রাজ্যের যুগে ঈশ্বর কেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নাম পরিগ্রহণ করলেন
বহু সংখ্যক মানুষ এ কথা বুঝতে পারেন না যে প্রভু যীশুর পুনরাগত রূপই যখন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তখন, অন্তিম সময়ে প্রভু যীশু যখন বিচারের কাজ করতে আসেন, তাঁকে “সর্বশক্তিমান ঈশ্বর” নামে অভিহিত করা হয় কেন। এই সময়েও কেন তিনি “যীশু” নাম ধারণ করলেন না? বস্তুত, ঈশ্বরের কাজের প্রতিটি পর্যায়েই তাঁর একটি নতুন নাম হয়। এই নতুন নাম স্বয়ং ইশ্বরই গ্রহণ করেন, যা তাঁর কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়—এটি এমন নয় যে, মানুষ তাঁকে তাদের ইচ্ছামতো নামে ডাকে। অন্তিম সময়ে পুনরাগত প্রভু যীশুর নাম সম্পর্কে অনেক আগেই বাইবেলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। প্রকাশিত বাক্যে এই কথা বলা হয়, “যে জয়ী হবে আমি তাকে আমার ঈশ্বরের মন্দিরের স্তম্ভস্বরূপ করব, সে কখনও স্থানচ্যূত হবে না। তার উপরে আমি লিখব আমার ঈশ্বরের নাম। লিখব আমার ঈশ্বরের নতুন নগরীর নাম—নতুন জেরুশালেম যা স্বর্গ থেকে, আমার ঈশ্বরের কাছ থেকে নেমে আসছে। আর লিখব আমার নিজের নতুন নাম” (প্রকাশিত বাক্য ৩:১২)। “প্রভু পরমেশ্বর বলেন, ‘আমিই আল্ফা ও ওমেগা’। তিনি আছেন, ও ছিলেন ও তাঁর আবির্ভাব আসন্ন। তিনিই সর্বশক্তিমান” (প্রকাশিত বাক্য ১:৮)। “তখন আমি বিরাট জনসমাবেশের কোলাহন, জলধি কল্লোল ও প্রচণ্ড বজ্রনাদের মত এক ধ্বনি শুনতে পেলাম, সেই ধ্বনিতে ঘোষিত হচ্ছিল: ‘হাল্লেলুয়া, আমাদের আরাধ্য ঈশ্বর সর্বশক্তিমান প্রভু পরমেশ্বর রাজত্বগ্রহণ করেছেন’” (প্রকাশিত বাক্য ১৯:৬)। রাজ্যের যুগে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নাম হল প্রকাশিত বাক্যের ভবিষ্যদ্বাণীর সম্পূর্ণ পরিণতি। প্রত্যেক যুগে ঈশ্বর যে নাম গ্রহণ করেন তার গভীর তাৎপর্য আছে এবং তা সেই যুগে ঈশ্বরের কার্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এই সংক্রান্ত রহস্যের উন্মোচন করেন যখন তিনি বলেন,
“প্রত্যেক যুগেই, ঈশ্বর নতুন কোনও কাজ করেন এবং নতুন নামে অভিহিত হন; তিনি কীভাবে একই কাজ বিভিন্ন যুগে করবেন? কীভাবে তিনি পুরনোকে আঁকড়ে ধরে থাকবেন? তাঁর যীশু নাম গৃহীত হয়েছিল মুক্তির কার্যের জন্য, তাহলে অন্তিম সময়ে যখন তাঁর পুনরাবির্ভাব হয়, তখনও তাঁর নাম কি অভিন্ন থাকতে পারে? তিনি কি এখনও মুক্তির কার্যই করে যাবেন? কেন যিহোবা এবং যীশু এক হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন যুগে তাঁরা বিভিন্ন নামে অভিহিত হন? তা কি তাঁদের কর্মের যুগগুলি ভিন্ন হওয়ার জন্যই নয়? ঈশ্বরের সামগ্রিকতার প্রতিনিধিত্ব কি একটিমাত্র নামের দ্বারা সম্ভব? সেই কারণে, ভিন্ন এক যুগে ঈশ্বরকে ভিন্ন এক নামেই অভিহিত করতে হবে, এবং যুগের পরিবর্তন করার জন্য ও সেই যুগের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তাঁকে সেই নাম ব্যবহার করতে হবে। কারণ কোনও একটি নাম সম্পূর্ণরূপে স্বয়ং ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না, এবং প্রতিটি নাম একটি নির্দিষ্ট যুগে ঈশ্বরের স্বভাবের শুধু একটি অস্থায়ী দিকের প্রতিনিধিত্বই করতে সক্ষম; সেই নামের একমাত্র প্রয়োজন হল তাঁর কর্মের প্রতিনিধিত্ব করা। সুতরাং ঈশ্বর সমগ্র একটি যুগের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তাঁর স্বভাবের উপযোগী যে কোনও নাম চয়ন করতে পারেন। যিহোবার যুগই হোক বা যীশুর যুগ, তা নির্বিশেষে, প্রতিটি যুগের প্রতিনিধিত্ব করে এক একটি নাম” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের কাজের দর্শন (৩))।
“ইস্রায়েলে আমার কার্য নির্বাহ করার সময় আমি ‘যিহোবা’ নাম গ্রহণ করেছিলাম, এবং এই নামের অর্থ ইস্রায়েলীদের ঈশ্বর (ঈশ্বরের নির্বাচিত ব্যক্তিগণ) যিনি মানুষকে করুণা করতে পারেন, অভিশাপ দিতে পারেন, এবং তাদের জীবনযাপনকে দিশা দেখাতে পারেন; যে ঈশ্বর অসীম ক্ষমতার অধিকারী এবং জ্ঞানে পরিপূর্ণ। ‘যীশু’ হলেন ইম্মানুয়েল, যার অর্থ স্নেহ ও মমতায় পরিপূর্ণ পাপস্খালনের বলি, এবং যা মানুষকে মুক্তি দেয়। তিনি অনুগ্রহের যুগের কার্য নির্বাহ করেছিলেন, তিনিই অনুগ্রহের যুগের প্রতিনিধিত্ব করেন, এবং পরিচালনামূলক পরিকল্পনার কেবলমাত্র একটি অংশের কার্যের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। অর্থাৎ বলা যায়, শুধুমাত্র যিহোবাই নির্বাচিত ইস্রায়েলীদের ঈশ্বর, অব্রামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বর, যাকোবের ঈশ্বর, মোশির ঈশ্বর, এবং ইস্রায়েলের সকল মানুষের ঈশ্বর। এবং তাই, বর্তমান যুগে ইহুদীরা ছাড়াও সকল ইস্রায়েলী যিহোবার উপাসনা করে। তারা তাঁর উদ্দেশ্যে পূজাবেদীতে উৎসর্গ করে এবং মন্দিরে যাজকের বেশ পরিধান করে তাঁর সেবা করে। তারা যিহোবার পুনরাবির্ভাবের জন্য আশা করে। শুধুমাত্র যীশুই হলেন মানবজাতির মুক্তিদাতা, এবং তিনি হলেন সেই পাপস্খালনের বলি, যা মানবজাতিকে পাপ থেকে উদ্ধার করেছিল। বলা যায়, যীশুর নামটি অনুগ্রহের যুগ থেকে এসেছিল, এবং সে যুগে মুক্তির কার্যের জন্যই তাঁর উদ্ভব হয়। অনুগ্রহের যুগের মানুষদের পুনর্জন্ম ও উদ্ধারের সুযোগ দিতেই যীশুর নামের উদ্ভব হয়, এবং এটি সমগ্র মানবজাতির মুক্তির এক বিশেষ নাম। ফলত, যীশুর নামটি অনুগ্রহের যুগকে চিহ্নিত করে এবং মুক্তির কার্যের প্রতিনিধিত্ব করে। ইসরায়েলের যে জনগণ বিধানের অধীনে বাস করতো, যিহোবা নামটি তাদের জন্য এক বিশেষ নাম। প্রত্যেক যুগে এবং কার্যের প্রতি পর্যায়ে আমার নাম ভিত্তিহীন নয়, বরং তা প্রতিনিধিত্বমূলক তাৎপর্য বহন করে: প্রতিটি নাম একেকটি যুগের প্রতিনিধি। ‘যিহোবা’ বিধানের যুগের প্রতিনিধিত্ব করেন, এবং এটি সেই সম্ভ্রমার্থক নাম যার দ্বারা ইস্রায়েলীরা তাদের আরাধ্য ঈশ্বরকে সম্বোধন করতো। ‘যীশু’ অনুগ্রহের যুগের প্রতিনিধিত্ব করেন, এবং এটি সেই যুগে মুক্তিপ্রাপ্ত সকলের ঈশ্বরের নাম। মানুষ যদি এখনো অন্তিম সময়ে পরিত্রাতা যীশুর আগমনের অপেক্ষা করে, এবং এখনও আশা করে যে যিহুদীয়ার রূপের প্রতিমূর্তি রূপে তিনি আবির্ভূত হবেন, তাহলে সমগ্র ছ’হাজার বছরব্যাপী পরিচালনামূলক পরিকল্পনা মুক্তির যুগেই স্তব্ধ হয়ে যেত, এবং আর অগ্রসর হতে পারত না। তাছাড়াও অন্তিম সময় কখনোই আসতো না, এবং এই যুগটি কোনোদিনই শেষ করা যেত না। এর কারণ, পরিত্রাতা যীশু শুধুমাত্র মানবজাতির মুক্তি এবং পরিত্রাণের জন্যই। কেবলমাত্র অনুগ্রহের যুগের সকল পাপীর জন্যই আমি যীশুর নাম নিলাম, কিন্তু এটা সেই নাম নয় যা দিয়ে আমি সমগ্র মানবজাতির বিনাশ ঘটাবো। যদিও যিহোবা, যীশু, এবং মশীহ, সকলেই আমার আত্মার প্রতিনিধি, কিন্তু এই নামগুলি কেবলমাত্র আমার পরিচালনামূলক পরিকল্পনার বিভিন্ন যুগকে চিহ্নিত করে, আমার সামগ্রিক সত্তার প্রতিনিধিত্ব করে না। পৃথিবীর মানুষ আমাকে যেসব নামে ডাকে, সেগুলি আমার সম্পূর্ণ স্বভাব এবং আমার সামগ্রিক সত্তাকে স্পষ্ট করতে পারে না। এগুলি নিতান্তই কিছু নাম যার দ্বারা আমাকে বিভিন্ন যুগে সম্বোধন করা হয়। এবং তাই যখন শেষ যুগ—অন্তিম সময়ের যুগ—এসে উপস্থিত হবে, তখন আমার নাম আবার বদলে যাবে। আমাকে তখন যিহোবা, যীশু বা মশীহ নামে ডাকা হবে না—আমাকে স্বয়ং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলে সম্বোধন করা হবে, এবং এই পরিচয়েই আমি একটি সমগ্র যুগের অবসান ঘটাব। একসময় আমি যিহোবা নামে পরিচিত ছিলাম। আমাকে মশীহ নামেও ডাকা হত, এবং মানুষ একসময় স্নেহ ও সম্মানভরে পরিত্রাতা যীশু নামেও আমাকে সম্বোধন করত। যদিও আজ, আমি আর সেই অতীতকালের পরিচিত যিহোবা বা যীশু নই; আমি সেই ঈশ্বর যিনি অন্তিম সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন, সেই ঈশ্বর যিনি যুগের অবসান ঘটাবেন। আমি স্বয়ং ঈশ্বর যিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত থেকে জেগে ওঠেন, সম্পূর্ণ স্বভাব নিয়ে, এবং কর্তৃত্ব, সম্মান, ও মহিমায় পরিপূর্ণ অবস্থায়” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিত্রাতা ইতিমধ্যেই একটি “সাদা মেঘে” চড়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন)।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বর স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে প্রতিটি যুগে ঈশ্বর যে নাম গ্রহণ করেন, তার প্রতিনিধিত্বমূলক তাৎপর্য আছেঃ প্রত্যেকটি নাম সেই যুগে ঈশ্বরের কার্য এবং তাঁর স্বাভাবিক প্রবণতাকে উপস্থাপিত করে। আইনের যুগে ঈশ্বর যিহোবা নাম ব্যবহার করেন, যাতে তিনি তাঁর আইন এবং আদেশসমূহের প্রচার করতে পারেন এবং পৃথিবীতে মানবজাতির জীবনের পথ প্রদর্শন করতে পারেন; যিহোবা নামটি ঈশ্বরের সেই স্বাভাবিক প্রবণতাকে প্রতিভাত করে, যেখানে মানবজাতির জন্য করুণা এবং অভিশাপ দুইই আছে। অনুগ্রহের যুগে ঈশ্বর যীশুর নাম ব্যবহার করেন যাতে মানবজাতির মুক্তির জন্য কাজ করা যায় এবং ঈশ্বরের প্রেমময় উদারতাকে প্রকাশ করা যায়; এবং রাজ্যের যুগে ঈশ্বরকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নামে অভিহিত করা হয়, এবং তিনি সত্য প্রকাশ করেন এবং বিচারের কাজ শুরু করেন যার সূচনা হয় ঈশ্বরের ঘর থেকে যাতে মানুষের দুর্নীতিপরায়ণ স্বভাবকে প্রকাশ্যে আনা এবং তার বিচার করা যায় এবং তার ফলে তারা পরিশুদ্ধ, পরিবর্তিত এবং রক্ষিত হয় এবং তাঁর ধার্মিক ও মহিমান্বিত স্বভাব প্রকাশিত হয়, যা কোনোরকম অপরাধকে বরদাস্ত করে না। ঈশ্বর তাঁর নাম ব্যবহার করে যুগের পরিবর্তন করেন এবং সেই যুগের কার্যের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সেই নামের ব্যবহার করেন। যিহোবা যখন আইনের যুগে কাজ করছিলেন, একমাত্র যিহো্বার নামে প্রার্থনা এবং তাঁর আইন ও আদেশসমূহের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলেই মানুষ ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করতো এবং তাঁর দ্বারা রক্ষিত হতে পারতো। অনুগ্রহের যুগের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পরিত্রাণের কার্যের জন্য ঈশ্বর যীশুর নাম ব্যবহার করেন, এবং প্রভু যীশুকে ত্রাতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া, প্রভুর নামে অনুতাপের প্রার্থনা করা ছাড়া মানুষের কাছে আর কোনো বিকল্প ছিলো না, যাতে তারা তাদের পাপের ক্ষমা লাভ করতে পারে এবং প্রভু যীশুর দ্বারা বর্ষিত সত্য ও অনুগ্রহের আনন্দ লাভ করতে পারে। তখনও যদি তারা যিহোবার নাম আঁকড়ে ধরে থাকতো এবং প্রভু যীশুকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করতো, তাহলে তারা ঈশ্বরের অভিভাবকত্ব এবং সুরক্ষা হারিয়ে ফেলতো, এবং ইশ্বরের অভিশাপ এবং শাস্তিপ্রদানের ফলে ইহুদি ফড়ীশীদের মতো অন্ধকারে পতিত হতো। অন্তিম সময় আগত হলে ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নাম ব্যবহার করেন যাতে ঈশ্বরের ঘর থেকে বিচারের কাজ আরম্ভ করতে পারেন। একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নামকে স্বীকৃতি দিয়ে, তাঁর কার্যের পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তিপ্রদানের মধ্য দিয়ে গেলেই মানুষ সত্যকে অনুধাবন এবং লাভ করতে পারবে, পাপের থেকে মুক্ত হতে পারবে, পরিশুদ্ধ হবে এবং ঈশ্বরের পরিত্রাণ লাভ করতে পারবে। শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরই দুর্নীতিগ্রস্ত মানবজাতিকে পাপের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন; তিনি সৎ মানুষকে পুরষ্কৃত করবেন এবং পাপীদের শাস্তিপ্রদান করবেন, প্রত্যেককে তার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পৃথক করবেন এবং তাঁর ছয় হাজার বছরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনাকে এনে মানবজাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবেন। যারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং অন্তিম দিনে তাঁর বিচারের কার্যকে প্রত্যাখ্যান করে তারা পাপের দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পারে না, এবং চিরকালের জন্য স্বর্গের রাজত্বে প্রবেশের যোগ্যতা হারায়।
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।