ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের স্বভাব এবং তিনি কে ও তাঁর কী আছে | উদ্ধৃতি 258

16-04-2023

ক্রন্দনরত অবস্থায় এই জগতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় থেকেই তুমি তোমার কর্তব্য পালন করা শুরু করো। ঈশ্বরের পরিকল্পনা ও তাঁর নির্ধারিত নিয়তি অনুসারে তুমি তোমার ভূমিকা পালন করে চলো আর জীবনের পথে রওনা হও। তোমার পটভূমি যেমনই হোক, এবং তোমার সামনে যেমনই যাত্রাপথ থাকুক, কেউই স্বর্গলোকের সমন্বয়সাধন আর ব্যবস্থাপনা এড়িয়ে যেতে পারে না, আর কেউই তার নিজের নিয়তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, কারণ যিনি সমস্ত কিছুর নিয়ন্তা কেবল তিনিই এটা করতে সক্ষম। যেদিন থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে, ঈশ্বর এভাবেই কাজ করে চলেছেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিচালনা করছেন, সবকিছু পরিবর্তনের নিয়ম ও তাদের গতিপথের দিশা নির্দেশ করে চলেছেন। সবকিছুর মতোই, মানুষও নিঃশব্দে এবং নিজের অজান্তে ঈশ্বরপ্রদত্ত মিষ্টতা, বৃষ্টি এবং শিশির দ্বারা প্রতিপালিত হয়; আর সবকিছুর মতোই, মানুষও নিজের অজান্তেই ঈশ্বরের হাতের সমন্বয়সাধনেই বেঁচে আছে। মানুষের হৃদয় ও আত্মা ঈশ্বরের হাতেই ধৃত, তার জীবনের সবকিছুই ঈশ্বরের দৃষ্টির অন্তর্গত। তুমি বিশ্বাস করো বা না করো, ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসারেই জীবিত বা মৃত যে কোনো জিনিস ও সমস্ত কিছু স্থানান্তরিত হবে, পরিবর্তিত হবে, পুনর্নবীকৃত হবে, আর বিলীন হয়ে যাবে। ঈশ্বর এভাবেই সমস্ত বস্তুর উপরে আধিপত্য করেন।

রাত যখন ঘনিয়ে আসে, মানুষের অজান্তেই তা ঘটে, কেননা মানুষের হৃদয় এটা বুঝতে অক্ষম যে রাত কীভাবে আর কোথা থেকে আসে। রাত যখন নিঃশব্দে পেরিয়ে যায়, মানুষ দিনের আলোকে স্বাগত জানায়, কিন্তু আলো কোথা থেকে এলো, আর এটা কীভাবে অন্ধকারকে সরিয়ে দিল, সেই বিষয়ে মানুষ জানেও খুবই কম আর তার সচেতনতা তো আরও কম। এই ক্রমান্বয়ে ঘটে চলা দিন আর রাতের পরিবর্তন মানুষকে এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ের দিকে, এক ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত থেকে পরের পরিপ্রেক্ষিতের দিকে টেনে নিয়ে যায়, অথচ প্রত্যেক পর্যায়ে ঈশ্বরের কাজ এবং প্রত্যেক যুগের জন্য তাঁর পরিকল্পনা সুনিশ্চিত ভাবেই অব্যাহত থাকে। মানুষ ঈশ্বরের সাথে এইসব পর্যায়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে, তবু সে জানেই না যে সমস্ত জড় ও জীব জগতের ভাগ্যকে ঈশ্বর শাসন করেন, আর সে এটাও জানেনা যে ঈশ্বর কীভাবে সবকিছুর সমন্বয়সাধন ও পরিচালনা করেন। এটা অনাদিকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত মানুষের অজানা রয়ে গেছে। কেন এমন হয়? তার কারণ এই নয় যে ঈশ্বরের ক্রিয়াকলাপ খুবই গোপন, বা ঈশ্বরের পরিকল্পনা এখনও বাস্তবায়িত হয় নি, বরং এই কারণে যে মানুষের হৃদয় ও আত্মা ঈশ্বর থেকে অত্যন্ত দূরে এমন কোথাও রয়েছে যেখানে মানুষ এমনকি ঈশ্বরের অনুসরণ করা সত্বেও অজান্তেই শয়তানের সেবা করে চলেছে। কেউই সক্রিয়ভাবে ঈশ্বরের পদচিহ্ন ও তাঁর আবির্ভাবের সন্ধান করে না, আর কেউই ঈশ্বরের পরিচর্যায় ও রক্ষণাবেক্ষণে থাকতে ইচ্ছুক নয়। তার পরিবর্তে, তারা শয়তান তথা দুরাত্মার অবক্ষয়ের উপর নির্ভর করতে চায়, যেন তারা এইজগতের সাথে, এবং দুর্নীতিপরায়ণ মানুষ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যেসব নিয়ম মেনে চলে, তার সাথে মানিয়ে চলতে পারে। এই অবস্থায়, মানুষের হৃদয় ও আত্মা শয়তানের কাছে নিবেদিত হয়ে পড়েছে এবং তা শয়তানের খাদ্যে পরিণত হয়েছে। এমনকি, মানুষের হৃদয় ও আত্মা শয়তানের আবাসস্থল এবং উপযুক্ত ক্রীড়াক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এভাবেই মানুষ নিজের অজান্তে মানবতার নীতি সম্পর্কে বোধশক্তি এবং মানব অস্তিত্বের মূল্য ও তার নিহিতার্থ সম্পর্কে ধারণা হারিয়ে ফেলে। ঈশ্বরের আইন এবং মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে হওয়া চুক্তি মানুষের হৃদয়ে ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হতে থাকে, আর সে ঈশ্বরের অনুসন্ধান বা তাঁর দিকে মনোযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সময়ের সাথে সাথে মানুষ ভুলে যেতে থাকে ঈশ্বর কেন তাকে সৃষ্টি করেছেন, বুঝতে পারে না ঈশ্বরের বাক্য, চিনতে পারে না ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রাপ্ত বস্তুগুলি। মানুষ তখন ঈশ্বরের আজ্ঞা ও নির্দেশের প্রতিরোধ করতে শুরু করে এবং তার হৃদয় ও আত্মা হয়ে ওঠে মৃতপ্রায়…। ঈশ্বর হারিয়ে ফেলেন সেই মানুষকে যাকে তিনি আদিতে সৃষ্টি করেছিলেন, আর মানুষ হারায় নিজের শিকড় যা আদিতে তার ছিল: এটাই এই মানবজাতির পক্ষে দুঃখের ঘটনা। বস্তুত, প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত, ঈশ্বর মানব সমাজের জন্য এমন এক বিয়োগান্ত নাটক মঞ্চস্থ করেছেন, যেখানে মানুষ নিজেই মুখ্য চরিত্র এবং সে নিজেই ক্ষতির শিকারও বটে। এই বিয়োগান্ত নাটকের পরিচালক যে কে, সে প্রশ্নের উত্তর কেউ জানেনা।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বর হলেন মানুষের জীবনের উৎস

কীভাবে ঈশ্বর সকল কিছুতে সার্বভৌম

যে ক্ষণ হতে তুমি এ জগতে আসো, করে দাও শুরু নিজের দায়িত্ব পালন। ঈশ্বরের নির্বন্ধে, পরিকল্পনায় তোমার ভূমিকা নেওয়া, জীবনে-যাত্রাপথে। যা-ই ছিলে তুমি, যেমন-ই হোক তোমার আগামী, কেউ না পারে এড়িয়ে যেতে স্বর্গের সমন্বয়সাধন, আয়োজন, কারো হাতে নেই যে নিজেদের নিয়তি, যিনি সকল কিছুতে সার্বভৌম তিনিই তা করতে পারেন।

যেদিন থেকে সৃষ্ট হল মানব, ঈশ্বর এভাবেই কাজ করে চলেছেন, তিনিই করেন বিশ্ব-পরিচালন, করেন নির্দেশন সকল কিছুর বদল ও গতিপথ। সবকিছুর মতোই মানব জাতি পায় ঈশ্বরের শিশির, বৃষ্টি ও তাঁর মিষ্টতার পুষ্টি নীরবে, অজান্তে। সবকিছুর মতোই, নিজের অজান্তে মানুষ থাকে ঈশ্বরের হাতের সমন্বয়সাধনের অধীনে।

মানুষের হৃদয় ও আত্মা ঈশ্বরেরই হাতে, তাঁর চোখে যায় দেখা সমগ্র মানবজীবন। তুমি বিশ্বাস করো বা না করো, জীবিত বা মৃত সবকিছু, সরে যাবে, বদলে যাবে, আবার নতুন হবে, মিলিয়ে যাবে কেবল তাঁরই ইচ্ছায়। এভাবেই ঈশ্বর সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।

—মেষশাবককে অনুসরণ করুন ও নতুন গীত গান

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন