ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 140

13-03-2022

ঈশ্বরের পার্থিব রূপকেই খ্রিষ্ট বলা হয় এবং তাই যে খ্রিষ্ট মানুষকে সত্যের সন্ধান দেন তাকেই ঈশ্বর বলা হয়। এটি অতিশয়োক্তি নয়, কারণ তিনিই ঈশ্বরের সারসত্যের অধিকারী এবং তাঁর কাজের মধ্যেই প্রতিফলিত হয় ঈশ্বরের চরিত্র এবং জ্ঞান, যা মানুষের পক্ষে জানা অসাধ্য। যারা নিজেদেরকে খ্রিষ্ট বলে দাবি করে, কিন্তু ঈশ্বরের কাজে অপারগ, তারা আসলে প্রতারক। খ্রিষ্ট পৃথিবীতে নিছক ঈশ্বরের প্রকাশ নন, বরং ঈশ্বরের পার্থিব রূপ ধারণ করেই তিনি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের কর্মসম্পাদন করেন এবং সম্পূর্ণ করেন। এই পার্থিব শরীর যেকোনো মানুষ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা অসম্ভব, তিনিই তা করতে পারবেন যিনি যথাযথভাবে পৃথিবীতে ঈশ্বরের কর্ম সম্পাদন করতে পারেন, ঈশ্বরের প্রকৃত চরিত্র প্রকাশ করতে পারেন, যথাযথ ভাবে ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন এবং মানুষকে জীবনের প্রকৃত অর্থ প্রদান করতে পারেন। একদিন না একদিন, খ্রিষ্টের ছদ্মরূপ ধারণকারী প্রত্যেকের পতন অনিবার্য, কারণ তারা নিজেদের খ্রিষ্ট বলে দাবি করলেও, তাদের মধ্যে খ্রিষ্টের সারসত্যের ছিটেফোঁটাও থাকে না। আর তাই আমি বলি খ্রিষ্টের সত্যতা মানুষ সংজ্ঞায়িত করতে পারে না, বরং তার বিচার এবং সংজ্ঞা নির্ধারণ স্বয়ং ঈশ্বরের দ্বারাই করা সম্ভব। এইভাবে, তুমি সত্যিই জীবনের পথ খুঁজতে চাইলে অবশ্যই প্রথমে তোমাকে স্বীকার করতে হবে যে পৃথিবীতে এসে ঈশ্বর মানুষকে জীবন যাপনের পথের সন্ধান দেবার কাজ করেন এবং তোমাকে এটাও মানতেই হবে যে অন্তিম সময়ে ঈশ্বর পৃথিবীতে আসেন মানুষকে জীবন যাপনের সঠিক পথের সন্ধান দেবার জন্য। এটা কেবল অতীতেই নয়; আজও ঘটে চলেছে।

খ্রিষ্ট অন্তিম সময়ে প্রাণ সৃষ্টি করেন এবং সত্যের চিরস্থায়ী ও শাশ্বত পথ নিয়ে আসেন। এই সত্যের পথেই মানুষ জীবন লাভ করে এবং এটিই একমাত্র পথ যার দ্বারা মানুষ ঈশ্বরকে জানতে পারে এবং ঈশ্বরের দ্বারা অনুমোদিত হয়। যদি খ্রিস্ট অন্তিম সময়ে যে জীবন যাপনের পথের সন্ধান দিয়েছেন তাতে তুমি আগ্রহী না হও, তবে তুমি কখনই যীশুর অনুমোদন লাভ করতে পারবে না এবং স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের যোগ্য কখনই বিবেচিত হবে না, তুমি কেবল ইতিহাসের হাতের পুতুল এবং বন্দী হয়েই থেকে যাবে। যারা নিয়ম-কানুন, লিখিত শব্দ এবং ইতিহাসের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, তারা কখনই জীবনের রস আস্বাদন করতে পারে না বা অনন্ত জীবন যাপনের চিরস্থায়ী পথের সন্ধান পেতে পারে না। কারণ তাদের জীবন সিংহাসন থেকে প্রবাহিত প্রাণসঞ্চারী জলের পরিবর্তে হাজার হাজার বছর ধরে আবদ্ধ অস্বচ্ছ জলের মতোই ঘোলাটে হয়ে থেকে যায়। যাদের জীবনে এই প্রাণসঞ্চারী জলের সরবরাহ থাকে না তারা চিরকালই মৃতদেহের অনুরূপ, তারা শয়তানের খেলার সামগ্রী এবং নরকের সন্তান হয়েই থেকে যাবে। তাহলে তারা কীভাবে ঈশ্বরকে পাবে? যদি তুমি শুধুমাত্র অতীতকে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করো, শুধুমাত্র স্থির বস্তু ধরে রাখার চেষ্টা করো, স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের বিষয়ে নিশ্চেষ্ট থাকো এবং ইতিহাসকে অগ্রাহ্য করো, তাহলে তুমি কি সর্বদা ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচারী নও? ঈশ্বরের কর্মকাণ্ড বিশাল এবং শক্তিশালী, ঠিক উথালপাথাল ঢেউ এবং গর্জনকারী বজ্রের মতো—তবুও তুমি নিষ্ক্রিয়ভাবে ধ্বংসের অপেক্ষায় বসে আছো, নিজের অজ্ঞতা আঁকড়ে ধরে আছো এবং নিশ্চেষ্ট রয়েছ। এইভাবে, তুমি মেষশাবকের পদাঙ্ক অনুসরণকারীর মতো কীভাবে থাকতে পারো? তুমি কীভাবে সেই ঈশ্বরকে সমর্থন করতে পারবে যিনি সর্বদা নতুন এবং কখনও পুরানো হন না? হলুদ হয়ে যাওয়া জীর্ণ বইয়ের উদ্ধৃতি কীভাবে তোমাকে নতুন যুগে নিয়ে যেতে পারে? সেগুলি কীভাবে তোমাকে ঈশ্বরের কাজের পদক্ষেপগুলির সন্ধানে পরিচালিত করতে পারে? সেগুলি কীভাবে তোমার স্বর্গের পথ প্রশস্ত করতে পারে? তোমার নিজের হাতে ধরা বইগুলি শুধুই অক্ষরের সমাহার, যা কেবল অস্থায়ী শান্তি প্রদান করতে পারে, জীবনদায়ী সত্যের সন্ধান দিতে সক্ষম নয়। তোমার পড়া শাস্ত্রগুলি শুধুমাত্র তোমার জিহ্বাকে সমৃদ্ধ করতে পারে, মানব জীবনের প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে সাহায্যকারী জীবন দর্শনের সন্ধান দিতে তারা অক্ষম, পরিপূর্ণতার অভিমুখে চলার পথ হবার যোগ্যতা তো এগুলির আরোই কম। এই অমিলগুলি কি তোমাকে ভাবনার রসদ জোগাতে পারে না? এটা কি তোমাকে অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে না? তুমি কি নিজেকে স্বর্গে যাওয়ার যোগ্য এবং নিজের সামর্থ্যেই ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে সক্ষম বলে মনে করো? ঈশ্বরের আগমন ব্যতীত তুমি কি ঈশ্বরের সাথে পারিবারিক সুখ উপভোগ করতে স্বর্গে নিজেকে নিয়ে যেতে পারবে? তুমি কি এখনও দিবাস্বপ্ন দেখছো? আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে, তাহলে তুমি দিবাস্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেখো যে এখন কে কাজ করছেন—দেখো কে এখন অন্তিম সময়ে মানুষকে বাঁচানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তুমি এগুলো না পারলে কখনই সত্য উপলব্ধি করতে পারবে না এবং কখনও জীবনের রস আস্বাদন করতে পারবে না।

যারা খ্রিষ্টের বাণীর সত্যের উপর নির্ভর না করে জীবন লাভ করতে চায় তারা পৃথিবীর সবচেয়ে হাস্যকর মানুষ এবং যারা খ্রিষ্ট প্রদত্ত জীবন যাপনের পথের সন্ধান পেতে চায় না তারা অলীক কল্পনার জগতে বিভোর হয়ে আছে। তাই বলছি যে যারা অন্তিম সময়ে খ্রিষ্টকে গ্রহণ করে না তারা চিরকাল ঈশ্বরের দ্বারা ঘৃণার পাত্র হয়েই থাকে। খ্রিষ্টই জীবনের অন্তিম সময়ে তাঁর রাজ্যে মানুষের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং তাঁর সমতুল্য আর কেউ নেই। খ্রিষ্টের মধ্যস্থতা ছাড়া কেউ ঈশ্বরের দ্বারা পরিপূর্ণতা পেতে পারে না। তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করলে, অবশ্যই তাঁর বাণী মেনে নেবে এবং তাঁর প্রদর্শিত পথের অনুবর্তী হবে। তুমি সত্য প্রাপ্তি না করে এবং জীবনের বিধান গ্রহণে অক্ষম হয়ে কেবল আশীর্বাদ লাভের কথা ভেবে যেতে পারো না। খ্রিষ্ট জীবনের অন্তিম সময়ে আসেন, তাঁর প্রকৃত অনুরাগীদের জীবনের রসাস্বাদন করানোর জন্য। তাঁর কাজ হল পুরানো যুগের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে নতুন যুগের সূচনা করা এবং নতুন যুগে প্রবেশ করা অনুরাগীদের অবশ্য অনুসরণীয় পথে চালিত করা। যদি তুমি তাঁকে মেনে নিতে অস্বীকার করো এবং তার পরিবর্তে তাঁর নিন্দা করো, তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করো অথবা তাড়না করো, তাহলে তুমি অনন্তকাল জ্বলতে থাকবে এবং কখনই ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ খ্রিষ্ট স্বয়ং পবিত্র আত্মার প্রতিরূপ, ঈশ্বরের মূর্ত প্রকাশ, এমন একজন যাকে ঈশ্বর পৃথিবীতে তাঁর হয়ে কাজ করার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তাই আমি বলছি যে অন্তিম সময়ে খ্রিষ্টের কর্মকাণ্ড মেনে নিতে না পারার অর্থ পবিত্র আত্মার নিন্দা করা। যারা পবিত্র আত্মার নিন্দা করে তাদেরকে প্রদত্ত শাস্তির স্বরূপ সকলের কাছে স্বতঃসিদ্ধ। আমি তোমাকে এটাও বলছি, তুমি যদি অন্তিম সময়ের খ্রিষ্টকে প্রতিহত করো, যদি তুমি জীবনের অন্তিম সময়ে থাকা খ্রিষ্টকে প্রত্যাখ্যান করো, তবে তোমার পরিণতি বহন করার মতো আর কেউ থাকবে না। উপরন্তু, আজ থেকে তুমি ঈশ্বরের অনুমোদন লাভের আর কোনও সুযোগ পাবে না; এমনকি প্রায়শ্চিত্তের চেষ্টা করলেও, তুমি আর কখনও ঈশ্বরের মুখ দেখার সৌভাগ্য লাভ করবে না। কারণ তোমার প্রত্যাখ্যান করা, বর্জন করা ব্যক্তি কোনও সাধারণ মানুষ নন, তিনি মহামান্য খ্রিষ্ট। তুমি কি জানো এর পরিণতি কী হবে? তাহলে এটা কোনও ছোটখাটো ভুল হবে না, বরং একটি জঘন্য অপরাধ হবে। তাই আমি সবাইকে উপদেশ দিচ্ছি যে সত্যের সামনে অপলাপ কোরো না বা অযৌক্তিক সমালোচনা কোরো না, কারণ শুধুমাত্র সত্যই তোমাকে জীবন দিতে পারে এবং সত্য ব্যতীত অন্য কিছুই পুনর্জন্ম এবং পুনরায় ঈশ্বরের মুখ দেখার সৌভাগ্য দিতে পারবে না।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, শুধুমাত্র অন্তিম সময়ের খ্রীষ্ট মানুষকে অনন্ত জীবনের পথ দেখাতে পারেন

আরও দেখুন

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Leave a Reply

শেয়ার করুন

বাতিল করুন

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন