ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 400

23-09-2023

ঈশ্বর মানুষকে পরিপূর্ণতা দানের সংকল্প করেছেন এবং তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিত নির্বিশেষে মানুষকে পরিপূর্ণ করার উদ্দেশ্যেই তিনি তা করে থাকেন। আত্মার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চারিত বাক্য মানুষের পক্ষে বোঝা কঠিন; তাদের বোঝার সীমিত ক্ষমতার কারণেই সেগুলির অনুশীলনের কোনও উপায় তাদের নেই। ঈশ্বরের কাজের বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে, এবং এর প্রতিটি পদক্ষেপে নিহিত রয়েছে তাঁর উদ্দেশ্য। উপরন্তু, অপরিহার্যভাবে বলা যায় যে তিনি বিভিন্ন প্রেক্ষিতে মানুষের উদ্দেশ্যে বাক্য শোনান, কারণ কেবল এর মাধ্যমেই তিনি মানুষকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারেন। শুধুমাত্র আত্মার প্রেক্ষিত থেকে ব্যক্ত করলে ঈশ্বরের কাজের এই পর্যায় সম্পূর্ণ করার কোনও উপায়ই থাকবে না। ঈশ্বরের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে তিনি মনুষ্যগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং যারা পরিপূর্ণতা পেতে চায় তাদের প্রত্যেকের প্রথম পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত? সর্বোপরি, তোমাকে অবশ্যই ঈশ্বরের কর্ম সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। আজ, ঈশ্বরের কাজে এক নতুন পদ্ধতির সূচনা হয়েছে; যুগ পরিবর্তিত হয়েছে, তার সাথে সাথে ঈশ্বরের কর্মপদ্ধতিতেও এসেছে পরিবর্তন এবং একই ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে ঈশ্বরের বক্তব্য রাখার পদ্ধতি। আজ, কেবল তাঁর কাজের পদ্ধতিই পরিবর্তিত হয়নি, যুগেরও পরিবর্তন হয়েছে। এখন রাজ্যের যুগ। ঈশ্বরকে ভালোবাসার যুগও বটে। এটি সহস্রবর্ষীয় রাজ্যের যুগের একটি পূর্বাভাস—যা একাধারে বাক্যেরও যুগ এবং যেখানে ঈশ্বর মানুষকে পরিপূর্ণতা দানের জন্য বিভিন্ন উপায়ে বাক্য প্রকাশ করেন এবং মানুষকে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন প্রেক্ষিত থেকে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করেন। সহস্রবর্ষীয় রাজ্যের যুগে প্রবেশের পর, ঈশ্বর মানুষকে পরিপূর্ণতা দানের জন্য বাক্যের ব্যবহার শুরু করবেন, মানুষকে জীবনের বাস্তবতা উপলব্ধি করাবেন এবং তাকে সঠিক পথের সন্ধান দেবেন। ঈশ্বরের কাজের এতগুলি ধাপের অভিজ্ঞতা লাভের পরে, মানুষ উপলব্ধি করেছে যে ঈশ্বরের কাজ অপরিবর্তিত থাকে না, বরং বিরামহীনভাবে বিকশিত এবং গভীরতা প্রাপ্ত হয়। এতদিনের অভিজ্ঞতায় মানুষ বুঝেছে যে ঈশ্বরের কাজের বারবার পুনরাবৃত্তি হয়েছে, ক্রমাগত এতে পরিবর্তন হয়ে চলেছে। বারবার পরিবর্তন সত্ত্বেও এটি ঈশ্বরের মানবতাকে পরিত্রাণ প্রদানের উদ্দেশ্য থেকে কখনই বিচ্যুত হয় না। এমনকি দশ হাজার বার পরিবর্তন হলেও, এটি কখনোই তার মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয় না। ঈশ্বরের কর্মপদ্ধতির পরিবর্তন নির্বিশেষে, এই কাজ কখনই সত্য বা জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। কর্মপদ্ধতির পরিবর্তন শুধুমাত্র কাজের বিন্যাসে এবং ঈশ্বরের বাক্যের প্রেক্ষিতে হয়, তাঁর কাজের মূল উদ্দেশ্যের কোনও পরিবর্তন হয় না। ঈশ্বরের বক্তব্য এবং কর্মপদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের জন্য। বক্তব্যের পরিবর্তনের অর্থ কাজের মূল উদ্দেশ্য বা নীতির পরিবর্তন নয়। মানুষ জীবনের অর্থ উপলব্ধির জন্যই প্রধানত ঈশ্বরে বিশ্বাস করে; যদি তোমরা ঈশ্বরবিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও জীবনের সন্ধান না করো বা সত্য বা ঈশ্বরের জ্ঞান অনুসরণ না করো, তবে তা প্রকৃত ঈশ্বর বিশ্বাস নয়! এবং রাজা হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় রাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করা কি বাস্তবসম্মত? জীবনের সত্য অন্বেষণের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা অর্জন করা—কেবল এটিই বাস্তবতা; এটিই সত্যের সাধনা এবং অনুশীলন—এটিই প্রকৃত সত্য। ঈশ্বরের বাক্য পড়া এবং অনুভবের মাধ্যমেই তুমি বাস্তব অভিজ্ঞতায় ঈশ্বরের জ্ঞান উপলব্ধি করতে পারবে, এবং এটিই প্রকৃত অর্থে সত্য অনুসরণের অর্থ।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, রাজ্যের যুগই হল বাক্যের যুগ

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন