ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের স্বভাব এবং তিনি কে ও তাঁর কী আছে | উদ্ধৃতি 261

01-12-2023

সর্বশক্তিমানের ইচ্ছায় এবং তাঁর দৃষ্টির অধীনে এই জগতের সব কিছুই দ্রুত পরিবর্তিত হয়। মানবজাতির অভিজ্ঞতায় নেই এমন বিষয় অকস্মাৎ উপস্থিত হয়, আবার মানবজাতির দীর্ঘকালীন বহু অর্জিত বিষয় তার অজ্ঞাতেই হারিয়ে যায়। কেউই সর্বশক্তিমানের ঠিকঠিকানার হদিশ করে উঠতে পারে না, খুব কমজনই সর্বশক্তিমানের প্রাণশক্তির মহত্ব আর ইন্দ্রিয়াতীত অনির্বচনীয়তা অনুভব করতে পারে। তিনি ইন্দ্রিয়াতীত বলেই এমন বিষয় তিনি উপলব্ধি করেন যা মানুষ পারে না। তিনি মহৎ, তাই মানুষ তাঁকে পরিত্যাগ করলেও তিনিই মানবজাতির ত্রাতা। তিনি জানেন জীবন ও মৃত্যুর অর্থ, তদুপরি, তিনি অস্তিত্বের নিয়মসমূহ জানেন, তাঁর সৃষ্ট মানবজাতির যেগুলি অনুসরণ করা উচিত। মানব অস্তিত্বের ভিত্তি তিনি, এবং তিনিই মুক্তিদাতা যিনি আবার পুনরুত্থিত করেন মানবজাতিকে। তিনি উৎফুল্ল হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করেন বিষাদে এবং বিষণ্ণ হৃদয়কে আনন্দে উদ্ভাসিত করেন, সকলই তাঁর কার্যের প্রয়োজনে, আর তাঁর পরিকল্পনার স্বার্থে।

মানবজাতি সর্বশক্তিমানের প্রদত্ত জীবনের সংস্থান থেকে দূরে সরে গেছে, অস্তিত্বের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদাসীন, অথচ তার মৃত্যুর ভয় রয়ে গেছে একই রকম। তারা সাহায্য বা সমর্থন বিহীন, তবু চোখ বন্ধ করতে রাজী নয়, এবং পৃথিবীতে এক হীন অস্তিত্ব টেনে নিয়ে চলার জন্য তারা নিজেদের ইস্পাত-কঠিন করে তোলে, যেন আপন আত্মার বোধ বিহীন মাংসের বস্তা। তুমি এভাবেই বেঁচে আছ, আশাহীন, লক্ষ্যহীন, অন্যদেরই মত। একমাত্র কিংবদন্তির পবিত্র অদ্বিতীয়ই রক্ষা করবেন সেই মানুষদের, যারা যন্ত্রণার মাঝে হাহাকার করছে, নিদারুণভাবে তাঁর উপনীত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করছে। যাদের চৈতন্য হয়নি তাদের মধ্যে এখনও এই বিশ্বাস অনুভূত হয়নি। তা সত্বেও, মানুষ আজও এর জন্য এভাবে আকুল। গভীর যন্ত্রণায় নিমজ্জিত মানুষদের জন্য সর্বশক্তিমানের করুণা অপার; একই সাথে, চৈতন্যহীন মানুষদের উপর তিনি বিরক্ত, কারণ মানবজাতির দিক থেকে সাড়া পাওয়ার জন্য তাঁর অপেক্ষা দীর্ঘতর হচ্ছে। তিনি অনুসন্ধান করতে চান, তোমার হৃদয়ের অনুসন্ধান, তোমার আত্মার অনুসন্ধান, তোমাকে জাগ্রত করার জন্য জন্য জল ও খাবার এনে দিতে চান, যাতে তোমাদের আর অভুক্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকতে না হয়। যখন তুমি অবসন্ন বোধ কর, এই জগতের নিরানন্দ বিবর্ণ শূন্যতা উপলব্ধি করতে শুরু কর, আত্মহারা হয়ো না, কেঁদো না। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, সর্বদ্রষ্টা, যেকোনও সময় তোমার আগমনকে আলিঙ্গন করবেন। তিনি সর্বক্ষণ তোমার পাশে থেকে সব দেখছেন, অপেক্ষা করছেন কখন তুমি ফিরে তাকাও। তিনি সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছেন যেদিন তুমি হঠাৎ স্মৃতি ফিরে পাবে: যখন উপলব্ধি করবে তুমি এসেছ ঈশ্বরের কাছ থেকে, কোনও এক অজ্ঞাত সময়ে তোমার দিশা হারিয়েছ, কোনও এক অজ্ঞাত সময়ে পথেই চৈতন্য হারিয়েছ, এবং এক অজ্ঞাত সময়ে একজন “পিতা” পেয়েছ; সর্বোপরি, যখন উপলব্ধি করবে, সর্বশক্তিমান সর্বক্ষণ নজর রেখেছেন, এবং দীর্ঘ, সুদীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন তোমারই ফেরার অপেক্ষায়। সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় তিনি অবলোকন করে চলেছেন নিরন্তর, কোনো উত্তর ছাড়াই। তাঁর দৃষ্টি ও প্রতীক্ষার মূল্য অপরিমেয়, সে কেবল মানুষের হৃদয় আর আত্মার স্বার্থে। হয়তো এই দৃষ্টি আর প্রতীক্ষা অনন্ত, হয়তো বা তা দাঁড়িয়ে আছে একেবারে শেষের মুখে। কিন্তু তোমাকে জানতে হবে এই মুহূর্তে তোমার হৃদয় আর আত্মা ঠিক কোথায় রয়েছে।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সর্বশক্তিমানের দীর্ঘশ্বাস

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন