ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 132
24-03-2023
এবার ঈশ্বর কার্যসম্পাদন করতে কোনো অধ্যাত্মশরীরে আসেননি, এসেছেন সাধারণ রূপে। সর্বোপরি, এটা শুধু ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতারের চেহারা নয়, এই দেহরূপের মধ্যে দিয়েই ঈশ্বর রক্তমাংসের শরীরে ফিরছেন। অত্যন্ত সাধারণ এক দেহরূপ। তুমি এমন কিছু দেখবে না যাতে তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারো, কিন্তু তুমি তাঁর থেকে এমন অনেক সত্য লাভ করতে পার, যা এতকাল অজানা ছিল। তুচ্ছ এই দেহরূপই ঈশ্বরের সকল সত্যের বাক্যধারণ করে, অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ঈশ্বরের সম্পূর্ণ স্বভাব মানুষের বোঝার মত করে প্রকাশ করে। তোমার কি স্বর্গের ঈশ্বরকে দেখতে খুব ইচ্ছা করে না? তোমার কি স্বর্গের ঈশ্বরকে উপলব্ধি করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নেই? তোমার কি ভীষণ ইচ্ছা নেই মানবজাতির গন্তব্য কোথায় দেখার? এই সমস্ত রহস্যের কথা তিনিই তোমাকে জানাবেন—সেই সকল রহস্য যে বিষয়ে অন্য কোনো মানুষ বলতে পারবে না তোমায়, পাশাপাশি তিনিই তোমায় সেই সকল সত্য জানাবেন যা তোমার বোধাতীত। তিনিই তোমার সেই রাজ্যের প্রবেশ পথ, আর তিনিই হলেন নতুন যুগের পথপ্রদর্শক। এমনই সাধারণ এক দেহরূপ ধারণ করে আছে বহু অতল রহস্য। তাঁর কার্যসমূহ তোমার কাছে হয়ত দুর্জ্ঞেয়, কিন্তু তাঁর কাজের সমস্ত উদ্দেশ্য তোমায় বোঝানোর জন্য যথেষ্ট, যে তিনি শুধুই সাধারণ দেহরূপ নন, যা মানুষ তাঁকে মনে করে। কারণ তিনি ঈশ্বরের ইচ্ছার এবং অন্তিম সময়ের মানবজাতির প্রতি ঈশ্বরের যত্নের পরিচয় বহন করছেন। যদিও তাঁর বাক্য শুনে তোমার মনে হবে না স্বর্গ মর্ত্য কম্পিত হচ্ছে, যদিও তাঁর দু-চোখে তুমি দেখবে না অগ্নিদৃষ্টি, যদিও তাঁর লৌহদণ্ডের শাসন তোমাকে পেতে হবে না, কিন্তু তুমি তাঁর বাক্যে শুনবে ঈশ্বর ক্রোধান্বিত এবং জানবে ঈশ্বর মানবজাতির প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করছেন; দেখতে পাবে ঈশ্বরের ধার্মিক স্বভাব এবং তাঁর প্রজ্ঞা এবং সর্বোপরি অনুধাবন করবে সমগ্র মানবজাতির প্রতি তাঁর উৎকণ্ঠা। অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কাজ হচ্ছে মানুষকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ দেওয়া যে স্বর্গের ঈশ্বর মানুষের মধ্যে বাস করছেন, এবং মানুষকে সক্ষম করে তোলা ঈশ্বরকে জানতে, মান্য করতে, সম্মান করতে এবং ভালবাসতে। ঠিক এই কারণেই তিনি দ্বিতীয়বার দেহরূপে প্রত্যাবর্তন করেছেন। যদিও বর্তমানে মানুষ ঈশ্বরকে দেখছে মানুষের মতোই, অবিকল মানুষের চেহারায় দুই চোখ, এক নাক বিশিষ্ট এক ঈশ্বর—সাদামাটা এক ঈশ্বর, পরিশেষে ঈশ্বর তোমাদের প্রত্যক্ষ করাবেন যদি এই মানুষটার অস্তিত্ব না থাকত, স্বর্গ ও পৃথিবী চূড়ান্ত এক টালমাটালে পড়ত; যদি এই মানুষটা না থাকত, স্বর্গ হয়ে উঠত নিষ্প্রভ, পৃথিবী জুড়ে বিশৃঙ্খলা চলত এবং সমস্ত মানবজাতি দুর্ভিক্ষ আর মহামারীর কবলে পড়ত। তিনি তোমাদের প্রত্যক্ষ করাবেন যদি ঈশ্বরের অবতার অন্তিম সময়ে তোমাদের উদ্ধার করতে না আসতেন তাহলে সমস্ত মানবজাতিকে অনেক আগেই নরকে পচিয়ে মারতেন ঈশ্বর; যদি এই অবতাররূপের অস্তিত্ব না থাকত, তোমরা চিরপাপী হয়ে থাকতে, আর চিরকাল তোমরা শবদেহের মতোই হয়ে থাকতে। তোমাদের জেনে রাখা দরকার এই দেহরূপের অস্তিত্ব না থাকলে সমস্ত মানবজাতি এক অনিবার্য বিপর্যয়ের সম্মুখীন হত এবং বুঝতে পারত অন্তিম সময়ে মানবজাতির উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের দেওয়া ভয়ঙ্করতম শাস্তি এড়ানো সম্ভব নয়। এই সাধারণ দেহরূপ ভূমিষ্ঠ না হলে, তোমরা জীবনভর বেঁচে থাকতে না পেরে জীবনের জন্য আর মরে যেতে না পেরে মৃত্যুর জন্য করুণা ভিক্ষা করতে; এই দেহরূপের অস্তিত্ব না থাকলে আজ তোমরা সত্যকে উপলব্ধি করে ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে এসে দাঁড়াতে পারতে না, বরং গুরুভার পাপের কারণে ঈশ্বরের দণ্ড ভোগ করতে। তোমরা কি জানো দেহরূপে ঈশ্বরের আগমন না ঘটলে কেউই পরিত্রাণের সুযোগ পেত না; এই দেহরূপে অবতীর্ণ না হলে কবেই ঈশ্বর এই বার্দ্ধক্যপ্রাপ্ত যুগের অন্ত ঘোষণা করে দিতেন। এরপরও কি তোমরা ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতাররূপকে প্রত্যাখ্যান করবে? এই সাধারণ মানুষটির থেকে এত সুবিধা পাওয়ার পরেও কেন তোমরা সানন্দে আবাহন করছ না তাঁকে?
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, তুমি কি জানতে? ঈশ্বর মানুষের মধ্যে এক মহান কাজ করেছেন
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
অন্যান্য ধরণের ভিডিও