ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 28

21-09-2023

রাজ্যের যুগে, নিজের কর্ম পদ্ধতির পরিবর্তন আনতে এবং তা দিয়ে সমগ্র যুগের কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য তিনি নতুন যুগের সূচনায় তাঁর বাক্য ছড়িয়ে দেন। এই নীতির ভিত্তিতেই ঈশ্বর তাঁর বাক্য বিস্তারের যুগে কাজ করে থাকেন। তিনি দেহরূপ ধারণ করে বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বাক্যের প্রচার করেছিলেন, যাতে মানুষ ঈশ্বরকে সম্যকরূপে দেখতে পারে, যিনি আসলে বাক্যের দেহে আবির্ভাব এবং ঈশ্বরের প্রজ্ঞা ও বিস্ময়করতা প্রত্যক্ষ করতে পারে। মানুষকে জয় করা, তাদের পরিপূর্ণতা দান এবং নির্মূলীকরণের লক্ষ্য আরও ভালোভাবে অর্জন করার জন্য এই কাজ করা হয়। এটিই হল বাক্য বিস্তারের যুগের কাজে তাঁর বাক্য ব্যবহারের প্রকৃত অর্থ। এই বাক্যের মাধ্যমেই মানুষ ঈশ্বরের কাজ, ঈশ্বরের স্বভাব, মানুষের জীবনের ভাবার্থ এবং মানুষকে কোথায় প্রবেশ করতে হবে সে সব বিষয় অনুধাবন করতে পারে। এই বাক্যের মাধ্যমেই, এই বাক্য বিস্তারের যুগে ঈশ্বরের কাঙ্ক্ষিত কাজ সম্পূর্ণরূপে ফলপ্রসূ হয়। এই বাক্যের মাধ্যমেই মানুষ উন্মোচিত হয়, নির্মূল হয় এবং তাদের বিচার করা হয়। মানুষ ঈশ্বরের বাক্য অনুভব করেছে, শুনেছে এবং এই বাক্যের অস্তিত্ব স্বীকার করেছে। ফলস্বরূপ, তারা ঈশ্বরের অস্তিত্বে, তাঁর সর্বশক্তিমানতা এবং প্রজ্ঞার পাশাপাশি মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং তাদের রক্ষা করতে তাঁর ইচ্ছার প্রতি আস্থা রেখেছে। “বাক্য” এই শব্দটি শুনতে সোজা ও সাধারণ মনে হতে পারে, কিন্তু ঈশ্বরের অবতাররূপের মুখ নিঃসৃত এই বাক্য মহাবিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ধরে, এগুলি মানুষের হৃদয়কে রূপান্তরিত করে, তাদের ধারণা এবং পুরানো স্বভাবে পরিবর্তন আনে এবং সমগ্র বিশ্ব পূর্বে যেভাবে প্রতীয়মান হত তাতেও পরিবর্তন আনে। যুগে যুগে, শুধুমাত্র বর্তমানের ঈশ্বরই এইভাবে কাজ করেছেন, এবং শুধুমাত্র তিনিই এইভাবে কথা বলেন এবং এইভাবেই মানুষকে বাঁচাতে আসেন। এই সময়ের থেকে, মানুষ ঈশ্বরের বাক্যের নির্দেশনায় জীবন অতিবাহিত করে, তাঁর বাক্যের দ্বারাই পরিচালিত এবং প্রতিপালিত হয়। মানুষ ঈশ্বরের বাক্যের জগতে, তাঁর বাক্যের আশীর্বাদ ও অভিশাপের মধ্যেই বাস করে এবং ক্রমে ক্রমে আরও মানুষ এই বিচার ও শাস্তির ছত্রছায়ায় জীবন অতিবাহিত করতে এসেছে। এই বাক্য এবং কাজগুলির উদ্দেশ্য হল মানুষকে পুনরুদ্ধার করা, ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করা এবং পুরানো সৃষ্টির অবস্থা পরিবর্তন করা। ঈশ্বর তাঁর বাক্যের দ্বারাই বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন, এর মাধ্যমেই সমগ্র মহাবিশ্বে মানুষকে নেতৃত্ব দেন এবং তিনি এই বাক্যের দ্বারাই তাদের জয় এবং উদ্ধার করেন। অন্তিম পর্যায়ে, তিনি বাক্যের মাধ্যমেই পুরানো সমগ্র বিশ্বের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন, এইভাবেই তাঁর কার্যপরিচালনার পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণতা দান করবেন। সমগ্র রাজ্যের যুগ জুড়ে কর্ম সম্পাদন এবং তার ফলাফল অর্জনের জন্য বাক্য ব্যবহার করেন। তিনি কোনও বিস্ময়কর কাজ বা অতিপ্রাকৃত ঘটনা প্রদর্শন না করেও, কেবল বাক্যের মাধ্যমেই তাঁর কাজ করেন। এই বাক্যের দ্বারাই মানুষ পুষ্ট হয় এবং তাকে জ্ঞান দান করা হয় এবং এভাবেই তারা জ্ঞান লাভ করে, অর্জন করে প্রকৃত অভিজ্ঞতা। এই বাক্যের যুগেই মানুষ বিশেষভাবে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করে। তারা কোনও শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করে না, পরিবর্তে কেবল উপভোগ করে ঈশ্বরের প্রভূত বাক্যের সমাহার; অন্ধ অন্বেষণ বা অন্ধ অনুসরণ ছাড়াই, নিজের স্বাচ্ছন্দ্যে তারা ঈশ্বরের আবির্ভাব অবলোকনের সৌভাগ্য লাভ করে, তাঁর নিজের মুখ নিঃসৃত বাক্য শোনে, তাঁর প্রদান করা সমস্ত কিছুই গ্রহণ করে এবং সামনে থেকেই তাঁকে কাজ করতে দেখে। এই সমস্ত জিনিসগুলিই অতীতের মানুষের উপভোগের সীমার বাইরে ছিল এবং এমন আশীর্বাদ প্রাপ্তির সৌভাগ্য তাদের হয় নি।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, রাজ্যের যুগই হল বাক্যের যুগ

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন