চলে; তিনি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেন, এবং মানুষ তাঁর কর্তৃত্বের প্রয়োগ-সঞ্জাত চমকপ্রদ কীর্তিসমূহের দিকে মন্ত্রমুগ্ধের মত চেয়ে থাকে। তাঁর বিস্ময়কর শক্তি একের পর এক পুলক এনে দেয়, আর মানুষের চোখ ঝলসে যায়, তারা আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়ে, প্রশংসায় শিহরিত হয়, বিস্মিত ও উল্লসিত হয়; উপরন্তু, মানুষ দৃশ্যতই উতলা হয়েছে এবং তার অন্তরে উৎপন্ন হয়েছে শ্রদ্ধা, সম্মানবোধ ও আশ্লেষ। সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব এবং কর্মসমূহ মানুষের আত্মায় এক প্রবল তথা পরিশোধনমূলক প্রভাব ফেলে, উপরন্তু, সেগুলি মানুষের আত্মাকে তৃপ্ত করে। তাঁর প্রতিটি চিন্তা, তাঁর প্রতিটি উচ্চারণ, এবং তাঁর কর্তৃত্বের প্রতিটি উদ্ঘাটনই হল সকলকিছুর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম শিল্পকর্ম, এবং তা হল সৃষ্ট মানবজাতির সুগভীর উপলব্ধি ও জ্ঞানের যোগ্যতম এক মহান উদ্যোগ। আমরা যখন সৃষ্টিকর্তার প্রতিটি বাক্য দ্বারা জাত প্রতিটি জীবকে গণনা করি, আমাদের আত্মা আকৃষ্ট হয় ঈশ্বরের শক্তির চমকপ্রদতার প্রতি, এবং আমরা সৃষ্টিকর্তার পদচিহ্ন অনুসরণ করে উপনীত হই পরবর্তী দিবসটিতে: ঈশ্বরের সকলকিছু সৃষ্টির পঞ্চম দিবসে।

—বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর ১

পূর্ববর্তী: তৃতীয় দিবসে, ঈশ্বরের বাক্যসমূহ জন্ম দেয় পৃথিবী এবং সমুদ্রের এবং ঈশ্বরের কর্তৃত্ব বিশ্বে প্রাণসঞ্চার করে

পরবর্তী: পঞ্চম দিবসে, বিবিধ এবং বৈচিত্র্যময় গঠনের জীবন বিভিন্ন উপায়ে সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব প্রদর্শন করে

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

তৃতীয় দিবসে, ঈশ্বরের বাক্যসমূহ জন্ম দেয় পৃথিবী এবং সমুদ্রের এবং ঈশ্বরের কর্তৃত্ব বিশ্বে প্রাণসঞ্চার করে

এরপর, পাঠ করা যাক আদিপুস্তক ১:৯-১১-এর প্রথম বাক্যটি: “ঈশ্বর বললেন, আকাশের নীচে সমস্ত জলরাশি এক স্থানে সংহত হোক, প্রকাশিত হোক শুষ্ক ভূমি!”...

মানবজাতির জন্য ঈশ্বর যে দৈনন্দিন খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুত করেন (পর্ব ২)

আমরা এখন কী কী বিষয়ে আলোচনা করলাম? আমরা আলোচনা শুরু করেছিলাম মানবজাতির বসবাসের পরিবেশ নিয়ে, এবং ঈশ্বর সেই পরিবেশের জন্য কী করেছিলেন ও তিনি...

দ্বিতীয় দিবসে, ঈশ্বরের কর্তৃত্ব জলরাশির আয়োজন করে, এবং তৈরি করে নভোমণ্ডল এবং মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে মৌলিক একটি স্থান আবির্ভূত হয়

বাইবেলের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদটি পাঠ করা যাক: “ঈশ্বর বললেন, সৃষ্ট হোক নভোমণ্ডল, বিভক্ত করুক জলরাশিকে! ঈশ্বর এইভাবে নভোমণ্ডল সৃষ্টি করে তার...

ঈশ্বর হবাকে সৃষ্টি করলেন

আদিপুস্তক ২:১৮-২০ তারপর প্রভু পরমেশ্বর বললেন, মানুষের একা থাকা ভাল নয়, আমি তাকে তার যোগ্য এক সঙ্গিনী দেব। প্রভু পরমেশ্বর মৃত্তিকা থেকে...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন