ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 403
23-09-2023
এই বিষয়ে আরও বলতে গেলে, ঈশ্বরের বাক্যের কথাই তোমার কথা বলার নীতি হওয়া উচিত। সাধারণত, যখন তোমরা একত্রিত হও, তখন তোমাদের উচিত ঈশ্বরের বাক্য সম্পর্কে নিজেদের সহকারিতা প্রকাশ করা, ঈশ্বরের বাক্যকে নিজেদের আলোচনার বিষয়বস্তু হিসাবে গ্রহণ করা, এই বাক্য সম্পর্কে নিজের জ্ঞান অপরের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া, কীভাবে সেগুলিকে অনুশীলন করা যায় এবং কীভাবে পবিত্র আত্মা তাঁর কর্মকাণ্ড সম্পাদন করেন তা জানানো। যতদিন ঈশ্বরের বাক্যের সাথে তোমার সহকারিতা থাকবে, পবিত্র আত্মা তোমাকে প্রদীপ্ত করে চলবেন। ঈশ্বরের বাক্যের জগতে প্রবেশাধিকার অর্জনে প্রয়োজন মানুষের সহযোগিতা। তুমি এতে প্রবেশ না করতে পারলে, ঈশ্বরের কাজ করার আর কোনও উপায় থাকবে না; যদি তুমি চুপ করে থাকো আর যদি এই বিষয়ে আলোচনাই না করো, তবে তোমাকে প্রদীপ্ত করার কোনও উপায় ঈশ্বরের থাকবে না। যখনই তোমার হাতে একটু সময় থাকবে, তখন অলস আড্ডায় লিপ্ত না থেকে তোমার উচিত ঈশ্বরের বাক্যের বিষয়ে আলোচনা করা! তোমার জীবন ঈশ্বরের বাক্যের আশিসে পরিপূর্ণতা লাভ করুক—কেবল তবেই তুমি একজন নিষ্ঠাবান বিশ্বাসী হতে পারবে। তোমার সহকারিতার গভীরতা কম হলেও কোনও সমস্যা নেই। অগভীরতা ছাড়া গভীরতার মূল্য থাকে না। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া থাকা আবশ্যক। তোমার প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই তুমি নিজের উপর পবিত্র আত্মার প্রদীপ্তি উপলব্ধি করতে পারবে এবং এর সাথে সাথে বুঝতে পারবে কীভাবে কার্যকরভাবে ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করা যায়। গভীর অনুসন্ধানের একটি পর্যায়ের পরেই কেবল তুমি ঈশ্বরের বাক্যের বাস্তবতার সঠিক পথে প্রবেশ করতে পারবে। তুমি সহযোগিতার জন্য দৃঢ় সংকল্প হতে পারলে তবেই পবিত্র আত্মার কর্মকাণ্ডের ফললাভ করতে পারবে।
ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করার নীতিগুলির মধ্যে একটি জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত এবং অপরটি সম্পর্কিত প্রবেশের সাথে। কোন কোন বাক্য তোমার জানা উচিত? তুমি দর্শনের সাথে সম্পর্কিত বাক্যই জানতে পারবে (যেমন, ঈশ্বরের কর্মকাণ্ড এখন কোন যুগে প্রবেশ করেছে, ঈশ্বর এখন কী অর্জন করতে চান, অবতার কী ইত্যাদির মতো দর্শনের সাথে সম্পর্কিত বিষয়সমূহ)। মানুষের আবশ্যিক প্রবেশের পথ বলতে কী বোঝায়? এটি মানুষের অনুশীলন করার এবং প্রবেশ করার জন্য আবশ্যিক ঈশ্বরের বাক্য বোঝায়। উপরোক্ত দুটি দিক হল ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করার সাথে সম্পর্কিত বিষয়। এখন থেকে এইভাবে ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করে সম্পৃক্ত হও। যদি তোমার তাঁর দর্শন সম্বন্ধিত বাক্যের স্পষ্ট ধারণা থাকে, তাহলে সব সময় তা পাঠ করার প্রয়োজন নেই। নতুন পথে প্রবেশের সূচনাতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আরও বেশি করে ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করা, যাতে কীভাবে হৃদয়কে ঈশ্বরের অভিমুখে চালনা করা যায়, কীভাবে ঈশ্বরের সামনে অন্তরকে অবিচল রাখা যায় এবং কীভাবে পার্থিব আকর্ষণ ত্যাগ করা যায়, সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারা যায়। এই বিষয়গুলিই তোমার অনুশীলন করা উচিত। ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করতে না জানলে প্রকৃত সহকারিতা অর্জন করা অসম্ভব। ঈশ্বরের বাক্য কীভাবে ভোজন ও পান করতে হয় সেটা জানলে, তুমি নিজেই মূল সারসত্য উপলব্ধি করতে পারবে, তখন নিজেই দেখবে তোমার সহকারিতার সীমা উন্মুক্ত হয়ে গেছে এবং তোমার সামনে আসা যেকোনো সমস্যা নির্বিশেষেই, তুমি সহকারিতা অর্জন করতে এবং বাস্তবতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে। ঈশ্বরের বাক্য সাথে সহকারিতা অর্জনের সময়, তোমার যদি কোনও বাস্তবতার উপলব্ধি না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তুমি সার সত্য উপলব্ধি করতে পারো নি, যার থেকে প্রমাণ হয় যে ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করার উপায় তোমার অজানা। কিছু মানুষের কাছে ঈশ্বরের বাক্য পাঠ করা ক্লান্তিকর লাগতে পারে, এটি স্বাভাবিক অবস্থা নয়। স্বাভাবিক অবস্থায় ঈশ্বরের বাক্য পাঠে কখনই ক্লান্তি আসে না, অন্তরে সর্বদা সেগুলির জন্য তৃষ্ণা অনুভূত হয় এবং সর্বদা ঈশ্বরের বাক্য সুমধুর লাগে। বাক্যের রাজ্যে প্রবিষ্ট ব্যক্তি এভাবেই ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করে। যখন তুমি অনুভব করবে যে ঈশ্বরের বাক্য অত্যন্ত বাস্তবসম্মত এবং এগুলিতেই মানুষের প্রবেশ করা উচিত; যখন তুমি উপলব্ধি করবে যে তাঁর কথাগুলি মানুষের জন্য অত্যন্ত সহায়ক, উপকারী এবং মানুষের জীবনের আসল বিধান—পবিত্র আত্মাই তোমার মধ্যে এই অনুভূতি জাগান এবং তোমাকে চালিত করেন। এটি প্রমাণ করে যে পবিত্র আত্মা তোমার মধ্যেই কাজ করে চলেছেন এবং ঈশ্বর তোমার দিক থেকে তাঁর মুখ ফিরিয়ে নেননি। কিছু মানুষ ঈশ্বরের অফুরন্ত বাক্য দেখে ক্লান্তি বোধ করে এবং মনে করে যে তারা সেগুলি পড়ুক বা না পড়ুক এতে কোনও খারাপ পরিণাম হবে না—এটি কোনও স্বাভাবিক অবস্থা নয়। তাদের হৃদয়ে বাস্তবতায় প্রবেশ করার তৃষ্ণার অভাব রয়েছে এবং এই ধরনের মানুষ পরিপূর্ণতা লাভের তৃষ্ণা বা গুরুত্ব অনুভব করে না। যখনই দেখবে যে তোমার অন্তরে ঈশ্বরের বাক্য শোনার তৃষ্ণা নেই, তার থেকে এটাই বোঝা যায় যে তুমি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। অতীতে, ঈশ্বর তোমার থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন কিনা তা নির্ধারণ করা যেত তোমার অন্তরে শান্তি ছিল কিনা এবং তুমি তা উপভোগ করেছিলে কিনা তা দিয়ে। এখন মূল বিষয় হল তুমি ঈশ্বরের বাক্য শোনার জন্য তৃষ্ণার্ত কিনা, তাঁর বাক্যই তোমার জীবনের বাস্তবতা কিনা, তুমি বিশ্বস্ত কিনা এবং তুমি ঈশ্বরের প্রতি যেসব কর্তব্য পালনে সক্ষম সেগুলো করছ কিনা তা বিবেচনা করা। অন্য ভাবে বলা যায়, ঈশ্বরের বাক্যের বাস্তবতাতেই মানুষের বিচার করা হয়। ঈশ্বর সমস্ত মানবতার সামনে তাঁর বাক্য প্রচার করেন। তোমার সেগুলি পড়বার ইচ্ছে থাকলে তবেই তিনি তোমাকে আলোকিত করবেন, কিন্তু সেই ইচ্ছেটুকু না থাকলে তিনি তা করবেন না। ঈশ্বর তাদেরই জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেন যারা ন্যায়পরায়ণতার জন্য প্রকৃতই ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত এবং যাদের তাঁকে জানবার তীব্র চাহিদা আছে তারাই আলোকপ্রাপ্ত হয়। কেউ কেউ বলে যে ঈশ্বরের বাক্য পাঠের পরেও ঈশ্বর তাদের জ্ঞানদান করেননি। কিন্তু তুমি কি এই বাক্য ঠিক কীভাবে পড়েছো? অশ্ব পৃষ্ঠে আসীন ব্যক্তি যেমন দূরে থাকা ফুল দেখে, সেই ভাবেই যদি তুমি বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে তাঁর বাক্য পাঠ করো, তাহলে ঈশ্বর কীভাবে তোমাকে আলোকিত করবেন? যে ব্যক্তি ঈশ্বরের বাক্যের মূল্য অনুধাবন করতে পারে না, সে কীভাবে তাঁর দ্বারা পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে? তুমি ঈশ্বরের বাক্যকে মূল্যবান না মনে করলে তোমার কাছে সত্য বা বাস্তবতা কিছুই থাকবে না। তাঁর কথার সঠিক মূল্য দিলে তবেই কেবল তুমি সত্যকে প্রকৃত অর্থে প্রয়োগ করতে পারবে এবং তখনই তুমি বাস্তবতার অধিকারী হতে পারবে। এই কারণেই তোমাকে সর্বদা নিজের ব্যস্ততা, পরিস্থিতির প্রতিকূলতা, তোমার বিচারের অবস্থা নির্বিশেষে তোমাকে ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করতেই হবে। প্রধান বিষয় হল, ঈশ্বরের বাক্যই হল মানুষের অস্তিত্বের ভিত্তি। তাঁর বাক্যের থেকে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে না, বরং তিন বেলার খাবারের মতো তাঁর বাক্য ভোজন করতে হবে। ঈশ্বরের দ্বারা পরিপূর্ণতা লাভ এবং গৃহীত হওয়া কি এতই সহজ? বর্তমানে ঈশ্বরের প্রতি বোধগম্যতা এবং তাঁর কর্মকাণ্ডের প্রতি নিজের অন্তর্দৃষ্টি নির্বিশেষে, তোমাকে অবশ্যই যতটা সম্ভব ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করতে হবে। এটি হল সক্রিয় উপায়ে সূচনা করার একটি ধরন। ঈশ্বরের বাক্য পড়ার পরে, তোমার অবশ্য কর্তব্য হল তুমি যতটুকু বুঝতে পারছো সেভাবে অনুশীলনে ব্রতী হওয়া এবং না করতে পারা বিষয়গুলি কিছু সময়ের জন্য আলাদা করে রাখা। এমন হতে পারে যে ঈশ্বরের অনেক বাক্য তুমি শুরুতে বুঝতে পারবে না, তবে দুই তিন মাস পরে বা হয়তো বা এক বছর পরে তুমি তার উপলব্ধি করতে পারবে। এটা কীভাবে সম্ভব? তার কারণ হল ঈশ্বর মানুষকে দুই এক দিনে পরিপূর্ণ করতে পারেন না। বেশিরভাগ সময়, তাঁর বাক্যগুলি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হয়তো তুমি বুঝতে পারবে না। তখন সেগুলি নিছক লেখা ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না; সেগুলির প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করতে তোমাকে অবশ্যই সেগুলি কিছু দিন ধরে অনুভব করতে হবে। ঈশ্বর যেহেতু অফুরন্ত বাক্য বর্ষণ করেছেন, তোমার উচিত তাঁর বাক্য ভোজন ও পান করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা এবং তারপরে তুমি উপলব্ধি না করেও এগুলি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবে এবং তোমার উপলব্ধি ছাড়াই পবিত্র আত্মা তোমাকে আলোকিত করবেন। যখন পবিত্র আত্মা মানুষকে আলোকিত করেন, এটা প্রায়ই মানুষের অবচেতনে ঘটে। যখন তুমি তৃষ্ণার্ত হও এবং অন্বেষণ করো, তখনই তিনি তোমাকে আলোকিত করেন এবং সঠিক পথে চালিত করেন। পবিত্র আত্মা যে নীতির ভিত্তিতে ক্রিয়াকলাপ করেন সেটা ঈশ্বরের বাক্যের চারপাশেই আবর্তিত হয় যা তুমি ভোজন ও পান করো। যারা ঈশ্বরের বাক্যকে গুরুত্ব দেয় না এবং সর্বদা তাঁর কথার প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে—তারা নিজেদের স্থূল বুদ্ধিতে বিশ্বাস করে যে তাঁর বাক্য পড়া না পড়ায় কিছু এসে যায় না—তাদের বাস্তবতার উপলব্ধিই নেই। এই ধরনের ব্যক্তির মধ্যে পবিত্র আত্মার কাজ বা তাঁর আলোকপ্রাপ্তি প্রকাশিত হয় না। এই ধরনের মানুষ কোনও প্রয়াস ছাড়াই যান্ত্রিক ভাবে কাজ করে চলেছে, ঠিক নীতিকথায় উল্লিখিত সেই মিস্টার নাঙ্গুওর মতো সত্যিকারের যোগ্যতাহীন ভানকারীর থেকে বেশি কিছু নয়।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, রাজ্যের যুগই হল বাক্যের যুগ
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
অন্যান্য ধরণের ভিডিও