তাঁর পুনরুত্থানের পর যীশু রুটি ভক্ষণ এবং শাস্ত্রব্যাখ্যা করলেন এবং শিষ্যেরা যীশুকে ঝলসানো মাছ খেতে দিল

তাঁর পুনরুত্থানের পর যীশু রুটি ভক্ষণ এবং শাস্ত্রব্যাখ্যা করলেন

লুক ২৪:৩০-৩২ যীশু তাঁদের সঙ্গে খেতে বসে রুটি নিয়ে আশীর্বাণী উচ্চারণ করলেন এবং সেই রুটি টুকরো করে তাঁদের দিলেন। সেই মুহূর্তে তাঁদের চোখ খুলে গেল। তাঁরা তাঁকে চিনতে পারলেন। সঙ্গে সঙ্গে যীশু তাঁদের সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। তাঁরা তখন পরস্পর বলতে লাগলেন, পথে যখন তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন এবং শাস্ত্র ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন আমাদের অন্তরে এক আবেগের উত্তাপ অনুভব করছিলাম না?

শিষ্যেরা যীশুকে ঝলসানো মাছ খেতে দিল

লুক ২৪:৩৬-৪৩ এই সমস্ত কথা তাঁরা বলছেন, তখন যীশু স্বয়ং তাঁদের মাঝখানে এসে দাঁড়ালেন। তাঁকে দেখে তাঁরা ভীত চকিত হয়ে ভাবলেন যে তাঁরা ভূত দেখছেন। যীশু তখন তাঁদের বললেন, কেন ভয় পাচ্ছ তোমরা? কেনই বা তোমাদের সংশয় দেখা দিচ্ছে? এই দেখ আমার হাত, পা, এ আমি স্বয়ং, আমাকে ছুঁয়ে দেখ—অপদেবতার আমার মত অস্থি মাংস নেই। (এই বলে তিনি নিজের হাত, পা তাঁদের দেখালেন।) বিস্ময় ও আনন্দে আত্মহারা হলেও তখনও তাঁরা পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তিনি তাঁদের বললেন, তোমাদের কাছে খাবার কিছু আছে? তাঁরা তাঁকে এক টুকরো ভাজা মাছ দিলেন। তিনি তাঁদের চোখের সামনেই সেই মাছ খেলেন।

এবার, আমরা শাস্ত্রের উপরুল্লিখিত অনুচ্ছেদগুলির দিকে চোখ রাখবো। প্রথম অনুচ্ছেদটি হল তাঁর পুনরুত্থানের পর প্রভু যীশুর রুটি ভক্ষণ ও ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যাদানের বিবরণ, এবং দ্বিতীয় অনুচ্ছেদটিতে প্রভু যীশুর এক টুকরো ঝলসানো মাছ খাওয়ার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই দুটি অনুচ্ছেদ ঈশ্বরের স্বভাবকে জানার ক্ষেত্রে কীভাবে তোমাদের সাহায্য করতে পারে? প্রভু যীশুর রুটি ও তারপর ঝলসানো মাছ খাওয়ার এই বিবরণগুলি থেকে যে প্রকার চিত্র তোমরা পাও, তা কি কল্পনা করতে পারো? প্রভু যীশু যদি তোমাদের সামনে দাঁড়িয়ে রুটি ভক্ষণ করতেন, তাহলে তোমাদের অনুভূতি কেমন হতো, তা কি কল্পনা করতে পারো? কিংবা তিনি যদি তোমাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে, মানুষের সাথে মাছ ও রুটি আহার করতেন, তাহলে সেই মুহূর্তে তোমার কী ধরনের অনুভূতি হতো? যদি তুমি নিজেকে প্রভুর অতি অন্তরঙ্গ হিসাবে, তোমার খুব ঘনিষ্ঠ বলে অনুভব করতে, তবে সেই অনুভূতিটি সঠিক। পুনরুত্থানের পর লোকজনের ভিড়ের সামনে রুটি ও মাছ খেয়ে প্রভু যীশু ঠিক এই ফলাফলটিই অর্জন করতে চেয়েছিলেন। তাঁর পুনরুত্থানের পর প্রভু যীশু যদি মানুষের সঙ্গে শুধু কথাবার্তাই বলতেন, তারা যদি তাঁর অস্থিমজ্জাকে অনুভব করতে না পেরে পরিবর্তে তাঁকে এক অনধিগম্য আত্মা হিসাবে অনুভব করতো, তাহলে তাদের কেমন লাগতো? তারা কি নিরাশ হতো না? আশাহত হয়ে, মানুষগুলি কি নিজেদের পরিত্যক্ত বলে বোধ করতো না? তারা কি প্রভু যীশু ও নিজেদের মধ্যে একটা দূরত্ব অনুভব করতো না? ঈশ্বরের সাথে মানুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই দূরত্ব কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতো? নিশ্চিতভাবেই মানুষ শঙ্কিত বোধ করতো, তারা তাঁর কাছে আসতে সাহস করতো না, এবং এভাবেই, তাদের মধ্যে তাঁকে এক সম্ভ্রমসূচক দূরত্বে রাখার মনোভাব তৈরি হতো। এর পর থেকে, তারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ককে ছিন্ন করে অনুগ্রহের যুগের পূর্বেকার স্বর্গস্থ ঈশ্বর ও মানবজাতির মধ্যের সম্পর্কে ফিরে যেতো। মানুষের ধরা-ছোঁয়ার অতীত আধ্যাত্মিক দেহের ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের অন্তরঙ্গতার মূলোৎপাটন ঘটাতো, এবং এর ফলে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দেহরূপে থাকাকালীন তাঁর ও মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা দূরত্বহীন অন্তরঙ্গ সম্পর্কের অবসান ঘটতো। আধ্যাত্মিক শরীর মানুষের মধ্যে একমাত্র যে আবেগগুলিকে আলোড়িত করতো তা হল ভীতি, এড়িয়ে যাওয়া, এবং নির্বাক ভাবে চেয়ে থাকার এক অনুভূতি। তারা তাঁর কাছাকাছি আসার বা তাঁর সাথে কথোপকথনে লিপ্ত হওয়ার স্পর্ধা করতো না, তাঁকে অনুসরণ করা, ভরসা করা, বা তাঁর গুণমুগ্ধ হওয়া তো দূর অস্ত। ঈশ্বর তা দেখতে চান নি যে, মানুষের তাঁর প্রতি এমনতর অনুভূতি রয়েছে। তিনি দেখতে চান নি যে, মানুষ তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছে বা তাঁর থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিচ্ছে; তিনি শুধু চাইতেন মানুষ তাঁকে বুঝুক, তাঁর নিকটে আসুক, এবং তাঁর পরিবারের একজন হোক। যদি তোমার নিজের পরিবার, তোমার ছেলেমেয়ে, তোমাকে দেখেও চিনতো পারতো না, তোমার কাছে আসার সাহস করতো না, বরং সবসময় তোমায় এড়িয়ে যেতো, তাদের জন্য সবকিছু করার পরেও যদি তুমি তাদের সহানুভূতি অর্জন করতে ব্যর্থ হতে, তাহলে তুমি কেমন বোধ করতে? তা কি বেদনাদায়ক হোতো না? তুমি কি ভগ্নহৃদয় হয়ে পড়তে না? মানুষ যখন তাঁকে এড়িয়ে চলে, তখন ঈশ্বরও ঠিক এমনটাই বোধ করেন। তাই, পুনরুত্থানের পরেও, প্রভু যীশু মানুষের কাছে তাঁর রক্ত-মাংসের আকার সমেত আবির্ভূত হয়েছিলেন, এবং তখনো তিনি তাদের সঙ্গে পান-ভোজন করেছিলেন। মানুষকে ঈশ্বর তাঁর পরিজন হিসাবে দেখেন, এবং ঈশ্বর চান মানবজাতিও তাঁকে তাদের প্রিয়তম জন বলে গণ্য করুক; একমাত্র এভাবেই ঈশ্বর মানুষকে প্রকৃতপক্ষে অর্জন করতে পারবেন, এবং একমাত্র এভাবেই মানুষ ঈশ্বরকে যথার্থভাবেই ভালোবাসতে ও আরাধনা করতে পারে। এখন কি তোমরা উপলব্ধি করতে পারছো, যে, আমি কোন অভিপ্রায় নিয়ে শাস্ত্রের এই দুটি অনুচ্ছেদ বেছে নিয়েছিলাম, যেখানে প্রভু যীশু তাঁর পুনরুত্থানের পর রুটি ভক্ষণ করেন ও ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যা দেন, এবং যেখানে শিষ্যেরা তাঁকে এক টুকরো ঝলসানো মাছ আহার করতে দেয়।

এমন বলা যায় যে, তাঁর পুনরুত্থানের পর প্রভু যীশু ক্রমান্বয়ে যে বাক্যপরম্পরা উচ্চারণ করেছিলেন ও যে কার্যগুলি সম্পন্ন করেছিলেন, তাতে ঐকান্তিক চিন্তাভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। সেগুলি মানবজাতির প্রতি ঈশ্বরের অন্তর্ধৃত অনুকম্পা ও মমতায় পূর্ণ ছিল, এবং তাঁর দেহরূপে থাকাকালীন মানবজাতির সাথে গড়ে তোলা অন্তরঙ্গ সম্পর্কের প্রতি তাঁর অন্তর্নিহিত লালন ও সযত্ন তত্ত্বাবধানেও তা ছিল ভরপুর। অধিকন্তু, সেগুলি পূর্ণ ছিল অতীতচারিতায় এবং দেহরূপে থাকাকালীন তাঁর অনুগামীদের সাথে খাওয়াদাওয়া ও একত্র বসবাসের জীবনের প্রতি যে আকুল আকাঙ্ক্ষা তিনি অনুভব করেছিলেন, তা দিয়ে। তাই, তিনি চান নি যে, মানুষ ঈশ্বর ও নিজেদের মধ্যে কোনো দূরত্ব অনুভব করে, কিংবা মানবজাতি নিজেদের ঈশ্বরের থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। আরো বেশি করে, তিনি চান নি মানবজাতি এমন মনে করুক যে, তাঁর পুনরুত্থানের পর প্রভু যীশু আর সেই পূর্ববৎ মানব-অন্তরঙ্গ প্রভু নন, তিনি চান নি তারা ভাবুক যে, তিনি আর মানবজাতির সাথে একাত্ম নন কারণ তিনি আধ্যাত্মিক জগতে ফিরে গিয়েছেন, প্রত্যাবর্তিত হয়েছেন সেই পিতার কাছে, যাঁর দর্শন বা নাগাল মানুষ কখনোই পায় না। তাঁর আর মানবজাতির মধ্যে মর্যাদার কোনো পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে বলে মানুষ অনুভব করুক, এমনটা তিনি চান নি। ঈশ্বর যখন সেই মানুষদের দেখেন যারা তাঁর অনুসরণ করতে চায় অথচ তাঁকে এক সম্ভ্রমপূর্ণ দূরত্বে ঠেলে রাখে, তখন তাঁর হৃদয় ব্যথিত হয়, কারণ এর অর্থ হল যে, তাদের অন্তর তাঁর থেকে অনেক দূরবর্তী, এবং তাঁর পক্ষে তাদের অন্তর জয় করা খুবই দুরূহ হবে। সেই কারণেই মানুষের কাছে যদি তিনি তাদের ধরা-ছোঁয়ার অতীত এক আধ্যাত্মিক দেহে আবির্ভূত হতেন, তাহলে তা পুনরায় মানুষকে ঈশ্বরের থেকে দূরবর্তী করে তুলতো, এবং এর ফলে মানুষের মনে এই ভ্রান্ত উপলব্ধি জন্ম নিতো যে, পুনরুত্থানের পর খ্রীষ্ট মানুষের থেকে স্বতন্ত্র এক উচ্চমার্গের সত্তায় পরিণত হয়েছেন, এমন এক সত্তা যিনি আর মানুষের সাথে এক টেবিলে বসে খাদ্যগ্রহণ করতে পারেন না, কারণ মানুষ পাপিষ্ঠ, কলুষিত, এবং কারণ তারা কখনোই ঈশ্বরের নিকটবর্তী হতে পারে না। মানবজাতির এই ভ্রান্ত উপলব্ধিগুলি দূর করার উদ্দেশ্যে, প্রভু যীশু এমন একাধিক কাজ করেছিলেন যেগুলি দেহরূপে করতে তিনি অভ্যস্ত ছিলেন, বাইবেলে যেমন লিপিবদ্ধ আছে: “রুটি নিয়ে আশীর্বাণী উচ্চারণ করলেন এবং সেই রুটি টুকরো করে তাঁদের দিলেন।” অতীতে যেমন করতেন সেই একই ভাবে তাদের কাছে তিনি শাস্ত্রবাক্যসমূহের ব্যাখ্যাদানও করেছিলেন। প্রভু যীশুর সম্পাদিত এই সকল কাজগুলি, যারা তাঁকে দেখেছিল তাদের সকলকেই অনুভব করিয়েছিল যে, প্রভু বদলে যান নি, এখনো তিনি সেই আগের প্রভু যীশুই রয়েছেন। যদিও তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল এবং তিনি মৃত্যুর অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন, কিন্তু তবু তিনি পুনরুত্থিত হয়েছিলেন, এবং মানবজাতিকে ত্যাগ করে যান নি। মানুষের মাঝে আসার জন্য তিনি প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, তাঁর কোনোকিছুই পরিবর্তিত হয় নি। মানুষের সামনে দণ্ডায়মান মনুষ্যপুত্র তখনো সেই একই প্রভু যীশু ছিলেন। তাঁর হাবভাব এবং মানুষের সঙ্গে তাঁর বাচনশৈলী অতিপরিচিত হিসাবেই প্রতিভাত হয়েছিল। তখনো তিনি দরদ, অনুগ্রহ, ও সহনশীলতায় কতই না ভরপুর ছিলেন—তখনো তিনি ছিলেন সেই একই প্রভু যীশু, যিনি অপরকে আত্মজ্ঞানে ভালোবাসতেন, মানবজাতিকে যিনি সত্তর গুণ সাতবার ক্ষমা করতে পারতেন। আগে সবসময় যেমন করতেন, সেভাবেই তিনি মানুষের সাথে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন, তাদের সঙ্গে শাস্ত্র আলোচনা করেছিলেন, এবং আরো যা বলার তা হল, ঠিক আগের মতোই, তিনি রক্ত-মাংসেই গঠিত ছিলেন, এবং তাঁকে স্পর্শ ও দর্শন করা যেতো। মনুষ্যপুত্রসুলভ ভাবেই মানুষকে তিনি অন্তরঙ্গতা, স্বাচ্ছন্দ্য, এবং হারানো কোনোকিছু আবার ফিরে পাওয়ার আনন্দ অনুভবের সুযোগ দিয়েছিলেন। অত্যন্ত স্বস্তির সঙ্গে, মনে সাহস নিয়ে ও আত্মবিশ্বাসের সাথে, সেই মনুষ্যপুত্রের উপর তারা ভরসা করতে ও তাঁর দিকে প্রত্যাশার চোখে তাকাতে শুরু করলো, যিনি তাদের পাপের দরুন মানবজাতিকে মার্জনা করতে পারতেন। একই সাথে, তারা বিনা দ্বিধায় প্রভু যীশুর নামে প্রার্থনা করতে আরম্ভ করলো, প্রার্থনা করতে শুরু করলো তাঁর অনুগ্রহ ও তাঁর আশীর্বাদ লাভের জন্য, এবং তাঁর কাছ থেকে শান্তি ও আনন্দ পেতে, তাঁর কাছ থেকে প্রযত্ন ও সুরক্ষা লাভ করতে, এবং তারা আরম্ভ করলো প্রভু যীশুর নামে অসুস্থের রোগনিরাময় ঘটাতে ও দানবদের পরিহার করা।

প্রভু যীশু যে সময়ে দেহরূপে কার্য সম্পাদন করেছিলেন, তখন তাঁর অধিকাংশ অনুগামী তাঁর স্বরূপ ও তাঁর বাক্যাবলীর যাথার্থ্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিপাদন করে উঠতে পারেনি। তিনি যখন ক্রুশকাষ্ঠের দিকে এগিয়ে চলেছিলেন, তাঁর অনুগামীরা তখন দর্শকের মনোভাব অবলম্বন করেছিল। এরপর, তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার সময় থেকে তাঁকে কবরস্থ করা পর্যন্ত, তাঁর প্রতি মানুষ এক আশাভঙ্গের মনোভাব পোষণ করেছিল। এই সময়কালে, দেহরূপে থাকাকালীন, প্রভু যীশুর উক্ত বাক্যগুলির প্রতি সংশয়ের মানসিকতা থেকে মানুষের মন ইতিমধ্যেই সেগুলিকে পুরোপুরি অস্বীকার করার দিকে ঢলতে শুরু করেছিল। এরপর, কবর থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে, তিনি যখন একের পর এক মানুষের কাছে আবির্ভূত হলেন, তখন যারা স্বচক্ষে তাঁকে দর্শন করেছিল বা তাঁর পুনরুত্থানের খবর শুনেছিল, তাদের অধিকাংশই তাদের মানসিকতা অস্বীকারের দিক থেকে ক্রমশ সংশয়বাদের দিকে সরিয়ে নিয়ে যায়। কেবল প্রভু যীশু যখন থোমাকে তাঁর পার্শ্বদেশে হাত রাখতে দেন, এবং তাঁর পুনরুত্থানের পর জনতার সামনে রুটি ছিঁড়ে মুখে তোলেন এবং তারপর তাদের সম্মুখে একটি ঝলসানো মাছ ভক্ষণ করতে উদ্যত হন, একমাত্র তখনই তারা যথার্থই এই সত্যকে স্বীকার করে নেয়, যে, প্রভু যীশু ছিলেন দেহরূপী খ্রীষ্ট। বলা যায়, সেই মানুষগুলির চোখের সামনে দণ্ডায়মান রক্ত-মাংসের এই আধ্যাত্মিক দেহ তাদের প্রত্যেককে যেন এক স্বপ্ন থেকে জাগিয়ে তুলছিল: তাদের সামনে দণ্ডায়মান মনুষ্যপুত্র ছিলেন স্মরণাতীত কাল থেকে অস্তিমান সেই একমেবাদ্বিতীয়ম। তাঁর একটি আকার ছিল, রক্ত-মাংসের শরীর ছিল, এবং তিনি ইতিপূর্বেই দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি মানবজাতির পাশাপাশি বসবাস ও আহারবিহার করেছিলেন…। এই সময়, তাঁর অস্তিত্ব যে কত বাস্তব, আর তা যে কত অপরূপ, মানুষ তা অনুভব করলো। একই সঙ্গে, তারা হর্ষোৎফুল্ল ও সুখী এবং আবেগাপ্লুত হয়ে উঠলো। তাঁর পুনরাবির্ভাব মানুষকে সুযোগ দিল যথাযথভাবে তাঁর বিনয়কে প্রত্যক্ষ করার, মানবজাতির সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গতা ও বন্ধনকে অনুভব করার, এবং তাদের বিষয়ে তিনি যে কত চিন্তাভাবনা করেছিলেন, তা অনুভব করার। প্রভু যীশুকে যারা প্রত্যক্ষ করেছিল, এই সংক্ষিপ্ত পুনর্মিলন তাদের অনুভব করিয়েছিল যেন পূর্ণ এক জীবৎকাল অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। তাদের উদ্ভ্রান্ত, বিহ্বল, শঙ্কিত, উদ্বিগ্ন, আকুল ও অসাড় হৃদয়গুলি সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছিল। তারা আর সংশয়াকীর্ণ বা ভগ্নমনোরথ হয়ে রইলো না, কারণ তারা অনুভব করল যে, এখন একটা আশা আছে, ভরসা করার মতো কিছু একটা রয়েছে। তাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা এই মনুষ্যপুত্র সর্বক্ষণ পশ্চাতে থেকে প্রহরীর মতো তাদের রক্ষা করবেন; শাশ্বতকাল ব্যাপী সুদৃঢ় দুর্গের মতো তিনি তাদের নিরাপত্তা দেবেন, হয়ে উঠবেন তাদের আশ্রয়স্থল।

প্রভু যীশু পুনরুত্থিত হয়েছিলেন বটে, তাঁর হৃদয় ও তাঁর কার্য মানবজাতিকে ত্যাগ করে নি। মানুষের সামনে আবির্ভূত হওয়ার মাধ্যমে, তিনি তাদের জানিয়েছিলেন যে, যেমন রূপেই তিনি অধিষ্ঠান করুন না কেন, সর্বকালে ও সর্বত্র তিনি তাদের সঙ্গ দেবেন, তাদের সঙ্গে পথ চলবেন, এবং তাদের সাথে থাকবেন। তিনি তাদের জানিয়েছিলেন যে, সর্বদা ও সর্বত্র মানবজাতিকে তিনি সংস্থান যুগিয়ে যাবেন ও তাদের পরিচালিত করবেন, তাঁকে দর্শন ও স্পর্শ করতে দেবেন, এবং নিশ্চিত করবেন যে, তারা যেন আর কখনো অসহায় বোধ না করে। প্রভু যীশু মানুষকে এটাও জানাতে চেয়েছিলেন যে, এই বিশ্বে তারা নিঃসঙ্গ হয়ে বসবাস করে না। মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের তত্ত্বাবধান আছে; ঈশ্বর তাদের সঙ্গে রয়েছেন। সবসময়ই তারা ঈশ্বরের উপর নির্ভর করতে পারে, এবং তিনি হলেন তাঁর সকল অনুগামীর পরিজন। ভরসা করার জন্য ঈশ্বর আছেন বলে, মানবজাতি আর নিঃসঙ্গ বা অসহায় থাকবে না, এবং যারা তাঁকে পাপস্খালনের বলি হিসাবে স্বীকার করে নেবে, তারা পাপে আবদ্ধ রইবে না। মানুষের দৃষ্টিতে, তাঁর পুনরুত্থানের পর প্রভু যীশুর সম্পাদিত কার্যের এই অংশগুলি অতি নগণ্য বিষয়, কিন্তু আমার পরিপ্রেক্ষিত, তাঁর প্রতিটি কার্যই অত্যন্ত অর্থপূর্ণ, অতি মূল্যবান, অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যের ভারে ভরপুর।

যদিও প্রভু যীশুর দেহরূপে কার্য সম্পাদনের সময়কালটি দুঃখকষ্ট ও যন্ত্রণাভোগে পরিপূর্ণ ছিল, তবু তিনি তাঁর রক্ত-মাংসের আধ্যাত্মিক শরীরে আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে দেহরূপে তাঁর তৎকালীন মানবজাতিকে পুনরুদ্ধারের কার্য সম্পূর্ণ ও সুচারুরূপে নিষ্পন্ন করেছিলেন। অবতাররূপ ধারণের মাধ্যমে তিনি তাঁর সেবাব্রতের সূচনা করেছিলেন, এবং তাঁর স্থূলরূপে মানবজাতির কাছে আবির্ভূত হওয়ার মাধ্যমে তিনি তাঁর সেবাব্রতের সমাপ্তি ঘটিয়েছিলেন। তিনি অনুগ্রহের যুগের আগমন ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর খ্রীষ্ট পরিচয়ের মাধ্যমে নবযুগের সূচনা ঘটিয়েছিলেন। তাঁর খ্রীষ্ট পরিচয়ের মাধ্যমেই, অনুগ্রহের যুগে তিনি কার্য নিষ্পন্ন করেছিলেন, এবং অনুগ্রহের যুগে তিনি তাঁর সকল অনুগামীকে শক্তিশালী ও পথনির্দেশ করেছিলেন। ঈশ্বরের কার্যের বিষয়ে এমন বলা যায় যে, যা তিনি শুরু করেন তা সত্যিই তিনি সমাপ্ত করেই ছাড়েন। তাতে পর্যায়সমূহ ও পরিকল্পনা রয়েছে, এবং এই কাজ তাঁর প্রজ্ঞা, তাঁর সর্বশক্তিমত্তা, তাঁর চমৎকার কীর্তিসমুদয়, এবং তাঁর প্রেম ও করুণায় পূর্ণ। নিশ্চিতভাবেই, ঈশ্বরের সকল কার্যের মধ্যে সঞ্চারমান মূল সূত্রটি হল মানবজাতির প্রতি তাঁর প্রযত্ন; এটি তাঁর উদ্বেগের অনুভূতিতে সম্পৃক্ত, যে অনুভূতিকে তিনি কখনো উপেক্ষা করতে পারেন না। বাইবেলের এই শ্লোকগুলির মধ্যে, পুনরুত্থানের পর প্রভু যীশুর সম্পাদিত প্রতিটি কাজের মধ্যে, মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের অপরিবর্তনশীল আশা ও উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছিল, যেমন প্রকাশ পেয়েছিল মানবজাতির প্রতি তাঁর সযত্ন তত্ত্বাবধান ও সস্নেহ লালন। সেই শুরু থেকে আজ অবধি, এগুলির কোনোটিই কখনো বদলায় নি—তোমরা কি তা অনুভব করছো? যখন তোমরা তা অনুভব করো, তখন তোমাদের হৃদয় কি অচেতনভাবেই ঈশ্বরের সমীপবর্তী হয় না? তোমরা যদি সেই যুগে বাস করতে এবং প্রভু যীশু যদি তাঁর পুনরুত্থানের পর তোমাদের দৃষ্টিগোচর এক ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য রূপে তোমাদের সামনে আবির্ভূত হতেন, এবং তোমাদের সামনে বসে তিনি যদি রুটি ও মাছ ভক্ষণ করতেন, তোমাদের শাস্ত্রব্যাখ্যা শোনাতেন, এবং তোমাদের সাথে আলাপচারিতা করতেন, তখন তোমাদের কেমন অনুভূতি হতো? তোমরা কি উৎফুল্ল বোধ করতে? নাকি নিজেকে অপরাধী বলে মনে হতো? আগেকার ভ্রান্ত উপলব্ধি এবং ঈশ্বরকে এড়িয়ে যাওয়া, ঈশ্বরের সঙ্গে সংঘাত ও তাঁর বিষয়ে সংশয়—সবকিছুই কি একেবারে উবে যেতো না? ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে সম্পর্কটি কি তখন আরো স্বাভাবিক ও যথাযথ হয়ে উঠতো না?

বাইবেলের এই সীমিত কয়টি অধ্যায়ের ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে, তোমরা কি ঈশ্বরের স্বভাবের মধ্যে কোনো ত্রুটি খুঁজে পেলে? তোমরা কি ঈশ্বরের ভালোবাসায় কোনো খাদ খুঁজে পাও? ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তা বা প্রজ্ঞার মধ্যে তোমরা কি কোনো প্রতারণা বা মন্দ কোনোকিছু দেখতে পাও? নিশ্চিতভাবেই পাও না! এখন কি তোমরা নিঃসংশয়ে বলতে পারো যে ঈশ্বর পবিত্র? তোমরা কি নিশ্চিতভাবে বলতে পারো যে ঈশ্বরের প্রতিটি ভাবাবেগ হল তাঁর সারসত্য ও স্বভাবের এক উদ্ঘাটন? আমার আশা, এই বাক্যগুলি পাঠ করার পরে, সেগুলির থেকে যে উপলব্ধি তোমরা লাভ করবে তা তোমাদের সহায়তা দান করবে এবং তোমাদের স্বভাব-পরিবর্তন ও ঈশ্বর-ভীতির অন্বেষণে তা তোমাদের পক্ষে উপকারী হবে, এবং তোমাদের জন্য তা ফলদায়ী হবে, যে ফল নিয়ত বিকশিত হয়, যাতে, এই অন্বেষণ-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, তোমরা ঈশ্বরের সন্নিকট থেকে সন্নিকটতর অবস্থানে নীত হবে, ঈশ্বর যে গুণমান দাবি করেন, তোমরা উত্তরোত্তর তার সমীপবর্তী হবে। সত্যের অন্বেষণে তোমরা আর ক্লান্ত বোধ করবে না, এবং সেটিকে তোমরা আর কখনো কোনো পীড়াদায়ক বা অপ্রয়োজনীয় বিষয় হিসাবে অনুভব করবে না। বরং, ঈশ্বরের প্রকৃত স্বভাব ও ঈশ্বরের পবিত্র সারসত্যের অভিব্যক্তির দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে, তোমরা আলোকের কামনা করবে, ন্যায়বিচারের কামনা করবে; সত্যান্বেষণের জন্য, ঈশ্বরের ইচ্ছা-পূরণের উদ্দেশ্যে, ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অভিকাঙ্ক্ষী হবে, এবং পরিণত হবে ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত এক ব্যক্তিতে, হয়ে উঠবে এক যথার্থ মানুষ।

অনুগ্রহের যুগে ঈশ্বরের প্রথমবার অবতাররূপ ধারণ করাকালীন তাঁর দ্বারা সম্পাদিত কিছু কার্যের বিষয়ে আজ আমরা আলোচনা করেছি। এই কার্যগুলি থেকে, দেহরূপে যে স্বভাব তিনি অভিব্যক্ত ও প্রকাশিত করেছিলেন, এবং তাঁর যা আছে ও তিনি যা, তা-র প্রতিটি দিক আমরা দর্শন করেছি। তাঁর যা আছে ও তিনি যা, তা-র এই সব দিকগুলি খুবই মনুষ্যোচিত বলে মনে হয়, কিন্তু বাস্তবে যা কিছু তিনি প্রকাশিত ও অভিব্যক্ত করেছিলেন, তার সারসত্য তাঁর নিজস্ব স্বভাবের থেকে অবিচ্ছেদ্য। ঈশ্বরের অবতারের যে পদ্ধতি ও যে দিকগুলি মানবদেহে তাঁর স্বভাবকে অভিব্যক্ত করে, সেগুলির প্রত্যেকটিই তাঁর নিজের সারসত্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে সংযুক্ত ছিল। তাই, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যে, অবতারত্বের পথ ধরে ঈশ্বর মানবজাতির কাছে এসেছিলেন। দেহরূপে যে কার্যগুলি তিনি সম্পাদন করেছিলেন সেগুলিও খুব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দেহের মধ্যে বাসরত প্রত্যেকটি মানুষের কাছে, ভ্রষ্টতার মধ্যে জীবনধারণরত প্রতিটি মানুষের কাছে, আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল তাঁর দ্বারা প্রকাশিত স্বভাব ও তাঁর দ্বারা অভিব্যক্ত ইচ্ছা। তোমরা কি এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে সক্ষম? ঈশ্বরের স্বভাব এবং তাঁর যা আছে ও তিনি যা, তা উপলব্ধি করার পর, ঈশ্বরকে তোমাদের কেমনভাবে গ্রহণ করা উচিত, সে ব্যাপারে তোমরা কি কোনো সিদ্ধান্তে এসেছো? অবশেষে, এই প্রশ্নটির উত্তরে, আমি তোমাদের তিনখানি পরামর্শ দিতে চাই: প্রথমত, ঈশ্বরকে পরীক্ষা কোরো না। ঈশ্বরের বিষয়ে তুমি যতখানিই উপলব্ধি করে থাকো না কেন, তাঁর স্বভাবের বিষয়ে তুমি যতখানিই অবগত হও না কেন, কোনোক্রমেই তাঁকে পরীক্ষা করতে যেও না। দ্বিতীয়ত, মর্যাদার জন্য ঈশ্বরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোরো না। ঈশ্বর তোমাকে যে ধরনের পদমর্যাদাই প্রদান করুন না কেন বা তোমার উপর যে প্রকারের কাজের দায়িত্বই অর্পণ করুন না কেন, যে ধরনেরই কর্তব্য সম্পাদনের জন্য তিনি তোমার প্রতিপালন করুন না কেন, এবং ঈশ্বরের নিমিত্ত তুমি নিজেকে যতখানিই ব্যয় করো ও যতখানিই ত্যাগস্বীকার করো না কেন, পদমর্যাদার জন্য কোনোক্রমেই তাঁর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমো না। তৃতীয়ত, ঈশ্বরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কোরো না। তোমাকে নিয়ে ঈশ্বর যা করেন, তোমার জন্য তিনি যাকিছুর আয়োজন করেন, এবং তোমার কাছে তিনি যা কিছু নিয়ে আসেন, সেগুলি তুমি উপলব্ধি করো বা না করো, অথবা সেগুলির প্রতি তুমি সমর্পিত হতে পারো বা না পারো তা নির্বিশেষে, কোনোক্রমেই ঈশ্বরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হোয়ো না। এই তিনটে পরামর্শ মেনে চলতে পারলেই তুমি যথেষ্ট নিরাপদ থাকবে, এবং তোমার মধ্যে ঈশ্বরকে রাগান্বিত করে তোলার প্রবণতা থাকবে না। এখানেই আমরা আজকের আলাপ-আলোচনা সমাপ্ত করবো।

—বাক্য, খণ্ড ২, ঈশ্বরকে জানার প্রসঙ্গে, ঈশ্বরের কর্ম, ঈশ্বরের স্বভাব এবং স্বয়ং ঈশ্বর ৩

পূর্ববর্তী: পুনরুত্থানের পর তাঁর শিষ্যদের প্রতি যীশুর উক্তি

পরবর্তী: গল্প ১: একটি বীজ, পৃথিবী, একটি গাছ, সূর্যালোক, পাখি, ও মানুষ

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বর হবাকে সৃষ্টি করলেন

আদিপুস্তক ২:১৮-২০ তারপর প্রভু পরমেশ্বর বললেন, মানুষের একা থাকা ভাল নয়, আমি তাকে তার যোগ্য এক সঙ্গিনী দেব। প্রভু পরমেশ্বর মৃত্তিকা থেকে...

তৃতীয় দিবসে, ঈশ্বরের বাক্যসমূহ জন্ম দেয় পৃথিবী এবং সমুদ্রের এবং ঈশ্বরের কর্তৃত্ব বিশ্বে প্রাণসঞ্চার করে

এরপর, পাঠ করা যাক আদিপুস্তক ১:৯-১১-এর প্রথম বাক্যটি: “ঈশ্বর বললেন, আকাশের নীচে সমস্ত জলরাশি এক স্থানে সংহত হোক, প্রকাশিত হোক শুষ্ক ভূমি!”...

ষষ্ঠ দিবসে, সৃষ্টিকর্তা কথা বলেন, এবং তাঁর মনের মধ্যে থাকা প্রতিটি জীব একাদিক্রমে আবির্ভূত হয়

ইন্দ্রিয়াতীতভাবে, সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টিকার্য পাঁচ দিন ধরে অব্যাহত ছিল, ঠিক তার পরপরই সৃষ্টিকর্তা তাঁর সকল বস্তু সৃষ্টির ষষ্ঠ দিবসকে...

সেটিংস

  • লেখা
  • থিমগুলি

ঘন রং

থিমগুলি

ফন্টগুলি

ফন্ট সাইজ

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

লাইনের মধ্যে ব্যবধান

পৃষ্ঠার প্রস্থ

বিষয়বস্তু

অনুসন্ধান করুন

  • এই লেখাটি অনুসন্ধান করুন
  • এই বইটি অনুসন্ধান করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন