ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের স্বভাব এবং তিনি কে ও তাঁর কী আছে | উদ্ধৃতি 255

16-03-2022

তুমি প্রকৃতপক্ষেই অনন্ত জীবন লাভের পথ জানতে চাইলে এবং এর সন্ধানে উদগ্রীব হয়ে থাকলে, প্রথমে এই প্রশ্নের উত্তর দাও: ঈশ্বর আজ কোথায়? সম্ভবত তোমার উত্তর হবে, “ঈশ্বর স্বর্গে আছেন, অবশ্যই—তিনি তো আর তোমার বাড়িতে থাকবেন না, তাই না?” হয়তো তুমি বলবে যে ঈশ্বর স্পষ্টতই সমস্ত কিছুর মধ্যেই বাস করেন। অথবা বলতে পারো যে ঈশ্বর প্রত্যেকের হৃদয়ে বাস করেন, বা ঈশ্বর আধ্যাত্মিক জগতে আছেন। আমি এর কোনোটিই অস্বীকার করি না, তবে আমাকে অবশ্যই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হবে। ঈশ্বর মানুষের হৃদয়ে বাস করেন এই কথাটি সম্পূর্ণ সঠিক, এমন দাবি আমি করব না, তবে এটি সম্পূর্ণ ভুলও নয়। কারণ, ঈশ্বরবিশ্বাসীদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যাদের বিশ্বাস সত্য এবং অনেকে আছে যাদের বিশ্বাস মিথ্যা, এমন অনেকে আছে যাদেরকে ঈশ্বর অনুমোদন দেন এবং এমনও আছে যাদের তিনি তা দেন না, তারাও আছে যারা তাকে সন্তুষ্ট করতে পারে এবং এমনও অনেকে আছে যাদেরকে তিনি অপছন্দ করেন, এমন অনেকে আছে যাদের তিনি পূর্ণতা দান করেন, আবার অনেককেই তিনি পরিত্যাগ করেন। আর তাই আমি বলি যে ঈশ্বর শুধুমাত্র কিছু মানুষের হৃদয়েই বাস করেন যারা নিঃসন্দেহে ঈশ্বরবিশ্বাসী, যাদের ঈশ্বর অনুমোদন করেন, যারা তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারে এবং যাদের তিনি পূর্ণতা দান করেন। তারাই ঈশ্বরের দ্বারা পরিচালিত হয়। ঈশ্বরের দ্বারা পরিচালিত বলেই, তারা ইতিমধ্যে ঈশ্বরের অনন্ত জীবনের গতিপথ সম্পর্কে অবগত। যাদের ঈশ্বরবিশ্বাস মিথ্যা, যারা ঈশ্বরের দ্বারা অনুমোদিত নয়, যারা ঈশ্বরের দ্বারা অবহেলিত, যারা ঈশ্বর দ্বারা ত্যাজ্য—তারা ঈশ্বরের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হতে বাধ্য, তারা জীবনের গতিপথ ছাড়াই থাকতে বাধ্য, এবং ঈশ্বর কোথায় আছেন সে সম্পর্কে অজ্ঞ থাকতে বাধ্য। এর পরিবর্তে যাদের অন্তরে ঈশ্বর বাস করেন, তারা জানে তিনি কোথায় আছেন। তাদেরকেই ঈশ্বর অনন্ত জীবন যাপনের পথে চলার আশীর্বাদ দেন এবং তারাই ঈশ্বরকে অনুসরণ করে। এখন তুমি কি জানো ঈশ্বর কোথায় আছেন? ঈশ্বর মানুষের মনে এবং মানুষের পাশে উভয়ই স্থানেই আছেন। তিনি কেবল আধ্যাত্মিক জগতেই নন, সর্বত্রই তাঁর অবাধ বিচরণ, কিন্তু তাঁর উপস্থিতি সর্বাধিক মানুষের আবাসস্থল এই পৃথিবীতে। এবং তাই অন্তিম সময়ের আগমন ঈশ্বরের কর্ম পদক্ষেপকে এক নতুন শিখরে নিয়ে গেছে। সর্বত্র সমস্ত জিনিসের উপর ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব আছে এবং মানুষের হৃদয়ে তিনিই প্রধান অবলম্বন, অধিকন্তু, তিনি মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। কেবল এইভাবেই তিনি মানবজাতির মধ্যে জীবন যাপনের ধারা প্রবর্তন করেন এবং মানুষকে তার সঠিক জীবনের পথে নিয়ে আসেন। ঈশ্বর পৃথিবীতে এসে মানুষের মধ্যে বসবাস করেন, যাতে মানুষ জীবন যাপনের সঠিক পথে চলতে পারে এবং যাতে মানুষের অস্তিত্ব বজায় থাকে। পাশাপাশি, মানুষদের মধ্যে তাঁর ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য ঈশ্বর সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। এবং তাই, যদি তুমি এই ধারণায় বিশ্বাস করো যে ঈশ্বর কেবলমাত্র স্বর্গে এবং মানুষের হৃদয়ে বাস করেন, তবুও মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সত্যতা অস্বীকার করো, তাহলে তুমি কখনই জীবনের মূল্য অনুভব করতে পারবে না এবং কখনও সত্যের পথে চলতে পারবে না।

ঈশ্বর নিজেই জীবন, এবং সত্য এবং তাঁর জীবন ও সত্য একই সাথে সহাবস্থান করে। যারা সত্যের পথে চলতে অক্ষম তারা কখনও জীবনের মূল্য অনুভব করতে পারে না। সত্যের দিশানির্দেশ, সমর্থন এবং বিধান ব্যতীত, তুমি কেবল আক্ষরিক অর্থ, ধর্মীয় উপদেশ এবং সর্বোপরি মৃত্যুই লাভ করবে। ঈশ্বরের জীবন অবিনশ্বর এবং তাঁর সত্য ও জীবন সহাবস্থান করে। তুমি সত্যের উৎস উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হলে, জীবনের রস অনুভব করতে পারবে না; জীবনের বিধান লাভ করতে না পারলে, নিশ্চিত ভাবে তোমার কাছে কোনও সত্যের উপলব্ধিই থাকবে না এবং তাই কল্পনা এবং ধারণা ব্যতীত, তোমার কাছে সম্পূর্ণ পার্থিব শরীর ছাড়া আর কিছুই থাকবে না—শুধু থাকবে এই পূতিগন্ধময় পার্থিব শরীর। তোমার জানা উচিত যে বইয়ের শব্দকে জীবন বলে না, ইতিহাসের নথিকে সত্য মনে করে শ্রদ্ধা করা যায় না এবং অতীতের নিয়মগুলিকে বর্তমানে ঈশ্বরের মুখ নিঃসৃত বাণীর পরিবর্তে ব্যবহার করা যায় না। পৃথিবীতে এসে মানুষের মধ্যে বসবাসের সময় ঈশ্বর যা প্রকাশ করেন তাই হল প্রকৃত সত্য, আসল জীবন, ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং তাঁর বর্তমান কর্মপদ্ধতি। তুমি যদি অতীতে বলা ঈশ্বরের বাণীকে বর্তমানে প্রয়োগ করো, তাহলে তুমি এক প্রত্নতত্ত্ববিদ ছাড়া আর কিছুই নও, তোমাকে খুব বেশি হলে ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের বিশেষজ্ঞ বলা যায়। কারণ তুমি সবসময় ঈশ্বরের অতীত কার্যকলাপের উপরেই বিশ্বাস রাখো, ঈশ্বর যে অতীতে মানুষের মধ্যে কাজ করেছিলেন শুধুমাত্র সেই কাজের ফলে পড়ে থাকা ছায়ায় উপর ভরসা রাখো এবং অতীতের দিনগুলিতে ঈশ্বর তাঁর অনুসারীদের যেমন পথ প্রদর্শন করেছিলেন শুধু তার উপরেই তোমার বিশ্বাস রয়েছে। তুমি আজকের দিনে ঈশ্বর প্রদত্ত কর্ম নির্দেশনায় বিশ্বাস করো না, বর্তমান যুগে ঈশ্বরের মহিমাময় কৃপাদৃষ্টিতে বিশ্বাস করো না এবং ঈশ্বর প্রদর্শিত আজকের যুগোপযোগী সত্যের পথেও বিশ্বাস করো না। আর তাই তুমি নিঃসন্দেহে এমন একজন দিবাস্বপ্ন দেখা ব্যক্তি, যার বাস্তবের সাথে কোনও সম্পর্কই নেই। তবু যদি তুমি এখনও মানুষের মধ্যে প্রাণসঞ্চারে অপারগ বাণীসমূহ আঁকড়ে ধরে থাকো, তবে তুমি নিষ্প্রাণ কাষ্ঠ খণ্ড ব্যতীত আর কিছুই নও, কেননা তোমার রক্ষণশীল মনোভাব প্রায় অপ্রতিরোধ্য, কোনও যুক্তির পরোয়াই করে না!

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, শুধুমাত্র অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট মানুষকে অনন্ত জীবনের পথ দেখাতে পারেন

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন