ঈশ্বরের কর্তৃত্বের কাছে সমর্পিত হতে ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্য সঠিক মনোভাব এবং অনুশীলন

ঈশ্বরের কর্তৃত্ব এবং মানুষের ভাগ্যের উপর ঈশ্বরের সার্বভৌমত্বের বিষয়টি মানুষের এখন কোন মনোভাবের সাথে জানা এবং বিবেচনা করা উচিত? প্রতিটি ব্যক্তি এই বাস্তব সমস্যার সম্মুখীন। বাস্তব জীবনে সমস্যার মুখোমুখি হলে, ঈশ্বরের কর্তৃত্ব এবং তাঁর সার্বভৌমত্বকে তোমার কীভাবে জানা এবং বোঝা উচিত? যখন এই সমস্যাগুলির মুখোমুখি হও এবং তুমি জানো না যে কীভাবে সেগুলি বুঝতে হবে, পরিচালনা করতে হবে এবং সেগুলির বিষয়ে ধারণা করতে হবে, তখন তোমার সমর্পণের উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায়, এবং ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব ও ব্যবস্থায়, তোমার প্রকৃত সমর্পণ প্রকাশের জন্য তোমার কী মনোভাব গ্রহণ করা উচিত? প্রথমে তোমাকে শিখতে হবে অপেক্ষা করতে; তারপর তোমাকে অবশ্যই শিখতে হবে অন্বেষণ করতে; এবং তারপর, সমর্পণ করতে। “অপেক্ষা করা”-র অর্থ ঈশ্বরের সময়ের জন্য অপেক্ষা, তোমার জন্য ঈশ্বর যে সকল মানুষ, ঘটনা ও বস্তুর আয়োজন করেছেন তার জন্য অপেক্ষা, তাঁর ক্রমপ্রকাশ্য অভিপ্রায় তোমার কাছে উদ্ভাসিত হওয়ার অপেক্ষা। “অন্বেষণ” এর অর্থ হল, বিভিন্ন মানুষ, ঘটনা ও বস্তুর মাধ্যমে ঈশ্বর তোমার জন্য যে সুচিন্তিত অভিপ্রায় রচনা করেছেন, তাদের পর্যবেক্ষণ ও উপলব্ধি করা, তাদের মাধ্যমে সত্যকে অনুধাবন করা, মানুষকে কী অর্জন করতে হবে এবং তাদের কোন পথে চলতে হবে তা বোঝা, ঈশ্বর মানুষের মধ্যে কী ফলাফল প্রাপ্ত করতে চান এবং তাদের মধ্যে তিনি কোন সিদ্ধি অর্জন করতে চান, তার মর্মগ্রহণ করা। “সমর্পন” বলতে অবশ্যই বোঝায় ঈশ্বরের দ্বারা সুসমন্বিত মানুষ, ঘটনা এবং বিষয়গুলি গ্রহণ করা, তাঁর সার্বভৌমত্বকে গ্রহণ করা এবং এগুলির মাধ্যমে জানতা পারা যে, সৃষ্টিকর্তা কীভাবে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করেন, কীভাবে তিনি মানুষকে তার জীবন দান করেন, আর মানুষের অন্তরে কীভাবে সত্যের প্রতিষ্ঠা ঘটান। ঈশ্বরের আয়োজন ও সার্বভৌমত্বের অধীনে প্রতিটি বিষয়ই প্রাকৃতিক আইন মেনে চলে, এবং যদি তুমি ঈশ্বরকে তোমার জন্য সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করতে এবং নির্দেশ করতে দেওয়ার সংকল্প করো, তবে তোমাকে শিখতে হবে অপেক্ষা করা, তোমাকে শিখতে হবে অন্বেষণ করা এবং তোমাকে শিখতে হবে সমর্পণ করা। ঈশ্বরের কর্তৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে অবশ্যই এই মনোভাব অবলম্বন করতে হবে, ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব ও আয়োজন গ্রহণে ইচ্ছুক সকলের এই মৌলিক গুণটি থাকতেই হবে। এই ধরনের মনোভাবের ধারক হতে, এমন একটি গুণের অধিকারী হতে, তোমাকে অবশ্যই আরও পরিশ্রম করতে হবে। প্রকৃত বাস্তবতায় প্রবেশের এটিই একমাত্র উপায়।

—বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, স্বয়ং অনন্য ঈশ্বর ৩

পূর্ববর্তী: মানুষের ভাগ্যের উপর ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব—এই সত্য অপরিবর্তনীয়

পরবর্তী: ঈশ্বরকে তোমার অনন্য প্রভু হিসাবে গ্রহণ করাই হল পরিত্রাণ অর্জনের প্রথম পদক্ষেপ

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

প্রথম দিবসে, ঈশ্বরের কর্তৃত্বের বদান্যতায় মানবজাতির দিন এবং রাতের সূচনা হয় এবং অবিচল থাকে

প্রথম অনুচ্ছেদটির প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাকঃ: “ঈশ্বর বললেন, দীপ্তি হোক! দীপ্তির হল আবির্ভাব। ঈশ্বর দেখলেন, চমৎকার এই দীপ্তি। অন্ধকার থেকে...

তৃতীয় দিবসে, ঈশ্বরের বাক্যসমূহ জন্ম দেয় পৃথিবী এবং সমুদ্রের এবং ঈশ্বরের কর্তৃত্ব বিশ্বে প্রাণসঞ্চার করে

এরপর, পাঠ করা যাক আদিপুস্তক ১:৯-১১-এর প্রথম বাক্যটি: “ঈশ্বর বললেন, আকাশের নীচে সমস্ত জলরাশি এক স্থানে সংহত হোক, প্রকাশিত হোক শুষ্ক ভূমি!”...

চতুর্থ দিবসে, ঈশ্বর আবার তাঁর কর্তৃত্ব প্রয়োগ করায় মানবজাতির বিভিন্ন ঋতু, দিন এবং বছরগুলি সৃষ্টি হয়

সৃষ্টিকর্তা তাঁর পরিকল্পনা সম্পাদনের জন্য তাঁর বাক্যসমূহের ব্যবহার করেছিলেন, এবং এইভাবে তিনি তাঁর পরিকল্পনার প্রথম তিন দিবস অতিবাহিত...

দ্বিতীয় দিবসে, ঈশ্বরের কর্তৃত্ব জলরাশির আয়োজন করে, এবং তৈরি করে নভোমণ্ডল এবং মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে মৌলিক একটি স্থান আবির্ভূত হয়

বাইবেলের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদটি পাঠ করা যাক: “ঈশ্বর বললেন, সৃষ্ট হোক নভোমণ্ডল, বিভক্ত করুক জলরাশিকে! ঈশ্বর এইভাবে নভোমণ্ডল সৃষ্টি করে তার...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন