ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 130
10-07-2023
যীশু এবং আমি এক আত্মার থেকে এসেছি। যদিও আমরা দেহে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কহীন, কিন্তু আমাদের আত্মা এক; যদিও আমরা যা করি তার বিষয় এবং যে কাজ আমরা হাতে নিই সেগুলি এক নয়, তবু সারসত্যে আমরা একই; আমাদের দেহ ভিন্ন রূপ ধারণ করে, কিন্তু তা যুগের পরিবর্তনের জন্য ও আমাদের কাজের প্রয়োজনের ভিন্নতার জন্য; আমাদের সেবাব্রত ভিন্ন, তাই আমরা যে কাজ সামনে আনি এবং যে স্বভাব আমরা মানুষের কাছে প্রকাশ করি, সেগুলোও আলাদা। সেই কারণেই, মানুষ আজ যা দেখে এবং বোঝে, তা অতীতের থেকে আলাদা, যার কারণ হচ্ছে যুগের পরিবর্তন। যদিও তারা লিঙ্গ ও দেহরূপে ভিন্ন, এবং তারা একই পরিবারে জন্মায় নি, একই সময়ের মধ্যে তো নয়ই, কিন্তু তাদের আত্মা তবুও এক। তাদের দেহের মধ্যে রক্তসম্পর্ক বা কোনো দৈহিক আত্মীয়তা না থাকলেও, এটা অস্বীকার করা যায় না যে, তারা দুটি ভিন্ন সময়কালে ঈশ্বরের অবতাররূপ। তারা যে ঈশ্বরের অবতার তা অকাট্য সত্য। যদিও, তারা একই রক্তসম্পর্কের নন এবং একই মানবীয় ভাষায় কথা বলেন না (একজন ছিলেন এক পুরুষ যিনি ইহুদিদের ভাষায় কথা বলতেন, এবং অপরজন এক নারী যিনি শুধুমাত্র চৈনিক ভাষা বলেন)। এই সব কারণের জন্যই তাঁরা তাঁদের যথোচিত কাজ করতে ভিন্ন দেশে এবং ভিন্ন সময়কালে জীবনযাপন করেছেন। যদিও এটা সত্য যে তাঁরা একই আত্মা, তাঁদের একই সারসত্য, কিন্তু তাঁদের দেহের বাহ্যিক আবরণের মধ্যে কোনো চূড়ান্ত মিল নেই। তাঁরা একই মানবতার অংশীদার, কিন্তু যতদূর তাঁদের দেহের বাহ্যিক চেহারা এবং তাঁদের জন্মের পরিস্থিতি বিবেচ্য, তাঁরা একইরকম নন। এই বিষয়গুলির কোনো প্রভাব তাঁদের সংশ্লিষ্ট কাজে বা মানুষের তাঁদের সম্পর্কিত জ্ঞানের উপরে পড়ে না, কারণ চূড়ান্ত বিশ্লেষণে, তাঁরা একই আত্মা এবং কেউ তাঁদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। এমনকি যদিও তাঁরা রক্তের দ্বারা সম্পর্কিত নন, এবং তাঁদের দেহ ভিন্ন বংশজাত, কিন্তু তাঁদের সমগ্র সত্তাই তাঁদের আত্মার চালিকাশক্তি, যা তাঁদের জন্য বিভিন্ন সময়কালে বিভিন্ন কাজ বরাদ্দ করে। যিহোবার আত্মা যীশুর আত্মার পিতা নন, এবং যীশুর আত্মাও যিহোবার আত্মার পুত্র নন: তাঁরা এক এবং একই আত্মা। একইভাবে, আজকের ঈশ্বরের অবতার এবং যীশু রক্তের দ্বারা সম্পর্কিত নন, কিন্তু তাঁরা এক, কারণ তাঁদের আত্মা একই। ঈশ্বর করুণা এবং প্রেমময় উদারতার কাজ করতে পারেন, পাশাপাশি ধার্মিক বিচার ও মানুষের শাস্তিবিধানের কাজও করতে পারেন, এবং মানুষকে অভিশাপ দেওয়ার কাজও করতে পারেন; এবং শেষে, তিনি এই পৃথিবী ধ্বংস করার ও দুষ্টের দণ্ডদানের কাজ করতে পারেন। তিনি কি এইসবই নিজে করেন না? এটাই কি ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তা নয়?
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, দু’টি অবতার অবতাররূপের তাৎপর্য সম্পূর্ণ করে
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
অন্যান্য ধরণের ভিডিও