ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 12

03-11-2023

ছ’হাজার বছরব্যাপী পরিচালনামূলক পরিকল্পনা তিন পর্যায়ের কার্যে বিভক্ত। কোনো একটি পর্যায় তিনটি পর্যায়ের কার্যের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না, কেবল সমগ্রের অংশবিশেষের প্রতিনিধিত্ব করে। যিহোবা নামটি ঈশ্বরের সম্পূর্ণ স্বভাবের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। তিনি অনুশাসনের যুগে তাঁর কার্য নির্বাহ করেছিলেন, এতে প্রমাণিত হয় না যে ঈশ্বর কেবলমাত্র আইনের অনুশাসনেই ঈশ্বর হবেন। যিহোবা মানুষের জন্য আইন প্রণয়ন করেছিলেন এবং তাদের হাতে আদেশসমূহ দিয়েছিলেন, এবং উপাসনালয় ও পূজাবেদী নির্মাণ করতে বলেছিলেন; তিনি যে কার্য সম্পন্ন করেছিলেন তা কেবল অনুশাসনের যুগের প্রতিনিধিত্ব করে। তাঁর এই কার্য প্রমাণ করে না যে, ঈশ্বর কেবল মানুষকে আইন মানতে বলে, অথবা তিনি কেবল উপাসনালয় বা পূজাবেদীর সম্মুখেই ঈশ্বর। এ কথা বললে অসত্য-ভাষণ হবে। আইনের অনুশাসনে সম্পাদিত কার্য কেবলমাত্র একটি যুগের প্রতিনিধিত্ব করে। অতএব, ঈশ্বর যদি কেবলমাত্র অনুশাসনের যুগে কার্য নির্বাহ করতেন, তাহলে মানুষ ঈশ্বরকে এইরূপ সংজ্ঞায় আবদ্ধ করে ফেলত, “ঈশ্বর কেবলমাত্র উপাসনালয়ে আসীন, এবং তাঁর সেবা করতে হলে আমাদের অবশ্যই যাজকের বেশ পরিধান করে উপাসনালয়ে প্রবেশ করতে হবে।” যদি অনুগ্রহের যুগের কার্য কখনোই সম্পাদিত না হত এবং অনুশাসনের যুগই বর্তমানে চলত, তাহলে মানুষ জানতে পারত না যে ঈশ্বর ক্ষমাশীল এবং প্রেমময়ও বটে। যদি অনুশাসনের যুগের কার্য সম্পাদিত না হয়ে শুধুমাত্র অনুগ্রহের যুগের কার্যই সম্পাদিত হত, তাহলে মানুষ কেবল এটুকুই জানত যে, ঈশ্বর কেবলমাত্র মানুষকে পরিত্রাণ করেন এবং তার পাপ ক্ষমা করেন। মানুষ কেবল জানত যে তিনি পবিত্র ও নিষ্পাপ, এবং মানুষের স্বার্থে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করে ক্রুশবিদ্ধ পর্যন্ত হতে পারেন। মানুষ কেবল এগুলিই জানত, কিন্তু অন্য কোনো বিষয়ে তার কোনো ধারণা থাকত না। অতএব প্রত্যেকটি যুগ ঈশ্বরের স্বভাবের একেকটি অংশকে প্রকাশ করে। আর ঈশ্বরের স্বভাবের কোন অংশটি অনুশাসনের যুগে, অনুগ্রহের যুগে, এবং বর্তমানে প্রকাশিত হয়েছে, সে প্রসঙ্গে বলা যায়: একমাত্র যখন তিনটি পর্যায় একত্রে সমন্বিত হবে, তখনই ঈশ্বরের স্বভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশিত হবে। মানুষ যখন তিনটি পর্যায়ের বিষয়েই জেনে যাবে, তখনই সে সম্পূর্ণ রূপে তা বুঝতে পারবে। এই পর্যায়গুলির কোনোটিই উপেক্ষা করা যাবে না। এই তিন পর্যায়ের কার্য সম্বন্ধে জানার পরই তুমি ঈশ্বরের স্বভাব সামগ্রিকভাবে দেখতে পাবে। অনুশাসনের যুগে ঈশ্বর তাঁর কার্য সম্পন্ন করেছিলেন বলে এ কথা প্রমাণিত হয় না যে তিনি কেবলমাত্র আইনের অনুশাসনেই ঈশ্বর, এবং তিনি মুক্তিদানের কার্য সম্পন্ন করেছিলেন, এর অর্থ এই নয় যে তিনি চিরকাল মানবজাতিকে মুক্তি দিয়ে যাবেন। এগুলি সবই মানুষের কল্পিত সিদ্ধান্ত। অনুগ্রহের যুগের অবসান ঘটেছে, ফলে তুমি এ কথা বলতে পারো না যে, ঈশ্বর কেবলমাত্র ক্রুশে বিরাজমান এবং ক্রুশই ঈশ্বরের পরিত্রাণের প্রতীক। এর অর্থ হবে ঈশ্বরকে সংজ্ঞায় আবদ্ধ করা। বর্তমান পর্যায়ে ঈশ্বর মূলত বাক্যের কার্য নির্বাহ করছেন, কিন্তু তুমি এটা বলতে পারো না যে, ঈশ্বর কখনোই ক্ষমাশীল ছিলেন না, এবং তিনি কেবল বিচার এবং শাস্তিই দিয়েছেন। অন্তিম সময়ের কার্য যিহোবা ও যীশুর কার্য এবং মানুষের অবোধ্যসকল রহস্যকে প্রকাশ করে, যাতে মানবজাতির গন্তব্য এবং পরিসমাপ্তি প্রকাশিত হয় এবং মানবজাতির মধ্যে পরিত্রাণের সকল কার্যসমাপ্ত করা যায়। অন্তিম সময়ের কার্যের এই পর্যায়টি সবকিছুর সমাপ্তি ঘটায়। মানুষের অবোধ্য সকল রহস্য উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন, যাতে মানুষ সেগুলির গভীরে যেতে পারে এবং তার হৃদয়ে এক সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়। একমাত্র তখনই মানবজাতিকে প্রকারভেদে শ্রেণীবদ্ধ করা যাবে। একমাত্র ছ’হাজার বছরব্যাপী পরিচালনামূলক পরিকল্পনা সম্পন্ন হওয়ার পরই মানুষ ঈশ্বরের স্বভাব সামগ্রিকভাবে বুঝতে পারবে, কারণ তাঁর ব্যবস্থাপনা ততদিনে শেষ হয়ে যাবে।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অবতাররূপের রহস্য (৪)

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন