ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 404
23-09-2023
ঈশ্বরের বাক্য তোমার কাছে আসার সাথে সাথেই তোমার উচিত অবিলম্বে সেগুলি গ্রহণ করা এবং তা ভোজন ও পান করা। তোমার বোধগম্যতা নির্বিশেষে তোমাকে কিছু বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে—সেগুলি হল ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করা, সেগুলির বিষয়ে আরও জ্ঞান অর্জন করা এবং তাঁর বাক্য অনুশীলন করা। এটি তোমার অবশ্য কর্তব্য হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। তোমার মর্যাদা কী হবে, তা না ভেবেই; কেবল তাঁর বাক্য ভোজন ও পান করার বিষয়ে মনোযোগ দাও। এটিই মানুষের সহযোগিতার বিষয় হওয়া উচিত। তোমার আধ্যাত্মিক জীবনযাত্রায় ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করে বাস্তবতায় প্রবেশের চেষ্টা করা এবং সেগুলি অনুশীলন করা উচিত। অন্য কোনও বিষয়ে মনোনিবেশ করা উচিত নয়। গির্জার প্রধানদের সমস্ত ভাই ও বোনেদের সঠিক দিশা দেখাতে সক্ষম হওয়া উচিত যাতে তারা ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান পারে। এটি প্রত্যেক গির্জার প্রধানের দায়িত্ব। বয়স নির্বিশেষে, সকলেরই ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করার বিষয়টিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিবেচনা করা উচিত এবং তাদের হৃদয় জুড়ে যেন তাঁরই বাক্য থাকে। এই বাস্তবতায় প্রবেশ করার অর্থই হল রাজ্যের যুগে প্রবেশ করা। বর্তমানে, বেশিরভাগ লোকই মনে করে যে ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান না করে ভালোভাবে বাঁচা যায় না এবং তাদের কাছে এই বিস্তৃত সময় নির্বিশেষে তাঁর বাক্য একই রকম বিশুদ্ধ অনুভূত হয়। এর অর্থ তারা সঠিক পথে যাত্রা শুরু করেছে। ঈশ্বর তাঁর কাজ এবং মানুষের জন্য বাক্য ব্যবহার করেন। যখন সকলে ঈশ্বরের বাক্যের জন্য আকুলতা এবং তৃষ্ণা অনুভব করবে, তখনই মানবতা তাঁর বাক্যের জগতে প্রবেশ করবে।
ঈশ্বর অনেক কথা বলেছেন। তুমি তার কতটুকু জেনেছো? তুমি তার কতটা প্রবেশ করতে পেরেছো? যদি একজন গির্জার প্রধান তার ভাই ও বোনেদেরকে ঈশ্বরের বাক্যের বাস্তবতার অভিমুখে পরিচালিত না করে, তাহলে তারা তাদের দায়িত্ব ত্যাগ করবে এবং তা পালনে ব্যর্থ হবে! তোমার বোধগম্যতার মাত্রার সুগভীরতা বা অগভীরতা নির্বিশেষে, তোমাকে অবশ্যই জানতে হবে কীভাবে তাঁর বাক্য ভোজন ও পান করা যায়। তোমাকে অবশ্যই বাক্যের প্রতি গভীর মনোনিবেশ করতে হবে এবং এই বাক্য ভোজন ও পান করার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে হবে। ঈশ্বরের এত বাক্য প্রদানের পরেও, যদি তুমি তাঁর বাক্য ভোজন ও পান না করো, বা তাঁর বাক্যগুলিকে অন্বেষণ করার চেষ্টা না করো বা তাঁর বাক্যকে বাস্তবে প্রয়োগ না করো তবে একে প্রকৃত ঈশ্বর বিশ্বাস বলা যাবে না। যেহেতু তুমি ঈশ্বর বিশ্বাসী, তোমাকে অবশ্যই তাঁর বাক্য ভোজন ও পান করতে হবে, তাঁর বাক্য অনুভব করতে হবে এবং সেগুলি মেনে চলতে হবে। একেই বলা যায় প্রকৃত ঈশ্বর বিশ্বাস! যদি তুমি বলো যে তুমি কেবল মুখেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করো এবং তাঁর কোনো বাক্য বাস্তবে প্রয়োগ করতে বা কোনো বাস্তবতা তৈরি করতে অপারগ হও, তাহলে একে প্রকৃত ঈশ্বর বিশ্বাস বলা যায় না। বরং, এটা অনেকটা “ক্ষুধা মেটানোর জন্য রুটি খোঁজা”-এর মতোই এক তুচ্ছ বিষয়। কেবল তুচ্ছ প্রমাণ, অপ্রয়োজনীয় বস্তু এবং ন্যূনতম বাস্তব উপলব্ধিহীন এক অগভীর জ্ঞান: এগুলি ঈশ্বরে বিশ্বাস স্থাপন করে না এবং তুমি আসলে ঈশ্বর বিশ্বাসের সঠিক উপায় উপলব্ধি করো নি। কেন তোমার ঈশ্বরের বাক্য যতটা সম্ভব ভোজন ও পান করা উচিত? তুমি যদি তাঁর বাক্য ভোজন ও পান না করেই স্বর্গারোহণের চেষ্টা করো, তবে তা কি ঈশ্বর বিশ্বাসের প্রতিফলন হবে? ঈশ্বরে বিশ্বাসী একজনের প্রথমে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত? ঈশ্বর কীভাবে মানুষকে পরিপূর্ণতা দেন? ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান না করে কি তুমি পরিপূর্ণ হতে পারবে? ঈশ্বরের বাক্যের বাস্তবতা ছাড়া তোমাকে কি ঈশ্বরের রাজ্যের একজন হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে? ঈশ্বর বিশ্বাসের সঠিক অর্থ কী? ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের, অন্তত সর্বসমক্ষে ভালো আচরণ করা উচিত; তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ঈশ্বরের বাক্য অনুধাবনের অধিকারী হওয়া। পরিস্থিতি নির্বিশেষে, তুমি কখনোই তাঁর বাক্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবে না। ঈশ্বরকে জানা এবং তাঁর অভিপ্রায় পূর্ণ করা সবই তাঁর বাক্যের মাধ্যমে অর্জিত হয়। ভবিষ্যতে, ঈশ্বরের বাক্যের মাধ্যমেই প্রতিটি জাতি, ধর্মীয় গোষ্ঠী, ধর্ম এবং ক্ষেত্র জয় হবে। ঈশ্বর তখন প্রত্যক্ষ ভাবেই তার বাক্য শোনাবেন এবং সমস্ত মানুষ ঈশ্বরের বাক্য ধারণ করবে, এর মাধ্যমেই মানবজাতি পরিপূর্ণতা লাভ করবে। ভিতরে এবং বাইরে, ঈশ্বরের বাক্য সর্বত্রই বিস্তৃত: মানবজাতি তাদের মুখ দিয়ে ঈশ্বরের বাক্য বলবে, ঈশ্বরের বাক্যের অনুশীলন করবে, ঈশ্বরের বাক্যগুলি হৃদয়ের অন্তঃস্থলে রাখবে, নিজের অন্তর এবং বাহির উভয়ই ঈশ্বরের বাক্যতে নিমজ্জিত থাকবে। এইভাবেই মানবজাতি পরিপূর্ণ হবে। যারা ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পূরণ করে এবং তাঁর সাক্ষ্য বহন করতে সক্ষম হয়, তারাই ঈশ্বরের বাক্যকে তাদের বাস্তবতা হিসেবে ধারণ করে।
বাক্যের যুগে প্রবেশ করা—যা হল সহস্রবর্ষীয় রাজ্যের যুগ—এটি হল সেই কাজ যা বর্তমানে সুসম্পন্ন হচ্ছে। এখন থেকে, ঈশ্বরের বাক্যের সহকারিতায় নিয়োজিত থাকার অভ্যাস করো। শুধুমাত্র ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করার মাধ্যমে এবং তাঁর বাক্য অনুভবের মাধ্যমেই বেঁচে থাকতে পারবে। অন্যদের বোঝানোর জন্য তোমাকে অবশ্যই কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরি করতে হবে। যদি তুমি নিজেই ঈশ্বরের বাক্যের বাস্তবতা প্রমাণে অক্ষম হও তবে অপর ব্যক্তিরাও কেউ এতে বিশ্বাস করবে না! ঈশ্বরের দ্বারা ব্যবহৃত সকলেই ঈশ্বরের বাক্যের বাস্তবতাকে আঁকড়ে বাঁচতে পারে। যদি তুমি এই বাস্তবতা তৈরি করতে না পারো এবং ঈশ্বরের কাছে সাক্ষ্য দিতে না পারো তবে এটিতে প্রমাণ হয় যে পবিত্র আত্মা তোমার মধ্যে কাজ করেন নি এবং তোমাকে নিখুঁত করেন নি। এটিই হল ঈশ্বরের বাক্যের গুরুত্ব। তোমার কি এমন হৃদয় আছে যা ঈশ্বরের বাক্যের জন্য তৃষ্ণার্ত? কেবল ঈশ্বরের বাক্যের জন্য তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিরাই সত্যের তৃষ্ণা অনুভব করতে পারে এবং শুধুমাত্র এই ধরনের মানুষই ঈশ্বরের দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়। ভবিষ্যতে, ঈশ্বর সমস্ত ধর্ম এবং সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ে এমন আরও বাক্য ছড়িয়ে দেবেন। তিনি তোমাদের মধ্যেই প্রথমে তাঁর কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করেন যাতে তোমাদেরই আগে পরিপূর্ণতা দেওয়া যায়, তার পরে তিনি অন্যান্য পরজাতীয়দের মধ্যে তাঁর কণ্ঠস্বর ধ্বনিত করে তাদের জয় করার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হন। তাঁর বাক্যের মাধ্যমেই সকলে আন্তরিকভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাসী হবে। ঈশ্বরের বাক্য এবং তাঁর প্রকাশের মাধ্যমেই মানুষের কলুষিত স্বভাব হ্রাস পায়, সে একজন প্রকৃত মানুষের চরিত্র লাভ করে এবং তার বিদ্রোহী স্বভাব হ্রাস পায়। এই বাক্য মানুষের উপর গভীর প্রভাব ফেলে এবং ঈশ্বরের আলোর ছটায় মানুষকে জয় করে। বর্তমান যুগে ঈশ্বরের কাজ এবং তার সাথে সাথে তাঁর কাজের মোড় ঘোরানো ঘটনাবলী সবই তাঁর বাক্যতে প্রতিফলিত হয়। তাঁর বাক্য না পড়লে তুমি কিছুই বুঝবে না। তাঁর বাক্য ভোজন ও পান করার মাধ্যমে, তোমার ভাই ও বোনদের সাথে সহকারিতায় নিয়োজিত থেকে এবং নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, তুমি ঈশ্বরের বাক্যগুলির সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে পারবে। তবেই তুমি তাদের বাস্তবতায় প্রকৃত অর্থে বাঁচতে পারবে।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, রাজ্যের যুগই হল বাক্যের যুগ
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
অন্যান্য ধরণের ভিডিও