ঐশ্বরিক উচ্চারণকে কেন আমরা বলি যে বাক্য দেহে আবির্ভূত হল?
বাইবেল থেকেই আমরা সবাই জেনেছি যে, ঈশ্বরের আত্মা সরাসরি বলা, কোনো ভবিষ্যদ্বক্তার মাধ্যমে বলা বা ঈশ্বরের অবতার হিসাবে প্রভু যীশুর দ্বারা...
ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য যারা আকুলভাবে অপেক্ষা করছেন তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই!
অবতাররূপী প্রভু যিশুর ত্রাণের কাজ অনুসরণ করে খ্রিষ্টধর্মের উদ্ভব হয়; একটি খ্রিষ্টান গির্জাই দয়ার যুগের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে। অন্তিম দিনগুলিতে দেহধারী সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আসেন, যিনি দয়ার যুগের অবসান ঘটান এবং রাজ্যের যুগের সূচনা করেন, এবং প্রভু যীশুর ত্রাণের কাজের উপর ভিত্তি করে তিনি সত্যের প্রকাশ এবং ঈশ্বরের স্থান থেকে বিচারের কাজ শুরু করেন। সমস্ত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে, যারা সত্যকে ভালবাসে এবং প্রভুর আবির্ভাবের জন্য আকুল, তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যগুলি পড়ে এবং ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর চিনতে পারে। তারা নিশ্চিত হন যে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হলেন প্রভু যীশুর প্রত্যাবর্তন, এবং প্রত্যেকেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে স্বীকার করেন, এবং ঈশ্বরের মেষশাবকের পদচিহ্ন অনুসরণ করেন—এর থেকেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার জন্ম। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা এবং খ্রিষ্টধর্ম—উভয়েরই জন্ম ঈশ্বরের আবির্ভাব এবং কাজ থেকে। দয়ার যুগে প্রভু যীশুর ত্রাণের কাজের ফসল ছিল খ্রিষ্টধর্ম, কিন্তু ঈশ্বর যখন দেহ ধারণ করে তাঁর অন্তিম দিনগুলিতে বিচার-কার্য সমাধা করেন, তখন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার জন্ম হয়। রাজ্যের যুগে এটি একটি খ্রিস্টান গির্জা। ঈশ্বর যখন দেহরূপে আবির্ভূত হয়ে কাজ শুরু করেন, সেই সময়েই এই দুই গির্জার উদ্ভব, পার্থক্য শুধু দুটি গির্জার সূচনা দুই যুগে। দয়ার যুগের গির্জা হল খ্রিষ্টধর্ম এবং রাজ্যের যুগের গির্জা হল সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা, যা ঈশ্বরের ব্যক্তিগত কাজ এবং আজকের বাক্য দ্বারা পরিচালিত এবং পালিত। অন্যদিকে, খ্রিস্টান ধর্ম পবিত্র আত্মার কাজের দিশা হারিয়ে ফেলেছে; কারণ এটি ঈশ্বরের পদচিহ্নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে নি এবং এটি ঈশ্বরের অন্তিম দিনগুলির কাজের প্রতিরোধ ও নিন্দা করেছে। এই গির্জাগুলি ঈশ্বরের দ্বারা নিন্দিত এবং পরিত্যক্ত। ফলে, খ্রিষ্টধর্মকে ঈশ্বর নিজের বলে স্বীকার করেন না, বরং ঈশ্বরবিরোধী এবং নিন্দাকারী বলে চিহ্নিত করেন। সুতরাং এই দুইয়ের মধ্যে কোন তুলনাই চলে না। প্রভু যীশু খ্রিষ্ট দুই হাজার বছর আগে স্বর্গে আরোহণ করেছিলেন। তিনি পৃথিবীতে আর নেই। যদিও খ্রিষ্টধর্মের মানুষরা, যারা কখনই তাঁর দর্শন পায় নি তারা প্রভু যীশুর নামে বিশ্বাস করে। এমনকি কখনই তারা প্রভু যীশুর দ্বারা পরিচালিত বা পালিতও হয় নি, বা তারা প্রভু যীশুর কথার অনুশীলন বা তার অভিজ্ঞতার প্রতিও কোন মনোযোগ দেয় নি। প্রভু যীশুকে তারা আদপেই জানে না, এমন কি সন্ধানও পায়নি তাঁর আত্মার। দয়ার যুগের খ্রিস্টান গির্জাগুলি শুধুমাত্র স্বর্গের অস্পষ্ট এবং বিমূর্ত ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, শেষ দিনের অবতার খ্রিষ্টকে নয়। এই ধরনের গির্জা তাই প্রকৃত খ্রিস্টান নয়; এগুলি বৌদ্ধধর্ম বা তাওবাদের মত ধর্মীয় গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে এবং এগুলি ঈশ্বরের গির্জা নয়। সুতরাং, প্রভুর প্রত্যাবর্তনের জন্য খ্রিষ্টধর্মের আকুলতা এবং স্বর্গরাজ্যের আনন্দ এখানে শুধুই বিশুদ্ধ কল্পনা। খ্রিষ্টধর্মে যারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে স্বীকার করে, তারাই জ্ঞানী কুমারী, যারা ঈশ্বরের দ্বারা পালিত হয়। তবে, এদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ অন্তিম দিনগুলিতে ঈশ্বরের বিচার-কর্ম স্বীকার করে না, তারা কেবল বাইবেলের উক্তি ও মতবাদ নিয়েই ব্যস্ত, এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে আঁকড়ে থাকে। পবিত্র আত্মার বর্তমান কাজের সঙ্গে তারা তাল মিলিয়ে চলতে পারে না, পরিবর্তে অন্তিম দিনগুলিতে ঈশ্বরের কাজের নিন্দা ও প্রতিরোধে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টায় CCP-এর শয়তানী শাসন অনুসরণ করে। এইসব মানুষরা হল মূর্খ কুমারী, এবং ইতিমধ্যেই তারা ঈশ্বরের দ্বারা ঘৃণিত, প্রত্যাখ্যাত এবং নির্মূলিত; ঈশ্বর তাদের স্বীকার করেন না এবং তারা শুধু নামেই “খ্রিস্টান”। খ্রিষ্টধর্মের সারমর্ম হারিয়ে ফেলেছে তারা, যদিও দীর্ঘদিন ধরে শুধু নামেই দখল করে আছে।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যখন আবির্ভূত হন এবং কাজ শুরু করেন, ততদিনে ঈশ্বর সমগ্র মহাবিশ্বের আত্মার কাজ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, এমন একদল লোকের উপর মনোনিবেশ করা যারা অন্তিম দিনগুলিতে ঈশ্বরের কাজ স্বীকার করেছিল। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পানের মাধ্যমে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার খ্রিস্টানরা পবিত্র আত্মার কর্মের উপযোগী হয়ে উঠেছে। তারা ঈশ্বর-প্রদত্ত জীবনের সমৃদ্ধ বিধান পেয়েছে এবং তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য অনুশীলন ও অনুভব করে, ঈশ্বরের বাক্যের বিচার এবং শাস্তির অভিজ্ঞতাও তাদের হয়, সত্য সম্বন্ধে ধারণা হয় স্পষ্টতর, কলুষতা থেকে তারা মুক্ত হয়, তাদের স্বভাব বদলায়, এবং তারা ঈশ্বরের পরিত্রান লাভ করে। বিপর্যয়ের আগে তারাই হয়ে ওঠে ঈশ্বরের সাহায্যে সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত মানব-গোষ্ঠী। খ্রিষ্টধর্মের কতিপয় মানুষই হল সেই জ্ঞানী কুমারী, যারা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনেছে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে স্বীকার করেছে এবং পবিত্র মেষশাবকের বিবাহের ভোজে বসে। খ্রিষ্টধর্মের বেশিরভাগ মানুষই ঈশ্বরের পদচিহ্ন অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখনো তারা খ্রিষ্টবিরোধী ধর্মীয় জগতের অপশক্তির অনুগামী হয়ে সর্বশক্তিমান ইশ্বরের আবির্ভাব এবং কাজের প্রতিরোধ এবং নিন্দা করে চলেছে। বহু পূর্বেই তারা পবিত্র আত্মার স্পর্শ হারিয়েছে, ঈশ্বরের দ্বারা ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যাত এবং বিপর্যয়ে নিমজ্জিত হয়েছে, কষ্টের কান্নায় আর্তনাদ করছে।
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।👇
বাইবেল থেকেই আমরা সবাই জেনেছি যে, ঈশ্বরের আত্মা সরাসরি বলা, কোনো ভবিষ্যদ্বক্তার মাধ্যমে বলা বা ঈশ্বরের অবতার হিসাবে প্রভু যীশুর দ্বারা...
Like the churches of Christianity, The Church of Almighty God came into existence because of the work of God become flesh. The churches of...
(1) The Tenets of The Church of Almighty God The tenets of Christianity originate from the Bible, and the tenets of The Church of Almighty...
মানবজাতি যখন শয়তানের দ্বারা কলুষিত হয়েছিল, তখন মানবজাতির পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বর তাঁর পরিচালনামূলক পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন। মানবজাতির...