ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 25

19-04-2023

মানুষ যদি অনুগ্রহের যুগে আটকে থাকে, তবে তারা কখনই তাদের ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্তি পাবে না, ঈশ্বরের অন্তর্নিহিত স্বভাবকে জানা তো দূরের কথা। মানুষ যদি সর্বদা অনুগ্রহের প্রাচুর্যের মধ্যে বাস করে, কিন্তু তাদের কাছে জীবনের সঠিক পথ না থাকে যা তাদের ঈশ্বরকে জানার বা তাঁকে সন্তুষ্ট করার অনুমোদন দেয়, তাহলে তারা তাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে তাঁকে সত্যিকারের লাভ করতে পারবে না। এই ধরনের বিশ্বাস সত্যিই দুঃখজনক। যখন তুমি এই বইটি পড়া শেষ করবে, যখন তুমি রাজ্যের যুগে ঈশ্বরের কাজের প্রতিটি ধাপের অভিজ্ঞতা লাভ করবে, তখন তুমি অনুভব করবে যে তোমার বহু বছর ধরে থাকা আকাঙ্ক্ষাগুলি অবশেষে বাস্তবে পরিণত হয়েছে। তুমি অনুভব করবে যে শুধুমাত্র এখনই তুমি সত্যই ঈশ্বরকে সামনাসামনি দেখেছো; শুধুমাত্র এখনই তুমি তাঁর মুখের দিকে তাকিয়েছ, তাঁর ব্যক্তিগত উচ্চারণ শুনেছ, তাঁর কাজের প্রজ্ঞার প্রশংসা করেছ এবং সত্যই উপলব্ধি করেছ যে তিনি কতটা বাস্তব ও সর্বশক্তিমান। তুমি অনুভব করবে যে তুমি এমন অনেক কিছু অর্জন করেছ যা অতীতের লোকেরা কখনও দেখেনি বা পায়নি। এই সময়ে, তুমি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবে যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করা কী, এবং ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে সঙ্গত হওয়াই বা কী। অবশ্যই, যদি তুমি অতীতের মতামতকে আঁকড়ে ধরে থাকো এবং ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতারের সত্যটিকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করো, তবে তুমি শূন্য হাতেই থেকে যাবে, কিছুই অর্জন করবে না, এবং শেষ পর্যন্ত তোমাকে ঈশ্বরের বিরোধিতা করার দোষে দোষী বলে ঘোষণা করা হবে। যারা সত্যকে মেনে চলতে এবং ঈশ্বরের কাজের কাছে আত্মসমর্পণ করতে সক্ষম তাদের ঈশ্বর—সর্বশক্তিমান এর দ্বিতীয় অবতারের অধীনস্থ হিসেবে অভিহিত করা হবে। তারা ঈশ্বরের ব্যক্তিগত নির্দেশনা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে, আরও এবং উচ্চতর সত্য, সেইসাথে প্রকৃত জীবনও লাভ করবে। তারা এমন দৃশ্য দেখবে যা অতীতের লোকেরা আগে কখনও দেখেনি: “কার কণ্ঠস্বর আমাকে এ কথা বলছে তা দেখার জন্য আমি ঘুরে দাঁড়ালাম। দেখলাম, সাতটি স্বর্ণময় দীপাধার রয়েছে সেখানে। সেই সাতটি দীপাধারের মাঝখানে দেখলাম মানবপুত্রের মত এক পুরুষকে। তাঁর পরণে আপাদ লম্বিত বেশ স্বর্ণপট্টে বেষ্টিত তাঁর বক্ষ, মস্তক ও কেশ শ্বেত পশম ও তুষারের মত শুভ্র, নয়ন যেন বহ্ণিশিখা। তাঁর চরণদুটি অগ্নিশোধিত পিতলের মত উজ্জ্বল এবং কণ্ঠস্বর যেন জলপ্রপাতের গম্ভীর গর্জন। তাঁর দক্ষিণ হস্ত বিধৃত সপ্ত নক্ষত্র, মুখ থেকে নির্গত দ্বি-ধার তীক্ষ্ণ এক তরবারি, মুখমণ্ডল পূর্ণদীপ্ত সূর্যের মত” (প্রকাশিত বাক্য ১:১২-১৬)। এই দৃশ্যই হল ঈশ্বরের সমগ্র স্বভাবের অভিব্যক্তি, আর তাঁর সমগ্র স্বভাবের অভিব্যক্তিই আবার ঈশ্বরের বর্তমান অবতারের কাজের অভিব্যক্তি। শাস্তি ও বিচারের প্রবাহে, মানবপুত্র বিভিন্ন উচ্চারণের মাধ্যমে তাঁর অন্তর্নিহিত স্বভাব প্রকাশ করেন, যারা তাঁর শাস্তি ও বিচার গ্রহণ করে, এটি তাদের সকলকে মানবপুত্রের আসল চেহারা দেখতে দেয়, যা যোহনের দেখা মানবপুত্রের মুখের একটি বিশ্বস্ত রুপায়ণ। (অবশ্যই, এই সমস্ত কিছুই যারা রাজ্যের যুগে ঈশ্বরের কাজকে স্বীকার করে না, তাদের কাছে অদৃশ্য থাকবে।) ঈশ্বরের প্রকৃত রূপ মানুষের ভাষা ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা যায় না, এবং তাই ঈশ্বর সেই উপায়গুলি ব্যবহার করেন যা তাঁর অন্তর্নিহিত প্রকৃত চেহারা এবং স্বভাবকে মানুষের কাছে প্রকাশ করে। যার অর্থ হল, যারা মানবপুত্রের অন্তর্নিহিত স্বভাবের সমাদর করতে পেরেছে, তারা সকলেই মানবপুত্রের প্রকৃত রূপ দেখেছে, কারণ ঈশ্বর অত্যন্ত মহান এবং মানুষের ভাষা ব্যবহার করে তা সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা যায় না। একবার মানুষ রাজ্যের যুগে ঈশ্বরের কাজের প্রতিটি পদক্ষেপের অভিজ্ঞতা লাভ করলে, তারপরে যোহনের কথার প্রকৃত অর্থ জানতে পারবে, যা সে প্রদীপদানিগুলোর মাঝে মানবপুত্রের সম্পর্কে বলেছিল: “মস্তক ও কেশ শ্বেত পশম ও তুষারের মত শুভ্র, নয়ন যেন বহ্ণিশিখা। তাঁর চরণদুটি অগ্নিশোধিত পিতলের মত উজ্জ্বল এবং কণ্ঠস্বর যেন জলপ্রপাতের গম্ভীর গর্জন। তাঁর দক্ষিণ হস্ত বিধৃত সপ্ত নক্ষত্র, মুখ থেকে নির্গত দ্বি-ধার তীক্ষ্ণ এক তরবারি, মুখমণ্ডল পূর্ণদীপ্ত সূর্যের মত”। সেই সময়ে, তুমি সমস্ত সন্দেহের ঊর্ধ্বে জানতে পারবে যে এই সাধারণ দেহ, যিনি এতগুলো কথা বলেছেন, তিনিই নিঃসন্দেহে ঈশ্বরের দ্বিতীয় অবতার। তদুপরি, তুমি প্রকৃত অর্থে উপলব্ধি করবে যে তুমি কতটা ধন্য এবং নিজেকে সবচেয়ে ভাগ্যবান মনে করবে। তুমি কি এই আশীর্বাদগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নও?

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ভূমিকা

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন