ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: গন্তব্য ও পরিণতি | উদ্ধৃতি 612

30-05-2023

তুমি কি এখন বুঝতে পারছ বিচার কী এবং সত্য কী? বুঝতে পারলে আমি তোমাকে বিচারের জন্য মাথা নত করে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দিচ্ছি, অন্যথায় তুমি কখনই ঈশ্বরের দ্বারা প্রশংসিত হওয়ার বা তাঁর সঙ্গে তাঁর রাজ্যে প্রবেশের সুযোগ পাবে না। যারা শুধুমাত্র বিচার গ্রহণ করে কিন্তু কখনও শুদ্ধ হতে পারে না, অর্থাৎ, যারা বিচারের মধ্য থেকেই পলায়ন করে, তারা চিরকাল ঈশ্বরের ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকবে এবং প্রত্যাখ্যাত হবে। তাদের পাপ ফরীশীদের চেয়ে অনেক বেশি, আরও গুরুতর, কারণ তারা ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। এই ধরনের ব্যক্তিরা, যারা সেবা প্রদানেরও অযোগ্য, তারা আরও কঠোর শাস্তি পাবে, যে শাস্তি হবে চিরস্থায়ী। ঈশ্বর এমন কোনও বিশ্বাসঘাতককে রেহাই দেবেন না যারা কথাতে আনুগত্য প্রকাশ করা সত্ত্বেও পরে তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এই ধরনের ব্যক্তিরা আত্মার এবং শরীরের শাস্তির মাধ্যমে এর প্রতিফল ভোগ করবে। এটা কি ঈশ্বরের ধার্মিক স্বভাবের প্রকাশ নয়? মানুষের বিচার করা এবং তাকে প্রকাশ করা কি ঈশ্বরের উদ্দেশ্য নয়? বিচারের সময় সমস্ত ধরনের মন্দ কাজ করা ব্যক্তিদের ঈশ্বর তাদের দুষ্ট আত্মা পূর্ণ স্থানে প্রেরণ করেন, এবং এই দুষ্ট আত্মাদের তাদের শরীরকে ইচ্ছামতো ধ্বংস করতে অনুমতি দেন এবং তাদের দেহ মৃতদেহের দুর্গন্ধের মত পূতিগন্ধময় হয়ে ওঠে। এটাই তাদের উপযুক্ত শাস্তি। ঈশ্বর সেইসব আনুগত্যহীন অবিশ্বাসী, ভণ্ড বাণীপ্রচারক এবং অসৎকর্মীদের হিসাবখাতায় তাদের প্রতিটি পাপের কথা লিখে রাখেন; তারপর, সঠিক সময় এলে, তিনি তাদের অশুচি আত্মাদের দিকে ঠেলে দেন, এই অশুচি আত্মারা তাদের ইচ্ছামতো সমস্ত শরীরকে বিকৃত করে দেয়, যাতে তারা কখনও পুনর্জন্ম লাভ না করে এবং আর কখনও আলো দেখার সৌভাগ্য লাভ না করে। যে সমস্ত ভণ্ডরা কিছু সময়ের জন্য সেবা করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুগত থাকতে অক্ষম হয়, তাদের ঈশ্বর দুষ্টদের মধ্যে গণনা করেন, যাতে তারা দুষ্টদের সাথে মিলিত হয় এবং তাদের উচ্ছৃঙ্খল তাণ্ডবের অংশ হয়; শেষ পর্যন্ত, ঈশ্বর তাদের ধ্বংস করবেন। যারা খ্রীষ্টের প্রতি অনুগত ছিল না, বা কখনও তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কোনো অবদানই রাখে নি, ঈশ্বর তাদের একপাশে সরিয়ে রাখেন এবং তাদের প্রতি কোনও নজর দেন না, যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে তিনি তাদের সবাইকে ধ্বংস করে দেবেন। পৃথিবীতে তাদের আর অস্তিত্ব থাকবে না, তারা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার অধিকারও পাবে না। যারা কখনই ঈশ্বরের প্রতি মনোযোগী ছিল না, শুধু পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে তাঁর সাথে অগভীরভাবে মোকাবিলা করেছে, তাদের গণনা করা হয় ঈশ্বরের জনগণকে সেবা করার জন্য। এই ধরনের অল্প সংখ্যক লোকই বেঁচে থাকবে, অপরপক্ষে ঈশ্বরকে যথাযথ সেবা প্রদান করে না এমন ব্যক্তিরা সংখ্যাগরিষ্ঠদের সাথেই ধ্বংস হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত, ঈশ্বর তাঁর রাজ্যে সেই সমস্ত লোকেদের নিয়ে আসবেন যারা ঈশ্বরের মতো একই মনের মানুষ, যারা ঈশ্বরের জনগণ ও তাঁর পুত্র, এবং যারা যাজক হওয়ার জন্য পূর্বনির্ধারিত। তারা হবে ঈশ্বরের কাজের পরিশুদ্ধ ফলাফল। যারা ঈশ্বরের দ্বারা নির্ধারিত কোনও শ্রেণীতে পড়ে না, তাদের অবিশ্বাসীদের মধ্যে গণ্য করা হবে—এবং তোমরা নিশ্চিতভাবেই কল্পনা করতে পারো তাদের পরিণতি কী হবে। আমার যা বলা উচিত তা আমি ইতিমধ্যেই তোমাদের বলে দিয়েছি, এবার তোমরা কোন রাস্তা নির্বাচন করবে তা একান্তই তোমাদের নিজস্ব পছন্দ। তোমাদের বোঝা উচিত: ঈশ্বরের কাজ কখনই এমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না যে তাঁর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অক্ষম, এবং ঈশ্বরের ধার্মিক স্বভাব এইরকম কোনও মানুষের প্রতি দয়া দেখায় না।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, খ্রীষ্ট সত্যের দ্বারাই বিচারের কাজ করেন

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন