ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 453

27-09-2023

সংকল্প করলে সবাই ঈশ্বরের সেবা করতে পারে—কিন্তু যারা ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতি সম্পূর্ণ যত্নশীল এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা উপলব্ধি করতে পারে, একমাত্র তারাই ঈশ্বরের সেবা করার যোগ্যতাসম্পন্ন ও অধিকারী। তোমাদের মধ্যে আমি এটা আবিষ্কার করেছি: অনেক মানুষ বিশ্বাস করে, যতক্ষণ তারা আন্তরিকভাবে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করছে, ঈশ্বরের জন্য পথে নামছে, ঈশ্বরের জন্য নিজেকে ব্যয় করছে ও বিষয়বস্তু ত্যাগ করছে, এবং এই ধরণের অন্যান্য কাজ করছে, এর মাধ্যমে তারা ঈশ্বরের সেবা করছে। এমনকী আরো বেশি সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের সেবা করার অর্থ একটি বাইবেল হাতে নিয়ে দৌড়ে বেড়ানো, স্বর্গ-রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করা, এবং অনুশোচনা ও স্বীকারোক্তি করানোর মাধ্যমে মানুষকে উদ্ধার করা। তাছাড়াও আরও অনেক ধর্মীয় আধিকারিক আছে যারা মনে করে, ঈশ্বরের সেবা করার মানে সেমিনারি থেকে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উপাসনাস্থলে গিয়ে ধর্মপ্রচার করা, এবং বাইবেলের মূলগ্রন্থ থেকে পাঠ করে মানুষকে শিক্ষা দেওয়া। এছাড়াও, দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে এমন লোক আছে যারা বিশ্বাস করে ঈশ্বরের সেবা করা মানে তাদের ভাই-বোনেদের মধ্যে থেকে অসুস্থকে সারিয়ে তোলা ও ভূত তাড়ানো, অথবা তাদের জন্য প্রার্থনা করা, বা তাদের সেবা করা। তোমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মনে করে ঈশ্বরের সেবা করার অর্থ ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করা, প্রতিদিন ঈশ্বরের প্রার্থনা করা, আর সমস্ত জায়গার গির্জাতে যাওয়া ও সেখানকার কাজ করা। কিছু ভাই বোন আছে যারা মনে করে বিবাহ ও সংসার না করা, এবং সমস্ত সত্তা ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করাই ঈশ্বরের সেবা। তবে খুব কম লোকই জানে ঈশ্বর সেবার প্রকৃত অর্থ কী। আকাশের তারার মতো অগনিত মানুষ আছে যারা ঈশ্বরের সেবা করে, কিন্তু যারা প্রত্যক্ষভাবে সেবা করতে পারে, এবং যারা ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে সেবা করতে সক্ষম, সেরকম মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য। আমি এ কথা কেন বলছি? এ কথা বলছি কারণ তোমরা আদৌ বোঝো না “ঈশ্বরের সেবা” কথাটার সার সত্য কী। আর ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে সঙ্গতি রেখে কীভাবে সেবা করতে হয় সে সম্পর্কেও তোমাদের জ্ঞান অতি সামান্য। ঈশ্বরের কীরকম সেবা তাঁর ইচ্ছার সাথে সমন্বয়সাধন করতে পারে সেকথা বোঝার মতো মানুষের এখন খুবই আশু প্রয়োজন।

তোমরা যদি ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে সঙ্গতি রেখে তাঁর সেবা করতে চাও, তোমাদের প্রথমেই বুঝতে হবে ঈশ্বরের কেমন মানুষ পছন্দ, কীরকম মানুষদের তিনি ঘৃণা করেন, কেমন মানুষদের তিনি নিখুঁত করে তোলেন, আর কী ধরণের মানুষ ঈশ্বরের সেবা করার যোগ্য। অন্ততঃপক্ষে এই জ্ঞানটুকু তোমাদের থাকতে হবে। তাছাড়াও, ঈশ্বরের কাজের লক্ষ্য, এবং এখানে বর্তমানে কী কাজ তিনি করবেন, তাও তোমাদের জানতে হবে। এই উপলব্ধি হওয়ার পর, ঈশ্বরের পথপ্রদর্শনের মাধ্যমে প্রথমে তোমাদের প্রবেশ করতে হবে এবং ঈশ্বরের অর্পিত দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। একবার তোমাদের ঈশ্বরের বাক্যের প্রকৃত অভিজ্ঞতা হলে, আর ঈশ্বরের কাজকে সঠিকভাবে জানতে পারলে, তোমরা ঈশ্বরের সেবা করার উপযুক্ত হয়ে উঠবে। আর যখন তোমরা তাঁর সেবা করবে, ঈশ্বর তোমাদের আধ্যাত্মিক চক্ষু উন্মীলিত করে দেবেন এবং তাঁর কাজের বৃহত্তর উপলব্ধি অর্জন করার ও আরো স্পষ্ট করে তা দেখার অনুমতি প্রদান করবেন। যখন এই বাস্তবতায় তোমরা প্রবেশ করবে, তোমাদের অভিজ্ঞতা আরও গভীর ও বাস্তব হয়ে উঠবে, আর তোমাদের মধ্যে যাদের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে তারা বিভিন্ন গির্জায় গিয়ে তোমাদের ভাই-বোনেদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবে, যাতে তোমরা প্রত্যেকে একে অপরের দক্ষতাকে ব্যবহার করে নিজেদের অসম্পূর্ণতাকে পরিপূরণ করতে পারো, এবং তোমাদের আত্মায় সমৃদ্ধতর জ্ঞান অর্জন করতে পারো। একমাত্র এই প্রভাব অর্জনের পরেই তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে সেবা করতে সক্ষম হবে এবং তোমাদের সেবার সময়কালে ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হয়ে উঠতে পারবে।

যারা ঈশ্বরের সেবা করে তাদের ঈশ্বরের অন্তরঙ্গ হতে হবে, ঈশ্বরের পছন্দসই হতে হবে, এবং ঈশ্বরের প্রতি চরম আনুগত্যের যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। তুমি নিভৃতে কাজ করো বা জনসমক্ষে, তুমি ঈশ্বরের সামনে তাঁর আনন্দ অর্জনে সক্ষম, তুমি ঈশ্বরের সামনে দৃঢ়ভাবে দণ্ডায়মান হতে সক্ষম, এবং অন্যেরা তোমার সাথে যেমন আচরণই করুক না কেন, যে পথে চলা উচিত তুমি সর্বদা সেই পথে চলো, আর ঈশ্বরের অর্পিত দায়িত্বের প্রতি সবরকম যত্ন নাও। একমাত্র এই রকম মানুষই ঈশ্বরের অন্তরঙ্গ। ঈশ্বরের অন্তরঙ্গ মানুষেরা যে প্রত্যক্ষভাবে তাঁর সেবা করতে সক্ষম, তার কারণ হচ্ছে তাদের উপর ঈশ্বরের মহান দায়িত্ব ও কর্মভার অর্পিত, তারা ঈশ্বরের হৃদয়কে নিজের করে নিতে পারে, ঈশ্বরের কর্মভারকে নিজের মনে করে, এবং তারা তাদের ভবিষ্যৎ প্রত্যাশাকে বিবেচনার মধ্যে রাখে না: এমনকি যখন তাদের কোনো প্রত্যাশা থাকে না, এবং কিছু লাভ করার সম্ভাবনাও থাকে না, তখনও তারা প্রেমপূর্ণ হৃদয়ে সর্বদা ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে চলে। আর তাই, এইরকম মানুষই ঈশ্বরের অন্তরঙ্গ। ঈশ্বরের অন্তরঙ্গ মানুষেরা তাঁর বিশ্বস্তও বটে: শুধুমাত্র ঈশ্বরের বিশ্বস্তরাই তাঁর অস্থিরতা ও তাঁর চিন্তার ভাগ নিতে পারে, এবং তাদের দেহ যন্ত্রণাক্লিষ্ট ও দুর্বল হলেও ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার জন্য তারা যন্ত্রণা সহ্য করতে ও নিজের ভালবাসার বস্তু ত্যাগ করতেও সক্ষম। এরকম ব্যক্তিদেরই ঈশ্বর আরও বেশি ভার অর্পণ করেন, আর ঈশ্বরের অভিপ্রায় কী তা এই ধরণের ব্যক্তির সাক্ষ্যেই প্রকাশিত হয়। তাই এই মানুষেরা ঈশ্বরের প্রিয়, তারা ঈশ্বরের সেই ভৃত্য যারা ঈশ্বরের হৃদয়ের অনুসারী, এবং একমাত্র এই ধরণের মানুষই ঈশ্বরের সাথে মিলিতভাবে শাসন করতে পারে। যখন তুমি সত্যিই ঈশ্বরের অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠো, সেটাই সেই নির্দিষ্ট সময় যখন তুমি ঈশ্বরের সাথে মিলিতভাবে শাসন করবে।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, কী করে ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে সেবা করা যায়

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন