যিনি সৃষ্টিকর্তার পরিচয়ের অধিকারী, একমাত্র সেই ঈশ্বরই অনন্য কর্তৃত্ব ধারণ করেন

শয়তানের বিশেষ পরিচয়ের কারণে অনেক মানুষ তার বিভিন্ন দিকের উদ্ভাসের ব্যাপারে তীব্র কৌতূহল প্রদর্শন করে। এমনকি এমন অনেক নির্বোধ মানুষও আছে যারা ভাবে, ঈশ্বরের সাথেসাথে শয়তানও কর্তৃত্বের অধিকারী, কারণ শয়তান অলৌকিক ঘটনা প্রদর্শনে, এবং মানবজাতির অসাধ্য কর্ম সম্পাদনে সক্ষম। তাই, ঈশ্বরের আরাধনা করার পাশাপাশি মানবজাতি শয়তানের জন্যও তার অন্তরে একটা স্থান সংরক্ষিত করে রাখে, এবং এমনকি ঈশ্বর জ্ঞানে শয়তানের উপাসনাও করে। এই মানুষগুলি একই সঙ্গে করুণা ও ঘৃণার যোগ্য। তাদের অজ্ঞানতার কারণে তারা করুণার উদ্রেগকারী, এবং তাদের উৎপথগমন ও মজ্জাগত দুষ্ট উপাদানের কারণে তারা ঘৃণ্য। এই পর্যায়ে এসে, আমার মনে হয় কর্তৃত্ব কী, তা কী চিহ্নিত করে, এবং তা কীসের পরিচায়ক, এগুলি তোমাদের জানানোটা আবশ্যক। ব্যাপক অর্থে, স্বয়ং ঈশ্বরই কর্তৃত্ব, তাঁর কর্তৃত্ব ঈশ্বরের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ও সারসত্যকে চিহ্নিত করে, এবং স্বয়ং ঈশ্বরের কর্তৃত্ব ঈশ্বরের মর্যাদা ও স্বরূপের পরিচায়ক। যেহেতু বিষয়টি এরকম, তাহলে শয়তান কি একথা বলার স্পর্ধা রাখে যে সে নিজেই ঈশ্বর? শয়তান কি এমন দাবি করার স্পর্ধা রাখে যে সেই সকলকিছুর স্রষ্টা, এবং সকলকিছুর উপর সার্বভৌমত্ব ধারণ করে? অবশ্যই পারে না! কারণ সকলকিছুর সৃজন ঘটাতে সে অক্ষম; আজ পর্যন্ত, ঈশ্বর-সৃষ্ট কোনো কিছুই সে কখনো তৈরি করেনি, এবং জীবন আছে এমন কিছুও কখনো সৃষ্টি করেনি। যেহেতু শয়তানের ঈশ্বরের কর্তৃত্ব নেই, তাই সম্ভবত কখনোই ঈশ্বরের মর্যাদা ও স্বরূপের অধিকার লাভ করা তার পক্ষে কখনোই সম্ভব হবে না, এবং এটি তার সারসত্যের দ্বারাই নির্ধারিত। শয়তানের কি ঈশ্বরের সমান ক্ষমতা আছে? অবশ্যই নেই! শয়তানের ক্রিয়াকলাপ ও অলৌকিকতার প্রদর্শনকে কী বলা যায়? তা কি ক্ষমতা? একে কি কর্তৃত্ব বলা চলে? নিশ্চিতভাবেই না! শয়তান মন্দের প্রবাহকে দিকনির্দেশনা দান করে, এবং ঈশ্বরের কার্যের প্রতিটি দিকে বিপর্যয়, হানি, ও ব্যাঘাতের সৃষ্টি করে। মানবজাতিকে কলুষিত ও অপপ্রযুক্ত করা, এবং মানুষ যাতে মৃত্যুর ছায়াচ্ছন্ন উপত্যকার অভিমুখে এগিয়ে চলে সেই উদ্দেশ্যে মানুষকে ভ্রষ্টাচারের দিকে ও ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করার দিকে প্রলুব্ধ ও প্রতারিত করা ছাড়া, বিগত হাজার হাজার বছর ধরে শয়তান এমন কিছু কি করেছে যা মানুষের কাছে যৎসামান্যও স্মরণে রাখার, প্রশংসা করার, বা সযত্নে লালন করার যোগ্য? শয়তান যদি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী হতো, তাহলে কি মানবজাতি তার দ্বারা ভ্রষ্ট হতো? শয়তানের যদি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা থাকতো, মানবজাতি কি তবে তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতো? শয়তানের যদি ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব থাকতো, তাহলে কি মানুষ ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করে মৃত্যুর দিকে মুখ ফেরাতো? শয়তানের যেহেতু কোনো কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা নেই, তাই তার সকল ক্রিয়াকর্মের সারসত্যের সম্বন্ধে আমাদের কোন সিদ্ধান্তে আসা উচিত? কিছু মানুষ আছে যারা শয়তানের সকল কাজকর্মকে নেহাতই চালাকি বলে সংজ্ঞায়িত করে থাকে, কিন্তু আমার মনে হয় এরকম একটি সংজ্ঞা ঠিক যথোপযুক্ত নয়। মানবজাতিকে কলুষিত করার লক্ষ্যে শয়তানের সকল মন্দ কাজকর্ম কি নিছকই চালাকি? যে দুষ্ট শক্তির সাহায্যে শয়তান ইয়োবের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিল, এবং ইয়োবকে নিগৃহীত ও গ্রাস করার জন্য তার যে তীব্র লালসা, সম্ভবত তা নিছক চাতুরীর দ্বারা অর্জনসাধ্য ছিল না। পিছন ফিরে দেখলে, ইয়োবের মালিকানাধীন যে পশুর পাল পাহাড়-পর্বত ছাড়িয়ে দূরদূরান্তে বিচরণ করতো, এক লহমায় তা বিলুপ্ত হয়ে গেল; এক মুহূর্তের মধ্যে, ইয়োবের বিপুল ঐশ্বর্য অন্তর্হিত হল। এটি কি নিছক চালাকির দ্বারা করে ওঠা সম্ভব ছিল? শয়তানের সকল কাজের প্রকৃতিই অনিষ্ট সাধন, বাধাসৃষ্টি, বিনষ্টিকরণ, ক্ষতিসাধন, দুষ্টতা, বিদ্বেষপরায়ণতা, এবং তমসার মতো নেতিবাচক শব্দের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ও মানানসই, আর তাই যাবতীয় অধার্মিকতা ও মন্দের সংঘটন অমোঘভাবে শয়তানের কর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত, এবং শয়তানের মন্দ সারসত্যের থেকে তা অবিচ্ছেদ্য। শয়তান যতোই “শক্তিধর” হোক না কেন, যতোই সে দুর্বিনীত ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হোক, তার ক্ষতিসাধনের ক্ষমতা যত বিপুলই হোক, মানুষকে ভ্রষ্ট ও প্রলুব্ধ করার লক্ষ্যে সে যত বিচিত্র কৌশলই প্রয়োগ করুক, মানুষকে ভীতিপ্রদর্শন করতে তার কৌশল ও অভিসন্ধি যত চাতুর্যপূর্ণই হোক, যে রূপে সে অধিষ্ঠান করে সে যত পরিবর্তনশীলই হোক, কোনোদিন সে একটিমাত্র জীবন্ত বস্তু সৃষ্টি করতেও সক্ষম হয়নি, কোনোদিন সে সকলকিছুর অস্তিত্বের নিমিত্ত বিধান বা নিয়মাবলী প্রণয়ন করতে সমর্থ হয়নি, এবং কোনোদিন জীবিত বা নির্জীব কোনো বস্তুকেই শাসন ও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়নি। মহাকাশ ও নভোমণ্ডলের মধ্যে, এমন একজন মানুষ বা এমন একটি বস্তুও নেই যা শয়তানের থেকে উদ্ভূত হয়েছিল বা তার দরুন বিদ্যমান; এমন একজন মানুষ বা এমন একটি বস্তুও নেই যা শয়তানের দ্বারা শাসিত বা নিয়ন্ত্রিত। উল্টে, তাকে যে শুধু ঈশ্বরের আধিপত্যের অধীনে বসবাস করতে হয় তা-ই নয়, তদুপরি ঈশ্বরের সকল নির্দেশ ও আদেশ মেনে চলতে সে বাধ্য। ঈশ্বরের অনুমতি ব্যতীত, ভূভাগের এক বিন্দু জল বা একটি বালুকণাকে স্পর্শ করাও শয়তানের পক্ষে দুরূহ; ঈশ্বরের অনুমোদন ব্যতিরেকে, ঈশ্বর-সৃষ্ট মানবজাতি দূরে থাক, ভূমির উপর এমনকি পিঁপড়েদের নড়ানোর স্বাধীনতাও শয়তানের নেই। ঈশ্বরের দৃষ্টিতে, পর্বতের লিলিফুল, বাতাসে উড়ন্ত পাখি, সমুদ্রের মাছ, পৃথিবীপৃষ্ঠের লার্ভাকীট অপেক্ষাও শয়তান নিকৃষ্ট। সকল বস্তুর মধ্যে শয়তানের ভূমিকা হল যাবতীয় কিছুর সেবা করা, এবং মানবজাতির জন্য কাজ করা, এবং ঈশ্বরের কার্য ও তাঁর ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনার সেবা করা। তার প্রকৃতি যতোই বিদ্বেষপরায়ণ হোক, এবং তার সারসত্য যতোই মন্দ হোক না কেন, একমাত্র যে কাজটি সে করতে পারে তা হল কর্তব্যপরায়ণ ভাবে নিজের কাজটির প্রতি বিশ্বস্ত থাকা: ঈশ্বরের সেবায় ব্যবহৃত হওয়া, এবং ঈশ্বরের প্রতিতুলনায় এক বিষম সত্তা হিসাবে নিজেকে উপস্থাপিত করা। এই হল শয়তানের উপাদান ও অবস্থান। শয়তানের সারসত্যের সাথে জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই, ক্ষমতার সাথে তা সম্পর্করহিত, কর্তৃত্বের সাথেও তা সম্পর্কবিযুক্ত; শয়তান ঈশ্বরের হাতে নিছকই এক ক্রীড়নক, ঈশ্বরের সেবায় নিয়োজিত এক যন্ত্র মাত্র!

শয়তানের প্রকৃত স্বরূপ প্রণিধান করার পরেও, কর্তৃত্ব যে কী তা অনেক মানুষ এখনো উপলব্ধি করে উঠতে পারে না, তাই আমিই তোমাকে বুঝিয়ে বলছি! কর্তৃত্ব বিষয়টিকেই ঈশ্বরের ক্ষমতা হিসাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। প্রথমত, একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা দুটি বিষয়ই ইতিবাচক। নেতিবাচক কোনোকিছুর সঙ্গে এদের কোনো সংযোগ নেই, এবং যেকোনো সৃজিত বা অসৃজিত সত্তার সঙ্গেও এরা সম্পর্করহিত। ঈশ্বরের ক্ষমতা যে কোনো আকৃতির জীবন্ত ও প্রাণসম্পন্ন বস্তু সৃষ্টি করতে সক্ষম, এবং তা ঈশ্বরের জীবনের দ্বারা নির্ধারিত হয়। ঈশ্বরই জীবন, তাই তিনিই সকল জীবিত সত্তার উৎস। তদুপরি, ঈশ্বরের কর্তৃত্ব সকল জীবিত সত্তাকে ঈশ্বরের প্রতিটি বাক্য মেনে চলাতে পারে, অর্থাৎ, ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত বাক্য অনুযায়ী তাদের অস্তিত্ব লাভ করাতে পারে, এবং ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে তাদের জীবনধারণ ও বংশবিস্তার করাতে পারে, যার পর ঈশ্বর সকল জীবিত সত্তাকে শাসন ও নির্দেশদান করেন, এবং কোনোদিন এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না, চিরদিন ও অনন্তকাল ব্যাপী। কোনো মানুষ বা জড়বস্তু এই গুণগুলির অধিকারী নয়; কেবল সৃষ্টিকর্তাই এধরনের শক্তি অধিকার ও ধারণ করেন, আর সেই কারণেই একে কর্তৃত্ব বলা হয়। এটিই সৃষ্টিকর্তার অনন্যতা। সেই অর্থে, খোদ “কর্তৃত্ব” শব্দটিই হোক কি এই কর্তৃত্বের সারসত্য, উভয়কে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট করা যায়, কারণ তা সৃষ্টিকর্তার অনন্য পরিচয় ও সারসত্যের এক প্রতীক, এবং তা সৃষ্টিকর্তার পরিচয় ও পদমর্যাদাকে সূচিত করে; সৃষ্টিকর্তা ব্যতিরেকে, কোনো মানুষ বা জড়বস্তুকে “কর্তৃত্ব” শব্দটির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত করা যায় না। এই হল সৃষ্টিকর্তার অনন্য কর্তৃত্বের এক ব্যাখ্যা।

শয়তান ইয়োবের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকালেও, ঈশ্বরের অনুমোদন ব্যতীত সে ইয়োবের শরীরের একখানি চুলও স্পর্শ করার স্পর্ধা করেনি। শয়তান মজ্জাগতভাবে দুষ্ট ও নিষ্ঠুর হলেও, ঈশ্বর তাকে তাঁর আদেশ জারি করার পর, ঈশ্বরের নির্দেশ আদেশ মান্য করা ভিন্ন শয়তানের গত্যন্তর ছিল না। তাই, ইয়োবকে হাতে পাওয়ার পর শয়তান মেষের দঙ্গলের মাঝে এক নেকড়ের মতো উন্মত্ত হয়ে গেলেও, তার উপর ঈশ্বরের আরোপিত সীমারেখাকে বিস্মৃত হওয়ার দুঃসাহস সে করেনি, ঈশ্বরের আদেশকে লঙ্ঘন করার দুঃসাহস করেনি, এবং তার সকল কাজে, ঈশ্বরের বাক্যের সীমানা ও নীতিসমূহ থেকে বিচ্যুত হওয়ার স্পর্ধা শয়তান করেনি—এটি কি একটি বাস্তব সত্য নয়? এর থেকে প্রতিপন্ন হয় যে শয়তান যিহোবা ঈশ্বরের কোনো বাক্যের বিরুদ্ধাচরণ করার স্পর্ধা করে না। শয়তানের কাছে, ঈশ্বরের মুখ-নিঃসৃত প্রতিটি বাক্য একটি নির্দেশ, এক ঐশ্বরিক বিধান, ঈশ্বরের কর্তৃত্বের এক অভিব্যক্তি—কারণ ঈশ্বরের প্রতিটি বাক্যের নেপথ্যে তাঁর আজ্ঞার লঙ্ঘনকারীদের জন্য এবং ঐশ্বরিক বিধানসমূহের অমান্যকারী ও বিরুদ্ধাচরণকারীদের জন্য ঈশ্বরের শাস্তির বিধানটি অনুক্ত রয়েছে। শয়তান পরিষ্কার করে জানে যে সে যদি ঈশ্বরের আদেশ না মানে, তাহলে অবশ্যই তাকে ঈশ্বরের কর্তৃত্ব উল্লঙ্ঘন এবং ঐশ্বরিক বিধানের বিরোধিতার ফলশ্রুতি স্বীকার করতে হবে। এই ফলশ্রুতিগুলি ঠিক কী কী? বলার অপেক্ষা রাখে না, এগুলি তার ঈশ্বর প্রদত্ত শাস্তি। ইয়োবের প্রতি শয়তানের আচরণ ছিল তার দ্বারা মানুষের দূষণের নিছকই এক ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি, এবং শয়তানের এই সব কাজকর্মের নিষ্পাদনকালীন যে সীমারেখা ঈশ্বর ধার্য করেছিলেন এবং তার প্রতি যে আদেশ তিনি জারি করেছিলেন, তা ছিল তাঁর সকল কার্যের অন্তর্নিহিত নীতিসমূহের এক ক্ষুদ্র প্রতিরূপ মাত্র। তার উপর, এই বিষয়টায় শয়তানের ভূমিকা ও স্থিতি ছিল ঈশ্বরের ব্যবস্থাপনার কার্যে তার ভূমিকা ও স্থিতিরই নিছক এক ক্ষুদ্রায়িত সংস্করণ, এবং ইয়োবকে প্রলুব্ধ করার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের প্রতি শয়তানের সম্পূর্ণ আনুগত্য ছিল ঈশ্বরের ব্যবস্থাপনার কার্যে শয়তান যেভাবে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সামান্যতম প্রতিরোধ সৃষ্টি করতেও সাহস করেনি তারই এক ক্ষুদ্রায়িত প্রতিচ্ছবি। এই ক্ষুদ্র প্রতিরূপগুলি তোমাদের কোন সতর্কবাণী জ্ঞাপন করে? শয়তানকে সুদ্ধ সমস্ত কিছুর মধ্যে, এমন কোনো মানুষ বা বস্তু নেই যে সৃষ্টিকর্তার প্রণীত ঐশ্বরিক বিধান ও অধ্যাদেশগুলি উল্লঙ্ঘন করতে পারে, এবং এমন কোনো মানুষ বা বস্তু নেই যে এই ঐশ্বরিক বিধান ও অধ্যাদেশগুলি অবমাননা করার স্পর্ধা করে, কারণ এগুলির অবমাননাকারীদের উপর যে শাস্তি সৃষ্টিকর্তা ধার্য করেন কোনো মানুষ বা বস্তু তার রদবদল করতে বা তাকে এড়াতে সক্ষম নয়। একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ঐশ্বরিক বিধান ও অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন, একমাত্র সৃষ্টিকর্তারই ক্ষমতা রয়েছে এগুলিকে লাগু করার, এবং একমাত্র সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতাই কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর দ্বারা উল্লঙ্ঘিত হতে পারে না। এটিই হল সৃষ্টিকর্তার অনন্য কর্তৃত্ব, এবং এই কর্তৃত্ব সকলকিছুর মধ্যে সর্বোচ্চ, আর তাই, এ কথা বলা অসম্ভব যে “ঈশ্বর সর্বশ্রেষ্ঠ এবং শয়তানের স্থান দ্বিতীয়।” অনন্য কর্তৃত্বের অধিকারী সৃষ্টিকর্তা ব্যতিরেকে, অন্য কোনো ঈশ্বর নেই!

তোমরা কি এখন ঈশ্বরের কর্তৃত্ব বিষয়ে কোনো নতুন জ্ঞান অর্জন করেছো? প্রথমত, ঈশ্বরের সদ্য উল্লিখিত কর্তৃত্ব ও মানুষের ক্ষমতার মধ্যে কি কোনো পার্থক্য রয়েছে? পার্থক্যটি কী? কেউ কেউ বলে থাকে যে এই দুইয়ের মধ্যে কোনো তুলনাই চলে না। একেবারেই সঠিক! যদিও মানুষ বলে যে এই দুইয়ের মধ্যে যে কোনো তুলনাই হয় না, কিন্তু তাদের চিন্তায় ও পূর্বধারণায়, মানুষের ক্ষমতাকে প্রায়শই কর্তৃত্বের সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়, এবং প্রায়ই এই দুটিকে পাশাপাশি রেখে তুলনা করা হয়। এখানে ঠিক কী ঘটছে? মানুষ কি অনবধানতাবশত একটিকে অন্যটির দ্বারা প্রতিস্থাপিত করার প্রমাদ ঘটাচ্ছে না? এরা দুটি অসম্পর্কিত বিষয়, এবং এদের মধ্যে তুলনার কোনো অবকাশ নেই, কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষ তুলনা না করে পারে না। কীভাবে এর মীমাংসা সম্ভব? তুমি যদি সত্যিই একটা সমাধান খুঁজে পেতে চাও, তাহলে তার একমাত্র পথ হল ঈশ্বরের অনন্য কর্তৃত্বকে উপলব্ধি করা ও জানা। সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্বকে বোঝা ও জানার পর, মানুষের ক্ষমতা ও ঈশ্বরের কর্তৃত্বকে তুমি আর তুল্যমূল্য জ্ঞান করবে না।

মানুষের ক্ষমতা বলতে কী বোঝায়? সহজ কথায়, এটি হল সেই সামর্থ্য বা দক্ষতা যা মানুষের ভ্রষ্ট স্বভাব, কামনা-বাসনা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলিকে প্রসারিত হতে বা সর্বোচ্চ মাত্রায় অর্জিত হতে সক্ষম করে। একে কি কর্তৃত্ব বলে গণ্য করা যায়? কোনো মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা বাসনা যতোই স্ফীত বা আকর্ষক হোক না কেন, সেই মানুষটিকে কর্তৃত্বের অধিকারী বলা যায় না; এই স্ফীতি ও সাফল্য, বড়োজোর, মানুষের মাঝে শয়তানের হাস্যকর আচরণের এক প্রদর্শন মাত্র; খুব বেশি হলে তা এক প্রহসন, যেখানে শয়তান তার ঈশ্বর হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য তার নিজের পূর্বপুরুষের ভূমিকায় অভিনয় করে।

বর্তমানে ঠিক কোন চোখে তুমি ঈশ্বরের কর্তৃত্বকে দেখো? যেহেতু এই বাক্যসমূহ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে, তাই ঈশ্বরের কর্তৃত্ব বিষয়ে তোমার এক নতুন জ্ঞান থাকা উচিত। তাহলে তোমাদের আমি জিজ্ঞেস করছি: ঈশ্বরের কর্তৃত্ব কিসের প্রতীক? তা কি স্বয়ং ঈশ্বরের স্বরূপকে প্রতীকায়িত করে? তা কি স্বয়ং ঈশ্বরের ক্ষমতার প্রতীকস্বরূপ? এটি কি স্বয়ং ঈশ্বরের অনন্য মর্যাদার পরিচায়ক? তাবৎ বস্তুর মাঝে, কোনটির মধ্যে তুমি ঈশ্বরের কর্তৃত্বকে প্রত্যক্ষ করেছো? কীভাবেই বা তা প্রত্যক্ষ করেছিলে? মানুষের অভিজ্ঞতায় দৃষ্ট চারটি ঋতুর পরিপ্রেক্ষিতে, কেউ কি বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ এবং শীতঋতুর পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের নিয়মকে পরিবর্তিত করতে পারে? বসন্তকালে, গাছপালা মুকুলিত হয় আর তাতে ফুল ফোটে; গ্রীষ্মে সেইসব গাছ পত্রপল্লবে ঢেকে যায়; শরতে সেগুলি ফলধারণ করে, এবং শীতকালে তাদের পল্লবদাম ঝরে পড়ে। কেউ কি এই বিধানের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম? এই বিষয়টি কি ঈশ্বরের কর্তৃত্বের একটি দিককে প্রতিবিম্বিত করে? ঈশ্বর বলেছিলেন “দীপ্তি হোক”, এবং আলোর অভ্যুদয় হয়েছিল। এখনো কি এই আলোর অস্তিত্ব রয়েছে? কীসের দরুন তার অস্তিত্ব রয়েছে? এর অস্তিত্ব রয়েছে, বলা বাহুল্য, ঈশ্বরের বাক্যের দরুন, এবং ঈশ্বরের কর্তৃত্বের কারণে। ঈশ্বরের দ্বারা সৃষ্ট বায়ু কি এখনো অস্তিমান? মানুষ তার শ্বাস-প্রশ্বাসে যে বায়ু গ্রহণ করে তা কি ঈশ্বরের থেকে আগত? যে বস্তুগুলি ঈশ্বর থেকে আগত তা কি কেউ কেড়ে নিতে পারে? কেউ কি সেগুলির সারসত্য ও কার্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারে? ঈশ্বর নির্ধারিত রাত্রি ও দিনের যে বণ্টন এবং ঈশ্বরের আদিষ্ট রাত্রি ও দিনের যে বিধান, কেউ কি সেগুলিকে অব্যবস্থিত করার ক্ষমতা রাখে? শয়তান কি এমন কাজ করতে পারে? এমনকি তুমি যদি রাত্রিবেলা না ঘুমাও, এবং রাত্রিকালকে দিবস হিসাবে গ্রহণ করো, তবু তখনো তা রাত্রিই থাকে; তুমি তোমার প্রাত্যহিক কর্মপরম্পরায় পরিবর্তন আনতে পারো, কিন্তু রাত্রিকাল ও দিবাভাগের পারস্পরিক পরিবর্তনের নিয়মে কোনো রদবদল ঘটাতে তুমি অক্ষম—এই বাস্তব সত্যের পরিবর্তন ঘটানো কোনো মানুষের সাধ্যাতীত, তাই নয় কি? কেউ কি কোনো সিংহকে দিয়ে বলদের মতো করে জমিতে লাঙল টানাতে পারে? কেউ কি একটা হাতিকে গর্দভে রূপান্তরিত করতে সক্ষম? কেউ কি একটি মুরগিকে ঈগলের মতো করে বায়ু বেয়ে উচ্চাকাশে উড্ডীন করতে সক্ষম? কেউ কি এক নেকড়েকে দিয়ে ভেড়ার মতন করে ঘাস খাওয়াতে পারে? (না।) কেউ কি জলের মাছকে শুকনো ডাঙ্গায় বাস করাতে সক্ষম? মানুষের দ্বারা তা হওয়ার নয়? কেন নয়? কারণ ঈশ্বর মাছদের জলে থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর তাই তারা জলেই বাস করে। ডাঙ্গায় তারা বেঁচে থাকতে পারতো না, মারা যেতো; ঈশ্বরের আদেশের সীমারেখাকে লঙ্ঘন করতে তারা অক্ষম। সমস্ত বস্তুর অস্তিত্বের একটা বিধান ও সীমারেখা রয়েছে, এবং তাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব সহজাত প্রবৃত্তি রয়েছে। এগুলি সৃষ্টিকর্তার নির্দেশিত, এবং যেকোনো মানুষের পক্ষে পরিবর্তনের অসাধ্য ও অনতিক্রম্য। উদাহরণস্বরূপ, সিংহ সর্বদা, জনসমাজ থেকে একটা দূরত্বে, জঙ্গলেই বাস করবে, এবং মানুষের সাথে একত্রে থাকে ও কাজ করে যে বলদ, সিংহ কখনো সেই বলদের মতো বশংবদ ও বিশ্বস্ত হতে পারতো না। হাতি ও গর্দভ উভয়েই জন্তু, উভয়েরই চারটি করে পা রয়েছে, এবং উভয়েই শ্বাসগ্রহণকারী প্রাণী, কিন্তু তারা ভিন্ন প্রজাতির, কারণ ঈশ্বরের দ্বারা তারা ভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হয়েছিল, দুইজনেরই নিজ নিজ সহজাত প্রবৃত্তি রয়েছে, আর তাই কখনোই তারা পরস্পরপরিবর্তনীয় হবে না। মুরগির ঠিক ঈগলের মতোই দুটি পা ও ডানা থাকলেও, কখনোই তা আকাশে উড়ে বেড়াতে সক্ষম হবে না; বড়োজোর তা উড়ে গাছে এসে বসতে পারে—এটি মুরগির সহজাত প্রবৃত্তির দ্বারা নির্ধারিত। বলাই বাহুল্য, এই সবকিছুই হয় ঈশ্বরের কর্তৃত্বের নির্দেশের কারণে।

আজকে মানবজাতির উন্নয়নে, মানবজাতির বিজ্ঞান বিকশিত হচ্ছে বলা যায়, এবং মানুষের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের অর্জিত কৃতিত্বগুলিকে হৃদয়গ্রাহী বলে বর্ণনা করা যেতে পারে। বলতেই হবে, মানুষের সামর্থ্য দিনকে দিন বেড়েই চলেছে, কিন্তু একটি যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্য রয়েছে যা মানুষ অর্জন করতে পারেনি: মানবজাতি বিমানপোত, বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, এবং পারমাণবিক বোমা নির্মাণ করেছে, মানবজাতি মহাকাশে গেছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে হেঁটেচলে বেড়িয়েছে, ইন্টারনেট আবিষ্কার করেছে, এবং এক উচ্চপ্রযুক্তির জীবনশৈলী যাপন করছে, তবুও মানবজাতি এক জীবন্ত, শ্বাসরত বস্তু সৃষ্টি করতে অক্ষম। প্রতিটি জীবন্ত প্রাণীর সহজাত প্রবৃত্তি ও তাদের বেঁচে থাকার নিয়মকানুন, এবং সকল প্রকার জীবিত বস্তুর জীবন-মৃত্যুর চক্র—এই সমস্তকিছুই মানবজাতির বিজ্ঞানের ক্ষমতার অতীত, এবং তার নিয়ন্ত্রণসাধ্য নয়। এই পর্যায়ে, এটা বলতেই হবে যে মানুষের বিজ্ঞান যত উত্তুঙ্গ উচ্চতাতেই উপনীত হোক না কেন, সৃষ্টিকর্তার যেকোনো চিন্তার সাথেই তা তুলনীয় নয়, এবং সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির অলৌকিকতা ও তাঁর কর্তৃত্বের শক্তিমত্তা নির্ণয় করতে তা অক্ষম। ধরণীপৃষ্ঠে কত সমুদ্র রয়েছে, তবু কখনো সেগুলি তাদের সীমানা লঙ্ঘন করে ইচ্ছে মতো স্থলভূমিতে এসে উপস্থিত হয়নি, এবং এর কারণ হল ঈশ্বর তাদের প্রত্যেকের সীমানা নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন; তাদের যেখানে অবস্থান করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন তারা সেখানেই রয়ে গিয়েছিল, এবং ঈশ্বরের অনুমতি ব্যতিরেকে তারা স্বাধীনভাবে এদিক-ওদিক বিচরণ করতে পারে না। ঈশ্বরের অনুমোদন ব্যতীত, তারা পরস্পরের এলাকার সীমা লঙ্ঘন করার ক্ষমতা রাখে না, এবং ঈশ্বর যখন বলেন একমাত্র তখনই তারা স্থানপরিবর্তন করতে পারে, এবং তারা কোথায় যাবে ও অবস্থান করবে তা ঈশ্বরের কর্তৃত্বের দ্বারাই নির্ধারিত হয়।

সহজ কথায়, “ঈশ্বরের কর্তৃত্ব” বলতে বোঝায় বিষয়টি ঈশ্বরের নির্ধারণসাপেক্ষ। কোনোকিছু কীভাবে সম্পন্ন হবে তা স্থির করার অধিকার ঈশ্বরের, এবং তিনি যেরকম ইচ্ছা করেন সেভাবেই তা নিষ্পন্ন হয়। সকলকিছুর আইনকানুন ঈশ্বরের হাতে, তা মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়; এবং মানুষ এর পরিবর্তন ঘটাতেও পারে না। মানুষের ইচ্ছানুযায়ী এর নড়চড় করা যায় না, বরং তার বদল ঘটে ঈশ্বরের চিন্তা, ঈশ্বরের প্রজ্ঞা, এবং ঈশ্বরের আদেশের দ্বারা; এ এমন এক সত্য যা যেকোনো মানুষের কাছে অনস্বীকার্য। আকাশ ও পৃথিবী এবং সমস্ত কিছু, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, নক্ষত্রমণ্ডিত আকাশ, বছরের ঋতু চতুষ্টয়, মানুষের কাছে যাকিছু দৃশ্যমান ও দৃশ্যাতীত—এদের সকলেই অস্তিত্ব ধারণ করে, কার্য সম্পাদন করে, এবং এতটুকু ভ্রান্তি ব্যতিরেকে পরিবর্তিত হয়, ঈশ্বরের কর্তৃত্বের অধীনে, ঈশ্বরের নির্দেশ অনুযায়ী, ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে, এবং সৃষ্টির সূচনার সময়ের বিধান অনুযায়ী। একজন মানুষ বা একখানি বস্তুও তাদের নিয়মকানুনের, কিংবা যে সহজাত গতিপথ ধরে তারা তাদের কার্য পালন করে সেই গতিপথের পরিবর্তন সাধন করতে পারে না; তারা অস্তিত্ব লাভ করেছে ঈশ্বরের কর্তৃত্বের দরুন, এবং বিনষ্টও হয় ঈশ্বরের কর্তৃত্বের দরুন। এটিই ঈশ্বরের সেই কর্তৃত্ব। এখন, এতখানি আলোচনার পরে, তোমার কি মনে হয় যে ঈশ্বরের কর্তৃত্ব তাঁর স্বরূপ ও মর্যাদার প্রতীক? কোনো সৃজিত বা অসৃজিত সত্তা কি ঈশ্বরের কর্তৃত্বের অধিকারী হতে পারে? এই কর্তৃত্ব কি কোনো মানব, বস্তু, বা সামগ্রীর দ্বারা অনুকরণ, নকল, বা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব?

—বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর ১

পূর্ববর্তী: শয়তান কখনো সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্বকে লঙ্ঘন করার স্পর্ধা করেনি, আর এই কারণেই, সমস্ত কিছু সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান করে

পরবর্তী: ঈশ্বরের স্বরূপ অদ্বিতীয়, এবং তোমাদের বহু-ঈশ্বরবাদের ধারণাকে মান্য করা উচিত নয়

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

চতুর্থ দিবসে, ঈশ্বর আবার তাঁর কর্তৃত্ব প্রয়োগ করায় মানবজাতির বিভিন্ন ঋতু, দিন এবং বছরগুলি সৃষ্টি হয়

সৃষ্টিকর্তা তাঁর পরিকল্পনা সম্পাদনের জন্য তাঁর বাক্যসমূহের ব্যবহার করেছিলেন, এবং এইভাবে তিনি তাঁর পরিকল্পনার প্রথম তিন দিবস অতিবাহিত...

প্রথম দিবসে, ঈশ্বরের কর্তৃত্বের বদান্যতায় মানবজাতির দিন এবং রাতের সূচনা হয় এবং অবিচল থাকে

প্রথম অনুচ্ছেদটির প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাকঃ: “ঈশ্বর বললেন, দীপ্তি হোক! দীপ্তির হল আবির্ভাব। ঈশ্বর দেখলেন, চমৎকার এই দীপ্তি। অন্ধকার থেকে...

শয়তানকে দেখে মানবিক, ন্যায়পরায়ণ ও সদ্গুনসম্পন্ন মনে হলেও, শয়তানের সারসত্য নিষ্ঠুর ও অশুভ

মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে শয়তান তার সুনাম নির্মাণ করে, এবং নিজেকে প্রায়শই ন্যায়পরায়ণতার একজন পুরোধা তথা আদর্শ নমুনা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে।...

পঞ্চম দিবসে, বিবিধ এবং বৈচিত্র্যময় গঠনের জীবন বিভিন্ন উপায়ে সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব প্রদর্শন করে

শাস্ত্রে বলা হয়েছে, “ঈশ্বর বললেন, জলরাশি পূর্ণ হোক নানা জাতির জলচর প্রাণীতে এবং পৃথিবীর উপরে আকাশে উড়ে বেড়াক পক্ষীকুল। ঈশ্বর সৃষ্টি করলেন...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন