ঈশ্বরের স্বরূপ অদ্বিতীয়, এবং তোমাদের বহু-ঈশ্বরবাদের ধারণাকে মান্য করা উচিত নয়
শয়তানের দক্ষতা ও সামর্থ্য যদিও মানুষের অপেক্ষা বেশি, যদিও সে মানুষের অসাধ্য কাজকর্ম সম্পাদনে সক্ষম, কিন্তু শয়তানের এইসব কার্যকলাপকে তুমি ঈর্ষা করো কিম্বা এগুলি সম্পাদনের বাসনা পোষণ করো বা না করো, এই সব কাজকর্মকে তুমি ঘৃণা করো কিম্বা এগুলির প্রতি বিতৃষ্ণা বোধ করো না করো, এই কাজকর্মগুলি প্রত্যক্ষ করতে তুমি সমর্থ হও বা না হও, এবং শয়তান যত সাফল্যই লাভ করুক, বা যত বেশি সংখ্যক মানুষকে প্রতারিত করে তাদের দিয়ে সে নিজের উপাসনা ও আরাধনা করাক না কেন, এবং যেভাবেই তুমি তাকে সংজ্ঞায়িত করো না কেন, তুমি সম্ভবত এটা বলতে পারো না যে শয়তান ঈশ্বরের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী। তোমার জানা উচিত যে ঈশ্বর হলেন ঈশ্বরই, কেবল একজন মাত্র ঈশ্বরই রয়েছেন, এবং তদুপরি, তোমার জানা উচিত যে একমাত্র ঈশ্বরেরই কর্তৃত্ব আছে, একমাত্র ঈশ্বরই সকলকিছুকে নিয়ন্ত্রণ ও শাসন করার ক্ষমতার অধিকারী। শুধুমাত্র এই কারণে যে শয়তানের মানুষকে প্রতারিত করার ও ঈশ্বরকে নকল করার ক্ষমতা রয়েছে, সে ঈশ্বরের অলৌকিক ও বিস্ময়কর কার্যাদি অনুকরণ করতে পারে, এবং সে ঈশ্বরের অনুরূপ কাজকর্ম সম্পন্ন করেছে, তাই ভ্রান্তিবশত তুমি বিশ্বাস করে বসো যে ঈশ্বর অনন্য নন, একাধিক ঈশ্বর রয়েছে, মনে করো যে এই বিভিন্ন ঈশ্বরগুলির দক্ষতার ক্ষেত্রেই কেবল কিছু তারতম্য রয়েছে, এবং ভেবে বসো যে এই ঈশ্বরগুলির অধিকৃত ক্ষমতার পরিসরের ক্ষেত্রেও কিছু পার্থক্য রয়েছে। তাদের মাহাত্ম্যকে তুমি বিন্যস্ত করো তাদের আবির্ভাবের ক্রম অনুসারে এবং তাদের যুগ অনুযায়ী, এবং তুমি ভুলবশতঃ বিশ্বাস করো যে ঈশ্বরের পাশাপাশি অন্য আরো দেবদেবীও আছে, এবং ভাবো যে ঈশ্বরের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা অনন্য নয়। তোমার যদি এজাতীয় ধারণা থেকে থাকে, যদি তুমি ঈশ্বরের অনন্যতাকে উপলব্ধি না করো, যদি তোমার এই বিশ্বাস না থাকে যে একমাত্র ঈশ্বরই কর্তৃত্বের অধিকারী, এবং তুমি যদি কেবল বহু-ঈশ্বরবাদকেই মেনে চলো, তাহলে আমি বলবো যে তুমি সৃষ্টজীবের মধ্যে আবর্জনা মাত্র, শয়তানের সত্যিকারের মূর্ত প্রতিরূপ, এবং দুষ্টতার তুমি চূড়ান্ত প্রতিমূর্তি! এই কথাগুলো বলে তোমাদের আমি যা শেখাতে চাইছি তা কি তোমরা বুঝতে পারছো? স্থান, কাল, বা তোমার পটভূমি যেমনই হোক, তুমি অবশ্যই কখনো ঈশ্বরকে অন্য কোনো মানুষ, জিনিস, বা বস্তুর সঙ্গে মিলিয়ে ফেলবে না। ঈশ্বরের কর্তৃত্ব ও স্বয়ং ঈশ্বরের সারসত্যকে তোমার যতোই অজ্ঞেয় ও অনভিগম্য বলে মনে হোক না কেন, শয়তানের কাজকর্ম ও কথাবার্তা তোমার পূর্বধারণা ও কল্পনার সাথে যতোই সঙ্গতিপূর্ণ হোক না কেন, এগুলি তোমার কাছে যতোই তৃপ্তিকর হোক না কেন, বোকামি কোরো না, এই ধারণাগুলিকে গুলিয়ে ফেলো না, ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার কোরো না, ঈশ্বরের পরিচয় ও মর্যাদাকে অস্বীকার কোরো না, ঈশ্বরকে বহিষ্কৃত করে ও শয়তানকে এনে তোমার অন্তরে তাঁর জায়গায় বসিয়ে তাকে তোমার ঈশ্বর করে তুলো না। এরকম করার ফলশ্রুতিগুলি কল্পনা করতে তোমরা যে সক্ষম সে বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই!
—বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর ১