ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কাজ | উদ্ধৃতি 72

17-04-2023

তুমি আমেরিকান, ব্রিটিশ, বা অন্য যেকোনো দেশের নাগরিক হও না কেন, তোমাকে তোমার নিজের জাতীয়তার গণ্ডির বাইরে, স্বীয় সত্তার সীমানা অতিক্রম করে, বেরিয়ে আসতে হবে, এবং সৃষ্ট সত্তার অবস্থান থেকেই ঈশ্বরের কার্যকে দেখতে হবে। এই পথে চললে, তুমি ঈশ্বরের পদাঙ্কে কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে না। কারণ, আজকাল অনেকে এমন ধারণা পোষণ করে যে, কোনো একটা বিশেষ দেশে বা কিছু বিশেষ মানবগোষ্ঠীর মধ্যে ঈশ্বর আবির্ভূত হবেন—এমন অসম্ভব। ঈশ্বরের কর্মের গুরুত্ব কতই না প্রগাঢ়, আর ঈশ্বরের আবির্ভাব কতই না গুরুত্বপূর্ণ! মানুষের ধারণা আর চিন্তাধারার পক্ষে কি তার পরিমাপ করা সম্ভব? এবং তাই আমি বলি, ঈশ্বরের আবির্ভাব কোথায় হয়েছে তার অনুসন্ধান করতে হলে তোমার জাতীয়তা আর বংশ-পরিচয়ের গণ্ডি ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধুমাত্র এইভাবেই তুমি নিজের ধারণার মধ্যে বন্দী রইবে না; কেবল এইভাবেই তুমি ঈশ্বরের আবির্ভাবকে স্বাগত জানাবার যোগ্য হবে। তা না হলে, তুমি অনন্ত অন্ধকারে থাকবে, এবং কখনোই ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করবে না।

ঈশ্বর সমগ্র মানবজাতিরই ঈশ্বর। তিনি নিজেকে কোনো দেশ বা জনগণের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে মনে করেন না, বরং তিনি কোনো বিশেষ রূপ, জাতীয়তা বা জনগণের সীমায় বন্দী না থেকে নিজের পরিকল্পনা অনুসারেই নিজের কাজ করে চলেন। সম্ভবত তুমি কখনোই এই রূপের কথা কল্পনা করনি, অথবা সম্ভবত তোমার এই রূপের প্রতি অস্বীকারের মনোভাব রয়েছে, অথবা সম্ভবত ঈশ্বর নিজেকে যে দেশে প্রকাশিত করেন এবং যে জনসাধারণের মধ্যে তিনি নিজেকে প্রকাশিত করেন, তাদের বিরুদ্ধে সকলে কেবলই বৈষম্যমূলক আচরণ করে থাকে এবং তারাই পৃথিবীর অনগ্রসরতম মনুষ্যবর্গ। তবুও ঈশ্বরের নিজস্ব প্রজ্ঞা রয়েছে। তাঁর মহান ক্ষমতাবলে, আর তাঁর সত্যের ও তাঁর স্বভাবের দ্বারা, তিনি যথার্থই এমন এক মানবতগোষ্ঠীকে অর্জন করেছেন যারা তাঁর সাথে একই মনের অধিকারী, এবং তারা এমন একদল মানুষ যাকে তিনি সম্পূর্ণ করে তুলতে চান—তাঁর দ্বারা বিজিত একদল মানুষ, যারা, সকলপ্রকার পরীক্ষা ও কষ্ট ভোগ করে এবং সমস্ত ধরনের যন্ত্রণা সহ্য করে, অন্তিম অবধি তাঁকে অনুসরণ করতে পারে। ঈশ্বরের আবির্ভাবের উদ্দেশ্য, যা কোনো রূপের অথবা রাষ্ট্রীয় সীমারেখা দ্বারা সীমিত নয়, তা হল, নিজের পরিকল্পনা অনুসারে তাঁর কাজ সম্পূর্ণ করায় সক্ষম হওয়া। এটা তখনও ঠিক এমনই ছিল, যখন, যিহুদীয়া ঈশ্বর দেহে আবির্ভূত হয়েছিলেন: তাঁর উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র মানবজাতিকে উদ্ধার করার উদ্দেশ্যে ক্রুশবিদ্ধকরণের কাজটি সম্পূর্ণ করা। তবুও ইহুদিরা বিশ্বাস করত যে ঈশ্বরের পক্ষে এমন করা অসম্ভব, এবং ঈশ্বরের দেহে আবির্ভূত হওয়া এবং প্রভু যীশুর রূপ ধারণ করাকে তারা অসম্ভব হিসেবে গণ্য করেছিল। সেই তাদের “অসম্ভব” গণ্য করার কারণেই তারা ঈশ্বরের নিন্দা করেছিল এবং তাঁর বিরোধিতা করেছিল, এবং শেষ পর্যন্ত তা ইসরায়েলের ধ্বংসের কারণ হয়। আজকের দিনে, অনেকেই এই একই ধরনের ভুল করেছে। তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ঈশ্বরের আসন্ন আবির্ভাব ঘটার দাবী করে, অথচ একই সাথে তাঁর আবির্ভাবকে নিন্দিতও করে; তাদের সেই “অসম্ভব” বলে মনে হওয়ার ফলে পুনরায় তারা ঈশ্বরের আবির্ভাবকে স্বীয় কল্পনার সীমার মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখতে চায়। আমি এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা ঈশ্বরের বাক্য জানতে পেরে কর্কশ অট্টহাসি হেসে উঠেছে। তাহলে এই হাসি কি ইহুদিদের ঈশ্বরনিন্দা করা আর তাঁকে দোষারোপ করার চেয়ে আলাদা কিছু? তোমরা সত্যের উপস্থিতিতে শ্রদ্ধাশীল নও, আকাঙ্ক্ষার মনোভাব তো তোমাদের মধ্যে আরোই নেই। তোমরা কেবল উদ্দেশ্যহীনভাবে অধ্যয়ন করো এবং প্রফুল্ল ঔদাসীন্য নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকো। এভাবে অধ্যয়ন করতে করতে আর অপেক্ষা করতে করতে তোমরা কী অর্জন করবে? তোমরা কি মনে করো যে তোমরা ঈশ্বরের থেকে ব্যক্তিগত দিশানির্দেশ পাবে? তুমি যদি ঈশ্বরের উচ্চারণসমূহ উপলব্ধি না করতে পেরে থাকো, তবে তুমি কীভাবে ঈশ্বরের আবির্ভাবের সাক্ষী হওয়ার যোগ্য? যেখানেই ঈশ্বরের আবির্ভাব ঘটে, সেখানেই সত্য অভিব্যক্ত হয়, আর সেখানে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। যারা সত্যকে মেনে নিতে পারে কেবল তারাই ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনতে পায়, এবং কেবল সেই ধরনের মানুষই ঈশ্বরের আবির্ভাবের সাক্ষী হওয়ার যোগ্য। পূর্বধারণাগুলি ত্যাগ করো! নিজেকে শান্ত করো এবং এই বাক্যগুলি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করো। তোমার যদি সত্য জানার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকে, তাহলে ঈশ্বর তোমাকে আলোকিত করবেন এবং তুমি তাঁর ইচ্ছা ও তাঁর বাক্য উপলব্ধি করতে পারবে। “অসম্ভব” বলে তোমাদের যে মতামতগুলি আছে সেগুলি পরিহার করো! মানুষ কোনো বিষয়কে যত বেশি করে অসম্ভব হিসাবে বিবেচনা করে, ততই বেশি করে সেই সকল বিষয়ের ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এর কারণ, ঈশ্বরের প্রজ্ঞা স্বর্গের চেয়েও সুউচ্চ, ঈশ্বরের ভাবনাগুলি মানুষের ভাবনার চেয়ে উঁচু, এবং ঈশ্বরের কার্য মানুষের ধারণাসমূহ এবং কল্পনাশক্তির সীমানা অতিক্রম করে। কোনো কিছু যতই অসম্ভব বলে মনে হয়, ততই তার মধ্যে সত্য খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে; কোনো কিছু যতই মানুষের ধারণা আর কল্পনার সীমা ছাড়িয়ে যায়, ততই তার মধ্যে ঈশ্বরের ইচ্ছা নিহিত থাকে। এর কারণ হল, তিনি নিজেকে যেখানেই প্রকাশ করুন না কেন, ঈশ্বর তবু ঈশ্বরই থাকেন, এবং তাঁর অবস্থান অথবা তাঁর আবির্ভাবের উপায় অনুসারে তাঁর সারসত্য কখনোই পরিবর্তিত হয় না। তাঁর পদাঙ্ক যেখানেই থাকুক না কেন, ঈশ্বরের স্বভাব একই থাকে, এবং ঈশ্বরের পদাঙ্ক যেখানেই থাকুক না কেন, তিনি হলেন সমগ্র মানবজাতির ঈশ্বর, ঠিক যেমন প্রভু যীশু কেবলমাত্র ইসরায়েলীয়দের ঈশ্বর নন, তিনি এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার সমস্ত মানুষের ঈশ্বর, এবং, উপরন্তু, তিনি হলেন সমগ্র বিশ্বজগতের একমাত্র ঈশ্বর। অতএব, এসো, আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসন্ধানের চেষ্টা করি, এবং তাঁর উচ্চারণসমূহের মধ্যে তাঁর আবির্ভাবকে আবিষ্কার করি আর তাঁর পদক্ষেপের সাথে তাল মিলিয়ে চলি! ঈশ্বরই হলেন সত্য, পথ এবং জীবন। তাঁর বাক্য ও তাঁর আবির্ভাব একই সাথে বিদ্যমান হয় এবং তাঁর স্বভাব ও তাঁর পদাঙ্ক সকল সময়ে মানবজাতির কাছে উন্মুক্ত হয়ে রয়েছে। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমি আশা করি যে তোমরা এই বাক্যগুলির মধ্যে ঈশ্বরের আবির্ভাব দেখতে পাচ্ছ, নতুন যুগের দিকে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলার পথে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করা আরম্ভ করো, এবং এক সুন্দর ও নতুন স্বর্গ এবং পৃথিবীতে প্রবেশ করো যা ঈশ্বর তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন যারা তাঁর আবির্ভাবের অপেক্ষায় রয়েছে!

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিশিষ্ট ১: ঈশ্বরের আবির্ভাব এক নতুন যুগের সূচনা করেছে

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন