ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 205
10-07-2023
তোমাদের সমস্ত কিছু আমার কাজে নিবেদন করা উচিত। তোমাদের সেই কাজ করা উচিত যাতে আমার উপকার হয়। তোমরা যা কিছু বোঝো না তার সমস্তটাই আমি ব্যাখ্যা করতে ইচ্ছুক যাতে তোমরা তোমাদের অভাব থাকা সমস্ত কিছু আমার থেকে অর্জন করতে পারো। যদিও তোমাদের খুঁত অসংখ্য, তবুও আমি তোমাদের ওপর আমার করণীয় কাজ করে যেতে ইচ্ছুক, আমি তোমাদেরকে আমার চূড়ান্ত করুণা প্রদান করছি যাতে তোমরা আমার থেকে উপকার পেতে পারো এবং তোমাদের মধ্যে যে গরিমার অভাব রয়েছে তা অর্জন করতে পারো, যা এই পৃথিবী আগে কখনো দেখেনি। বহু বছর ধরে কাজ করা সত্ত্বেও কোনো মানুষই আমাকে চেনেনি। আমি তোমাদের সেই গোপন বিষয়গুলি জানাতে চাই যা আমি অন্য কাউকে কখনো বলিনি।
মানুষদের মধ্যে, আমিই ছিলাম সেই আত্মা যাকে তারা দেখতে পায়নি, যার সাথে তারা কখনো জড়িত হতে পারেনি, পৃথিবীতে আমার তিনটি পর্যায়ের কাজের কারণে (এই জগত সৃষ্টি, মুক্তিদান এবং ধ্বংসসাধন), তাদের মধ্যে আমার কাজ করার উদ্দেশ্যে আমি তাদের মাঝে বিভিন্ন সময়ে আবির্ভূত হয়েছিলাম (কখনোই জনসমক্ষে নয়)। প্রথম আমি মানবজাতির মধ্যে অবতীর্ণ হয়েছিলাম মুক্তির যুগে। অবশ্যই আমি একটি ইহুদি পরিবারে অবতীর্ণ হয়েছিলাম; সেই অর্থে ইহুদিরাই সর্বপ্রথম পৃথিবীতে ঈশ্বরের আগমন দেখেছিল। আমার ব্যক্তিগতভাবে এই কাজটি করার উদ্দেশ্য হল আমি আমার দেহরূপী অবতারকে আমার মুক্তির কার্যে পাপস্খালনের বলি হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। এইভাবে, অনুগ্রহের যুগে ইহুদিরাই আমাকে প্রথম দেখেছিল। সেই প্রথমবার আমি দেহরূপে কাজ করেছিলাম। রাজ্যের যুগে, আমার কাজ হল জয় করা এবং নিখুঁত করা, তাই আমি আবার দেহরূপে পথপ্রদর্শকের কাজ করি। এটা আমার দ্বিতীয় বার দেহরূপে করা কাজ। কাজের শেষ দুটি পর্যায়ে, মানুষেরা আর অদৃশ্য, অস্পষ্ট আত্মার সঙ্গে জড়িত থাকে না, বরং দেহরূপে প্রতীত আত্মার সঙ্গে জড়িত হয়। এইভাবে, মানুষের চোখে আমি আবার মানুষ হয়ে উঠি, যার মধ্যে ঈশ্বরের চেহারা এবং অনুভূতির কিছুই নেই। তদুপরি, মানুষেরা যে ঈশ্বরকে দেখে তিনি কেবল পুরুষই নন, তিনি নারীও, সে বিষয়টি তাদের কাছে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক এবং বিভ্রান্তিকর। বারবার আমার অসাধারণ কাজ বহু বছরের লালিত পুরনো ধ্যান-ধারণা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে! ঈশ্বর শুধুমাত্র পবিত্র আত্মা, আত্মা, সাতগুণ তীব্রতর আত্মা বা সর্বব্যাপী আত্মা নয়, বরং একজন মানুষও বটে—একজন সাধারণ মানুষ, একজন ব্যতিক্রমী সাধারণ মানুষ। তিনি শুধু পুরুষই নন, বরং একজন নারীও বটে। তাঁরা শুধুমাত্র মানুষের কাছে জন্ম নেওয়ার কারণেই একে অন্যের অনুরূপ এবং তাঁদের পার্থক্যের বিষয় হল একজন পবিত্র আত্মা দ্বারা প্রসূত আর অপরজন মানুষের কাছে জন্মগ্রহণ করলেও সরাসরি আত্মা থেকে আনিত। তাঁরা এই কারণে অনুরূপ যে উভয়েই হলেন পিতা ঈশ্বরের কাজ সম্পন্নকারী, ঈশ্বরের দেহরূপী অবতার। এবং তাঁদের পার্থক্য হল একজন মুক্তির কার্য সমাধা করেছিলেন আর অপরজন জয়ের কাজ করেন। তাঁরা উভয়েই পিতা ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করেন, কিন্তু একজন হলেন প্রেমময় উদারতা ও করুণায় পরিপূর্ণ মুক্তিদাতা আর অপরজন হলেন ক্রোধ ও বিচারে পূর্ণ ন্যায়পরায়ণতার ঈশ্বর। একজন হলেন মুক্তির কার্যের সূচনাকারী সর্বোচ্চ অধিনায়ক, অন্যজন হলেন জয়ের কাজ সম্পন্নকারী ন্যায়পরায়ণ ঈশ্বর। একজন হলেন শুরু, অপরজন শেষ। একজন পাপবর্জিত দেহরূপ, অপরজন হলেন সেই দেহরূপ যিনি মুক্তি সম্পন্ন করেন, কাজ চালিয়ে যান এবং কখনও পাপাচারী হন না। উভয়ই একই আত্মা, কিন্তু তাঁরা ভিন্ন দেহরূপে বাস করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে রয়েছে কয়েক হাজার বছরের ব্যবধান। তবুও, তাঁদের সমস্ত কাজ পারস্পরিকভাবে একে অন্যের পরিপূরক, কখনোই পরস্পরবিরোধী নয় এবং সেগুলি একই সঙ্গে উচ্চারিত হতে পারে। দুজনেই মানুষ, তবে একজন ছিল একটি শিশু বালক এবং অপরজন ছিল একজন শিশু বালিকা। এত বছর ধরে মানুষ যা দেখেছে তা শুধুমাত্র আত্মাই নয় এবং নিছকই একজন মানুষ অথবা কোনো একজন পুরুষই নয়, বরং এমন অনেক বিষয়ও যা মানুষের ধারণাগুলির সঙ্গে অসঙ্গত নয়; অর্থাৎ, মানুষ কখনোই আমাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়নি। তারা আমাকে অর্ধেক বিশ্বাস আর অর্ধেক অবিশ্বাস করে—যেন আমার অস্তিত্ব আছে, তা সত্ত্বেও আমি যেন এক অলীক স্বপ্ন—এই কারণেই বর্তমানে এখনও মানুষ জানে না যে ঈশ্বর কী। তুমি কি একটা সরল বাক্যে আমার সংক্ষিপ্তসার দিতে পারবে? তুমি কি সত্যিই সাহস করে বলতে পারবে, “যীশু ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ নন আর ঈশ্বর যীশু ছাড়া আর কেউ নন”? তুমি কি সত্যিই এত সাহসী যে বলতে পারে, “ঈশ্বর আত্মা ছাড়া আর কেউ নন, এবং আত্মা ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ নন”? তুমি কি স্বচ্ছন্দে বলতে পারবে, “ঈশ্বর হলেন শুধুই দেহরূপে নিহিত একজন মানুষ”? তোমার কি সত্যিই দৃঢ়ভাবে বলার সাহস আছে যে, “যীশুর প্রতিমূর্তিই হল ঈশ্বরের মহান প্রতিমূর্তি”? ঈশ্বরের স্বভাব এবং প্রতিমূর্তিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যাখ্যা করতে তুমি কি তোমার বাগ্মিতা ব্যবহার করতে সক্ষম? তুমি কি সত্যিই বলার সাহস রাখো যে, “ঈশ্বর তাঁর নিজের প্রতিমূর্তি অনুসারে শুধুমাত্র পুরুষদের সৃষ্টি করেছেন, নারীদের নয়”? তুমি যদি এটা বলো, তাহলে আমার মনোনীতদের মধ্যে কোনো নারী থাকবে না, নারীদের মানবজাতির এক শ্রেণীতে পড়া তো আরোই দূরের কথা। এখন তুমি কি সত্যিই জানো ঈশ্বর কী? ঈশ্বর কি মানুষ? ঈশ্বর কি আত্মা? ঈশ্বর কি সত্যিই একজন পুরুষ? শুধুমাত্র যীশুই কি আমার কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারে? যদি আমার সারসত্যকে সংক্ষেপে বলার জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলির মধ্যে শুধুমাত্র একটিকে তুমি বেছে নাও, তাহলে তুমি একজন অত্যন্ত অজ্ঞ অনুগত বিশ্বাসী। আমি যদি একবার, শুধুমাত্র একবারই দেহরূপী অবতার হিসাবে কাজ করতাম, তোমরা কি আমাকে সীমাবদ্ধ করতে? তুমি কি সত্যিই এক নজরে আমাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝতে পারো? তোমার জীবনকালে যা যা তোমার সামনে প্রকাশিত হয়েছে তার ভিত্তিতে কি তুমি আমার সম্পূর্ণ সংক্ষিপ্তসার দিতে পারো? আমি যদি আমার উভয় অবতাররূপে অনুরূপ কাজ করতাম তাহলে তোমরা আমাকে কীভাবে অনুভব করতে? তোমরা কি আমাকে চিরতরে ক্রুশবিদ্ধ করে রেখে যেতে? তুমি যেরকম দাবি করছ, ঈশ্বর কি ততটাই সরল হতে পারেন?
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের বিষয়ে তোমার উপলব্ধি কী?
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
অন্যান্য ধরণের ভিডিও