ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 45

26-03-2023

যদি অন্তিম সময়ে পরিত্রাতার আগমন হতো, এবং তখনও তাঁকে যীশু নামে ডাকা হতো, যদি তিনি পুনরায় যিহুদীয়ায় জন্মগ্রহণ করতেন, এবং সেখানে কার্যনির্বাহ করতেন, তাহলে তা এটাই প্রমাণ করতো যে, আমি কেবলমাত্র ইস্রায়েলীদেরই সৃষ্টি করেছি এবং তাদেরই মুক্তি দিয়েছি, এবং অইহুদিদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা কি আমার বাক্যের বিরোধিতা করতো না যে, “আমিই সেই প্রভু যিনি আকাশ ও পৃথিবী এবং সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা”? আমি যিহুদীয়া পরিত্যাগ করে অইহুদিদের মাঝে আমার কার্য নির্বাহ করি, কারণ আমি শুধুমাত্র ইস্রায়েলীদের ঈশ্বর নই, সকল জীবের ঈশ্বর। আমি অন্তিম সময়ে অইহুদিদের মাঝে আবির্ভূত হই, কারণ আমি ইসরায়েলীদের ঈশ্বর যিহোবা নই, বরং আমি অইহুদিদের মধ্যে আমার নির্বাচিত সকলেরও সৃষ্টিকর্তা। আমি শুধুমাত্র ইস্রায়েল, মিশর, এবং লেবানন ছাড়াও ইস্রায়েল অতিক্রম করে সকল অইহুদি দেশ ও জাতি সৃষ্টি করেছি। এই কারণেই আমি সকল জীবের ঈশ্বর। আমি কেবলমাত্র আমার কার্য নির্বাহের সূচনাস্থল হিসাবে ইস্রায়েলকে ব্যবহার করেছি, যিহুদীয়া এবং গালীলকে আমার মুক্তিকার্যের কেন্দ্র হিসেবে নিযুক্ত করেছি, এবং এখন আমি অইহুদি দেশগুলিকে এই সমগ্র যুগের অবসান ঘটানোর ভিত্তিস্থল হিসেবে ব্যবহার করি। ইস্রায়েলে আমি দু’টি পর্যায়ের কার্য সম্পাদন করেছি (এই দু’টি পর্যায় হল বিধানের যুগ এবং অনুগ্রহের যুগ), এবং আমি ইস্রায়েলের সীমানা অতিক্রম করে বাকি সমস্ত দেশগুলিতে আরও দু’টি পর্যায়ে কার্য নির্বাহ করে আসছি (অনুগ্রহের যুগ এবং রাজ্যের যুগ)। অইহুদি দেশগুলিতে আমি জয়ের কার্য সম্পাদন করবো, এবং যুগের অবসান ঘটাব। আমি যে অন্তিম সময়ে এক নতুন যুগের সূচনা করেছি এবং নতুন কার্য শুরু করেছি, এটা না জেনে মানুষ যদি আমাকে সবসময় যীশু খ্রীষ্ট বলেই সম্বোধন করে, এবং তারা যদি অধীরভাবে পরিত্রাতা যীশুর আগমনের প্রতীক্ষা করতে থাকে, তাহলে আমি এইসব মানুষকে আমার প্রতি অবিশ্বাসী বলে সম্বোধন করব; তারা আমাকে জানে না, এবং আমার উপর তাদের বিশ্বাস মিথ্যা। এই ধরনের মানুষ কি স্বর্গ থেকে পরিত্রাতা যীশুর আগমন প্রত্যক্ষ করতে পারে? তারা আমার নয়, বরং ইস্রায়েলীদের রাজার আগমনের প্রতীক্ষা করে। তারা এই অপবিত্র জরাজীর্ণ বিশ্বকে ধ্বংস করার জন্য আমার কাছে আকুল কামনা করে না, বরং পরিবর্তে যীশুর দ্বিতীয়বার আগমনের জন্য অপেক্ষা করে, যাতে তারা মুক্তি পায়। তারা যীশুর মুখাপেক্ষী হয়ে আছে যাতে তিনি এই কলুষিত ও অন্যায়পরায়ণ ভূমি থেকে সমগ্র মানবজাতিকে আরও একবার মুক্ত করেন। তারা কীভাবে অন্তিম সময়ে আমার কার্য সম্পন্ন করার যোগ্য হয়ে উঠবে? মানুষের আকাঙ্ক্ষা আমার ইচ্ছাপূরণ বা কার্য সম্পন্ন করতে অক্ষম, কারণ মানুষ কেবলমাত্র আমার পূর্বকৃত কার্যকেই প্রশংসা ও লালন করে, এবং তার কোনো ধারণা নেই যে আমিই স্বয়ং ঈশ্বর যিনি সর্বদা নতুন, কখনো পুরনো হন না। মানুষ কেবল জানে যে আমি যিহোবা এবং যীশু, এবং তার কোনো ধারণা নেই যে, আমিই অন্তিম সময়ের সেই অনন্য একজন, যিনি মানবজাতির অবসান ঘটাবেন। মানুষ শুধুমাত্র যা নিজের চোখে দেখতে পায়, এবং অন্তরে ধারণা করতে পারে, তা-ই জানে আর তারই আকাঙ্ক্ষা করে। আমি যে কার্য নির্বাহ করি এটি তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, বরং তার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। যদি আমার কার্য মানুষের ধারণা অনুযায়ী পরিচালিত হতো, তাহলে তা কি কখনও শেষ হতো? তাহলে মানবজাতি কখন বিশ্রামের সুযোগ পেত? আর আমি কীভাবে সপ্তম দিনে, অর্থাৎ আমার বিশ্রামবারে প্রবেশ করব? আমি আমার নিজের পরিকল্পনা এবং উদ্দেশ্য অনুযায়ী কার্য নির্বাহ করি—মানুষের অভিপ্রায় অনুযায়ী নয়।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পরিত্রাতা ইতিমধ্যেই একটি “সাদা মেঘে” চড়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন