সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা কীভাবে শুরু হল

05-03-2022

খ্রিস্টধর্মের গির্জাগুলির মতো, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা ঈশ্বরের দেহরূপ ধারণের কারণেই শুরু হয়। প্রভু যীশুর মানব রূপে আবির্ভূত হওয়াতেই খ্রিস্টধর্মের গির্জাগুলির সূচনা হয় এবং অন্তিম সময়ের অবতার সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দেহরূপ ধারণ এবং কাজের কারণে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার শুরু। অর্থাৎ বিভিন্ন যুগে গির্জার উদ্ভব ঈশ্বরের দেহরূপে আবির্ভাব এবং কাজের কারণে। ঈশ্বর তাঁর কাজের জন্য যখন দেহরূপ ধারণ করেন তখন প্রত্যেকবারই অনেক সত্যপ্রকাশ করেন, এবং বহু মানুষ ঈশ্বর-প্রকাশিত এই সত্যগুলির কারণে ঈশ্বরকে স্বীকার এবং অনুসরণ করতে আসে, এইভাবেই সুত্রপাত হয় গির্জাগুলির। এ থেকেই বোঝা যায় যে, যারা ঈশ্বরের কা্জ স্বীকার এবং ঈশ্বরকে অনুসরণ করে তারাই গড়ে তোলে গির্জা। ঈশ্বরের মনোনীত ব্যক্তিদের এই সমাবেশগুলিকে গির্জা বলা হয়। দুহাজার বছর আগে, অবতাররূপী প্রভু যীশু আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং তাঁর কাজ সম্পাদন ও, প্রচার করেছিলেন, “অনুতাপ কর: কারণ স্বর্গরাজ্য সমাগত(মথি ৪:১৭)। এবং তিনি পরিত্রাণের কাজ করেছিলেন, এবং সেই সত্যগুলি প্রকাশ করেছিলেন যা অনুগ্রহের যুগের মানুষের অনুশীলন এবং প্রবেশ করা উচিত, তখন বহু মানুষ প্রভুকে বিশ্বাস এবং অনুসরণ করতে শুরু করেছিল এবং এইভাবে সেই সময়ের খ্রিস্টান গির্জাগুলি গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে, প্রভু যীশুর সুসমাচার প্রতিটি দেশে এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, অন্তিম দিন পর্যন্ত এটি পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিস্তৃত হয় এবং এই ভাবে প্রতিটি দেশে খ্রিস্টান গির্জার আবির্ভাব ঘটে। এগুলি ছিল অনুগ্রহের যুগের গির্জা। অন্তিম সময়ে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অবতার রূপে আবির্ভূত হয়ে চীনের মূল ভূখণ্ডে কাজ করেন। অনুগ্রহের যুগে প্রভু যীশুর পরিত্রাণের কাজের ভিত্তির উপর, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যে কাজটি সম্পাদন করেন তা বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে যেমন বলা আছে “বিচারকার্য অবশ্যই ঈশ্বরের গৃহ থেকেই শুরু হবে(১ পিতর ৪:১৭) সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সমস্ত মানবজাতির কাছে, ঈশ্বরের ছয়-হাজার বছরের ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার সমস্ত রহস্য প্রকাশ করেন এবং মানবজাতির পরিশুদ্ধি ও পরিত্রাণের জন্য সমস্ত সত্য প্রকাশ করেন। অন্তিম কালে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আবির্ভাব এবং কাজের কারণে, ধর্মীয় জগতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বহু মানুষ, বহু বছর ধরে প্রভুতে বিশ্বাসী লোকেরা অবশেষে ঈশ্বরের কন্ঠ শুনেছে এবং দেখেছে যে প্রভু যীশু প্রত্যাবর্তন করেছেন এবং অন্তিম দিনের বিচারের কাজ সম্পন্ন করেছেন। তারা সকলেই যাচাই করে নিয়েছে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হলেন প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু এবং সেই কারণে তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের শেষ দিনের কাজ স্বীকার করেছেন এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের শরণ নিয়েছেন; এইভাবেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার সূচনা এবং গড়ে ওঠা। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা তাই সম্পূর্ণরূপে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আবির্ভাব এবং কাজের ফলাফল। এটির প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, এবং কোন ব্যক্তি বিশেষ নয়। চীনের মূল ভূখণ্ডের অন্তত কয়েক মিলিয়ন মানুষ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে গ্রহণ করেছে এবং এখন অনুসরণ করছে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার প্রতিটি খ্রিস্টান সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করে যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হলেন প্রত্যাবর্তিত প্রভু যীশু, অন্তিম সময়ের খ্রিস্ট এবং ঈশ্বরের আবির্ভাব। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার খ্রিস্টানরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নামে প্রার্থনা করে। তারা যেগুলি পড়ে, শোনে এবং যেগুলির সহযোগী, সেগুলি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য এবং যা স্বীকার করে তা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা প্রকাশিত সত্য। এই সত্যগুলি অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের দ্বারা আনা অনন্ত জীবনের পথ। ঈশ্বর তাঁর কাজ সম্পাদন করার জন্য অন্তিম সময়ে অবতাররূপে অবতীর্ণ হয়েছেন, এবং তিনি ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরের ব্যবহার্য সেই মানুষকে নিযুক্ত করেছেন এবং সাক্ষ্য দিয়েছেন যাতে সে ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত হয়, যে সে ঈশ্বরের কাজে সহযোগিতা করতে পারে—ঠিক যেমন প্রভু যীশু যখন কাজ করেছিলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বেছে নিয়োগ করেছিলেন বারোজন প্রচারককে। ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত এইসব মানুষ শুধুমাত্র ঈশ্বরের কাজেই সহযোগিতা করতে পারে, কিন্তু তারা ঈশ্বরের পরিবর্তে কাজ করতে অক্ষম। গির্জাগুলি তারা প্রতিষ্ঠা করেনি, এবং ঈশ্বর যাকে মনোনীত করেন যে বিশ্বাস এবং অনুসরণ করে সে কিন্তু ঈশ্বর দ্বারা ব্যবহৃতদের মধ্যে পড়ে না। অনুগ্রহের যুগের গির্জাগুলি পিতর, পল এবং অন্য কোনো প্রচারক স্থাপন করেনি, বরং এগুলির উদ্ভব হয় প্রভু যীশুর কাজের কারণে। প্রভু যীশু স্বয়ং এগুলির প্রতিষ্ঠাতা। একইভাবে, অন্তিম সময়ের সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জাটিও ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত কোন মানুষ স্থাপন করেনি, বরং এটি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজের কারণেই উদ্ভূত। এটি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর স্বয়ং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এবং তিনি নিজেই এটি পালন করেন। ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত মানুষ শুধুই সেবা করে, জোগান দেয় এবং গির্জাগুলিকে পরিচালিত করে, মানুষের দায়িত্ব পালন করে। যদিও ঈশ্বর মনোনীত মানুষদের পরিচালন, সেবা এবং সরবরাহ ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত মানুষরাই করে, কিন্তু ঈশ্বরের মনোনীত ব্যক্তিরা যাকে বিশ্বাস এবং অনুসরণ করে—তিনি হলেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর—এটি এমন এক সত্য যা কেউ অস্বীকার করতে পারেনা। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার বেশিরভাগই খ্রিস্টান, ক্যাথলিক এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোক যারা বহু বছর ধরে প্রভুতে আস্থা রাখে। তারা সকলেই বাইবেল বোঝে, এবং অন্তিম সময়ের সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাজ স্বীকার করার পরে, বিভিন্ন এই সম্প্রদায়ের মানুষ সাক্ষ্য দিয়েছে যে প্রভু যীশু প্রত্যাবর্তন করেছেন, তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, এবং তিনি সত্যের প্রকাশ এবং অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ করেছেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য যে সত্য এবং এটিই যে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর তা অনুভব করে বহু মানুষ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে স্বীকার করে নিচ্ছেন। তারাই প্রথম গোষ্ঠী যারা ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে আনীত হয়। এখন, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যগুলি সমস্ত বিশ্বের দেখার জন্য অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে, অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের কাজের সাক্ষ্য দেয় এমন ভিডিওগুলির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান এবং ক্রমশ সারা বিশ্বের আরও বেশিসংখ্যক মানুষ সেগুলি অনুসন্ধান করছে, খুঁটিয়ে দেখছে এবং তারপর সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অন্তিম দিনের কাজ স্বীকার করছে, এইভাবেই পূর্ণ হয়েছে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী “সকল জাতি সেদিকে স্রোতসম ধাবিত হবে(যিশাইয় ২:২)। শেষপর্যন্ত, প্রকৃত ঈশ্বর বিশ্বাসীরা সকলেই ঈশ্বরের শরণ নেবে; এটি অবশ্যম্ভাবী, কারণ বহুপূর্বেই এটি ঈশ্বরের দ্বারা পরিকল্পিত, এটি ঈশ্বরের আদেশ, এবং কেউ তা পরিবর্তন করতে পারবেনা! সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যেমন বলেছেন এটি ঠিক তাইঃ “আমার মানুষেরা আমার কণ্ঠস্বর নিশ্চিতভাবে শুনবে, এবং যারা আমাকে আন্তরিকভাবে ভালবাসে তাদের প্রত্যেকে নিশ্চিতভাবে আমার সিংহাসনের সামনে ফিরে আসবে(বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতি ঈশ্বরের বাক্য, অধ্যায় ১)

পূর্ববর্তী: The Basic Beliefs of The Church of Almighty God

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঐশ্বরিক উচ্চারণকে কেন আমরা বলি যে বাক্য দেহে আবির্ভূত হল?

বাইবেল থেকেই আমরা সবাই জেনেছি যে, ঈশ্বরের আত্মা সরাসরি বলা, কোনো ভবিষ্যদ্বক্তার মাধ্যমে বলা বা ঈশ্বরের অবতার হিসাবে প্রভু যীশুর দ্বারা...

রাজ্যের যুগে ঈশ্বর কেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নাম পরিগ্রহণ করলেন

বহু সংখ্যক মানুষ এ কথা বুঝতে পারেন না যে প্রভু যীশুর পুনরাগত রূপই যখন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তখন, অন্তিম সময়ে প্রভু যীশু যখন বিচারের কাজ করতে...

সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জার উদ্দেশ্যগুলি কী কী?

সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের গির্জা বাইবেলে বর্ণিত ঈশ্বরের বাক্য এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বলা বাক্য দেহে আবির্ভূত হল-এর কথাকে সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন