খ্রিষ্টীয় সঙ্গীত | ঈশ্বরের নির্দেশনা হারিয়ে মানবজাতির পরিণতি
05-07-2022
সমাজবিজ্ঞানের নব নব উদ্ভাবনী কৌশলে মানুষের মন
বিজ্ঞান এবং অন্যান্য জ্ঞানের চিন্তাতেই আবৃত।
জ্ঞান এবং বিজ্ঞানই হয়ে উঠেছে মানবজাতির নিয়ন্তা
এবং ঈশ্বর-প্রার্থনার জন্য সেখানে
খুব বেশি পরিসর বা অনুকূল পরিবেশ আর নেই।
মানুষের অন্তরে ঈশ্বরের স্থান সবচাইতে নিচে নেমে গেছে।
হৃদয়ে যদি ঈশ্বরের স্থান না থাকে তাহলে তা অন্ধকার,
আশাহীন ও অর্থহীন হয়ে ওঠে।
এই সুযোগে কিছু সমাজবিজ্ঞানী, ঐতিহাসিক এবং রাজনীতিবিদ মানুষের হৃদয় ও মস্তিষ্কে
অনুপ্রবেশ করার জন্য তাদের সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব,
বিবর্তনের নীতি এবং আরও নানা তত্ত্বের অবতারণা করল।
ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই যে মানুষের উদ্ভব,
সেই পরম সত্যের সরাসরি বিরোধী এইসব তত্ত্ব।
এইভাবে যেসব মানুষ বিশ্বাস করত যে ঈশ্বর সবকিছুর স্রষ্টা
তাদের সংখ্যা ভীষণরকম কমে গেল এবং
বিবর্তনের তত্ত্বে বিশ্বাসীদের সংখ্যা হয়ে উঠল সর্বাধিক।
ধীরে ধীরে সেইসব মানুষের সংখ্যা বাড়তে লাগলো যারা পুরাতন নিয়মের যুগে ঈশ্বরের কার্য
এবং তাঁর বাক্যকে শুধুই পৌরাণিক কাহিনী কিংবা
কিংবদন্তি বলে মনে করতে শুরু করল।
মনে মনে তারা ঈশ্বরের মহিমা এবং
বিশালতা সম্পর্কে উদাসীন হয়ে উঠল।
নিস্পৃহ হয়ে পড়ল ঈশ্বরের অস্তিত্ব এবং সর্বব্যাপীতায়।
মানবজাতির অস্তিত্ব, দেশ ও জাতির ভাগ্য,
এসব কোনো কিছুই তাদের কাছে আর গুরুত্বপূর্ণ রইল না।
অর্থহীন এক পৃথিবীতে তারা শুধুমাত্র বেঁচে রইল আহার, পান এবং সুখের অন্বেষণে। …
হাতে গোনা মাত্র কয়েকজনই চেষ্টা করে যেতে লাগল
ঈশ্বর কোথায় কীভাবে তাঁর বিস্তৃত কার্য পরিচালনা করেন,
নির্দিষ্ট করেন মানুষের ভাগ্য, সে সব জানতে।
এই ভাবেই আমাদের অজান্তে মানব-সভ্যতার কাছে
ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হয়ে উঠতে লাগল মানুষের অভীষ্ট।
এমন অনেক মানুষ এই বিশ্বে আছে যারা মনে করে
এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চাইতে মৃত্যু অনেক বেশি শ্রেয়।
এমনকি সভ্যতায় অগ্রগণ্য বলে চিহ্নিত অনেক দেশের মানুষই
মনে মনে এই একই ক্ষোভ পোষণ করে।
মানব-সভ্যতা রক্ষা করার জন্য
শাসক এবং সমাজতাত্ত্বিকরা যতই চেষ্টা করুন না কেন ঈশ্বরের নির্দেশিকা ছাড়া
তা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
মানুষের হৃদয়ের শূন্যতা কেউই পূরণ করতে পারে না,
মানুষের হৃদয়ের শূন্যতা কেউই পূরণ করতে পারে না,
কারণ অন্য কেউ বা কোনও কিছুই মানুষের জীবনের
সমতুল্য হতে পারে না এবং কোনও সামাজিক তত্ত্বই
মনের শূন্যতা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না।
মেষশাবককে অনুসরণ করুন ও নতুন গীত গান থেকে
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
অন্যান্য ধরণের ভিডিও