ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 22

09-09-2023

যীশু যে কাজ করেছিলেন তা সেই যুগের মানুষের প্রয়োজনের সাথে সঙ্গত ছিল। তাঁর কাজ ছিল মানবজাতিকে মুক্তি দান করা, তাদের পাপের ক্ষমা করা, আর তাই তাঁর স্বভাব ছিল বিনয়, ধৈর্য, ভালোবাসা, ধার্মিকতা, সহনশীলতা, করুণা এবং প্রেমময় উদারতায় পূর্ণ। তিনি মানবজাতির জন্য প্রচুর অনুগ্রহ ও আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিলেন, এবং এনেছিলেন সেই সমস্ত কিছু যা যা উপভোগ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিল। তিনি তাদের উপভোগের জন্য দিয়েছিলেন শান্তি ও সুখ, তাঁর সহিষ্ণুতা ও ভালোবাসা, তাঁর করুণা ও প্রেমময় উদারতা। সেই সময়, মানুষ তার উপভোগের জন্য বহু বিষয়ে প্রাচুর্যের সম্মুখীন হয়েছিল, যেমন হৃদয়ে শান্তি ও নিরাপত্তার অনুভূতি, আত্মায় আশ্বাসের বোধ, এবং পরিত্রাতা যীশুর উপর তাদের নির্ভরতা, এ সবই তারা যে যুগে জীবনযাপন করেছে সেই সময় উপলব্ধ ছিল। অনুগ্রহের যুগে মানুষেরা ইতিমধ্যেই শয়তানের দ্বারা ভ্রষ্ট অবস্থায় ছিল, আর তাই সমগ্র মানবজাতিকে উদ্ধার করতে প্রয়োজন ছিল অসীম অনুগ্রহ, সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যের, উপরন্তু কার্যকরী প্রভাব পেতে মানবজাতির পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য যথাযথ এক উৎসর্গের প্রয়োজন ছিল। অনুগ্রহের যুগে মানুষ শুধুমাত্র দেখেছিল মানবজাতির পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য আমার অর্পণ, অর্থাৎ যীশুকে। তারা শুধু জানত যে ঈশ্বর করুণাময় ও পরম ধৈর্যশীলই হতে পারেন, এবং তারা শুধু যীশুর দয়া ও প্রেমময়তাই দেখেছিল। অনুগ্রহের যুগে জন্ম নেওয়ার জন্যই তাদের এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আর তাই, মুক্তি পাওয়ার আগে তাদের যীশুর বর্ষিত বহুবিধ অনুগ্রহ উপভোগ করতে হয়েছিলো, যাতে তারা এগুলির থেকে উপকৃত হতে পারে। এইভাবে, অনুগ্রহ উপভোগের মাধ্যমেই তাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করা যেত, এবং যীশুর পরম ধৈর্য ও সহনশীলতা উপভোগের দ্বারাই তারা মুক্তির সুযোগও পেতে পারত। কেবল যীশুর ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমেই তারা ক্ষমালাভের অধিকার অর্জন করেছিল এবং যীশুর অসীম অনুগ্রহ উপভোগ করেছিল। যেমনটি যীশু বলেছেন: আমি ধার্মিকদের মুক্তির জন্য নয়, বরং পাপীদের মুক্তির জন্য এসেছি, যাতে তাদের পাপের জন্য ক্ষমা করা যেতে পারে। দেহরূপ ধারণকালে যীশু যদি মানুষের অপরাধের বিচার, অভিশাপ এবং অ-সহিষ্ণুতার স্বভাব পরিগ্রহ করতেন, তাহলে মানবজাতি আর কখনোই উদ্ধারের সুযোগ পেত না, তারা চিরকাল পাপীই রয়ে যেত। তা যদি হতো, তাহলে ছয় হাজার বছরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনা বিধানের যুগেই থেমে যেত, আর এই বিধানের যুগই ছয় হাজার বছর ধরে চলতে থাকতো। তখন মানুষের পাপ সংখ্যায় অনেক বৃদ্ধি পেতো ও জঘন্য রূপ নিত, আর মানবজাতির সৃষ্টি নিষ্ফল হয়ে যেত। বিধান অনুসারে মানুষ কেবল যিহোবার সেবাই করতে পারত, কিন্তু তাদের পাপ প্রথম সৃষ্ট মানুষদের পাপকেও ছাপিয়ে যেত। যীশু মানবজাতিকে যতই ভালোবেসেছেন, তাদের পাপ ক্ষমা করেছেন এবং তাদের প্রতি করুণা ও প্রেমময়তা দেখিয়েছেন, ততই তারা যীশুর দ্বারা উদ্ধার পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে, আর সেই হারানো মেষশাবক নামে অভিহিত হওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে, যাকে যীশু প্রভূত মূল্যে পুনরায় কিনেছিলেন। শয়তান এই কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারেনি, কারণ এক স্নেহশীলা মাতা যেমন সদ্যোজাতকে বুকে আগলে রাখে, যীশু তাঁর অনুগামীদের সাথে সেই একই আচরণ করেছিলেন। তিনি তাদের প্রতি রাগ বা তাচ্ছিল্য দেখাতেন না, বরং তাদের প্রতি ছিলেন সান্ত্বনাপ্রদায়ক। তিনি তাদের ওপর রাগ না করে তাদের পাপ সহন করেছিলেন, তাদের মূর্খতা বা অজ্ঞতার প্রতি চোখ বুজে ছিলেন, অনেকটা এই কথার মতো, “অন্যদের সত্তর গুণ সাতবার ক্ষমা করো”। এইভাবে অন্যদের হৃদয় তাঁর হৃদয়ের দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছিল, আর কেবল এইভাবেই মানুষেরা তাঁর সহনশীলতার মাধ্যমে পাপের ক্ষমা লাভ করেছিলো।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, মুক্তির যুগের কাজের নেপথ্যে থাকা সত্য ঘটনা

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন