জীবনের জন্য মৌলিক পরিবেশ যা ঈশ্বর মানবজাতির জন্য সৃষ্টি করেছেন: বায়ুপ্রবাহ

পঞ্চম বস্তুটি কী? এই বস্তুটি প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। মানব জীবনের সাথে এর সম্পর্কে এতটাই ঘনিষ্ঠ যে মানব শরীর এই পার্থিব বিশ্বে এটি ছাড়া বাঁচতে পারত না। এটি হল বায়ুপ্রবাহ। সম্ভবত যে কেউই “বায়ুপ্রবাহ” বিশেষ্যপদটি শুধুমাত্র শুনলেই তাকে উপলব্ধি করতে পারবে। তাহলে, বায়ুপ্রবাহ কী? তুমি বলতে পারো যে “বায়ুপ্রবাহ” হল শুধুই বাতাসের প্রবহমান চলাচল। বায়ুপ্রবাহ হল এমন এক বাতাস যা মানুষের চোখ দেখতে পায় না। এটি এমন একটি উপায়ও যাতে গ্যাসগুলি চলাচল করে। তবুও, এই আলোচনায় “বায়ুপ্রবাহ” বলতে প্রাথমিকভাবে কী বোঝায়? আমার বলার সাথেসাথেই তোমরা তা উপলব্ধি করবে। পৃথিবী তার আবর্তনকালে পর্বত, সমুদ্র সহ সৃষ্টির সমস্ত কিছু বহন করে, আর যখন পৃথিবী আবর্তিত হয়, তা হয় প্রভূত গতি সহযোগে। তুমি এই ঘূর্ণনের কিছুই অনুভব না করলেও পৃথিবীর আবর্তন কিন্তু বিদ্যমান। এই আবর্তনের ফলে কী উৎপন্ন হয়? যখন তুমি দৌড়ও, তখন কি বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি হয় না আর তোমার কানের দু’পাশ দিয়ে দ্রুত বয়ে যায় না? যদি তোমার দৌড়নো থেকেই হাওয়া উৎপন্ন হতে পারে, তাহলে পৃথিবীর আবর্তনের ফলে হাওয়া উৎপন্ন না হয়ে কি থাকতে পারে? যখন পৃথিবী আবর্তিত হয়, তখন সমস্ত কিছুই গতিশীল থাকে। পৃথিবী নিজেই গতিশীল ও তা একটি নির্দিষ্ট গতিতে আবর্তিত হচ্ছে, সেইসাথে তার উপরে থাকা সমস্ত বস্তুও অবিরাম বিস্তার লাভ করে চলেছে আর বিকশিত হয়ে চলেছে। সুতরাং, একটি নির্দিষ্ট গতিতে চলাচল স্বাভাবিকভাবেই বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি করবে। “বায়ুপ্রবাহ” বলতে আমি ঠিক এটিই বুঝিয়েছি। এই বায়ুপ্রবাহ কি একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত মানব-শরীরের উপর প্রভাব ফেলে না? টাইফুনকেই ধরা যাক: সাধারণ টাইফুনগুলি খুব একটা শক্তিশালী হয় না, কিন্তু যখন সেগুলি আছড়ে পড়ে, মানুষ স্থির হয়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারে না, আর হাওয়ার মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়াও তাদের পক্ষে কঠিন হয়। একটা ছোট পদক্ষেপও হয়ে ওঠে দুঃসাধ্য, আবার বাতাসের প্রবল বেগ মানুষকে কোনো কিছুর গায়ে আছড়ে ফেলতে পারে, তাদের অচল করে দিতে পারে। বায়ুপ্রবাহ মানুষকে এইভাবেও প্রভাবিত করতে পারে। সমগ্র পৃথিবী যদি সমতলভূমিতে আচ্ছাদিত হতো, তাহলে পৃথিবী ও সমস্ত কিছুর আবর্তনের ফলে ফলে উৎপন্ন বায়ুপ্রবাহের বেগ মানব-শরীর একেবারেই সহ্য করতে পারত না। এইরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়ে উঠত অত্যন্ত কঠিন। ঘটনাটি যদি সত্যিই এরকমই হতো, তাহলে এরকম বায়ু প্রবাহ মানবজাতির শুধু ক্ষতিসাধনই করত না, বরং নিয়ে আসত সর্বাত্মক ধ্বংস। মানুষ এইরকম পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারত না। ঈশ্বর এই কারণেই ভিন্ন ভিন্ন ভৌগলিক পরিবেশ তৈরী করেছেন যাতে এইরকম বায়ুপ্রবাহগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়—বিভিন্ন ভৌগলিক পরিবেশে, বায়ুপ্রবাহ দুর্বল হয়ে পড়ে, তাদের দিক পরিবর্তন করে, বদলে ফেলে গতি আর শক্তি। এই জন্যই মানুষ বিভিন্ন রকমের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য দেখতে পায়, যেমন পর্বত, বিশাল পর্বতমালা, সমতলভূমি, পাহাড়, অববাহিকা, উপত্যকা, মালভূমি, এবং দীর্ঘ সমস্ত নদ-নদী। এই বিভিন্ন ভৌগলিক বিশিষ্টতার দ্বারাই ঈশ্বর বায়ুপ্রবাহের গতি, দিক, ও শক্তি পরিবর্তন করেন। এই পদ্ধতিতেই তিনি বায়ুপ্রবাহকে কমিয়ে অথবা নিয়ন্ত্রণ করে এমন বাতাসে পরিণত করেন যার গতি, দিক, এবং শক্তি যথাযথ, যাতে মানুষ তার বসবাসের পক্ষে স্বাভাবিক একটি পরিবেশ পেতে পারে। এর প্রয়োজন আছে কি? (হ্যাঁ।) এরকম কিছু করা মানুষের কাছে কঠিন বলে মনে হয়, কিন্তু তা ঈশ্বরের পক্ষে সহজ, কারণ তিনি তিনি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁর পক্ষে, মানবজাতির জন্য উপযুক্ত বায়ুপ্রবাহ সহ একটি পরিবেশ সৃষ্টি করার চেয়ে সরল আর সহজ কিছু হতে পারে না। তাই, ঈশ্বর-সৃষ্ট এরকম এক পরিবেশে, তাঁর সৃষ্টির প্রতিটি বস্তুই অপরিহার্য। প্রতিটি বস্তুর অস্তিত্বেরই একটি মূল্য ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে, শয়তান কিংবা ভ্রষ্ট হয়ে পড়া মানবজাতি এই নীতি উপলব্ধি করে না। পর্বতকে সমতলভূমিতে পরিণত করার, গিরিখাতগুলিতে ভরাট করে তোলার, আর সমতলভূমিকে কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত করার জন্য গগনচুম্বী অট্টালিকা নির্মাণ করার বৃথা স্বপ্ন নিয়ে তারা ধ্বংস, বিকাশ, ও শোষণ অব্যাহত রাখে। ঈশ্বরের আশা যে মানবজাতি তাদের জন্য তাঁর প্রস্তুত করা এই সবচেয়ে উপযুক্ত পরিবেশে আনন্দে বসবাস করবে, আনন্দে বিকাশিত হবে আর প্রতিটি দিন আনন্দে কাটাবে। এই কারণেই, মানবজাতি যে পরিবেশে বসবাস করে, সেই পরিবেশকে তিনি কেমনভাবে প্রস্তুত করবেন, সে বিষয়ে ঈশ্বর কখনোই অযত্নবান হননি। তাপমাত্রা থেকে বায়ু, শব্দ থেকে আলো, সর্বক্ষেত্রেই ঈশ্বরের জটিল পরিকল্পনা ও আয়োজন রয়েছে, যাতে মানুষের শরীর ও তাদের বসবাসের পরিবেশ প্রাকৃতিক অবস্থার কোনোরকম হস্তক্ষেপের মুখাপেক্ষী না হয়, আর তার পরিবর্তে, মানবজাতি স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে ও সংখ্যায় বেড়ে উঠতে সক্ষম হয়, এবং সমস্ত কিছুর সঙ্গে সমন্বয়পূর্ণ সহাবস্থানে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করে। এই সবকিছুই ঈশ্বর সংস্থান করেছেন মানবজাতির ও সমস্তকিছুর জন্য।

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ঈশ্বর যেভাবে এই পাঁচটি মৌলিক পরিস্থিতির আয়োজন করেছিলেন, তাতে তুমি কি দেখতে পাচ্ছ ঈশ্বর কীভাবে মানবজাতির জন্য সংস্থান করেন? (হ্যাঁ।) অর্থাৎ বলা যায়, ঈশ্বরই মানবজাতির বেঁচে থাকার সবচেয়ে মৌলিক পরিস্থিতিগুলির সবকটির সৃষ্টিকর্তা, এবং ঈশ্বরই এই সমস্তকিছু পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণও করছেন; এমনকি এখনও, মানবজাতির অস্তিত্বের সহস্রাধিক বছর পরেও, ঈশ্বর অবিরাম তাদের বসবাসের পরিবেশের বদল ঘটিয়ে চলেছেন, তাদের দিয়ে চলেছেন সবচেয়ে ভাল আর সবচেয়ে উপযুক্ত পরিবেশ যাতে তাদের জীবন একটি নিয়মিত উপায়ে চলতে থাকে। এরকম পরিস্থিতি কতদিন ধরে অব্যাহত রাখা যায়? অন্য ভাষায় বলা যায়, ঈশ্বর কতদিন এইরকম পরিবেশ প্রদান করতে থাকবেন? এই পরিবেশ ততদিন স্থায়ী হবে যতদিন না ঈশ্বর তাঁর পরিচালনামূলক কার্য সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন করবেন। তারপর, ঈশ্বর মানবজাতির বসবাসের পরিবেশ বদলে দেবেন। এমন হতে পারে যে তিনি হয়ত একই পদ্ধতিতে পরিবর্তনগুলি করবেন, কিংবা হয়ত অন্য কোনো পদ্ধতিতে। কিন্তু, মানুষের যা অবশ্যই জানা উচিত তা হল যে ঈশ্বর অবিরাম মানুষের প্রয়োজনের সংস্থান করে চলেছেন; পরিচালনা করে চলেছেন মানুষের বসবাসের পরিবেশ; এবং সেই পরিবেশ সংরক্ষণ করছেন, রক্ষা করছেন, ও তা বজায় রাখছেন। এইরকম একটি পরিবেশে, ঈশ্বরের মনোনীত ব্যক্তিরা একটি নিয়মিত উপায়ে বসবাস করতে পারে, এবং ঈশ্বরের পরিত্রাণ, শাস্তি, ও বিচার গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। ঈশ্বরের সার্বভৌমত্বের কারণেই সমস্তকিছু অস্তিত্বরক্ষা করে চলেছে, এবং ঈশ্বরের এইরকম সংস্থানের কারণেই সমগ্র মানবজাতির এগিয়ে চলা অব্যাহত রয়েছে।

আমাদের আলোচনার এই শেষ পর্ব কি তোমাদের মনে কোনো নতুন চিন্তা জাগিয়ে তুলেছে? তোমরা কি এখন ঈশ্বর এবং মানুষের মধ্যে বৃহত্তম পার্থক্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেছো? শেষ পর্যন্ত, কে সমস্ত কিছুর কর্তা? মানুষ কি? (না।) তাহলে সমস্ত সৃষ্টির প্রতি ঈশ্বরের এবং মানুষের আচরণের মধ্যে পার্থক্য কী? (ঈশ্বর সমস্ত কিছুর উপর শাসন করেন ও সকল আয়োজন করেন, এদিকে মানুষ সেগুলি উপভোগ করে।) তোমরা কি এর সঙ্গে সহমত পোষণ করো? ঈশ্বর এবং মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল, ঈশ্বর সমস্ত সৃষ্টিকে শাসন করেন ও তাদের সংস্থান প্রদান করেন। তিনিই সমস্ত কিছুর উৎস, আর ঈশ্বর যখন সমস্ত সৃষ্টির জন্য সংস্থান প্রদান করেন, মানবজাতি তা উপভোগ করে। অর্থাৎ বলা যায়, মানুষ যখন সেই জীবনকে গ্রহণ করে যা ঈশ্বর সমস্তকিছুকে প্ৰদান করেন, তখন সে সৃষ্টির সমস্ত কিছু উপভোগ করে। ঈশ্বর হলেন কর্তা, আর মানবজাতি ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টির ফল উপভোগ করে। তাহলে ঈশ্বরের সৃষ্ট সমস্ত কিছুর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ঈশ্বর ও মানবজাতির মধ্যে পার্থক্য কী? ঈশ্বর সমস্ত কিছুর বেড়ে ওঠার বিধানগুলি স্পষ্ট দেখতে পান, আর তিনিই সেই বিধানগুলি নিয়ন্ত্রণ করেন ও সেগুলির উপর আধিপত্য করেন। অর্থাৎ, সমস্ত বস্তুই ঈশ্বরের দৃষ্টির অধীন ও তাঁর অনুসন্ধানের পরিধির অন্তর্ভুক্ত। মানবজাতি কি সমস্তকিছু দেখতে পায়? মানবজাতির দেখার ক্ষমতা ততটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ যতটুকু তাদের ঠিক সামনে রয়েছে। তুমি যদি পর্বতে আরোহণ করো, তাহলে তুমি শুধু পর্বতটিই দেখো। পর্বতের অন্য দিকে কী রয়েছে তা তুমি দেখতে পাও না। তুমি যদি সমুদ্রতটে যাও, তাহলে তুমি যা দেখো তা শুধু সমুদ্রের একটিমাত্র দিক, এবং তার অপর পারটি ঠিক কেমন তা তুমি জানতে পারো না। জঙ্গলে গেলে তুমি তোমার সামনের ও চারপাশের গাছগাছালিই দেখতে পাও, তার পরে আর কী আছে তা তুমি দেখতে পাও না। উচ্চতর, দূরবর্তী, ও গভীরতর স্থানগুলি মানুষ দেখতে পায় না। তাদের ঠিক সামনে, তাদের দৃষ্টিক্ষেত্রের মধ্যে যা আছে তারা শুধু সেটুকুই দেখতে পায়। মানুষ যদি বা বছরের ঋতুচক্রের নিয়ন্ত্রক বিধান, কিংবা সমস্ত কিছু কীভাবে বেড়ে ওঠে তার বিধানগুলি জানেও, তারা তাহলেও সমস্ত বস্তুকে পরিচালনা করতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম। অথচ ঈশ্বর সৃষ্টির সমস্তকিছুকে ঠিক সেইভাবেই দেখেন যেভাবে তিনি তাঁর নিজের নির্মাণ করা কোনো একটি যন্ত্রকে দেখতেন। তিনি প্রতিটি উপাদান ও প্রতিটি সংযোগের সঙ্গে গভীরভাবে পরিচিত, সেগুলির নীতি কী, তাদের নকশাগুলি কেমন, আর কীইবা সেগুলির উদ্দেশ্য—ঈশ্বর সে সবই জানেন চূড়ান্ত স্বচ্ছতার সাথে। তাই ঈশ্বর হলেন ঈশ্বর, আর মানুষ হল মানুষ! যদিও মানুষ হয়তো বিজ্ঞানের ও সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রক বিধানসমূহের বিষয়ে তার গবেষণায় গভীরে যেতে পারে, কিন্তু সেই গবেষণার পরিধি সীমাবদ্ধ, এদিকে ঈশ্বর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন, যা মানুষের কাছে এক অসীম নিয়ন্ত্রণ। একজন মানুষ কোনো প্রকৃত ফল অর্জন না করেও ঈশ্বরের সামান্য একটি কাজের গবেষণায় তার সারাটা জীবন অতিবাহিত করে দিতে পারে। এই কারণেই, তুমি যদি ঈশ্বরের অধ্যয়নের জন্য শুধু জ্ঞান আর তুমি যা শিখেছ সেসবই ব্যবহার করো, তাহলে তুমি কখনই ঈশ্বরকে জানতে কিংবা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে না। কিন্তু তুমি যদি সত্য অন্বেষণ ও ঈশ্বরের অন্বেষণের উপায় বেছে নাও, এবং ঈশ্বরকে জানার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাঁকে দেখো, তাহলে একদিন তুমি উপলব্ধি করবে যে ঈশ্বরের কার্য ও তাঁর প্রজ্ঞা সর্বত্র বিরাজমান, এবং তুমি জানবে যে কেন ঈশ্বরকে সমস্তকিছুর কর্তা ও সমস্তকিছুর প্রাণের উৎস বলা হয়। তুমি এইরকম উপলব্ধি যত বেশি অর্জন করবে, ততই তুমি উপলব্ধি করবে যে কেন ঈশ্বরকে সমস্তকিছুর কর্তা বলা হয়। সমস্তকিছু, এবং তুমি সহ প্রতিটি বস্তু, অবিরাম ঈশ্বরের সংস্থান লাভ করে চলেছ। তুমি স্পষ্টভাবে এ-ও বুঝতে পারবে যে এই পৃথিবীতে এবং এই মানবজাতির মধ্যে, ঈশ্বর ব্যতীত আর কেউ নেই যার সেই ক্ষমতা ও সারসত্য থাকতে পারে যার দ্বারা তিনি সমস্তকিছুর অস্তিত্বকে শাসন করেন, পরিচালনা করেন, ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন। যখন তুমি এই উপলব্ধিতে উপনীত হবে, তখন তুমি প্রকৃতই বুঝতে পারবে যে ঈশ্বর তোমার ঈশ্বর। তুমি যখন এই পর্যায়ে পৌঁছবে, তখন তুমি ঈশ্বরকে প্রকৃতই গ্রহণ করে নেবে, এবং তাঁকে তোমার ঈশ্বর ও তোমার প্রভু হওয়ার অনুমতি দেবে। যখন তুমি এরকম এক উপলব্ধি অর্জন করেছ ও তোমার জীবন এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, তখন ঈশ্বর আর তোমার পরীক্ষা নেবেন না বা তোমাকে বিচার করবেন না, তিনি তোমার কাছ থেকে কিছু দাবীও করবেন না, কারণ তুমি ঈশ্বরকে উপলব্ধি করবে, তাঁর অন্তরকে জানবে, এবং তোমার অন্তরে তাঁকে প্রকৃতরূপে গ্রহণ করে নেবে। ঈশ্বরের সমস্তকিছুর উপর আধিপত্য ও ব্যবস্থাপনার এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এই আলোচনার উদ্দেশ্য হল মানুষকে আরও বেশি জ্ঞান ও উপলব্ধি প্রদান করা—তোমাকে নিছক স্বীকার করানোই নয়, বরং তোমাকে আরও একটি ব্যবহারিক উপায়ে ঈশ্বরের কার্যাবলী জানানো ও উপলব্ধি করানোও।

—বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর ৮

পূর্ববর্তী: জীবনের জন্য মৌলিক পরিবেশ যা ঈশ্বর মানবজাতির জন্য সৃষ্টি করেছেন: আলো

পরবর্তী: মানবজাতির জন্য ঈশ্বর যে দৈনন্দিন খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুত করেন (পর্ব ১)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ষষ্ঠ দিবসে, সৃষ্টিকর্তা কথা বলেন, এবং তাঁর মনের মধ্যে থাকা প্রতিটি জীব একাদিক্রমে আবির্ভূত হয়

ইন্দ্রিয়াতীতভাবে, সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টিকার্য পাঁচ দিন ধরে অব্যাহত ছিল, ঠিক তার পরপরই সৃষ্টিকর্তা তাঁর সকল বস্তু সৃষ্টির ষষ্ঠ দিবসকে...

মানবজাতির জন্য ঈশ্বর যে দৈনন্দিন খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুত করেন (পর্ব ২)

আমরা এখন কী কী বিষয়ে আলোচনা করলাম? আমরা আলোচনা শুরু করেছিলাম মানবজাতির বসবাসের পরিবেশ নিয়ে, এবং ঈশ্বর সেই পরিবেশের জন্য কী করেছিলেন ও তিনি...

প্রথম দিবসে, ঈশ্বরের কর্তৃত্বের বদান্যতায় মানবজাতির দিন এবং রাতের সূচনা হয় এবং অবিচল থাকে

প্রথম অনুচ্ছেদটির প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাকঃ: “ঈশ্বর বললেন, দীপ্তি হোক! দীপ্তির হল আবির্ভাব। ঈশ্বর দেখলেন, চমৎকার এই দীপ্তি। অন্ধকার থেকে...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন